জাতীয়
সব দেখুনসর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুনচলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
দেশের অন্যতম রিটেইল চেইন শপ ‘স্বপ্ন’ মিরপুর ১-এর মনিপুর ৬০ ফিটের বারেক মোল্লার মোড়ে নতুন আউটলেট চালু করেছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ১১টায় স্বপ্ন’র নতুন এই আউটলেট উদ্বোধন করা হয়। স্বপ্নের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, “আমার বিশ্বাস, নতুন এ আউটলেটে আমাদের সেবার পরিসর আরো বিস্তৃত হবে।”
স্বপ্নের পরিচালক (অপারেশনস) আবু নাছের বলেন, “উদ্বোধন উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য রয়েছে মাসব্যাপী আকর্ষণীয় সব অফার। বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি ছাড়াও থাকছে নগদ মূল্যছাড়।”
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইনভেস্টর রুবেল আহম্মেদ, স্বপ্নের হেড অব বিজনেস এক্সপ্যানশন মো. শামছুজ্জামান, স্বপ্ন'র রিজিওনাল হেড অফ অপারেশন সাকের নুর, এরিয়া সেলস অপারেশন ম্যানেজার আলী আকবরসহ অনেকে।
পিএম
ঢাকার হাতিরঝিলের মধুবাগের একটি বাসায় অভাবের সংসারে চিকিৎসার জন্য ওষুধ কিনতে না পেরে জয়নাল আবেদীন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ওই ব্যক্তি পেশায় রিকশাচালক ছিলেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত পৌনে ৯টায় মারা যান তিনি।
জয়নাল আবেদীন রংপুরের পীরগঞ্জ থানার হাসানপুর গ্রামের মৃত মোজামিয়ার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার মধুবাগের ৩ নম্বর গলির বাসায় ভাড়া থাকতেন।
নিহতের স্ত্রী মঞ্জিলা বেগম জানান, আমার স্বামী রিকশা চালাতেন। চার বছর আগে হার্টের রোগ ধরা পড়ে তার। আমি বাসা বাড়িতে কাজ করি। আমার এক মেয়ে এক ছেলে। মেয়েটি একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে। ছেলেটির বয়স পাঁচ বছর। আমরা গরিব মানুষ। হার্টের রোগের চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা পয়সা লাগে। আমার স্বামী এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কোনো কাজই করতে পারত না। আমাদের মা-মেয়ের সামান্য এই টাকায় সংসার চলত। অভাবের সংসারে খুব কষ্ট করে দিন চলে আমাদের। স্বামীর হার্টের রোগের চিকিৎসার জন্য এত টাকা পয়সা আমাদের নেই। তাই কখনো আমরা তার জন্য ওষুধ কিনে দিতে পারতাম, আবার অনেক সময় পারতাম না।
তিনি আরও জানান, আজ সন্ধ্যার পর শরীরের ব্যথায় আমার স্বামী কাতর হয়ে পড়ছিলেন। কিন্তু টাকা না থাকায় তার জন্য ওষুধ আনতে পারিনি। এই কষ্টে আমার স্বামী নিজের পেটে চাকু চালিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। পরে আমরা এই অবস্থা দেখে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। পরে এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রাতের দিকে মারা যায়।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হাতিরঝিল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি হাতিরঝিল থানাকে জানিয়েছি। ঘটনাটি তারাই তদন্ত করছে।
এফএস
রাজধানীর বনানী এলাকার কড়াইল বস্তিতে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সাত ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। একটি ইউনিট কাজ করছে।
রবিবার (২৪ মার্চ) বিকাল ৪টা ৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।
তিনি জানান, খবর পেয়ে একটি গিয়ে কাজ শুরু করেছে। আরও সাত ইউনিট পথে আছে।
এআই
রাজধানীর চকবাজারের ইসলামবাগ এলাকায় কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) রাত সাড়ে তিনটার দিকে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুন লাগার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ বলেন, চকবাজারের ইসলামবাগে একটি কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার খবর আসে রাত সাড়ে ৩টায়। খবর পেয়ে ৫ মিনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। আগুনের মাত্রা বেশি হওয়ায় এরপর একে একে আটটি ইউনিট পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে পানির স্বল্পতায়। অগ্নিকাণ্ডে ভবনের সামনে ও পেছনে লাগোয়া অনেকগুলো ভবন থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ারও একটা শঙ্কা ছিল। সর্বশেষ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে সকাল ৬টায়। আগুনের পাশাপাশি প্রচন্ড ধোয়ার কারণে প্রথমে ভেতরে প্রবেশ করতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের।
আগুনের কারণ বা ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের কারণ জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গেছেন। তারা পরিদর্শন করবেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এরপরে জানা যাবে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
এআই
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ৬ এপ্রিল থেকে যাত্রী পরিবহনের জন্য সারাদেশের বিভিন্ন নৌপথে নিয়মিত লঞ্চের পাশাপাশি বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু হবে। সেই সঙ্গে অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্তে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের চার-পাঁচ দিন আগে আগামী ৬ এপ্রিল ঢাকার সদরঘাট নৌ-টার্মিনাল থেকে বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু করবে। এ জন্য ইতোমধ্যে ১৩০টি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি রুটে এসব লঞ্চ চলাচল করবে।
বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, আগামী ৬ এপ্রিল সদরঘাট টার্মিনাল থেকে বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু হবে। ইতিমধ্যে ১৩০টি লঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। ঈদে নদীপথে ঘরমুখী মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। অগ্রিম টিকিট বিক্রি বিষয়ও সভায় আলোচনা হয়েছে কিন্তু দিনতারিখ এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এক সপ্তাহ বা পাঁচ-ছয়দিন আগেই জানানো হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দক্ষিণাঞ্চলগামী বেশ কয়েকজন যাত্রী সদরঘাট টার্মিনালে এসে লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিটের জন্য ঘুরছেন। তারা টার্মিনালের পন্টুনে ভেড়ানো লঞ্চগুলোতে গিয়ে অগ্রিম টিকিটের খোঁজ করেন। ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট কাটতে আসা সদরঘাট টার্মিনালে সাইফুল আকবর। তিনি বলেন, ৮ এপ্রিল গলাচিপায় গ্রামের বাড়ি যাব। তাই ভিড় এড়াতে আগে থেকেই লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বুকিং দিতে এসেছি। এসে শুনলাম, এখনো লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়নি। শিগগিরই অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এ কথা শুনে সেখান থেকে ফিরে আসি। ভাবছি, দুই থেকে তিন দিন পর আবার সদরঘাট আসব।
আরেক যাত্রী মিরপুর এলাকা থেকে আসা ফেরদৌসী জাহান বলেন, ঈদে প্রতিবছর পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে একসঙ্গে ঈদ উদযাপন করি। লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রির ঘোষণার পর টিকিট নিতে এলে অনেক ভিড় থাকে। আবার প্রায় সময় টিকিটও পাওয়া যায় না। সেই কথা ভেবে আগেভাগে টিকিট নিতে এসেছি। চর ফ্যাশনগামী এমভি টিপু লঞ্চে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, কিছুদিন পর অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। তখন এসে টিকিট সংগ্রহ করব।
এমভি টিপু লঞ্চের কর্মচারী দিদার হোসেন বলেন, এখনো লঞ্চের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা শুরু হয়নি। কবে থেকে বিক্রি হবে, সে ব্যাপারে মালিকপক্ষ জানে।
এদিকে লঞ্চমালিকপক্ষের ভাষ্য, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিনের যাত্রীর চাপ কম। যারা লঞ্চে নিয়মিত যাতায়াত করেন, সাধারণত তারাই অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করে থাকেন। অগ্রিম টিকিট ছাড়ার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া আসেনি।
অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক ও এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজা লাল জানান, যাত্রীদের ওপর নির্ভর করে বিশেষ লঞ্চের ব্যবস্থা করা হবে। সরকার নির্ধারিত ভাড়া যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে যাত্রীরা লঞ্চের অগ্রিম টিকিটের জন্য আসছেন। তবে অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বিআইডব্লিউটিএ’র পিআরও মোবারক হোসেন মজুমদার জানান, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অভ্যন্তরীণ নদীপথে যাত্রীবাহী নৌযানের নিরাপদ ও দুর্ঘটনামুক্ত চলাচল নিশ্চিত করা এবং যাত্রী সাধারণের জানমালের নিরাপত্তায় যাবতীয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে করার লক্ষ্যে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মোবারক আরও জানান, ঈদের পাঁচ দিন আগে ও পাঁচ দিন পর পর্যন্ত টার্মিনালে লঞ্চের মাধ্যমে কোনও মোটরসাইকেল যাতায়াত করতে পারবে না। এসময় নদীতে কোনও বাল্কহেড চলতে পারবে না। যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করা সব নৌপথে ৬ এপ্রিল থেকে বিশেষ লঞ্চ চলাচল করবে। চাহিদা অনুযায়ী ঈদের পাঁচ দিন পর পর্যন্ত এ বিশেষ লঞ্চ চলবে।
উল্লেখ্য, আসন্ন ঈদে লঞ্চে যাতায়াতকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখানো ও সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে কেবিনে যাতায়াতকারীদের এনআইডি সংরক্ষণ করতে লঞ্চ মালিক-শ্রমিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পিএম
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় শেখ ইট ভাটার ইট বোঝাই একটি পাখিভ্যানের (ইঞ্চিন চালিত ভ্যান) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে মেরে চালক মুকরামিন (৩০) মারা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ১০দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। নিহত মুকরামিন উপজেলার উজিরপুর গ্রামের মোল্লাপাড়ার হামিদুল ইসলামের ছেলে।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির জনান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে দামুড়হুদার শেখপাড়ায় অবস্থিত বকুল মিয়ার শেখ ইট ভাটার পাখিভ্যান চালক মুকরামিন ইট বোঝাই করে উজিরপুর গ্রামে যাচ্ছিলো। যাওয়ার পথে দর্শনা-চুয়াডাঙ্গা সড়কের দামুড়হুদা মডেল মসজিদের সামনে পাখিভ্যানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি গাছে ধাক্কা মেরে মারাত্মকভাবে আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১০টার দিকে সে মারা যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাদিয়া মুকরামিনের মুত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ভারতীয় নাগরিক দীপক কুমারকে (৩৩) পাঁচ বছর পর পরিবারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এবং ভারতের গেদে বন্দরের শুন্য রেখায় দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও থানা পুলিশের কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন দীপক বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলা কারাগারে বন্দি ছিল প্রায় ৫ বছর। দীপকের কুমারের বাড়ি ভারতের বিহার রাজ্যের সামস্তীপুর জেলার মনিহারপুর গ্রামে।
বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে পিরোজপুর জেলা পুলিশের হাতে আটক হয় দীপক। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আদালতের মাধ্যমে তাকে পিরোজপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সাজার মেয়াদ শেষ হলে ২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর প্রত্যাবসনের জন্য সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
পরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দর্শনা বন্দরের চেকপোস্ট দিয়ে দীপক কুমারকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়। দর্শনা সীমান্তে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে দীপক কুমারের বাবা রাম নরেশ ঠাকুর এবং দুলাভাই গৌরব কুমার উপস্থিত ছিলেন।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানের বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার সুবেদার এনামুল কবির, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আতিক, কাস্টমস কর্মকর্তা মো. জাহিদুজ্জামান, শরীফ উদ্দিন, দর্শনা থানার এস আই ফাহিম হোসেন, চেকপোস্টের এএসআই মোমিন প্রমুখ।
ভারতের পক্ষে ছিলেন ১৩২ বিএসএফ সীমানগর ব্যাটালিয়নের স্টাফ অফিসার মেজর পি নাগা রঞ্জন, গেঁদে ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এসি বিতাশী, গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ জিসি দে, কাস্টমস কর্মকর্তা রামাতার পি যাদব, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এএসআই তন্ময় দাস, ডিআইবি সাধন মন্ডল ও নব কুমার চক্রবর্তী, রেডক্রস প্রতিনিধি চিত্তরঞ্জন ন্থা প্রমুখ।
নাশকতা মামলায় চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ জন নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
হাইকোর্ট থেকে নেয়া আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা ১১টায় নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ, মো, জিয়া হায়দার তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় ৬ নেতা-কর্মীর জামিন দেন তিনি।
এদিকে, হাজিরা দিতে আসা বিএনপি জামায়াতের ৫৩ জন নেতা-কর্মী আদালত থেকে পালিয়ে যান।
অ্যাডভোকেড শাহাজাহান মুকুল (বিএনপি'র দলীয় আইনজীবী) বলেন, নাশকতা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন বিএনপি জামায়াত নেতা-কর্মীরা। আগামী রোববার (৩১ মার্চ) আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১০৭ জন নেতা-কর্মী চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এ সময় জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার এদের মধ্যে ৭ জনকে জামিন ও বাকি ৪৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় আদালত থেকে ৫৩ জন নেতা-কর্মী হাজিরা না দিয়ে পালিয়ে যান।
এ্যাডভোকেট শাহজাহান আরও জানান, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগ, পুলিশ-প্রশাসনসহ সবকিছু হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি যে আস্থা ছিল, সেটিও হারিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তারা প্রকৃত ন্যায়বিচার পাননি। আদালত ফরমায়েশিভাবে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে।
মাগুরার মহম্মদপুরে বজ্রপাতে কোরআনের হাফেজ দুই যুবক মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৮মার্চ) বিকালে বৃষ্টির সময় আকস্মিক বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কানুটিয়া গ্রামের জামান মির্জার ছেলে তন্ময় মির্জা (২২) ও একই এলাকার চরপাড়া গ্রামের বাক-প্রতিবন্ধী উমেদ শেখ (২০)।
পরিবারের স্বজনেরা জানায়, তন্ময় একজন কোরআনের হাফেজ ছিল। বাড়ির পাশে রাস্তায় থাকায় অবস্থায় বজ্রপাতে আহত হলে তাকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
অন্যদিকে উমেদ শেখের পরিবারের স্বজনেরা জানায়, মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে আহত হয় উমেদ শেখ। এসময় মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। আফরান মোল্যার বড় ছেলে উমেদ।
একই এলাকার দুইজনের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির ঐতিহ্যবাহী মেহেরুল্লানগর রেলস্টেশনটি আধুনিকায়ন করে পূর্নাঙ্গভাবে চালুর দাবি করা হয়েছে। একই সাথে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম শাটল ট্রেন চালুর জোর দাবি উঠেছে। এছাড়া এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সময় ও আর্থিক অপচয় রক্ষা হওয়ার পাশাপাশি এলাকার উন্নয়ন হবে বলে সচেতন মহলের অভিমত। বর্তমানে শাটল ট্রেন চালু ও মেহেরুল্লানগর রেলস্টেশন আধুনিকায়ন করা যেনো মানুষের প্রাণের দাবি হয়েছে।
জানা গেছে, ২০০৬ সালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে যশোর রেলওয়ে স্টেশন থেকে যবিপ্রবি পর্যন্ত একটি শাটল ট্রেন চালুর মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। যবিপ্রবির প্রথম উপাচার্য প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম সরকার (আর আই সরকার) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পর্যন্ত শাটল ট্রেন চালু, মেহেরুল্লাহ নগর রেল স্টেশনটি আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহন করেন। সংশ্লিষ্ট দফতরে তিনি যোগাযোগও করেছিলেন।
কিন্তু উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়নি । পরবর্তীকালীন উপাচার্য. প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার পরিকল্পনা নেন যশোর বিমান বন্দর হতে ঝাউদিয়া, বাদিয়াটোলা, নলডাঙ্গা, বাগডাঙ্গা, দৌগাছিয়া গ্রামের ওপর দিয়ে যবিপ্রবির ক্যাম্পাস পর্যন্ত একটি রাস্তা নির্মাণের। যাতে বিমান থেকে নেমে সকলে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারেন। রাস্তাটি নির্মাণের সাথে এই এলাকা দিয়ে একটি ইকোনমিস ভিলেজ এবং ইপিজেড শিল্প এলাকা প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা ছিলো তার। তিনিও চাকরি জীবন থেকে অবসরে যাওয়ার পর এসব পরিকল্পনা থমকে যায়। অথচ ওই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হলে এলাকার জনগনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখতো ও ব্যবসা বাণিজ্যের দ্রুত প্রসার ঘটার সম্ভাবনা ছিলো। অথচ প্রায় ১৬ বছর অতিক্রান্ত হলেও সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি।
এদিকে, যবিপ্রবিতে অধ্যয়নরত উত্তরবঙ্গের রাজশাহী, রংপুর,দিনাজপুর,বগুড়া, ঠাকুরগাও, পঞ্চগড়ের ছাত্র ছাত্রীদের ট্রেনে যাতায়াতকালে যশোর রেলস্টেশন পর্যন্ত যেতে হয়। এতে তাদের অর্থ ও সময় দুটোই অপচয় হচ্ছে। যবিপ্রবিতে শাটল ট্রেন ও চুড়ামনকাটির মেহেরুল্লাহ নগর রেলস্টেশন চালু করে আধুনিকায়ন করলে এটি লাঘব হবে। শিক্ষার্থীরা এই অসুবিধার নিরসন চান। শিক্ষার্থীরা এই বিষয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
যবিপ্রবির শিক্ষার্থী তামজিদ আহমেদ জানান, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে শাটল ট্রেন চালুর দাবি করে আসলেও বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ নেই। শাটল ট্রেন চালু করলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দুর হবে।
আরেক শিক্ষার্থী তানিয়া সুলতানা জানান, চুড়ামনকাটি এলাকায় অনেক শিক্ষার্থী ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। বাস বা অন্য কোন যানবাহনে চড়ে ক্যাম্পাসে যেতে তাদের দারুন অসুবিধা হয়। চুড়ামনকাটির মেহেরুল্লানগর রেলস্টেশন আধুনিকায়ন করে শাটল ট্রেন চালু করলে অনেক সুবিধা হতো। কেননা স্টেশন থেকে শাটল ট্রেন যোগে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে পারতেন। যৌক্তিক এই দাবি বাস্তবায়নের দাবি করে এই শিক্ষার্থী।
চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবক অধ্যাপক ও প্রবীন সাংবাদিক মসিউল আযম জানান, তার জীবদ্দশায় এই স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারলে অত্যান্ত আনন্দ লাভ করতেন। এ ব্যাপারে জনমত গঠনে সাংবাদিক সমাজের অগ্রনী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন দফাদার জানান, ঐতিহ্যবাহী মেহেরুল্লানগর স্টেশনটি প্রায় বন্ধ হতে চলেছে। বর্তমানে এখানে কোন কার্যক্রম নেই বললেই চলে। মুন্সী মেহেরুল্লাহর প্রতি সম্মান দেখিয়ে হলেও কর্তৃপক্ষের স্টেশনটি আধুনিকায়ন করা উচিৎ। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম শাটল ট্রেন চালু করার জন্য কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ করেন তিনি।
যবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন জানান, যবিপ্রবিতে শাটল ট্রেন চালুর দাবি দীর্ঘদিনের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত দিনে শাটল ট্রেন চালুর দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনো সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি।
শাটল ট্রেন ও মুন্সী মেহেরুল্লানগর রেল স্টেশন সংস্কার করে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা হয় তাহলে বৃহত্তর যশোর ও খুলনা থেকে আগত শিক্ষার্থী ,শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াতে অনেক উপকৃত হবেন। তারা চুড়ামনকাটি নেমে শাটল ট্রেন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছাতে পারবেন। ফলে পরিবহন খরচ কমে যাবে। অবসরে চলে যাওয়া দুই জন উপাচার্যের মতো তিনিও শাটল ট্রেন চালুর বিষয়ে বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন।
এমআর
পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকা, অবৈধ চেম্বার স্থাপন ও নানা অনিয়মের অভিযোগে কুমিল্লা নগরীর কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল (কুমিল্লা টাওয়ার) কে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে কুমিল্লা নগরীর কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে নগদ ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ লিফট ও অবৈধ চেম্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ও অবৈধ অক্সিজেন প্ল্যান্ট ৩০ দিনের মধ্যে পুনঃপ্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে লিখিত জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আদর্শ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনজুরুল ইসলাম ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. রাহাত।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫ ইউনিয়নে মোট ৩৭জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে স্ব-স্ব ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়া ৪৫টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৫১ জন এবং ১৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৬৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন বিকাল ৪টা পর্যন্ত জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ২নং দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ০৫ জন, ৩নং দালালবাজার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ০৬ জন, ৬নং বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ৬ জন, ১৫নং লাহারকান্দি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ১০ জন এবং ১৯নং তেওয়ারিগঞ্জ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এছাড়া ৫টি ইউনিয়নে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৬৪ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৫১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৯ মার্চ ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। আগামী সোমবার (১ এপ্রিল) হবে মনোনয়নপত্র বাছাই, আপিল দায়েরের সময় ২ থেকে ৪ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ৫ থেকে ৭ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ এপ্রিল। আর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ৯ এপ্রিল।
এ ৫ ইউপি নির্বাচনে মোট ৪৬টি ভোট কেন্দ্রের ২৩৮টি ভোটকক্ষের মাধ্যমে আগামী আগামী ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ২২ হাজার ২২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৪ হাজার ৬৮ জন ও নারী ৫৮ হাজার ৮৫৮ জন এবং হিজড়া ভোটার রয়েছেন ২জন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন মামলা জটিলতায় লক্ষ্মীপুর সদরের ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন বন্ধ ছিল। এর মধ্যে চররুহিতা ইউনিয়ন বাদে বাকি ৫টিতে গত ১০ মার্চ তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীতে নোঙ্গররত ফিশিং বোটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে কোস্ট গার্ড জাহাজ প্রমত্ত। এ ঘটনায় ৪ জন দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে কর্ণফুলী নদীর ১৫ নম্বর ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন- জামাল উদ্দিন (৫৫), মাহমুদুল করিম (৪৫), মফিজুর রহমান (৪৫) ও এমরাম (২৮)।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, পতেঙ্গা এলাকায় ফিশিং বোটে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
এআই
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে মো: মেজবাহ উদ্দিন যোগদান করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে ফটিকছড়ি উপজেলায় এসিল্যান্ড হিসেবে যোগদান করায় তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ফটিকছড়ির সাংসদ খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জেবুন্নাহার মুক্তা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট সালামত উল্লাহ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজিম উদ্দীন মুহুরী, বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান গণ, দুই পৌর মেয়র, দুই থানার অফিসার ইনচার্জ, ইউপি চেয়ারম্যান বৃন্দসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বৃন্দ।
৩৭তম ব্যাচের বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন কার্যালয় যোগদান করেন সহকারি কমিশনার হিসেবে। ১৩ আগস্ট সহকারি কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) হিসেবে পদায়ন পাওয়ার পর খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করেন।
মোঃ মেজবাহ উদ্দিন সাবেক এসিল্যান্ড এটিএম কামরুল ইসলাম এর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
এআইকক্সবাজারের-টেকনাফে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত হওয়া দুই রাখালসহ সেই ১০ জনকে মুক্তিপণ দিয়ে জিম্মি দশা থেকে ফেরত এনেছে ভুক্তভোগী পরিবার। বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে নগদ ১ লাখ ৯০ হাজার টাকার বিনিময়ে অপহরণকারীরা তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেয়।
ফেরত আসা অপহৃতরা হচ্ছে- টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের করাচি পাড়া এলাকার বেলালের দুই পুত্র জুনাইদ (১২) ও মোহাম্মদ নুর (১০), একই এলাকার লেদু মিয়ার পুত্র শাকিল (১৫), শহর আলীর পুত্র ফরিদ আলম (৩৫), নুরুল ইসলামের পুত্র আকতার (২৫), নাজির হোসেনেন পুত্র ইসমাইল প্রকাশ সোনাইয়া (২৪) ও হোয়াইক্যং রৈক্ষ্যং এলাকার আলী আকবর এর পুত্র ছৈয়দ হোছাইন বাবুল (২৬) ও কালা মিয়ার পুত্র ফজল কাদের (৪০)।
স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে জানা যায়, গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং রৈক্ষ্যং ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পশ্চিমে পাহাড় থেকে তাদেরকে পরিবারের কাছে ফেরত পাঠায়।
ফেরত আসা কিশোর শাকিলের পিতা লেদু মিয়া গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, তারা অসহায় হতদরিদ্র পরিবার অনেক কষ্ট করে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছেলেকে সন্ত্রাসীদের জিম্মি দশা থেকে ছাড়িয়ে এনেছি। একই নিয়মে অপহৃতদের পরিবারের সদস্যরা সবাইকে মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত এনেছে বলেও জানান তিনি।
হোয়াইক্যং কানজর পাড়া এলাকার গ্রাম পুলিশ শেখ কবির সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, গত বুধবার সকালে ১০ জন কিশোর ও যুবক পাহাড়ে গরু চরাতে এবং কৃষি কাজ করতে যায়। অপহরণকারীরা তাদেরকে অপহৃত করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা সবাই মিলে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পর অপহৃত ১০ জনকে হোয়াইক্যং ইউপির রইক্ষ্যং ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে তাদের সবাইকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায় অপহরণকারীরা। এরপর পরিবারের লোকজন গিয়ে তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
যাওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হোয়াইক্যং ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো .শাহ জালাল সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, অপহৃতদের পরিবারেরগুলো খুবই অসহায়, তারা অপহরণকারীদের সাথে যোগাযোগ করে অনেক কান্নাকাটি করার পর কেউ ১০ হাজার, কেউ ২০ হাজার এই ভাবে সবাই মিলে প্রায় ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে অপহরণকারীরা তাদের ছেড়ে দেয়। এরপর পুলিশ সদস্যরা মুক্তি পাওয়া অপহৃতদের সবাইকে তাদের হেফাজতে নেয়। সেখান কম বয়সী শিশু-কিশোর ৪ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। বাকি ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অপহরণে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করার জন্য থানায় নিয়ে যায়। তারা এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনি সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, ঘটনার পর থেকে পুলিশ সদস্যরা গহীন পাহাড়ে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে এরপর অপহরণকারীরা দিশেহারা হয়ে তাদেরকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। সেখান থেকে কম বয়সী ৪ জনকে পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অপহরণকারীদের চিহ্নিত করতে অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করছি আমরা খুব শিগগিরই পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা এবং আড়ালে থেকে অপহরণকারীদের সহযোগিতা করা অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
প্রমত্তা যমুনার বুকে দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণের কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইল অংশে ৯২ শতাংশ ও সিরাজগঞ্জ অংশে ৮০ শতাংশের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ফলে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার এখন দৃশ্যমান।
আগামি ডিসেম্বরের মধ্যে এ মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সেতুটি চালু হলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি ট্রান্সএশিয়ান রেলপথে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি বেগবান হবে।
যমুনার ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে দেশের দীর্ঘতম ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ডুয়েলগেজের এ সেতুতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে। তবে শুরুতে (উদ্বোধনের ১ বছর) সেতুর ওপর দিয়ে দুইটি ব্রডগেজ ও মিটারগেজ ট্রেন ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারবে। প্রায় ৭ হাজার দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও শ্রমিকের দিনরাত পরিশ্রমে দ্রুত এগিয়ে চলেছে রেল সেতুর নির্মাণকাজ।
টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ অংশে দুইটি প্যাকেজের আওতায় ৫০টি পিলার ও ৪৯টি স্প্যানের সমন্বয়ে এ রেল সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪৯টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৭টি স্টিলের স্প্যান পিলারের ওপর বসানো হয়েছে। বাকি ১৬টি স্প্যান বসানোর কাজ চলছে। রেল সেতুতে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ দুই ধরনের ট্রেনই সেতুর সঙ্গে রেল সংযোগ তৈরি করতে দুই প্রান্তে ভায়া ডাক ও ৩০ কিলোমিটার ডাবল লাইনের রেলপথের কাজও দ্রুতগতিতে চলছে। সেতুর স্প্যানে পারবিহীন রেললাইন বসানো হচ্ছে। দেশের রেললাইনে জাপানি এ প্রযুক্তির ব্যবহার এটাই প্রথম। এ প্রযুক্তিতে স্টিল স্ট্রাকচারের গার্ডারের সঙ্গে রেললাইনের সংযোগ প্রযুক্তিতে কোনো স্লীপার থাকবে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, যমুনার বুকে ভারি ভারি যন্ত্র বসিয়ে সারিবদ্ধভাবে নদীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ৪৯টি পিলার। উত্তাল যমুনার ওপর দেশের এ মেগা প্রকল্পকে ঘিরে নদীর টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের দুই প্রান্তে দিন-রাত দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও নির্মাণ শ্রমিকরা বিরতহীনভাবে কাজ করছেন। কেউ পাইলিং করছেন, কেউ স্প্যানের কাজ করছেন। আবার কাউকে ঢালাইয়ের কাজ করতে দেখা গেছে। বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর ৫০টি পিলারের মধ্যে ৪৯টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে এবং মাত্র একটি পিলার বসানো বাকি রয়েছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে স্টিল অবকাঠামোর সেতুটি চালু করা হবে। মেগা প্রকল্পের এ সেতুর অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল হবে ১০০ বছর।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, দেশের সবচেয়ে বড় এ রেলসেতুতে মোট পিলার (খুঁটি বা পিলার) রয়েছে ৫০টি। ক্রেনের সাহায্যে হ্যামার দিয়ে বসানো হচ্ছে পাইলিং পাইপ। রেলসেতুতে কংক্রিটের পিলার বসানো হচ্ছে। ওপরের সুপার স্ট্রাকচার হচ্ছে স্টিলের।
অপরদিকে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনে প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্মাণকালীন কিছু ঝুঁকির কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- অনুমোদিত ইএমপি অনুযায়ী সড়কের ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রকল্প এলাকার জনগণ ও সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশগত ঝুঁকিতে রয়েছে। আইএমএডি প্রতিবেদনে প্রকল্পের কিছু দুর্বল দিকও প্রকাশ করা হয়েছে। এরমধ্যে রেলওয়ে সড়কবাঁধ নির্মাণে যথাযথ এবং অনুমোদিত পদ্ধতি অনুসরণ না করা, প্রকল্পের কার্যক্রম সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত না করা, চুক্তি মোতাবেক প্যাকেজ ডবিউডি২-এর ল্যাবরেটরিতে মেশিনারি ও জনবল মোবালাইজ না করা, প্রকল্পের ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট কনসালট্যান্ট নিয়োগ না করা, অনুমোদিত ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক পালস (ইএমপি) অনুযায়ী নির্মাণকালীন সড়কের ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়নি ও প্যাকেজে ডব্লিউডি২ সম্পূর্ণ ল্যাবরেটরি টেস্টিং ইক্যুইপমেন্ট শ্রেণি বিন্যাস করা হয়নি ইত্যাদি।
এক্সিট প্ল্যান হিসেবে প্রকল্প বাস্তবায়নের পরে প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার প্যাকেজ ভিত্তিক এক বছর সেতু রক্ষণাবেক্ষণ করবে। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত সেতু ও যাবতীয় ভৌত অবকাঠামো হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। নিয়মিত ও প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের দক্ষ জনবল, যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে এই সেতু এবং ভৌত অবকাঠামোর ডিজাইন লাইফ ১০০ বছর সচল রাখার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানবিরুল ইসলাম জানান, সেতুর পিলারগুলোর ফাউন্ডেশন জাপানি এসপিএসপি ফাউন্ডেশন পদ্ধতিতে দেওয়া হয়েছে। আগামি মে মাসের মধ্যে পুরো স্প্যান বসানো সম্ভব হবে। এ সেতুর ফলে রেলের মাধ্যমে প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে পণ্য পরিবহনে নিজেদের সক্ষমতা তৈরি হচ্ছে। সেতুটি চালু হলে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগে যেমন গতি বাড়বে- তেমনি প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে রেলে পণ্য পরিবহনে সক্ষমতা তৈরি হবে।
তিনি জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৩৮টি রেল চলাচল করতে পারে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু চালু হলে প্রতিদিন ৬৮টি রেল চলাচল করতে পারবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক রুট হিসেবে ভারতের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে নীলফামারীর চিলাহাটি এবং চিলাহাটি বর্ডারের মধ্যে ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজও চলছে। ভারতের ফুলবাড়ী অংশে শিলিগুড়ি পর্যন্ত সেখানকার রেল বিভাগ রেলপথ নির্মাণ করছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম অসীম কুমার তালুকদার জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের গতি সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার। এছাড়া সেতুর ওপর দিয়ে একই সময়ে একটির বেশি ট্রেন চলাচল করতে পারেনা। নতুন রেলসেতু চালু হলে একদিকে যেমন ট্রেনে গতি ফিরবে তেমনি যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সেতু থেকে রাজশাহী স্টেশন পর্যন্ত রেললাইন সংস্কার ও ডাবল লাইন না করা গেলে এই রেলসেতু পুরোপুরি কাজে আসবে না। তা ছাড়া ট্রেনে লাগেজ বগিও যুক্ত করতে হবে। স্টেশনগুলোতে পণ্য পরিবহনে বিশেষ করে কাঁচামাল পরিবহনের উপযোগী অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। রাজশাহীতে উৎপাদিত আম, সবজি ও মাছের মতো কাঁচামালের ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা শিল্প কলকারখানার জন্য কাঁচামাল রেলযোগে সরাসরি উত্তরবঙ্গে আনার সুব্যবস্থাও করতে হবে। তবেই এই রেলসেতুর পুরোপুরি সুফল আসবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে। ইতোমধ্যে মোট প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইল অংশে ৯২ শতাংশ ও সিরাজগঞ্জ অংশে ৮০ শতাংশ রয়েছে। এটি রেলের জন্য যুগান্তকারী একটি প্রকল্প। সেতুর ওপর দিয়ে ১২০ কিলোমিটার বেগে একত্রে চলচল করতে পারবে দুটি ট্রেন। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে।
প্রকাশ, অভ্যন্তরীণ, ক্রস বর্ডার এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে ট্রাফিকের বর্ধিত চাহিদা বিবেচনায় রেখে নির্বিঘ্নে নিরবচ্ছিন্ন রেল চলাচল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিদ্যমান সড়ক সেতুর ৩০০ মিটার উজানে যমুনা নদীর ওপর আরেকটি ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক সম্পন্ন ৪ দশমিক ৮০ কিমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু ও প্রায় ৭ দশমিক ৬ কিলোমিটার ডাবল লাইন সমন্বিত রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ অ্যামবাঞ্চমেন্ট নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলসেতুটি নির্মাণ করার কথা থাকলেও প্রথম সংশোধনীর পর সেতু প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশীয় অর্থায়ন থাকছে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ বা চার হাজার ৬৩১ কোটি টাকা এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিচ্ছে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা- যা পুরো প্রকল্পের ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ।
বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে টাঙ্গাইল শহরের রাবনা বাইপাসে বুধবার রাতে ঢাকাগামী একটি মাইক্রেবাসে তল্লাণি চালিয়ে ৯৬৬ বোতল বিক্রি নিষিদ্ধ ফেনসিডিলসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-১৪।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১৪ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
র্যাব-১৪ জানায়, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মনজুর মেহেদী ইসলামের নেতৃত্বে গোপনে সংবাদ পেয়ে বুধবার রাত ৮টার দিকে মহাসড়কের রাবনা বাইপাসে গাড়িতে তল্লাশি চালায়। তল্লাশিকালে রংপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি মাইক্রোবাসে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৯৬৬ বোতল বিক্রি নিষিদ্ধ ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ ও চারজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল সেট, নগদ এক হাজার ৬৫০ টাকা ও ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হচ্ছেন- লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলার সেবকদাস গ্রামের মো. কফুর উদ্দিনের ছেলে মো. দুলু মিয়া(৪০), একই এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে মাইক্রোবাস চালক মো. রিপন ইসলাম (২২), মো. আমিনুল হকের ছেলে মিনাজুল ইসলাম (২১) এবং একই উপজেলার সেবকদাস নিথক গ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রহিম বাদশা (২৭)।
র্যাব-১৪ আরও জানায়, আটককৃতরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে প্রতিনিয়ত অভিনব কৌশল অবলস্বন করতেন। তারা রংপুর জেলা থেকে আমদানী নিষিদ্ধ অবৈধ ভারতীয় ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে ঢাকা মহানগর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা ব্যক্তির কাছে বিক্রি করতেন। আটককৃতদের নামে সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গাজীপুরের শ্রীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাসে ওঠার সময় কভার্ড ভ্যানের চাপায় এক মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান মাওনা হাইওয়ে থানার এসআই মো. ইসমাইল হোসেন।
নিহত মো. শফিক নূর (৪০) সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কামালপুর গ্রামের মো. হারুন উর রশিদের ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌর এলাকার বেড়াইদেরচালা গ্ৰামের রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থেকে মাছের ব্যবসা করতেন।
এ ঘটনায় কভার্ড ভ্যানের চালক জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে আটক করেছে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে কভার্ড ভ্যানটি।
স্থানীয়দের বরাতে এসআই ইসমাইল জানান, ভোরে ময়মনসিংহের ভালুকা যাওয়ার জন্য ১ নম্বর সিঅ্যান্ডবি থেকে বাসে উঠতে চেষ্টা করেছিলেন শফিক নূর। এ সময় ময়মনসিংহগামী একটি কভার্ড ভ্যান তাকে চাপা দিলে গুরুতর আহত হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফারাহ বলেন, “হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল শফিক নূরকে।”
এসআই ইসমাইল আরও বলেন, কভার্ড ভ্যান ও চালককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান।
এআই
রাজবাড়ীতে ভাঙ্গা ব্রিজ থেকে বাইসাইকেল নিয়ে ব্রিজের নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন এক বৃদ্ধ। আহত ব্যক্তির নাম রমজান বেপারী (৬০) তিনি জেলার পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের মুছিদাহ গ্রামের বাসিন্দা।
বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা সাড়ে চারটার সময় উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের বাগদুলী গ্রামে অবস্থিত চত্রা নদীর ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান ঘটনার সময় আহত রমজান বেপারী সাইকেল চালিয়ে ব্রিজের উপর ওঠে আসেন। এ সময় অপর পাশ থেকে একটি ভ্যান এসে তার মুখোমুখি হয় এ সময় ভ্যান গাড়িটাকে সাইট দিতে গিয়ে পা ফসকে সাইকেলসহ ব্রিজের নিচে পড়ে যান তিনি। ব্রিজের রেলিং ভাঙ্গা থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। পরে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
বিল চত্রা গ্রামের বাসিন্দা ইয়াকুব আলী বলেন, এটা এখন আর ব্রিজ নেই আমাদের জন্য মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ব্রিজটি। বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ এখান দিয়ে যাতায়াত করে, সামনেই ঐতিহ্যবাহী বাগদুলীর হাট। এই হাটে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে আসেন। ব্রিজের অবস্থা বেহাল হাওয়ায় এই হাটে এখন আর আগের মত কৃষক-ব্যবসায়ীরা আসেন না।
স্থানীয় আরেকজন বলেন, কয়েক বছর আগেই ব্রিজের রেলিং ভেঙ্গে গেছে, কিছুদিন হল ব্রিজের মাঝখানে ভেঙ্গে গেছে। সেখানে বাঁশের চরাট দিয়ে কোন মত যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষি পণ্য বোঝাই ভর্তি গাড়ি নিয়ে ব্রিজের উপরে উঠলে থরথর করে কাপে ভয়ে থাকি কোন সময় যেন ভেঙ্গে নিচে পড়ে মৃত্যু হয়। তিনি আরো বলেন ব্রিজটি এত সরু একটি ভ্যান উঠলে আরেকটি সাইকেল যাওয়ার মত অবস্থা থাকে না যার কারণেই গতকাল এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
মৌরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ প্রামানিক বলেন, ব্রিজটি অনেক আগেই ভেঙ্গে গেছে আমি ফ্রি ফ্রি বাঁশ দিয়ে ব্রিজটি মেরামত করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছি। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি তারা বলেছে বাজেট নেই। এখানে অবশ্যই একটি নতুন ব্রিজ প্রয়োজন।
উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি কর্মকর্তা জাকির হাসান বলেন, নতুন ব্রিজের জন্য চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে অনুমোদন হয়ে আসলেই টেন্ডার দিয়ে কাজ শুরু করা হবে। সেই সাথে সবাইকে একটু সাবধান হয়ে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এআই
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে নসিমনের ধাক্কায় তায়েবা নামে তিন বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় কাশিয়ানী মহেশপুর ইউনিয়নের কোড়ামারী এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত তায়েবা কোড়ামারী এলাকার মিরাজুল শেখের মেয়ে।
কাশিয়ানী থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় কাশিয়ানীর বাথানডাঙ্গা-খান্দারপাড় সড়কের কোড়ামারী এলাকায় বাড়ির পাশের রাস্তা পার হচ্ছিল তায়েবা। এ সময় মালামাল ভর্তি একটি নসিমন ওই শিশুটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ওই শিশু গুরুতর আহত হয়। তাকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে শিশু তায়েবার মরদেহটি ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এআই
পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লতাচাপলি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলার মহিপুর থানা শ্রমিকলীগের সভাপতি আবুল কালাম ফরাজী।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মো. আবুল কালাম ফরাজী লিখিত বক্তব্য বলেন, আমি জাতীয় শ্রমিক লীগ মহিপুর থানা শাখার সভাপতি হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছি। আমার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কোন অপরাধনীতি করি নাই। কিন্তু আপনারা জানেন, লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক বহিষ্কারের সুপারিশ প্রাপ্ত এবং লতাচাপলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব আনসার উদ্দিন মোল্লা গত ২৫ মার্চ আলিপুরস্থ বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করেছেন। ২৪ মার্চ গভীর রাতে তার বাসভবনে হামলা হয়েছে এমন দাবি করে আমি ও আমার লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। আমি যতটুকু খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি যে তার বাসভবনের হামলার ঘটনা সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। আমি ও আমার লোকজনকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার চক্রান্তে এমন নাটক সাজানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত ২৭ মার্চ মহিপুর থানায় জিআর ৩৪/২৪ নং একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার বাদী জোলেখা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা যারা আনছার উদ্দিন মোল্লা সকল অপকর্মের সহযোগী ও অনুসারী। দায়েরকৃত মামলায় আমাকে সহ আমার রাজনৈতিক সহকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করেছে। দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের মধ্য দিয়ে প্রত্যাহারের দাবি করছি।
আবুল কালাম ফরাজী বলেন, মামলার এজাহারে উল্লিখিত ঘটনার সাথে আমিও আমার লোকজনের কোন সম্পৃক্ততা নাই। আমি ও আমার লোকজন প্রত্যাক্ষ ও পরোক্ষ সম্পৃক্ততা ছিল না মর্মে দূঢ়ভাবে আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই।
আনসার উদ্দিন মোল্লা ইউনিয়নের অপরাধনীতির মূল হোতা এবং মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা-মোকদ্দমা দায়ের করতে পারদর্শী বলেও মন্তব্য করেন।
ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় নিখোঁজের ২ দিন পর সন্ধ্যা নদী থেকে মামুন হোসেন (২৫) নামে এক অটোচালকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সাতুরিয়া ইউনিয়নের সাতুরিয়া গ্রামের ইদুরবাড়ি এলাকার সন্ধ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মামুন উপজেলার পশ্চিম সাতুরিয়া গ্রামের চেয়ারম্যান বাড়ি সংলগ্ন এলাকার মোকসেদ আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, অটোগাড়ি চালাতো মামুন। গত ২ দিন ধরে সে নিখোঁজ ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশ খবর দেয় স্থানীয়রা।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে, পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরগুনার তালতলীতে প্রেমের টানে ছুটে এসেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার প্রতিবন্ধী যুবক আলআবি মৃধা (২৩) । বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে ওই যুবককে পুলিশ হেফাজতে নেয়। শারীরিক প্রতিবন্ধী ( বাম হাতের কবজি নেই) আলআবি মৃধা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার তুলাই শিমুল গ্রামের জনৈক মনিরুজ্জামান মৃধার ছেলে।
আলআবি মৃধা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কলেজ পড়ুয়া আলআবি মৃধার সঙ্গে আরিফা ইসলাম নামে এক কিশোরীর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে প্রেম হয়। প্রেমের এক পর্যায় ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ দিয়ে দেখা করতে তালতলীর নয়াপাড়া এলাকায় আসতে বলে ওই কিশোরী।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে প্রেমিকাকে দেওয়া কথা রাখতে উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় আসেন আলাআবি মৃধা।
ভুক্তভোগী প্রেমিক আলআবি বলেন, ফেসবুকের মেসেঞ্জারের মাধ্যমে তার সাথে বেশ কয়েকবার কথা ও ম্যাসেজের মাধ্যমে সব সময় কথা হয়েছে। তার ফেসবুক আইডির নাম ছিল (আরিফা ইসলাম)। সে আমাকে আসতে বলেছে আমি এ এলাকায় এসেছি তার সাথে দেখা করতে। আমি এসে জানতে পারি ওটা একটি ফেক আইডি ছিলো। রাতে আমাকে আশ্রয় দিয়েছিলো স্থানীয়রা। পরের দিন সকালে ওই মেয়ের পরিবার আমাকে মারধর করে। পরে পুলিশ এসে আমাকে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রনি বলেন, রাতে ওই ছেলে এই এলাকায় এসেছে তার প্রেমিকাকে দেখার জন্য। পরে আমরা বিষয়টি শুনে তাকে বলেছি, তিনি যে মেয়ের জন্য এসেছেন সেই মেয়ে বিবাহিত এবং এখানে থাকে না শ্বশুর বাড়ী থাকে।
ওই গৃহবধুর শ্বশুর আবুল মিয়া বলেন, কে বা কারা ফেসবুকে আমার ছেলের স্ত্রীর ছবি নাম ব্যবহার করে ওই ছেলের সাথে কথা বলেছে। আমার ছেলের বউ এ ব্যাপারে কিছুই জানে না।
ভুক্তভোগী আলআবির মা খোরশেদা বেগম বলেন, আমার ছেলের তালতলীতে এসে প্রতারণা শিকার হয়েছে। আমি খবর শুনে এসেছি। আমার ছেলে সুস্থ ও স্বাভাবিক আছে আমার কোন অভিযোগ নেই।
তালতলী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম খান জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা থেকে এক যুবক এসেছে তার প্রেমিকাকার সাথে দেখা করতে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবককে পুলিশি হেফাজতে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তার মা ও বোনের নিজ জিম্মায় আলআবি মৃধাকে দেওয়া হয়েছে। তাদের কোনো অভিযোগ নেই।
এমআর
বরগুনার তালতলী উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম শারিকখালী ও দক্ষিণ নলবুনিয়া গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত খালের উপর ১৫০ ফুট লম্বা কাঠের সেতু নির্মাণ করে দিয়েছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজবী-উল-কবির উল কবির। এলাকাবাসীর ভোগান্তির কথা চিন্তা করে নিজস্ব তহবিল থেকে ওই সেতুটি নির্মাণ করে দেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম শারিকখালী ও দক্ষিণ নলবুনিয়া গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত খালের উপর ব্রিজটি ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরে ভেঙ্গে খালে পড়ে যায়। এরপর থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর পূর্ব শারিকখালি, পশ্চিম শারিকখালী, দক্ষিণ শারিকখালি, মধ্যে শারিকখালি ও নলবুনিয়াসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতেন। এছাড়াও এলাকার উৎপাদিত ফসল পরিবহন করতে পারতেন না। জরুরি সময়ে অসুস্থরা চলাচল করতে পারতেন না। সেতুটির অভাবে আশপাশে গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগে শেষ ছিল না।
শারিকখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য ওলি আহমেদ বলেন, সেতু না থাকায় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে এলাকাবাসীকে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের জরুরি চিকিৎসায় দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এছাড়া উৎপাদিত ফসল সময়মতো ঘরে তুলতে পারতো না আবার উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হতো।
স্থানীয় বাসিন্দারা কৃষ্ণ ধোফা বলেন, এখান থেকে প্রতিদিন ৫ শতাধিক মানুষ ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হত। এখন এই সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় স্বস্তিতে মানুষ পারাপার হতে পারবে। আমরা দ্রুত এখানে একটি পাকা সেতু চাই।
করাইবাড়িয়া টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী সুদেব দাস বলেন, আগে ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে গিয়ে অনেকেই বই-খাতা হারিয়ে ফেলতাম। এখন আর এমন হবে না। এখন নিরাপদে সেতু দিয়ে পার হতে পারব। এজন্য চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ।
তালতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজবী-উল-কবির বলেন, এই খাল দিয়ে এলাকাবাসী ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে দেখে কাঠের সেতু নির্মাণ করে দিয়েছি এতে মানুষের ভোগান্তি লাঘব হবে।
পিএম
বরগুনার পাথরঘাটায় বন্য শূকরের কামড়ে নারীসহ ৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের দক্ষিণ গাববাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা গাববাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বেলায়েত মীর (৬০) ও তার ছেলে ইব্রাহিম মীর (৩৫) একই গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে আব্বস প্যাদা (৩৩), আব্দুর রবের মেয়ে ছকিনা (৩২), বড় টেংরা এলাকার আব্দুল হানিফ মোল্লার ছেলে সাইফুল মোল্লা (৩০) এর নাম জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. জসিম হাওলাদার জানায়, হঠাৎ করে বসতবাড়ির বাগান থেকে একটি বন্য শূকর বেরিয়ে বেলায়েত মীরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় বাবার চিৎকার শুনে বাঁচাতে ছেলে ইব্রাহিম মীর গেলে তাকেও কামড় দিয়ে ওখান থেকে চলে যায়। পরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ছকিনা বেগমকে দাওয়া করে তাকেও আহত করে। সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী বড় টেংরা এলাকার বাসিন্দা সাইফুল মোল্লাকেও কামড় দেয়। প্রত্যেকের পায়ে ও হাতে এবং পিঠে কামড়ের চিহ্ন রয়েছে।
তাৎক্ষণিক এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। বর্তমানে বন্য শূকর নিয়ে ঐ এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করতেছে।
এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাশেদা আনজুম হেনা জানান, শুকরের কামড়ে পাঁচ জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছে। তাদের মধ্যে দুজন গুরুতর হওয়ায় তাদের বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
টেংরা বিট কর্মকর্তা আরিফ রহমান বলেন, শুকর মানুষকে শুধু শুধু কামড়ায় না, হয়তো শুকরকে কেউ মারধর করেছে তাই লোকালয়ে এসে মানুষকে কামড়িয়েছে। বর্তমানে শুকরটি গভীর জঙ্গলে চলে গেছে।
এআই
জামালপুরের বকশীগঞ্জে নিজ কার্যালয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা অবরুদ্ধ ছিলেন সাব-রেজিস্টার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম। নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছচারিতা, দলিল লেখক ও জমির দাতা গ্রহীতাদের সাথে অসাদাচরনের অভিযোগে দলিল লেখকরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তার অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকালে সাব-রেজিস্টি অফিসে এই ঘটনা ঘটে। তবে তার বিরুদ্ধে দলিল লেখকদের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে সাব্-রেজিস্টার বলেন দলিল লেখকদের অনৈতিক আবদার না মানার কারনেই তারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। এই ঘটনায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান।
দলিল লেখকরা জানান, গত বছরের ১৫ অক্টোরব বকশীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম। এর আগে তিনি লক্ষীপুর জেলার রামগতি সাব-রেজিস্ট্রার ছিলেন। তিনি যোগদানের পর থেকেই দলিল লেখকসহ জমির দাতা গ্রহীতাদের সাথে অসাধাচরন করে আসছেন। কথায় কথায় তিনি দলিল লেখকদের সনদ বাতিলের হুমকি দেন। সকাল বেলার দলিল তিনি রাতে পাশ করেন। মনগড়া ভাবে চালাচ্ছিলেন সরকারি অফিস। সকল দলিল লেখকরা তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েন। দিন দিন তার হয়রানি বেড়েই চলছিল।
বুধববার রেহেনা বেগম নামে এক নারী তারই সহোদর বোন রুবিনা আক্তারকে ৫৮ শতাংশ জমি হেবা মুলে দলিল করে দিতে যান। ওই দলিল নিয়ে সাব-রেজিস্টারের কামরায় যান দলিল লেখক শহিদুল্লাহ। এ সময় সাব-রেজিস্টার জমির দাতার কাছে জানতে চান কেনো তিনি তার বোনকে হেবা মুলে জমির দলিল করে দিচ্ছেন। কত টাকা নিয়েছেন।
তার এমন পশ্নে এক পর্যায়ে জমির দাতা বলেন তার বোন তাকে কিছু টাকা দিয়েছেন তাই দলিল করে দিচ্ছেন। এই কথা শোনেই সাব-রেজিস্টার রেগে যান এবং দলিলটি সম্পাদন না করেই ফিরিয়ে দেন। বিষয়টি জানতে দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি আলী আহসান খোকা সাব-রেজিস্টারের কাছে যান। এ সময় সাব-রেজিস্টার আলী আহসান খোকা ও শহিদুল্লাহর সাথে অসাদাচরন করেন এবং তাদের দুজনকেই সাসপেন্ড করেন। মুহুর্তেই এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে অন্যন্যা দলিল লেখকদের মাঝেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ করে সাব-রেজিস্টারের অপসারন দাবি করেন। এক পর্যায়ে সাব-রেজিস্টারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন দলিল লেখকরা। সেই সাথে সাব-রেজিস্টারের অপসারন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতীর ঘোষনা দেন। ফলে বেকায়দায় পড়ে যায় দাতা গ্রহীতারা।
বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি আলী আহসান খোকা বলেন, সাব-রেজিস্টার কোন মানুষকে মানুষ মনে করেন না। অনিয়মকে তিনি নিয়মে পরিনত করেছেন। কথায় কথায় দলিল লেখকদের সনদ বাতিলের হুমকি দেন। আজ বৈধ এক দলিল না করে তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। জানতে চাইলে তিনি আমিসহ একাধিক দলিল লেখকের সাথে খারাপ আচর করেন এবং আমিসহ দুইজনকে সাসপেন্ড করেন। আমরা দলিল লেখকরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি তার অপসারনের দাবিতে।
দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ফিরোজ মিয়া বলেন, বকশীগঞ্জের কোন দলিল লেখক সাব-রেজিস্টারকে এই অফিসে দেখতে চাইনা। তার আচরনে সবাই অতিষ্ট। কোন কারন ছাড়াই দলিল লেখকসহ জমির দাতা গ্রহীতাদের সাথে তিনি খারাপ আচরন করেন। মনগড়া ভাবেই চলছে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস। আমরা তার অপসারন চাই। সাব-রেজিস্টারের অপসারন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতী চলবে বলে জানান তিনি। কোন দলিল লেখক যদি সাব-রেজিস্টারের পক্ষ নিয়ে কোন দলিল সম্পাদন করার চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন তিনি।
বগারচর এলাকার আল আমিন বলেন, ঢাকার কর্মস্থল থেকে একদিনের ছুটি নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করতে এসেছিলেন তিনি। ব্যাংক চালানসহ সকল কাজই সম্পন্ন করেন। হঠাৎ করেই সাবরেজিস্টার ও দলিল লেখকদের দ্বন্ধে তিনি আর দলিলটি করতে পারেননি। পুনরায় আবার ছুটি নিয়ে তাকে আসতে হবে বলে হতাশা প্রকাশ করেন।
এব্যাপারে সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই কিছু দলিল লেখক তার কাছ থেকে অনৈতিক আবদার করে আসছিলেন। তাদের কথামত কাজ না করায় তারা আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, কাউকে সাসপেন্ড করার সূযোগ আমার নেই, তাদের শোকজ করেছি মাত্র। তারা সরকারি সম্পদ বিনষ্টের চেষ্টা এবং কিছু বিনষ্ট করেছে। বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করেছি। পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করেছে। দলিল লেখকরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। এই ঘটনায় তিনি মামলা করবেন বলে জানান।
বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান জানান,এ বিষয়ে লিখিতভাবে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর থেকে টানা ৭ দিন সাব-রেজিস্টার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম এর অপসারন দাবিতে আন্দোলন ও কর্মবিরতী পালন করেছিলেন দলিল লেখকরা। বুধবার ২য় বারের মত সাবরেজিস্টারের অপসারন দাবিতে আন্দোলনে নামলের দলিল লেখকরা।
এআই
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়ন পরিষদের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সাবিকুর রহমানের (শফিক মাস্টার) টর্চার সেল থেকে মঙ্গলবার রাত ৯ টায় আরও এক যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. সাবিকুর রহমানের ভাই শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বুধবার (২৭ মার্চ) গৌরীপুর থানায় মামলা হয়েছে।
‘পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার জন্য’ ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় ঘেঁষে বন-জঙ্গলে ঘেরা উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের সুতিরপাড়া মুন্সিবাড়ি এলাকায় চার ভাইয়ের নেতৃত্বে গড়ে তোলে এই টর্চার সেল। এই টর্চার সেলে এবার নির্যাতনের শিকার হন খুলনার কয়রা উপজেলার হাবিবুর রহমানের পুত্র মাকসিদুল গাজী।
মাকসিদুল গাজী বলেন, অনার্স-মাস্টার্স করে বেকার হয়ে ঘুরছিলাম। একটি জাতীয় দৈনিক ও চাকরির খবর পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে ওয়ার্ল্ডভিশনে সেকশন অফিসার পদে চাকরির আবেদন করেন তিনি। এ চাকরির জন্য সোমবার ইন্টারভিউ দিতে আসেন। তাকে নান্দাইল এলাকা থেকে প্রতারকচক্রটি নিয়ে আসে এ টর্চার সেলে। সেখানে অন্ধকার কক্ষে আটক রেখে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরিবার থেকে টাকা না দেওয়ায় চোখ-মুখ বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়। টাকা না দিলে শরীরের কিডনি খুলে বিক্রি করে দেবে বলেও ভয় দেখায়। দফায় দফায় ওরা অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে আমাকে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিল। গ্রেফতারকৃত শাহজাহান মোটরসাইকেল ড্রাইভিং করছিলেন। আর পেছনে আরেকজন ডেগার (ছুরি) ধরে রাখে। নাপ্তের আলগীর আজিজের মোড় এলাকায় লোকজন দেখে আমি চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে লাফিয়ে পড়ি। এ সময় জনতা মোটরসাইকেল চালককে আটক ও আমাকে রক্ষা করেন। এ সময় অন্যজন পালিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, টর্চারসেলের ভেতরে আরও ৪ জন ছিলেন বলে ওরা আমাকে জানিয়েছে। এছাড়াও এ টর্চার সেলের ভিতরে শত শত চাকরি প্রার্থীর আবেদনপত্র পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌরীপুর থানার এসআই বাহারুল ইসলাম জানান, মাকসিদুল গাজীকে নান্দাইলের খুররম খান কলেজের সামনে থেকে প্রতারকচক্র রিসিভ করে। এরপর গৌরীপুরের ভাংনামারী ইউনিয়নের সুতিরপাড় এলাকার এ টর্চার সেলে নিয়ে আসে। মামলায় শাহজাহান, সবুজ মিয়া ও শফিকুল ইসলামসহ ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গৌরীপুর থানার ওসি সুমন চন্দ্র রায় জানায়, এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত শাহজাহানকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের অপকর্ম জানতে তদন্ত ও এই চক্রের বিস্তারিত জানাতে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, এ জঙ্গলবাড়িতে একটি মাত্র বাতি (বাল্ব) রয়েছে। নির্যাতনের জন্য প্রত্যেকটি রুম একেকটি টর্চারসেল। তিন কক্ষের সমন্বয়ে ভিতরে এক গোপন কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে অপহৃত ব্যক্তিদের আটকিয়ে রাখলেও বাহির থেকে দেখা যায় না। বিভিন্ন চাকরি প্রার্থীদের আবেদনপত্র, বায়োডাটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রুমে রুমে। প্রত্যেক রুমে রয়েছে নির্যাতনে ব্যবহৃত বস্তা, লাঠিসহ নানা সরঞ্জাম।
এদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, মো. সাবিকুর রহমান অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে ভাংনামারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ১০টি কেন্দ্রে ১৫ হাজার ৮৫৮ ভোটের মধ্যে এই প্রার্থী মাত্র ১০৯ ভোট পান। কাঙ্ক্ষিত ভোট না পাওয়ায় জামানতের অর্থও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মো. নেজামুল হক ৫ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এমআর
নেত্রকোনার মদনে ইট ভাঙ্গার মেশিন উল্টে এক শ্রমিক নিহত হয়েছে এবং তিনজন আহত হয়েছে।
আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে মদন থেকে জগন্নাথপুর যাওয়ার সময় উপজেলার উচিতপুর এলাকায় বালই সেতু তে উঠতে গিয়ে মেশিন উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওয়াসিম মিয়া (৩০) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছে।
নিহত ওয়াসিম উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফেকনি গ্রামের মৃত খায়রুল ইলামের ছেলে।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে মদন থানার এসআই মো. শাহ জাহান মিয়া বলেন, ওয়াসিম দীর্ঘদিন ধরে কয়েকজনকে নিয়ে দল গঠন করে ইট ভাঙ্গার কাজ করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকালে ইট ভাঙ্গার মেশিন নিয়ে মদন থেকে খালিয়াজুরী উপজেলার জগন্নাথপুর যাচ্ছিল। বালই নদীর কাছে যাওয়ার পর সেতুতে উঠার সময় সড়কের একটি ভাঙ্গার মধ্যে পড়ে গিয়ে মেশিন উল্টে যায়। এসময় ওয়াসিমসহ সাথে থাকা তিনজন সামান্য আহত হয়। পরে তারা ওয়াসিমকে নিয়ে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ইট ভাঙ্গা মেশিনের চালক সিদ্দিক মিয়া বলেন, ওয়াসিমসহ আমরা মেশিন নিয়ে জগন্নাথপুর যাচ্ছিলাম। বালই সেতুতে উঠার আগে সড়কে একটি খন্দক আছে। ওই খন্দকে চাকা পড়ে গেলে মেশিনটি আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। পরে উল্টে গিয়ে খায়রুলসহ আমরা তিনজন আহত হই। হাসপাতালে আসলে ডাক্তার ওয়াসিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
মদন থানার ওসি তদন্ত মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, ওয়াসিম নামের এক ইট ভাঙ্গার শ্রমিক নিহত হয়েছে। সুরতহালের রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এআইনেত্রকোনার পুর্বধলায় স্বাধীনতা দিবসে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে যাওয়ার হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্রলীগের উপজেলা সভাপতিসহ চারজন। তাদের উপর অতর্কিতে হামলা চালালে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার(২৬ মার্চ) উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে স্লোগান দিয়ে বেরিয়ে যাবার সময় অতর্কিত এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, পুর্বধলা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সেলায়মান হোসেন হাসিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রনি বেপারি, দপ্তর সম্পাদক সালমান হাসান ও কর্মী রুহুল আমীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতা দিবসের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচী সকালেই শেষ হলেওে যারা বিছিন্ন ভাবে আসছেন তারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সেলায়মান হোসেন হাসিব সহ কয়েকজন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা চলে যাচ্ছিলো। এসময় জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে বের হওয়ার পথে অতর্কিতে ছাত্রলীগের আরেকটি অংশের ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হলে তাদের মধ্যে গুরুতর চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
হামলাকারীদের মধ্যে এমপির এপিএস আল আমিন হোসেনের ছেলে সাব্বির আহমদের নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি জাহিদুল আলম প্রভাত, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম খানসহ বেশ কজন হামলা চালায়। এব্যাপারে কথা বলতে সাব্বির আহমদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোনটি কেটে দেন।
পুর্বলধলা থানার ওসি মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফুল দেয়ার কাজ সকালেই শেষ হয়ে গেলে এসিল্যান্ড সহ সকলেই উপস্থিত ছিলেন। পরে দুপুরের দিকে হাসিব তার নেতৃত্বে ফুল দিয়ে স্লোগান দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। এসময় অতর্কিতে এই হামলা চালায়। দেশিয় অস্ত্রসহ। এতে বুঝা যায় পূর্ব পরিবল্পিত। আহতরা চিকিৎসা নিয়েছে। তবে কোন অভিযোগ এখনো দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য গত সংসদ নির্বাচনে আহত ছাত্রলীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীর প্রতকি) এর ভাই জাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডক্টর আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নির্বাচনে কাজ করেছিলেন।
এমআর
ময়মনসিংহের ভালুকায় জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ি এলাকার নাজমুলের বাড়ি হতে ২৪ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। এসময় বাড়ির মালিক মৃত ইব্রাহিম গাজীর ছেলে নাজমুল (২৫) কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ভালুকা মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৫ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভালুকার মডেল থানার এস.আই নিরুপম নাগ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ি এলাকার নাজমুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি ঘরে থাকা ৫০ কেজির ২৪ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধারের পর থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার সাথে জড়িত আরো ৩ জন পালিয়ে যায় বলে পুলিশ জানায়।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ২৪ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এআইদিনাজপুরের বিরামপুর মর্ডান ক্লিনিকে তছলিমা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূ এক সঙ্গে জমজ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু দুই’জনের একজন জন্ম নিয়েছেন এক’পা ও নেই কোনো প্রস্রাব ও পায়ুপথ। একজন সুস্থ আছেন।
বুধবার (২৭ র্মাচ) বিকেলে বিরামপুর মডার্ণ ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তার জমজ সন্তানের জন্ম হয়। তখন থেকে শহরে এ নিয়ে চলছে আলোচনার ঝড়।
জানাযায়, পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখুরিয়া গ্রামের মাহফুজুর ইসলামের গর্ভবতী স্ত্রী তছলিমা বেগম কে বিরামপুর মডার্ণ ক্লিনিকে নেয়া হয়। পরর্বীততে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তার জমজ সন্তানের জন্ম হয়। তাদের মধ্যে একটি মেয়ে সন্তান এবং অপরটি প্রস্রাব ও পায়ুপথ বিহীন এক পা বিশিষ্ট্য সন্তান। এই এক পা বিশিষ্ট্য সন্তান জন্ম নেয়ার খবরে অনেকে শিশুটিকে দেখার জন্য ক্লিনিকে ভিড় করেন। ঐ দম্পতির ৮ বছরের একটি ছেলে এবং ৫ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
জন্ম নেওয়া নবজাতকের বাবা মাহফুজুর ইসলাম জানান, তার স্ত্রী এর আগেও দুই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, তারা সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে জন্মগ্রহন করেন। তাদের পরিবারে প্রথম বারের মতই এমন সন্তানের জন্ম হয়েছে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক। উন্নত চিকিৎসা করার মত নেই কোনো সার্মাথ। উন্নত চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চান সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি ও সরকারের কাছে।
সিজারিয়ান অপারেশন কারী চিকিৎসক ডাক্তার তাহেরা বেগম জানান, জেনেটিক্যাল সমস্যার কারণে জন্মগত ভাবে শিশুটির ত্রুটি দেখা দিয়েছে। শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে। অপারেশনের মাধ্যমে তার প্রস্রাব ও পায়ুপথ বের করা না গেলে তার বেঁচে থাকা সংকটের মধ্যে পড়তে পারে।
এআই
দিনাজপুরের বিরামপুরে নকল’জুস, চকলেট ও পাউডার’জুস সরবরাহ করার সময় দুই ব্যবসায়ীকে এক মাস করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ র্মাচ) দুপুর আড়াই টার দিকে পৌরশহরের ঢাকামোড় নাবিল কাউন্টার এর সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মুরাদ হোসেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে লিটন ইসলাম(২৬), ও একই এলাকার সুরেন্দ্রনাথ মন্ডল এর ছেলে গৌতম কুমার (২৫)।
জানা যায়, ঢাকা থেকে নকল বোতলজাত জুস চকলেট ও পাউডার’জুস সরবারহ করে করছিল। এমন সংবাদ পেয়ে পৌরশহরের ঢাকা মোড় নাবিল কাউন্টারের সামনে অভিযান চালিয়ে দুই’জনকে আটক করা হয়। জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে চার হাজার ১শ' ৫০টি বোতলজাত নকল জুস, দুই কার্টুন পাউডার জুস ও দুই কার্টুন চকলেট।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেন জানান, নকল পণ্য সরবারহের সময় দুই’জনকে ১ মাস করে ভ্রাম্যমাণ আদালত কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
এআই"কৃষ্ণস্ত ভগবান স্বয়ম বিশ্বশান্তি কল্পে" কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ষোল প্রহর ব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম অনুষ্ঠানে এক ধর্মীয়ান আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাত ৯টায় রাবাইতারী সার্বজনীন দোল মন্দির প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সার্বজনীন দোল মন্দিরের সভাপতি রবিন্দ্রনাথ মোহন্তের সভাপতিত্বে ও ভাঙ্গামোড় ইউনিয়ন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক বিপুল চন্দ্র সরকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী সরকার, প্রধান ধর্মীয় আলোচক উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কার্ত্তিক চন্দ্র সরকার, নাগেশ্বরী উপজেলার ঘরজেয়াটার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রতিকান্ত রায়, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনীল চন্দ্র রায়, রাবাইতারী সার্বজনীন দোল মন্দিরে সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়, সদস্য প্রধান শিক্ষক বিপুল চন্দ্র রায় ও শ্যামল চন্দ্র কর প্রমূখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাবাইতারী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুকুল আলী, রাবাইতারী বসুনিয়াটারী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শুধাংশু চন্দ্র রায়সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সুধীজন।
প্রধান দুই ব্যক্তির ধর্মীয় আলোচনা শেষে অতিথি শিল্পীদের নিয়ে এক জমকালো ভজন কীর্তন চলে রাত ১টা পর্যন্ত। এরপর অধিবাসের মধ্য দিয়ে ষোল প্রহর ব্যাপী নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ধোধন অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার বিকালে ভোগরাগ ও মোহন্ত বিদায়ের মধ্য দিয়ে চারদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
এআই
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ৫০ বছরের পুরোনো গ্রামীণ রাস্তা জোর পূর্বক বাঁশের বেড়া দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন কয়েকজন প্রভাবশালী। এতে প্রায় এক হাজার পরিবারের প্রায় ৫ হাজার মানুষ চলাচল করতে পারছেন না। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পরিবারগুলোর মানুষজনকে। উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের বগাপাড়া এলাকায় এমন ঘটনাটি ঘটেছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের পর থেকেই ওই রাস্তা দিয়ে মানুষজন চলাচল করে আসছে। গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাস্তার মালিকানা দাবী করে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয় বাইজিদ ইসলাম ও খয়বর মিয়া। এতে জরুরী কাজে বেড় হতে পাচ্ছেনা এলাকাবাসীসহ পথচারীরা।
স্থানীয় মিয়াজ উদ্দিন, ফারুক হোসেনসহ অনেকেই জানান, রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় অন্য অন্য একটি এলাকা দিয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে যাতে করে শিশু, মহিলাসহ বৃদ্ধদের জন্য খুবই কষ্ট কর। এখন বোরো মৌসুম মাঠে কাজ চলছে এই রাস্তা দিয়ে কৃষকেরা মাঠে যেতে পারছে না। বর্তমানে চরম দুর্ভোগে আমরা পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। আমরা অতিদ্রুত চলাচলের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
রাস্তা দখলকারী বাইজিদ ইসলাম ও খয়বর মিয়া জানান, আমাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা আমরা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। এতদিন আমাদের জমির গাছপালা কেটে রাস্তা নির্মাণ করে চলাচল করতে দিয়েছি এখন আর দিবো না।
হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শায়খুল ইসলাম নয়া বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ এই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতাউর রহমান বলেন, রাস্তা বন্ধের খবর পেয়েছি। দ্রুত প্রশাসনের লোক পাঠিয়ে রাস্তাটি চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।
এআইদেশের প্রতি ভালোবাসা ও মমত্ববোধ প্রকাশের অন্যতম নজির স্থাপন করেছেন স্কুলশিক্ষক মো: আবু জাফর (৩৫)। তিনি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় নিজস্ব জমিতে ধানের চারা দিয়ে বানানো শস্যচিত্রে ফুটিয়ে তুলেছেন ‘জাতীয় পতাকা’। একটু বাতাস এলেই দোল খায় ধান গাছ, দোল খায় জাতীয় পতাকা। এতে তৈরি হয় মনোরোম দৃশ্য। স্বাধীনতার মাসে এই পতাকা দেখতে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনেকে ভিড় করছেন।
মো: আবু জাফর উপজেলার উলিপুর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষক আবু জাফর চলতি বছরে এক একর ত্রিশ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করেছেন। এর মধ্যে ক্ষেতের প্রায় এক শতাংশ জমিতে ফুটিয়ে তুলেছেন পতাকার শস্যচিত্র। জমির আইলের পাশ দিয়ে বেগুনি ধান গাছের চারা রোপন করে ফুটিয়ে তুলেছেন পতাকার খুঁটি। বিরি-১০৪ জাতের ধানের সবুজ চারা রোপন করে তৈরি করেছেন পতাকার জমিন ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ বেগুনি ধানের চারা রোপন করে বৃত্ত তৈরি করেছেন।
এ বিষয়ে আবু জাফর জানান, আমি শিক্ষকতার পাশাপাশি কৃষিকাজও করি। দেশের প্রতি ভালোবাসা ও মমত্ব প্রকাশে ধান ক্ষেতে জাতীয় পতাকার চিত্র ফুটিয়ে তুলেছি। স্বাধীনতার মাসে অনেকেই এ পতাকা দেখতে আসছেন।
দর্শনার্থী সাইদ মিয়া বলেন, ধান ক্ষেতে জাতীয় পতাকার আদল ফুটিয়ে তোলার দৃশ্যটি মুগ্ধকর।
কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ- পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, মো: আবু জাফল দেশের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে জমিতে জাতীয় পতাকার আদলে যে শস্যচিত্র ফুটিয়ে তুলেছে সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
এফএস
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে স্বপন হোসেন বাবু (৩৫) নামে এক পথচারী যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর একটার দিকে বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের কোমল দোগাছী এলাকায় নিলুফা ইয়াসমিন রাইস মিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বাবু একই এলাকার বাছের আলী মন্ডল বাচ্চুর ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুপুর একটার দিকে কোমল দোগাছী এলাকায় নিহত বাবুর বাবার মালিকানাধীন ‘ভাই ভাই ট্রেডার্স’ নামের গুড়া চালনি মিল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় নওগাঁ থেকে বগুড়াগামী অজ্ঞাত একটি দ্রুতগামী খালি ট্রাক বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে যাওয়ার সময় চাকায় পিষ্ট হয় বাবু। স্থানীয়রা আদমদীঘি ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিলে তারা দ্রুত এসে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয় তাকে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘাতক ট্রাকটি আটক করা সম্ভব হয়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের। রমজান মাসে এটি দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন দর্শনার্থী উপস্থিত হয়।
২০২৩ সালের শেষের দিকে উদ্বোধন করা হয় উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ। ১৯৮৩ সালে ইটের দেয়াল ও ছাদে নির্মিত হয় মসজিদটি।
নতুন এই মসজিদ নির্মাণ নিয়ে কথা হয় মসজিদ কমিটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক গোলাম মোস্তফার সাথে। তিনি জানান, পুরাতন মসজিদের জরাজীর্ণ অবস্থা এবং মুসল্লীদের জায়গা সংকট হওয়ায় তৎকালীন ইউএনও মো. উজ্জল হোসেনের কাছে জানানো হয়। এবং একটি নতুন মসজিদ নির্মাণের কথা বলা হয়। পরে ইউএনও মোঃ উজ্জল হোসেন উদ্যোগী হয়ে পেশাজীবি, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় বাসিন্দাদের অর্থায়নে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ তৈরী করেন। প্রায় ১ বছর ইট, পাথরে বিভিন্ন কারুকার্য করে ৩ তলা বিশিষ্ট মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ৪ হাজার স্কয়ারফিট মসজিদের দেয়ালে কার্লিওগ্রাফী যেন সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।
মসজিদটির অসাধারণ নির্মাণ শৈলী, এর রং ও লাইটিং দূর থেকেই কাছে টানছে দর্শনার্থীদের। নির্মাণের পর থেকেই প্রতিদিন মসজিদটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন হাজারো দর্শনার্থীরা।
অসাধারণ লাইটিং ও মসজিদের মোহনীয় সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। মসজিদ দেখা শেষে মুগ্ধতার আবেশ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিম ও দর্শনার্থীরা। দিনের আলো, সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহুর্ত ও রাতের অন্ধকার, তিন সময়ে ভিন্নরকম সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ। তবে সন্ধ্যার পর মসজিদের লাইট জ্বালানো হলে ফুটে ওঠে এর দূতি ছড়ানো সৌন্দর্য। এর সামনেই রয়েছে বাহারী ফুলের বাগান, ফুলের সৌন্দর্য আর সুঘ্রাণ মুগ্ধ করছে সবাই কে। এসি ব্যবহার করা হয়নি তবে আধুনিক ব্যবস্থাপনায় নির্মিত মসজিদে গ্রীষ্মকালে সারাক্ষণ থাকে ঠান্ডা আবহাওয়া এবং শীতকালে গরম আবহাওয়া বিরাজমান। মসজিদটিতে রয়েছে ১ হাজার মুসল্লীর একসাথে নামাজের ব্যবস্থা এছাড়াও নারীদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। মসজিদের নিচতলায় রয়েছে ইসলামিক লাইব্রেরি, আরাবি ভাষা চর্চা কেন্দ্র।
মসজিদ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে উল্লাপাড়া উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা। মসজিদে নামাজের জন্য একজন ইমাম, একজন মুয়াজ্জিন ও ১ জন খাদেম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মসজিদের খাদেম নুরুজ্জামান জানান, পুরাতন মসজিদে মুসল্লীদের নামাজ পড়তে অনেক কষ্ট হতো। কিন্তু বর্তমানে এই নতুন মসজিদ যেমনটা নান্দনিক তেমনটি নামাজের জন্য আরামদায়ক। দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থী আসে মসজিদ দেখার জন্য। রমজান মাসে এখানে কুরআন তেলওয়াত হয়।
উল্লাপাড়া উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার মো. হাসান আলী জানান, উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের এরকম সৌন্দর্য আমি কখনও দেখিনি। এখানে নামাজ পড়ে মনে অনেক প্রশান্তি পাই। এখান থেকে ঘরে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে না।
মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ যিনি নিয়েছিলেন তৎকালীন ইউএনও মো. উজ্জল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, পুরাতন মসজিদে মুসল্লীদের নামাজ পড়তে অনেক কষ্ট হতো জায়গা সংকট ছিল। উল্লাপাড়ার স্থানীয় মুসল্লীদের অনুরোধে নতুন মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করি। দীর্ঘ এক বছর নির্মাণ কাজ করে সম্পুর্ণ করা হয়েছে। এটির নঁকশা ইউএনও নিজেই করেছেন বলে জানান তিনি।
রাজশাহীতে বোনকে পরিকল্পিতভাবে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তার সৎভাইয়ের বিরুদ্ধে।
পুলিশ বলছে, ঘটনার সময় মেয়েটির সৎভাই ছাড়াও তার স্ত্রী এবং এক বন্ধু ছিলেন। তারাও এই খুনের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত। এ ঘটনায় তিনজনকেই আটক করেছে পুলিশ।
নিহত তরুণীর নাম সন্ধ্যা রানী (২০)। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শীচা পাচপীর গ্রামের শ্রী হরিলালের মেয়ে সন্ধ্যা রানী।
খুনের অভিযোগে আটক তিনজন হলেন- সন্ধ্যার সৎভাই ফুলবাবু রবিদাস ওরফে বাবু (২২), ফুলবাবুর স্ত্রী মিনতী রানী (২৫) এবং বন্ধু আদিল আহমেদ পলক (১৯)। পলকের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার লালপুকুর গ্রামে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফুলবাবু তার স্ত্রী মিনতী ও সৎবোন সন্ধ্যাকে নিয়ে রাজশাহীর কর্ণহার থানা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে গোদাগাড়ীর গোগ্রাম এলাকায় নির্মাণাধীন ফাঁকা পড়ে থাকা একটি দোতলা বাড়ির ওপরের তলার বাথরুমে সন্ধ্যার মরদেহ পাওয়া যায়। তার পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। দুপুরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গোদাগাড়ী থানার ওসি আবদুল মতিন জানান, সন্ধ্যা রানীর মরদেহের পাশে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়। এই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে নিহত তরুণীর পরিচয় জানা যায়। এছাড়া এই খুনের সঙ্গে জড়িতদেরও শনাক্ত করা সম্ভব হয়। এরপরই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।
ওসি জানান, ফুলবাবু তার স্ত্রী আর বোনকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। সেখানে সন্ধ্যার একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রাজশাহী চলে আসার পর ফুলবাবু তার বোনের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যা বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলেন না। তাই তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়। এ জন্য ফুলবাবু, তার স্ত্রী মিনতী ও আদিল মঙ্গলবার বিকেলে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে সন্ধ্যাকে সিএনজি অটোরিকশায় করে গোদাগাড়ীর গোগ্রাম এলাকায় যান। আসার আগে রাজশাহীর হড়গ্রাম বাজার থেকে একটি ছোট ছুরি আর কাটার কিনেন। গোগ্রাম গিয়ে তারা সিএনজিটি ছেড়ে দেন। পরে হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করেন। এ সময় কৌশলে ওই নির্মাণাধীন ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। যাওয়ার সময় ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে ধানের জমির নালায় ছুরি পুঁতে রেখে যান। আসামিদের নিয়ে বিকেলে ওই ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করা হবে। কিন্তু মামলার বাদী করার মতো কাউকেই পাওয়া যাচ্ছে না। পরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
এআই
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১২ কেজি ৮৭৫ গ্রাম ওজনের একটি কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করেছে র্যাব-৫।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার হরিপুর (পাজরাপাড়া) এলাকা থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব-৫ ক্যাম্পের ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হরিপুরে অভিযান পরিচালনা করে ১২ কেজি ৮৭৫ গ্রাম ওজনের মূল্যবান কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পরে মূর্তিটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এআইনওগাঁর পোরশা উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর গুলিতে নিহত আল-আমিন এর মরদেহ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে একদিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাত ৯টায় পোরশা সীমান্তের হাঁপানিয়া এলাকায় ২৩৬ মেইন পিলারের কাছে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উভয় বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নওগাঁ-১৬ বিজিবির নিতপুর ক্যাম্পের সুবেদার মাহফুজুর রহমান জানান, আল আমিনের মরদেহ ফেরত নিতে বিএসএফের সঙ্গে আজ দিনভর যোগাযোগ করেন তারা। এরপর সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে স্থানীয় পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয় আল আমিনের মরদেহ। অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে ভারতের কেদারি পাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার ইন্সপেক্টর সুভাষ চন্দ্র মিনা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য-গত ২৬ মার্চ ভোরে পোরশা উপজেলার নীতপুর সীমান্ত এলাকায় গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন আল আমিন।
এআই
মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) বিশেষ অভিযানে বিকাশ প্রতারক চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান বিপিএম, পিপিএম (বার) প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গতকাল ২৬ মার্চ বিকেলে মৌলভীবাজার ডিবির অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে মৌলভীবাজার পৌরসভার সৈয়ারপুর এলাকার লন্ডনী হারুন মিয়ার মালিকাধীন হারুন মঞ্জিলের ৬ তলার ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. টিটুল মোল্লা টিটু (৩৬), পিতা- মৃত রতন মোল্লা, রুবেল শেখ (৩১), পিতা- বিদ্যুত শেখ সবুজ হাওলাদার (২৯), পিতা-আইয়ুব হাওলাদার, হৃদয় শেখ (২০), পিতা- শেখ ইমফাজ, সাজ্জাদ হোসেন (২৫), পিতা- নওশাদ আহমেদ, সর্ব থানা- ভাঙ্গা, হাসান খালাশি (২১), পিতা- সামছু খালাশি, থানা- সদরপুর, জেলা- ফরিদপুর।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বিকাশ প্রতারণা কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনসহ মোট ২১টি সচল মোবাইল সেট এবং নগদ ৬,৩৯০ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন স্কুল কলেজের উপবৃত্তিভোগী শিক্ষার্থী এবং বয়স্কভাতা ভোগীদের মোবাইল নম্বরসহ ১২ পাতার একটি তালিকা জব্দ করা হয়েছে। যে তালিকা থেকে তারা ভিকটিমদের কল দিয়ে প্রতারণা করতো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিকাশ একাউন্ট হ্যাক করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। এই চক্র অনলাইনে সরকারি ওয়েবসাইট থেকে অবৈধভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকার বয়স্কভাতা ভোগী, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের উপবৃত্তি ভাতাভোগী শিক্ষার্থীদের তালিকা ডাউনলোড করে সেখান থেকে বিকাশ নম্বর সংগ্রহ করত। পরবর্তীতে নিজেদেরকে বিকাশের হেড অফিসের স্টাফ পরিচয় দিয়ে শুদ্ধ বাংলায় কথা বলে কৌশলে তাদের কাছ থেকে OTP (ONE TIME PASSWORD) নিয়ে বিকাশ একাউন্ট হ্যাক করে বিকাশ একাউন্টে থাকা টাকা আত্মসাৎ করত।
তারা এই কাজের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত এবং এই কাজকে তারা পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত সবাই ফরিদপুর জেলার স্থায়ী বাসিন্দা। মামলা ও গ্রেফতারের ভয়ে অথবা তাদের কাজের সুবিধার্থে তারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে এই প্রতারনা করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তাদের আরো সহযোগী আছে। আমরা তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদর্শন কুমার রায় (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ সারোআর আলম, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মো. আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
হবিগঞ্জে লাখাই উপজেলায় গণধোলাইয়ে এক ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার মাদনা রোডের জন্দ্রনিয়া ব্রীজের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাত সর্দার হিরাজ মিয়া (৪৫) সদর উপজেলার ধল গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের জানান, রাত অনুমান ১২টার দিকে ওই স্থানে কয়েকজন ডাকাত মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে ডাকাতি করছিল। এ সময় কয়েকটি গ্রামের মানুষ ধাওয়া দিয়ে হিরাজ মিয়াকে গণপিটুনি দেয়। এসময় আরেক ডাকাতকে আটক করে।
ওসি আরও জানান, খবরর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গুরুতর আহত অবস্থায় হিরাজ মিয়াকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি জানান, নিহত ডাকাত সর্দার হিরাজ মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১২টি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
এআই
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী-ধর্মঘর সড়কের পাশে চৌমুহনী বাজারে প্রতিষ্ঠিত চৌমুহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে রয়েছে। ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টির সীমানা প্রাচীর (বাউন্ডারি) নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত ১২ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩২২ পিডিবি-৪ প্রকল্প থেকে বরাদ্দ হয় গত ১৪ জুন ২০২৩ সালে।
মেসার্স রনি ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২৮ আগস্ট ২০২৩ সালে কাজের টেন্ডার লাভ করে। ভূমি সীমানা জটিলতার কারণে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের টাকা ফেরত যাওয়ার পথে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর আগেও একই জটিলতায় একাধিকবার বিদ্যালয়টির সীমানা প্রাচীর নির্মাণের বরাদ্দের টাকা ফেরত গেছে বলে জানা যায়।
চৌমুহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহি উদ্দিন জানান, ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে স্কুলটি এখানে খাস খতিয়ানভুক্ত জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। বিগত ভূমি জরিপে স্কুলটির নামে আলাবক্সপুর মৌজার ৩৪০,৩৪১ ও ৩৪২ দাগে ৩০ শতাংশ জমি পর্চা (মাঠ জরিপ) হয়েছে। বিদ্যালয়ের নিজস্ব নামে কোনো জায়গা নেই। বর্তমানে এখানে বিদ্যালয়ের মাঠে ৩য় তলা ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। এই ভবন বরাদ্দ পাওয়ার পর আমি গত ১৯ অক্টোবর ২০২২ সালে ৩০ শতক ভূমি পুনরুদ্ধার করে সীমানা চিহ্নিত করার জন্যে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করি। স্থানীয় সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করে এই দাগে বিদ্যালয়ের নামে পর্চাকৃত ৩০ শতক ভূমি পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, স্থানীয় সার্ভেয়ারের পরিমাপে দেখা যায় বিদ্যালয়ের পিছনে স্থানীয়দের দখলে বিদ্যালয়ের জায়গা রয়েছে। স্থানীয় দখলদাররা বিদ্যালয়ের জায়গাতে দোকান ঘর নির্মাণ করে রেখেছে। বিদ্যালয়টির সীমানা প্রাচীর (বাউন্ডারি) নির্মাণের জন্যে বরাদ্দ পাওয়ার পর আমি আবার গত ২৮ আগস্ট ২০২৩ সালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাধবপুরের বরাবর বিদ্যালয়টির ভূমি সীমানা চিহ্নিত করে দেওয়ার জন্যে আবেদন করি। আজ পর্যন্ত ওনারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। বাউন্ডারি নির্মাণের জন্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একাধিক বার এসেছে, আমরা তাদের বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণ করে দিতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, এখানে শিশুদের নিরাপত্তায় সীমানা প্রাচীর অতি জরুরি। কারণ প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের সামনে সাপ্তাহিক হাট বসে। প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে মাধবপুর শিক্ষা অফিস বিদ্যালয়টির সীমানা প্রাচীরের প্রস্তাব পাঠায়। একাধিকবার যথারীতি প্রস্তাবটি পাস হয়ে সীমানা প্রাচীরের জন্য বরাদ্দও আসে কিন্তু জমির মালিকানা নিয়ে পার্শ্ববর্তী জমির মালিকদের সঙ্গে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় সে বরাদ্দ ফেরত গেছে। কয়েক দফা চেষ্টা করেও সীমানা প্রাচীরের কাজ করাতে পারেননি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এ ব্যাপারে চৌমুহনী ইউ/পি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, সীমানা নির্ধারণের জন্যে আমি একাধিকবার উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় কথা বলেছি। শুধু বিদ্যালয়ের জমি না সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমির সীমানা নির্ধারণ করার জন্যে দাবি করছি। চৌমুহনী-ধর্মঘর সড়কের পাশে চৌমুহনী বাজারের মধ্যখানে চৌমুহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান এটি উন্মুক্ত থাকায় শিশুরা চরম ঝুঁকির মধ্যে থাকে। বিশেষ করে ছুটির সময় শিশুরা দল বেঁধে দৌড়ে সড়কের মধ্যে চলে যায়।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এম জাকিরুল হাসান বলেন, সীমানা জটিলতার কারণে চলতি অর্থবছরে এই বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ না হলে টাকা ফেরত চলে যাবে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সীমানা প্রাচীরটা নির্মাণ করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, সীমানা জটিলতার কারণে বিদ্যালয়টির নিরাপত্তা দেয়াল নির্মাণের কাজ করতে পারছে না ঠিকাদার। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ না হলে বরাদ্দের টাকা ফেরত চলে যাবে। বিষয়টি দুঃখজনক। এ বিষয়গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্টদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা দরকার।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত বিন কুতুব বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমরা দেখছি। জমিটি জেলা প্রশাসক নামীয় ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত। বিদ্যালয়ের নামে কোন রের্কডভুক্ত ভূমি নেই। যেহেতু বিদ্যালয়ের নামে রেকর্ড নেই এবং খাস খতিয়ানভুক্ত জমি বিধায় বিদ্যালয়কে সীমানা নির্ধারণ করে জায়গা বুঝিয়ে দেওয়ার বিধি মোতাবেক কোন সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে সার্ভেয়ার ও স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাসহ এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে এবং বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয়ের নামে যেন জমি বন্দোবস্ত পাওয়া যায় সে জন্যে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করার।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফয়সাল বলেন, বিষয়টি আমি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে এই বিষয় কথা হয়েছে। বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয়ের নামে জমি বন্দোবস্তের জন্যে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করার।
এআই
মৌলভীবাজারে হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে এক জেলের পায়ুপথ দিয়ে ঢুকে গিয়েছিল একটি কুঁচিয়া। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জেলের পেট থেকে ২৫ ইঞ্চির জীবিত কুঁচিয়াটি বের করা হয়।
জানা যায়, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের রহিমপুর ইউনিয়নের মিরতিঙ্গা চা–বাগানের জেলে সম্রা মুণ্ডা (৫৫) স্থানীয় হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে কোমর সমান কাদায় আটকে যান। তখন তার হাতে থাকা দুটি কুঁচিয়া কাদায় পড়ে যায়।
হঠাৎ অনুভব করেন পায়ুপথ দিয়ে কি যেন তার পেটে ঢুকছে। তবে বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে বাড়িতে চলে আসেন তিনি। বাড়িতে আসার পর থেকে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন।
পেটের ব্যথা নিবারণে রবিবার (২৪ মার্চ) কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
সেখানে চিকিৎসকরা মুণ্ডার কথা শুনে পরীক্ষা (এক্স-রে) করান। পরীক্ষায় ধরা পড়ে পেটের ভেতর লম্বা আকৃতির একটি বস্তু রয়েছে। পরে অপারেশনের সিদ্ধান্ত হয়। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় মুণ্ডাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে প্রফেসর জানে আলমের নেতৃত্বে ৪ জন চিকিৎসক প্রায় দুই ঘণ্টার অপারেশনে পেটের ভেতর থেকে একটি জীবন্ত কুঁচিয়া বের করেন। এ ঘটনায় ডাক্তাররা বিস্মিত হন।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক জেলের পেট থেকে ২৫ ইঞ্চির জীবিত কুঁচিয়া বের করা হয়েছে। বর্তমানে সম্রা মুণ্ডা নামের ওই জেলে হাসপাতালের ১১নং ওয়ার্ডে শঙ্কামুক্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।
এআই
মৌলভীবাজারে বসত ঘরের চালে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত শিশু সোনিয়া সুলতানাও (৮) মারা গেছে। তার আগে একই ঘটনায় তার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোন মারা যায়।
বুধবার (২৭ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সোনিয়ার মৃত্যু হয়। সে স্থানীয় গোয়ালবাড়ী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো।
সোনিয়ার বাবা-মা ও তিন ভাইবোনেরও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সেই বেঁচে ছিল। সোনিয়ার মৃত্যুতে জুড়ীর বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর ফয়জুর রহমানের পরিবারে আর কেউ বেঁচে রইল না।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, 'বাচ্চাটাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ঢাকা মেডিকেল থেকে পরে আমাদের এখানে আনা হয়। কিন্তু আগেই শিশুটির মৃত্যু হওয়ায় আর ভর্তি করা হয়নি।'
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাকপ্রতিবন্ধী ফয়জুর রহমান দিনে ঠেলা চালিয়ে এবং রাতে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরীর কাজ করে সংসার চালাতেন। নিজের জমি না থাকায় পরিবার, ভাইবোনদের রেখে টালিয়াউরা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মইন উদ্দিনের বাড়িতে থাকতেন। ছয়-সাত বছর আগে একই ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামে রহমত আলীর টিলা বাড়িতে ঘর তৈরি করেন। সেই ঘরে ছিল না বিদ্যুতের সংযোগ। তবে ঘরের ওপর দিয়ে আগে থেকেই পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টের লাইন টানানো ছিল। মঙ্গলবার ভোরে বজ্রপাতসহ ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। বজ্রপাতের পর পাশের খুঁটি থেকে একটি তার ছিঁড়ে ফয়জুরের ঘরের ওপর পড়ে। এতে টিনের চালের ঘরটি বিদ্যুতায়িত হলে ওই পরিবারের পাঁচ সদস্য মারা যান। বুধবার ভোর ৪টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যায় সোনিয়া। ফয়জুরের ঘরে বিদ্যুৎ না থাকলেও বিদ্যুতের কারণেই ছারখার হতদরিদ্র এ পরিবার।
সোনিয়ার মামা আব্দুল আজিজ গণমাধ্যমকে জানান, সোনিয়ার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে যায় বলে জানান চিকিৎসকরা। প্রথমে তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। ঢাকায় পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই সে মারা যায়। তার মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছি।
ফয়জুর রহমানের বড় মেয়ে সামিয়া বেগম হাজি ইনজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে, মেজো মেয়ে সাবিনা বেগম নওয়া বাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণিতে এবং ছেলে সায়েম গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।