

তোফাজ্জল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে ডাকাতি মামলায় একজনের ১০ বছর ও ছয় জনের আট বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
টাঙ্গাইলের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে এই রায় দেন।
দণ্ডিতরা সবাই বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া গ্রামের অধিবাসী। এরা হচ্ছেন, ওই গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে মফিদুল ইসলাম, আব্দুল গনি মিয়ার ছেলে মো. সম্রাট, তোমছের মিয়ার ছেলে রুপন মিয়া, রমজান আলীর ছেলে রবিন মিয়া, আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া এবং ইউসুফ আলীর ছেলে রাজন মিয়া। এদের মধ্যে মফিদুলকে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাকি সবাইকে আট বছর করে সশ্রম করাদন্ড দেয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলী মনিরুল ইসলাম খান জানান, ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট দিবাগদ রাতে বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া গ্রামে আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল আজাদের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদল গ্রীল কেটে ঘরে ঢুকে আবুল আজাদ ও তার স্ত্রী শামীমা আজাদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে ১৪ ভরি স্বর্ণালংকারসহ সাত লক্ষাধিক টাকার মামলাল লুট করে নেয়।
ঘটনার পরদিন আবুল আজাদ বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে বাসাইল থানায় ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ সম্রাট ও সুজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে বাসাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলা চলাকালে আসামীরা সবাই জামিন পাওয়ার পর পলাতক হন। মফিদুল ও রুপনকে কয়েক মাস আগে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এই দুইজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বাকি পাঁচ আসামী এখনো পলাতক রয়েছে।
মামলার বাদি আবুল আজাদ জানান, এ রায়ে তিনি সন্তুষ্ট। পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তার করে সাজার আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।