জাতীয়
সব দেখুনসর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুনচলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন লেগেছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটের দিকে হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ ইউনিটে এই আগুন লাগে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, শুক্রবার পৌনে বেলা ২টার দিকে হাসপাতালের আট তলা একটি ভবনের পঞ্চম তলায় কার্ডিয়াক বিভাগে আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের তিনটি, সিদ্দিক বাজার থেকে একটি এবং তেজগাঁও থেকে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে।
তবে কীভাবে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হল বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে দিতে পারেননি তিনি।
এদিকে আগুন লাগার পর হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অসুস্থ বাচ্চাদের নিয়ে অনেকে ভবন ছেড়ে নিচে নেমে আসেন।
রাজধানীর বনশ্রীতে একটি আবাসিক ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন লাগে বলে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স থেকে জানানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমাদের কাছে সংবাদ আসে বনশ্রী ‘সি’ ব্লকের একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এছাড়া হতাহতের সংবাদও পাওয়া যায়নি।
এআই
জামালপুরের তারাকান্দি থেকে যাত্রীদের নিয়ে ছেড়ে আসা যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন রাজধানীর তেজগাঁওয়ে লাইনচ্যুত হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে রাজধানী কারওয়ান বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর থেকে এক লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে দেরিতে হলেও ঢাকা থেকে বের হচ্ছে ট্রেনগুলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস।
তিনি বলেন, কারওয়ান বাজারে ঢাকাগামী যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। সেখানে ডাবল লাইন থাকায় ট্রেন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলছে।
তবে লাইনচ্যুত ট্রেনটি লাইনে আনা ও চলাচল স্বাভাবিক করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে বলে জানান ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস।
এআই
হাজারীবাগ বউবাজার এলাকায় বাবার হাতে পাঁচ বছরের জান্নাতুল (৫) নামে এক মেয়ে শিশু খুন হয়েছে। এই ঘটনায় শিশুটির বাবা মো. রাসেলকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত সারে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে মারা যায় জান্নাতুল। সোমবার সন্ধ্যার দিকে হাজারীবাগ বউবাজার খালপাড়ের বাসায় ঘটনাটি ঘটে।
মৃত জান্নাতুলেরর মামা মো. রাহাত জানান, তাদের বাড়ি ভোলা জেলার দক্ষিণ আইচা থানার পশ্চিম চড়ভুষন গ্রামে। বর্তমানে হাজারীবাগ বউবাজার খালপাড় এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকত। শিশুটির বাবা মো. রাসেল লেগুনা চালক। মা নাসিমা আক্তার গৃহিণী। জান্নাতুল তাদের একমাত্র সন্তান ছিল।
তিনি আরও জানান, গত দুই মাস যাবৎ গ্রাম থেকে ঢাকায় আসে তারা। এরপর থেকেই হাজারীবাগে থাকত। এর আগে কয়েকবার জান্নাতুলের মায়ের ওপরেও অত্যাচার করছে। গতকাল সন্ধ্যায় ঘরের দরজা বন্ধ করে মেয়ে জান্নাতুলকে খাবার খাওয়াচ্ছিল। খাবার খেতে না চাইলে জোড়ে মাটিতে আছাড় মারে। এতে গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে মারা যায়।
হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাদির শাহ বলেন, গতকাল বিকেলে শিশুটির বাবা মো. রাসেল মেয়ে শিশুটিকে আছাড় মারে এতে শিশুটির মাথায় আঘাত লেগে গুরুতর আহত হয়। স্বজন ও প্রতিবেশীরা শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।
এসআই আরও জানান, মাঝে মধ্যেই স্ত্রী ও মেয়েকে অত্যাচার করত। গতকাল বিকেলে শিশুটিকে তাঁর মা নাসিমা ভাত খাওয়াচ্ছিল। তবে খেতে চাচ্ছিল না জান্নাতুল। বাবা রাসেল রাগান্বিত হয়ে মেয়েকে আছাড় মারে। এতে শিশুটির মাথায় আঘাত লেগে গুরুতর আহত হয়। তবে ঘটনার পরপরই প্রতিবেশীরা রাসেলকে ধরে থানায় খবর দেন। রাসেল থানায় আটক আছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
এআই
রাজধানীর মিরপুরের ভাসানটেক এলাকায় মশার কয়েল জ্বালাতে গিয়ে গ্যাসের আগুনে নারী-শিশুসহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য
আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ভোরে ভাসানটেক ১৩ নম্বর কালবার্ট রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, মেহরুন্নেছা (৬৫), সূর্য বানু (৩০), লিজা(১৮), লামিয়া (৭), সুজন (৯) ও মো. লিটন (৫২)।
জানা গেছে, মশার কয়েল ধরাতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে ঘরে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণ হয়। এতে একই পরিবারের নারী-শিশুসহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। পরে ভোর সোয়া ৫টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজ ভোরে মিরপুরের ভাসানটেক থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারী ও শিশুসহ ছয়জনকে বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে মেহরুন্নেসার শরীর ৪৭ শতাংশ, সূর্য বানুর ৮২ শতাংশ, লামিয়ার ৫৫ শতাংশ, মো. লিটনের ৬৭ শতাংশ, লিজার ৩০ শতাংশ ও সুজনের শরীর ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তাদের জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।
বাসার কেয়ারটেকার রিফাত হোসেন বলেন, লিটন মিয়া নামে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ী ওই বাড়ির নিচতলায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। গত রাত চারটার দিকে মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে ঘরের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণে ওই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হন।
তিনি বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারটি ঘরের বাইরে ছিল। কিন্তু পাইপের মাধ্যমে ঘরের মধ্যে চুলার সংযোগ ছিল। ওই চুলার সংযোগে লিকেজ থাকায় ঘরে গ্যাস জমে থাকে। মশার কয়েল জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে ধায়। পরে দ্রুত ভোর পাঁচটার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি।
পিএম
ঝিনাইদহের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে মানুষের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। সদর হাসপাতালের লিফট মাসের পর মাস বন্ধ। কতিপয় চিকিৎসকদের অবহেলা ও দুর্ব্যবহার, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দুগর্ন্ধ। খাবারের মান নিম্নমুখী। সর্বোপরি লোকবলের অভাবে স্বাস্থ্যসেবা পদে পদে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
এ নিয়ে মানুষ প্রকাশ্যে ও গোপনে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সেই প্রতিবাদের ঢেও আছড়ে পড়ছে সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও।
স্বাস্থ্য বিভাগের এই বেহাল দশা নিরসনে ঝিনাইদহে কোন ‘কান্ডারী’ নেই। জনপ্রতিনিধি থাকলেও তারা ব্যস্ত আছেন নিজেদের ব্যবসা ও সুনাম অর্জনের কৌশল নিয়ে। অবহেলিত চিকিৎসা প্রত্যাশীরা তাদের কাছে যাওয়ার সুযোগ পাননা। ইচ্ছা করলেও তাদের সঙ্গে দেখা মেলে না। এ অবস্থায় অভিভাবকশুন্য হয়ে পড়েছেন তারা।
এদিকে বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে প্রসূতি মায়ের লাশের সারি লম্বা হচ্ছে। এক মাসে অন্তত ৬ জন মায়ের মৃত্যু হয়েছে। চলমান নাজুক পরিস্থিতি সামাল দিতে কঠোর কোন পদক্ষেপ নেই। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ যেন নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে আছে।অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে অসহায় মানুষের আহাজারি শোনার কেউ নেই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরী ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের আমিন বিশ্বাসের স্ত্রী লিপি খাতুনকে গত ১৬ এপ্রিল জেলা শহরের শামিমা ক্লিনিকে সন্তান প্রসবের জন্য ভর্তি করা হয়েছিলো। লিপি খাতুন সুস্থ সবল ভাবে অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করলেও সিজারের সময় তার কিডনির একটি রক্তনালী কেটে ফেলা হয়।পরে তাকে পুলিশ দিয়ে জোর পূর্বক ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালের আইসিইউতে পাঠানো হয়। যাওয়ার সময় ৩৫ হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় ওই হতদরিদ্র পরিবারকে।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল ওই একই ক্লিনিকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভবিতপুর গ্রাামে রিনা খাতুন (২২), গত ২৫ মার্চ আরাপপুরের রাবেয়া হাসপাতালে শারমিন, গত ২৯ মার্চ কালীগঞ্জের দারুসশেফা ক্লিনিকে ও শহরের হামদহ এলাকার প্রিন্স হাসপাতালে একাধিক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (১৮এপ্রিল) জেলা শহরের শামিমা ক্লিনিকসহ ৬টি বেসরকারী হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন, সিভিল সার্জন ডাঃ শুভ্রা রানী দেব নাথ।
বন্ধ ক্লিনিকগুলোর মধ্যে রয়েছে, ঝিনাইদহ শহরের শামিমা ক্লিনিক, হাবিবা ক্লিনিক, স্মৃতি ক্লিনিক, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, হাবিবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
এদিকে শামিমা ক্লিনিকে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) খুলনার পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডাঃ শুভ্রা রানী দেব নাথ জানান, সিজার করার সময় যেসব ঔষুধ কিংবা স্যালাইন ব্যবহার করা হয় সেগুলো ভেজাল বা নকল বলে কোন কোন ডাক্তার দাবী করছেন। ফলে ওটিতে ব্যবহৃত স্যালাইনসহ ঔষুধের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ঔষুধ প্রশাসনের কাছ থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ফলাফল জানানো হবে। ঔষুধের কারণে মৃত্যু ঘটছে দায়ী চিকিৎসকরা দাবী করলেও ঢাকায় পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ওই সব প্রসুতির কারো কিডনির রক্তনালী ও কারো জরায়ু কাটার অভিযোগ রয়েছে। সিভিল সার্জন আরো জানান, শিঘ্রই জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে জেলার মানহীন ক্লিনিক ডায়গনষ্টিক সেন্টার গুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচলনা করা হবে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মিথিলা ইসলাম বলেছেন, চলতি মাসে ৫০টির বেশী সিজার হয়েছে। এর মধ্যে মত্যৃ হয়েছে ৬ জনের। তিনি বলেন বেশীর ভাগ বেসরকারী ক্লিনিকে পোষ্টঅপারেটিভ ব্যবস্থা নেই।
ঝিনাইদহের ড্রাগ সুপার সিরাজুম মনিরা জানিয়েছেন, ঝিনাইদহ জেলা শহরের শামিমা ক্লিনিক ও বেসরকারী প্রিন্স হাসপাতালে প্রসুতি মৃত্যুর পর ওটিতে ব্যবহৃত স্যালাইন, ইনজেকশন ট্যাবলেটসহ ১৭টি আইটেম পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা গুলো পরীক্ষার জন্য ঔষুধ প্রশাসনের ড্রাগ টেষ্টিং ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। লিবরা কোম্পানীর হার্টসল স্যালাইনের পরীক্ষার ফলাফল ইতিমেধ্য তারা হাতে পেয়েছেন। ওই ফলাফলে স্যালাইনে কোন ত্রুটি পাওয়া যায়নি। বাকী ১৭টির ফলাফল আসতে ১৫ দিন লাগবে বলে তিনি জানান।
পিএম
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক গৃহবধূ স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে নিজেও আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গৃহবধূ ওই ব্যক্তির দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। অন্যদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামী।
শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোররাতে পারিবারিক কলহের জেরে কলারোয়ার পাঁচপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওই গৃহবধূর নাম ঝর্ণা খাতুন। তিনি ওই গ্রামের আজহারুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী।
এ বিষয়ে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজহারুল ইসলামের দুই স্ত্রী। তার বড় স্ত্রীর নাম রাশিদা খাতুন এবং ছোট স্ত্রীর নাম ঝর্ণা খাতুন। সম্প্রতি প্রথম স্ত্রীকে ঘিরে আজহারুল ও ঝর্ণা খাতুনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। গতকাল শুক্রবার রাতে আজহারুল ইসলামকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন ঝর্ণা খাতুন। পরে ঘুমন্ত আজহারুলের হাত-পা বেঁধে, তাঁর পুরুষাঙ্গ কেটে নেন। একপর্যায়ে ঝর্ণা খাতুনও ঘুমের ওষুধ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোররাতে ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ড. মানস কুমার বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে ঝর্ণা খাতুন মারা গেছেন। আর আজহারুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এআই
যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জি এম মশিউর রহমান নামে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে উপজেলার মোবারকপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মশিউর রহমান উপজেলার ১১ নম্বর চালুয়াহাটি ইউনিয়নের ১ নম্বর মোবারকপুর ওয়ার্ডের টানা দু'বারের নির্বাচিত সদস্য। তিনি স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা করতেন।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৯টার দিকে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
চালুয়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সরদার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এআই
শুক্রবার দুপুর আড়াইটা। যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ঝাউদিয়া মৌজার মাঠে ধান ক্ষেত পরিচর্যার কাজ করছিলেন কৃষক শফিকুল ইসলাম। আগুন ঝরা রোদে কাজ করতে করতে রীতিমতো হাপিয়ে ওঠেন তিনি। গভীর নলকুপ থেকে হাত মুখ ধুয়ে পানি পান করার পর গাছের নিচে শুয়ে পড়েন এই কৃষক। তার কথায় রোদের তাপ সহ্য করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে আর কাজ করতে পারছিনা। এমন অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন যশোরের মানুষ।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোর ছিল তালিকায় দ্বিতীয়। আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে অতি তীব্র তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই অতি তীব্র তাপমাত্রার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যশোর। তাপমাত্রা বেড়ে চললেও আপাতত বৃষ্টিপাতের আভাস নেই।
জানা গেছে, দমফাটা রোদ ও গরমের মধ্যে সবচেয়ে কষ্টে রয়েছেন নিম্ন আয়ের লোকজন। প্রচন্ড গরমে অতিষ্ট হয়ে হাপিত্যেশ করছে তাঁরা।
রিকসা চালক মানিক মিয়া জানান, প্রচন্ড তাপের মধ্যে রিকসা চালাতে মন চাই না। কিন্তু অভাবের সংসার। তাইতো কষ্ট হলেও রিকসা চালানো ছাড়া উপায় নেই। টানা রোদে রিকসা চালানোর ফলে গরমে গায়ের কাপড় ঘেমে ভিজে গেছে তার।
নির্মাণ শ্রমিক আশাদুল ইসলাম জানান, কড়া রোদে গা ‘পুড়ে’ যাচ্ছে। মাথার ওপরের আকাশটা যেনো তাঁতালো কড়াইয়ের রুপ নিয়েছে। রোদের খরতাপে অসহনীয় অবস্থায় পড়ছেন তার মতো অনেকেই। গরমে জীবন যাই যাই অবস্থা।
রড মিস্ত্রি মোফাজ্জেল হোসেন জানান, গরমের কারণে রডে হাত দেয়া যাচ্ছেনা। তারপরও কষ্ট করে কাজ করতে হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের যে দাম। একদিন কাজ না করলে চুলায় হাড়ি উঠবেনা। তাই অনেকটা বাঁধ্য হয়েই মাঠে কাজ করতে এসেছেন। যশোরে অব্যাহত খরতাপ শ্রমজীবি মানুষের কষ্ট অনেকটা বাড়িয়েছে। তাপমাত্রার পারদে মানুষ একদম নাজেহাল।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বুধবার যশোরে তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াম, বুধবার ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ছিল ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সোমবার ছিল ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপদাহের কারণে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জেলায় হিট এলার্ট জারি করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় গত ১৬ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৭ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৮ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বশেষ ১৯ এপ্রিল ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেকর্ড করা হয়।
শুক্রবার সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ০ (শূন্য) ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ৪৫ শতাংশ। দুপুর ১২ টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪০ দশমিক ০ (শূন্য) ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ তাপমাত্রার পারদ আরো বেড়ে বেলা ৩ টায় দাড়ায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। বিকেল ৬ টায় এ তাপমাত্রা এ তাপমাত্রার পারদ আরো বেড়ে দাড়ায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ।
তীব্র তাপদাহ ও ঘন ঘন বিদ্যুৎ লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণীকূল। হাসপাতালে বাড়ছে পানিবাহিত ও গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র তাপদাহে হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান সন্ধা ৬ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সাধারণত দুপুর ৩ টা পর্যন্ত তাপমাত্রা উত্তপ্ত থাকে। আজ শুক্রবার দুপুর ৩ টার তাপমাত্র ছিল ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রী এবং এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। তবে আজ দুপুর ৩ টার পর তাপমাত্রার পারদ আরো কিছুটা বেড়ে দাড়ায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে।
তিনি আরো বলেন, এমন তাপদাহ আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এখনই বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে।
এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। দিনের বেশিরভাগ সময় প্রখর তাপে উত্তপ্ত থাকছে গোটা জেলা জুড়ে। দিনের বেলায় সাধারণ মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছেন। শ্রমজীবী মানুষেরা বের হলেও ফাঁকা রাস্তায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা। তাই একটি প্রশান্তির খোঁজে গাছের নিচে ছায়াযুক্ত স্থানে জিড়িয়ে নিচ্ছেন তারা। আবার অনেকে সড়কের পাশের শরবত ও মাঠা খেয়ে একটু স্বস্তি খুঁজছেন, কেউবা গাছ তলায় ছায়ায় বসে কাটিয়ে দিচ্ছেন দিন।
এমআর
ভোলার ইলিশাঘাট থেকে রাজধানী সদরঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ কর্ণফুলী-৩ এ আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুন লাগার পর আতঙ্কে অনেকে নদীতে লাফিয়ে পড়েন। পরে লঞ্চটি চাঁদপুরের হাইমচরের একটি চরে নোঙর করা হয়।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে হাইমচর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের সহকারী মাস্টার মো. রইচ উদ্দিন সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কয়েক শ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে লঞ্চটির ইঞ্জিনরুমে হঠাৎ করে আগুন লেগে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে লঞ্চটি আবাল বিল চরে নোঙর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
সহকারী মাস্টার আরও জানান, আগুন লাগার পরই তা পুরো ইঞ্জিনরুমে ছড়িয়ে পড়ে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের সহায়তা চাওয়া হয়। চরে নামিয়ে দেওয়া যাত্রীদের কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ ঢাকায় নিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
এদিকে লঞ্চটিতে থাকা মনিরুল ইসলাম রুবেল নামে এক যাত্রী জানান, আগুন লাগার খবরে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ প্রাণ বাঁচাতে নদীতে লাফ দেন। তবে এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আগুন লাগার পরই ইঞ্জিন রুমসহ লঞ্চের নিচতলা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।
ভোলা জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর হোসাইন জানান, ঘটনাটি জানার পর তিনি কোস্টগার্ডকে বিষয়টি অবগত করেছেন। চাঁদপুরের একটি কোস্টগার্ড টিম ঘটনাস্থলে যাবে।
তিনি আরও জানান, যেহেতু ঘটনাস্থল ভোলার বাইরে, সেজন্য এখনো নিশ্চিত করে ঘটনার বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব না।
পিএম
কুমিল্লায় ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে তিন ধর্ষকের হাতে তুলে দিয়েছেন আবুল খায়ের নামের এক স্বামী। পরে ওই নারীকে ফসলি জমির গভীর নলকূপের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে তিন জন। গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) জেলার বরুড়া উপজেলার শাকপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এঘটনায় ভুক্তভোগী নারী থানায় এসে অভিযোগ জানালে ৩ জনকে আটক করে বরুড়া থানা পুলিশ। তারা হলেন- বরুড়া উপজেলার শাকপুর এলাকার মাদক কারবারি নূরু, মনির এবং মহিন।
বরুড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, শাকপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে আবুল খায়ের একজন মাদকাসক্ত। গত বুধবার মাদক সেবনের টাকা না থাকায় একই এলাকার মাদক কারবারি নূরু, মনির ও মাহিনের কাছে মাত্র ৫ হাজার টাকায় বন্ধক রেখে মাদকের টাকা জোগাড় করেন স্বামী আবুল খায়ের। পরে বন্ধক নিয়ে ওই নারীকে ফসলি জমির গভীর নলকূপের ঘরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন নূরু, মনির ও মাহিন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী তার পরিবারের লোকজন নিয়ে বরুড়া থানায় এসে অভিযোগ জানালে পুলিশ শুক্রবার অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করে।
এআই
কক্সবাজারের টেকনাফ নাফনদীর ওপারে দু'পক্ষের ব্যাপক সংঘাত এখনো চলমান। গোলাগুলিতে দিশেহারা হয়ে প্রাণ বাঁচাতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশ সরকারের টেকনাফ সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করার মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ও সেনা সদস্যরা।
গত এক মাসের ব্যবধানে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে এপারে আশ্রয় নিয়েছে ২৭৪ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী সদস্য। তারই ধারাবাহিকতায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে আরও ১৩ জন মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য। প্রাণ বাঁচাতে নাফ নদী অতিক্রম করে টেকনাফ কর্মরত কোস্ট গার্ড সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
এদিকে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালের দিকে নতুন করে মিয়ানমারের ১৩ বিজিপি সদস্য প্রবেশ করার সত্যতা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে নিশ্চিত করেছেন,বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরীফুল ইসলাম।
তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফের নাফ নদীতে প্রবেশ করে আরও ১৩ জন বিজিপি সদস্য টেকনাফ কোস্টগার্ড সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরবর্তীতে কোস্টগার্ড ১৩ বিজিপি সদস্যকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে দায়িত্বরত (১১ বিজিবি) নিকট হস্তান্তর করেছে। তারা এখন বিজিপি হেফাজতে রয়েছে। এ নিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ২৭৪ জন সীমান্তরক্ষী বিজিপি ও সেনা সদস্য বাংলাদেশ সীমান্ত প্রহরী বিজিবির হেফাজতে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, সীমান্ত সু-রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিজিবি সদস্যরা সদা জাগ্রত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে চলমান সহিংসতা জের ধরে সেই দেশ থেকে পালিয়ে আসা কোন নাগরিক যাতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেই লক্ষ্যে সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যরা সদা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার পাশাপাশি কঠোর নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, মিয়ানমারে দু'পক্ষের চলমান সহিংসতা থেকে প্রাণ বাঁচাতে বেশ কয়েকজন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী এপারে প্রবেশ করেছে শুনলাম। আমাদের সীমান্ত প্রহরী বিজিপি সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে নিয়েছে । দেশের সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সবাই মিলে কাজ করে যাচ্ছি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য- চলতি বছরের গত ২ ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই পর্যন্ত মিয়ানমারের চলমান সহিংসতা থেকে নিজের প্রাণ বাঁচাতে এপার সীমান্তে পালিয়ে এসেছিল ৬০৪ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী সদস্য।
এরমধ্যে গত গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের ইনানী নৌবাহিনীর জেটি ঘাট দিয়ে তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
এদিকে এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন, বাংলাদেশ বিজিবির আশ্রয়ে থাকা বাকী ২৭৪ জনকে ২২ বা ২৩ এপ্রিল মিয়ানমার থেকে জাহাজ আসবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু তাদের চলে যাওয়াটা বর্তমান আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করছে। এর আগে ৩৩০ জনকে যে প্রক্রিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। এবারেও ঠিক একই ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পিএম
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হালদা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের সময় আব্দুল জব্বার, ওলিউল্লাহ, মো. খোকন এবং আব্দুল মতিন নামে চারজনকে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় নাজিরহাট পৌর সভার ৯ওয়ার্ডে মতি ভান্ডারের পাশে অভিযানে এই কারাদন্ড দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ হালদা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। আজ চক্রটি নৌকা দিয়ে বালু উত্তোলন করছে এমন খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চালায়। অভিযানে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী চারজনকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় মোবাইল কোর্ট।
অভিযানের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে সহযোগিতা করে স্থানীয় কাউন্সিলর, ফটিকছড়ি থানার এসআই ওমরা খান সহ সঙ্গীয় ফোর্স।
পিএম
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এম সজীবের নামাজের জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চন্দ্রগঞ্জের উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পাঁচপাড়া গ্রামে দ্বিতীয় নামাজের জানাজার শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সজীবের মরদে দাফন করা হয়। জানাযায় দলীয় নেতাকর্মীসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সজীবের ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মরদেহ লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের বাড়িতে আসে। সজীব চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তিনি চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে।
জানাযা নামাজে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক পিংকু, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতলব, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ মান্না, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবীর পাটওয়ারী, চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম ছাবির আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তালেব ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, আমরা সজীব হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই। প্রশাসনের কাছে জোর দাবি থাকবে, হত্যাকারীরা যতই প্রভাবশালী ও ক্ষমতাশীল হোক, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এ হত্যার বিচার না হলে, ভবিষ্যতে অনেক সজীবকে আমাদের এভাবে হারাতে হবে। আমি সজীবের মায়ের কান্না, শ্বশুরের কান্না ও স্ত্রীর কান্না দেখেছি। তার একটি শিশু সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী অঝোরধারায় কাঁদছে আর আকুতি জানিয়ে বলেছে, 'সে কার কাছে যাবে, তার বাচ্চার কি হবে'। তাদের কান্না দেখে শান্তনা দেওয়া ভাষা খুঁজে পাইনি। তাদের কান্নায় যেন সবকিছু থমকে গিয়েছিল'।
প্রসঙ্গত, ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে সজীবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এসময় তাকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের ওপরও গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। পরে আহত অবস্থায় ওই চারজনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সজীব, সাইফুল ও রাফিকে ঢাকায় প্রেরণ করে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে। এতে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২ টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালের নিবীড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজীব মারা যান।
পিএম
কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্স থেকে ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। ৯টি লোহার দান বাক্স এই টাকা পাওয়া যায়। প্রতি তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা কথা থাকলেও এবার চার মাস ১০ দিন পর খোলা হয়েছে
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় দান বাক্স খোলা হয়। টাকার পাশাপাশি পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না। এখন চলছে গণনার কাজ। গণনায় অংশ নিয়েছেন প্রায় ২২০ জনের একটি দল।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এবার আমরা চার মাস দশ দিন পর দানবক্স খুলেছি। ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। ব্যাংক কর্মকর্তা ও মাদরাসার ছাত্ররা টাকা গণনার কাজ করছেন।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের নয়টি দান দানবাক্স খোলা হয়েছে। দান দানবাক্সগুলো খুলে ২৭টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় আনা হয়েছে গণনার জন্য। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ।
টাকা গণনার কাজে কিশোরগঞ্জের জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ মাদরাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর পাগলা মসজিদের নয়টি দানবাক্সে রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গেছে। সাড়ে ১৫ ঘণ্টায় ২২০ জনেরও বেশি লোক এ টাকা গণনায় অংশ নেন। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানিয়েছে, ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৩০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
পিএম
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ৬ জন কৃষকের ৬০ বিঘা জমির পেঁপে গাছ পূর্ব শত্রুতার জেরে রাতের আঁধারে কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অভিযোগ করা হয়েছে থানায়।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতের কোন এক সময় উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত পেঁপে চাষীরা জানিয়েছেন, প্রায় কোটি টাকার পেঁপে উৎপাদন হতো। উৎপাদন খরচ করে নিঃস্ব চাষিরা ।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর এলাকায় ৬০ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে পেঁপে গাছ রোপন করে সদর ইউনিয়নের চর আজিমপুর গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম (১১ বিঘা) মজিবুর রহমান (১১ বিঘা) ও জয়মন্টপ ইউনিয়নের চরদূর্গাপুর গ্রামের গোলাম মওলার (২৮ বিঘা)। এছাড়াও আরও ১০ বিঘা জমিতে পেঁপে আবাদ করে অন্য এলাকার তিন কৃষক। পূর্ব শত্রুতার জেরে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এসব জমির সব পেঁপে গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক নুরুল ইসলামসহ অন্যরা বলেন, এ পর্যন্ত সার, বীজ ও শ্রমিক খরচসহ প্রায় অর্ধ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। গাছে ব্যাপক পেঁপে ধরেছিল এবং অনেক গাছে ফুল এসেছে। চলতি মৌসুমে প্রায় কোটি টাকার পেঁপে উৎপাদন হতো। এনজিও থেকে ঋণ ও ধারদেনা করে পেঁপে চাষাবাদ করেছিলাম। কিন্তু দুর্বৃত্তদের কারণে আমাদের সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। কীভাবে ঋণের টাকা শোধ করব, বুঝতে পারছি না।
থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিএম
আসন্ন উপজেলা পরষিদ নর্বিাচনে হলফনামায় সম্পদ কম দেখাতে তিন কোটি টাকার মূল্যে ডুপ্লেক্স বাড়ি বাবাকে দান করলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদর্প্রাথী ফারজানা নাজনীন। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে বইছে আলোচনা ও সমালোচনা। এই ভবন নর্মিাণরে এত র্অথ জোগান নযি়ওে রয়ছেে নানা গুঞ্জন।
গত ৯ এপ্রিল মাদারীপুর সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে হেবা ঘোষণার মাধ্যমে নিজের পিতা ইসমাইল হোসেনকে বিলাসবহুল তিনতলা অট্টালিকাসহ বাড়িটি দান করেন মেয়ে ফারজানা নাজনীন।
ফারজানা নাজনীন মাদারীপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করে বাচাই বাছাইয়ে টিকেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের বাসভবনের পেছনে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন অত্যাধুনিক তিনতলা ডুপ্লেক্স বাড়ি। যা নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা।
মাদারীপুর পৌরসভার ১১১নং শকুনী মৌজার ৩৮৭, ৩৮৮ ও ২৮৯ নং দাগে ৭ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত হয়েছে ৩ তলা বিশিষ্ট বিলাস বহুল ডুপ্লেক্স বাড়িটি। এই সম্পত্তির মালিক ফারজানা নাজনীন ও তার মেয়ে তাসনিম জাহান মীম। ফারজানা নাজনীন তার বাবা কুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেনের নামে গত ৯ এপ্রিল ২৩৩৭ নং দলিলে ‘হেবা ঘোষণার’ মাধ্যমে মালিকানা পরিবর্তন করেন। পরে দাখিল করেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র। নির্বাচনের হলফনামায় সম্পত্তি কম দেখাতেই বাবার নামে লিখে দিলেন কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি।
মাদারীপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের সর্বশেষ ভূমি জরিপ বিআরএস রেকর্ডে সংশ্লিষ্ট দাগ ও খতিয়ানে ডোবা থাকায় ভবন নির্মাণ ঝুঁকিপূর্ণ মনে করায় অনুমোদন দেয়া হয়নি। ওই জায়গায় ভবন নির্মাণের জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অনুমোদন চাইলেও সবশেষ পৌরসভার সার্ভেয়ার ও ইঞ্জিনিয়ারসহ বিশেষজ্ঞরা দেননি কোন অনুমোদন। পরে ফারজানা নাজনীন ক্ষমতার অপব্যবহার করেই এই ভবন নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী যুবলীগ নেত্রী ফারজানা নাজনীনের নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিলের হলফনামায় তিনি ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন তিন লাখ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে মাত্র ২ হাজার টাকা। আর নগদ অর্থ সাড়ে ৪ লাখ টাকা উল্লেখ করেছেন। হলফনামার তথ্য নিয়ে মাদারীপুরের জনমনে এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে বিপুল অর্থে নির্মিত ডুপ্লেক্স বাড়িটির অর্থ জোগান আসলো কোথা থেকে? সম্প্রতি এ নিয়ে বেশ কয়েকজন সচেতন নাগরিক বাড়িটি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। ফেসবুকে দুদককে অনুসন্ধান করতেও অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয়রা নাগরিকেরা।
মাদারীপুরের যুব মহিলা লীগ নেত্রী ফারজানা নাজনীন সাংবাদিকদের বলেন, আমার স্বামী লিয়াকত হাওলাদার ইতালি থেকে টাকা পাঠিয়েছেন, সেই টাকা থেকে নির্মাণ করা হয়েছে এই বাড়ি। এছাড়া আমি জেলার একমাত্র নারী ঠিকাদার, আমি ব্যবসা করি, আমার ব্যবসার টাকায় বাডিটি নির্মাণ ব্যয় করা হয়েছে। পৌরসভা থেকে কোন অনুমোদন নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছিলাম, কিন্তু পৌরসভা অনুমোদন দেয়নি। পরে অনুমোদন ছাড়াই ভবন নির্মাণ করেছি। এই শহরের অনেক বাড়িই অনুমোদন ছাড়া তৈরী হয়েছে। সবাই যেভাবে বাড়ি নির্মাণ করছে আমিও সেভাবেই বাড়ি নির্মাণ করেছি।
সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগেই বাড়ির মালিকানা কেন পরিবর্তন হয়েছে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, বাড়ির জমি নিয়ে ঝামেলা থাকায় বাবার নামে লিখে দেয়া হয়েছে। জমিটা মূলত বাবার, কিন্তু বাড়ি আমি নির্মাণ করেছি।
মাদারীপুর পৌরসভার সার্ভেয়ার এনায়েত হোসেন বলেন, ফারজানা নাজনীন ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন করেছিলেন, পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জায়গাটি ডোবা। বিআরএস রেকর্ডে ডোবা থাকায় পৌরসভা এজন্য কোন অনুমোদন দেয়নি। কিন্তু বাড়িটি তারা অনুমোদন না নিয়েই নিজেদের মতন করেই তৈরী করেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের মাদারীপুরের উপ-পরিচালক আতিক রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ আসলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণের অর্থ জোগানের বিষয়েও খোঁজ-খবর নেয়া হবে।
এফএস
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে চাচা মতিউর রহমান বাদশাকে (৬২) দেশীয় অস্ত্র টেটা-বল্লম দিয়ে জখম করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভাতিজার বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে মতিউর রহমান বাদশা মিয়ার ছেলের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মতিউর রহমান উপজেলা মসুয়া ইউনিয়নেন চরবেতাল গ্রামে মৃত ফালু মিয়ার ছেলে।
নিহতের চাচাত ভাই জসিম উদ্দিন জানান মতিউর রহমান বাদশা সঙ্গে চাচাত ভাতিজা ইসমাঈলের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে মতিউর রহমান তার ছেলের বাড়িতে যাওয়ার পর তার ভাতিজাসহ বাড়ির লোকজন মিলে মতিউর রহমানকে টেটা-বল্লম দিয়ে আঘাত করলে বল্লমের আচার ভেঙ্গে টেটা-বল্লম বুকে আটকে যায়। আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোররাতে মৃত্যুবরণ করেন।
কটিয়াদী মডেল থানার (ওসি) তদন্ত মো. মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলেই মামলা হবে। হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের এক সৌদি প্রবাসী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ভাগলপুর হাসপাতালে তিনি মারা যান। নিহত সাইফুল ইসলাম রতন (৫৫) জালালপুর ইউনিয়নের টুনিয়ারচর বিরামের বাড়ি মহল্লার বাসিন্দা।
একবছর আগে সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনাটায় আহত হয়ে কোমায় থাকতে হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে এই রমজানে লোক-মারফত দেশে পাঠানো হয়। সম্প্রতি উনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি করালে আজ শুক্রবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিকেলে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।
পিএম
বরগুনা আমতলী উপজেলার শাখারিয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে ৬ কেজি গাঁজাসহ মো. সোহেল (২৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। আটককৃত সোহেল কুমিল্লা ধর্মপুর এলাকার মো. কবির হোসেনের ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ শাখার তথ্য অনুসারে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সে নিয়ে আমতলী থানাধীন আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের ০১নং ওয়ার্ডস্থ শাখারিয়া বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ৬ কেজি গাঁজাসহ সোহেল নামের একজনকে আটক করে। যার অবৈধ বাজার মূল্য অনুমান ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।
জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই (নিঃ) জ্ঞান কুমার দাস বলেন, আটককৃত আসামির বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
পিএম
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নে দীর্ঘ ১৮ বছর আগে হারানো সন্তান শ্যাম্ভু মা-বাবার বুকে ফিরে এসেছে । নিখোঁজ থাকা সন্তানকে কাছে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা মা-বাবা।
শ্যাম্ভু পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর-কাকচিড়া পুরান ভাড়ানী খাল সংযোগ ও নৌ-পুলিশ ফাঁড়ী সংলগ্ন পূর্ব লেমুয়া গ্রামের বাসিন্দা জেলে সেলিম মিয়ার বড় পুত্র।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, নিখোঁজের ১৮ বছর পরে গত সোমবার দুপুরে কাকচিড়া বাজারে এসে বাবার নাম ধরে জিজ্ঞেস করতে করতে সে পৌঁছে যায় তার পরিবারের কাছে। ছেলেকে পেয়ে আবেগময় হৃদয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন শ্যাম্ভুর মা-বাবাসহ পুরো পরিবার। পরিবারে মা-বাবা, ভাই সোহেল ও সেলিনা নামের বোন রয়েছে। শ্যাম্ভুর বর্তমান বয়স প্রায় ৩৪ বছর, তার কথা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত কোনো সাংসারিক জীবনে আবদ্ধ হয়নি।
বাড়ি ফেরা নিয়ে শ্যাম্ভুর কাছে জানতে চাইলে বলেন, বাড়ি থেকে না বলেই চট্টগ্রাম যাই, সেখান থেকে গিয়ে সিলেটে থাকা শুরু করি, এতদিন থাকার পরে বাড়ির কথা খুব মনে পড়ছিল, তাই ঠিকানা পুরোপুরি মনে না থাকা স্বত্বেও অনুমান করে করে বাড়িতে পৌঁছাই।
এদিকে নিখোঁজ সন্তানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তার মা-বাবা বলেন, ২০০৫ সালের শেষের দিকে না বলে আমাদের সন্তান বাড়ি ছাড়ে, তখন বয়স ছিল ১৬ বছর, সেই থেকে বিভিন্ন জায়গায় আমরা খোঁজ করেছি কিন্তু কোথাও কোনো সন্ধান মেলেনি, হয়তো আল্লাহ আমাদের ওপরে দয়া করে আমাদের কাছে সন্তান ফিরিয়ে দিয়েছেন। সন্তান কাছে পেয়ে আমাদের পুরো পরিবার খুবই আনন্দিত।
তারা আরও বলেন, সিলেট যে জায়গায় এতদিন বসবাস করতো সেই মালিকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে সেখানে শ্যাম্ভুর তিনটি অটোরিকশা আছে। সবকিছু মিলিয়ে আমরা ছেলেকে নিয়ে সিলেটে যাব মালিকের সঙ্গে দেখা করে আমাদের সন্তান আমাদের কাছে নিয়ে আসবো।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আফছানা নামের ১৩ বছরের এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে কলাপাড়া থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব টিয়াখালী গ্রামের গাজী বাড়ি এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। মৃত আফছানা ওই এলাকার নূরসায়েদ সিকদারের মেয়ে।
মৃতের ভাই আবু সাইদ জানান, প্রতিদিনের মতো বাজার করে এসে ঘরের ভিতর থেকে দরজা লাগানো দেখতে পায়। ডাকাডাকিতে কোন সাড়া না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে বোনের ঝুলন্ত পাঁ দেখতে পাই। সন্দেহ হলে বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে বোনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন। তবে, কি কারণে সে গলায় ফাঁস দিতে পারে তার সঠিক কোন কারন খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কলাপাড়া থানার এসআই গোলাম মাওলা জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পর শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনার থানার একটি ইউ ডি মামলা হয়েছে।
পিএম
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল সংবাদ প্রকাশের জেরে ২ জন সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও শেয়ার করার দায়ে আরো ১০ জনকে আসামি করে মোট ১২ জনকে সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা করেছেন তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য (সাবেক) সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদিন মিঠু।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করেন নারী কেলেঙ্কারিতে ভাইরাল হওয়া তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য (সাবেক) সাধারণ সম্পাদক।
মামলার আসামি দুই সাংবাদিক হলেন- দৈনিক কালবেলার তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি ও তালতলী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলাম, দৈনিক মানবকন্ঠের তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি ও তালতলী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন। সাংবাদিকসহ স্থানীয় আরো ১০ জন গণ্যামন্য ব্যক্তিদের মামলার আসামী করার কারণে সাংবাদিক মহল সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়। আর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।
বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অভিযোগটি তদন্ত করে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘটনার সংবাদ প্রকাশ ও ওই সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের মাধ্যমে সুনাম নষ্ট হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার ৩ নং আসামী দৈনিক কালবেলা'র তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি নাঈম ইসলাম বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ওই মামলার সাক্ষীরা এক নারীকে ধর্ষণ করেন এবং তাদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে এ ভাইরাল হয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের নিউজ না করার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমরা তাদের কথা না শুনে নিউজ প্রকাশ করি, সেই আক্রোশে আমাদের নামে সাইবার আইনে মামলা করেছে। মামলা হামলা দিয়ে সাংবাদিকদের কলম কখনো থামিয়ে রাখা যায়নি আর যাবেও না।
জানতে চাইলে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম খান বলেন, মামলার বিষয়ে আমি এখনো আমি কিছু জানি না। মামলার কপি হাতে পেলে তখন আমি এ বিষয়ে কথা বলতে পারবো।
পিএম
রাখাইন বর্ষবরণ উপলক্ষে কুয়াকাটায় রাখাইনদের জলকেলি অথবা রাখাইন ভাষায় ‘সাংগ্রাই’ উৎসবটি কুয়াকাটা রাখাইন মহিলা মার্কেট মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৪ টায় রাখাইন পুরাতন বছর ১৩৮৫ সাল বিদায় ও নতুন বছর ১৩৮৬ কে বরণে এদিন রাখাইন তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের নারী-পুরুষ এ অনুষ্ঠানে মেতে উঠেন।
রাখাইন তরুণীদের নৃত্য পরিবেশনা শেষে সেখানে তরুণ-তরুণীদের ভালোবাসায় সিক্ত জল একে অপরের গায়ে ছিটিয়ে পালন করা হয় রাখাইন সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় এ উৎসব।
এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রবিউল ইসলাম , বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লা,কুয়াকাটা পৌর কাউন্সিলর শহীদ দেওয়ান সহ অনেকেই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উচান চিন মাতুব্বর।
রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ বলছেন, পুরোনো বছরের সব গ্লানি ও দুঃখ জলে মুছে নতুনভাবে জলে জলে পরিশুদ্ধির জন্য এই উৎসব। টানা ৩ দিন চলবে এই উৎসব।
রাখাইন তরুণ লু চিং বলেন, নতুন বর্ষকে বিদায় ও বরণের ওই হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী সামাজিক উৎসবের রীতি। এ উৎসব ঘিরে ৩ দিনব্যাপী জলকেলি ছাড়াও বাড়িতে বাড়িতে রান্না হচ্ছে নিজস্ব খাবার।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র মোঃ আনোয়ার হাওলাদার বলেন, রাখাইনদের ৩ দিনের জলকেলি উৎসব সার্বিক সফল ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা কাজ করছে এবং তিনি বলেন, 'জলকেলি উৎসবটি রাখাইনদের হলেও এটি কালক্রমে এ অঞ্চলের মানুষের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। এ জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্যান্ডেলগুলোতে পুলিশ সদস্য ও গোয়েন্দারা অবস্থান করে।
এমআর
নেত্রকোনার মদনে হাওরে ধান কিনতে এসে ইজিবাইকের চাপায় এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে মদন-খালিয়াজুরি সড়কে উচিতপুরে এ ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আলী মিয়া (৬১) নামের এক ধান ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত আলী মিয়া নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রাজিবপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নাছির উদ্দিনকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে মদন উপজেলার হাওরে ধান কিনতে আসেন ব্যবসায়ী আলী মিয়া। ধান কিনে উচিতপুর থেকে মোটরসাইকেলে কেন্দুয়ার দিকে রওনা হন। পথে চালের বস্তা বোঝাই একটি ইজিবাইক বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়।
এতে মোটরসাইকেল চালক ও ব্যবসায়ী আলী মিয়া গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক ব্যবসায়ী আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
মদন থানার এসআই আব্দুল হাই স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আলী মিয়া নামের একজন ধান ব্যবসায়ী মারা গেছেন। মরদেহটি হাসপাতালে রয়েছে। নিহতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিএম
নেত্রকোনায় বিয়ের মাইক্রোবাস আটকে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের চার ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ ৩টি মোবাইল ফোন ও স্বর্ন টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার রুজুর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পুলিশি অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
শুক্রবার(১৯ এপ্রিল) সকালে সাড়ে ১০টার দিকে নেত্রকোণা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ভৈরবের অষ্টগ্রামের জাকির হোসেন (২৪), হবিগঞ্জ বানিয়াচংয়ের মো আরিফ হোসেন (২৯), চুনারুঘাটের মো. শাহীন আলম (৩৫) ও নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার শ্রীরামপাশার মো বাবুন মিয়া (২৪)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে গত ১৫ এপ্রিল মদনের মো. মোবাশ্বের হোসেন বিয়ের বরযাত্রী নিয়ে পাবনার বেড়ার উদ্দ্যেশ্যে রওয়ানা হন। দুটি মাইক্রোবাস যোগে যাওয়ার পথে মদন কেন্দুয়ার সীমান্ত এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে গতিরোধ করে ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাইক্রোবাসের গ্লাস ভেঙে ৭ ভরি স্বর্নালংকার, নগদ প্রায় লাখ টাকার কাছাকাছি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। একই রাতে মোটরসাইকেল আটকেও ডাকাতি করে।
পরে এসকল ঘটনায় ডাকাতির শিকার মোবাশ্বের সহ ক্ষতিগ্রস্তরা সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেন।
আলাদা থানায় দুটি মামলার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার করে প্রথম একজনকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী অন্যদেরকে আটক করে এবং লুট হওয়া অর্থসহ অল্প কিছু জিনিস উদ্ধার করে।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হারুন অর রশীদ, (বিশেষ শাখা) মো. লুৎফর রহমান, মদন খালিয়াজুরী সার্কেল রবিউল ইসলামসহ পুলিশের উর্ধতনরা উপস্থিত ছিলেন।
পিএম
নেত্রকোনার কলমাকান্দা লেঙ্গুরা সীমান্তে ঘুরতে গিয়ে রাবার ড্যামে গোসল করতে নেমে স্বাক্ষর মজুমদার নামের এক যুবক ডুবে মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার লেঙ্গুরা এলাকার গণেশ্বরী নদীতে ডুবে যুবকের মুত্যুর ঘটনাটি ঘটে। নিহত স্বাক্ষর মজুমদার ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়া কিষ্টপুর এলাকার বাচ্চু মজুমদারের ছেলে।
কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে পাহাড়ি নদী গনেশ্বরীতে কৃষি সেচের জন্য বিএনডিসির ড্যামের পানিতে গোসলে নেমেছিল।
পরে ডুব দিয়ে আর না ওঠায় বন্ধুরা তাৎক্ষনিক তাকে উদ্ধার করলেও তাকে আর বাঁচাতে পারেনি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরিবারের লোকজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এমআর
প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ,গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের মতো ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের সহযোগিতায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদযাপন করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ত্রিশাল দুখুমিয়া পার্কে প্রদর্শনীটি হয়।
এর আগে সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী এর শুভ উদ্বোধন বিটিভি কর্তৃক সরাসরি সম্প্রচার অনুষ্ঠানমালাটি উপভোগ করেন অতিথিরা।এরপর স্থানীয়ভাবে ফিতা কেটে ও পাইরা উড়িয়ে প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য এবিএম আনিছুজ্জামান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েল আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ত্রিশাল আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মতিন সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা,নাজরীন সুলতানা। অনুষ্ঠান শেষে সংসদ সদস্য এবিএম আনিছুজ্জামান বিজয়ী খামারিদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এআইময়মনসিংহের গৌরীপুরে তুচ্ছ ঘটনায় কিল ঘুষিতে মোফাজ্জল হোসেন (১২) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের বাঘবেড় গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত কিশোর মোফাজ্জল হোসেন মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় পাইবাকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় বোকাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আল মুক্তাদির বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। শুনেছি চেয়ারে বসা নিয়ে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।
গৌরীপুর থানার ওসি সুমন চন্দ্র রায় বলেন, বাড়ির পাশে বসে খেলাধুলা করছিল একদল শিশু ও কিশোররা। এ সময় চেয়ারে বসা নিয়ে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মোবারক হোসেনের (১৪) সাথে কথা কাটাকাটি ও তর্কবির্তক হয় নিহত মোফাজ্জল হোসেনের। এ ঘটনায় মোবারক হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে মোফাজ্জল হোসেনকে কিল-ঘুষি, চড় থাপ্পড় ও লাথি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মোফাজ্জল।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোবারক হোসেনকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
পিএম
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে নলকূপ বসানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক নলকূপ মিস্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম আজিজুল হক (৪৪)। তিনি পার্শবর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের মরা গাগলা গ্রামের মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের সহযোগী রেজাউল ও মজিদুল জানান, আয়রন মুক্ত নলকুপ বসানোর জন্য হেড মিস্ত্রী আজিজুল হক সাত জন সহযোগী নিয়ে শনিবার সকালে শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের হারুন মিয়ার বাড়ীতে আসেন। সেখানে লোহার পাইপ দিয়ে নলকুপ বসানোর সময় অসাবধানতা বশত পাইপ বিদ্যুতের তারে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই গুরতর আহত হন তিনি। তার সহযোগী এবং স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা হুমায়রা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
ফু্লবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে।
এআই
দিনাজপুর সদরে একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার টাকার জাল নোট ও জাল নোট তৈরির কাজে ব্যবহৃত দুই বোতল আয়োডিয়াম কিউ তরল কেমিক্যালসহ দুইজনকে আটক করেছে র্যাব ১৩ এর আভিযানি দল।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে শহরের বাহাদুর বাজার এলাকার হোটেল সাহারা আবাসিকের ৩য় তলার ২০২নং কক্ষে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিপিসি-১ র্যাব-১৩ এর কোম্পানী কমান্ডার এসপি জাহিদুর রহমান।
আটকৃত আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার ৫নং শশরা ইউনিয়নের ওমরপাইল গ্রামের মৃত শফিউদ্দিন মন্ডলের ছেলে সুলতান মাহমুদ ও পার্বতীপুর উপজেলার ৯নং হামিদপুর ইউনিয়নের রাঘবিন্দপুর গ্রামের মৃত শামছুদ্দিনের ছেলে মানিক মিয়া।
দিনাজপুর র্যাব-১৩ এর সিপিসি-১ কোম্পানী কমান্ডার এসপি জাহিদুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আবাসিক হোটেল থেকে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের পূর্বক আসামিদের কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এআই
'প্রাণি সম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ।' এই প্রতিপাদ্যে কুড়িগ্রামের উলিপুরে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রদর্শনীতে খামারে প্রতিপালন করা বিভিন্ন প্রজাতির পশু ও সৌখিন পাখি স্থান পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় উলিপুর মহারাণী স্বর্ণময়ী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি'র আয়োজনে, প্রণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণলায় এর সহযোগিতায় এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা।
অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতাউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রেজওয়ানুর হক। ফিরোজ আলম মন্ডলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু, উলিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক তামবিরুল ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ স¤প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. এ এফ এম শাহরিয়ার তালুকদার, উলিপুর মহারাণী স্বর্ণময়ী স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম সরদার, ধরনীবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদুল হক এরশাদ প্রমূখ।
প্রদর্শনীতে ৫০টি স্টলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খামারিরা তাদের খামারের উৎপাদিত উন্নত মানের গাভী, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, ঘোড়া, কবুতর, হাঁস, মুরগী ও সৌখিন পাখি নিয়ে আসেন।
প্রদর্শনী শেষে তিন ক্যাটাগরিতে ৯জন খামারিকে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার গ্রহণকারীকে পুরুস্কার প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী সকল খামারিকে পুরুস্কৃত করা হয়েছে।
এআইগাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে গরু চুরির বিচার-মামলার জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে রাহিদুল ইসলাম বাবু (৩২) নামে যুবক খুন হয়েছেন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নে আমলাগাছি-ঢোলভাঙা সড়কের বেলতলা এলাকায় এ হামলার শিকার হন তিনি।
পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মুত্যু হয়।
রাহিদুল ইসলাম ওই ইউনিয়নের পূর্বগোপালপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমিরুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি এলাকায় গরু চুরির বিচার-মামলার জেরে বাবুর ওপর ক্ষিপ্ত ছিল প্রতিপক্ষরা। এরই ধারাবাহিকতায় গেলো রাতে আমলাগাছি-ঢোলভাঙা সড়কের বেলতলা এলাকায় বাবুর ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন।
হামলাকারীদের ছুরির আঘাত বাবুর বুক ভেদ করে হার্ট পর্যন্ত পৌঁছায় তার মৃত্যু হয়েছে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ওসি আজমিরুজ্জামান সময়ের কণ্ঠস্বরকে আরও জানান, এ ঘটনার নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে বলেও জানান তিনি।
এআই
নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নুরুজ্জামান (৩৫) নামে এক ধান ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার রামগঞ্জ-বেরুবন্দ সড়কের পুটিমারীর দোলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নুরুজ্জামান উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের দুহুলি পাড়ায় এলাকার নূর উদ্দিন মিয়ার বড় ছেলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ‘রাতে রামগঞ্জ-বেরুবন্দ সড়কের ডান পাশে বসে ফোনে কথা বলছিলেন নুরুজ্জামান। এসময় রামগঞ্জের এই দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি মোটরসাইকেলের চালক বাম দিক থেকে ডান দিকে গিয়ে তাকে সজরে ধাক্কা দেয়। পরে সেখানকার সেচ পাম্পের মটর ঘরে থাকা এক ব্যক্তি শব্দ শুনে বাহিরে এসে দেখেন নুরুজ্জামান ধান খেতে পরে আছে আর মোটরসাইকেল চালোক পালিয়ে যাচ্ছে। এ সময় তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য রংপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।’
নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, ‘গতকাল রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তি আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর হাসপাতালে মারা যাওয়ার খবর তিনি পেয়েছেন।’
এআই
নওগাঁয় সামাজিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁ এর উদ্যোগে ১৯৭১ সালের অসহায় শরণার্থীদের দুর্ভোগ স্মরণে 'রোড টু বালুরঘাট' প্রতীকী পদযাত্রায় ফুটে উঠেছে নওগাঁয় রোড ধরে ভারতে পাড়ি দেওয়া শরণার্থীদের দুর্দশার চিত্র। ঐতিহাসিক ২০ এপ্রিলের এই দিনে ‘রোড টু বালুরঘাট' স্মরণ করলো নওগাঁবাসী। প্রায় ৬০ মিনিটে ৩ কিলোমিটার পদযাত্রায় যুদ্ধকালীন নওগাঁ রোডের শরণার্থীদের যুদ্ধ বিভীষিকা ও অবর্ণনীয় দুর্দশা তুলে ধরা হয় এই প্রতীকী পদযাত্রার মাধ্যমে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছর পর প্রতীকী পদযাত্রায় পাঁচ শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ নওগাঁ রোডে শরণার্থীদের অবর্ণনীয় দুর্দশা ও যুদ্ধচিত্র ঘটনাপ্রবাহ ফুটিয়ে তোলেন। শহরের তাজের মোড় শহিদ মিনার পাদদেশ থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল মুক্ত মঞ্চ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। আবার একমাত্র সন্তানের অনাহারী তাকে নিয়ে হেঁটে চলার দৃশ্যসহ নানা দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই আয়োজনে।
একুশে পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি এম আব্দুল বারী এর সভাপতিত্বে শরণার্থীদের প্রতীকী পদযাত্রা অংশগ্রহণ করেন, উপদেষ্টা ডাক্তার মইনুল হক দুলদুল, সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যক্ষ বিন আলী পিন্টু, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, সাইমা ফেরদৌসী, নাইস পারভীন, গুলশানারা সহ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের বর্বরোচিত অত্যাচার-নিপীড়ন ও গণহত্যা থেকে বাঁচতে যুদ্ধের শুরু থেকে বিশেষ করে ২০ এপ্রিল এই দিনে পায়ে হেঁটে নওগাঁর সড়ক পথে হাজার হাজার মানুষ শরণার্থী হিসেবে ভারতের বালুরঘাটে আশ্রয় নেয়। চলার পথে সেই সময় পাকহানাদার ও দোশরদের আক্রমনে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। সেই সব শরণার্থীদের ক্লান্তি ও দুর্ভোগ স্মরণে একুশে পরিষদ নওগাঁ 'রোড টু বালুরঘাট' প্রতীকী পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।
একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি এম আব্দুল বারী বলেন, ‘আমরা ৭১ এর ইতিহাস ভুলে গেছি। ৫৩ বছরের আগে কি ঘটেছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ নওগাঁ শহরের উপর দিয়ে দেশ ছেড়েছিল দেশকে মুক্ত করার জন্য। চলার পথে সেই সময় পাকহানাদার ও দোশরদের আক্রমনে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। নওগাঁর মূল ইতিহাস ও ঐতিহ্যবাহী এই জেলার সকল তরুণ প্রজন্ম ও শিক্ষার্থীদের জানানোর উদ্দেশ্যেই এই আয়োজনটি করা হয়েছে। তারা জানুক যে ৫৩ বছর আগে এই জেলায় কি হয়েছিল।
পিএম
জয়পুরহাটের তেঘর গ্রামে সনাতন ধর্মের নীলকন্ঠ শিবপূজা উপলক্ষে চলা শতবছরের পুরাতন শিব মেলায় চলছে জুয়ার আসর। জেলার মোহাম্মদাবাদ ইউপি সংলগ্ন মন্দির এলাকায় ঐতিহ্যবাহী মেলাতে হরেক রকম পণ্য ও খেলনাপাতির সাথে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর।
মেলা কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি), স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা এই মেলা কমিটির সদস্য বলে জানা গেছে।
পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু হওয়া মেলায় জুয়া চলে সন্ধ্যা থেকে চলে গভীর রাত পর্যন্ত। সেই সাথে মেলার আড়ালে চলে মাদক বিক্রি ও সেবন। মেলায় শিক্ষার্থীসহ উঠতি বয়সীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা এই মেলার সাথে জড়িত রয়েছে। তারা আরো জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এসব কার্যাক্রম। তবে প্রশাসনের কেউই এই দায় নিতে নারাজ।
জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, জুয়ার বিষয় জানা ছিল না। যেহেতু আমার নজর এসেছে এখনই বন্ধ করা হবে।
পিএম
তথ্য গোপন করে করে বদলি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাবনার বেড়া উপজেলার মাছখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে।
বিষয়টি জানতে পেরে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে বদলির আদেশ বাতিলের দাবিতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী আরেক সহকারী শিক্ষক লিপিকা রানী।
সর্বশেষ গত ১৭ এপ্রিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। এদিকে, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, লিপিকা রানী পাবনার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তার স্থায়ী ঠিকানার কাছাকাছি ২৮ নং নাটিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলির জন্য গত ৩০ মার্চ শিক্ষক বদলির অনলাইন পোর্টালে বিধি মোতাবেক আবেদন করেন।
কিন্তু গত ১৬ এপ্রিল সকালে অনলাইন পোর্টাল থেকে তিনি জানতে পারেন ওই স্কুলের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে একই উপজেলার নাকালিয়ার মাছখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিনকে। আর ১৮ এপ্রিল তাকে বদলীকৃত স্কুলে যোগদানের আদেশ দেয়া হয়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বদলির জন্য সাবিনা ইয়াসমিনের মোট স্কোর হয়েছে ৩৮। এর মধ্যে স্থায়ী ঠিকানা থেকে বর্তমান কর্মস্থলের দূরত্বের জন্য ৩ স্কোর পেয়েছেন। যা তিনি মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে জালিয়াতি করে নিয়েছেন । প্রকৃত সত্য হলো তার স্থায়ী ঠিকানা থেকে বর্তমান কর্মস্থলের (মাছখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) দূরত্ব মাত্র কোয়ার্টার কিলোমিটার।
ভুক্তভোগী লিপিকা রানীর ভাষ্য, 'আমাকে ৩৫ স্কোর দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রাখা হয়েছে। অথচ আমার স্থায়ী ঠিকানা থেকে বর্তমান কর্মস্থলের (ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) দূরত্ব ১ কিলোমিটারের বেশি। এমন দূরত্বের কারণে এই ক্যাটাগরিতে আমাকে শূন্য স্কোর দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচিত শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন আমার চেয়েও কম দূরত্বে থেকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বেশি দূরত্বে কর্মস্থল দেখিয়ে ৩ স্কোর বা নম্বর বেশি নিয়েছেন। যা একরকম দুর্নীতি। এতে আমি বদলির ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি।'
এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্ত করে অনিয়মের মাধ্যমে বদলির জন্য নির্বাচিত সহকারী শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিনের বদলি বাতিল এবং নিয়মানুযায়ী তাকে (লিপিকা রানী) নাটিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি লিপিকা রানীর।
এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কফিল উদ্দিন সরকার বলেন, 'অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে প্রতিবেদন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। আর স্থায়ী ঠিকানা থেকে কর্মস্থলের দূরত্বের যে অভিযোগ করা হয়েছিল সেটির প্রমাণ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ সাবিনা ইয়াসমিন তথ্য গোপন করে বদলী নিয়েছেন সেটির সত্যতা মিলেছে।'
আর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দীক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা বলেন, 'আমরা প্রতিবেদনটি ডিজি অফিসে পাঠিয়েছি। আর যেহেতু এটি অনলাইন সিস্টিমের মধ্যে হয়েছে, আমাদের কিছু করার ছিল না। এখন ডিজি অফিস থেকে যে নির্দেশনা আসবে, তার আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
পিএম
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পাচারের সময় বেলতৈল ইউনিয়নের জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত নসিমন বোঝাই ২৪ বস্তা সরকারি চাল আটক করেছে জনতা।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের বেতকান্দি বাজার থেকে চাল বোঝাই নসিমনটি পাবনার বেড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে শ্রীফলতলা এলাকায় পৌঁছালে এলাকাবাসী নসিমনটি আটক করে।
এসময় নসিমন চালক জানায়, চালের বস্তা গুলো বেতকান্দি বাজার থেকে আনন্দ ঘোষ পাবনার বেড়ায় একটি চালের মিলে তার মাধ্যমে পাঠাচ্ছিলেন। তিনি আরও জানান এর আগেও বেশ কয়েক দফা আনন্দ ঘোষের চাল পরিবহন করে উক্ত চালের মিলে পৌঁছে দিয়েছেন।
স্থানীয়রা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, সরকারি এই চাউল বেলতৈল ইউনিয়নের জনগণের মাঝে বরাদ্দের কথা থাকলেও বেলতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জনের জন্য চালগুলো ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে এই চাউল পাচারের সময় আমরা জানতে পেরে রাস্তা থেকে ২৪ বস্তা চাউল সহ নসিমন আটক করি।
এসময় সরকারি চাউল ব্যবসায়ী আনন্দ ঘোষ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানান, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ভিজিএফ ও ন্যায্য মূল্যের চাউল তিনি ক্রয় করেছেন। যে সকল মানুষ এই চাউল নেন তারাই আবার বিক্রি করেন।
পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চাল সরেজমিনে দেখে তিনি বলেন, এগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনগণের জন্য দেয়া ঈদ উপহারের ভিজিএফ'র চাল। বেলতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক এগুলো জনগণের মাঝে বিতরণ না করে কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।
এই বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য শাহজাদপুর থানায় খবর দেয়া হলে অফিসার ইনচার্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করতে বলেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফজলে ওয়াহিদকে জানানো হয়। দীর্ঘ সময়েও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে না পৌঁছলে চাউল ব্যাবসায়ীরা ২৪ বস্তা চাউল সহ নসিমনটি নিয়ে চলে যায়।
এবিষয়ে বেলতৈল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি মোবাইলে জানান, আমার ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণে কোন অনিয়ম হয়নি। আনন্দ ঘোষ ইতিপূর্বে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে চাল কিনে ব্যবসা করে আসছিল জানতে পেরে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর তাকে আমার ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছি।
পিএম
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে খাইরুল ইসলাম (৪০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আরও ২০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ী আলহাজ্ব মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের একজনের বাম হাতের কব্জি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা ঘটেছে।
নিহত খাইরুল ইসলাম চরগড়গড়ী আলহাজ্ব মোড় পশ্চিমপাড়ার মৃত নসিম উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। আর কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া ইসাই ব্যাপারি (৫০) একই গ্রামের শফি ব্যাপারির ছেলে।
আহতদের মধ্যে কয়েক জনের নাম জানা গেছে, তারা হলেন- সাজু হুদী (৫০), জামাত ফকির (৫০), নাসিরউদ্দিন (৩০), জিল্লুর, ওলিউর রহমান, মজিদ, ইছাই প্রামানিক, মো. মিঠুন (৩৫), মোসলেম উদ্দিন (৬০), মানু প্রামানিক (৫৫), মো. খোকন প্রামাণিক (৩৫), নুর বেগম (৫০)।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ধরে দুই গ্রুপের লোকজনদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এনিয়ে গত দুই দিনে দুই গ্রুপের মধ্যে ছোটোখাটো মারামারির ঘটনা। এইসব ঘটনার জের ধরে শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ঘটনাস্থলেই খাইরুল মারা যান।
এ সময় রিয়াজুল ব্যাপারি পক্ষের ইসাই ব্যাপারির বাম হাতের কব্জি হাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় স্থানীয়রা। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আমরা (পুলিশ) ঘটনাস্থলে আছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলতে পারবো।
পিএম
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নে জুয়ার আস্তানায় অভিযান চালিয়ে সরঞ্জাম ও নগদ টাকা সহ ১৩ জুয়ারিকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (এপ্রিল) গভীর রাতে উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের আটঘর (মাইজপাড়া) এলাকার খলিল মিয়ার ফিশারি থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ২৬ হাজার ১শ ১০ টাকা ও জুয়া খেলায় ব্যবহৃত জান্ডি-মুন্ডার গুটি ও বোর্ড জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, ফিশারির মালিক খলিলুর রহমান ওরফে খলিল মিয়া (৪১) শাহানুর মিয়া (৪৬), মো. আলী আহমদ (৬৪), মো. জায়ফর মিয়া (৫৫), মো. ছিকন খাঁ (২৩), জীবন মিয়া (২২), দিলাল মিয়া (৬৪), সাঈদ মিয়া (৩৫), ইউসুফ মিয়া (৩৮), আতাউর রহমান (৫০), মৌলদ মিয়া (২৮), মো. আকবর (৫৬) ও মোঃ আলী হোসেন (৩২)।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া উপ-পরিদর্শক (এসআই) এ এইচ এম মাহমুদুর রহমান জানান, আটঘর গ্রামের খলিল মিয়ার ফিশারিতে পাহারা দেওয়ার জন্য নির্মিত ঘরে জান্ডি-মুন্ডার মাধ্যমে জুয়ার আসর চলতো। গোপন সোর্সের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে আটক করা হয়।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এক জনপ্রতিনিধি জানান, রাজনৈতিক নাম ব্যবহার করে বরইউড়ি, আটঘর ও হোসেনপুর সহ আশপাশের গ্রামে জুয়া ও দাদন ব্যবসা দীর্ঘদিন যাবত চলে আসার কারণে ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের শক্ত অবস্থান চান ওই জনপ্রতিনিধি।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩ জুয়ারিকে আটক করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে। জুয়া আর দাদন ব্যবসার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
পিএম
কৃষি মন্ত্রী আব্দুস শহীদ বলেছেন, দেশের কৃষক বাঁচার জন্য যা প্রয়োজন সেটাই করবে সরকার। আমি সিলেট অঞ্চলের মানুষ। আমি হাওরের মানুষের দুঃখ বুঝি। সুনামগঞ্জ একটি ঝুঁকি পূর্ণ এলাকা আমরা বিগত সময়ে দেখেছি যে হাওরের বন্যা কারণে পুরো জেলার বোর ফসল নষ্ট হয়ে গেছে ,মানুষের কিছুই ছিল না। বন্যা মোকেবেলা করে যাতে আমরা ফসল উৎপাদন চালিয়ে যেতে পারি সে লক্ষ্যই কাজ করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)সকাল সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জের দেখার হাওরে বোরো ধান কর্তন উৎসবে প্রধান অতিথি বক্তব্যে কথা গুলে বলেন তিনি।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, ধান বিক্রিতে যেন কোনও সিন্ডিকেট তৈরি না হয় সে দিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কৃষিকে সহজ করতে সরকার যান্ত্রিকরন বাড়াচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,আমাদের এখানে জেলায় কর্মকর্তা আছেন তাদেরকে বলবও ধানের দামে যেন মধ্যে সত্ব ভোগী কেউ যাতে সুবিধা নিতে না পারে। প্রকৃত কৃষকরাই যেন সঠিক দামে যেন ধান বিক্রি করতে সে দিকে কঠোর ভাবে লক্ষ রাখতে হবে। ধান বিক্রিতে যেন কোনও সিন্ডিকেট তৈরি না হয় সেদিকে ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা চেয়ারম্যানদের লক্ষ রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন,আমরা যে মেশিন দেই সেগুলো নষ্ট হতেই পারে। আমরা যে গাড়ী চালাই সেগুলোও নষ্ট হয় পরে আমরা ঠিক করি। এ ভাবে মেশিন গুলোকেও ঠিক রাখতে হবে মেরামত করার মাধ্যমে। আমরা আশা করি এ বছর ভাল ভাবেই ফসল ঘরে তুলতে পারবে কৃষকরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড.মোহাম্মদ সাদিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য রণজিৎ চন্দ্র সরকার সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধি কৃষকরা সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
পিএম
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও স্থানীয়দের প্রাণের দাবি সোনাই নদীর উপরে একটি ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। এ পথে নিয়মিত দশটি গ্রামের মানুষ চলাচল করে। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আন্দিউরা ও বহরা ইউপির সংযোগস্থল মরাচর এলাকায় নদীর উপর একটি নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা। তবে স্রোত বাড়লে ভেঙে যায় সাঁকোটি।
জানা যায়, স্থানীয়রা নৌকা দিয়ে অতিকষ্টে পারাপার হলেও ঝুঁকি নিয়ে অনেককে সাঁতার কেটে সোনাই নদী পার হতে দেখা যায়। তবে বর্ষাকালে পানি নদীর স্রোত বেড়ে গেলে তারা কোনোভাবেই পারাপার হতে পারেন না। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। স্রোত বাড়লে শিক্ষার্থীদের স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দিতে হয়।
সূত্র জানায়, ব্রিজ না হওয়ায় উপজেলার আন্দিউরা ও বহরা ইউনিয়নের ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয় হরিশ্যামা, কুটানিয়া, উতলারপাড়, সুন্ধাদিল, মুরাদপুর ভাংগারপাড়, দিঘিরপাড়, ধনীচানপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ব্রিজ নির্মাণের জন্য জোর দাবি জানিয়ে আসছে।স্থানীয়রা জানান, এবারও ওই এলাকার সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমনের কাছেও আবেদন জানিয়েছে। এবার এমপির আশ্বাসে আশার আলো দেখছেন স্থানীয়রা।
ওই স্থানটি মাধবপুর উপজেলার বহড়া ও আন্দিউরা ইউনিয়নের সংযোগস্থলে হওয়ায় উভয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা দায়সাড়া ভাব নেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তবে স্থানীয় আন্দিউড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক ব্রিজটি নির্মাণের জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করলেও এখন পর্যন্ত মেলেনি তেমন ফল।
দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজ বানাতে বিভিন্ন ফোরামে কথা বলে আসা স্থানীয় উপজেলার আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক মো. এরশাদ আলী বলেন, এখানে ব্রিজ বানানো অত্যন্ত জরুরি। স্কুলশিক্ষার্থীরা বর্ষাকালে স্কুলে নদী পার হয়ে যেতে পারে না। নিশ্চয়ই নতুন এমপি এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।মাধবপুর এলজিইডি অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এটি সরেজমিনে দেখে ব্রিজ নির্মাণে জেলাতে প্রস্তাবনা পাঠাব।
হবিগঞ্জ জেলা এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. ইশতিয়াক হাসান বলেন, সোনাই নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ জরুরি। আমি নতুন কর্মস্থলে যোগদান করায় ওই ব্রিজের বিষয়ে মোটামুটি অবগত হয়েছি। খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। উপজেলাকে এটির প্রতিবেদন ও প্রস্তাব দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এআই
সুনামগঞ্জে বাস-সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে গীতিকার, সুরকার ও সংগীত শিল্পী মতিউর রহমান হাসানসহ (পাগল হাসান) ২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অটোরিকশাচালকসহ ৩ জন। তাৎক্ষণিক আহতদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ৭টার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সুরমা ব্রিজ এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম।
নিহত সংগীত শিল্পী পাগল হাসানের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকের শিমুলতলা গ্রামে। নিহত অপরজন হলেন ছাত্তার।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অটোরিকশাটি যাত্রী নিয়ে দোয়ারাবাজার থেকে আসছিল। বাসটি গোবিন্দগঞ্জ থেকে ছাতক যাচ্ছিল। পথে সুরমা ব্রিজ এলাকায় অটোরিকশা ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় পাগল হাসানসহ ২ জন ঘটনাস্থলে নিহত হন।
ছাতক ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জালাল আহমদ বলেন, ‘আহত ৩ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা পুলিশের কাছে মরদেহ দুটি হস্তান্তর করেছি।’
এআই
মায়ের নামে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহত হাফিজ উল্লাহ (৩০) উপজেলার ভীমখালি ইউনিয়নের কলকতখাঁ গ্রামের বাসিন্দা রাশিদ উল্লাহ ছেলে। এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধ রাতেই দু জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলা ভীমখালি ইউনিয়নের কলকতখাঁ গ্রামে ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,মায়ের নামে থাকা জমি নিয়ে ভাইদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধ মেটাতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে বৈঠকে বসে স্থানীয়রা। এর মধ্যে ছোট ভাই রায়হান (২৮) ও বড় ভাই হাফিজ (৩০) বাকবিতন্ডায় জড়ায় এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রায়হান হাফিজকে কিল-ঘুষি মারলে মাটিতে ঢলে পড়ে। পরে রায়হান ও তাঁর শালা-সম্বন্ধীসহ তাঁর আরেক বড় ভাই উসমান (৪৫) মিলে এলোপাতাড়ি মারপিট করলে গুরুতর আহত হয় হাফিজ।
পরে স্থানীয়রা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালগঞ্জ থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস জানান, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনায় সাথে জড়িত থাকায় আব্দুল লতিফ ও মো. সায়েম নামের দুজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পিএম