জাতীয়
সব দেখুনসর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুনচলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
দেশের অন্যতম রিটেইল চেইন শপ ‘স্বপ্ন’ মিরপুর ১-এর মনিপুর ৬০ ফিটের বারেক মোল্লার মোড়ে নতুন আউটলেট চালু করেছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ১১টায় স্বপ্ন’র নতুন এই আউটলেট উদ্বোধন করা হয়। স্বপ্নের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, “আমার বিশ্বাস, নতুন এ আউটলেটে আমাদের সেবার পরিসর আরো বিস্তৃত হবে।”
স্বপ্নের পরিচালক (অপারেশনস) আবু নাছের বলেন, “উদ্বোধন উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য রয়েছে মাসব্যাপী আকর্ষণীয় সব অফার। বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি ছাড়াও থাকছে নগদ মূল্যছাড়।”
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইনভেস্টর রুবেল আহম্মেদ, স্বপ্নের হেড অব বিজনেস এক্সপ্যানশন মো. শামছুজ্জামান, স্বপ্ন'র রিজিওনাল হেড অফ অপারেশন সাকের নুর, এরিয়া সেলস অপারেশন ম্যানেজার আলী আকবরসহ অনেকে।
পিএম
ঢাকার হাতিরঝিলের মধুবাগের একটি বাসায় অভাবের সংসারে চিকিৎসার জন্য ওষুধ কিনতে না পেরে জয়নাল আবেদীন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ওই ব্যক্তি পেশায় রিকশাচালক ছিলেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত পৌনে ৯টায় মারা যান তিনি।
জয়নাল আবেদীন রংপুরের পীরগঞ্জ থানার হাসানপুর গ্রামের মৃত মোজামিয়ার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার মধুবাগের ৩ নম্বর গলির বাসায় ভাড়া থাকতেন।
নিহতের স্ত্রী মঞ্জিলা বেগম জানান, আমার স্বামী রিকশা চালাতেন। চার বছর আগে হার্টের রোগ ধরা পড়ে তার। আমি বাসা বাড়িতে কাজ করি। আমার এক মেয়ে এক ছেলে। মেয়েটি একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে। ছেলেটির বয়স পাঁচ বছর। আমরা গরিব মানুষ। হার্টের রোগের চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা পয়সা লাগে। আমার স্বামী এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কোনো কাজই করতে পারত না। আমাদের মা-মেয়ের সামান্য এই টাকায় সংসার চলত। অভাবের সংসারে খুব কষ্ট করে দিন চলে আমাদের। স্বামীর হার্টের রোগের চিকিৎসার জন্য এত টাকা পয়সা আমাদের নেই। তাই কখনো আমরা তার জন্য ওষুধ কিনে দিতে পারতাম, আবার অনেক সময় পারতাম না।
তিনি আরও জানান, আজ সন্ধ্যার পর শরীরের ব্যথায় আমার স্বামী কাতর হয়ে পড়ছিলেন। কিন্তু টাকা না থাকায় তার জন্য ওষুধ আনতে পারিনি। এই কষ্টে আমার স্বামী নিজের পেটে চাকু চালিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। পরে আমরা এই অবস্থা দেখে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। পরে এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রাতের দিকে মারা যায়।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হাতিরঝিল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি হাতিরঝিল থানাকে জানিয়েছি। ঘটনাটি তারাই তদন্ত করছে।
এফএস
রাজধানীর বনানী এলাকার কড়াইল বস্তিতে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সাত ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। একটি ইউনিট কাজ করছে।
রবিবার (২৪ মার্চ) বিকাল ৪টা ৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।
তিনি জানান, খবর পেয়ে একটি গিয়ে কাজ শুরু করেছে। আরও সাত ইউনিট পথে আছে।
এআই
রাজধানীর চকবাজারের ইসলামবাগ এলাকায় কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) রাত সাড়ে তিনটার দিকে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুন লাগার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ বলেন, চকবাজারের ইসলামবাগে একটি কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার খবর আসে রাত সাড়ে ৩টায়। খবর পেয়ে ৫ মিনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। আগুনের মাত্রা বেশি হওয়ায় এরপর একে একে আটটি ইউনিট পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে পানির স্বল্পতায়। অগ্নিকাণ্ডে ভবনের সামনে ও পেছনে লাগোয়া অনেকগুলো ভবন থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ারও একটা শঙ্কা ছিল। সর্বশেষ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে সকাল ৬টায়। আগুনের পাশাপাশি প্রচন্ড ধোয়ার কারণে প্রথমে ভেতরে প্রবেশ করতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের।
আগুনের কারণ বা ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের কারণ জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গেছেন। তারা পরিদর্শন করবেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এরপরে জানা যাবে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
এআই
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ৬ এপ্রিল থেকে যাত্রী পরিবহনের জন্য সারাদেশের বিভিন্ন নৌপথে নিয়মিত লঞ্চের পাশাপাশি বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু হবে। সেই সঙ্গে অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্তে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের চার-পাঁচ দিন আগে আগামী ৬ এপ্রিল ঢাকার সদরঘাট নৌ-টার্মিনাল থেকে বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু করবে। এ জন্য ইতোমধ্যে ১৩০টি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি রুটে এসব লঞ্চ চলাচল করবে।
বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, আগামী ৬ এপ্রিল সদরঘাট টার্মিনাল থেকে বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু হবে। ইতিমধ্যে ১৩০টি লঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। ঈদে নদীপথে ঘরমুখী মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। অগ্রিম টিকিট বিক্রি বিষয়ও সভায় আলোচনা হয়েছে কিন্তু দিনতারিখ এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এক সপ্তাহ বা পাঁচ-ছয়দিন আগেই জানানো হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দক্ষিণাঞ্চলগামী বেশ কয়েকজন যাত্রী সদরঘাট টার্মিনালে এসে লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিটের জন্য ঘুরছেন। তারা টার্মিনালের পন্টুনে ভেড়ানো লঞ্চগুলোতে গিয়ে অগ্রিম টিকিটের খোঁজ করেন। ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট কাটতে আসা সদরঘাট টার্মিনালে সাইফুল আকবর। তিনি বলেন, ৮ এপ্রিল গলাচিপায় গ্রামের বাড়ি যাব। তাই ভিড় এড়াতে আগে থেকেই লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বুকিং দিতে এসেছি। এসে শুনলাম, এখনো লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়নি। শিগগিরই অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এ কথা শুনে সেখান থেকে ফিরে আসি। ভাবছি, দুই থেকে তিন দিন পর আবার সদরঘাট আসব।
আরেক যাত্রী মিরপুর এলাকা থেকে আসা ফেরদৌসী জাহান বলেন, ঈদে প্রতিবছর পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে একসঙ্গে ঈদ উদযাপন করি। লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রির ঘোষণার পর টিকিট নিতে এলে অনেক ভিড় থাকে। আবার প্রায় সময় টিকিটও পাওয়া যায় না। সেই কথা ভেবে আগেভাগে টিকিট নিতে এসেছি। চর ফ্যাশনগামী এমভি টিপু লঞ্চে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, কিছুদিন পর অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। তখন এসে টিকিট সংগ্রহ করব।
এমভি টিপু লঞ্চের কর্মচারী দিদার হোসেন বলেন, এখনো লঞ্চের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা শুরু হয়নি। কবে থেকে বিক্রি হবে, সে ব্যাপারে মালিকপক্ষ জানে।
এদিকে লঞ্চমালিকপক্ষের ভাষ্য, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিনের যাত্রীর চাপ কম। যারা লঞ্চে নিয়মিত যাতায়াত করেন, সাধারণত তারাই অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করে থাকেন। অগ্রিম টিকিট ছাড়ার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া আসেনি।
অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক ও এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজা লাল জানান, যাত্রীদের ওপর নির্ভর করে বিশেষ লঞ্চের ব্যবস্থা করা হবে। সরকার নির্ধারিত ভাড়া যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে যাত্রীরা লঞ্চের অগ্রিম টিকিটের জন্য আসছেন। তবে অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বিআইডব্লিউটিএ’র পিআরও মোবারক হোসেন মজুমদার জানান, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অভ্যন্তরীণ নদীপথে যাত্রীবাহী নৌযানের নিরাপদ ও দুর্ঘটনামুক্ত চলাচল নিশ্চিত করা এবং যাত্রী সাধারণের জানমালের নিরাপত্তায় যাবতীয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে করার লক্ষ্যে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মোবারক আরও জানান, ঈদের পাঁচ দিন আগে ও পাঁচ দিন পর পর্যন্ত টার্মিনালে লঞ্চের মাধ্যমে কোনও মোটরসাইকেল যাতায়াত করতে পারবে না। এসময় নদীতে কোনও বাল্কহেড চলতে পারবে না। যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করা সব নৌপথে ৬ এপ্রিল থেকে বিশেষ লঞ্চ চলাচল করবে। চাহিদা অনুযায়ী ঈদের পাঁচ দিন পর পর্যন্ত এ বিশেষ লঞ্চ চলবে।
উল্লেখ্য, আসন্ন ঈদে লঞ্চে যাতায়াতকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখানো ও সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে কেবিনে যাতায়াতকারীদের এনআইডি সংরক্ষণ করতে লঞ্চ মালিক-শ্রমিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পিএম
মাগুরা শহরে ভায়না চৌরঙ্গী সড়কের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে দুস্থ পথচারী ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দ্বিতীয় গেইটের সামনে ১'শ লোকের মাঝে এই ইফতার বিতরণ করা হয়।
'এক মুঠ আহার অতঃপর হাসি' নামের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন এই আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. আবু নাসের বেগ।
এমআর
'এই রমজান মাসে মানুষ কত ভালো ভালো খাবার খাবে, ভালো ভালো পরবে, কিন্তু আমাদের সে ব্যবস্থা নেই। হয়তো একবার খালাম, আরেক বার না খায়েই জীবন যাচ্ছে আমাগের।' এমন আর্তনাদ আর চোঁখটা জলে ভাসিয়ে এসব কথা বলছিলেন সুজন শেখ (৩২) নামে এই যুবক।
সুজন জন্মের দশ বছর পর বিরল এক রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানাতে পড়ে থাকেন সবসময়ই। দুই হাত বাদে দেহের সব অঙ্গই প্রায় অচলঅবস্থা তার। বাড়িতে সুজনসহ তিন সদস্যের পরিবার। তার মা ও নিজের স্ত্রীকে নিয়ে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে বসবাস করছেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভূমিহীন এই পরিবারটি মহম্মদপুরের বিনোদপুর-নহাটা সড়কের নারায়ণপুর গ্রামে সুইচ গেইটের পাশে চার শতাংশ খাস জমির উপর একটি টিনসেড বাড়িতে থাকেন। পরিবারে একমাত্র পুরুষ লোক তাও আবার প্রতিবন্ধী। এখন সরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে সহযোগিতা চাইছেন সুজন ও তার পরিবার।
সুজন শেখ জানান, তিনি প্রাইমারি স্কুলে ফোর পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। পরে হঠাৎ শরীরে রোগ দেখা দেয়। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি পরিবার।সুজনের বাবা ইউনূস শেখ গেলে ছয়মাস আগে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এখন পরিবারে উপার্জনক্ষম আর কেউ নেই। প্রতিবন্ধী একটি ভাতার কার্ড রয়েছে তার। কিন্তু সেই টাকায় উচ্চ দ্রব্যমূল্যের বাজারে সংসার চালানো খুবই দূরুহ ব্যাপার বলে জানান তিনি।
এদিকে সুজনের মা রাশিদা বেগম জানান, তার একমাত্র সন্তান সুজন অসুস্থ হলে তাকে বিয়ে দিয়েছি আরেক প্রতিবন্ধী মেয়ের সঙ্গে। আমি মারা গেলে তাকে দেখার মত কেউ থাকবে না। পরিবারে দুইজন নারী আর অসুস্থ ছেলে। স্বামীর মৃত্যুর পর পরিবারে এখন খাবারের অভাব। খাস জমিতে থাকি তাই সরকার টাকা দিয়ে সহযোগিতার পাশাপাশি একটা ঘর করে দিলে ঝড় বৃষ্টিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হতো। এই রমজান মাসে সবাইকে সহযোগিতা করে পাশে থাকার অনুরোধ করেন রাশিদা বেগম।
প্রতিবেশীরা জানান, রমজান মাসেও সময়মতো খাবার জোটেনি এই পরিবারের। কিছু সময় প্রতিবেশী তাদেরকে সহযোগিতা করে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। এখন সরকারিভাবে এবং বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে তিনটি জীবন একটু খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারবে। প্রতিবন্ধী সুজনকে একটা দোকান করে দিলেও সেখান থেকে আয় করে চলতে পারবে বলেও জানায় প্রতিবেশীরা।
কুমিল্লার হোমনায় আব্দুল জলিল নামের এক প্রবাসীকে হত্যায় তার স্ত্রী শাহনাজ বেগমসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৭ মার্চ) কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মো. শাহজাহান নামের এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শাহনাজ বেগম, মো. কুদ্দুস মিয়া, আবদুল খালেক ও মো. রাজীব।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আবু ইউসুফ মুন্সী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০১৩ সালের ৯ জুন ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে হোমনার বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন প্রবাসী আবদুল জলিল। পরেরদিন বাহেরখোলা এলাকার রাস্তার পাশ থেকে জলিলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হোমনা থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই তাজুল ইসলাম। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল জলিলের স্ত্রী শাহনাজ বেগম, মো. শাহজাহান, মো. কুদ্দুস মিয়া, আবদুল খালেক ও মো. রাজীবের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পলাতক ছিলেন। তবে মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
জাহিদ হাসান নাইম/এআই
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ ১৩টি মামলার আসামি সজিব হোসেন ওরফে ফজা (২৫) নামের এক ডাকাত সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাত ২টার দিকে উপজেলার নওদা-বন্ডবিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আটক সজিব হোসেন উপজেলার নওদা-বন্ডবিল গ্রামের মন্টু মন্ডলের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গাসহ বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও মাদকের ১৩টি মামলা আছে।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া।
ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি সজিব চিহ্নিত ও আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষ্যে সন্ত্রাসী, ডাকাতি ও চাঁদাবাজির উদ্দ্যেশে একটি ওয়ান শুটারগান ও গুলি তাঁর হেফাজতে রাখে। বুধবার রাতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সজিব হোসেন অবৈধ অস্ত্রসহ অপরাধ সংঘটনের জন্য পায়তারা করছে। এমন সংবাদে থানাপুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় একাধিক মামলার আসামি সজিবকে আটক করে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তিতে একটি ওয়ান শুটারগান ও গুলি উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, সজিব গ্রেপ্তার এড়াতে দীর্ঘদিন থেকে আত্মগোপনে থেকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানার এসআই সঞ্জিত কুমার তাকে গ্রেপ্তার করেন। তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এআইঝিনাইদহে বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষের হারিয়ে যাওয়া ১০৫টি মোবাইল উদ্ধার করে মালিকের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস কনফারেন্সেরর মাধ্যমে এসব মোবাইল ফেরত দেওয়া হয়।
প্রেস কনফারেন্সে পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান জানান, ঝিনাইদহ পুলিশের সাইবার সেলের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া ১০৫টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে এমএফএস এর মাধ্যমে প্রতারণা করে নেওয়া ৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকা প্রকৃত ২১ জন মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মোবাইলগুলো শুধুমাত্র ঝিনাইদহ জেলা নয়, বেশ কয়েকটি জেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত ভুক্তভোগী, পুলিশের বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তাবৃন্দ ও জেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
এআই
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে মো: মেজবাহ উদ্দিন যোগদান করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে ফটিকছড়ি উপজেলায় এসিল্যান্ড হিসেবে যোগদান করায় তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ফটিকছড়ির সাংসদ খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জেবুন্নাহার মুক্তা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট সালামত উল্লাহ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজিম উদ্দীন মুহুরী, বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান গণ, দুই পৌর মেয়র, দুই থানার অফিসার ইনচার্জ, ইউপি চেয়ারম্যান বৃন্দসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বৃন্দ।
৩৭তম ব্যাচের বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন কার্যালয় যোগদান করেন সহকারি কমিশনার হিসেবে। ১৩ আগস্ট সহকারি কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) হিসেবে পদায়ন পাওয়ার পর খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করেন।
মোঃ মেজবাহ উদ্দিন সাবেক এসিল্যান্ড এটিএম কামরুল ইসলাম এর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
এআইকক্সবাজারের-টেকনাফে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত হওয়া দুই রাখালসহ সেই ১০ জনকে মুক্তিপণ দিয়ে জিম্মি দশা থেকে ফেরত এনেছে ভুক্তভোগী পরিবার। বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে নগদ ১ লাখ ৯০ হাজার টাকার বিনিময়ে অপহরণকারীরা তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেয়।
ফেরত আসা অপহৃতরা হচ্ছে- টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের করাচি পাড়া এলাকার বেলালের দুই পুত্র জুনাইদ (১২) ও মোহাম্মদ নুর (১০), একই এলাকার লেদু মিয়ার পুত্র শাকিল (১৫), শহর আলীর পুত্র ফরিদ আলম (৩৫), নুরুল ইসলামের পুত্র আকতার (২৫), নাজির হোসেনেন পুত্র ইসমাইল প্রকাশ সোনাইয়া (২৪) ও হোয়াইক্যং রৈক্ষ্যং এলাকার আলী আকবর এর পুত্র ছৈয়দ হোছাইন বাবুল (২৬) ও কালা মিয়ার পুত্র ফজল কাদের (৪০)।
স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে জানা যায়, গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং রৈক্ষ্যং ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পশ্চিমে পাহাড় থেকে তাদেরকে পরিবারের কাছে ফেরত পাঠায়।
ফেরত আসা কিশোর শাকিলের পিতা লেদু মিয়া গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, তারা অসহায় হতদরিদ্র পরিবার অনেক কষ্ট করে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছেলেকে সন্ত্রাসীদের জিম্মি দশা থেকে ছাড়িয়ে এনেছি। একই নিয়মে অপহৃতদের পরিবারের সদস্যরা সবাইকে মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত এনেছে বলেও জানান তিনি।
হোয়াইক্যং কানজর পাড়া এলাকার গ্রাম পুলিশ শেখ কবির সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, গত বুধবার সকালে ১০ জন কিশোর ও যুবক পাহাড়ে গরু চরাতে এবং কৃষি কাজ করতে যায়। অপহরণকারীরা তাদেরকে অপহৃত করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা সবাই মিলে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পর অপহৃত ১০ জনকে হোয়াইক্যং ইউপির রইক্ষ্যং ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে তাদের সবাইকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায় অপহরণকারীরা। এরপর পরিবারের লোকজন গিয়ে তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
যাওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হোয়াইক্যং ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো .শাহ জালাল সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, অপহৃতদের পরিবারেরগুলো খুবই অসহায়, তারা অপহরণকারীদের সাথে যোগাযোগ করে অনেক কান্নাকাটি করার পর কেউ ১০ হাজার, কেউ ২০ হাজার এই ভাবে সবাই মিলে প্রায় ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে অপহরণকারীরা তাদের ছেড়ে দেয়। এরপর পুলিশ সদস্যরা মুক্তি পাওয়া অপহৃতদের সবাইকে তাদের হেফাজতে নেয়। সেখান কম বয়সী শিশু-কিশোর ৪ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। বাকি ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অপহরণে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করার জন্য থানায় নিয়ে যায়। তারা এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনি সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, ঘটনার পর থেকে পুলিশ সদস্যরা গহীন পাহাড়ে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে এরপর অপহরণকারীরা দিশেহারা হয়ে তাদেরকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। সেখান থেকে কম বয়সী ৪ জনকে পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অপহরণকারীদের চিহ্নিত করতে অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করছি আমরা খুব শিগগিরই পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা এবং আড়ালে থেকে অপহরণকারীদের সহযোগিতা করা অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার আলোচিত সিরিয়ার কিলার মো. লোকমান ওরফে আজরাইলকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
দুই দশক পলাতক থাকার পর বুধবার (২৭ মার্চ) ভোরে বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া দ্বীপের একটি গোপন আস্তানা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল।
আজরাইল মহেশখালীর আলোচিত জিয়া বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড এবং নবনিয়োগ শাখার (রিক্রুটমেন্ট উইং) প্রধান হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ৪ হত্যাচেষ্টাসহ কমপক্ষে ১০ মামলার রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহেশখালীতে খুন, ডাকাতি, অপহরণ, ঘের দখল-পালটা দখলের অন্ধকার জগতে লোকমান ওরফে আজরাইল এক সুপরিচিত নাম। সশস্ত্র সন্ত্রাসী তৎপরতা ও লক্ষ্যবস্তুর প্রতি নৃশংসতার ভয়াবহতায় ধীরে ধীরে মহেশখালীর মূর্তিমান আতঙ্কের নামান্তর হয়ে উঠলেও নানান কৌশলে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে। ২০০৬ সাল থেকে অপরাধ জগতে সদর্প পদচারণার পর অবশেষে গ্রেফতার হলেন লোকমান। তাকে মহেশখালী থানার দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহেশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে মর্মে র্যাব সূত্রে জানা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৮ ডিসেম্বর লোকমান ও তার বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার জেলার প্রথম শহিদ শরীফ চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে এবং কালামারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত চেয়ারম্যান ও মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওসমান গনিকে কুপিয়ে ও গলায় গুলি চালিয়ে হত্যা করেন। এছাড়া ২০১১ সালের ২১ মে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জলদস্যু দমনে সহায়তা করার সন্দেহে কুরআনের হাফেজ আব্দুল গফুরকে কুপিয়ে হত্যা করার পর তার দ্বিখণ্ডিত মস্তক হতে হাত দিয়ে মগজ বের করে নেন তারা।
লোকমান ও তার সহযোগিদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই মেলেনি মহেশখালীর মাছ ব্যবসায়ী, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ওসমান গনিরও৷ নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করতে ২০১২ সালের ২৯ মার্চ কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। একই বছরের ১১ জুন কুপিয়ে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মৎস্যজীবী বেলাল হোসেনকে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, লোকমান উপজেলার সক্রিয় প্রধান ডাকাত গ্রুপ জিয়া বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। একজন ক্রমিক খুনি (সিরিয়াল কিলার) হিসেবে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বিদের দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভাড়াটে খুনি হিসেবেও তিনি নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ঘের দখলকারী হিসেবে তার এবং তার দলের পরিচিতি স্থানীয়ভাবে সর্বজনবিদিত।
গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকা র্যাব-১৫ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম গণমাধ্যমে বলেন, দীর্ঘদিন নিবিড় অনুসরণের পর আমরা আসামি লোকমানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। কক্সবাজারে সক্রিয় বিভিন্ন নামে বাহিনীগুলোর সশস্ত্র ক্যাডারদের আইনের আওতায় আনতে র্যাবের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
এআই
রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার হাসপাতাল এলাকায় ভয়াবহ এক অগ্নিকান্ডে অন্তত ৬ টি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ২৭ মার্চ বুধবার সন্ধ্যায় এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
উপজেলা রেড ক্রিসেন্টের দলনেতা আজগর আলী জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে আসেন এবং তারাই পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন প্রায় ১ ঘন্টা স্থায়ী হয়। এতে ৬টি ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। আগুন লাগার কারন ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা সুকুমার চক্রবর্তী জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত উদ্দিন সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অগ্নি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উল্লেখ্য, বিলাইছড়ি উপজেলার যোগাযোগ শুধু মাত্র নৌ পথ হওয়ায় রাঙামাটি ও কাপ্তাই থেকে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি।
এফএস
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কালিয়াপাড়া এলাকায় পিকআপভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অটোরিকশার তিন যাত্রী।
বুধবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কালিয়াপাড়া-হোসেনপুর গ্রামের মধ্যবর্তী কচুয়া সড়কের বশির উল্লাহ হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহরাস্তি উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের স্বর্ণকার পাড়ার বাসিন্দা আবুল কাশেম (৪৫) ও আব্দুর রব (৫৫)। আহতরা হলেন কচুয়া উপজেলার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ ও আশেক আলী। তবে অটোরিকশাচালকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. শিশির জানান, ইফতারের পর বৃষ্টি নামে। ঠিক ওই মুহূর্তে কচুয়ামুখী পিকআপভ্যানটির সঙ্গে কালিয়াপাড়ার দিকে আসা অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশার এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আরেকজন। খবর পেয়ে শাহরাস্তি থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসে। ঘটনার পর পিকআপভ্যান চালক পালিয়ে যান।
শাহরাস্তি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন মাস্টার (ভারপ্রাপ্ত) মাহফুজুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছে।
শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ বিষয়ে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক খালিদুর রহমান জিহাদ বলেন, আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এমআর
গাজীপুরের শ্রীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাসে ওঠার সময় কভার্ড ভ্যানের চাপায় এক মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান মাওনা হাইওয়ে থানার এসআই মো. ইসমাইল হোসেন।
নিহত মো. শফিক নূর (৪০) সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কামালপুর গ্রামের মো. হারুন উর রশিদের ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌর এলাকার বেড়াইদেরচালা গ্ৰামের রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থেকে মাছের ব্যবসা করতেন।
এ ঘটনায় কভার্ড ভ্যানের চালক জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে আটক করেছে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে কভার্ড ভ্যানটি।
স্থানীয়দের বরাতে এসআই ইসমাইল জানান, ভোরে ময়মনসিংহের ভালুকা যাওয়ার জন্য ১ নম্বর সিঅ্যান্ডবি থেকে বাসে উঠতে চেষ্টা করেছিলেন শফিক নূর। এ সময় ময়মনসিংহগামী একটি কভার্ড ভ্যান তাকে চাপা দিলে গুরুতর আহত হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফারাহ বলেন, “হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল শফিক নূরকে।”
এসআই ইসমাইল আরও বলেন, কভার্ড ভ্যান ও চালককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান।
এআই
রাজবাড়ীতে ভাঙ্গা ব্রিজ থেকে বাইসাইকেল নিয়ে ব্রিজের নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন এক বৃদ্ধ। আহত ব্যক্তির নাম রমজান বেপারী (৬০) তিনি জেলার পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের মুছিদাহ গ্রামের বাসিন্দা।
বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা সাড়ে চারটার সময় উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের বাগদুলী গ্রামে অবস্থিত চত্রা নদীর ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান ঘটনার সময় আহত রমজান বেপারী সাইকেল চালিয়ে ব্রিজের উপর ওঠে আসেন। এ সময় অপর পাশ থেকে একটি ভ্যান এসে তার মুখোমুখি হয় এ সময় ভ্যান গাড়িটাকে সাইট দিতে গিয়ে পা ফসকে সাইকেলসহ ব্রিজের নিচে পড়ে যান তিনি। ব্রিজের রেলিং ভাঙ্গা থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। পরে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
বিল চত্রা গ্রামের বাসিন্দা ইয়াকুব আলী বলেন, এটা এখন আর ব্রিজ নেই আমাদের জন্য মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ব্রিজটি। বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ এখান দিয়ে যাতায়াত করে, সামনেই ঐতিহ্যবাহী বাগদুলীর হাট। এই হাটে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে আসেন। ব্রিজের অবস্থা বেহাল হাওয়ায় এই হাটে এখন আর আগের মত কৃষক-ব্যবসায়ীরা আসেন না।
স্থানীয় আরেকজন বলেন, কয়েক বছর আগেই ব্রিজের রেলিং ভেঙ্গে গেছে, কিছুদিন হল ব্রিজের মাঝখানে ভেঙ্গে গেছে। সেখানে বাঁশের চরাট দিয়ে কোন মত যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষি পণ্য বোঝাই ভর্তি গাড়ি নিয়ে ব্রিজের উপরে উঠলে থরথর করে কাপে ভয়ে থাকি কোন সময় যেন ভেঙ্গে নিচে পড়ে মৃত্যু হয়। তিনি আরো বলেন ব্রিজটি এত সরু একটি ভ্যান উঠলে আরেকটি সাইকেল যাওয়ার মত অবস্থা থাকে না যার কারণেই গতকাল এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
মৌরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ প্রামানিক বলেন, ব্রিজটি অনেক আগেই ভেঙ্গে গেছে আমি ফ্রি ফ্রি বাঁশ দিয়ে ব্রিজটি মেরামত করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছি। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি তারা বলেছে বাজেট নেই। এখানে অবশ্যই একটি নতুন ব্রিজ প্রয়োজন।
উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি কর্মকর্তা জাকির হাসান বলেন, নতুন ব্রিজের জন্য চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে অনুমোদন হয়ে আসলেই টেন্ডার দিয়ে কাজ শুরু করা হবে। সেই সাথে সবাইকে একটু সাবধান হয়ে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এআই
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে নসিমনের ধাক্কায় তায়েবা নামে তিন বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় কাশিয়ানী মহেশপুর ইউনিয়নের কোড়ামারী এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত তায়েবা কোড়ামারী এলাকার মিরাজুল শেখের মেয়ে।
কাশিয়ানী থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় কাশিয়ানীর বাথানডাঙ্গা-খান্দারপাড় সড়কের কোড়ামারী এলাকায় বাড়ির পাশের রাস্তা পার হচ্ছিল তায়েবা। এ সময় মালামাল ভর্তি একটি নসিমন ওই শিশুটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ওই শিশু গুরুতর আহত হয়। তাকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে শিশু তায়েবার মরদেহটি ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এআই
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বোরহান উদ্দিন (২৩) নামে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে বনগ্রাম ইউনিয়নের নাগেরগ্রামে একটি বিল থেকে লাশটি উদ্ধার করে কটিয়াদী মডেল থানার পুলিশ। নিহত বোরহান পূর্ব নাগের গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়ন দিয়ে প্রবাহিত পুরুষবধিয়া বিল গিয়ে স্পর্শ করেছে বনগ্রাম ইউনিয়নের নাগের গ্রামে। স্থানীয় কৃষকরা দুপুরে জমিতে গেলে একটি ড্রেনে লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পায়৷ খবর পেয়ে এক পর্যায়ে থানার ওসির সহযোগিতায় পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে। লশের গলায় আঘাতের চিহ্ন ও মাথা মাটিতে পুতা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী ও স্বজনরা জানায়, নিহত বোরহান ক'বছর ধরেই তার নানার বাড়ি পাশ্ববর্তী মুমুরদিয়া ইউনিয়নের পিপুলিয়া গ্রামে থাকতো৷ মাঝে মধ্যেই তার নিজ বাড়িতে আসাযাওয়া ছিলো।
তার পরিবার জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে সর্বশেষ বোরহান উদ্দিনের সাথে কথা হয়। এর পর থেকে যোগাযোগ ছিলো না । বুধবার বিকালে বোরহানের নিজ বাড়ি থেকে অর্ধ কিঃকিঃ দুরত্বে বিল থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ বলেন, নিহতের গলায় ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। প্রাথমিক সুরত হালে পরিকল্পিত হত্যা বলে ধারনা করা যায়। তবে বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত রহস্য উৎঘাটন ও দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হোসেনপুর সার্কেল) সুজন চন্দ্র সরকার সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, খবর পেয়ে লাশটি পুলিশ উদ্ধার করেছে। লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এমআর
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে । আহতরা শরীয়তপুর, চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানাধীন কাঁচিকাটা ইউনিয়নে দক্ষিন মাথাভাঙা এলাকায় সকাল আনুমানিক ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কাচিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ান ও পরাজিত চেয়ারমেন প্রার্থী ফজলুল হক কাউছার মোল্যার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ান বলেন, পরাজয় মেনে নিতে না পেরে আমার সমর্থক দক্ষিন মাথাভাঙ্গা নজরুল ইসলাম খান এর বাড়িতে হামলা করে বাড়িঘর ভাংচুর করে। এতে আমাদের প্রায় ৩০ জন লোক আহত হয়েছে। ওরা বেশ কয়েকদিন যাবৎ বিভিন্ন যায়গায় মিটিং করে আসছিল।
এ ব্যাপারে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল হক কাউছার মোল্ল্যা বলেন, নির্বাচনের বিষয় নিয়ে কোন বিরোধ হয়নি। নদীতে কোনা জাল বাওয়া আধিপত্য নিয়ে বিরোধ হয়েছে। এর বাহিরে আমি কিছুই জানিনা।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কাচিকাটায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের আনুমানিক ৩০ জনের মতো আহত হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
এমআর
বরগুনার তালতলী উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম শারিকখালী ও দক্ষিণ নলবুনিয়া গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত খালের উপর ১৫০ ফুট লম্বা কাঠের সেতু নির্মাণ করে দিয়েছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজবী-উল-কবির উল কবির। এলাকাবাসীর ভোগান্তির কথা চিন্তা করে নিজস্ব তহবিল থেকে ওই সেতুটি নির্মাণ করে দেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম শারিকখালী ও দক্ষিণ নলবুনিয়া গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত খালের উপর ব্রিজটি ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরে ভেঙ্গে খালে পড়ে যায়। এরপর থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর পূর্ব শারিকখালি, পশ্চিম শারিকখালী, দক্ষিণ শারিকখালি, মধ্যে শারিকখালি ও নলবুনিয়াসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতেন। এছাড়াও এলাকার উৎপাদিত ফসল পরিবহন করতে পারতেন না। জরুরি সময়ে অসুস্থরা চলাচল করতে পারতেন না। সেতুটির অভাবে আশপাশে গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগে শেষ ছিল না।
শারিকখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য ওলি আহমেদ বলেন, সেতু না থাকায় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে এলাকাবাসীকে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের জরুরি চিকিৎসায় দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এছাড়া উৎপাদিত ফসল সময়মতো ঘরে তুলতে পারতো না আবার উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হতো।
স্থানীয় বাসিন্দারা কৃষ্ণ ধোফা বলেন, এখান থেকে প্রতিদিন ৫ শতাধিক মানুষ ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হত। এখন এই সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় স্বস্তিতে মানুষ পারাপার হতে পারবে। আমরা দ্রুত এখানে একটি পাকা সেতু চাই।
করাইবাড়িয়া টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী সুদেব দাস বলেন, আগে ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে গিয়ে অনেকেই বই-খাতা হারিয়ে ফেলতাম। এখন আর এমন হবে না। এখন নিরাপদে সেতু দিয়ে পার হতে পারব। এজন্য চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ।
তালতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজবী-উল-কবির বলেন, এই খাল দিয়ে এলাকাবাসী ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে দেখে কাঠের সেতু নির্মাণ করে দিয়েছি এতে মানুষের ভোগান্তি লাঘব হবে।
পিএম
বরগুনার পাথরঘাটায় বন্য শূকরের কামড়ে নারীসহ ৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের দক্ষিণ গাববাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা গাববাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বেলায়েত মীর (৬০) ও তার ছেলে ইব্রাহিম মীর (৩৫) একই গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে আব্বস প্যাদা (৩৩), আব্দুর রবের মেয়ে ছকিনা (৩২), বড় টেংরা এলাকার আব্দুল হানিফ মোল্লার ছেলে সাইফুল মোল্লা (৩০) এর নাম জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. জসিম হাওলাদার জানায়, হঠাৎ করে বসতবাড়ির বাগান থেকে একটি বন্য শূকর বেরিয়ে বেলায়েত মীরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় বাবার চিৎকার শুনে বাঁচাতে ছেলে ইব্রাহিম মীর গেলে তাকেও কামড় দিয়ে ওখান থেকে চলে যায়। পরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ছকিনা বেগমকে দাওয়া করে তাকেও আহত করে। সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী বড় টেংরা এলাকার বাসিন্দা সাইফুল মোল্লাকেও কামড় দেয়। প্রত্যেকের পায়ে ও হাতে এবং পিঠে কামড়ের চিহ্ন রয়েছে।
তাৎক্ষণিক এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। বর্তমানে বন্য শূকর নিয়ে ঐ এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করতেছে।
এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাশেদা আনজুম হেনা জানান, শুকরের কামড়ে পাঁচ জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছে। তাদের মধ্যে দুজন গুরুতর হওয়ায় তাদের বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
টেংরা বিট কর্মকর্তা আরিফ রহমান বলেন, শুকর মানুষকে শুধু শুধু কামড়ায় না, হয়তো শুকরকে কেউ মারধর করেছে তাই লোকালয়ে এসে মানুষকে কামড়িয়েছে। বর্তমানে শুকরটি গভীর জঙ্গলে চলে গেছে।
এআই
পবিত্র রমজানে প্রাণীজ আমিষ জনগনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার লক্ষে পিরোজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর বুধবার থেকে পিরোজপুরে শুরু করেছে ভ্রাম্যমান দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রয় কার্যক্রম।
আজ বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় পিরোজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় প্রাণী সম্পদ দপ্তরের পরিচালক ড. মো: আবু সুফিয়ান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মুকিত খান। এ কার্যক্রমে প্রতি লিটার দুধ ৬০ টাকা, ডিম প্রতি ডজন একশত টাকা এবং প্রতি কেজী গরুর মাংস ৬৫০ টাকায় কিনতে পারবেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
বাজারে এখন এক পিস ডিম ১১-১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ এই কার্যক্রমের আওতায় একজন ক্রেতা ৮ টাকা পিস হিসেবে সর্বোচ্চ ২৪টি ডিম কিনতে পারবেন। আর প্রতি কেজী গরুর মাংস বর্তমানে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। অথচ এই কার্যক্রমের আওতায় একজন ক্রেতা ৬৫০ টাকায় এক কেজি মাংস কিনতে পারবেন। বাজারের থেকে কম মূল্যে দুধ, ডিম এবং মাংস কিনতে পেরে খুশি সাধারণ ক্রেতারা।
এআই
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার উপজেলার টিয়াখালীতে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় সূর্যমুখী চাষ ও বাজারজাতকরন বিষয়ক কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা বারোটায় পশ্চিম টিয়াখালী গ্রামে এ মাঠ দিবসের আয়োজন করে আর্ন্তজার্তিক ধান ইনস্টিউট (ইরি)।
ইরি’র এআরডিও (এগ্রিকালচারাল রিচার্স এন্ড ডেভলপমেন্ট অফিসার) মানিক দেবনাথ সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিধি ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি গবেষনা ইনস্টিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খাইরুল বাশার।
বক্তারা, গুনগত ও মানসম্পন্ন তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়ানোসহ পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনার পরামর্শ দেন। স্বল্প মেয়াদী ধান চাষের পাশাপাশি তেল জাতীয় ফসল সূর্যমুখী, বাদাম, সরিষাসহ অন্যান্য ফসল চাষের জন্য উসাহিত করেন। এসময় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল প্রদর্শনসহ ফসল চাষের আর্থিক সুবিধার বিষয় তুলে ধরেন।, ফসল চাষে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে সমাধানের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
উত্তর ঠিয়াখালী গ্রামের কৃষক জামাল হাওলাদার বলেন, আমন ধানের পরে এসব জমি পতিত পড়ে থাকত। ইরির পরামর্শ ও সহযোগিতায় সেই জমিতে বাদাম, সরিষা, আলু চাষ করেছি। এখন সূর্যমুখী ফসল ঘরে তোলার অপেক্ষায়। একই গ্রামের কৃষক খলিল মৃধা, সাইফুল ইসলাম বলেন, ধান চাষ করে সংসারে নুন আনতে পানতা ফুরাতো। এখন বারো মাস সবজি চাষে আর্থিক সাবলম্বীতা ফিরে পাচ্ছি।
আর্ন্তজার্তিক ধান ইনস্টিউট (ইরি) এগ্রিকালচারাল রিচার্স এন্ড ডেভলপমেন্ট অফিসার) মানিক দেবনাথ বলেন, পটুয়াখালী জেলার মাঠিতে লবনাক্ততা বেশি। তাই ফসলের সঠিক জাত ও সময় নির্বাচন করে কৃষকদের চাষের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। এরমাধ্যমে এক ফসলী এসব জি কে চার ফসলে রূপান্তর করা হচ্ছে।
এআইপিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করেন।
কর্মসূচির মধ্যে ছিল, শহীদ মিনারে আনুষ্ঠানিকভাবে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও দোয়া এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে দুপুর বারোটায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, পিরোজপুর ২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া মনু। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস শহীদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান তালুকদার পল্টন ,সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন তালুকদার, কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির প্রমুখ। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা বৃন্দ জনপ্রতিনিধি,গণমাধ্যম কর্মীসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনের দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষক নেতা লিটন কৃষ্ণ কর।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের জন্য আমি আজ সংসদ সদস্য হতে পেরেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে। আজ আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশকে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস সহ বিভিন্ন প্রকার সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা তার জন্য দোয়া করব। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠক আলাদা আলাদাভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।
এমআর
জামালপুরের বকশীগঞ্জে নিজ কার্যালয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা অবরুদ্ধ ছিলেন সাব-রেজিস্টার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম। নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছচারিতা, দলিল লেখক ও জমির দাতা গ্রহীতাদের সাথে অসাদাচরনের অভিযোগে দলিল লেখকরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তার অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকালে সাব-রেজিস্টি অফিসে এই ঘটনা ঘটে। তবে তার বিরুদ্ধে দলিল লেখকদের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে সাব্-রেজিস্টার বলেন দলিল লেখকদের অনৈতিক আবদার না মানার কারনেই তারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। এই ঘটনায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান।
দলিল লেখকরা জানান, গত বছরের ১৫ অক্টোরব বকশীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম। এর আগে তিনি লক্ষীপুর জেলার রামগতি সাব-রেজিস্ট্রার ছিলেন। তিনি যোগদানের পর থেকেই দলিল লেখকসহ জমির দাতা গ্রহীতাদের সাথে অসাধাচরন করে আসছেন। কথায় কথায় তিনি দলিল লেখকদের সনদ বাতিলের হুমকি দেন। সকাল বেলার দলিল তিনি রাতে পাশ করেন। মনগড়া ভাবে চালাচ্ছিলেন সরকারি অফিস। সকল দলিল লেখকরা তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েন। দিন দিন তার হয়রানি বেড়েই চলছিল।
বুধববার রেহেনা বেগম নামে এক নারী তারই সহোদর বোন রুবিনা আক্তারকে ৫৮ শতাংশ জমি হেবা মুলে দলিল করে দিতে যান। ওই দলিল নিয়ে সাব-রেজিস্টারের কামরায় যান দলিল লেখক শহিদুল্লাহ। এ সময় সাব-রেজিস্টার জমির দাতার কাছে জানতে চান কেনো তিনি তার বোনকে হেবা মুলে জমির দলিল করে দিচ্ছেন। কত টাকা নিয়েছেন।
তার এমন পশ্নে এক পর্যায়ে জমির দাতা বলেন তার বোন তাকে কিছু টাকা দিয়েছেন তাই দলিল করে দিচ্ছেন। এই কথা শোনেই সাব-রেজিস্টার রেগে যান এবং দলিলটি সম্পাদন না করেই ফিরিয়ে দেন। বিষয়টি জানতে দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি আলী আহসান খোকা সাব-রেজিস্টারের কাছে যান। এ সময় সাব-রেজিস্টার আলী আহসান খোকা ও শহিদুল্লাহর সাথে অসাদাচরন করেন এবং তাদের দুজনকেই সাসপেন্ড করেন। মুহুর্তেই এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে অন্যন্যা দলিল লেখকদের মাঝেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ করে সাব-রেজিস্টারের অপসারন দাবি করেন। এক পর্যায়ে সাব-রেজিস্টারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন দলিল লেখকরা। সেই সাথে সাব-রেজিস্টারের অপসারন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতীর ঘোষনা দেন। ফলে বেকায়দায় পড়ে যায় দাতা গ্রহীতারা।
বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি আলী আহসান খোকা বলেন, সাব-রেজিস্টার কোন মানুষকে মানুষ মনে করেন না। অনিয়মকে তিনি নিয়মে পরিনত করেছেন। কথায় কথায় দলিল লেখকদের সনদ বাতিলের হুমকি দেন। আজ বৈধ এক দলিল না করে তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। জানতে চাইলে তিনি আমিসহ একাধিক দলিল লেখকের সাথে খারাপ আচর করেন এবং আমিসহ দুইজনকে সাসপেন্ড করেন। আমরা দলিল লেখকরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি তার অপসারনের দাবিতে।
দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ফিরোজ মিয়া বলেন, বকশীগঞ্জের কোন দলিল লেখক সাব-রেজিস্টারকে এই অফিসে দেখতে চাইনা। তার আচরনে সবাই অতিষ্ট। কোন কারন ছাড়াই দলিল লেখকসহ জমির দাতা গ্রহীতাদের সাথে তিনি খারাপ আচরন করেন। মনগড়া ভাবেই চলছে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস। আমরা তার অপসারন চাই। সাব-রেজিস্টারের অপসারন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতী চলবে বলে জানান তিনি। কোন দলিল লেখক যদি সাব-রেজিস্টারের পক্ষ নিয়ে কোন দলিল সম্পাদন করার চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন তিনি।
বগারচর এলাকার আল আমিন বলেন, ঢাকার কর্মস্থল থেকে একদিনের ছুটি নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করতে এসেছিলেন তিনি। ব্যাংক চালানসহ সকল কাজই সম্পন্ন করেন। হঠাৎ করেই সাবরেজিস্টার ও দলিল লেখকদের দ্বন্ধে তিনি আর দলিলটি করতে পারেননি। পুনরায় আবার ছুটি নিয়ে তাকে আসতে হবে বলে হতাশা প্রকাশ করেন।
এব্যাপারে সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই কিছু দলিল লেখক তার কাছ থেকে অনৈতিক আবদার করে আসছিলেন। তাদের কথামত কাজ না করায় তারা আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, কাউকে সাসপেন্ড করার সূযোগ আমার নেই, তাদের শোকজ করেছি মাত্র। তারা সরকারি সম্পদ বিনষ্টের চেষ্টা এবং কিছু বিনষ্ট করেছে। বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করেছি। পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করেছে। দলিল লেখকরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। এই ঘটনায় তিনি মামলা করবেন বলে জানান।
বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান জানান,এ বিষয়ে লিখিতভাবে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর থেকে টানা ৭ দিন সাব-রেজিস্টার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম এর অপসারন দাবিতে আন্দোলন ও কর্মবিরতী পালন করেছিলেন দলিল লেখকরা। বুধবার ২য় বারের মত সাবরেজিস্টারের অপসারন দাবিতে আন্দোলনে নামলের দলিল লেখকরা।
এআই
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়ন পরিষদের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সাবিকুর রহমানের (শফিক মাস্টার) টর্চার সেল থেকে মঙ্গলবার রাত ৯ টায় আরও এক যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. সাবিকুর রহমানের ভাই শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বুধবার (২৭ মার্চ) গৌরীপুর থানায় মামলা হয়েছে।
‘পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার জন্য’ ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় ঘেঁষে বন-জঙ্গলে ঘেরা উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের সুতিরপাড়া মুন্সিবাড়ি এলাকায় চার ভাইয়ের নেতৃত্বে গড়ে তোলে এই টর্চার সেল। এই টর্চার সেলে এবার নির্যাতনের শিকার হন খুলনার কয়রা উপজেলার হাবিবুর রহমানের পুত্র মাকসিদুল গাজী।
মাকসিদুল গাজী বলেন, অনার্স-মাস্টার্স করে বেকার হয়ে ঘুরছিলাম। একটি জাতীয় দৈনিক ও চাকরির খবর পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে ওয়ার্ল্ডভিশনে সেকশন অফিসার পদে চাকরির আবেদন করেন তিনি। এ চাকরির জন্য সোমবার ইন্টারভিউ দিতে আসেন। তাকে নান্দাইল এলাকা থেকে প্রতারকচক্রটি নিয়ে আসে এ টর্চার সেলে। সেখানে অন্ধকার কক্ষে আটক রেখে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরিবার থেকে টাকা না দেওয়ায় চোখ-মুখ বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়। টাকা না দিলে শরীরের কিডনি খুলে বিক্রি করে দেবে বলেও ভয় দেখায়। দফায় দফায় ওরা অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে আমাকে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিল। গ্রেফতারকৃত শাহজাহান মোটরসাইকেল ড্রাইভিং করছিলেন। আর পেছনে আরেকজন ডেগার (ছুরি) ধরে রাখে। নাপ্তের আলগীর আজিজের মোড় এলাকায় লোকজন দেখে আমি চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে লাফিয়ে পড়ি। এ সময় জনতা মোটরসাইকেল চালককে আটক ও আমাকে রক্ষা করেন। এ সময় অন্যজন পালিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, টর্চারসেলের ভেতরে আরও ৪ জন ছিলেন বলে ওরা আমাকে জানিয়েছে। এছাড়াও এ টর্চার সেলের ভিতরে শত শত চাকরি প্রার্থীর আবেদনপত্র পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌরীপুর থানার এসআই বাহারুল ইসলাম জানান, মাকসিদুল গাজীকে নান্দাইলের খুররম খান কলেজের সামনে থেকে প্রতারকচক্র রিসিভ করে। এরপর গৌরীপুরের ভাংনামারী ইউনিয়নের সুতিরপাড় এলাকার এ টর্চার সেলে নিয়ে আসে। মামলায় শাহজাহান, সবুজ মিয়া ও শফিকুল ইসলামসহ ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গৌরীপুর থানার ওসি সুমন চন্দ্র রায় জানায়, এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত শাহজাহানকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের অপকর্ম জানতে তদন্ত ও এই চক্রের বিস্তারিত জানাতে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, এ জঙ্গলবাড়িতে একটি মাত্র বাতি (বাল্ব) রয়েছে। নির্যাতনের জন্য প্রত্যেকটি রুম একেকটি টর্চারসেল। তিন কক্ষের সমন্বয়ে ভিতরে এক গোপন কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে অপহৃত ব্যক্তিদের আটকিয়ে রাখলেও বাহির থেকে দেখা যায় না। বিভিন্ন চাকরি প্রার্থীদের আবেদনপত্র, বায়োডাটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রুমে রুমে। প্রত্যেক রুমে রয়েছে নির্যাতনে ব্যবহৃত বস্তা, লাঠিসহ নানা সরঞ্জাম।
এদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, মো. সাবিকুর রহমান অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে ভাংনামারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ১০টি কেন্দ্রে ১৫ হাজার ৮৫৮ ভোটের মধ্যে এই প্রার্থী মাত্র ১০৯ ভোট পান। কাঙ্ক্ষিত ভোট না পাওয়ায় জামানতের অর্থও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মো. নেজামুল হক ৫ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এমআর
নেত্রকোনার মদনে ইট ভাঙ্গার মেশিন উল্টে এক শ্রমিক নিহত হয়েছে এবং তিনজন আহত হয়েছে।
আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে মদন থেকে জগন্নাথপুর যাওয়ার সময় উপজেলার উচিতপুর এলাকায় বালই সেতু তে উঠতে গিয়ে মেশিন উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওয়াসিম মিয়া (৩০) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছে।
নিহত ওয়াসিম উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফেকনি গ্রামের মৃত খায়রুল ইলামের ছেলে।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে মদন থানার এসআই মো. শাহ জাহান মিয়া বলেন, ওয়াসিম দীর্ঘদিন ধরে কয়েকজনকে নিয়ে দল গঠন করে ইট ভাঙ্গার কাজ করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকালে ইট ভাঙ্গার মেশিন নিয়ে মদন থেকে খালিয়াজুরী উপজেলার জগন্নাথপুর যাচ্ছিল। বালই নদীর কাছে যাওয়ার পর সেতুতে উঠার সময় সড়কের একটি ভাঙ্গার মধ্যে পড়ে গিয়ে মেশিন উল্টে যায়। এসময় ওয়াসিমসহ সাথে থাকা তিনজন সামান্য আহত হয়। পরে তারা ওয়াসিমকে নিয়ে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ইট ভাঙ্গা মেশিনের চালক সিদ্দিক মিয়া বলেন, ওয়াসিমসহ আমরা মেশিন নিয়ে জগন্নাথপুর যাচ্ছিলাম। বালই সেতুতে উঠার আগে সড়কে একটি খন্দক আছে। ওই খন্দকে চাকা পড়ে গেলে মেশিনটি আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। পরে উল্টে গিয়ে খায়রুলসহ আমরা তিনজন আহত হই। হাসপাতালে আসলে ডাক্তার ওয়াসিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
মদন থানার ওসি তদন্ত মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, ওয়াসিম নামের এক ইট ভাঙ্গার শ্রমিক নিহত হয়েছে। সুরতহালের রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এআইনেত্রকোনার পুর্বধলায় স্বাধীনতা দিবসে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে যাওয়ার হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্রলীগের উপজেলা সভাপতিসহ চারজন। তাদের উপর অতর্কিতে হামলা চালালে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার(২৬ মার্চ) উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে স্লোগান দিয়ে বেরিয়ে যাবার সময় অতর্কিত এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, পুর্বধলা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সেলায়মান হোসেন হাসিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রনি বেপারি, দপ্তর সম্পাদক সালমান হাসান ও কর্মী রুহুল আমীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতা দিবসের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচী সকালেই শেষ হলেওে যারা বিছিন্ন ভাবে আসছেন তারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সেলায়মান হোসেন হাসিব সহ কয়েকজন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা চলে যাচ্ছিলো। এসময় জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে বের হওয়ার পথে অতর্কিতে ছাত্রলীগের আরেকটি অংশের ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হলে তাদের মধ্যে গুরুতর চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
হামলাকারীদের মধ্যে এমপির এপিএস আল আমিন হোসেনের ছেলে সাব্বির আহমদের নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি জাহিদুল আলম প্রভাত, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম খানসহ বেশ কজন হামলা চালায়। এব্যাপারে কথা বলতে সাব্বির আহমদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোনটি কেটে দেন।
পুর্বলধলা থানার ওসি মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফুল দেয়ার কাজ সকালেই শেষ হয়ে গেলে এসিল্যান্ড সহ সকলেই উপস্থিত ছিলেন। পরে দুপুরের দিকে হাসিব তার নেতৃত্বে ফুল দিয়ে স্লোগান দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। এসময় অতর্কিতে এই হামলা চালায়। দেশিয় অস্ত্রসহ। এতে বুঝা যায় পূর্ব পরিবল্পিত। আহতরা চিকিৎসা নিয়েছে। তবে কোন অভিযোগ এখনো দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য গত সংসদ নির্বাচনে আহত ছাত্রলীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীর প্রতকি) এর ভাই জাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডক্টর আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নির্বাচনে কাজ করেছিলেন।
এমআর
ময়মনসিংহের ভালুকায় জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ি এলাকার নাজমুলের বাড়ি হতে ২৪ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। এসময় বাড়ির মালিক মৃত ইব্রাহিম গাজীর ছেলে নাজমুল (২৫) কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ভালুকা মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৫ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভালুকার মডেল থানার এস.আই নিরুপম নাগ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ি এলাকার নাজমুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি ঘরে থাকা ৫০ কেজির ২৪ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধারের পর থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার সাথে জড়িত আরো ৩ জন পালিয়ে যায় বলে পুলিশ জানায়।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ২৪ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এআইকুড়িগ্রামের উলিপুরে ৫০ বছরের পুরোনো গ্রামীণ রাস্তা জোর পূর্বক বাঁশের বেড়া দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন কয়েকজন প্রভাবশালী। এতে প্রায় এক হাজার পরিবারের প্রায় ৫ হাজার মানুষ চলাচল করতে পারছেন না। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পরিবারগুলোর মানুষজনকে। উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের বগাপাড়া এলাকায় এমন ঘটনাটি ঘটেছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের পর থেকেই ওই রাস্তা দিয়ে মানুষজন চলাচল করে আসছে। গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাস্তার মালিকানা দাবী করে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয় বাইজিদ ইসলাম ও খয়বর মিয়া। এতে জরুরী কাজে বেড় হতে পাচ্ছেনা এলাকাবাসীসহ পথচারীরা।
স্থানীয় মিয়াজ উদ্দিন, ফারুক হোসেনসহ অনেকেই জানান, রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় অন্য অন্য একটি এলাকা দিয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে যাতে করে শিশু, মহিলাসহ বৃদ্ধদের জন্য খুবই কষ্ট কর। এখন বোরো মৌসুম মাঠে কাজ চলছে এই রাস্তা দিয়ে কৃষকেরা মাঠে যেতে পারছে না। বর্তমানে চরম দুর্ভোগে আমরা পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। আমরা অতিদ্রুত চলাচলের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
রাস্তা দখলকারী বাইজিদ ইসলাম ও খয়বর মিয়া জানান, আমাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা আমরা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। এতদিন আমাদের জমির গাছপালা কেটে রাস্তা নির্মাণ করে চলাচল করতে দিয়েছি এখন আর দিবো না।
হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শায়খুল ইসলাম নয়া বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ এই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতাউর রহমান বলেন, রাস্তা বন্ধের খবর পেয়েছি। দ্রুত প্রশাসনের লোক পাঠিয়ে রাস্তাটি চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।
এআইদেশের প্রতি ভালোবাসা ও মমত্ববোধ প্রকাশের অন্যতম নজির স্থাপন করেছেন স্কুলশিক্ষক মো: আবু জাফর (৩৫)। তিনি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় নিজস্ব জমিতে ধানের চারা দিয়ে বানানো শস্যচিত্রে ফুটিয়ে তুলেছেন ‘জাতীয় পতাকা’। একটু বাতাস এলেই দোল খায় ধান গাছ, দোল খায় জাতীয় পতাকা। এতে তৈরি হয় মনোরোম দৃশ্য। স্বাধীনতার মাসে এই পতাকা দেখতে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনেকে ভিড় করছেন।
মো: আবু জাফর উপজেলার উলিপুর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষক আবু জাফর চলতি বছরে এক একর ত্রিশ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করেছেন। এর মধ্যে ক্ষেতের প্রায় এক শতাংশ জমিতে ফুটিয়ে তুলেছেন পতাকার শস্যচিত্র। জমির আইলের পাশ দিয়ে বেগুনি ধান গাছের চারা রোপন করে ফুটিয়ে তুলেছেন পতাকার খুঁটি। বিরি-১০৪ জাতের ধানের সবুজ চারা রোপন করে তৈরি করেছেন পতাকার জমিন ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ বেগুনি ধানের চারা রোপন করে বৃত্ত তৈরি করেছেন।
এ বিষয়ে আবু জাফর জানান, আমি শিক্ষকতার পাশাপাশি কৃষিকাজও করি। দেশের প্রতি ভালোবাসা ও মমত্ব প্রকাশে ধান ক্ষেতে জাতীয় পতাকার চিত্র ফুটিয়ে তুলেছি। স্বাধীনতার মাসে অনেকেই এ পতাকা দেখতে আসছেন।
দর্শনার্থী সাইদ মিয়া বলেন, ধান ক্ষেতে জাতীয় পতাকার আদল ফুটিয়ে তোলার দৃশ্যটি মুগ্ধকর।
কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ- পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, মো: আবু জাফল দেশের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে জমিতে জাতীয় পতাকার আদলে যে শস্যচিত্র ফুটিয়ে তুলেছে সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
এফএস
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে অনলাইন পত্রিকা দেবীগঞ্জ সংবাদের ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে সাড়ে পাঁচটায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে অবস্থিত দেবীগঞ্জ সংবাদের কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দেবীগঞ্জ সংবাদের উপদেষ্টা হরিশ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল আলম।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবু বকর সিদ্দিক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ নাঈম মোর্শেদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবদুল মমিন, দেবীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক সুমন চন্দ্র পাল, দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিব মুন প্রমুখ।
এছাড়া দেবীগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন পত্র পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ এবং দেবীগঞ্জ সংবাদের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন। দেবীগঞ্জ সংবাদের বার্তা সম্পাদক সিরাতুল মোস্তাকিমের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দ দেবীগঞ্জ সংবাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পত্রিকার সাথে সম্পৃক্ত সকলকে শুভেচ্ছা জানান। স্থানীয় অনলাইন পত্রিকা হিসেবে দেবীগঞ্জ সংবাদের জনপ্রিয়তার কথা তুলে ধরেন। আগামীতেও সাধারণ মানুষের সু্যোগ-সুবিধা, সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা এবং সরকারের ও স্থানীয় প্রশাসনের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা সংবাদের মাধ্যমে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় সমাপনি বক্তব্যে দেবীগঞ্জ সংবাদের বার্তা সম্পাদক সিরাতুল মোস্তাকিম বলেন, মাটি, মানুষ ও প্রকৃতির কথা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে মহান স্বাধীনতা দিবসে যাত্রা শুরু করে দেবীগঞ্জ সংবাদ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে স্থানীয় পত্রিকা হিসেবে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। তৃনমুল পর্যায়ে জনগণ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে দেবীগঞ্জ সংবাদ। দেবীগঞ্জ সংবাদ আগামী দিনগুলোতে দেশ এবং দেশের মানুষের পক্ষে কাজ করে যাবে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেবীগঞ্জ সংবাদের পাশে থাকার জন্য সাংবাদিক, পাঠক এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৬ শে মার্চ স্থানীয় অনলাইন পত্রিকা হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করে দেবীগঞ্জ সংবাদ।
এমআর
লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আহত বাংলাদেশি যুবক লিটন পারভেজ (১৭) বিএসএফের হেফাজতে ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ১১টায় কুচবিহার সদরের এমজেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার (২৫ মার্চ) দিনগত মধ্য রাতে আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী পশ্চিম বর্ডার এলাকায় ৯২৩ নম্বর পিলারে ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবক লিটন পারভেজ ওই এলাকার দীঘলটারী সাংকাচওড়া গ্রামের মোকছেদুল হকের ছেলে।
সীমান্তবাসী জানান, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে গরু ব্যবসায়ীদের ভারতীয় গরু পাচার করতে দীঘলটারী পশ্চিম বর্ডার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে একদল রাখাল। গরু নিয়ে ফেরার পথে কোচবিহার জেলার দিনহাটা কৈমারী বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ঘিরে ফেলে।
এ সময় গরু পাচারকারীরা এলাকায় ফোন করলে লিটন পারভেজসহ ২০/২৫ জন বাংলাদেশি তাদের উদ্ধার করতে ভারতে প্রবেশ করে। লিটন পারভেজ লাঠি নিয়ে একজন বিএসএফ সদস্যকে ধাওয়া করলে আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। বাকিরা পালিয়ে ফিরলেও সেই গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে পড়ে ছিলেন লিটন পারভেজ। পরে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা। ভারতের এমজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিনগত মধ্যরাতে মারা যান লিটন।
কয়েক বছর আগেও এমনভাবে গরু পাচার করতে গিয়ে বিএসএফের রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছিলেন লিটন পারভেজ।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ বলেন, বিএসএফ এর গুলিতে আহত বাংলাদেশির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রায় ৩শ বছরে ঐতিহ্যবাহী নাওডাঙ্গা জমিদারবাড়ীর প্রাঙ্গণে দোল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুই দিন ব্যাপী মেলার প্রথমদিন মঙ্গলবার (২৬ মার্চ)০ সকাল ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মেলাটি চলে। এর পর দ্বিতীয় বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নাওডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী জমিদারবাড়ী মেলার সমাপ্তী ঘটে।
প্রতি বছর দোল পূর্ণিমায় ঐতিহ্যবাহী নাওডাঙ্গা জমিদারবাড়ীর প্রাঙ্গণে বি¯তৃর্ন ফাকা মাঠে দোলের মেলায় দুর-দুরান্তর থেকে হাজার হাজার দর্শনাথীর ঢলে মূখরিত মেলা প্রাঙ্গণ। দোলযাত্রায় গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আবিরভাব ঘটে। দোল উৎসবে শ্রী কৃষ্ণ ভগবান তার সখা সখিদের নিয়ে দোলায় চড়ে আনন্দ উৎসব করে। বাংলা ১৩০৪ সনে জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর তারা সব কিছু ছেড়ে চলে যান ভারতের কোচবিহার জেলায়। বর্তমানে তারা কোচবিহারে স্থায়ী ভাবে বসবাস করলেও। তবে প্রতি বছরে জমিদারবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী দোল উৎসবটি পালন করে আসছে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
প্রতিবারের মতো এবারো এ দোল মেলায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৫ থেকে ৪০টি দোল সওয়ারীরা বাহারি সাজে সজ্জিত হয়ে দোল মূর্তি সিংহাসনে নিয়ে ঘারে করে জমিদারবাড়ীর দোলের মেলায় অংশ গ্রহণ করে গভীর পর্যন্ত আনন্দ উৎসব পালন করে। পূর্ণিমা বর্ণি উৎসব বা গৌরাঙ্গ মহা প্রভুর আবির ভাবের মধ্য দিয়ে তিন দিন ব্যাপী এই দোল উৎসব পালিত হয়।
সোমবার ঘর পূজা শেষে ভক্তরা প্রতিটি মন্দিরে মন্দিরে গিয়ে দোল মূর্তি ও ভগবান শ্রী কৃষ্ণের চরণে পূজা অর্চনা ও অঞ্জলী দিয়ে শয়ন ভগবানের কাছে ভক্তরা ধাবিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে আবারও পূজা অর্চনা করে দুপুরে দোল সওয়ারীরা বাহারি সাজে সজ্জিত হয়ে দোল মূর্তি সিংহাসনে নিয়ে ঘাঁরে করে পাড়ার বিভিন্ন বাড়ীতে নিমন্ত্রণ পালন ও ভক্তের মনের বাসনা পালন শেষে বিকালে ঐতিহ্যবাহী নাওডাঙ্গা জমিদারবাড়ীর দোলের মেলায় অংশ নিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসব চলতে থাকে গভীর রাত পর্যন্ত । অন্যদিকে উপজেলার নাওডাঙ্গা জমিদারবাড়ীর দোল মেলার মতো একই ভাবে উৎসব পালন করা হয় উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের রাবাইটারী দোলের পাঠ ও রাবাইটারী বসুনিয়াপাড়া দোলের পাঠ প্রাঙ্গণে।
পূঁজারী বীরেন্দ্র নাথ বর্ম্মন ও সৌরেন্দ্র নাথ গোস্মামী জানান, উপজেলার বেশির ভাগ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন দোল উৎসব হিসাবে সোমবার দিনব্যাপী উপবাস থেকে ভক্তরা শ্রী কৃষ্ণের চরণে ধাবিত হয়। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে দোল সওয়ারীরা বাহারি সাজে সজ্জিত হয়ে দোল মূর্তি সিংহাসনে নিয়ে দোলের মেলায় ব্যাপক আনন্দ উৎসব মূখর পরিবেশে মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
নাওডাঙ্গা জমিদারবাড়ীর মেলা কমিটির সভাপতি সুশীল কুমার রায় ও সাধারণ সম্পাদক রতন চন্দ্র রায় জানান, দোল উৎসব আমাদের ঐতিহ্যবাহী উৎসব। তাই প্রতি বছরেই নাওডাঙ্গা জমিদার বাহাদুর শ্রীযুক্ত বাবু প্রমদা রঞ্জন বক্সীর বাড়ীর উঠানে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দোল উৎসবটি পালন করে আসছি। এই দোল উৎসবে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে শান্তিপুর্ণভাবে দোল মেলায় আনন্দ উৎসব করেছে। মেলায় পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ও কমিটির আমন্ত্রণে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ মেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সব ধরণের সহযোগিতা করেছেন। তাই প্রশাসনের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, ঐতিহ্যবাহী নাওডাঙ্গা জমিদারবাড়ীর প্রাঙ্গণে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন শান্তিপূর্ণভাবে দোল উৎসবটি পালন করেছে।
তিনি আরও জানান, পুলিশ সুপার স্যারের নিদের্শে এ উপজেলায় নাওডাঙ্গা জমিদারবাড়ীর দোলের মেলাসহ পৃথক তিনটি দোল মেলায় থানা পুলিশের অতিরিক্ত টহলের পাশাপাশি ও গ্রাম পুলিশও কাজ করেছেন। অত্যান্ত সুন্দর ভাবে দোল উৎসব পালনের লক্ষ্যে তিনি প্রতিটি মেলায় নিজেই উপস্থিত থেকে সবার সহযোগীতায় মেলাটি সুসম্পূর্ণ করেছেন।
এআই
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১২ কেজি ৮৭৫ গ্রাম ওজনের একটি কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করেছে র্যাব-৫।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার হরিপুর (পাজরাপাড়া) এলাকা থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব-৫ ক্যাম্পের ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হরিপুরে অভিযান পরিচালনা করে ১২ কেজি ৮৭৫ গ্রাম ওজনের মূল্যবান কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পরে মূর্তিটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এআইনওগাঁর পোরশা উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর গুলিতে নিহত আল-আমিন এর মরদেহ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে একদিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাত ৯টায় পোরশা সীমান্তের হাঁপানিয়া এলাকায় ২৩৬ মেইন পিলারের কাছে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উভয় বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নওগাঁ-১৬ বিজিবির নিতপুর ক্যাম্পের সুবেদার মাহফুজুর রহমান জানান, আল আমিনের মরদেহ ফেরত নিতে বিএসএফের সঙ্গে আজ দিনভর যোগাযোগ করেন তারা। এরপর সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে স্থানীয় পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয় আল আমিনের মরদেহ। অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে ভারতের কেদারি পাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার ইন্সপেক্টর সুভাষ চন্দ্র মিনা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য-গত ২৬ মার্চ ভোরে পোরশা উপজেলার নীতপুর সীমান্ত এলাকায় গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন আল আমিন।
এআই
নিরাপত্তার অজুহাতে চার্ঁপাইনবাবগঞ্জে বন্ধ করে দেয়া মসজিদের গেট খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে মুসল্লিরা।
আজ বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জেলা শহরের পাওয়ার হাউজ মোড়ে এলকাবাসীরে ব্যানােও এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে মুসল্লিরা নিরাপত্তার অজুহাতে মসজিদের গেট বন্ধ করার অভিযোগ তুলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ নেসকো—১ নির্বাহী প্রকৌশলী আলিউল আজিমের বিরুদ্ধে। তারা এ কাজের কঠোর সমালোচনা করে মসজিদটির গেট খুলে দেয়ার অনুরোধ জানান।
মানববন্ধনে মুসল্লিরা বলেন, ১৯৬৪ সালে নেসকোর কার্যালয়ের চত্বরে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়। মানুষের যাতায়াতের জন্য প্রধান সড়কের পাশাপাশি একটি পকেট গেট নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এ গেটটি দিয়ে স্থানীয়রা মসজিদে নামাজ আদায় করে আসছিলেন। নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আকস্মিকভাবে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর মসজিদের পকেট গেটটি বন্ধ করে দেন। পরে গেটটি খুলে দিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য নেসকোর এই কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন। কয়েকদিনের জন্য গেটটি উন্মুক্ত করা হলে ফের নিরাপত্তার অজুহাতে বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে সাধারণ মুসল্লিদের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মসজিদের তালা খুলে না দিলে নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি পালন করার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। তবে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি চাঁপাইনবাবগঞ্জ নেসকো—১ নির্বাহী প্রকৌশলী আলিউল আজিম।
মানবন্ধনে বক্তব্য দেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র জিয়াউর রহমান আরমান, নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব মো. মনিরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শামসুদ্দিন বাবলু, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাফউদ্দোলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, মসজিদের মুসল্লি ইউসুফ আলী, আব্দুস সালাম, ও মো.শফিকুল আলমসহ অন্যরা।
এফএস
মাত্র ২ টাকার বিনিময়ে রমজানজুড়ে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করছেন নওগাঁর ফুড প্যালেস রেস্টুরেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন নওগাঁ শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে ভালোবাসার ইফতার ২ টাকায় স্লোগানে প্রায় ৭০-৮০ জন নিম্নবিত্ত মানুষের মাঝে এসব ইফতার সামগ্রী বিক্রি করছেন প্রতিষ্ঠানটি।
আজ বুধবার ( ২৭ মার্চ) শহরের দয়ালের মোড় এলাকায় বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে দেখা যায় ভ্রাম্যমাণ ভ্যান থেকে নিম্নবিত্তদের জন্য মাত্র ২ টাকায় ইফতার সামগ্রী বিতরণ হচ্ছে । একটি প্যাকেটে যাতে থাকছে- খিচুড়ি, ১টি ডিম, বেগুনি, পিঁয়াজু, ছোলা, শসা ও খেজুর । প্যাকেটগুলো নামমাত্র ২ টাকায় বিক্রি হলেও প্রতিটি প্যাকেটে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ টাকার ইফতার সামগ্রী রয়েছে।
রিকশা চালক আকবর হোসেন বলেন , নওগাঁ শহরে আমি রিকশা চালাই হঠাৎ দেখি এখানে ইফতার দেয়া হচ্ছে মাত্র ২ টাকার বিনিময়ে তাই ২ টাকা দিয়ে ইফতারের প্যাকেট টি নিলাম। এতো কম টাকায় পেয়ে খুব ভালো লাগছে।
ভ্যানচালক জাফর বলেন, আমিতো প্রথমে অবাক হয়েছি মাত্র ২ টাকায় ইফতার এখানে বিক্রি করা হচ্ছে তাই ভালো করে শুনে ২ টাকার বিনিময়ে ইফতার নিলাম। আমাদের মতো মানুষের প্রতিদিন বেশি টাকায় ইফতার কিনে খাওয়া সম্ভব না এধরনের উদ্যোগ নিলে আমরা সাধারণ মানুষেরা কিনে খেতে পারবো।
বৃদ্ধা মকবুল হোসেন জানান, ভ্যানগাড়ি দেখে পাশে দাঁড়িয়ে শুনি মাত্র ২ টাকার বিনিময়ে ইফতার দেওয়া হবে তাই লাইনে দাঁড়িয়ে আমিও নিলাম,খুবই ভালো লাগছে এতো অল্প টাকায় এতো সুন্দর আয়োজনের জন্য।
ফুড প্যালেস রেস্টুরেন্ট এর মালিক মনোয়ার হোসেন জানান, আমরা বেশ কয়েক বছর ধরেই এই ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি, আমার সাধ্যের মধ্যে নিম্নবিত্ত মানুষের পাশে সব সময় থাকার চেষ্টা করি তারই ধারাবাহিকতায় নামমাত্র ২ টাকা নিয়ে ইফতার বিতরণ করছি শহরের বিভিন্ন স্থানে পুরো মাস ধরে৷
২ টাকায় কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি যদি এমনিতেই ইফতার দিয়ে দিই অনেকে লজ্জা পেতে পারে এজন্য ২ টাকা দিয়ে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিই এতে করে সাধারণ মানুষেরা নিজের টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছে ভেবে আমাদের কার্যক্রমকে সহজেই গ্রহণ করবে বা নিতে আগ্রহী হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই আয়োজক।
এমআর
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) সি এম লাইসেন্স ছাড়াই শাড়ি তৈরি এবং কাপড়ে রং এর স্থায়িত্ব পরীক্ষণ না করার অপরাধে দুই টেক্সটাইল মিলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে উপজেলা প্রশাসন ও বিএসটিআই রাজশাহী বিভাগীয় অফিসের যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান চালানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএসটিআই রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (সিএম) ও অফিস প্রধান সাইফুল ইসলাম।
বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে জানা যায়, বিএসটিআই হতে কাপড়ে রং এর স্থায়িত্ব (কালার ফাস্টনেস টেস্ট) পরীক্ষণ ব্যতীত ও মান সনদ গ্রহণ না করে শাড়ি, গামছা ও লুঙ্গি উৎপাদন ও বিক্রয় বিতরণ করার অপরাধে বিএসটিআই আইন-২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় বেলকুচি উপজেলার বওড়া এলাকার মনির এন্ড ব্রাদার্স (সম্রাট শাড়ি) কে ২৫ হাজার টাকা এবং শেরনগর এলাকার ফাতেমা কটেজ ইন্ড্রা: (লুঙ্গী)কে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেইসাথে প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। পাশাপাশি আদালত প্রতিষ্ঠানসমূহকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে বিভিন্ন কাপড়ের অনুকূলে বিএসটিআইয়ের সিএম লাইসেন্স গ্রহণের পরামর্শ দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতটি পরিচালনা করেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শিবানী সরকার। এসময় বিএসটিআইয়ের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের ফিল্ড অফিসার (সিএম) দেলোয়ার হোসেন ও পুলিস সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এমআর
মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) বিশেষ অভিযানে বিকাশ প্রতারক চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান বিপিএম, পিপিএম (বার) প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গতকাল ২৬ মার্চ বিকেলে মৌলভীবাজার ডিবির অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে মৌলভীবাজার পৌরসভার সৈয়ারপুর এলাকার লন্ডনী হারুন মিয়ার মালিকাধীন হারুন মঞ্জিলের ৬ তলার ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. টিটুল মোল্লা টিটু (৩৬), পিতা- মৃত রতন মোল্লা, রুবেল শেখ (৩১), পিতা- বিদ্যুত শেখ সবুজ হাওলাদার (২৯), পিতা-আইয়ুব হাওলাদার, হৃদয় শেখ (২০), পিতা- শেখ ইমফাজ, সাজ্জাদ হোসেন (২৫), পিতা- নওশাদ আহমেদ, সর্ব থানা- ভাঙ্গা, হাসান খালাশি (২১), পিতা- সামছু খালাশি, থানা- সদরপুর, জেলা- ফরিদপুর।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বিকাশ প্রতারণা কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনসহ মোট ২১টি সচল মোবাইল সেট এবং নগদ ৬,৩৯০ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন স্কুল কলেজের উপবৃত্তিভোগী শিক্ষার্থী এবং বয়স্কভাতা ভোগীদের মোবাইল নম্বরসহ ১২ পাতার একটি তালিকা জব্দ করা হয়েছে। যে তালিকা থেকে তারা ভিকটিমদের কল দিয়ে প্রতারণা করতো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিকাশ একাউন্ট হ্যাক করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। এই চক্র অনলাইনে সরকারি ওয়েবসাইট থেকে অবৈধভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকার বয়স্কভাতা ভোগী, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের উপবৃত্তি ভাতাভোগী শিক্ষার্থীদের তালিকা ডাউনলোড করে সেখান থেকে বিকাশ নম্বর সংগ্রহ করত। পরবর্তীতে নিজেদেরকে বিকাশের হেড অফিসের স্টাফ পরিচয় দিয়ে শুদ্ধ বাংলায় কথা বলে কৌশলে তাদের কাছ থেকে OTP (ONE TIME PASSWORD) নিয়ে বিকাশ একাউন্ট হ্যাক করে বিকাশ একাউন্টে থাকা টাকা আত্মসাৎ করত।
তারা এই কাজের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত এবং এই কাজকে তারা পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত সবাই ফরিদপুর জেলার স্থায়ী বাসিন্দা। মামলা ও গ্রেফতারের ভয়ে অথবা তাদের কাজের সুবিধার্থে তারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে এই প্রতারনা করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তাদের আরো সহযোগী আছে। আমরা তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদর্শন কুমার রায় (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ সারোআর আলম, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মো. আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
হবিগঞ্জে লাখাই উপজেলায় গণধোলাইয়ে এক ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার মাদনা রোডের জন্দ্রনিয়া ব্রীজের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাত সর্দার হিরাজ মিয়া (৪৫) সদর উপজেলার ধল গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের জানান, রাত অনুমান ১২টার দিকে ওই স্থানে কয়েকজন ডাকাত মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে ডাকাতি করছিল। এ সময় কয়েকটি গ্রামের মানুষ ধাওয়া দিয়ে হিরাজ মিয়াকে গণপিটুনি দেয়। এসময় আরেক ডাকাতকে আটক করে।
ওসি আরও জানান, খবরর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গুরুতর আহত অবস্থায় হিরাজ মিয়াকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি জানান, নিহত ডাকাত সর্দার হিরাজ মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১২টি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
এআই
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী-ধর্মঘর সড়কের পাশে চৌমুহনী বাজারে প্রতিষ্ঠিত চৌমুহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে রয়েছে। ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টির সীমানা প্রাচীর (বাউন্ডারি) নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত ১২ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩২২ পিডিবি-৪ প্রকল্প থেকে বরাদ্দ হয় গত ১৪ জুন ২০২৩ সালে।
মেসার্স রনি ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২৮ আগস্ট ২০২৩ সালে কাজের টেন্ডার লাভ করে। ভূমি সীমানা জটিলতার কারণে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের টাকা ফেরত যাওয়ার পথে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর আগেও একই জটিলতায় একাধিকবার বিদ্যালয়টির সীমানা প্রাচীর নির্মাণের বরাদ্দের টাকা ফেরত গেছে বলে জানা যায়।
চৌমুহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহি উদ্দিন জানান, ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে স্কুলটি এখানে খাস খতিয়ানভুক্ত জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। বিগত ভূমি জরিপে স্কুলটির নামে আলাবক্সপুর মৌজার ৩৪০,৩৪১ ও ৩৪২ দাগে ৩০ শতাংশ জমি পর্চা (মাঠ জরিপ) হয়েছে। বিদ্যালয়ের নিজস্ব নামে কোনো জায়গা নেই। বর্তমানে এখানে বিদ্যালয়ের মাঠে ৩য় তলা ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। এই ভবন বরাদ্দ পাওয়ার পর আমি গত ১৯ অক্টোবর ২০২২ সালে ৩০ শতক ভূমি পুনরুদ্ধার করে সীমানা চিহ্নিত করার জন্যে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করি। স্থানীয় সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করে এই দাগে বিদ্যালয়ের নামে পর্চাকৃত ৩০ শতক ভূমি পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, স্থানীয় সার্ভেয়ারের পরিমাপে দেখা যায় বিদ্যালয়ের পিছনে স্থানীয়দের দখলে বিদ্যালয়ের জায়গা রয়েছে। স্থানীয় দখলদাররা বিদ্যালয়ের জায়গাতে দোকান ঘর নির্মাণ করে রেখেছে। বিদ্যালয়টির সীমানা প্রাচীর (বাউন্ডারি) নির্মাণের জন্যে বরাদ্দ পাওয়ার পর আমি আবার গত ২৮ আগস্ট ২০২৩ সালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাধবপুরের বরাবর বিদ্যালয়টির ভূমি সীমানা চিহ্নিত করে দেওয়ার জন্যে আবেদন করি। আজ পর্যন্ত ওনারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। বাউন্ডারি নির্মাণের জন্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একাধিক বার এসেছে, আমরা তাদের বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণ করে দিতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, এখানে শিশুদের নিরাপত্তায় সীমানা প্রাচীর অতি জরুরি। কারণ প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের সামনে সাপ্তাহিক হাট বসে। প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে মাধবপুর শিক্ষা অফিস বিদ্যালয়টির সীমানা প্রাচীরের প্রস্তাব পাঠায়। একাধিকবার যথারীতি প্রস্তাবটি পাস হয়ে সীমানা প্রাচীরের জন্য বরাদ্দও আসে কিন্তু জমির মালিকানা নিয়ে পার্শ্ববর্তী জমির মালিকদের সঙ্গে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় সে বরাদ্দ ফেরত গেছে। কয়েক দফা চেষ্টা করেও সীমানা প্রাচীরের কাজ করাতে পারেননি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এ ব্যাপারে চৌমুহনী ইউ/পি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, সীমানা নির্ধারণের জন্যে আমি একাধিকবার উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় কথা বলেছি। শুধু বিদ্যালয়ের জমি না সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমির সীমানা নির্ধারণ করার জন্যে দাবি করছি। চৌমুহনী-ধর্মঘর সড়কের পাশে চৌমুহনী বাজারের মধ্যখানে চৌমুহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান এটি উন্মুক্ত থাকায় শিশুরা চরম ঝুঁকির মধ্যে থাকে। বিশেষ করে ছুটির সময় শিশুরা দল বেঁধে দৌড়ে সড়কের মধ্যে চলে যায়।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এম জাকিরুল হাসান বলেন, সীমানা জটিলতার কারণে চলতি অর্থবছরে এই বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ না হলে টাকা ফেরত চলে যাবে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সীমানা প্রাচীরটা নির্মাণ করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, সীমানা জটিলতার কারণে বিদ্যালয়টির নিরাপত্তা দেয়াল নির্মাণের কাজ করতে পারছে না ঠিকাদার। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ না হলে বরাদ্দের টাকা ফেরত চলে যাবে। বিষয়টি দুঃখজনক। এ বিষয়গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্টদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা দরকার।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত বিন কুতুব বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমরা দেখছি। জমিটি জেলা প্রশাসক নামীয় ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত। বিদ্যালয়ের নামে কোন রের্কডভুক্ত ভূমি নেই। যেহেতু বিদ্যালয়ের নামে রেকর্ড নেই এবং খাস খতিয়ানভুক্ত জমি বিধায় বিদ্যালয়কে সীমানা নির্ধারণ করে জায়গা বুঝিয়ে দেওয়ার বিধি মোতাবেক কোন সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে সার্ভেয়ার ও স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাসহ এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে এবং বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয়ের নামে যেন জমি বন্দোবস্ত পাওয়া যায় সে জন্যে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করার।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফয়সাল বলেন, বিষয়টি আমি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে এই বিষয় কথা হয়েছে। বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয়ের নামে জমি বন্দোবস্তের জন্যে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করার।
এআই
মৌলভীবাজারে হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে এক জেলের পায়ুপথ দিয়ে ঢুকে গিয়েছিল একটি কুঁচিয়া। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জেলের পেট থেকে ২৫ ইঞ্চির জীবিত কুঁচিয়াটি বের করা হয়।
জানা যায়, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের রহিমপুর ইউনিয়নের মিরতিঙ্গা চা–বাগানের জেলে সম্রা মুণ্ডা (৫৫) স্থানীয় হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে কোমর সমান কাদায় আটকে যান। তখন তার হাতে থাকা দুটি কুঁচিয়া কাদায় পড়ে যায়।
হঠাৎ অনুভব করেন পায়ুপথ দিয়ে কি যেন তার পেটে ঢুকছে। তবে বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে বাড়িতে চলে আসেন তিনি। বাড়িতে আসার পর থেকে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন।
পেটের ব্যথা নিবারণে রবিবার (২৪ মার্চ) কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
সেখানে চিকিৎসকরা মুণ্ডার কথা শুনে পরীক্ষা (এক্স-রে) করান। পরীক্ষায় ধরা পড়ে পেটের ভেতর লম্বা আকৃতির একটি বস্তু রয়েছে। পরে অপারেশনের সিদ্ধান্ত হয়। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় মুণ্ডাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে প্রফেসর জানে আলমের নেতৃত্বে ৪ জন চিকিৎসক প্রায় দুই ঘণ্টার অপারেশনে পেটের ভেতর থেকে একটি জীবন্ত কুঁচিয়া বের করেন। এ ঘটনায় ডাক্তাররা বিস্মিত হন।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক জেলের পেট থেকে ২৫ ইঞ্চির জীবিত কুঁচিয়া বের করা হয়েছে। বর্তমানে সম্রা মুণ্ডা নামের ওই জেলে হাসপাতালের ১১নং ওয়ার্ডে শঙ্কামুক্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।
এআই
মৌলভীবাজারে বসত ঘরের চালে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত শিশু সোনিয়া সুলতানাও (৮) মারা গেছে। তার আগে একই ঘটনায় তার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোন মারা যায়।
বুধবার (২৭ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সোনিয়ার মৃত্যু হয়। সে স্থানীয় গোয়ালবাড়ী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো।
সোনিয়ার বাবা-মা ও তিন ভাইবোনেরও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সেই বেঁচে ছিল। সোনিয়ার মৃত্যুতে জুড়ীর বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর ফয়জুর রহমানের পরিবারে আর কেউ বেঁচে রইল না।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, 'বাচ্চাটাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ঢাকা মেডিকেল থেকে পরে আমাদের এখানে আনা হয়। কিন্তু আগেই শিশুটির মৃত্যু হওয়ায় আর ভর্তি করা হয়নি।'
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাকপ্রতিবন্ধী ফয়জুর রহমান দিনে ঠেলা চালিয়ে এবং রাতে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরীর কাজ করে সংসার চালাতেন। নিজের জমি না থাকায় পরিবার, ভাইবোনদের রেখে টালিয়াউরা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মইন উদ্দিনের বাড়িতে থাকতেন। ছয়-সাত বছর আগে একই ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামে রহমত আলীর টিলা বাড়িতে ঘর তৈরি করেন। সেই ঘরে ছিল না বিদ্যুতের সংযোগ। তবে ঘরের ওপর দিয়ে আগে থেকেই পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টের লাইন টানানো ছিল। মঙ্গলবার ভোরে বজ্রপাতসহ ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। বজ্রপাতের পর পাশের খুঁটি থেকে একটি তার ছিঁড়ে ফয়জুরের ঘরের ওপর পড়ে। এতে টিনের চালের ঘরটি বিদ্যুতায়িত হলে ওই পরিবারের পাঁচ সদস্য মারা যান। বুধবার ভোর ৪টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যায় সোনিয়া। ফয়জুরের ঘরে বিদ্যুৎ না থাকলেও বিদ্যুতের কারণেই ছারখার হতদরিদ্র এ পরিবার।
সোনিয়ার মামা আব্দুল আজিজ গণমাধ্যমকে জানান, সোনিয়ার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে যায় বলে জানান চিকিৎসকরা। প্রথমে তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। ঢাকায় পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই সে মারা যায়। তার মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছি।
ফয়জুর রহমানের বড় মেয়ে সামিয়া বেগম হাজি ইনজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে, মেজো মেয়ে সাবিনা বেগম নওয়া বাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণিতে এবং ছেলে সায়েম গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।