জাতীয়
সব দেখুনসর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুনচলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট অস্বাভাবিক তাপদাহে রাজধানীর জনজীবন দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে। আগুন ঝরা বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন নারী-শিশু-সাধারণ কর্মজীবী মানুষসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। এরইমাঝে একদিকে নতুন করে আরো ৭২ ঘন্টার হিট এ্যালার্ট জারির খবরে শঙ্কিত রাজধানীসহ গোটা দেশবাসী।
অপরদিকে, কাঠফাটা উত্তপ্ত রোদ, ভ্যাপসা গরম ও অসহনীয় তাপমাত্রাকে পায়ে ঠেলে ইউনিফর্ম পরে পিচঢালা উত্তপ্ত সড়কে দাঁড়িয়ে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব একাগ্রচিত্তে পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর গাবতলী, মিরপুর, কল্যানপুর, শ্যামলীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র অসহনীয় গরমে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নগরবাসীর স্বাভাবিক চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে দায়িত্ব পালন করছেন ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের সদস্যরা।
বেলা আনুমানিক ১.৩০ মিনিট। নগরীর অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক মিরপুর-১ নম্বর গোল চত্বরে দেখা গেল কাঠফাঁটা রোদে একটি পানির বোতল হাতে সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্ব পালনকালে প্রচন্ড গরমে ঘেমে জবুথবু হয়ে পড়েছেন একজন সার্জেন্ট। নাম তাঁর মো. সাইদুর রহমান টিপু। মুখ-মন্ডল বেয়ে ঝড়ছে ঘাম। মুখ-মণ্ডলজুড়ে ক্লান্তির ছাপ সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। ব্যস্ততম কয়েকমুখী সড়কের এই চত্বরে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় কয়েক মিনিটের জন্যেও বিশ্রাম নেয়ার জোঁ নেই। পাশেই ছাতা মাথায় আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে এর ফাঁকেই হাতের বোতল থেকে দু'এক ঢোক পানি গিলছেন সার্জেন্ট টিপু। অসহনীয় তাপমাত্রায় সামান্য স্বস্তির লক্ষ্যে সড়কে দাঁড়িয়েই হাতেের বোতল থেকে চোখে-মুখে কয়েক দফা পানি ছিটিয়ে ধুয়ে নিচ্ছিলেন। ঠিক সেসময়ই দৃশ্যটি ধরা পড়ে সময়ের কণ্ঠস্বরের ক্যামেরায়।
এসময় এগিয়ে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে "অস্বস্তিকর দূর্বিষহ গরম ও কাঠফাটা রোদে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন; একটু বিশ্রাম নিয়ে নিলেও তো পারেন" এমন প্রশ্নের উত্তরে নিমিষেই সকল ক্লান্তি পায়ে ঠেলে একগাল হেসে বললেন, আমরা ট্রাফিক পুলিশে চাকরি করি। দায়িত্ব পালনকালে এই অস্বাভাবিক তাপমাত্রা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। এর থেকে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেও তা নিয়ে ভাববার সুযোগ আমাদের নেই। মানুষকে সেবা দেয়াই পুলিশের কাজ। মহানগরবাসী তথা মানুষকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করাই আমাদের মূল কাজ। সেলক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। বলেই অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের উদ্দেশ্যে হাত উঁচিয়ে সিগনাল ছাড়তে ইশারা দিতে দিতে ফের সড়কে দাঁড়িয়ে গেলেন তিনি।
এদিকে, দূর্বিষহ তাপদাহ ও অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে দায়িত্ব পালনকালে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের নানা সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে ভাবনার কমতি নেই পুলিশের উর্ধতন মহলেও।
এসময় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়াতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে একদিকে ফোসের্র মনোবল যেমন চাঙা হচ্ছে, অপরদিকে দাবদাহের মধ্যেও ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে নগরবাসী পাচ্ছেন সর্বোত্তম সেবা।
এ বিষয়গুলোকে বিশেষ বিবেচনায় রেখেই গত বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগের সকল পুলিশ সদস্যদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাবার স্যালাইন সরবরাহের উদ্যোগ নেন। এই তীব্রে তাপদাহ যতদিন থাকবে ততদিন পুলিশের এই কার্যক্রম চলবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মুনিবুর রহমান জানান, এই অসহনীয় গরমে রাস্তায় ডিউটি করা সত্যিই কষ্টকর। এই উপলব্ধি থেকেই ট্রাফিকের সকল পুলিশ সদস্যদের জন্য নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইনের সর্বরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই উদ্যোগ ট্রাফিক পুলিশের সকল সদস্যদের এই তীব্র গরমের মাঝেও দায়িত্ব পালনে আরও উদ্বুদ্ধ করবে বলে যোগ করেন ট্রাফিক পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এমআর
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পৃথক জায়গা থেকে দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে দুজনে ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত। হিট স্ট্রোক অথবা অন্য কোনো অসুস্থতার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
রবিবার (২১ এপ্রিল) রাতে পৃথক স্থান থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস মণ্ডল সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, অজ্ঞাত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। যাত্রাবাড়ী দক্ষিণ শেখদি ৫ নম্বর রোড থেকে রাতে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যক্তি ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত ছিল। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মাথা ঘুরে হিট স্ট্রোক বা অন্য কোনো অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এদিকে, যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদা রহমান জানান, রাতে যাত্রাবাড়ী জনপদ মোড়ের পশ্চিম খাজা হোটেলের সামনের ফুটপাত থেকে উদ্ধার করা হয় অজ্ঞাত আরেক ব্যক্তির মরদেহ। তাঁর বয়স হবে আনুমানিক (৩০) বছর। তিনিও ভাবঘুরে ও মাদকাসক্ত ছিল। অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এআই
রাজধানীর গুলিস্থানের গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন রাস্তা থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই মরদেহ উদ্ধার করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফ নেওয়াজ জানান, সকালে খবর পেয়ে গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন রাস্তা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ব্যক্তির কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মাজার সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে এসআই আরও জানান, ওই ব্যক্তি ভবঘুরে মাদকসেবী ছিল। মাজার এলাকাতেই থাকত। ধারণা করা হচ্ছে, অসুস্থ অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আঙুলের ছাপের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তে সিআইডি ক্রাইম সিন ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে।
এআই
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন লেগেছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটের দিকে হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ ইউনিটে এই আগুন লাগে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, শুক্রবার পৌনে বেলা ২টার দিকে হাসপাতালের আট তলা একটি ভবনের পঞ্চম তলায় কার্ডিয়াক বিভাগে আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের তিনটি, সিদ্দিক বাজার থেকে একটি এবং তেজগাঁও থেকে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে।
তবে কীভাবে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হল বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে দিতে পারেননি তিনি।
এদিকে আগুন লাগার পর হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অসুস্থ বাচ্চাদের নিয়ে অনেকে ভবন ছেড়ে নিচে নেমে আসেন।
রাজধানীর বনশ্রীতে একটি আবাসিক ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন লাগে বলে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স থেকে জানানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমাদের কাছে সংবাদ আসে বনশ্রী ‘সি’ ব্লকের একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এছাড়া হতাহতের সংবাদও পাওয়া যায়নি।
এআই
চুয়াডাঙ্গায় গত ৩ দিনের তীব্র তাপমাত্রা আজ সোমবার কিছুটা কমেছে। আজ সোমবার বিকেল ৬ টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্র ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে । এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৩৯ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহে গত দুদিনে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হিট স্ট্রক ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে এক নারীসহ দুজন মারা গেছেন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন অনেকেই।
রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুত্যু হয় নির্মাণ শ্রমিক সিদ্দীক আলীর (৪৫)। নিহত সিদ্দিক আলী দামুড়হুদা উপজেলার পুরোনো বাস্তপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে।
সিদ্দীক আলী দু'দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা শহরে রড মিস্ত্রীর কাজ করছিলেন। শুক্রবার তিনি তীব্র গরমে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর শনিবার রাতে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রোববার দুপুর ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সিদ্দীক আলীর ভাই সিরাজ মাস্টার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে শনিবার ৪২.৪ ডিগ্রী তাপদাহের দিন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা হিটস্ট্রোকে এক যুবক ও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে তীব্র তাপমাত্রায় হিটস্ট্রোক দামুড়হুদা উপজেলা সদরে মর্জিনা খাতুন (৬০) নামে এক নারী মারা যান। নিহত মর্জিনা খাতুন উপজেলা সদরের ইউনিয়ন পরিষদ পাড়ার আজিম উদ্দীনের স্ত্রী।
নিহত মর্জিনা খাতুনের ছেলে কামরুল ইসলাম কামু জানান, বেলা ৩টার দিকে অতিরিক্ত তাপে আমার মা (মর্জিনা খাতুন) হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় আমরা মাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার জন্য অটো ভ্যানে উঠানোর সঙ্গেই মা মারা যান।
এর আগে শনিবার সকাল ৭ টার দিকে মাঠে কৃষিকাজ করতে গিয়ে প্রচণ্ড গরমে স্ট্রক করেন সীমান্তবর্তী ঠাকুরপুর গ্রামের জাকির হোসেন (৩৬)। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সকাল ৮টার দিকে তিনি মারা যান। গত কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র ও অতি তীব্র তাপদাহ। এই তাপদাহে জেলায় হিট এলাট জারি করে মাইকিং করা হচ্ছে এক সপ্তাহ থেকে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৭৫ শতাংশ। দুপুর ১২ তপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ২৫ শতাংশ। বেলা ৩ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ। এবং বিকেল ৬ টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস যৌথ ভাবে রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গা, যশোর ও খুলনায়।
গত এক সপ্তাহ ধরে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। হিট এলার্ট জারী আছে। এর মধ্যে তাপমাত্রার পারদ সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রীতে উঠে গেছে। এপ্রিল মাস জুড়েই এ অবস্থা থাকবে। তাপমাত্রা আরো বাড়বে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, রোববার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার একটি মিটিং করেছি। সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু হিট স্ট্রক হচ্ছে। সেহেতু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সেই সঙ্গে সবার যে অবলম্বন বিশেষ করে কৃষি, গবাদি পশু-পাখির প্রতি যত্নশীল হতে হবে এ মুহূর্তে। তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে যে তথ্য ও নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে সে অনুযায়ী মাইকিং করা হচ্ছে।
এমআর
বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিপাশা জিয়েলতলা এলাকার একটি মৎস্য ঘের পাড়ে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় আনোয়ারুল নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকারসহ অপর জড়িতের নাম উল্লেখ করে জবানবন্দি দিয়েছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল আসামির জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আনোয়ারুল সিদ্দিপাশা জিয়েলতলা গ্রামের মনিরুল ইসলাম ওরফে মনে শেখের ছেলে।
এদিকে, কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও জবানবন্দি গ্রহণের পর রোববার (২১ এপ্রিল) পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, নড়াইল থেকে যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিপাশা জিয়েলতলা গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে ওই কিশোরী। শনিবার বিকেলে সে স্থানীয় হাফেজিয়া মাদ্রাসায় তার ভাগ্নেকে আনতে যায়।
ফেরার সময় আনোয়ারুল ও তার সহযোগীর সাথে দেখা হলে তারা তাকে ফুসলিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে রাতে মৎস্য ঘেরের পাড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর ফেলে রেখে চলে যায়। সন্ধ্যা পেরিয়ে যাওয়ায় ওই কিশোরী বাড়ি না ফেরায় তার দুলাভাই খুঁজতে গিয়ে অসুস্থ অবস্থায় ঘের পাড় থেকে তাকে উদ্ধার করে খুলনার ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর পিতা ওই রাতেই আনোয়ারুল ও তার সহযোগী মাহিম গাজীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগে অভয়নগর থানায় মামলা করেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার আনোয়ারুলকে গ্রেপ্তার করে রোববার আদালতের সোপর্দ করে। আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ওই কিশোরী তাদের পূর্ব পরিচিত।
শনিবার ওই কিশোরীর সাথে তাদের দেখা হয়। এরপর তারা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে রাতে স্থানীয় একটি স্কুলের পাশের ঘেরে যায়। সেখানে তারা দুইজন পর্যায়ক্রমে পাহারা দিয়ে ধর্ষণ করেছে। এদিকে রোববার কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় আনোয়ারুলকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপরজনকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এমআর
দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রচন্ড গরমে একটানা কাজ করতে পারছেন না বেনাপোল বন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা। ফলে ট্রাকে পণ্য উঠানামা যেমন ধীর গতি দেখা দিয়েছে, তেমনি কমেছে তাদের দৈনিক আয়। তীব্র খরতাপে হতদরিদ্র দিনমজুর বন্দর শ্রমিকদের দৈনিক আয়-রোজগার ব্যাপক হারে কমে গেছে। বাড়ছে কষ্ট-দুর্ভোগ। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শ্রমজীবী মানুষ।
যশোর মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া অফিস বলেছে, আজ সোমবার যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.২ ডিগ্রি সিলসিয়াস। রোববার বেলা ১ টা ৩০ মিনিটে তাপমাত্রা ছিল ৩৯.০৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ও গত শনিবার কয়েকদিনের সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রা দাঁড়ায় ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
বেনাপোল স্থলবন্দরের শ্রমিক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রচন্ড গরম। এ গরমে ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের বেশি একটানা কাজ করা যাচ্ছে না। দুপুরে কোনো কাজ করাই সম্ভব হচ্ছে না এ গরমে।
বন্দরের শ্রমিক ইউনুছ আলি বলেন, আগে ২০ জন শ্রমিক ৩ ঘণ্টায় একটি ট্রাকের পণ্য আনলোড করতাম। এখন সময় লাগছে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। অনেকে গরমে কাজ করে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
একটানা কাজ করতে না পারায় আয় কমেছে শ্রমিকদের। স্থলবন্দরের শ্রমিক সেলিম আহম্মেদ বলেন, অন্যান্য সময় সারা দিন কাজ করে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় করতাম। এখন ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বেশি আয় করা সম্ভব হচ্ছে না।
ট্রাকচালক মিন্টু মিয়া বলেন, গরমের কারণে শ্রমিকরা সেভাবে কাজ করতে পারছে না। সময় মত ট্রাক লোড হচ্ছে না। তাই আমাদেরও সময় অপচয় হচ্ছে। বন্দরে বেশি সময় বসে থাকতে হচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানি ও রপ্তানিকারক আবু নাসির উদ্দিন বলেন, গরমের কারণে শ্রমিকরা লাগাতার কাজ করতে না পারায় ভারতীয় ট্রাক থেকে পণ্য খালাস করতে অধিক সময় চলে যাচ্ছে। ট্রাকে পণ্য লোড করতেও তুলনামূলক বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে। এতে সময় মতো পণ্য সরবরাহ করা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের (রেজিঃ নম্বর-৯২৫) সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বেশি গরম পড়েছে। শ্রমিকরা লাগাতার কাজ করতে না পারায় পণ্য উঠানামায় (লোড-আনলোড) বিলম্ব হচ্ছে। প্রচন্ড রোদ আর গরমের কারণে বন্দরের শেড ইয়ার্ড ও গুদামের ভেতরে শ্রমিকেরা কাজ করতে পারছেন না। এক ট্রাক লোড দেওয়ার পর বিশ্রাম নিয়ে আবার আরেক ট্রাক লোড দিচ্ছেন। এতে প্রতিদিন যেখানে ২০ ট্রাক লোড হতো, বর্তমানে গরমের কারণে শ্রমিকেরা ৮ থেকে ১০ ট্রাক লোড দিতে পারছেন।
বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের আরেকাংশের (রেজিঃ নম্বর-৮৯১) সম্পাদক জানে আলম বলেন, মাস খানেক বৃষ্টির দেখা নেই, তাই প্রচন্ড তাপদাহে শ্রমিকরা কাজ এগিয়ে নিতে পারছে না। প্রচন্ড গরমের কারণে হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা স্বস্তিতে কাজ করতে পারছেন না।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, বন্দরে লোড আনলোডে তেমন কোন সমস্যা হচ্ছেনা। তবে প্রচন্ড গরমে শ্রমিকরা কাজ করতে পারছে না। তবে লোড আনলোডে আগের চেয়ে এখন সময় বেশী লাগছে। স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে তাদেরকে প্রচুর পানি খেতে বলা হচ্ছে। পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় একটু সমস্যা হচ্ছে। তাদের খাবার পানির জন্য বন্দর থেকে একটা টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে আর ওরা নিজেরা দুইটা টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করবে। খাবার পানির ব্যবস্থাটা হয়ে গেলে শ্রমিকদের কাজ করতে কস্ট কম হবে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, প্রতিদিন ভারত থেকে গড়ে ৪০০ থেকে ৪৫০ পণ্যবাহী ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোলে আসে। বাংলাদেশ থেকে গড়ে দেড়শ থেকে ২০০ ট্রাক রপ্তানি পণ্য নিয়ে ভারতে যায়। প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৩শ থেকে ৪শ ট্রাক পণ্য খালাশ করে ভারতে ফেরত যায়। প্রচন্ড গরমে লোডআনলোড ব্যাহত হচ্ছে।
এমআর
নড়াইলে ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে ইতি বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার গোবরা দক্ষিণপাড়া এলাকায় ভাড়াটিয়ার ঘরের খাটের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ইতি বেগম গোবরা গ্রামের হাফেজ মো. শফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতি বেগমের স্বামী হাফেজ শফিকুল ইসলাম জেলার লোহাগড়া উপজেলার একটি মাদরাসায় চাকরি করার সুবাদে সেখানেই থাকতেন। মাঝেমধ্যে ছুটিতে বাড়িতে আসতেন। ফলে অধিকাংশ সময় নিঃসন্তান ইতি বেগম একাই থাকতেন বাড়িতে। এর মধ্যে প্রায় এক বছর আগে কাজের সন্ধানে পরিবার নিয়ে বাগেরহাটের ফকিরহাট থেকে আসা মনিরুল মোল্যা নামের এক দিনমজুরকে বাড়ির একটি ঘর ভাড়া দিয়েছিলেন হাফেজ শফিকুল ইসলাম। মাস দুয়েক আগে ভাড়াটিয়া মনিরুল তার পরিবারকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
গত ১৮ এপ্রিল নিহতের স্বামী হাফেজ শফিকুল ইসলাম ছুটি কাটিয়ে নিজ বাড়ি থেকে কর্মস্থলে চলে যান। এরপর ১৯ এপ্রিল ইতি বেগম ও তার ভাড়াটিয়া মনিরুলের ঘরে তালা ঝুলতে দেখেন প্রতিবেশীরা। বিষয়টি প্রতিবেশীরা ইতির স্বামী শফিকুলকে জানালে তিনি ভাবেন তার স্ত্রী গ্রামের কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে হয়ত বেড়াতে গেছেন। এর আগেও অনেকবার ইতি এভাবে বেড়াতে যাওয়ায় তার স্বামী এ নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা করেননি। কিন্তু ২১ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে ইতির ভাড়াটিয়া মনিরুলের ঘরের ভেতর হতে দুর্গন্ধ বের হলে প্রতিবেশী ও স্থানীয় লোকজন ইতির স্বামী এবং থানায় খবর দেয়। রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘরের দরজার তালা ভেঙে খাটের নিচ থেকে ইতি বেগমের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, সন্তান না হলেও স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার কমতি ছিল না। কখনো স্ত্রীকে তিনি একটা টোকাও দেননি। কিন্তু বিশ্বাস করে বাড়িতে জায়গা দেওয়া ভাড়াটিয়া মনিরুল তার স্ত্রীকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে বাড়ি লুট করে চলে গেছে। মনিরুলের ফাঁসি চান তিনি।
এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত হাসুয়া আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় হত্যা মামলা পক্রিয়াধীন এবং সন্দেহ তালিকায় থাকা ভাড়াটিয়া মনিরুলকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে তদন্তের পর হত্যার প্রকৃত কারণ জানা জানা যাবে।
এআই
চুয়াডাঙ্গায় গত ৩ দিনের তীব্র তাপমাত্রা আজ সোমবার কিছুটা কমেছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহে গত দুদিনে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হিট স্ট্রক ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে এক নারীসহ দুজন মারা গেছেন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন অনেকেই।
রবিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুত্যু হয় নির্মাণ শ্রমিক সিদ্দীক আলীর (৪৫)।
নিহত সিদ্দিক আলী দামুড়হুদা উপজেলার পুরোনো বাস্তপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে।
সিদ্দীক আলী দু'দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা শহরে রড মিস্ত্রীর কাজ করছিলেন। শুক্রবার তিনি তীব্র গরমে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর শনিবার রাতে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রবিবার দুপুর ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
সিদ্দীক আলীর ভাই সিরাজ মাস্টার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে শনিবার ৪২.৪ ডিগ্রী তাপদাহের দিন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা হিটস্ট্রোকে এক যুবক ও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে তীব্র তাপমাত্রায় হিটস্ট্রোক দামুড়হুদা উপজেলা সদরে মর্জিনা খাতুন (৬০) নামে এক নারী মারা যান।
নিহত মর্জিনা খাতুন উপজেলা সদরের ইউনিয়ন পরিষদ পাড়ার আজিম উদ্দীনের স্ত্রী।
নিহত মর্জিনা খাতুনের ছেলে কামরুল ইসলাম কামু জানান, বেলা ৩টার দিকে অতিরিক্ত তাপে আমার মা (মর্জিনা খাতুন) হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় আমরা মাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার জন্য অটো ভ্যানে উঠানোর সঙ্গেই মা মারা যান।
এর আগে শনিবার সকাল ৭টার দিকে মাঠে কৃষিকাজ করতে গিয়ে প্রচণ্ড গরমে স্ট্রক করেন সীমান্তবর্তী ঠাকুরপুর গ্রামের জাকির হোসেন (৩৬)। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সকাল ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
গত কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র ও অতি তীব্র তাপদাহ। এই তাপদাহে জেলায় হিট এলাট জারি করে মাইকিং করা হচ্ছে এক সপ্তাহ থেকে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৭৫ শতাংশ। দুপুর ১২ তপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ২৫ শতাংশ। বেলা ৩ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ।
গত এক সপ্তাহ ধরে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। হিট এলার্ট জারী আছে। এর মধ্যে তাপমাত্রার পারদ সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রীতে উঠে গেছে। এপ্রিল মাস জুড়েই এ অবস্থা থাকবে। তাপমাত্রা আরো বাড়বে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, রবিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার একটি মিটিং করেছি। সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু হিট স্ট্রক হচ্ছে। সেহেতু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সেই সঙ্গে সবার যে অবলম্বন বিশেষ করে কৃষি, গবাদি পশু-পাখির প্রতি যত্নশীল হতে হবে এ মুহূর্তে। তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে যে তথ্য ও নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে সে অনুযায়ী মাইকিং করা হচ্ছে।
এআই
কুমিল্লার বুড়িচং সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বিল্লাল হোসেন (২৮) নামের এক বাংলাদেশি যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চড়ানল তেঁতুলতলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। আহত বিল্লাল হোসেন রাজাপুর ইউনিয়নের লড়িবাগ এলাকার আলী আহমদের ছেলে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, আহত বিল্লাল হোসেন চোরাই মাল নামানোর কাজের শ্রমিক। ভারত থেকে অবৈধপথে আসা চিনি ও অন্যান্য পণ্য ওঠা-নামার শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তিনি। সোমবার রাত ৮টার দিকে তেঁতুলতলা সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে আসা চিনি নামানোর সময় বিএসএফের সদস্যরা গুলি চালায়। তাদের ছোড়া ছররা গুলিতে আহত হন বিল্লাল। তার শরীরে ৩০টির মতো ছররা গুলি লেগেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে বিজিবির সংকুচাইল বিওপির কামান্ডার ফারুক কামাল বলেন, আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে অনুমতি ছাড়া আমরা এ বিষয়ে কোনো তথ্য বা বক্তব্য দিতে পারব না।
কুমিল্লা বিজিবির সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ না করায় কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এমআর
কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের শিকার হওয়া পল্লী চিকিৎসকসহ দুই ব্যক্তির প্রাণ বাঁচাতে অপহরণকারীদের দাবিকৃত ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হয়েছে। মুক্তি পাওয়া অপহৃতরা এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বাহিনী।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১ টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর শীলখালী সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় পল্লী চিকিৎসকসহ দুই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। এরপর পুলিশের অভিযানিক দল সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নেয়।
অক্ষত অবস্থায় পল্লী চিকিৎসক জহিরসহ দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করার সত্যতা নিশ্চিত করে, টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনি সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন,অপহৃত দুই ব্যক্তিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করার জন্য গতকাল ঘটে যাওয়া ঘটনার পর থেকে পুলিশের বেশ কয়েকটি অভিযানিক দল ঘটনাস্থলসহ টেকনাফের গহীন পাহাড় গুলোতে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে পুলিশের পাশাপাশি টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোকনসহ সাধারণ মানুষের সহযোগিতা ছিল লক্ষণীয়। পুলিশ ও জনতার যৌথ অভিযানে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। অবশেষে তাদেরকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। তবে মুক্তিপণ দেওয়ার বিষয়টি তিনি অবগত নন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
অপহৃত পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন উখিয়ার থাইংখালী এলাকার মাওলানা জাকের হোসেনের পুত্র এবং উখিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কমরুদ্দিন মুকুলের মেঝ ভাই। অপরজনের নাম-ঠিকানা এখনও জানা যায়নি।
অপহরণের শিকার জহির উদ্দিনের ছোট ভাই সাংবাদিক কমরুদ্দিন মুকুল সোমবার দুপুরে সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, তার ভাই শাপলাপুর এলাকায় প্রতিদিনের মতো চেম্বার শেষ সিএনজি যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে একজন যাত্রীও ছিলেন। পথিমধ্যে শামলাপুর-হোয়াইক্যং ঢালা সড়কে আসলে তাদের দুই জনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়। পরে সিএনজি ড্রাইভার বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এরপর থেকে অপহরণকারীরা মোবাইলে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের মুঠোফোন ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল। তবে তার ভাইয়ের পরিবারের সদস্যরা সর্বশেষ অপহরণকারীদেরকে কত টাকা মুক্তিপণ দিয়েছে তার সত্যতা তিনি জানাতে পারেন নি।
এদিকে পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন ও অপর জন অপহরণকারীদের কবল থেকে ফিরে আসার পর থেকে ক্ষনিকের মধ্যে শোসাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে যায় ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে পল্লী চিকিৎসকসহ দুই ব্যক্তি প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।
অপহৃত পল্লী চিকিৎসকের ভাগনী জামাতা আল আব্দূল্লাহ তার ফেইসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন আমার মামা শ্বশুরকে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে মুক্তি দিয়েছে অপহরণকারীরা।
এবিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে শামলাপুর ইউনিয়নের সচেতন ব্যক্তি মো.শহিদ উল্লাহ নিজের ফেইসবুক টাইমলাইনে উক্ত এলাকায় ঘটে যাওয়া অহরহ অপহরণ বানিজ্য নিয়ে লিখেছেন,
মুক্তিপণ দিয়ে জীবন বাঁচাতে হলে অমুক ভাই,তমুক ভাইয়ের পিছনে ঘুরে লাভ কি? কোন ফেরিওয়ালা তো এক বারও খোঁজ নিলো না? দালালদের চিহ্নিত করুন!
উল্লেখ্য- সুত্র বলছে বিগত ২০২৩ সালের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ জন ব্যক্তি অপহরণের ঘটনায় কবলিত হয়েছিল। এর মধ্যে ৬২ জন স্থানীয় বাসিন্দা,বাকিরা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে উক্ত এলাকায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নাগরিক। পাশাপাশি অপহরণের শিকার হওয়া ভুক্তভোগী পরিবারের তথ্যমতে দেখা যায়, অপহৃতদের মধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি মুক্তিপণ দিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচিয়েছে।
পিএম
বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম মুনলাইপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) একজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আইএসপিআর জানায়, বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম মুনলাইপাড়া এলাকায় আজ সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির একজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এ সময় অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
এমআর
কুমিল্লার আর্দশ সদর উপজেলার সাবেক ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যা মামলায় একই উপজেলার কালিবাজারের ইউপি চেয়ারম্যান সেকান্দার আলী সহ ১৪ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত । সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান এ রায় দেন। এই সময় আসামীদের দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৫ মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ১১ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন ও ৩ পলাতক রয়েছেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুমিল্লা জেলার কোতওয়ালী থানার ধনুয়াখালী এলাকার অমৃত হাজী মোঃ আব্দুর রহমানের ছেলে মোঃ সেকান্দর আলী (৬৪), একই এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে মোঃ শাহীন (৩৯), সৈয়দপুর এলাকার আব্দুস সাত্তার এর ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেন (৩২), কমলাপুর এলাকার মোঃ মোজাম্মেল হকের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম (২১), যশপুর এলাকার মৃত আহম আলীর ছেলে মফিজ ভান্ডারী, কমলাপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার মোঃ জয়নাল মাস্টারের ছেলে মোঃ কায়সার (৩২), কমলাপুর এলাকার মৃত মনিরের ছেলে মোঃ রিয়াজ (৩৩), মনশাসন এলাকার শফিক মেম্বার এর ছেলে বিল্লাল, কমলাপুর এলাকার মৃত আব্দুর রহমান এর ছেলে কামাল হোসেন, কালির বাজার ইউনিয়নের আবদুল ওহেদ এর ছেলে মোঃ ইব্রাহীম খলিল (৪৫), রায়চোঁ এলাকার ইমদাদুল হকের ছেলে মেহেদী হাসান, সৈয়দপুর এলাকার মৃত হাজী সিরাজুল ইসলামের ছেলে জয়নাল আবেদীন, বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে আব্দুল কাদের, নারায়নসার এলাকার মৃত আশ্রাব আলীর ছেলে আনোয়ার।
মামলার তথ্যমতে, নিহত পারভেজ ২০২০ সালে ১০ই জুন বিকেলে তার বাড়ি থেকে বের হয়ে সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয় গেইটের মনির হোসেনের দোকানের সামনে আসলে পূর্ব পরিকল্পনা মতে আসামিগণ হাতে চাপাতি লোহার স্টিক হকিস্টিক ও দেশে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নিহত পারভেজকে ঘেরাও করে তৎকালীন কালিবাজার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেকান্দর আলীর নির্দেশে পারভেজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক প্রথমে মোটরসাইকেলে উঠানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে একটি মারুতি গাড়ি থামিয়ে পারভেজকে মারধর করে গাড়িতে উঠিয়ে সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কমলাপুর বাজারে আসামি কামালের ছ'মিলে নিয়ে গিয়ে আসামী কামাল, মফিজ ভান্ডারী সহ অন্যান্য আসামিদের হাতে থাকা চাপাতি রড ও হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি পারভেজকে আঘাত করতে থাকে।
এই সময় আসামী কামালের বড় ভাই সেলিম ( মৃত) চিল্লাচিল্লি করে আসামীদের ছ'মিল থেকে বের করে দিলে ছ'মিল থেকে ২০০ গজ পূর্ব দিকে মোকশদ আলীর কাঠের বাগানের ভিতরে নিয়ে সেকান্দর আলী চেয়ারম্যানের নির্দেশে ও পূর্ব পরিকল্পনা মতে আসামিগণ পারভেজকে চাপাতি রড ও হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে হত্যা করে।ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ করেন।
পরে মালাটি তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসলে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিজেই বাদী হয়ে আসামি করে মামলা করেন। তবে মামলা চলাকালে ৩১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে সোমবার দুপুরে এ রায় দেন আদালত।
এদিকে রায়ের অসন্তুষ্ট প্রকাশ করে নিহত পারভেজের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন,আসামি সবার ফাঁসি চেয়েছি,আমার জামাইরে তারা নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। আমি ন্যায় বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে যাবো।
এমআর
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একুশে পরিবহন নামে একটি বাসের চাপায় নারী-শিশুসহ চার পথচারী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার রায়পুর মালিখিল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কদমতুলী এলাকার দিলবাল নেছা (৫০), শাহিনুর আক্তার (২৪), রাইসা (১.৫), সায়মা (৩)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুল আলম।
তিনি বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানতে পারি, সোমবার রাত ৮ টার দিকে মহাসড়কের পার হচ্ছিলেন যাচ্ছিলেন শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জন সদস্য। এ সময় নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী একুশে পরিবহনের বেপরোয়া বাস তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিন জন। পরে, শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হলে পথে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, বাসটি পালিয়ে গেলেও একই কোম্পানির অন্য একটি বাস আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এমআর
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাণিজ্যিক এলাকা করটিয়ায় এক বালিকা মাদ্রাসায় বোরকা পড়া সিয়াম নামের এক যুবক গণপিটুনির শিকার হয়েছে। পরে স্থানীয়দের গণপিটুনির কবল থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে করটিয়ার রওজাতুল মহিলা মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত ওই যুবকের নাম মো. সিয়াম হোসেন সিপু (১৯)। সে টাঙ্গাইল পৌরসভার ধুলেরচর মাদ্রাসা সংলগ্ন বৈল্যা এলাকার মো. ফরহাদ আলীর ছেলে। সিয়াম এবছর বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
করটিয়া রওজাতুল বালিকা মাদ্রাসার পরিচালক জানান, সোমবার সকালে বোরকা পরিহিত এক মহিলা বালিকা মাদ্রাসায় প্রবেশ করে। পরে তার কন্ঠ শুনে ও আচরণে সন্দেহ হলে তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। পরে বোরকার উপরের অংশ খুলে চেক করা হলে সে যুবক এটা প্রমানিত হয়। একপর্যায়ে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা মাদ্রাসা থেকে তাকে বের করে গণপিটুনি দিতে থাকে। জনতার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য তাকে দ্রুত করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও উৎসক জনতা উত্তেজিত হয়ে পড়লে সেখান থেকে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু জানান, পরিষদের কাজে আমি উপজেলা পরিষদে থাকায় শাহীন মেম্বার ও লতিফ মেম্বারে মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হই। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদে উৎসুক জনতা ভিড় জমে গেলে দ্রুত পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ওই যুবককে আটক করে নিয়ে যায়।
আটককৃত সিয়ামের পিতা মো. ফরহাদ আলী জানান, তার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। মাঝেমধ্যেই নানা কান্ড ঘটায়। তাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সোমবার সকালে সিয়াম নানীর বাসায় যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর পুলিশের কাছে খবর পাই তাকে করটিয়া থেকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। সিয়ামের মানসিক সমস্যার কারণে এ বছর সে বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও দিতে পারেনি। তাকে নিয়ে প্রায়ই আমরা নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।
টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফ রাব্বানী জানান, খবর পেয়ে করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিয়াম নামের এক যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্তের পর ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
মানিকগঞ্জে সাটুরিয়া উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ১০ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ কাজ পরিদর্শন করলেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও মানিকগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ মালেক।
২২ এপ্রিল ( সোমবার) সকাল ১১ টায় এই পরিদর্শন শুরু করেন। ইউনিয়ন গুলো হলো হরগজ ইউনিয়ন, ফুকুরহাটি ইউনিয়ন, সাটুরিয়া ইউনিয়ন এবং বালিয়াটি ইউনিয়ন।
এ সময় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গ্রামকে শহরে রুপান্তর করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, মানিকগঞ্জ ৩ আসনের আমল পরিবর্তন হয়েছে। বহু নতুন রাস্তা হয়েছে ব্রিজ হয়েছে। মানুষের জীবন মান উন্নত হয়েছে। হরগজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান জ্যোতির সভাপতিত্বে হরগজ চরপাড়া চৌরাস্তা মোড়ে এক পথসভা আয়োজন করা হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আফসার সরকার, সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আফাজ উদ্দিন, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাবুল সরকার বিভিন্ন ইউনিয়নের মেম্বার সহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
এমআর
আগামী ৮ই মে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই মাঠে নেমেছেন উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা । নির্বাচনকে সামনে রেখে জমে উঠেছে ভোটের মাঠ। এবারের নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী না দিলেও মাঠে রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। প্রত্যেক প্রার্থীই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে বেড়াচ্ছেন।
তারা ভোটারদের কাছে গিয়ে তাদের আদর্শের আলোচনাসহ উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছেন। মুখ খুলছেন পরিচিত দলীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা। ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা দল বেঁধে প্রচার প্রচারণায় নির্বাচনী এলাকা সরগরম করে তুলছেন। প্রার্থীরা আরামের ঘুম হারাম করে প্রচন্ড গরমকে উপেক্ষা করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। প্রার্থীদের সাথে মাঠে নেমেছেন স্ত্রী-সন্তানরাও। সবার আশা ভোট যুদ্ধে জিততেই হবে। তবে সাধারণ ভোটাররা ভোট দেয়ার ব্যাপারে কোন প্রার্থীকেই নিরাশ করছেন না। প্রার্থীরা ব্যবসায়ী ভোটারদের দোকানে গিয়েও ভোট প্রার্থনা করছেন। শুধু তাই নয় মাঠে কর্মরত শ্রমিকদের কাছে ও যাচ্ছেন ভোটের আশায়। দিচ্ছেন নানা ধরণের প্রতিশ্রুতি।
কয়েকজন ভোটারের সাথে কথা বললে জানান, প্রার্থীরা সবাই ভাল লোক। কাকে ভোট দেব তা এখনো মনস্থির করতে পারিনি।
ভোটার জমিলা বেগম জানান, বাবারে ভোট আসলে প্রার্থীদের আনা-গোনার কমতি থাকে না। ভোট শেষ হলেই তাদের দেখা পাওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়ে সে মোতাবেক কাজ করে না। তারা নির্বাচনের পর সব ভুলে যান। অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রার্থীরা নির্বাচিত হন। কিন্তু এলাকার কোন উন্নয়ন হয় না।
সরেজমিনে পুরো উপজেলায় দেখা গেছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাড়া-মহল্লার অলিগলি ও চায়ের দোকানগুলোতে চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রার্থীরা খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে কোমর বেঁধে নির্বাচনী মাঠে দিন-রাত সময় দিচ্ছেন। ভোটারদের সমর্থন আদায়ে দোকানপাট ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। তবে এলাকার রাস্তাঘাটসহ সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবেন এমন ব্যক্তিকেই ভোট দিতে চান ভোটাররা।
এলাকার অনেকে জানান, সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দেবেন তারা। যিনি সুখে-দুঃখে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন তাকেই ভোট দেবেন তারা।
গজারিয়ায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা লিটন মিয়া জানান, উপজেলার চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ১২ জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
এআই /আল আমিন
টাঙ্গাইল শহরের ফুসফুস খ্যাত শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানের ৭টি শতবর্ষী রেইনটি গাছ কাটার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) টাঙ্গাইল শাখা ও সবুজ পৃথিবী নামের দুটি সংগঠনের উদ্যোগে ঘন্টা ব্যপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাপা টাঙ্গাইল শাখার সভাপতি ও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডঃ এএসএম সাইফুল্লাহ'র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, ইব্রাহীম খা সরকারী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক অনিক রহমান বুলবুল, বীরমুক্তিযোদ্ধা রঘুনাথ বসাক, বাপা টাঙ্গাইল শাখার সহ-সভাপতি মোঃ আজাহারুল ইসলাম খান, যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ রানা, মোঃ এরফানুজ্জামান রুনু, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর আলম সিদ্দিকী, আওয়াল মাহমুদ, ডাঃ আজিজুল হক, সবুজ পৃথিবী মির্জাপুর শাখার সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন নবীন, কালিহাতী শাখার সভাপতি মোঃ বুলবুল হোসেন ও সবুজ পৃথিবীর পরিচালক সারমিন আলম।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জাতীয় কমিটির সদস্য ও টাঙ্গাইল শাখার সাধারণ সম্পাদক, সবুজ পৃথিবীর প্রতিষ্ঠাতা সহিদ মাহমুদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানের এইসব শতবর্ষী গাছ রক্ষায় আমাদের আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে আমরা এইসব গাছ পাহারা দিবো। কোন অবস্থাতেই এই ৭টি শতবর্ষী রেইনটি গাছ কাটা চলবে না। এই গাছ গুলো রক্ষার টাঙ্গাইলে ক্রিয়াশীল পরিবেশবাদী সংগঠন ও সচেতন নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।
উল্লেখ্য ,শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে টাঙ্গাইল পৌরসভা কর্তৃপক্ষ হঠাৎ টাঙ্গাইল শহরের ফুসফুস খ্যাত শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানের ৭টি প্রাচীন রেইন টি গাছ কাটতে শুরু করে। কোন রকম টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই মেয়রের একক সিদ্ধান্তে শুরু হয় প্রাচীন এইসব বৃক্ষ নিধন। মূহুর্তের মধ্যেই খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী, মানবাধিকার কর্মী, সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিবাদের মুখে গাছ কাটা বন্ধ হয়। খবর পেয়ে টাঙ্গাইল পৌর মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এরপর স্থানীয় সরকার টাঙ্গাইলের উপ-পরিচালক মো: শিহাব রায়হান আসেন ঘটনাস্থলে।
স্থানীয় সরকার টাঙ্গাইলের উপ-পরিচালক মো: শিহাব রায়হান জানান, আইনতভাবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কোনো গাছ কাটতে চাইলে প্রথমত স্থানীয় সরকারে আবেদন করতে হবে এবং তারপর সেই আবেদন বন কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করা হলে বন কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদন হওয়ার পর প্রকাশ্য নিলাম আহ্বান করে গাছ কাটার প্রক্রিয়া করতে হয়। এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার বরাবর কোনো আবেদন দেয়া হয়নি, তাই কিছুটা নিয়ম বহির্ভূত হয়েছে, আর এজন্য গাছ কাটা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
ইতিপূর্বে টাঙ্গাইল পৌর মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর জেলা সদর রোড প্রশস্ত করনের সময় টাঙ্গাইল সদর থানা ভূমি অফিসের সামনের শত বছরের প্রাচীন বট গাছ কাটার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সেই দেড়শ বছরের প্রাচীন বট গাছ কেটে যাত্রী ছাউনী তৈরি করেন। তৈরিকৃত সেই যাত্রী ছাউনী বর্তমানে শহরবাসীর কোন কাজেই আসছে না। যাত্রী ছাউনিটি এখন নেশাগ্রস্ত লোক ও ভবঘুরে ও রাতের মোক্ষি রানিদের অভয় আশ্রমে পরিণত হয়েছে।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় গভীর রাতে নিজ বাড়িতে অশোক মন্ডল (৩৫) নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রবিবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার জাঠিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হত্যা শিকার যুবক অশোক মন্ডল উপজেলার জাঠিয়া গ্রামের মৃত কালাচাঁদ মন্ডলের ছেলে।
অশোক মন্ডলের মা উর্মিলা মন্ডল বলেন, ঘটনার রাতে আমি ১০টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি। সে সময় আমার বড় ছেলে অশোক ও ছোট ছেলে অসীম মন্ডলকে টিভি দেখতে দেখেছি। এরপর হঠাৎ ছোট ছেলে অসীম মন্ডললের চিৎকারে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। তখন ঘরের বারেন্দায় অশোকের গলা কাটা শরীরটাকে ধরে আমার ছোট ছেলে অসীম চিৎকার করছিল। এরপর আমরা অশোককে হাসপাতালে নেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে ঘর থেকে বের হলেই সে মারা যায়।
তারাশী গ্রামের ব্যবসায়ী হারিচাঁদ মন্ডল বলেন, অশোক মন্ডল সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই হয়। সে একজন সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ ছিল। তবে সে মাঝে মাঝে একটু নেশা করতো। আমার জানামতে তার কোন শক্র নেই।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, অশোক মন্ডলের হত্যাকান্ড নিয়ে ইত্যেমধ্যে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই আমরা এই হত্যাকান্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে পারবো।
এদিকে অশোক মন্ডলের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এআইবরগুনার আমতলীতে অজিতুন নেছা (৬০) নামে এক নারীর হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে উপজেলার চাওড়া চালিতাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আমজেদ প্যাদার স্ত্রী অজিতুন নেছা অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। পরে স্বজনরা তাকে দ্রুত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিম্ময় হালদার বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
এআই
বরগুনার পাথরঘাটায় ৬ কোটি টাকার অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে পাথরঘাটা কোস্টগার্ড।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষখালী নদী সংলগ্ন পাথরঘাটা, নিশান বাড়িয়া, কালমেঘা, ছনবুনিয়া, বাইনচোটকি, রূপধান ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানের সময় এই সকল এলাকা থেকে ১৭ লাখ ৩০ হাজার মিটার ব্যবহার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করে। জব্দকৃত জালের আনুমানিক বাজার মূল্য ৬কোটি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলে কাউকে আটক করতে পারেনি কোস্টগার্ড।
পাথরঘাটা কোস্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এম ফিরোজ্জামান বলেন,জব্দকৃত জাল পাথরঘাটা মেরিন ফিশারী কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ হোসেন এর উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এমআর
বরগুনার পাথরঘাটা পৌর শহর এলাকায় একটি বসতঘর অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে অন্তত ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন পরিবার। খবর শুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে নগদ ৫ হাজার টাকা ও খাদ্য সামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়েছেন বরগুনা ২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ১টার সময় পাথরঘাটা পৌর শহর ৩নং ওয়ার্ডের মৃত করিম হাওলাদারের ছেলে ইউনুস হাওলাদারের বসতঘরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নাতিকে চা বানিয়ে দিতে ইউনুস হাওলাদার ঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের চুলা জ্বালাতে গেলে হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। এতে ইউনুস হাওলাদার আগুনে কিছুটা দগ্ধ হয়। পরে আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে তারা নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা এসে এক ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে মালামালসহ বসতঘরটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনায় ঘরে থাকা স্বর্ণ অলংকার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা পুড়ে হয়ে গেছে বলে জানায় ওই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
পরে খবর শুনে এমপি সুলতানা নাদিরা প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার টাকা ও খাদ্য সামগ্রী দিয়ে অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ান, এসময় ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌর মেয়রও ওখানে ছুটে যান।
পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন ,অগ্নিকান্ড কথা শুনে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে যাই। আমাদের ফায়ার কর্মীসহ স্থানীয় যুবকদের সহায়তায় ৩০ মিনিট মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।
এআই
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা বরগুনার ছেলে অলিউল হক রুমি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোর চারটার দিকে ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
তার মৃত্যুতে বরগুনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে, অভিনেতার প্রথম জানাজা হয়েছে সকাল ৯টায় শহীদবাগ জামে মসজিদে। এছাড়া বাদ আছর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বরগুনা শহিদ আবুল হোসেন ঈদগাহ মাঠে। জানাজা শেষে বরগুনায় তার মায়ের পাশে দাফন করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন অভিনেতা মীর সাব্বির। তার লাশবাহী গাড়ি ঢাকা থেকে বরগুনার পথে। বরগুনা জেলার বামনায় জন্ম রুমির। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক ও মা হামিদা হক। পরিবারে তিন বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে রুমি মেজ। ভাইদের মধ্যে তিনি বড়। রুমির দুই সন্তান। মেয়ে আফরা আঞ্জুম রুজবা স্বামী ও সন্তান নিয়ে থাকেন কানাডাতে। আর ছেলে ফারদিন হক রিতম একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি লেখাপড়া শেষ করেন।
রুমির অভিনয়ের শুরু থিয়েটার বেইলি রোডের ‘এখনও ক্রীতদাস’ নাটকের মধ্য দিয়ে। সেটা ১৯৮৮ সালে। একই বছর ‘কোন কাননের ফুল’ নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তার। টেলিভিশনের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন সিনেমায়ও। ২০০৯ সালে ‘দরিয়াপাড়ের দৌলতি’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। এরপর থেকে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নাটক হলো- সাজেশন সেলিম, বোকাসোকা তিনজন, মেকআপ ম্যান, ঢাকা টু বরিশাল, ঢাকা মেট্রো লাভ, বাপ বেটা দৌড়ের উপর, আমেরিকান সাহেব, জার্নি বাই বাস, বাকির নাম ফাঁকি, রতনে রতন চিনে, আকাশ চুরি, চৈতা পাগল, জীবনের অলিগলি, মেঘে ঢাকা শহর ইত্যাদি।
এআই
'প্ল্যানেট বনাম প্লাস্টিক' প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করার দাবীতে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, আমরা কলাপাড়াবাসী, কুয়াকাটা ট্যুর গাইড, কুয়াকাটা তরুণ ক্লাব ও কুয়াকাটা বয়েস ক্লাব এর আয়োজনে মানববন্ধন করা হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১০টায় পটুয়াখালীর মহিপুর থানাধীন চর চাপলি ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে চর চাপলি ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী আলী আহম্মেদ বলেন, প্লাস্টিক ও পলিথিনের অতি ব্যবহারের কারণে মানুষ ক্যানসারসহ প্রাণঘাতী নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তেমনি নদীনালা ভরাট হয়ে জলাবদ্ধতাসহ পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ হয়ে সভ্যতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই পলিথিন নিষিদ্ধ আইনের কঠোর বাস্তবায়ন করার দাবি করেন।
ধোলাই মার্কেট মৎস জেলে সমিতির সভাপতি ওবায়দুল বলেন, এক বছরে সাগরে ফেলা হয় ২২ কোটি পাউন্ড প্লাস্টিক বর্জ্য। দূষণের ক্ষেত্রে প্লাস্টিক বর্জ্য এমনিতেই ভয়াবহ। সমুদ্র দূষণের ক্ষেত্রে একক দূষক বস্তু হিসেবে এটি সবার ওপরে। এর কারনে মাছের আকাল পড়েছে।
ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কলাপাড়া প্রতিনিধি কামাল হাসান রনি বলেন,নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন, বনভূমির ধ্বংস, কলকারখানা বৃদ্ধি, গ্রিনহাউজ গ্যাসসহ অন্যান্য ক্ষতিকারক গ্যাসের নিঃসরণ, ক্ষতিকারক কেমিক্যালের ব্যবহারের কারনে আজকের মাটি,পানি,বায়ু দূষণ, পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি, মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাওয়া,জীববৈচিত্র্য বিলীন হচ্ছে, পাশাপাশি জীবন সংকটে রয়েছে উদ্ভিদ, প্রাণী ও অণুজীব।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সিপিপি টিম লিডার জসিম উদ্দিন খলিফা, সমাজসেবক লুৎফুল হাসান রানা সহ প্রমুখ।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থী-সুধীজনরা, বিভিন্ন পেশার মানুষ বনাঞ্চলে সেই আগের মতো সবুজ বনানী আর নির্মল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এআই
শেরপুরের শ্রীবরদীতে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে প্রতারনা করে বিবাহ, অর্থ আত্মসাৎ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদানকারীর সহযোগী মো. রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে শেরপুর পৌর শহরের সজবরখিলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল শ্রবিরদী উপজেলার কুরুয়া এলাকার মো. আক্কাস আলীর ছেলে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, ফেইসবুকের সূত্র ধরে জেলা সদরের চান্দের নগর (মুসলিম পাড়া) এলাকার মোঃ আব্বাস আলীর ছেলে মিলন সরকার ওরফে লিটনের সাথে কুরুয়া এলাকার মো. আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে মোছা. জোসনা পারভীনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই প্রেক্ষিতে গত বছরের ২০ মে মো. মিলন সরকার ওরফে লিটন পুলিশের এএসআই পরিচয় দিয়ে ২ লক্ষ টাকা কাবিনে মোছা. জোসনা পারভীনের সাথে বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরবর্তীতে পুলিশের ডিউটির কথা বলে মোছা. জোসনা পারভীনকে তার বাবার বাড়ীতে রেখে চলে যায়।
এর কিছুদিন পর লিটন এসআই পদে পদোন্নতির কথা বলে তার স্ত্রীর নিকট ৬ লক্ষ টাকা দাবি করে। স্বামীর ভবিষ্যতের কথা ভেবে জোসনা পারভিন জমিজমা এবং স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে লিটনকে বিভিন্ন সময়ে ৯ লক্ষ টাকা মো. রফিকুল ইসলামের সন্মুখে লিটনকে প্রদান করে। ওই টাকা পাওয়ার পর মো. মিলন সরকার ওরফে লিটন তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে জোসনা পারভিন তার শ্বশুর বাড়ীতে গেলে মো. রফিকুল ইসলাম জোছনা পারভিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ খুন করার হুমকি দিয়ে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিলে মোছা. জোসনা পারভীন বাদী হয়ে শ্রবিরদী থানায় প্রতারনার মামলা দায়ের করে। এরপর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে তারা আত্মগোপনে ছিল রফিকুল।
পরে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো. আবরার ফয়সাল সাদীর নেতৃত্বে র্যাবের একটি আভিযানিক দল শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে শেরপুর পৌর শহরের সজবরখিলা পাইওনিয়ার একাডেমী স্কুলের সামনে থেকে মো. রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে শ্রীবরদী থানায় মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এমআর
বালুবাহী ট্রাকে পাচারকালে নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ১২০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে কলমাকান্দা-দুর্গাপুর সড়কের পশ্চিম নাজিরপুর এলাকায় একটি ট্রাকে ১২০ বস্তা চিনিসহ মো: মহর আলী (৫২) নামের চোরাকারবারির সদস্যকে আটক করা হয়।
আটক মহর আলী দুর্গাপুর উপজেলার মনসুরপুর গ্রামের মৃত হাজী তাজুল ইসলামের ছেলে।
এতে মহর আলীকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে কলমাকান্দা থানার মামলা দায়ের করে পুলিশ। ওই দিন দুপুরে মহর আলীকে নেত্রকোনা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়। শনিবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে জেলা পুলিশ।
নেত্রকোনা জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান জানায়, নাজিরপুর থেকে ভারতীয় চিনি পাচারের গোপন সংবাদ পায় কলমাকান্দা থানার পুলিশ। পরে পুলিশ কলমাকান্দা-দুর্গাপুর সড়কে শনিবার সকালে পশ্চিম নাজিরপুর এলাকায় অভিযান চালায়। তখন নাজিরপুর থেকে দুর্গাপুরে যাওয়ার সময় ওই ট্রাকটিকে সন্দেহ হলে থামিয়ে চেক করলে পিছনে ১২০ বস্তা ভারতীয় তৈরী চিনি পায়। যার বাজার মূল্য ছয় লক্ষ টাকা। পরে ওই চিনিসহ মহর আলী নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। সাথে একটি হলুদ রংয়ের ট্রাকও জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে শনিবার কলমাকান্দা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু করে ওইদিন দুপুরে আসামিকে নেত্রকোনা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এআই
নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলায় নদীর পানিতে ডুবে তুষার সরকার নামে আটারো মাসের শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার(২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ দিকে নগর ইউনিয়নের বাঘাটিয়া বড়হাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু তুষার সরকার একই গ্রামের সুজিত সরকারের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় শিশু তুষারের মা কাপড় ধুইতে নদীতে গেলে মায়ের অগোচরে পেছন পেছন তুষার নদীতে যায়। কাপড় ধুয়া শেষে করে মা বাড়ীতে চলে আসেন। কিছুক্ষণ পর তুষারকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন কে জানায়। অনেক খোজাখুঁজির পর শিশুটির বাবা নদীর ঘাটে গিয়ে পানিতে ভাসতে দেখে । পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিশুটিকে উদ্ধার করে খালিয়াজুরী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন সাহা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পরিবারের সাথে কথা বলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমআর
জামালপুরের বকশীগঞ্জ পৌর সভার মেয়র ফখরুজ্জামান মতিনের ব্যাক্তিগত অফিস ভাংচুর করেছে একদল দুর্বত্ত। মেয়র ফখরুজ্জামান মতিনের অভিযোগ সাবেক মেয়র নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তার ব্যাক্তিগত অফিসে হামলা, ২টি মোটর সাইকেল, অফিসের আসবাবপত্র ও অফিস ভাংচুর করে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ১৯ এপ্রিল শুক্রবার দিবাগত রাত অনুমান সাড়ে ১১ ঘটিকার সময় বকশীগঞ্জ পৌর শহরের বাসটার মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পৃথক ঘটনায় সাবেক মেয়র নজরুল ইসলামের সমর্থক আব্দুল মালেক বাদী হয়ে বর্তমান মেয়র ফখরুজ্জামান মতিনকে ১নম্বর আসামী করে নামীয় ২৯জনসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বকশীগঞ্জ পৌর সভার মেয়র ফখরুজ্জামান মতিন জানান, সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম চলতি বছরের ৯ মার্চের পৌর নির্বাচনে পরাজিত হয়ে সে নানভাবে আমাকে এবং আমার সমর্থকদের হয়রানি করার চেষ্টা করছে। এর অংশ হিসেবে সাবেক মেয়র নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ১৯ এপ্রিল শুক্রবার মধ্যরাতে বকশীগঞ্জ বাসটার মিনালে আমার ব্যাক্তিগত অফিসে হামলা চালায়। হামলাকারীরা আমার অফিসের সামনে থাকা ২টি মোটর সাইকেল, অফিসের আসবাবপত্র ও অফিস ভাংচুর করে। আমি অফিসে অনুপস্থিত থাকায় হামলকারীরা আমাকে হত্যা করার জন্য খোজঁখুজি এবং অশালিন ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ভাঙ্গা মোটর সাইকেল ও কিছু ভাংঙ্গা আসবাবপত্র উদ্ধার করে থানায় নেয়। আমি কাউন্সিলরদের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
এব্যাপারে সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম জানান, আমার এক সমর্থকে পিটিয়ে আহত করেছে বর্তমান মেয়র ফকরুজ্জামান মতিনের লোকজন। এর পর তার অফিসে কে বা কারা হামলা করেছে বিষয়টি আমি অবগত না। আমার আহত কর্মী শাহীন মিয়ার মামা আব্দুল মালেক বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
অভিযোগের বাদী আব্দুল মালেক জানান, আহত ভাগিনা শাহীন মিয়া চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ ঘটনা সত্য মনে করলে মামলা এফআইআর করবে।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবদুল আহাদ খান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত একটি মোটর সাইকেল ও ভাঙ্গা কিছু আসবাবপত্র উদ্ধার করেছে। বিষয়টির আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।
এমআর
দীর্ঘ ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটি কাটিয়ে আবার কর্ম চঞ্চলতায় মুখরিত ময়মনসিংহ শিল্প এলাকা।ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটি কালীন সময়ে ময়মনসিংহ শিল্প এলাকায় আইনশৃঙ্খলা সহ নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করেছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৫, ময়মনসিংহ জোন।
শিল্পাঞ্চল জোনের পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মিজানুর রহমানের নির্দেশে ইউনিটের অফিসার ফোর্স, গোয়েন্দা টিমসহ সকল মোবাইল ও বিশেষ টিম সমূহ শিল্প এলাকার ফ্যাক্টরিগুলোতে নিরাপত্তার দায়িত্ব ও কর্তব্যরত ব্যক্তিসহ ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষের সাথে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয় সমূহ সমন্বয় ও মনিটরিং করেছে।
ঈদ ছুটি কালীন ময়মনসিংহ শিল্প এলাকায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের কার্যক্রমে অপরাধজনক কোন ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া ঈদের পূর্বে ময়মনসিংহ এলাকার সকল ফ্যাক্টরির বেতন ও ঈদ বোনাস প্রদানে ময়মনসিংহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ নিশ্চিত করেছে। ময়মনসিংহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এ সকল কার্যক্রম জনমনে প্রশংসিত হয়েছে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ৫ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, আমরা সব সময় মিল কারখানা ও শ্রমিকদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় বদ্ধ পরিকর।
এমআর
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সেলিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পালিয়ে থাকার এক বছর পর হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ। গত শনিবার মাদারীপুর জেলা থেকে মামলার প্রধান আসামী ফরিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম।
এর আগে গত বছর বসতবাড়ির জমি নিয়ে সেলিম ও ফরিদুলদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এই অবস্থায় ঘটনার দিন (২৫ মার্চ) স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদের উপস্থিতিতে সার্ভেয়ার দিয়ে বসতবাড়ী সীমানার জরিপ চলছিল। জরিপের এক পর্যায়ে আসামী ফরিদুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে ইউক্যালিপটাস গাছের মোটা কাঠ দিয়ে সেলিমের মাথায় সজোরে আঘাত করে।
এতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন সেলিম। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেলিম মারা যান। এই ঘটনার পরদিন (২৬ মার্চ) সেলিমের স্ত্রী বেবী আক্তার বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে দেবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর জসিনা বেগম নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে মামলার পরই আত্মগোপনে চলে যান ফরিদুল ইসলাম। দীর্ঘদিন পর গত শনিবার ফরিদুলকে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতারে সক্ষম হয় দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ।
দেবীগঞ্জ থানার ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টায় আমরা সেলিম হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী ফরিদুলকে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করতে পেরেছি। আসামীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এমআর
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের রতনপুর দলদলিয়া গ্রামের দক্ষিণ পাশে এক কৃষকের আড়াই বিঘা বোরো জমির ধান গাছে প্রতিপক্ষরা আগাছা নাশক বিষ স্প্রে করায় ধান গাছের পাতা পুড়ে খেত বিনষ্ট হয়েছে। এতে ঐ কৃষক পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, বিরামপুর উপজেলার টাটকপুর গ্রামের মৃত দানেজ আলীর ছেলে আব্দুস সালাম বর্গা নিয়ে বোরো ধান চাষ করে। ধান প্রায় পাকার পর্যায়ে। ইতিমধ্যে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে দলদলিয়া কুর্শাখালী গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে বুলবুল হোসেন’সহ অজ্ঞাতনামা কয়েক জন গত ১৮ এপ্রিল রাতে বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করে সমুলে বিনষ্ট করে দিয়েছে। গত ২১ এপ্রিল রাতে বিরামপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, দ্রুত সময়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এটি একটি জঘন্নতম অপরাধ।
খানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন পাহান বলেন, বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করে বোরো ধানক্ষে নষ্ট করেছে। জানতে পেরে কৃষকের ধানক্ষেত পরিদর্শন করেন। তিনি অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।এসময় খানপুর কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।
বিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই তুহিন বাবু জানান, জমির বোরো খেত নষ্ট করে দুর্বৃত্তরা অমানবিক কাজ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমআর
দিনাজপুরের বিরামপুরে লাইসেন্স ও হেলমেট না থাকায় ৬ মোটরসাইকেল আরোহীকে ৩ হাজার ৫শ' টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বিরামপুর পৌরশহরের কলাবাগানে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ হোসেন এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ হোসেন বলেন, সবার আগে নিজের নিরাপত্তা। হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালানো অপরাধ ও ঝুঁকিপূর্ণ। রাস্তায় চলাচলের সময় বেশিরভাগ সময়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হেলমেট না থাকায় মাথায় আঘাত পায়। দুর্ঘটনা থেকে নিরাপত্তার জন্য হেলমেটের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
এআই
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে মাটি চাপায় আজিজুল ইসলাম নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় উপজেলার ভাদুড়িয়া ইউনিয়নের বাজারে একটি পুরতান মসজিদের ভিত্তি তৈরী করার সময় এই দূর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাওহীদুল ইসলাম তাওহীদ।
নিহত শ্রমিক দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের নলেয়া গ্রামের মৃত আজাদ আলীর ছেলে আজিজুল ইসলাম (২৫)।
স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে কিছু শ্রমিক মাটি খুঁড়ার কাজ করছিলেন। এমতাবস্থায় মাটি ধসে পড়লে দুই জন শ্রমিক মাটির নিচে চাঁপা পড়েন। পরে স্থানীয়রা একজনকে দ্রুতই উদ্ধার করলেও অপরজনকে শ্রমিক আজিজুলকে উদ্ধার করতে দেরি হওয়াতে তার মৃত্যু হয়।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাওহীদুল ইসলাম তাওহীদ বলেন, মোবাইল ফোনে জানতে পারি ভাদুরিয়া ইউনিয়নে মাটির কাজ করার সময় একজন শ্রমিক নিহত হয়েছে। আজিজুল রহমান শ্রমিক হিসেবে গত কয়েকদিন ধরে ভাদুরিয়া বাজার পুরাতন মসজিদের পূর্ণ নির্মাণের কাজ করছিলেন। সোমবার বিকেলে আজিজুলসহ কয়েকজন শ্রমিক মাটির পনেরো ফিট নিচে ভিত্তি স্থাপনের পাইলিংয়ের কাজ করছিলেন।
মাটি ভিজে ও নরম থাকায় উপর থেকে মাটি ধসে পড়লে দুই জন শ্রমিক মাটির নিচে চাপা পড়েন। পরে তাদের ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজিজুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
এআইলালমনিরহাটে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এক কাতার মসজিদ। ঐতিহাসিক এই মসজিদটি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের হাজীপাড়ায় অবস্থিত। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটির ভেতরে নামাজের জন্য একটি মাত্র কাতার হওয়ায় ১৩ থেকে ১৪ জনের বেশি এক জামায়াতে নামাজ আদায় করতে পারেন না। আনুমানিক ৫০০ বছর পূর্বে ইট ও চুন-সুরকি, মাছেট কাটা দিয়ে নির্মিত এক কাতার মসজিদে এখনো জামাতের সাথে নামজ আদায় হয়।
প্রাচীন কারুকার্য শোভিত এই মসজিদটিতে একটি মাত্র কাতার হয় বলে স্থানীয়রা এক কাতার মসজিদ হিসেবে নামকরন করেছে। এ মসজিদটি কত বছর আগে নির্মাণ হয়েছে তার সঠিক তথ্য কারও জানা না থাকলেও, নির্মাণ শৈলি দেখে ধারণা করা হয় এটি মোঘল আমলে নির্মিত হতে পারে। এখনো দেয়ালে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে আগুনের ফুলকির মতো বের হয়।
এক কাতার মসজিদের মুসুল্লি মোস্তাফা বলেন, মসজিদটি কত বছর আগে বা কারা নির্মাণ করা হয়েছে তা কেউ বলতে পারেনা। অনেকেই ধারণা করে মোঘল আমল বা ৫০০ বছর পূবের দাবি করলেও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, আমার দাদা তার দাদার নিকট শুনেছে মসজিদের ইতিহাস। তারাও মসজিদ নির্মানের সন বা সঠিক ইতিহাস জানতেন না।
স্থানীয় এক মুসুল্লি জানান, সম্প্রতি একবার মসজিদের ভিতরে ইমাম বসার জায়গাটি (মেহরাব) সংস্কারের জন্য কিছুটা ভাঙ্গার চেষ্টা করা হয়েছিলো। সেসময় হাতিড়ী দিয়ে দেয়ালে আঘাত করলে আগুনের ফুলকির মত বের হয় এতটাই শক্ত এই স্থাপনা।
স্থানীয় মুসুল্লি গজর পাটোয়ারী বলেন, মসজিদটির দেয়াল অনেক পুরু ও অনেক কারুকার্য সম্মিলিত। বর্তমান সময়ে এমন মসজিদ নির্মাণ সহজ হবে না। তিনি বলেন, এই মসজিদে নামাজ আদায় অনেক আরামদায়ক।
নুরুজ্জামান নামের এক মুসুল্লি জানান, আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদের নিকট কৃতজ্ঞ কারণ তারা মসজিদের ইতিহাস না জানলেও এটিকে ধরে রেখেছে। আমরাও এই ঐতিহাসিক স্থপনাকে আগামী প্রজন্মের নিকট রেখে যেতে চাই।
হাজিপাড়া এক কাতার জামে মসজিদেট সভাপতি ফিরোজ কাদের বলেন, আনুমানিক ৫০০ বছর পূর্বে নির্মিত এই মসজিদটির দেয়ালে অনেক কারুকার্য রয়েছে। পাশে দুটো কবর ও শিয়া সম্প্রদায়ের একটি মিনার রয়েছে। মিনারটিতেও অনেক সুন্দর করে কারুকার্য ফুটে তোলা হয়েছে। মসজিদের ভিতরে একসাথে ১৪-১৫ জনের বেশি নামাজ আদায় করা যায় না। ঐতিহাসিক এই মসজিদটিকে সংরক্ষণ করে আগামী প্রজন্মের নিকট তুলে ধরার পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে কাদের বলেন, মসজিদ ও এর সকল স্থাপনা সংরক্ষণ এবং এলাকার মুসুল্লিদের নামাজের সুবিধার জন্য পাশেই একটও নতুন মসজিদ নির্মাণ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ সচেতন সকলের সহযোগীতা প্রত্যাশা করেছেন তিনি।
মসজিদ কর্তৃপক্ষদের দাবির সাথে একাত্ম প্রকাশ করে গোড়ল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ঐতিহাসিক এই মসজিদটির কারুকার্য যেন আগামী প্রজন্ম দেখতে ও জানতে পারে সেজন্য ধরে রাখা উচিৎ। এরই মধ্যে মসজিদের কিছু স্মৃতি বিলীন হয়েছে। যেটুকু রয়েছে তা টিকিয়ে রাখতে এবং এর ঐতিহ্য ধরে রেখে সংস্কারের জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সুনজর প্রয়োজন।
মসজিদের বাম পাশে একটি প্রাচীন কবর রয়েছে। ধারণা করা হয়, যে ব্যক্তি মসজিদটি নির্মাণ করেছেন এটি তারই কবর। আর ডান পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে শিয়া সম্প্রদায়ের দাহা। যার দেয়ালের প্রতিটি অংশে দেখা যায় প্রাচীন কারুকাজ। প্রাচীন স্মৃতি বহন করলেও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কেউ আজও যায়নি সেখানে। তবে মসজিদটি দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন আসেন প্রতিনিয়ত।
এআই৭ বছর আগের সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর সুবর্ণা (৮) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আটজন যুবক ও কিশোর মিলে পালাক্রমে ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে সুবর্ণাকে-তদন্তে এমনটাই বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চৌহালী উপজেলার দত্তকান্দি গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে মো. ছাব্বির হোসেন (২০), একই গ্রামের আরফান মেম্বারের ছেলে মো. শাকিব খান (২১)। ইতিমধ্যেই ছাব্বির ও সাকিব আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লোমহর্ষক এ ঘটনার বিবরণ জানান পিবিআইএর পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।
এ সময় পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ সকালে চৌহালী উপজেলার মধ্য শিমুলিয়ার চর থেকে সুবর্ণার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সুবর্ণার বাবা মো. শুকুর আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করলে বাদী আদালতে নারাজি আবেদন দেন। মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর পিবিআই এসআই আশিকুর রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব নেন। তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তি এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৯ এপ্রিল ভিকটিমের ফুফাতো ভাই মো. ছাব্বির হোসেনকে (২০) আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে ওইদিনই দত্তকান্দি শোলে বাজার থেকে আরফান মেম্বারের ছেলে শাকিব খানকে আটক করা হয়। এর আগে এ ঘটনার মূল নায়ক মিলন পাশাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তার কাছ থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে গ্রেপ্তার ছাব্বির ও শাকিব খানকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার মূল রহস্য বেরিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে তারাসহ আরও ছয়জন দত্তকান্দি হাইস্কুল মাঠে যায়। সেখানে সুবর্ণাকে তার ফুফাতো ভাই ছাব্বিরের সঙ্গে খেলতে দেখে। তখনই তারা সুবর্ণাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী মিলন পাশা ও সাকিবসহ বাকি আসামিরা ছাব্বিরকে বলে তার মামাতো বোন সুবর্ণাকে মধ্যশিমুলিয়া চরে নিয়ে যেতে।
সন্ধ্যার পর ছাব্বির ও শাকিব মিলে সুবর্ণাকে কৌশলে মধ্যশিমুলিয়ার চরে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই বাকি আসামিরা অবস্থান করছিল। এরপর সুবর্ণার হাত-পা চেপে ধরে আটজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে সুবর্ণা নিস্তেজ হয়ে যায়। তখন সে কাঁদতে কাঁদতে ঘটনাটি সবাইকে বলে দেওয়ার কথা বলে। এ অবস্থায় আসামিরা নিজেদের বিপদের কথা চিন্তা করে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক সুবর্ণার ওড়না গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। এরপর শরীরে মাটি ছিটিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
পিবিআই এসপি আরও বলেন, ২৬ মার্চ বিকেলে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান দেখতে দত্তকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে যায় সুবর্ণা। পরিবারের লোকজন চিন্তা করে সুবর্ণা ওই স্কুলের পাশে তার ফুফুর বাড়িতেই আছে। এ জন্য খোঁজাখুঁজিও করে নাই। পরদিন তার মরদেহ পাওয়া যায়। পিবিআই তদন্তকালে সুরুতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখে সুবর্ণাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও তার গোপনাঙ্গে রক্ত দেখে তা আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। আলামতের ডিএনএ পরীক্ষায় তার পরনের পোশাকে সিমেন্সের নমুনা পাওয়া যায়। এতেই নিশ্চিত হওয়া যায় সুবর্ণাকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাকি আসামিদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে জানান পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার।
এমআর
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সালাউদ্দিন ওরফে টনি (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবা'র (২৪) সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সালাউদ্দিন তুকাজ্জেবার ওপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ২০২০ সালের ২৯ জুন তুকাজ্জেবা স্বামী সালাউদ্দিনকে নিয়ে বাবার বাড়ি নিয়ামতপুরের ধানসা গ্রামে বেড়াতে আসেন। পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুর বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১ জুলাই সালাউদ্দিন তাঁর স্ত্রী তুকাজ্জেবার গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুত্বরভাবে জখম করে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৫টার দিকে তুকাজ্জেবা ও সালাউদ্দিনের ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে তুকাজ্জেবার বাবা ও মা বাইরে থেকে ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেশি রবিউল ইসলাম লাথি মেরে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তুকাজ্জেবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
এ সময় সালাউদ্দিনের হাতে কাপড় কাটার কাঁচি দেখতে পায় তারা। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তুকাজ্জেবাকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন সালাউদ্দিনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদীয় হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দোষী নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামিপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান।
সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বলেন, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেছেন। রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামি সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন এই আইনজীবী।
এআই
তীব্র দাবদাহে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের গুটি ঝরে পড়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এবার কিছুটা দেরিতেই মুকুল এসেছিলো। পরিমাণেও ছিলো অনান্য বছরের তুলনায় কম। তারপরও শুরু থেকেই বাড়তি যত্নে বাগানগুলোতে মুকুল থেকে আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে আম। তবে কদিনের তীব্র দাবদাহে গাছে থাকা আমের গুটির বৃদ্ধি ও টিকে থাকা নিয়ে চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছেন বাগান মালিকদের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার আম বাগান মালিক এরসাদ আলী জানান, এবার মুকুল কিছুটা আসলেও ফাল্গুন মাসের শেষের দিকে বৃষ্টি ও কুয়াশার কারণে মুকুল জলে গেছে। কৃষি বিভাগ বাগানে সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিলেও ইরি-বোরো মৌসম চলার কারণে ধানে সেচ দেওয়ায় বাগানে সেচ দিচ্ছে না গভীর নলকূপের মালিকরা। আমার বাগানে যেখানে তাপ ৪-৫ লাখ টাকার আম বিক্রি করার আশা ছিল। সেখানে এখন এক লাখ টাকা কীটনাশক খরচ পাবো কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি।
তিনি আরও বলেন, খরার কারণে আমের গুটি বড় হচ্ছে না, বোটা শুকিয়ে ঝড়ে পড়ছে। আকাশের পানি না হলে সেচ দিয়েও খুব বেশি কাজ হচ্ছে না।
শিবগঞ্জ ম্যাঙ্গো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সম্পাদক মো. ইসমাইল খান শামীম বলেন,দুই দিনের বৃষ্টিতে আমের প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির পরেই যারা বাগানে ছত্রাকনাশক স্প্রে করেছে,তাদের বাগানে আমের গুটি টিকে আছে বেশি। এমনিতে অন্য বছরের তুলনায় এবছর আমের উৎপাদন খুবই কম; তার উপরে তীব্র দাবদাহের কারণে আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে।
আম সংগঠনের এই নেতা আরও বলেন, বিশেষ করে এবার দু'টি কারণে আমের উৎপাদন কম বলে আমি মনে করছি। সেটা হচ্ছে- জলবায়ু পরিবর্তন আরেকটি শিবগঞ্জ, ভোলাহাট ও গোমস্তাপুর এলাকায় যে সকল আমবাগান রয়েছে তারা ৫০ শতাংশ আম বাগান পরিচর্যা করেনি। যার কারণে তাদের বাগানের পোকামাকড়গুলো অন্য বাগানগুলোকে আক্রান্ত করছে। যার ফলে উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
গুটি টিকিয়ে রাখতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোখলেসুর রহমান জানান, 'চাঁপাইনবাবগঞ্জের বড় গাছ গুলোতে এবার মুকুল কম এসেছে, তবে ছোট গাছে ভালো মুকুল আছে। সঠিক ভাবে পরিচর্যা করা গেলে, কৃষি বিভাগ যে সাড়ে চার লাখ মেট্রিক টন আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, তার কাছাকাছি যাওয়া যাবে বলে আশা করছি আমরা। আর গুটি টিকিয়ে রাখতে বাগানে প্রচুর পরিমাণে সেচ দিতে হবে।
এআই
গত এক দশক ধরে বন্ধ ছিল বগুড়ার ধুনট উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী ঝংকার সিনেমা হল। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে চালু করেই দর্শক টানতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করলো হল কর্তৃপক্ষ। ১০০ টাকার টিকিট কাটলেই মিলছে এক প্যাকেট বিরিয়ানি একদম ফ্রি। বিষয়টি এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছে, হলে দর্শক সমাগমও বাড়ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধুনট শহরে ঈসা খানের মালিকানাধীন ঝংকার সিনেমা হলটি ১৯৮৪ সালে স্থাপিত হয়। দর্শক শূন্যতায় ২০১৪ সালে হলটিতে ছবি প্রদর্শন বন্ধ হয়। দীর্ঘ এক দশক পর গত ২০ এপ্রিল থেকে আবারও ঝংকারে ছবি প্রদর্শন শুরু করে হল কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে হলে প্রদর্শিত হচ্ছে এবারের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া আদর আজাদ–পূজা চেরি অভিনীত সিনেমা ‘লিপস্টিক’। ‘লিপস্টিক’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন কামরুজ্জামান রোমান।
ঝংকার সিনেমা হলে ৫০০টি আসন রয়েছে। প্রতিটি টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা। এবার টিকিটের সঙ্গে প্রত্যেক দর্শকের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে এক প্যাকেট বিরিয়ানি। আগামী এক মাস এই ফ্রি খাবারের ব্যবস্থা চালু থাকবে জানিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ।
সিনেমা হলে প্রতিদিন দুপুর ১২টা, বিকেল ৩টা, সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টায় ‘লিপস্টিক’ ছবি প্রদর্শন করা হচ্ছে। কিন্তু প্রচণ্ড গরমের কারণে প্রতিদিন দুপুর ১২টা ও বিকেল ৩টায় দর্শকের উপস্থিতি কম থাকছে। তবে সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টায় হল ভর্তি দর্শক পাওয়া যাচ্ছে। হল কর্তৃপক্ষ বলছে, দর্শকদের আশানুরূপ সাড়া মিলেছে।
হলে আগত এক দর্শক বলেন, ‘প্রথমে বিশ্বাস করিনি। একজনের কাছে শুনে এখানে সিনেমা দেখতে এসেছি। সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি পাওয়ার বিষয়টি এবারই প্রথম।’
ধুনটে ঝংকার সিনেমা হলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান হোসেন বলেন, টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি দেওয়াতে আমরা ভালোই সাড়া পাচ্ছি। দর্শক টানতেই আমরা এ ব্যবস্থা নিয়েছি। আগের মতো ব্যবসা হচ্ছে না আমাদের, তবে নির্মাতারা ভালো ছবি তৈরি করলে আবারো সিনেমা হলমুখী হবেন দর্শক। পাশাপশি সরকারি প্রণোদনা পেলে এ ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ঢাকাগামী একটি বাস সড়কের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে উদ্ধার করে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। এ সময় গাছের ডালে লেগে বাসের ছাদ ভেঙে যায়।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শাহজাদপুরে বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের টেটিয়ারকান্দি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আল শামীম নামে একজন যাত্রী মারা গেছেন। তিনি পাবনার সুজানগর উপজেলার মধুপুর গ্রামের রাশেদুল ইসলাম আবুর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, পাবনা থেকে ঢাকাগামী সি লাইনের একটি দ্রুতগামী বাস মহাসড়কের টেটিয়ারকান্দি এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে রাস্তার পাশের গাছে ধাক্কা দিলে বাসের পুরো ছাদটি উড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ৮ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল শামীমের মৃত্যু হয়।
আহত বাকি ৭ জনের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এআই
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু হলেন- পশ্চিম চান্দশীরকাপন গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে রিহান আত্তার ইয়াছিন (১০) ও নেত্রকাণার বারহাট্রা থানার নৈহাটি গ্রামের ইউসুফ রুহান (১১)। সম্পর্কে তারা ফুফাতো ও মামাতো ভাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত সরকার।
ইয়াছিন ও রুহান দুজনেই বিশ্বনাথ আলিয়া মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণির ছাত্র। ইউসুফ রুহানের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বনাথ পুরান বাজারের ময়নুলের বাসায় বসবাস করে আসছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলা সদরের তাদের বাড়ির পাশে পুকুরে পানিতে ইয়াছিন ও রুহান পড়ে যায়। এরপর তাদের পরিবারের সদস্যরা দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। পরে তাদের মরদেহ পুকুরের পানিতে ভেসে ওঠলে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
বিশ্বনাথ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত সরকার বলেন, রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।
এআই
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায় তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোক করে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।
মৃত রিকশাচালক হানিফ মিয়া (৩৪) হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং সিলেট শহরে অস্থায়ীভাবে বসবাস করে রিকশা চালাতেন।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান গণমাধ্যমকে জানান, দুপুর ১২টার দিকে এক রিকশাচালক দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, নিহত রিকশাচালকের মরদেহ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৬ সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল থেকেই তীব্র গরম পড়েছে, প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ নিম্নবিত্ত সহ সব ধরনের মানুষের। অতিরিক্ত গরমে হাসপাতালেও বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।
শনিবার দুপুর ৩টার দিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.৬ ডিগ্রি রেকর্ড করে মৌলভীবাজার জেলা আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আগের দিন শুক্রবার বিকেল এবং রাতের দিকে হালকা বৃষ্টি হলেও শনিবার সকাল থেকে জেলার আবহাওয়া ছিল উত্তপ্ত। দুপুর নাগাদ রোদের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে তাপদাহ। এতে বিপাকে পড়েছেন রিকশা চালক, ভ্যান চালক সহ বাইরের কাজে নিয়োজিত নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষরা। অতিরিক্ত গরমের কারণে সড়কে মানুষজনের আনাগোনা ও অনেক কম।
এ দিকে গত কয়েকদিনের চলমান গরমের কারণে মৌলভীবাজারের সদর হাসপাতালে বেড়েছে গরম জনিত রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা। তীব্র গরমে ডায়রিয়া, সর্দি, জ্বর কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া সহ নানান ধরনের রোগীর আনাগোনা বেড়েছে হাসপাতালে।
এ বিষয়ে হাসপাতালে কর্মরত নার্সরা জানান, গরম জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে এই কয় দিনে প্রচুর সংখ্যক রোগী এসেছেন, এদের মধ্যে নবজাতক ও বৃদ্ধের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণের।
অতিরিক্ত গরমের এই সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। তাছাড়া ঘন ঘন পানি পান করার কথাও জানান চিকিৎসকরা। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে পুরো এপ্রিল মাস জুড়েই থাকতে পারে এরকম তাপদাহ।
বৃন্দাবন সরকারি কলেজে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের রজত জয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় কলেজ ক্যাম্পাসের বটতলায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন টানা চতুর্থবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়রম্যান আলেয়া আক্তার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি আবু জাহির বৃন্দাবন সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল স্থাপনের আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়াও অতীতের ন্যায় এ কলেজে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।
রজত জয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সৈয়দ মোঃ ছগির। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও প্রাক্তণ শিক্ষক ফখরুদ্দিন খান পারভেজ।
বক্তব্য রাখেন উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মুসলেম উদ্দিন, আবু জাহির উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও দাওয়াত কমিটির আহবায়ক লায়ন মোঃ আসাদুজ্জামান, জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফ-ই রহমান তন্ময়, সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান রবিন প্রমুখ।
দিনব্যাপি রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে, র্যালি, আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং র্যাফেল ড্র করা হয়। এতে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তণ ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে রজতজয়ন্তী উপলক্ষে স্মরণিকা ‘স্পিরুলিনার’ মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
এআই
হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও টানা চতুর্থবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেছেন, কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা কৃষকের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। এখন সারের জন্য কৃষককে জীবন দিতে হয় না। কৃষিপণ্য নিয়ে কাঁদতে হয় না।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষক ও কৃষিকে বাঁচিয়ে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে চায়। বাংলাদেশ সবদিক থেকে উন্নত ও সমৃদ্ধ হবে, সেই লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলা কৃষক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি আবু জাহির এসব কথা বলেন।
এ সময় সরকারের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যেন কোন অপশক্তি স্লান করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবিগঞ্জে কৃষক লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন।
এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ র্যালি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে কৃষক লীগ। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবীর রেজা ও সঞ্চালনা করেছেন সদস্য সচিব মোঃ আব্দুর রউফ। এতে কৃষক লীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এআই