জাতীয়
সব দেখুনসর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুনচলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বইছে তীব্র তাপদাহ। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। তীব্র তাপদাহের এই সময়ে অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচতে রাজধানীর পুরান ঢাকার ইসলামপুরের গোল তালাব পুকুর দিচ্ছে সব বয়সের মানুষের গোসল করার স্বস্তি।
সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় ২০০ বছরের এই পুরনো পুকুরে গরম থেকে বাঁচতে শুধু শিশু-কিশোর নয় সব বয়সের মানুষ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তালা পুকুরে।
স্থানীয়ভাবে এই পুকুরকে নবাব বাড়ির পুকুর নামে পরিচিত। ১৮৩০ সালে নবাব খাজা আলিমুল্লাহ পুকুরটি খনন করেন। পারসহ ৮ বিঘা জমির পুকুরটির ঐতিহ্য এখনো জানান দেয়। প্রায় ২০০ বছর পরও এই পুকুরের পানির স্বচ্ছতা ও সৌন্দর্য অন্য যেকোনো পুকুরের থেকে আলাদা। মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে যতক্ষণ খুশি ততক্ষণ আপনি এ পুকুরে করতে পারবেন গোসল।
পুকুরে গোসল করতে আসা মো.আবদুল হামিদ (৭০) বলেন, আমি গ্রামের মানুষ, গ্রাম থেকে এসেছি। ঢাকাতে তো তেমন একটা পুকুর বা নদী নেই। ৫ টাকার বিনিময়ে এখানে গোসল করতে পেরে গরমে শান্তি পাচ্ছি।
মারুফ (১৮) বলেন, আমরা এখানের স্থানীয় বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই এই পুকুরে সাঁতার শিখেছি। মাঝেমধ্যেই এখানে গোসল করতে আসা হয়। এখন প্রচন্ড গরম। পানি থেকে উঠতেই মন চায় না। তাই প্রতিদিন ২-১ ঘন্টায় এসে এখানে গোসল করি সাঁতার কাটি।
তবে পুকুর কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে জানান, এই পুকুর ব্যবহারে রয়েছে বেশ কিছু শর্ত। পুকুরের পানিতে ব্যবহার করা যাবে না সাবান শ্যাম্পু। সাবান ব্যবহারের জন্য পাশেই রয়েছে গোসলখানা এবং পোশাক পরিবর্তনের স্থান। সাঁতার জানা না থাকলে নামা যাবে না পুকুরে। পুকুরে গোসল করতে আসা অতিথিদের সেবা দেওয়ার জন্য সবসময় প্রস্তুত নবাব বাড়ির বংশধরেরা। নিরাপত্তার জন্য পুকুরের ভিতরে রাখা আছে নৌকা এবং জীবন্তরি।
তবে শত বছরের এই পুরাতন পুকুরেও রয়েছে সৌন্দর্য হারানোর ভয়। ভূমি খেকো দের নজর পড়ে এই পুকুরের উপর। জাল দলিল তৈরি করে পুকুর দখলের চলছে অপচেষ্টা। নবাব বংশধরদের আশা রাজধানী বা সারাদেশের মানুষের কাছে এই পুকুরের পরিচিতি পৌঁছালে টিকিয়ে রাখানো সম্ভব শত শত বছরের ঐতিহ্য। তাই তারা সকলকে এখানে ঘুরতে আসার আহ্বান জানান।
এআই
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট অস্বাভাবিক তাপদাহে রাজধানীর জনজীবন দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে। আগুন ঝরা বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন নারী-শিশু-সাধারণ কর্মজীবী মানুষসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। এরইমাঝে একদিকে নতুন করে আরো ৭২ ঘন্টার হিট এ্যালার্ট জারির খবরে শঙ্কিত রাজধানীসহ গোটা দেশবাসী।
অপরদিকে, কাঠফাটা উত্তপ্ত রোদ, ভ্যাপসা গরম ও অসহনীয় তাপমাত্রাকে পায়ে ঠেলে ইউনিফর্ম পরে পিচঢালা উত্তপ্ত সড়কে দাঁড়িয়ে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব একাগ্রচিত্তে পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর গাবতলী, মিরপুর, কল্যানপুর, শ্যামলীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র অসহনীয় গরমে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নগরবাসীর স্বাভাবিক চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে দায়িত্ব পালন করছেন ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের সদস্যরা।
বেলা আনুমানিক ১.৩০ মিনিট। নগরীর অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক মিরপুর-১ নম্বর গোল চত্বরে দেখা গেল কাঠফাঁটা রোদে একটি পানির বোতল হাতে সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্ব পালনকালে প্রচন্ড গরমে ঘেমে জবুথবু হয়ে পড়েছেন একজন সার্জেন্ট। নাম তাঁর মো. সাইদুর রহমান টিপু। মুখ-মন্ডল বেয়ে ঝড়ছে ঘাম। মুখ-মণ্ডলজুড়ে ক্লান্তির ছাপ সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। ব্যস্ততম কয়েকমুখী সড়কের এই চত্বরে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় কয়েক মিনিটের জন্যেও বিশ্রাম নেয়ার জোঁ নেই। পাশেই ছাতা মাথায় আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে এর ফাঁকেই হাতের বোতল থেকে দু'এক ঢোক পানি গিলছেন সার্জেন্ট টিপু। অসহনীয় তাপমাত্রায় সামান্য স্বস্তির লক্ষ্যে সড়কে দাঁড়িয়েই হাতেের বোতল থেকে চোখে-মুখে কয়েক দফা পানি ছিটিয়ে ধুয়ে নিচ্ছিলেন। ঠিক সেসময়ই দৃশ্যটি ধরা পড়ে সময়ের কণ্ঠস্বরের ক্যামেরায়।
এসময় এগিয়ে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে "অস্বস্তিকর দূর্বিষহ গরম ও কাঠফাটা রোদে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন; একটু বিশ্রাম নিয়ে নিলেও তো পারেন" এমন প্রশ্নের উত্তরে নিমিষেই সকল ক্লান্তি পায়ে ঠেলে একগাল হেসে বললেন, আমরা ট্রাফিক পুলিশে চাকরি করি। দায়িত্ব পালনকালে এই অস্বাভাবিক তাপমাত্রা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। এর থেকে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেও তা নিয়ে ভাববার সুযোগ আমাদের নেই। মানুষকে সেবা দেয়াই পুলিশের কাজ। মহানগরবাসী তথা মানুষকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করাই আমাদের মূল কাজ। সেলক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। বলেই অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের উদ্দেশ্যে হাত উঁচিয়ে সিগনাল ছাড়তে ইশারা দিতে দিতে ফের সড়কে দাঁড়িয়ে গেলেন তিনি।
এদিকে, দূর্বিষহ তাপদাহ ও অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে দায়িত্ব পালনকালে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের নানা সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে ভাবনার কমতি নেই পুলিশের উর্ধতন মহলেও।
এসময় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়াতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে একদিকে ফোসের্র মনোবল যেমন চাঙা হচ্ছে, অপরদিকে দাবদাহের মধ্যেও ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে নগরবাসী পাচ্ছেন সর্বোত্তম সেবা।
এ বিষয়গুলোকে বিশেষ বিবেচনায় রেখেই গত বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগের সকল পুলিশ সদস্যদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাবার স্যালাইন সরবরাহের উদ্যোগ নেন। এই তীব্রে তাপদাহ যতদিন থাকবে ততদিন পুলিশের এই কার্যক্রম চলবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মুনিবুর রহমান জানান, এই অসহনীয় গরমে রাস্তায় ডিউটি করা সত্যিই কষ্টকর। এই উপলব্ধি থেকেই ট্রাফিকের সকল পুলিশ সদস্যদের জন্য নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইনের সর্বরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই উদ্যোগ ট্রাফিক পুলিশের সকল সদস্যদের এই তীব্র গরমের মাঝেও দায়িত্ব পালনে আরও উদ্বুদ্ধ করবে বলে যোগ করেন ট্রাফিক পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এমআর
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পৃথক জায়গা থেকে দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে দুজনে ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত। হিট স্ট্রোক অথবা অন্য কোনো অসুস্থতার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
রবিবার (২১ এপ্রিল) রাতে পৃথক স্থান থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস মণ্ডল সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, অজ্ঞাত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। যাত্রাবাড়ী দক্ষিণ শেখদি ৫ নম্বর রোড থেকে রাতে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যক্তি ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত ছিল। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মাথা ঘুরে হিট স্ট্রোক বা অন্য কোনো অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এদিকে, যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদা রহমান জানান, রাতে যাত্রাবাড়ী জনপদ মোড়ের পশ্চিম খাজা হোটেলের সামনের ফুটপাত থেকে উদ্ধার করা হয় অজ্ঞাত আরেক ব্যক্তির মরদেহ। তাঁর বয়স হবে আনুমানিক (৩০) বছর। তিনিও ভাবঘুরে ও মাদকাসক্ত ছিল। অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এআই
রাজধানীর গুলিস্থানের গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন রাস্তা থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই মরদেহ উদ্ধার করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফ নেওয়াজ জানান, সকালে খবর পেয়ে গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন রাস্তা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ব্যক্তির কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মাজার সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে এসআই আরও জানান, ওই ব্যক্তি ভবঘুরে মাদকসেবী ছিল। মাজার এলাকাতেই থাকত। ধারণা করা হচ্ছে, অসুস্থ অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আঙুলের ছাপের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তে সিআইডি ক্রাইম সিন ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে।
এআই
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন লেগেছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটের দিকে হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ ইউনিটে এই আগুন লাগে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, শুক্রবার পৌনে বেলা ২টার দিকে হাসপাতালের আট তলা একটি ভবনের পঞ্চম তলায় কার্ডিয়াক বিভাগে আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের তিনটি, সিদ্দিক বাজার থেকে একটি এবং তেজগাঁও থেকে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে।
তবে কীভাবে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হল বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে দিতে পারেননি তিনি।
এদিকে আগুন লাগার পর হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অসুস্থ বাচ্চাদের নিয়ে অনেকে ভবন ছেড়ে নিচে নেমে আসেন।
মেহেরপুরের গাংনীতে ২৭৩ পিচ ইয়াবাসহ সাইদ আলী (৪৪)নামের এক শ্যামলী পরিবহনের চালককে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব-১২)।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাংনী বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে আটক করে। আটককৃত সাঈদ আলী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের খেদ আলীর ছেলে।
গাংনী র্যাব-১২ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মনিরুজ্জামান জানান,ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনে মাদক আসছে (যার লাইসেন্স নং- ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৬৪৪৯), এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ এর অভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে ২৭৩ পপিচ ইয়াবা সহ সাঈদ আলীকে আটক করে। আটককৃত সাঈদ আলীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এমআর
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানা সদরে মাথাভাঙ্গা নদীতে মায়ের সাথে গোসল করতে গিয়ে রিয়া মনি (০৫) নামের এক শিশু ডুবে মারা গেছে।
আজ ২৪ এপ্রিল বুধবার বেলা ৩টার দিকে দর্শনা জয়নগর গ্রামে মাথাভাঙ্গা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার বিকাল ৩টার দিকে দর্শনা জয়নগর গ্রামের কেচমত আলীর কন্যা শিশু রিয়ামনি মায়ের সাথে নদীতে গোসল করতে যাবে বলে বায়না ধরে। পরে তার মা জয়নগর গ্রামস্থ মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে নিয়ে যায়। গোসল করার সময় মায়ের অসাবধানতাবশত শিশু রিয়া পানিতে ডুবে যায়। পরে মা পানির নিচে ডুবে যাওয়া শিশু কন্যাকে খুঁজতে থাকে। এসময় মায়ের চিৎকার চেচামেচি শুনে আশপাশের লোকজন এসে বেশ কিছু সময় খোঁজাখুঁজির পর পানির নিচ থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে শিশু রিয়ার মৃত্যু হয়।
দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
এফএস
সিঙ্গাপুরে নির্মাণ কাজ করার সময় রড চাপা পড়ে রাকিব হোসেন (২২) নামে এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। রাকিব বেনাপোল পোর্ট থানার ঘিবা গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ৩ এপ্রিল সিঙ্গাপুরে একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত রডের বান্ডিলের নীচে চাপা পড়ে মারাত্মক আহত হয় রাকিব। এরপর দীর্ঘ ১৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে সে মারা যায়। এ খবর নিশ্চিত করেছেন নিহত রাকিবের চাচা মিলন হোসেন।
তিনি জানান, গত ৩ এপ্রিল রাকিব কনস্ট্রাকশনের কাজ করার সময় রড চাপায় গুরুতর আহত হয়। দুর্ঘটনার পরই তাকে রডের নিচ থেকে উদ্ধার করে সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের উদ্ধারকারীরা হাসপাতালে ভর্তি করে।
নিহত রাকিবের বাবা মমিনুর রহমান জানান, এক বছর হলো রাকিব সিঙ্গাপুর গিয়েছে। সে সিঙ্গাপুরে কনস্ট্রাকশনের কাজ করতো। গত ৩ এপ্রিল প্রতিদিনের মতো সে কাজে যায়। এক পর্যায়ে ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে ভবনের উপরে তোলার সময় তার ছিড়ে রডের নিচে সে চাপা পড়ে। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের উদ্ধারকারীরা এবং সহকর্মীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ২০ এপ্রিল রাত ১১ টার দিকে সে মৃত্যুবরণ করে।
বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ বলেন, সিঙ্গাপুরে নিহত রাকিব আমার ইউনিয়নের ঘিবা গ্রামের বাসিন্দা। তার পরিবারের মাধ্যমে জেনেছি সে সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় মারা গেছে। এখন তার মৃতদেহ কিভাবে দেশে আনা যায়। তার চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।
এফএস
যশোরের বাঘারপাড়ায় তথ্য পেতে আবেদনকারীকে ২০ হাজার টাকা পরিশোধের চিঠি দিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস। ব্যাংক চালানের মাধ্যমে ওই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে চিঠিতে। গত ২০ মার্চ তথ্য অধিকার আইনে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন শালবরাট গ্রামের শান্ত দেবনাথ।
মঙ্গলবার কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ের এক কর্মচারীর মাধ্যমে তথ্যের মূল্য পরিশোধের চিঠি পেয়েছেন তিনি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তরুণ রায় চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। অথচ মূল্য পরিশোধের কথা বলা হলেও চাহিদা অনুযায়ী তথ্য প্রস্তুত করা হয়নি।
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর ৮ ধারার (৪) উপ-ধারা(১) এ বলা হয়েছে, তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অনুরোধকারীকে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে তথ্যের জন্য নির্ধারিত ও যুক্তিসংগত মূল্য পরিশোধ করতে হবে। বিধি-৮ এ বলা হয়েছে, লিখিত কোনো ডকুমেন্টের কপি সরবরাহের জন্য (ম্যাপ, নকশা, ছবি, কম্পিউটার প্রিন্টসহ) এ-৪ ও এ-৩ মাপের কাগজের ক্ষেত্রে প্রতি পৃষ্ঠা দুই টাকা হারে এবং তদুর্ধ সাইজের কাগজের ক্ষেত্রে তথ্য প্রাপ্তির অনুরোধ ফি বা তথ্যের মূল্য পরিশোধযোগ্য হবে।
গত ১৮ এপ্রিল স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আপনি গত ২০ মার্চ তথ্য প্রাপ্তির জন্য অত্র দপ্তরে আবেদন করেন। সব তথ্য প্রস্তুতের জন্য সময় প্রয়োজন। তথ্য প্রস্তুত সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে তথ্য দেয়া হবে। তথ্য প্রাপ্তির জন্য আপনি তথ্য অধিকার আইনের ৮(৪) ধারা মোতাবেক ২০ হাজার টাকা সরকারি চালানে জমাদান করে অত্র দপ্তর থেকে আবেদনকৃত তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।
শান্ত দেবনাথ জানান, বাঘারপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে তথ্য অধিকার আইনের ‘ক’ ফরমে বিভিন্ন তথ্য চেয়ে গত ১৮ মার্চ আবেদন করেছিলাম। আবেদনপত্রটি ডাক বিভাগের মাধ্যমে প্রেরণ করি।
আবেদনপত্রে বাঘারপাড়া উপজেলায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর খরিপ-১, খরিপ-২ এবং রবি মৌসুম কোন কোন প্রকল্পের আওতায় কী কী ফসলের প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে, প্রকল্পগুলোর নাম, প্রদর্শনীতে দেয়া ফসলের নাম, ফসল অনুসারে প্রদর্শনীর জন্য বরাদ্দ বীজ, সার ও নগদ টাকার পরিমাণ (খাতওয়ারী), কৃষক প্রতি প্রশিক্ষণ ভাতা ও নাস্তার টাকার পরিমাণ, প্রদর্শনী পাওয়া কৃষকের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর; উপজেলায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর খরিপ-১, খরিপ-২ এবং রবি মৌসুম কোন কোন প্রকল্পের আওতায় কী কী ফসলের প্রদর্শনীর মাঠ দিবস পালন করা হয়েছে, প্রতিটি মাঠ দিবসে বরাদ্দ টাকার টাকার পরিমাণ(খাত ওয়ারী), মাঠ দিবসে অংশগ্রহণকারী কৃষকের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর এবং উপজেলায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কোন মাঠে বোরো হাইব্রিড ধানের ‘সমলয়’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, কতো বিঘা জমিতে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, প্রকল্প বরাদ্দের পরিমাণ, প্রকল্প সুনির্দিষ্টভাব আলাদাভাবে খাত ওয়ারী বরাদ্দের পরিমাণ, সুফলভাগী কৃষকের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর চাওয়া হয়।
তথ্য প্রাপ্তির আবেদনকারী শান্ত দেবনাথ বলেন, চিঠি পেয়ে অবাক হয়েছি। তথ্য না দেয়ার জন্য এই চিঠি দেয়া হয়েছে। আমি আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করবো।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তরুণ রায় সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বর্তমানে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন। তথ্য প্রাপ্তির আবেদনটি সেই সময়ে করা। আমি কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি। তার নির্দেশনা অনুযায়ী, তথ্য প্রাপ্তির অনুরোধকারীকে চিঠি দেয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে আমি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছি মাত্র। বিষয়টি নিয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলবো।
এমআর
সাতক্ষীরা থেকে যশোরে এনে প্রেমিকা মিতুকে (২৫) শ্বাসরোধে হত্যা করেছে প্রেমিক মৃণময়। মঙ্গলবার রাতের কোন এক সময় এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের মঠবাড়ির বুকভরা বাওড়ের বেড়িবাঁধ থেকে পুলিশ তার লাশটি উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ প্রেমিক মৃণময়কে আটক করেছে। তিনি চান্দুটিয়া গ্রামের মদন কুমারের ছেলে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন একটি ধান ক্ষেতের পাশে ওই নারীর লাশ পড়ে ছিলো। তার পরণে নতুন শাড়ি ও হাতে শাখা ছিলো। পরে তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওই নারীর লাশের পাশে দুটি মোবাইল ফোন পড়ে ছিলো। তাকে হত্যার পর ফোন দুটি ভেঙে রাখা হয়। পিবিআই সদস্যরা আরও জানান, ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে তার প্রকৃত নাম পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ডিবির এসআই খান মাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, মিতু এক সময় মুসলমান ধর্মের ছিলন। বাড়ি সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায়। আগে তার নাম ছিলো খাদিজা। পরে তিনি হিন্দু ধর্মগ্রহণ করেন। খাদিজা থেকে হয়ে যান মিতু।
এস আই মাইদুল ইসলাম আরও জানান, চান্দুটিয়ার মৃণময় পাটকেলঘাটায় থাকেন। মিতুর সাথে মৃণময়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনি প্রেমিকাকে নিয়ে যশোরে ঘুরতে আসেন। এরপর তার বাড়ির পাশের গ্রাম মঠবাড়ি বুকভরা বাওড়ের বেড়িবাঁধে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়। মৃণময়কে নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
দেয়াড়া মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান জানান, ওই নারীকে হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে চান্দুটিয়া গ্রামের মৃণময় নামে একজনকে আটক করেছে ডিবি। প্রেম করে ফুসলিয়ে নিয়ে এসে হত্যা করার ঘটনাটি দুঃখজনক।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।
এআই /বিল্লাল হোসেন
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে শিজকছড়া-উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ৯০ ডিগ্রি টিলা এলাকায় ডাম্প ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছয় শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আটজন।
সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার। তিনি বলেন, সাজেকের দুর্গম এলাকায় ডাম্প ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা সবাই শ্রমিক।
সেনাবাহিনীরা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে। পরে তাদের খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাজেক থানার সার্কেল অফিসার ও রাঙ্গামাটির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল চৌধুরীর বলেন, সীমান্ত সড়কের কাজ শেষে ডাম্প ট্রাকে করে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের ১০০ ফুট গভীরে পড়ে ট্রাকটি দুমড়ে-মুছড়ে যায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এফএস
লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা সামছুল হক সামছু'র ভয়ে আতংকিত এলাকাবাসী। তার বিরুদ্ধে জমি দখল, শালিশ বানিজ্য, মামলা ও পুলিশ দিয়ে হয়রানি সহ রয়েছে নানান অভিযোগ। দলের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছেন তিনি।
সামছুল হক সামছু লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কুশাখালী ইউনিয়নের কল্যানপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, সামছুল হক সামছু সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান কামালের সান্নিধ্যে গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা বনে যান। সেটাকে পুঁজি করে নিজ এলাকায় প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। অসহায় মানুষের জমি দখল, মামলা দিয়ে হয়রানি, শালিশ বানিজ্যে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তার ভয়ে এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করতে পারে না। প্রতিবাদ করতে গেলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে পুলিশি হয়রানির অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি কল্যানপুর গ্রামের সুলতান মেম্বার বাড়ির সৈয়দ আহমেদের দখলকৃত সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে নিজের নামের রেকর্ড করে নেয় সামছু। বিষয়টি জানতে পেরে রেকর্ড বাতিলের আবেদন করে সৈয়দ আহমেদ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সামছু বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিতে থাকেন। গত ১১এপ্রিল ঈদের নামাজ শেষে পুরাতন দাসেরহাট এলাকায় সামছুর নেতৃত্ব সৈয়দ আহমেদের মেয়ের জামাই মোঃ পারভেজের উপর হামলা করে সুমন, বাদল, রাতেন, জামাল, শাহাদাত, সাদ্দাম, মুক্তাসিম। পরবর্তীতে পুলিশ এনে এলাকায় আংতক তৈরি করে সে। রাতে আবার দলবল নিয়ে সৈয়দ আহমেদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় সৈয়দ আহমেদের ছেলে নোমানকে পিছিয়ে আহত করে।
এ ঘটনায় ২০এপ্রিল সকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমন্বয় একটি বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু বৈঠকের আগেই সামছু পুলিশ পাঠিয়ে লোকজনকে সরিয়ে দেয়। এতে বিচার থেকে বঞ্চিত হয় পারভেজ ও তার পরিবার।
পারভেজ অভিযোগ করে বলেন, আমার শশুরের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করায় সামছু আমার উপর হামলা চালায়। এঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব নিয়ে বিষয়টির সমাধানের আশ্বাস দেন। কিন্তু ২০এপ্রিল বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও সকালে পুলিশ এসে এলাকায় অবস্থান নেয় এবং আমাদের পক্ষের লেকজনকে চলে যেতে বলে। এছাড়া শালিশদাররাও আসেন নি।
সৈয়দ আহমেদ বলেন, আমরা পাকিস্তান আমল থেকে যে জমিতে বসবাস করছি সে জমি সামছু অবৈধভাবে রেকর্ড করেছে। আমরা রেকর্ড বাতিলের আবেদন করি। এতেই সামছু আমাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি সহ হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার চাই।
স্থানীয়রা বলেন, সামছু আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। তার ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। কিছু বললে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে।অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা শামছুল হক সামছু' মুঠোফোনে বলেন, হামলার বিষয়টি ভন্ন। আমি আমার অবস্থানে সঠিক আছি। তাদের কোন সঠিক দলিলপত্র নেই।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, এ ঘটনা নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। তাই বৈঠকটি দাসেরহাট পুলিশ ফাঁড়িতে করার জন্য বলেছি এবং ফাঁড়ির ইনচার্জকে দায়িত্ব দিয়েছি বিষয়টি সমাধান করার জন্য।
এমআর
কক্সবাজারের-টেকনাফে সাগরে মাছ শিকারী জেলেদের জালে আটকা পড়েছে ৪ শত কেজি ওজনের (পাখি) বা তলোয়ার নামক বিরল প্রজাতির একটি মাছ।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে টেকনাফের উপকুলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়া শামলাপুর পুরানপাড়া ফিশিং ঘাটে মাছটিকে এক নজর দেখার জন্য স্থানীয়রা ভিড় জমায়। এরপর জেলেদের কাছ থেকে ধলা মিয়া নামে এক এক মাছ ব্যবসায়ী নগদ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে মাছটি ক্রয় করে নেন।
জেলেরা স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন,বুধবার মাছটি গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেদের জালে এই বিরল প্রজাতির মাছটি ধরা পড়ে। মাঝে মধ্যে হরেক রকমের প্রজাতির মাছ ধরা পড়লেও এই প্রথম বিশাল আকারের এই মাছটি তাদের জালে আটকা পড়েছে।
এবিষয়ে মাছটির ক্রেতা ধলা মিয়া সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, বুধবার সকালে স্থানীয় জেলে আবু তৈয়বের জালে মাছটি ধরা পড়ে। ৮০ হাজার টাকা দিয়ে মাছটি ক্রয় করেছি। মাছটি ২৫ ফুট লম্বা,ওজন প্রায় ৪শত কেজি হবে। মাছটি খেতে খুবেই সুস্বাদু।
মাছটিকে কেটে প্যাকেটজাত করার পর শহরের বাজার গুলোতে বিক্রি করা হবে বলেও জানান তিনি।
মাছটির বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, মাছটির ঠোঁটের অংশটি দেখতে তলোয়ার আকৃতির তাই স্থানীয়রা মাছটিকে তলোয়ার মাছ বলে। ইংরেজিতে এর নাম দেওয়া হয়েছে‘সোর্ড ফিশ।
দেশের বিভিন্ন স্থানে এই মাছটিকে পাখি মাছও বলে। বাইরের কিছু কিছু দেশে এই মাছটি ব্রডবিল ফিস নামে পরিচিত। গভীর সাগর গুলোতে বিচরণ করা মাছ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগামী মাছ হিসেবে পরিচিত। এই মাছটি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৯৭ কিলোমিটার গতিবেগে চলাচল করতে পারে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এফএস
দেশব্যাপী তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে জনজীবন। বৃষ্টি প্রার্থনায় ফেনীতে সালাতুল ইসতিসকা (বিশেষ নামাজ) আদায় শেষে মোনাজাতে অঝোরে কাঁদলেন শতশত মুসল্লীরা।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ফেনী আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে শহরের বিভিন্ন এলাকার শতশত মুসল্লি অংশ নেন। উক্ত নামাজের জামাতে ইমামতি করেছেন ওই মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান।
নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট রহমত কামনা করে দোয়া করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে মোনাজাত করে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
নামাজে আগত মুসল্লিরা বলেন, তীব্র খরতাপে সাধারণ মানুষ খুব কষ্টে দিন পার করছে। গরমের তীব্রতায় ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি নেই। সেজন্য আল্লাহর রহমতের আশায় নামাজ আদায় করে বৃষ্টি প্রার্থনা করতে সকলে সমবেত হয়েছি।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফেনী জেলা জামায়াত ইসলামির উদ্যোগে আয়োজিত এ নামাজ পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দলটির জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান বলেন, টানা দাবদাহে মানুষ খুব কষ্টে আছে। আল্লাহ বৃষ্টির জন্য সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। সেজন্যই সবাই একত্রিত হয়ে সালাতুল ইসতিসকা আদায় করেছি।
এমআর
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের বেতুয়া বাজার সেতু এলাকায় মাতামুহুরী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে দুই তরুণ নিখোঁজ হয়েছেন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিখোঁজ তরুণেরা হলেন- পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের কালা গাজী সিকদারপাড়ার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মনছুর আলম (২১) ও সিকান্দারপাড়ার আবদুস সালামের ছেলে মো. মুবিন (১৮)।
স্থানীয় লোকজন জানান, বুধবার সকাল ৯টার দিকে বেতুয়া বাজার সেতু এলাকায় কয়েক যুবক মাতামুহুরী নদীতে মাছ ধরতে নামেন। এ সময় নদীর একটি নির্দিষ্ট জায়গায় এসে তলিয়ে যান দুই তরুণ। এর পর থেকে স্থানীয় লোকজন তাঁদের খোঁজে নদীতে নামেন। বেলা ১১টা থেকে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও তাঁদের খোঁজে নদীতে তল্লাশি চালানো শুরু করেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফারহানা আফরিন বলেন, সকাল ৯টার দিকে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন মনছুর ও মুবিন। এলাকার লোকজনের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাঁদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এমআর
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর সাফ বলে দিয়েছেন, একজন সংসদ সদস্য তার নির্বাচনী এলাকায় অবশ্যই যেতে পারবেন। তবে কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। তিনি বলেন, ভোটের দিন স্থানীয় সংসদ সদস্যরা কেন্দ্রে গিয়ে অবশ্যই তার ভোট দিতে পারবেন। কিন্তু কোনো প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে যেতে পারবেন না।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে টাঙ্গাইল জেলার তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি বলেন, যে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে- সেখানে যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে অথবা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকে, তাহলে সেখানে যে প্রিজাইডিং অফিসার আছেন, তিনিই নির্বাচন বন্ধ করতে পারবেন। তিনি যদি কোনো কারণে বন্ধ করতে না পারেন অথবা কারো সঙ্গে তার আঁতাত হয়ে যায় যে বন্ধ করবেন না- সেক্ষেত্রে আমাদের যারা রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার থাকবেন, তারাই নির্বাচন বন্ধ করতে পারবেন। আর এমন যদি হয়, উপজেলা নির্বাচনের কোনো কেন্দ্রেই নির্বাচন সুষ্ঠু করা যাচ্ছে না- তাহলে পুরো নির্বাচনটাই বন্ধ করে দিতে পারবে নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, যদি কোনো প্রার্থী বা তার সমর্থক অন্য কোনো প্রার্থী বা সমর্থককে আক্রমণ করেন, আগুন জ্বালিয়ে দেন বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেন। যেগুলোকে ফৌজদারি অপরাধ বলে- সে বিষয়ে শাস্তি আরও কঠিন হবে। এক্ষেত্রে নির্বাচনী আচরণবিধি যথেষ্ট না, আরও নির্বাচনী আইন আছে। সেই আইনের অধীনে ফৌজদারি অপরাধগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের অফিসার এবং পুলিশও মামলা করতে পারবেন। আমাদের অনুমতির প্রয়োজন হবে না। ইসি আলমগীর বলেন, এ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাই থাকবে- শুধু সেনাবাহিনী থাকবে না। সেনাবাহিনী শুধু জাতীয় নির্বাচনে রাখা হয়। জাতীয় নির্বাচন সারা দেশে একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়। সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কম থাকে সেজন্য সেনা মোতায়েন করা হয়।
উপজেলা নির্বাচন কয়েকটি ধাপে হবে। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এ নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরি সদস্য আমরা অনুমোদন দিয়েছি। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম। এসময় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমানসহ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এমআর
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে হিটস্ট্রোকে অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল এগারোটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
ওই শিক্ষকের নাম মো. নুর ইসলাম (৭৫)। তাঁর বাড়ি গোয়ালন্দ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে। তিনি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন।
নিহতের পরিবারের বরাতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারসিম তারান্নুম হক বলেন, সকাল ১০টার দিকে প্রচন্ড গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে প্রথমে তাঁর মাথায় পানি ঢালেন। পরে তাঁকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ডা. ফারসিম তারান্নুম হক আরও বলেন, পচাত্তর বছর বয়সি একজন রোগি আসেন। সে দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। আমাদের এখানে আসার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আমাদের ধারণা হিট স্ট্রোকের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এআই
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার সময় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ নুরুল আলমের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা, ভাইস চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা।
এসময় বর্তমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন বক্তারা। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়।
এআইটাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মাদকাসক্ত ছেলের ধাক্কায় তপন সাহা (৫৫) নামে এক ব্যাবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার হামিদপুর সাহাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তপন সাহা ওই গ্রামের মৃত অনুদাস সাহার ছেলে। তিনি হামিদপুর বাজারের একজন মুদি ব্যাবসায়ী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, নিহতের ছেলে তন্ময় সাহা(২৫) একজন চিহ্নিত মাদকসেবি। মঙ্গলবার দুপুরে তার বাবা দোকান থেকে বাসায় আসে। এ সময় মাদক সেবনের জন্য বাবাকে চাপ দেয় ছেলে তন্ময়। বাবা টাকা দিতে গড়িমসি করলে সে তার বাবাকে কিলঘুসি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে তার বাবা ঘরের মেঝেতেই লুটিয়ে পড়ে সাথে সাথেই মারা যান।
তবে তার পরিবার বলছে, তিনি আগে থেকেই অসুস্থ ও হার্টের রোগী ছিলেন। তবে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একটি মহল অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া( পিপিএম) জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ করা হয়নি।
এআই
টাঙ্গাইল-বাসাইল সড়কে নথখোলা ব্রিজের কাছে একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে পানির গিজারের ভেতর অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৪৯ কেজি গাঁজাসহ চার বিক্রেতাকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব-১৪)।
মঙ্গলবার(২৩ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব-১৪ প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আটককৃতরা হচ্ছেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার কালাচরা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে মো. ডালিম (৩০), একই গ্রামের মো. মিয়া চাঁনের ছেলে মো. নাঈম(২৩), একই উপজেলার সেজামুড়া গ্রামের মো. তোতা মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম(২৬) এবং প্রাইভেটকার চালক কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের রশিদাবাদ গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে হৃদয় মিয়া(২৪)।
র্যাব-১৪ প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল বাছেদের নেতৃত্বে র্যাবের একটি চৌকষ দল গোপণে খবর পেয়ে সোমবার দিনগত রাত ৭টার দিকে বাসাইল উপজেলার নথখোলা আঞ্চলিক সড়কে অভিযান চালায়। অভিযানকালে একটি প্রাইভেটকার(নং- ঢাকা মেট্রো-গ ৩১-০২০১) তল্লাশি করে অভিনব কায়দায় পানির গিজারের ভেতর লুকিয়ে রাখা ৪৯ কেজি গাঁজা, ৪টি পানির গিজার, ১০টি প্লাস্টিকের পাইপ, চারটি মোবাইল ও নগদ এক হাজার তিনশ’ টাকা সহ উল্লেখিত চার যুবককে আটক করা হয়।
র্যাব-১৪ আরও জানায়, আটককৃতদের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের পূর্বক বাসাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এআই
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যথতত্র পড়ে আছে ডাবের খোসা, প্লাষ্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট, সিগারেটের প্যাকেট ও খাবারের পঁচা অবশিষ্টাংশ সহ অসংখ্য আবর্জনা। আর ডাষ্টবিনগুলোর চারপাশ ময়লায় সয়লাব।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে সারজমিনে গিয়ে দেখা যায় সৈকতের এক কিলোমিটার এলাকা এখন পরিনত হয়েছে ময়লা ভাগাড়ে। সৈকতের এসব ময়লা আবর্জনার দুর্ঘন্ধে একটু প্রশান্তি পেতে ছুটে আসা পর্যটকরা ফিরছেন তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে। সৈকতের সৌন্দর্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি পর্যটন ব্যবসায়ী সহ পর্যটকদের।
ফরিদপুরের নগরকান্দা থেকে আসা জনি আহম্মেদ জানান , সৈকতের পশ্চিম এবং পূর্ব দিকে যতদূর চোখ যায় শুধু ময়লা আবর্জনা। অনেক স্থানে খাবারের পঁচা অবশিষ্টাংশ পড়ে আছে। এসব খাবার থেকে দুর্ঘন্ধ ভেসে আসছে। তিন দিনে কুয়াকাটায় আছি। এই তিন দিনে কোন পরিচ্ছন্নতা কর্মী চোখে পড়েনি।
ঢাকার উত্তরা থেকে আসা আজাদ-শিরিনা দম্পতি জানান, সৈকতের চারদিকে নোংরা আবর্জনা। বিশেষ করে পূর্ব পাশের বেঞ্চির পিছনে ডাষ্টবিনগুলো অবস্থা একেবারে খাবার। চারপাশ ময়লায় সয়লাব। দুর্ঘন্ধে বেঞ্চে বসা দায় হয়ে পড়েছে। এর আগে এতো অপিরচ্ছন্ন ছিলোনা। আমরা অন্ততপক্ষে কুয়াকাটা সৈকতটুকু সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখার দাবি জানাচ্ছি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম জানান, আমরা অচিরেই বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির পক্ষ থেকে কিছু পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দেবো। বর্তমানে কুয়াকাটা পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা বীচের পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে। বিষয়টি মেয়রকে অবহিত করা হবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বীচ পরিচ্ছন্ন করা হবে।
এফএস
তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর জনজীবন। আজ জেলার কলাপাড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে। নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও কর্মজীবি মানুষ। একটু স্বস্তির আশায় অনেকেই আশ্রয় নিচ্ছেন গাছতলায়। ছুটছেন নদী তীরে। বেড়েছে ডাব, আখের রস, শরবত ও কাঁচা তালের চাহিদা।
প্রচন্ড খড়তাপে লোকসানে পড়েছেন বোরো ধান চাষী ও সবজি চাষীরা। আবাদির জমির অভ্যান্তরীন ছোটখাল-ডোবা-পুকুর শুকিয়ে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ফলে মৌসুমী সবজি চাষীদের খেতে দেখা পানি সংকট। পানির অভাবে আর রোড়ের তীব্রতায় গাছ মরে যাচ্ছে। এতে লোকসানের শংকায় পড়েছেন সবজি চাষীরা।
এদিকে সবজি খেতের এমন বেহাল দশায় বাজারে আমদানী কমেছে সবজির। ফলে বাজারে বেড়ে গেছে সবজির দাম।
কলাপড়ার নীলগজ্ঞের কৃষক জাকির বলেন, তীব্র রোদের তেজ থেকে আবাদি জমির ফসল রক্ষা করা এখন দরকার। এর উপড় দেখা দিয়েছে তীব্র পানির সংকট। নিরূপায় কৃষক। পুড়ে যাচ্ছে গাছ। ফলন কমে গেছে।
তীব্র তাপদহকে দু:সহনীয় করে তুলেছে বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিং। দিনে-রাতে বারবার বিদ্যুতের আসা-যাওয়া ও দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সকল বয়সী মানুষকে। পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় উল্ল্যেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক উপস্থিত থাকলেও তীব্রতাপদহে এসব পর্যটক হয়ে পড়েছেন হোটেল বন্দী। দর্শনীয় স্থানগুলোর কার্যত পর্যটক শূন্য।
মাদারীপুর থেকে পরিবার নিয়ে কুয়াকাটায় আসা পর্যটক সাবের আহমেদ জানান, তীব্র গরমে সী-বীচ বেশ উপ্তত্ত হয়ে আছে। জুতা পায়েও বীচে হাটা কস্টদায়ক। স্বন্ধ্যার পড়েও একই অবস্থা। তাই পরিবার নিয়ে হোটেলে অবস্থান করছি। হোটেল ফেন্ডস পার্ক ইনের ব্যবস্থাপক আল-আমিন বলেন, মোটামুটি ভাল পর্যটের উপস্থিতি রয়েছে। কিন্তু এসব পর্যটক হোটেল থেকে বের হয়ে দ্রুতই হোটেলে ফিরে আসছেন। গরমে তারা বাহিরে টিকতে পারছেননা।
জেলার সকল হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়াসহ গরম জনিত রোগীর সংখ্যা। গত (বুধবার) ২৪ ঘন্টায় জেলার ৮ উপজেলায় ১১০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৭৯ জন রোগী। কলাপাড়ায় জেলার বাউফল ও কলাপাড়া হাসপাতালে স্যালইনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। (২১ এপ্রিল) জেলার কলাপাড়া উপজেলায় সত্তার ফারাজী নামে একজন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তার মৃত্যু হয়। মৃত সত্তার ফরাজী উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের চর বালিয়াতলী গ্রামের বাসিন্দা।
কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক তানজিলা হাসির তৃষা জানান, সত্তার ফরাজীকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি ডায়রিয়া আক্রান্ত ছিলেন এবং তার কিডনি ড্যামেজ ছিলো। ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এই চিকিৎসক সকলকে তেল জাতীয় খাবার পরিহার, প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহির না হওয়া, বেশি বেশি পানি পান করা এবং পানি জাতীয় খাবার গ্রহনের পরামর্শ দিয়েছেন। পটুয়াখালীর বাউফলে হিটস্ট্রোকে মোহাম্মদ শাহ-আলম (৫০) খান নামের এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
২২শে এপ্রিল রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তিনি পুলিশের ঢাকা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) পুলিশ কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। মৃত শহআলম বাউফল পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন। শনিবার তিনি ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বাউফলে আসেন।
গতকাল রাত নয়টার দিকে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে অসুস্থ অবস্থায় তাকে বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আবহাওয়া আফিস সূত্র জানিয়ে, আপতত বৃস্টির কোন সম্ভাবনা নেই। এই তাপদাহ আরো কিছদিন অব্যাহত থাকবে।
এমআর
পটুয়াখালীর মহিপুরে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকার অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে। পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকার অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়- উপজেলার মহিপুর থানার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে শারমিন বেগমের গত ২১ এপ্রিল (রবিবার) রাতে সন্তান প্রসব বেদনা শুরু হলে পরিবারের লোকজন ওই প্রসূতিকে তাৎক্ষনিক নিকটস্থ মহিপুর কেয়ার মডেল হাসপাতালে নিয়ে যায়, এবং সেখানে গাইনী বিভাগে ডাঃ ফারহানা রহমান সুমী'র স্বরণাপন্ন হন, তিনি রোগীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তার ও তার গর্ভের সন্তানের অবস্থা সংকটপন্ন দেখে তাকে কলাপাড়া উপজেলা কমপ্লেক্সে রেফার করেন, এবং সেখানে ভর্তি থেকে রোগীকে সিজারের পরামর্শ দেন।
স্বজন সূত্রে আরও জানা যায়, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা নূরজাহান বেগম প্রসূতি শারমিনের বাচ্চা নরমালে প্রসবের কথা বলে ৫ হাজার দর কষলে পরে ৩ হাজার টাকায় রাজি হন। দীর্ঘ ৫ ঘন্টা নরমালে বাচ্চা প্রসবের চেষ্টা করে সে ব্যর্থ হলে প্রসূতির পরিবারের লোকজন প্রসূতিকে সিজারে নিতে চাইলে তিনি প্রসূতি নরমাল ভেলিভারীর জন্য শারমিনকে মারধর করেন বলে ভুক্তভোগীর পরিবারে অভিযোগ রয়েছে। পরবর্তীতে রাত ১২ টার দিকে তাহার ভুল ও অনভিজ্ঞ প্রচেষ্টার কারণে একটি মৃত্যু মেয়ে সন্তান প্রসব হয়। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের ফলে প্রসূতি এখন মৃত্যু পথযাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা নূরজাহান বেগম একই স্থানে দীর্ঘ ২৮ বছর থেকে বীরত্বের আরও বহু এরকম ঘটনা ঘটিয়েছেন।
এ বিষয়ে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকা নুরজাহান বলেন, গর্ভ থেকে মৃত বাচ্চা প্রসব হয়েছে। প্রত্যেকটা প্রসবই আমি একটি ফি নিয়ে থাকি। সেই অনুপাতে তাদের সাথে তিন হাজার টাকা চুক্তিতে কাজ করেছি।
ডাক্তার ফারজানা রহমান সুমি বলেন, গতকাল বিকেলে রোগী আমার কাছে আসলে আমি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ক্রিটিকাল মোমেন্ট দেখতে পাই। আমি তাদের কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে সিজারের পরামর্শ দিয়েছি।
ফ্যামিলি প্লানিং মেডিকেল অফিসার মোঃ মেহেদী হাসান রনি বলেন, রোগী অবস্থা ক্রিটিকাল হলে সে আমাদের অবগত করবে, সে যেটা করেছে এটা চরম অপরাধ, বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমআর
পিরোজপুরের প্রতিপক্ষের হামলায় সৈয়দ রাসেল (২৪) নামর এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২টার দিকে খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় ।
নিহত রাসেল পিরোজপুর পৌরসভার মুক্তারকাঠী গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে ও পিরোজপুর সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এর আগে ওই দিন দুপুরে উপজেলার কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বসে তার উপর প্রতিপক্ষ হামলা চালালে তিনি গুরুতর আহত হন।
ওই হত্যার বিচারের দাবীতে বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে তার সহপাঠীরা পিরোজপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ওই যুবক জেলার সদর উপজেলার কদমতলা গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের সাথে মারামারির একটি ঘটান নিয়ে বিরোধ চলছিলো। ওই রিয়াজুলের উপর হামলায় নিহত রাসেল ও তার বন্ধুরা সম্পৃক্ত ছিলো। এনিয়ে বিরোধের জেরে গত মঙ্গলবার দুপুরে রাসেল কদমতলা থেকে পিরোজপুরে যাওয়ার কালে রিয়াজুল তার লোকজন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে রাসেলের উপর হামলা করে এতে রাসেল গুরুতর আহত হন তাকে প্রথমে পিরোজপুর সদর হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা সিটি হাসপাতালে প্রেরন করা হয় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বজনদের দাবী, নিহত রাসেল ওই দিন দুপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম বায়েজিদ হোসেনর সাথে দেখা করতে তার বাড়িতে যান। সেখানে থেকে ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা কিছু যুবক তার উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। তিনি খুলনা চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি কখনো কোন অন্যায়ের সাথে জড়িত ছিলো না। তাকে অন্যায় ভাবে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা কার হয়েছে।
পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এআই
বরগুনার তালতলীতে পুকুর খননের সময় হিট স্ট্রোকে মো. নয়া মিয়া ফকির (৫০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বপলা ১১টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শ্রমিক নয়া মো. মিয়া ফকির একই গ্রামের আমির আলী ফকিরের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামের হাসান মিয়ার বাড়িতে পুকুর খননের কাজ করতে যান মো. নয়া মিয়া ফকির। তিনি পুকুর খননের সময় হিড স্ট্রোক করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই সোবাহান ফকির বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে পুকুর খননের কাজ করতে গিয়ে হিট স্ট্রোক করেন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হিড স্ট্রোকে মারা গেছেন বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বরগুনার আমতলীতে অজিতুন নেছা (৬০) নামে এক নারীর হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে।
এআই
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় আব্দুস ছালাম তালুকদার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মরদহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যা করে মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের উত্তর চারিগাঁও পাড়া গ্রামে একটি গাছ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আব্দুস ছালাম পাশ্ববর্তী উপজেলা পূর্বধলার জারিয়া গ্রামের মৃত ওহয়ােদ আলী তালুকদারের ছেলে। তবে তিনি বাকলজোড়া ইউনিয়নের উত্তর চারিগাঁও পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
স্থানীয় লোকজন ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাড়ির জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে গত কয়েকদিন আগেও দুইপক্ষের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে গতকাল প্রতিপক্ষের লোকজন ছালামের বিভিন্ন গাছ কেটে ফেলে ও তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর আজ ভোরে নামাজ পড়ে বাসায় আর ফিরেনি ছালাম। পরিবারের লোকজন খোঁজাখোঁজি করে একপর্যায়ে সকালে বাড়ির পাশেই জংগলের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় তাঁরা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত বৃদ্ধের ছেলে মোশারফ মিয়া বলেন, কাল থেকে আমার আব্বা ঘরো বন্দি। হাকিম, মাওলা, আইনল, কালাম, সাকিবরা মাইরা ফেলবো ভয়ে নামাজে যেতে পারে না আব্বা। কাইল রাতে আরেক বাড়িত রইছে। সকালে নামাজ পইরা আইছে না আব্বা। আব্বারে খুঁইজা পাইনা পরে গিয়ে দেহি আব্বা ঝুইলা আছে গাছে। মাইরা ফালছে ওরা আমার আব্বারে।"
এব্যাপারে দুর্গাপুর সার্কেলের এএসপি মোঃ আক্কাস আলী স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ওই বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এআইনেত্রকোনায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের আয়োজনে আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস উপলক্ষে র্যালি, আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক জনাব শাহেদ পারভেজ, নেত্রকোনা জেলা সহকারী পুলিশ সুপার জনাব শিবলি সাদিক,পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা জনাব নজরুল ইসলাম খান, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জনাব আবু সাঈদ, রাজুরবাজার কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা, শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি জনাব বজলুর রহমান, ট্রাফিক ইন্সপেকটর জহিরুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা নূরুল আমিন, জেলা সিভিল সার্জন, বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী জনাব মো.অহিদুর রহমান, অক্সিজেন যুবসংগঠনের প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও অটো সিএনজি মালিক সমিতির প্রতিনিধিসহ ১০০ শতাধিক লোকজন ।
প্রতিবছর এপ্রিল মাসের শেষ বুধবার আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস পালন করা হয়। এ বছরের প্রতিপাদ্য: উচ্চস্বরে শব্দ ও সঙ্গীত শ্রবণশক্তি হ্রাসের বিপদ সংকেত। শব্দদূষণ নীরব ঘাতক নয়, শব্দদূষণ মানুষের জন্য সরব ঘাতক ও শব্দসন্ত্রান।
আন্তর্জাতিকভাবে ১৯৯৬ সাল থেকে এ দিবসটি উদযাপন শুরু হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুরুত্বের সাথে দিবসটি পালন করা হয়। আমাদের দেশে ২০০৩ সাল থেকে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। শব্দদূষণের ফলে মানুষের বহুমাত্রিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ হলো- মাথাব্যাথা, অনিদ্রা, কানে কম শোনা এবং আংশিক বা পুরোপুরি বধিরতা, কানের ভিতর ঝিঁঝিঁ শব্দ, শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার মনোযোগ কমে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে, মানসিক চাপ, হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ, ক্ষুধামান্দ্য, গ্যাস্টি্রক এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর জন্ম হওয়া।
আলোচনায় ট্রাফিক ইন্সপেকটর জহিরুল ইসলাম বলেন, ''আমরা সারাদিন শব্দের মাঝেই থাকি, আমাদের রাস্তার শব্দ দূষণে আামদের জীবনে শেষ''।
প্রধান অতিথির জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, আমরা যারা যানবাহন ব্যবহার করি,আতশবাজি করি, সারাশহরে মাইক ব্যবহার করে অনুষ্ঠান করি এগুলো প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হবে। আমরা মানুষ, আমার শব্দের কারণে অন্যের ক্ষতিহবে তা হতে পারেনা। আমাদের সচেতনতায় এগুলো কমিয়ে আনতে পারি। আগামী প্রজন্মকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। আসুন সকলে শব্দ দূষণ সম্পর্কে সচেতন হই, পরস্পরর্কে সচেতন করি, নিজেদের কানকে সুরক্ষা করি এবং নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করি। মানুষসহ সকল প্রাণের জন্য নিরাপদ আবাস গড়ে তোলার কাজে একজন অংশিদার হই।
এআইনেত্রকোনার মদনে ভেকু বহকারি ট্রাকের ধাক্কায় লেগে রকি মিয়া(২১) নামের এক ডেকোরেটর শ্রমিক নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ২টার দিকে মদন-খালিয়াজুরী সড়কে পৌরসভার মদন সাইনবোর্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তর জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহত রকি জেলার আটপাড়া উপজেলার বাউসা গ্রামের সোনা মিয়া ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রকি মদন উপজেলার রফিক নামক একটি ডেকোরেটর দোকানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। মঙ্গলবার রাতে ডেকোরেটর মালিক রফিক মিয়া মোটরসাইকেল কুলিয়াটি থেকে মদন নিয়ে আসছিল। পথে মদন-খালিয়াজুরী সড়কের মদন পৌরসভার সাইনবোর্ড এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ভেকু বহনকারী একটি ট্রাকের সাথে (লবেট) রকি বারি খায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক থাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মদন থানায় রাখা হয়। বুধবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে ঘাতক ট্রাক চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটকৃত ট্রাক চালকের নাম বিজয়।
মদন থানার ওসি তদন্ত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, মঙ্গলবার রাতে রকি নামে এক ব্যক্তি ট্রাক থাকা ভেকু সাথে বারি লেগে নিহত হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এআই
ময়মনসিংহে রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় ২ রিকশাযাত্রী মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে এক শিশু।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর বিদ্যাময়ী রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নাজমুল হক খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার পথে বিদ্যাময়ী রেলক্রসিং রেললাইনে উঠে পড়া রিকশাটিকে ট্রেন ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন মাারা যান। এ ঘটনায় আহত হয় এক শিশু।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে কাজ করছে। পরে আরও বিস্তারিত বলা যাবে।
এমআর
এক পা দু’পা করে স্বপ্নপূরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন শেরপুরের নারী ফুটবলার ভাবনা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্ট থেকে ওঠে আসা কিশোরী ভাবনা এখন নাম লিখিয়েছে দেশের নারী ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে।
বাংলাদেশ ওমেন্স ফুটবল লীগে জামালপুর কাচারীপাড়া ফুটবল একাদশের রেজিস্টার্ড খেয়োয়াড় হয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় রয়েছেন ভাবনা।শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পল্লীর বাসিন্দা এক ডেকোরেটর কর্মীর মেয়ে এই ভাবনা।
প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই তার ফুটবলে হাতেখড়ি। মেয়ে খেলাধুলায় আগ্রহী হওয়ায় তাকে বাধা দেননি তার বাবা-মা। পাড়া-প্রতিবেশীরা বাঁকা চোখে দেখলেও তাকে ভ্রুক্ষেপ করেননি। বরং তারা মেয়ে ভাবনার ভবিষ্যৎ ফুটবল ভাবনায় সবসময় সহযোগী হয়েছেন।
কয়েক বছর আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টে শেরপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে খেলার সময় ভাবনা নজর কাড়েন স্থানীয় ফুটবল অনুরাগীদের। মানিক ফুটবল একাডেমির প্রধান কোচ গোলাম শাহরিয়ার রবীন ভাবনাকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেন।
তাকে তার একাডেমিতে বিনা বেতনে প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেন। সেই থেকে শুরু আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রতিদিন অটোরিকশায় করে গ্রাম থেকে শেরপুর শহরে এসে স্টেডিয়ামে ছেলেদের সঙ্গে মানিক ফুটবল একাডেমিতে অনুশীলন ও কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকেন। তার অধ্যবসায় এবং অনুশীলন সবাইকে চমৎকৃত করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার খেলায় পরিপক্কতার ছাপ পরিলক্ষিত হয়।
মানিক ফুটবল একাডেমির কর্ণধার ও জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানিক দত্ত ভাবনার ফুটবল প্রতিাভায় মুগ্ধ হয়ে তাকে শেরপুর জেলা নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক নির্বাচিত করে তার বড় ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন সারথী হন। নানাভাবে অনুপ্রেরণা যোগাতে থাকেন।
মেয়ে বিভিন্ন জায়গাতে খেলতে যাওয়া এবং জেলা দলে সুযোগ পাওয়া, অধিনায়ক হওয়ায় বাবা-মার মনেও অন্যরকম ভালো লাগা অনুভূত হতে থাকে। তারা মেয়েকে ফুটবল খেলতে আরও উৎসাহিত করতে থাকেন। নিয়মিত একাডেমিতে পাঠান। ভাবনাও নিজেকে বড় ফুটবলার হিসেবে গড়ে তুলতে নতুন নতুন স্বপ্ন বুনতে থাকেন।
ভাবনা বলেন, বাংলাদেশ ওমেন্স ফুটবল লীগে দল পাওয়ায় আমি দারুণ খুশী। এটা দেশের নারী ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়। এটা আমার জন্য, নিজেকে প্রমাণ করার জন্য বড় সুযোগ। আমি মাঠে নামার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি। ক্লাব যদি আমাকে পর্যাপ্ত সময় মাঠে খেলায়, তাহলে নিজের সেরাটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, কোচ রবীন ভাইর (গোলাম শাহরিয়ার রবীন) অনুপ্রেরণা, সাহস জোগানো ও শাসনের জন্য আমি আমার স্বপ্ন পূরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। তার জন্যই আমার নারী ফুটবল লীগে খেলার সুযোগ হয়েছে। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
নিজের স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে ভাবনা জানায়, আমার স্বপ্ন একদিন জাতীয় নারী ফুটবল দলের হয়ে খেলার। আমাদের জেলার জ্যোতি আপা (নিগার সুলতানা জ্যোতি) বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। আমিও স্বপ্ন দেখি, তার মতো একদিন ফুটবলেও আমার দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার। আমি নিজেকে একজন বড় ফুটবলার হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা চাই।
ভাবনার বাবা বলেন, মাইনষে অনেকে অনেক কথা বলেছে, আমি কোনো কথায় কান দেই নাই। মেয়ে যখন ফুটবল খেলবার চায়, আমি তারে বাধা দেই নাই। যহন আমার মেয়েরে স্যারেরা খেলবার নেয়, তহন আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমি চাই মেয়ে আমার আরও আগাই যাক। ওর জন্য আমি সবার কাছে দোয়া চাই।
মানিক ফুটবল একাডেমির প্রধান কোচ গোলাম শাহরিয়ার রবীন বলেন, ভাবনা অনেক পরিশ্রমী, স্কিলফুল এবং স্বপ্নবাজ। পরিবারও তার পাশে থাকার কারণে ফুটবলকে ভালোবাসে ফুটবলার হিসেবে বেড়ে ওঠার পথ সুগম হয়েছে। ওমেন্স লীগে খেলার সুযাগ হওয়ায় ভাবনার ফুটবল জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের শুরু হতে যাচ্ছে। আমার বিশ্বাস সে ভালো করবে। তার জন্য শুভকামনা রইলো।
শেরপুর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানিক দত্ত বলেন, ভাবনা আমাদের শেরপুর জেলা নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক। সে এখন পেশাদার নারী ফুটবলে খেলতে যাচ্ছে, এটা আমাদের জন্য গর্বের। আমাদের জেলা থেকে সে-ই প্রথম দেশের শীর্ষ ফুটবল আসরে খেলার এমন সুযোগ পেয়েছে। তার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।
এমআর
চলমান প্রচণ্ড তাপ প্রবাহের কারণে অতিষ্ঠ জনজীবন। তীব্র দাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহ তায়ালার রহমতের বৃষ্টির কামনায় নীলফামারীতে ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ লাভের জন্য নামাজ শেষে দুই হাত তুলে কান্নাকাটিও করেন৷
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে নামাজে ইস্তিসকা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় নামাজের ইমামতি করেন টুপামারী ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মো. নূরে আলম সিদ্দিকী।
দুই রাকাত নামাজের আগে নসিবতপূর্ণ বক্তব্য দেয়া হয়৷ পরে দুই রাকাত নামাজে ইস্তিসকা আদায় করেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে আল্লাহতালার দরবারে দুই হাত তুলে মোনাজাতে চোখের পানি ঝরিয়ে কান্নাকাটি করেন তারা।
নামাজে অংশ নেয়া স্থানীয়রা জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখিসহ সবাই খুব কষ্টে আছে। এজন্য তারা বৃষ্টির আশায় নামাজ পড়েছেন।’
মাওলানা মো. নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘মানুষের সৃষ্ট কোন পাপের কারণে মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টি না হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবীদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করতেন। এজন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে তওবা করে ও ক্ষমা চেয়ে ২ রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।’
এআই
কুড়িগ্রামের উলিপুরে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইসতিসকার নামাজ ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৮টায় উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের মাঝবিল ঈদগাহ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মাও. মিনহাজুল ইসলামের ইমামতিতে নামাজে অংশ নেন উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মুসল্লীরা।
নামাজে অংশ নেওয়া আব্দুল আউয়াল, আক্কাছ আলী, মোজাফ্ফর আলীসহ কয়েকজন মুসল্লী জানান, টানা কয়েকদিনের প্রচণ্ড দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রখর রোদের কারনে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বাহিরে বের হতে পারছে না শ্রমজীবি মানুষেরা। বৃষ্টি না হওয়ায় ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ কারণে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত নামাজ আদায় ও বিশেষ দোয়া করা হয়।
নামাজের ইমাম চিলমারী রাজার ভিটা ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, 'প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। মূলত এটি সুন্নতি আমল। এ নামাজ ঈদের নামাজের মতো। নামাজ শেষে খুৎবা পাঠ করা হয়। তারপর আল্লাহ দরবারে বৃষ্টির জন্য দোয়া কামনা করা হয়।
এআইলালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি'র তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ (৬১ বিজিবি) প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ বিজিবি ক্যাম্পে ওই মাদকদ্রব্য ধ্বংকরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করে বিজিবি।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন সিমান্ত থেকে মালিকবিহীন মাদকদ্রব্য আটক করা ভারতীয় মদ-১৪৭৯ বোতল, মদ-৪৩৮ জুস প্যাকেট, লোকাল মদ-৪৬.৫০০লিটার, ইস্কাপ সিরাপ-১০৪৭ বোতল, গাঁজা-৭৫.২৫০ কেজি, ফেন্সিডিল-৪৫৯৭ বোতল, কডিসেফ সিরাপ-১১৬ বোতল, এ্যামোডিটাস সিরাপ-১২৬ বোতল, ইয়াবা ট্যাবলেট-৭৮০ পিস, ডি কফ সিরাপ-৫০ বোতল, সিগারেট-৩২৫পিস ও ভারতীয় ট্যাপেন্ডাডল ট্যাবলেট-৭৮০ পিস ধ্বংস করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য সাতান্ন লক্ষ আটাশি হাজার দুইশত পঞ্চাশ টাকা।
মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথীর বক্তব্যে রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দেশের সিমান্ত রক্ষার পাশাপাশি মাদক প্রতিরোধে রাত-দিন অভিযান পরিচালনা করে আসছে। তিনি আরও বলেন, মাদক নির্মুলে তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ সিমান্ত এলাকা গুলোতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক মাইকিং, সভা,সেমিনার, আলোচনা করে আসছে। মাদককে জিরো টলারেন্স আনতে হলে সকলকে সচেতন হতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মামুনুর রশিদ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গনমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এআই
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের দারিদ্র বিমোচন ঋণ কর্মসূচীর পরিবার ভিত্তিক ঋণ কার্যক্রমের প্রায় দেড় কোটি টাকা অনিয়ম করে আত্নসাতের চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে দফায় দফায় তদন্ত অনুষ্ঠিত হলেও এ অনিয়মের সাথে কে বা কাহারা জড়িত তা এখনো অজানাই রয়ে গেছে। ফলে আবারও ৫ সদস্য বিশিষ্ট অভ্যন্তরীণ অডিট টিম গঠন করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য অফিস আদেশ জারি হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের দারিদ্র বিমোচন ঋণ কর্মসূচীর পরিবারভিত্তিক ঋণ কার্যক্রমের আওতায় ৪৮০ কেন্দ্রে কয়েক কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। প্রথম প্রথম ভালো চললেও ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটির ঋণ কর্মসূচী মূখ থুবরে পরে। এই সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তারা কৌশলে বেশীর ভাগ কেন্দ্রে ভুয়া তালিকা প্রনয়ন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। কর্মচারীদের একাংশ বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও দুনীতিবাজদের ঘাটি শক্ত হওয়ায় তা চাপা পড়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন পর প্রতিষ্ঠানটির প্রায় দেড় কোটি টাকা অনিয়মের মাধ্যমে আত্নসাতের বিষয়টি অভিযোগ আকারে উত্থাপিত হয়।
গত ৩১ মার্চ ২০২৪ ইং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের দারিদ্র বিমোচন ঋণ কর্মসূচীর পরিচালক এ কে এম মফিজুল ইসলাম সাক্ষরিত একটি অফিস আদেশে নতুন করে ৫ সদস্য অডিট টিম গঠন করা হয়েছে। অফিস আদেশে বলা হয়েছে, পরিবারভিত্তিক ঋণ কার্যক্রমের দৈনিক আদায় রেজিষ্টারে গরমিল, ঋণের মাষ্টার রেজিষ্টারের পরিবর্তে ডুপ্লিকেট রেজিষ্টার তৈরি করণ, ঋণীগ্রহীতাদের ব্যক্তিগত ঋণের আবেদন নথি না থাকা সহ ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। প্রধান কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, উপজেলাটির পরিবারভিত্তিক কর্মসূচিতে ১ কোটি ২৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা খেলাপী রয়েছে।
সরেজমিনে ৪৬৭ নং কেন্দ্রে গিয়ে জানা যায়, কেন্দ্রটিতে প্রথম দফায় ৪৫ জন সদস্যের জনপ্রতি ৭ হাজার টাকা করে ঋণ অনুমোদিত হলেও ১১/০৭/২০০৫ তারিখে ঋণের চেক প্রদান করা হয় ৩০ জনকে। অন্যদিকে একই স্মারক ব্যবহার করে অপর একটি ৪৬৭ নং কেন্দ্র গঠন করে ৪৫ জন সদস্যের নামে জনপ্রতি আবারও ৭ হাজার টাকা করে ঋণ বিতরণ দেখানো হয়। এরপর ২৮/০৫/২০২৪ ইং তারিখ দ্বিতীয দফায় একই স্মারক ব্যবহার করে দুইটি কেন্দ্রের একটিতে ৪৫ জন এবং অপরটিতে ৩২ জন সদস্যের মাঝে জনপ্রতি ৮ হাজার টাকার চেক বিতরণ দেখানো হয়। যাহা ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র প্রধানসহ অন্যান্য সদস্যরা কিছুই জানেন না। চার দফায় ওই কেন্দ্রটি থেকে ওই অসাধু চক্রটি ১২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা উত্তোলন করলেও ৩০ জন সদস্য শুধুমাত্র এক দফায় জনপ্রতি ৭ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ ১০ হাজার টাকা ঋণ প্রাপ্ত হন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সদস্য জানান, প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে নামে বেনামে ঋণ অনুমোদন করে চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বর্তমানে যার পরিমান দাড়িয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা।
৪৬৭ নং কেন্দ্রের কেন্দ্র প্রধান মজিবর রহমান বলেন, আমিসহ আমার কেন্দ্রের ৩০ জন সদস্য গ্রুপ এ্যানিমেটর সেহাব স্যারের মাধ্যমে একবার জনপ্রতি ৭ হাজার টাকা করে ঋণ উত্তোলন করি। পরবর্তীতে আমরা আর কোন ঋণ গ্রহন করি নাই। সদস্যরা তাদের ঋণের টাকা যথা সময়ে পরিশোধ করেছেন।
এ বিষয়ে তৎকালীন গ্রুপ এ্যানিমেটর সেহাব উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে তৎকালীন অপর এক গ্রুপ এ্যানিমেটর ও বর্তমানে রাজারহাট উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল আনোয়ারী জানান, আমি সে সময় চন্দ্রখানা শাখায় কর্মরত ছিলাম। এবিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রধান কার্যালয় থেকে তদন্ত টিম গঠন হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ললিত মোহন রায় জানান, ডুপ্লিকেট রেজিষ্টার তৈরী করে ঋণ উত্তোলনের ঘটনাটি আমিও শুনেছি। এখন প্রধান কার্যালয় থেকে তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এক দফা অডিট টিম তদন্ত করেছে। আবারও কয়েক দিনের মধ্যে ৫ সদস্য বিশিষ্ট অভ্যন্তরীণ অডিট টিমতদন্ত হলে সবকিছু বেরিয়ে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।
পিএম
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে নামসর্বস্ব সংগঠনের সাইনবোর্ড বসিয়ে সরকারি খাল দখলের অভিযোগ উঠেছে।
খালটি উদ্ধারে সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট গণস্বাক্ষরসহ লিখিত অভিযোগ করেন খাল সংলগ্ন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। উপজেলা প্রাণী সম্পদ দফতরের বিপরীত দিকে সরকারি খালের উপর বাঁশের ঘেরা দিয়ে সাইনবোর্ড বসিয়েছে দেবীগঞ্জ উপজেলা ডেকোরেশন মালিক সমিতি, দেবীগঞ্জ উপজেলা মাইক ব্যবসায়ী সমিতি, সমাজসেবা ও মাদকবিরোধী সংগঠন, মুন্সিপাড়া বয়েজ ক্লাব নামক সংগঠনসহ আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন।
স্থানীয়রা জানায়, বাজারের মূল ড্রেনেজ ব্যবস্থার একটি অংশ খালটিতে এসে যুক্ত হয়েছে। এতে করে বাজারের বড় একটি অংশের পাশাপাশি বাজার সংলগ্ন আবাসিক এলাকার দৈন্দিন ব্যবহৃত পানিও খালে আসে। বর্ষার মৌসুমে বাড়তি পানির বেশির ভাগ অংশ এই খালে এসে পড়ায় জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই মিলে।
খালটি এভাবে দখল হয়ে গেলে অদূর ভবিষ্যতে দুর্ভোগ পোহাতে হবে আশপাশের বাসিন্দাদের। সেই সাথে খালের পাশের সড়কটি ব্যবহার করে প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায়। এখানে এমন নাম সর্বস্ব সংগঠনগুলো তাদের অফিস গড়ে তুললে বখাটেদের আড্ডা যেমন বাড়বে তেমনি ইভটিজিংয়ের ঘটনাও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
মোছাঃ খালেদা বেগম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এইটা সরকারি জায়গা। এত বছর ধরে খালি ছিলো। ঈদের পর থেকে রাতারাতি বাঁশের খুঁটি, পিলার, সাইনবোর্ড বসিয়ে দখল করার চেষ্টা করছে। কারা করছে তা জানি না, রাতারাতি সব কিছু হচ্ছে।
মোঃ রুহুল আমিন নামে এক বাসিন্দা বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে খালটি রয়েছে। মুন্সিপাড়াসহ দেবীগঞ্জ বাজারের বৃষ্টির পানি এখানে এসে পতিত হয়। এভাবে খালটি দখল করা হলে বর্ষা মৌসুমে আমারা জলাবদ্ধতার সম্মুখীন হবো।
লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল আলম বলেন, আমারা অভিযোগ পেয়েছি। অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। যারা দখল করার চেষ্টা করেছে তাদের সেখান থেকে উচ্ছেদ করা হবে।
এআইপাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সাংবাদিক মানিক হোসেনের উপর হামলার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে আব্দুল হামিদ সড়কে পাবনায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দের আয়োজনে ঘন্টাব্যাপি এই মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অসাধু দুধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় খোলা কাগজের ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি মানিক হোসেনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
বক্তব্য দেন, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ সহ অনেকে।
উল্লেখ্য, ভাঙ্গুড়া উপজেলার অসাধু দুধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ১৬ এপ্রিল সকালে উপজেলার পুঁইবিল গ্রামে মানিক হোসেনকে একা পেয়ে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেয় অসাধু দুধ ব্যবসায়ীদের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসী বাহিনী।
এমআর
তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ১০ দিনে ৫ লক্ষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে জয়পুরহাটে শতাধিক বৃক্ষরোপণ করেছে ছাত্রলীগকর্মীরা।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে শহরের সিমেন্ট ফ্যাক্টরী নামক এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা ইয়ামিন আলী নিজ উদ্যোগে গাছের চারা রোপণ করেন। এসময় হাজী মহসিন সরকারি কলেজ উচ্চ মাধ্যমিক শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাসিম শেখ, আক্কেলপুর মজিবর রহমান সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য নুর মোহাম্মদ নাহিদ, জোবায়ের হাসান ফাহিম, ছাত্রলীগকর্মী, রনি হাসান, বিজয় হাসান, নাহিন আল মুনকার, নিরব খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রলীগ নেতা ইয়ামিন আলী বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশ ও মানুষের প্রতিটি প্রয়োজনে পাশে দাঁড়িয়েছে। এসময় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দেশব্যাপী তীব্র তাপমাত্রা চলমান রয়েছে। এতে জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবযাত্রায় মারাত্নক প্রভাব ফেলছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
এফএস
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩টি উপজেলা পরিষদ নিবার্চনের প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার(২৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলা নিবার্চন অফিসারের কাযার্লয়ে জেলার নাচোল-গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের পত্র তুলে দেন জেলা নিবার্চন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা রেজাউল করিম।
প্রতীক বরাদ্দের আগে রিটার্নিং কর্মকতা রেজাউল করিম প্রতিটি উপজেলার প্রার্থীদের সাথে আচরণবিধির বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। এ সময় তিনি বলেন, জেলার ৩টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১১জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি বলেন, আজকে থেকেই প্রার্থীরা মাইকিংসহ সরাসরি প্রচারণার কাজ শুরু করতে পারবেন। রিটার্নিং কর্মকতার্ আরও বলেন, নিবার্চনী আচরণবিধি এবং প্রচার-প্রচারণার বিষয়ে আগামীকাল জেলা প্রশাসকের কাযার্লয়ে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিস্তারিত জানানো হবে।’
এ সময় তিনটি উপজেলা পরিষদের নিবার্চনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ছাড়াও নিবার্চনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকতার্রা উপস্থিত ছিলেন।
নিবার্চন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নিবার্চন-২০২৪’র নাচোল উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে প্রতীক পাওয়া প্রার্থীরা হলো- চেয়ারম্যান পদে আব্দুল কাদের (ঘোড়া প্রতীক) ও মোঃ আবু রেজা মোস্তফা কামাল (আনারস); পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রতীক পাওয়া প্রার্থীরা হলো- আশরাফুল হক (টিউবয়েল), কামাল উদ্দিন (চশমা), মশিউর রহমান (তালা) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রতীক পাওয়া প্রার্থর্ীরা হলো জান্নাতুন নাইম মুন্নি (হাঁস) ও শামীমা ইয়াসমিন (বৈদ্যুৎতিক পাখা)।
এদিকে, গোমস্তাপুর উপজেলার প্রতীক প্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলো-হুমায়ন রেজা (ঘোড়া); হালিমা খাতুন (কাপ-পিরিচ), মাহফুজা খাতুন (মোটরসাইকেল) ও আশরাফ হোসেন (আনারস)। প্রতীক প্রাপ্ত পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলো-নজরুল ইসলাম (চশমা), হাসানুজ্জামান (টিউবয়েল), দেলোয়ার হোসেন (তালা), মাসুদ পারভেজ (মাইক) এবং মাকসেদুর রহমান (টিয়া পাখি)। অপরদিক প্রতীকপ্রাপ্ত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলো- মুনিরা (সেলাইমেশিন), জোহরা খাতুন (ফুটবল), শামীমা বেগম (কলস), শিরিন আকতার (পদ্মফুল), সুলতানা খাতুন (হাঁস) এবং শামীমা জাহান (বৈদ্যুৎতিক পাখা)।
অপরদিকে, ভোলাহাট উপজেলার প্রতীক প্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলো-আব্দুল খালেক (কাপ-পিরিচ), আনোয়ারুল ইসলাম (চিংড়ীমাছ), বাবর আলী (আনারস), আব্দুল গাফফার (ঘোড়া) ও শরিফুল ইসলাম (মোটরসাইকেল)। প্রতীকপ্রাপ্ত পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলো- কাউসার আহম্মেদ (তালা), হুসেন আলী (টিউবয়েল), কামাল উদ্দিন (চশমা) এবং প্রতীক প্রাপ্ত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলো-রেশমাতুল আরশ ( ফুটবল) ও শাহজাদী খাতুন (হাঁস)।
এফএস
রাজশাহীতে পদ্মায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে রাজশাহীর শ্যামপুর বালুর ঘাটে পদ্মায় গোসল করতে নেমে এই তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়। এরপরে আড়াইটার দিকে ওই তিন শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
নিহত কিশোররা হলো- রাজশাহী মতিহার থানা এলাকার মো. রেন্টুর ছেলে যুবরাজ (১৪), একই এলাকার নূর ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামান (১৫) ও লিটনের ছেলে আরিফ (১৪)। তারা কাটাখালি পৌরসভার শ্যামপুর এলাকার একটি মাদরাসার শিক্ষার্থী।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক ওবায়দুল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পবা উপজেলার শ্যামপুর বালুর ঘাটে পদ্মায় গোসল করতে নেমে তারা নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল তাদের উদ্ধারে নামে। মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানও সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজশাহী নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়। তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষ তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে।
বগুড়ায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য ও সাধারণ পথচারীদের জন্য বিশুদ্ধ সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের সাতমাথাস্থ মুজিব মঞ্চের সামনে এ বুথ স্থাপন করা হয়। জেলা পুলিশের উদ্যোগে স্থাপিত এ বুথের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রচন্ড দাবদাহে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। তাই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এই সামান্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একজন পথচারী এই গরমের মধ্যে পানি পিপাসার্ত হয়ে বুথ থেকে পানি পান করতে পারবে। এদিকে একজন পুলিশ সদস্যের পোশাক পরা অবস্থায় প্রচন্ড গরমের মধ্যে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ডিউটি করা আসলেই অসম্ভব ব্যাপার। ট্রাফিক পুলিশের এই সদস্যরা দেশ ও মানুষের জন্য অসম্ভব রকমের কষ্ট করে যাচ্ছেন। তাদের ক্লান্তি দূর করতে খাবার স্যালাইন, পানি ও জুস বিতরণ করা হয়েছে।’ গরম চলাকালে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
এদিকে, তীব্র এই দাবদাহে জেলা পুলিশের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান সাধারণ পথচারীরা। তারা পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উদ্বোধনকালে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সুমন রঞ্জন সরকার, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ্সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এআই
মৌলভীবাজারের রাজনগর সরকারি কলেজে অধ্যক্ষের কক্ষ ভাঙচুর করেছে কতিপয় শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ মো: মনছুর আলমগীর রাজনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। গত ২১ এপ্রিল দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
জিডি ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, ২১ এপ্রিল দুপুরে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ চলাকালিন সময়ে কতিপয় যুবক ফরম পূরণের সময় কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে বেতন কমানোর দাবি তোলেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি না মানায় কলেজের সম্পদ ভাঙচুর করে।
অধ্যক্ষ মো: মনছুর আলমগীর বলেন, এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী আমার কাছে বেতন কমানোর দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার জন্য কলেজের পক্ষ থেকে একটি কমিটি ঘটন করা হয়। গত ১৮ এপ্রিল দুপুর ২টায় ওই কমিটির সদস্যরা এসব শিক্ষার্থীদের সাথে বসার কথা ছিল। অনেক্ষণ অপেক্ষার পরও শিক্ষার্থীরা না আসায় ওই দিন বসা হয়নি।
পরবর্তীতে ঘটনার দিন বসার আগেই কতিপয় যুবক আমার কক্ষে হামলা করে গ্লাস, চেয়ার, বোর্ড সহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
এমআর
সুনামগঞ্জের পৌর শহরের হাছননগর এলাকার বুবির পয়েন্টে মাহিন্দ্র ট্রাক ও সিএনজি অটো রিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সুরেশ রবি দাস (৪০)নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি সিএনজি অটো রিকশার যাত্রী ছিলেন ও ওয়েজখালী এলাকার বাসিন্দা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৯ টার দিকে হাছননগর এলাকার ভুবির পয়েন্টে দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন,শহরের হাছননগর এলাকার সিএনজি চালক জীবন মিয়া(২০) ও ইব্রাহীমপুরের কৃষ্ণ রবি দাস (৩২)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,ভবন নির্মাণের সাটারিংয়ের মালপত্র নিয়ে মাহিন্দ্র ট্যাকটি বুড়ির স্থল এলাকার দিকে যাচ্ছিল, একেই সময় বুড়িস্থল থেকে একটি সিএনজি যাত্রী নিয়ে শহরের দিকে আসার পথে ভুবির পয়েন্টে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই সুরেশ রবি দাস (৪০) মারা যায়। গুরুত্বর আহত সিএনজি চালক ও অপর যাত্রীকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদ চৌধুরী বলেন,ঘটনাস্থল গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এমআর
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু হলেন- পশ্চিম চান্দশীরকাপন গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে রিহান আত্তার ইয়াছিন (১০) ও নেত্রকাণার বারহাট্রা থানার নৈহাটি গ্রামের ইউসুফ রুহান (১১)। সম্পর্কে তারা ফুফাতো ও মামাতো ভাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত সরকার।
ইয়াছিন ও রুহান দুজনেই বিশ্বনাথ আলিয়া মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণির ছাত্র। ইউসুফ রুহানের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বনাথ পুরান বাজারের ময়নুলের বাসায় বসবাস করে আসছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলা সদরের তাদের বাড়ির পাশে পুকুরে পানিতে ইয়াছিন ও রুহান পড়ে যায়। এরপর তাদের পরিবারের সদস্যরা দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। পরে তাদের মরদেহ পুকুরের পানিতে ভেসে ওঠলে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
বিশ্বনাথ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত সরকার বলেন, রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।
এআই
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায় তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোক করে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।
মৃত রিকশাচালক হানিফ মিয়া (৩৪) হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং সিলেট শহরে অস্থায়ীভাবে বসবাস করে রিকশা চালাতেন।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান গণমাধ্যমকে জানান, দুপুর ১২টার দিকে এক রিকশাচালক দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, নিহত রিকশাচালকের মরদেহ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৬ সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল থেকেই তীব্র গরম পড়েছে, প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ নিম্নবিত্ত সহ সব ধরনের মানুষের। অতিরিক্ত গরমে হাসপাতালেও বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।
শনিবার দুপুর ৩টার দিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.৬ ডিগ্রি রেকর্ড করে মৌলভীবাজার জেলা আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আগের দিন শুক্রবার বিকেল এবং রাতের দিকে হালকা বৃষ্টি হলেও শনিবার সকাল থেকে জেলার আবহাওয়া ছিল উত্তপ্ত। দুপুর নাগাদ রোদের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে তাপদাহ। এতে বিপাকে পড়েছেন রিকশা চালক, ভ্যান চালক সহ বাইরের কাজে নিয়োজিত নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষরা। অতিরিক্ত গরমের কারণে সড়কে মানুষজনের আনাগোনা ও অনেক কম।
এ দিকে গত কয়েকদিনের চলমান গরমের কারণে মৌলভীবাজারের সদর হাসপাতালে বেড়েছে গরম জনিত রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা। তীব্র গরমে ডায়রিয়া, সর্দি, জ্বর কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া সহ নানান ধরনের রোগীর আনাগোনা বেড়েছে হাসপাতালে।
এ বিষয়ে হাসপাতালে কর্মরত নার্সরা জানান, গরম জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে এই কয় দিনে প্রচুর সংখ্যক রোগী এসেছেন, এদের মধ্যে নবজাতক ও বৃদ্ধের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণের।
অতিরিক্ত গরমের এই সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। তাছাড়া ঘন ঘন পানি পান করার কথাও জানান চিকিৎসকরা। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে পুরো এপ্রিল মাস জুড়েই থাকতে পারে এরকম তাপদাহ।