এইমাত্র
  • মীমের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তার প্রতিটি বিষয় দেখবো: জবি উপাচার্য
  • টাঙ্গাইলে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত, রেল‌ যোগাযোগ বন্ধ
  • জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী খালিদ আর নেই
  • পিটার হাসকে সতর্ক করে যা বললেন হাইকোর্ট
  • বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য ১৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত!
  • আন্দোলনের মুখে জাবি প্রক্টরের পদত্যাগ
  • চমক দিয়ে প্রথম টেস্টের দল ঘোষণা বাংলাদেশের
  • তানজিদ-রিশাদের তাণ্ডবে সিরিজ জয় বাংলাদেশের
  • বিয়ের তিন দিন আগে বিএনপি নেতার মেয়েকে নিয়ে উধাও ছাত্রলীগ নেতা!
  • সিলেটে পিকআপ-লেগুনার সংঘর্ষে দুই শিশুসহ নিহত ৬
  • আজ মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র, ১৪৩০ | ১৯ মার্চ, ২০২৪
    জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী খালিদ আর নেই
    জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী চাইম ব্যান্ডের ভোকাল খালিদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।খালিদের মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন গীতিকবি ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, আজ সন্ধ্যা সাতটার কিছুক্ষণ পর চিরবিদায় নিয়ে চলে যান খালিদ ভাই। তার মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত।   আশি ও নব্বইয়ের দশকে জনপ্রিয় সব গান গেয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন খালিদ। তিনি  ছিলেন ‘চাইম’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট।‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’–এর মতো বহু জনপ্রিয় গান গয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেন খালিদ।খালিদের জন্ম গোপালগঞ্জে। তিনি ১৯৮১ সালে গানের জগতে যাত্রা করেন। ১৯৮৩ সালে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন।
    বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য ১৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত!
    বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য বেসরকারি খাত থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড (এনসিইএল)।সোমবার (১৮ মার্চ) দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য ইকোনোমিক টাইমস।এতে বলা হয়,  গত ৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তিন মাসেরও বেশি সময় রফতানি নিষেধাজ্ঞার পর এই প্রথম ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেওয়া হলো। প্রতি কেজি ২৯ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা) দরে এই পেঁয়াজ পাঠানো হবে বাংলাদেশে।নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে সাড়ে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ডিসেম্বরের শুরুতে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল— ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।তবে কূটনৈতিক পর্যায়ে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার পেঁয়াজ পাঠানোর অনুরোধের পর ‘বিশেষ বিবেচনায়’ ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোতে মোট ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এই ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজের মধ্যে বাংলাদেশের ভাগে পড়েছে ১ হাজার ৬৫০ টন।ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ইতোমধ্যে পেঁয়াজ কেনাও শুরু করেছে সরকার। শিগগিরই বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোতে পাঠানো হবে এই পেঁয়াজ।রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার সময় কাল এখনো জারি থাকায় সরকারি উদ্যোগেই এসব পেঁয়াজ পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।এদিকে ভারতের বেরসরকারি পেঁয়াজ রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, একদিকে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যদিকে রমজান মাসের জেরে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজের পুরোনো ক্রেতা বাংলাদেশ, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে হু হু করে। এ পরিস্থিতিতে চোরাকারবারিদের মাধ্যমে প্রতিদিন পেঁয়াজ পাচার হচ্ছে ভারত থেকে।সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারকে এ ইস্যুতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রপ্তানিকারকরা। সেই চিঠিতে তারা বলেছেন, গত ৮ ডিসেম্বরের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে যত পেঁয়াজ ছিল, তার প্রায় ৫০ শতাংশই চোরা পথে দেশের বাইরে গিয়েছে।এই অভিযোগের যথার্থতা নিয়ে অবশ্য সংশয় রয়েছে। কারণ ‘পেঁয়াজের রাজধানী’ বলে পরিচিত রাজ্য মহারাষ্ট্রে পাইকারি পর্যায়ে মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম রাখা হচ্ছে সর্বনিম্ন ৭ রুপি থেকে সর্বোচ্চ ১৬ রুপি। ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করছে ১০ থেকে ২০ রুপির মধ্যে।বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে। কয়েক দিন আগে অবশ্য এ দর ১২০ টাকা ছুঁয়েছিল।

    জাতীয়

    সব দেখুন
    খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের বিষয়ে যা বললেন আইনমন্ত্রী
     আগের দুই শর্তেই খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের আদেশ বাড়ানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সোমবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশ বলে একবার সাজা নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। তাই বলা যেতে পারে আবেদনে যাই থাকুক না কেন, আগের দুই শর্তেই সাজা স্থগিত হবে। এর বাইরে আর কিছু করার নাই।আনিসুল হক বলেন, বহুবার আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছি ৪০১ ধারায় বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হবে না। সরকার প্রধান একবার নির্বাহী আদেশে নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। এর বাইরে তিনি কিছু করতে পারবে না। মানবিক কারণে বা অন্য যেকোনো কারণেই হোক, আইনের মধ্যে থেকেই তাকে নিষ্পত্তি করতে হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে চিকিৎসা করানোর সুযোগ দেয়া হয়েছে। আগের দুই শর্তেই বেগম জিয়ার সাজা স্থগিতের আদেশ বাড়ানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই।তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়া কিন্তু মুক্ত। তিনি হাসাপাতালে যাচ্ছেন, চিকিৎসা নিচ্ছেন, তার কোনো অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না; তাই তিনি মুক্ত। এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে ফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম ইস্কাদার। বুধবার (৬ মার্চ) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে এই আবেদন করা হয়। পরে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার আবেদনের চিঠিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন। আবেদনের চিঠিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পৌঁছানোর পর, তা আবারও নাকচ করে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। সোমবার (১৮ মার্চ) মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি জানানো হয়।
    এদেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবারই বড় আদর্শের জায়গা: কাদের
      আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আজ জাতির পিতা। আমরা কী শিখবো তার কাছে? আমাদের রাজনীতি, আমরা কীভাবে শিক্ষা গ্রহণ করবো? রাজনীতিতে যে যোগ্যতা প্রয়োজন, তা কীভাবে অর্জন করবো। আমি বলবো, এদেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবারই সবচেয়ে বড় আদর্শের জায়গা। সততা, সাহস রাজনীতির প্রধান দুটি গুণ। সততা শিখবেন, সাহস জানবেন— বঙ্গবন্ধুর পরিবারের দিকে তাকান, বঙ্গবন্ধুর দিকে তাকান, শেখ হাসিনার দিকে তাকান, শেখ রেহানার দিকে তাকান, সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকে তাকান, সায়েমা ওয়াজেদের দিকে তাকান।সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ১১টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস (১৭ মার্চ) উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ।দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে ইশারা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের নেত্রী কেমন জীবনযাপন করেন, আপনারা কি দেখেন না? গণভবনে থাকেন রাত ২টায়, আপনি ফোন করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পান, এটা অবাক বিষয়। তিন থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা ঘুমান, বাকি সময় দেশের কথা ভাবেন। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনা। এদেশে দুজন মানুষ মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকবেন। একজন বঙ্গবন্ধু, আরেকজন শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতার লাশ সিঁড়িতে পড়ে ছিল। গোপালগঞ্জে নিয়ে ৫৭০ সাবান আর রিলিফের কাপড় বঙ্গবন্ধুর দাফনে ব্যবহৃত হয়েছে। ১৮-১৯ জন লোককে জানাজা পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তারা ভেবেছিল ঢাকা থেকে দূরে টুঙ্গিপাড়ায়, সেই অজপাড়াগায়ে বঙ্গবন্ধুকে মাটিচাপা দিলে বাংলাদেশ ভুলে যাবে। তাদের হিসেবের অংক কত যে ভুল, আজ টুঙ্গিপাড়া বাঙালির তীর্থখ্যাত, ৩২ নম্বরে জনতার ঢল নামে। শুধু ১৭ মার্চ নয়, প্রতিদিনি বঙ্গবন্ধুর নামে সারা বাংলাদেশ থেকে ছুটে আসে অসংখ্য মানুষ।  একটি পরিবার ক্ষমতার গত ১৫ বছরেও কোনও বিকল্প সেন্টার কেউ করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে হাওয়া ভবন নেই, এই দেশে কোনও হাওয়া ভবন নেই। ১৫ বছরেও অলটারনেটিভ পাওয়ার সেন্টার এদেশে কেউ করেনি। লেখাপড়া করেছে অক্সফোর্ড, হারবার্ডে। এই পরিবারের সন্তানেরা মেধাবী। যে যেখানে আছে, সেখানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে মেধা দিয়ে, গায়ের জোরে নয়, লুটপাট করে নয়, দখল করে নয়, অর্থপাচার করে নয়। এই পরিবার সততার প্রতীক। প্রত্যেকেই সততার আদর্শে উজ্জীবিত।সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশে আসে আবার চলে যায় মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নীরবে আসে, নিঃশব্দে চলে যায়। কেউ টেরও পায় না। কিন্তু তার নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটা নিঃশব্দ বিপ্লব হচ্ছে, আইসিটি বিপ্লব। এই বিপ্লবের স্থপতি হচ্ছেন জয়। প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নীবরে আবার চলে যাচ্ছেন, কোনও সাড়া-শব্দ নেই। এই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু পরিবার। শেখ রেহানার আজ লন্ডন শহরে নিজস্ব কোনও গাড়ি নেই। বাসে চড়ে , ট্রেনে চড়ে যাতায়াত করেন। আমাদের নেত্রী বলেন, ‘সিমপল লিভিং, হাই থিংকিং’। এই ম্যাথডে কর্মীদের উজ্জীবিত হতে হবে। এটা বঙ্গবন্ধুর মূলমন্ত্র, আমাদের নেত্রীর বক্তব্য এবং তার নির্দেশনা।  
    বিএনপি মানে খাইখাই, আ.লীগ মানেই দেই-দেই: প্রধানমন্ত্রী
    বিএনপি গণতন্ত্রের ভাষা বোঝে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি মানে খাইখাই, আর আওয়ামী লীগ মানেই দেই-দেইসোমবার (১৮ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছর কোনো ইফতার পার্টি করছি না আমরা, বরং মানুষকে ইফতার করাচ্ছেন আমাদের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে আছেন। কারণ আওয়ামী লীগ দিতে জানে। অথচ বিএনপি ইফতার না করিয়ে ইফতার পার্টি করে বেড়াচ্ছে। ইফতার পার্টিতে গিয়ে আল্লাহ্ রসূলের নাম নেয় আর আওয়ামী লীগের গীবত গায়। বিএনপি মানে খাইখাই, আর আওয়ামী লীগ মানেই দেই-দেই।   ‘এজন্য মানুষ বার বার আওয়ামী লীগকেই ভোট দেয়। কারণ আমরা মানুষের সঙ্গে সব সময় থাকি। কিন্তু বিএনপির লক্ষ্য, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা! আমাদের অপরাধ কি দেশটাকে এগিয়ে নেয়া? আসলে গণতন্ত্রের ভাষাই তো বোঝে না বিএনপি!’, যোগ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। কিন্তু বিএনপি ভুলে গেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে তারা কত আসন পেয়েছিল।   শেখ হাসিনা আরও বলেন, দেশটা এগিয়ে যাচ্ছে এটা সহ্য করতে পারে না বিএনপি। দেশটাকে আবার পিছিয়ে দেয়ার জন্য তারা লাফালাফি করছে।
    ‘চাঁদাবাজি বন্ধ করলে ৫শ টাকার কমে গরুর মাংস বিক্রি সম্ভব’
    হাট থেকে গরুর কিনে বাজারে আনা পর্যন্ত চাঁদাবাজিসহ নানা হয়রানির মুখোমুখি হতে হয় মাংস ব্যবসায়ীদের। তবে এসব হয়রানি বন্ধ করতে পারলে ৫শ টাকার নিচে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব বলে জানালেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। সোমবার (১৮ মার্চ) মিরপুরের উজ্জ্বল গোশত বিতান পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ভোক্তার ডিজি  বলেন, চামড়ার দাম যৌক্তিক মূল্যে বিক্রির পাশাপাশি গরু আনার পথে হয়রানি কমাতে পারলে ৫শ টাকার নিচে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি সম্ভব। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় কম দামে মাংস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে অনেকে। অতি মুনাফা না করে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে দেশের অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও এমন উদ্যোগ নিতে পারেন।  এদিকে, শাহজাহানপুরের আলোচিত ব্যবসায়ী খলিলের দেখানো পথে হেঁটে ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছেন মিরপুর ১১ নম্বরের উজ্জ্বল গোশত বিতানের মাংস ব্যবসায়ী উজ্জ্বল। সকাল থেকেই তার দোকানে মাংস নিতে ভিড় জমিয়েছেন অনেকে। কম দামে গরুর মাংস কিনতে মিরপুর ১১ নম্বরের উজ্জ্বল গোশত বিতানে ক্রেতাদের ভিড়। ছবি: সময় সংবাদ ক্রেতারা জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে করলে অন্যান্য বাজারেও স্বস্তি মিলবে। এ সময় ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক আরও জানান, রোজায় কোন ব্যবসায়ীর মাধ্যমে যাতে ক্রেতারা প্রতারিত না হয়, সে জন্য সারা দেশে প্রতিদিন ৫০-এর বশি টিম কাজ করছে। অভিযানের ফলে বাজারে শসা, লেবু ও বেগুনের দাম কমছে।
    বাংলাদেশে ‘পাপেট’ সরকার দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: জয়
    বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র পুতুল সরকারের রাজত্ব দেখতে চায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, সেটা না হলে কোনো নির্বাচনই তাদের কাছে সুষ্ঠু না। সোমবার (১৮ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে   পোস্ট দিয় এ মন্তব্য করেন তিনি। পোস্টে তিনি লিখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মতে, বাংলাদেশে যদি তাদের 'পাপেট' সরকার ক্ষমতায় না আসে, কোনো নির্বাচনই ত্রুটিমুক্ত নয়!’  এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দুই নির্বাচনি পর্যবেক্ষক সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই)-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতীতের তুলনায় এবার বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে সহিংসতা কম হয়েছে। তবে কয়েকটি দলের অংশগ্রহণ না করা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হওয়ায় নির্বাচনের মান ক্ষুণ্ন হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এরই মধ্যে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে বলে দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এনডিআই এবং আইআরআইয়ের দেয়া রিপোর্টে কিছু যায় আসে না। প্রতিবেদনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির সংহিসতার বিষয়টি যুক্ত করা উচিত ছিল বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত ৮ থেকে ১১ অক্টোবর বাংলাদেশে নির্বাচনের আগের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসে যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা এনডিআই এবং আইআরআই-এর যৌথ প্রতিনিধিদল। বিএনপি-আওয়ামী লীগ, ইসি, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা। দেশে ফিরে সংস্থা দুটি জানায়, নির্বাচনের ফলাফল পর্যবেক্ষণ নয় বরং সহিংসতা পর্যবেক্ষণে ৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল পাঠাবে সংস্থা দুটি। নির্বাচনের প্রায় আড়াই মাস পর রোববার (১৭ মার্চ) নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতা পর্যবেক্ষণের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে টেকনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট মিশন। ২৫ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে ভবিষ্যত নির্বাচনে সহিংসতা কমানোর জন্য বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু সুপারিশ করেছে দুই মার্কিন সংস্থা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্য নির্বাচনের তুলনায় ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা কম হয়েছে। শারীরিক ও অনলাইনে সহিংসতা কম হওয়ার পেছনে দেশজুড়ে দলীয় প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি রাষ্ট্রের কড়া নজরকে দেখছে এনডিআই ও আইআরআই। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তার কথা উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।   একই প্রতিবেদনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আক্রমণাত্মক পোস্ট নিয়েও নিজেদের পর্যবেক্ষণের ফলাফল প্রকাশ করেন তারা। যাতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে লক্ষ্য করে সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক পোস্ট করা হয়েছে। যার বেশিরভাগই করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
    সারাদেশে ১ দিনের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধের হুমকি মালিক সমিতির
    দেশের রেস্টুরেন্ট খাতকে রক্ষা করার জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। অন্যথায় রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় আগামী ২০ মার্চ (বুধবার) মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।  একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনটির মহাসচিব ইমরান হাসান। সম্প্রতি বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের পর সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অভিযানকে নৈরাজ্য আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপরও সমস্যার সমাধান না হলে প্রতীকী হিসেবে ১ দিনের জন্য সারাদেশে সব রেস্তোরাঁ বন্ধের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হবে।উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি ভবনে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২২ জন।
    ঢাকায় এসেছেন সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া
      চারদিনের সফরে ঢাকা পৌঁছেছেন সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে তিনি বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।সোমবার সকাল সোয়া ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানানো হয়। সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী জোহান ফরসেল, জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এবং ইউএনডিপির এক্সটারনাল রিলেশনস ও অ্যাডভোকেসি পরিচালক উলরিকা মদির রাজকন্যা ভিক্টোরিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে এসেছেন।জানা গেছে, আজ দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা আছে সুইডিশ রাজকন্যার। পরে সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন। সুন্দরবন উপকূল পরিদর্শনে মঙ্গলবার খুলনার কয়রা যাবেন ভিক্টোরিয়া। তার এই সফরে গুরুত্ব পাবে রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের সহায়তার বিষয়টি।গত বছরের অক্টোবরে ইউএনডিপি শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োগের পর এটিই তার প্রথম আনুষ্ঠানিক সফর। সুইডিশ রাজকন্যা বাংলাদেশের গ্রামীণ দারিদ্র্য নিরসনে অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল উন্নয়নের ইতিবাচক প্রভাব প্রত্যক্ষ করতে মাঠ পর্যায়ে যাবেন এবং সরকার ও ইউএনডিপি কর্তৃক বাস্তবায়িত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমিত করার জন্য নারী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্যোগগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন। বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার  বলেন, টেকসই উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, জলবায়ু মোকাবেলা কার্যক্রম এবং সমতার পক্ষে সুইডিশ রাজকন্যা দীর্ঘদিন ধরে বলিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছেন। আমরা বাংলাদেশে ইউএনডিপিতে রাজকন্যাকে স্বাগত জানাতে পেরে এবং সবার জন্য একটি পরিবেশবান্ধব, আরও টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আগামীর জন্য কার্যকরভাবে অবদান রাখার স্থানীয় উন্নয়ন মডেলগুলোর পেছনে আমাদের প্রচেষ্টা রাজকন্যার সামনে তুলে ধরার সুযোগ পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি।সুইডিশ রাজকন্যাকে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইউএনডিপি’র শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিযুক্ত করা হয়৷ এই ভূমিকায় তিনি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা তথা এসডিজি এবং কাউকে পেছনে না ফেলে একটি টেকসই আগামীর জন্য সচেতনতা এবং সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে অনন্য ভূমিকা পালন করছেন।
    লেখাপড়া নিয়ে শিশুদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
     লেখাপড়া নিয়ে শিশুদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে না। শিশুরা যাতে আনন্দ নিয়ে পড়ালেখা করতে পারে, সে লক্ষ্যে পাঠ্যক্রম তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ইতিহাস শিশুদের জানানোরও আহ্বান জানান তিনি।রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত শিশু সমাবেশে তিনি এ কথা জানান।এ সময় বাংলাদেশ সবসময় নির্যাতিতদের পক্ষে। একথা স্মরণ করিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন তুলেছেন, গাজায় যখন শিশুদের হত্যা করা হয়, তখন বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মানবতাবোধ কোথায় থাকে। তিনি বলেন, বিশ্বে অনেকেই শিশুর অধিকার, শিক্ষা ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে। কিন্তু পাশাপাশি তাদের দ্বিমুখী কার্যক্রম দেখা যায়। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের নাগরিকদের মানবিক কারণে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। কিন্তু গাজায় যখন শিশু ও নারীদের হত্যা করা হচ্ছে, তখন বিশ্ব বিবেক কোথায়।এর আগে, রোববার বেলা পৌঁনে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সশস্ত্র সালাম জানায়।

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    রাজনীতি

    সব দেখুন
    বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা চাইলেন বিএনপির মঈন খান
    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশে আসা এনডিআই ও আইআরআই-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বলেছেন, সবাই বলছেন ৭ জানুয়ারির নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি। সরকার তা মেনে নিতে নারাজ। ক্ষমতাসীনরা বলছেন, বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতায় তারা ক্ষমতায় এসেছেন। তাদের কথায়ই প্রতীয়মান হয়, জনগণের ভোটে তারা ক্ষমতায় আসেননি।তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রের সহযোগিতায় আমরা এ দেশ অল্প সময়ের মধ্যে স্বাধীন করতে পেরেছি। আজকে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারেও আমরা বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করছি।সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কাঁঠালবাগানে সদ্য কারামুক্ত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবিকে শুভেচ্ছা জানাতে তার বাসভবনে গিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তা তো আমরাও চাই—এমন মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ যদি আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তা চায় একটি এক দলীয় শাসনের জন্য, আমরা কিন্তু বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তা চাই একটি ভিন্ন কারণে, সেটি হলো একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের জন্য। আমরা তো কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা চাই না।তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষের একটি আকাঙ্ক্ষা হলো গণতন্ত্র। এছাড়া দ্বিতীয় কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই। সেই কথা সরকার স্বীকার করুক আর নাই করুক।বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অবঃ হাফিজ উদ্দিন আহমেদ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার যে অপচেষ্টা করেছিল সেটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে । সেটি প্রমাণিত হয়েছে। সরকার এই নির্বাচনের আগে একটি প্রকল্প নিয়েছিল, তারপর সে প্রকল্পে ফেল করলে আরও একটি প্রকল্প নিয়েছিল। হাফিজ সাহেবকে নিয়ে গণমাধ্যমে যেটি এসেছে সেটি  সরকারে ব্যর্থ প্রকল্পের বহিঃপ্রকাশ।
    বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা চাইলেন বিএনপির মঈন খান
    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশে আসা এনডিআই ও আইআরআই-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বলেছেন, সবাই বলছেন ৭ জানুয়ারির নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি। সরকার তা মেনে নিতে নারাজ। ক্ষমতাসীনরা বলছেন, বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতায় তারা ক্ষমতায় এসেছেন। তাদের কথায়ই প্রতীয়মান হয়, জনগণের ভোটে তারা ক্ষমতায় আসেননি।তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রের সহযোগিতায় আমরা এ দেশ অল্প সময়ের মধ্যে স্বাধীন করতে পেরেছি। আজকে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারেও আমরা বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করছি।সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কাঁঠালবাগানে সদ্য কারামুক্ত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবিকে শুভেচ্ছা জানাতে তার বাসভবনে গিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তা তো আমরাও চাই—এমন মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ যদি আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তা চায় একটি এক দলীয় শাসনের জন্য, আমরা কিন্তু বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তা চাই একটি ভিন্ন কারণে, সেটি হলো একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের জন্য। আমরা তো কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা চাই না।তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষের একটি আকাঙ্ক্ষা হলো গণতন্ত্র। এছাড়া দ্বিতীয় কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই। সেই কথা সরকার স্বীকার করুক আর নাই করুক।বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অবঃ হাফিজ উদ্দিন আহমেদ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার যে অপচেষ্টা করেছিল সেটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে । সেটি প্রমাণিত হয়েছে। সরকার এই নির্বাচনের আগে একটি প্রকল্প নিয়েছিল, তারপর সে প্রকল্পে ফেল করলে আরও একটি প্রকল্প নিয়েছিল। হাফিজ সাহেবকে নিয়ে গণমাধ্যমে যেটি এসেছে সেটি  সরকারে ব্যর্থ প্রকল্পের বহিঃপ্রকাশ।
    আ.লীগ গায়ের জোরে দেশ শাসন করছে: মঈন খান
     আওয়ামী লীগ গায়ের জোরে সরকারে থেকে দেশ শাসন করছে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। আজ শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সদ্য কারামুক্ত যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম পলকে দেখতে তার বাসায় গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ অভিযোগ করেন ড. মঈন খান।ড. মঈন খান বলেন, সরকার শুধু বিরোধী দলের উপর নির্যাতন করছে না, তারা এদেশ থেকে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। কিন্তু বিরোধী দলকে জুলুম-নির্যাতন করে এদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগ গায়ের জোরে সরকারে থেকে দেশ শাসন করছে। এটা তো কোনো স্বাভাবিক দেশের বেলায় এ ধরনের পরিস্থিতি হতে পারে না।এক প্রশ্নের জবাবে ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বিএনপি আন্দোলনের সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে, এটা তো কোন কথা নয়। বিএনপি যদি আন্দোলনের সক্ষমতা হারিয়েই ফেলতো তাহলে সরকারের কাছ থেকে প্রতিদিন কেনো হুমকি পাচ্ছি? বিএনপির যদি কোনো শক্তি নাই থাকে তাহলে আওয়ামী লীগ নিশ্চিন্তে তাদের যে ৭ জানুয়ারির ভুয়া নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে যে ক্ষমতা দখল করেছে, সেই ক্ষমতা তো তাদের এখন উপভোগ করা উচিত। কিন্তু তারা সবকিছু লুটপাট করছে এবং বিদেশে টাকা পাচার করছে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, বিএনপি জনগণের শক্তিতে রাজনীতি করে। বিএনপি লগি-বৈঠার রাজনীতি করে না। বিএনপির শক্তি বন্দুকের গুলি দিয়ে প্রকাশ করতে হয় না। কারণ আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। কারণ জনগণই সকল ক্ষমতায় উৎস। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।এছাড়াও সদ্য কারামুক্ত যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের বাসায় তার সঙ্গে দেখা করেন ড. মঈন খান। এসময় তিনি সাইফুল আলম নিরবের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন।
    বিএনপি বিধ্বস্ত বা হতাশাগ্রস্ত দল নয়: হাফিজ
     বিএনপি কোনো বিধ্বস্ত বা হতাশাগ্রস্ত দল নয়। বরং এখনও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হচ্ছে বিএনপি, এমন দাবি করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির স্বাধীনতা উদযাপন পরিষদ কমিটির প্রথম বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।হাফিজ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে ফেলা হয়েছে। সে ইতিহাস ঠিকঠাক রাখতে এবং পাঠ্যপুস্তকে সন্নিবেশিত করতে উদ্যোগ নিচ্ছে বিএনপি। এ সংক্রান্ত নানা কর্মসূচি পালন করবে দলটি।বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের ধারক-বাহক মনে করলেও মুক্তিযোদ্ধাদেরই অবৈধভাবে কারাগারে পাঠায় তারা। আওয়ামী লীগের হাতে দেশের কোনো কিছুই আর নিরাপদ নয়।বাংলাদেশ এখন পুলিশি রাষ্ট্র, এমন অভিযোগ করে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এখানে জনগণের আর কোনো ক্ষমতা বা অধিকার নেই।
    আইনজীবীদের সংগঠনও সরকারের কালো থাবায় বিপর্যস্ত: রিজভী
    বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আইনজীবীদের মর্যাদাও ধুলায় লুটিয়ে দিয়েছে সরকার। তারা হিংসা-প্রতিহিংসার পথে দেশের রাজনীতিকে উপসংহারহীন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সংগঠনও তাদের কালো থাবায় বিপর্যস্ত। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।রুহুল কবির রিজভী বলেন, লণ্ডভণ্ড নির্বাচনি ব্যবস্থা ও পেশিশক্তির উন্মত্ততার হিংস্র প্রতিফলন দেশের জনগণ অবলোকন করল সুপ্রিমকোর্ট অঙ্গনেও। রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখতে সরকার যেসব কূটকৌশল অবলম্বন করছে, তার সবকিছুই তারা সদ্যসমাপ্ত সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে প্রয়োগ করেছে।  গত ৬ ও ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নজিরবিহীন ভোট জালিয়াতি, কারচুপি, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে যুবলীগের হাঙ্গামা, সংঘর্ষ, অস্ত্রের মুখে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথীকে সম্পাদক পদে নির্বাচিত ঘোষণা, পরে আবার দলীয় ও মেয়র তাপসের প্রার্থীকে সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণার মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ আইনঙ্গনের আইনজীবীদের মর্যাদা ধুলায় লুটিয়ে দিয়েছে। তারা হিংসা-প্রতিহিংসার পথে দেশের রাজনীতিকে উপসংহারহীন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে।তিনি বলেন, গত ২০২২ এবং ২০২৩ সালের সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচন ও সদ্যসমাপ্ত ঢাকা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের মতো নিজেদের পছন্দমতো ব্যক্তিদের নাম বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিল- দেশের সাধারণ মানুষের আইনের আশ্রয় নেওয়ার শেষ ভরসাস্থল বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীদের সমিতিতে তারা নগ্ন হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকবে।তিনি বলেন, এ পরিস্থিতিতে আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির পক্ষ থেকে ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করছি। অবিলম্বে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির তথাকথিত নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করে নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করতে হবে। একই সঙ্গে দলের পক্ষ থেকে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীসহ গ্রেফতার বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের নিঃশর্ত মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও রিমান্ড বাতিলের জোর আহ্বান জানাচ্ছি।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদিন, নিতাই রায় চৌধুরী, আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলীসহ সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী কয়েকজন প্রার্থী।
    দেশে সরকারের চেয়ে সিন্ডিকেট বেশি শক্তিশালী: জিএম কাদের
    রংপুর: জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশে সরকারের চেয়ে সিন্ডিকেট বেশি শক্তিশালী। গুটিকয়েক কোম্পানি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করে তাদের ইচ্ছামত দাম বাড়িয়ে চলেছে। ফলে রমজানে নিত্য পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার কথা বললেও সেটি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গেছে।এসময় তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন,  সরকার যাতে নিজ উদ্যাগে নিত্যপণ্য সরবরাহ করে এবং গুটি কয়েক বাদে বাকি যে ব্যবসায়ীরা আছে তাদের যেন আমদানি করার সুযোগ দেয়। সোমবার (১১ মার্চ) বিকালে রংপুরে চার দিনের সফরে এসে স্থানীয় সার্কিট হাউজে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এসময় রওশন এরশাদের সম্মেলন নিয়ে জিএম কাদের বলেন, সরকার সেই সম্মেলনে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। বেআইনী পৃষ্ঠপোষকতা দূর করা না গেলে স্বাভাবিক রাজনীতি বাধাগ্রস্থ হবে। আগামী উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে বলেও জানান তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিবৃতি প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, সংসদের সমাপনী ভাষণে তিনি বলেছেন, নির্বাচন আইনগতভাবে হয়েছে, তবে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি। সেইসঙ্গে নির্বাচনে জনগণের চাওয়া পাওয়ার প্রতিফলন হয়নি। নির্বাচনটা ফ্রি স্টাইলে হয়েছে। তিন ধরনের নির্বাচন হয়েছে। কোথাও পূর্ব নির্ধারিত ছিল, আবার কোথাও সরকারের ইচ্ছের প্রতিফলনে হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইয়াসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকসহ জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
    কারামুক্ত হলেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান
     এক বছর তিন মাস কারাভোগের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মো. শফিকুর রহমান কারামুক্ত হয়েছেন। সোমবার (১১ মার্চ) গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে দুপুর ২টার দিকে কারামুক্ত হন তিনি। এসময় তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।জানা যায়, ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে। পরদিন ১৩ ডিসেম্বর তাকে যাত্রাবাড়ী থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। শফিকুর রহমানের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায়। তিনি সিলেট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। একসময় ছাত্রশিবিরের সিলেট শহর শাখার সভাপতি ছিলেন।
    ইফতার পার্টি না করে সেই টাকা গরিবদের দেবে আওয়ামী লীগ
     আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, গতবারের মতো এবারের রমজানেও ইফতার পার্টি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ইফতারের এই টাকা দিয়ে গরিব মানুষদের সহযোগিতা করা হবে। আজ সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভার শুরুতে সভাপতির বক্তব্যে দলের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান ওবায়দুল কাদের।বাংলাদেশে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর ২০২০ ও ২০২১ সালে স্থবির হয়ে পড়েছিল দেশ। এই দুই বছর দেশে সব ধরনের রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড একপ্রকার বন্ধই ছিল। বন্ধ ছিল বড় পরিসরে ইফতার আয়োজনও। এই দুই বছর ঘরেই ইফতার করে মানুষ। করোনার প্রকোপ কেটে গেলে ২০২২ সাল থেকে আবারও স্বাভাবিক হতে থাকে মানুষের চলাচল। সরগরম হয়ে ওঠে রাজনীতির মাঠও। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় অন্যান্যবারের মতো রাজনীতিতেও ফেরে ইফতার। কিন্তু ২০২৩ সালে এসে কৃচ্ছ্রতা সাধনের লক্ষ্যে ইফতার আয়োজন থেকে সরে আসে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সিদ্ধান্ত হয়, ইফতার পার্টির টাকায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। দলীয় শীর্ষ পর্যায়ের সে সিদ্ধান্ত পালিত হয়েছে তৃণমূল পর্যন্ত।এবারও আসন্ন রমজানের বড় ধরনের ইফতার আয়োজন থেকে আওয়ামী লীগ সরে দাঁড়াতে পারে বলে দলটির বেশ কয়েকজন নেতা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। অবশেষে আজ বিষয়টি পরিষ্কার করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এবারের রমজানে ইফতার পার্টি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ইফতারের এই টাকা দিয়ে গরিব মানুষদের সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।

    দেশজুড়ে

    সব দেখুন
    রাজধানীতে বাসার ছাদে তরুণীকে ধর্ষণ, আসামি গ্রেপ্তার

    রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় ২২ বছর বয়সী এক তরুণীকে বাসার ছাদে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় পলাতক আসামি গালিফকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।


    রবিবার (১৭ মার্চ) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (অপস্ অফিসার) মো. মাহফুজুর রহমান।


    গ্রেপ্তার গালিফ খিলক্ষেত থানা এলাকার আহম্মদ মোক্তাদির আরিফ ওরফে সুমনের ছেলে।


    র‍্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী গত ২৩ ফেব্রুয়ারি খিলক্ষেত থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন তানভীর (২২), গালিফ (২২), মাহাদী (২২) ও মো. সানি (২১)। পরে মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর ভাটারা থানার কুড়িল চৌরাস্তার জান্নাতি আই অপটিকস দোকানের সামনে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি ধর্ষণের ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।


    ঘটনার পর গ্রেপ্তার এড়াতে অভিযুক্ত আসামি রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন বলেও জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।


    এর আগে মামলার এজাহারে ভিকটিম অভিযোগ করেছিলেন, তিনি রাজধানীর উত্তরায় একটি শো-রুমে কাজ করেন। মার্কেটে কাজ করার সময় প্রায় ৬ মাস আগে তার সঙ্গে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া হতো। ওই ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার জন্য আসামি সানি ভুক্তভোগী তরুণীকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। 


    বিষয়টি সমাধানের জন্য ৩ নম্বর আসামি মাহাদী গত ২২ ফেব্রুয়ারি ওই তরুণীকে খিলক্ষেত যেতে বলেন। মাহাদীর কথায় তরুণী খিলক্ষেত গেলে আসামিরা একটি বাড়ির পঞ্চম তলা ভবনের ছাদে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কের জন্য জোর করে। এরই একপর্যায়ে প্রধান আসামি তানভীর ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে।

    এআই 

    পুরান ঢাকায় ৫৮০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি

    পুরান ঢাকার আরমানিটোলা কসাইটুলি বাংলা স্কুলের সামনে বিসমিল্লাহ খাশি-গরু সাপ্লাইয়ের দোকানে নয়ন আহমেদ ৫৮০ টাকায় প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি করছেন।


    এর আগে গরুর মাংস কম দামে বিক্রি করে আলোচনায় আসেন উত্তর শাহজাহানপুরের মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। এবার তার চেয়েও কম দামে মাংস বিক্রি করছেন পুরান ঢাকার মাংস ব্যবসায়ী নয়ন আহমেদ। যেখানে খলিলুর রহমান মাংস বিক্রি করছেন ৫৯৫ টাকায় সেখানে তার চেয়েও কম দামে ৫৮০ টাকায় প্রতিকেজি মাংস বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন নয়ন।


    রবিবার (১৭ মার্চ) ব্যবসায়ী নয়ন আহমেদ কমদামে মাংস বিক্রির ঘোষণার পরপরই দোকানে ভিড় করতে দেখা যায় সাধারণ ক্রেতাদের।


    মাংস কিনতে আসা ক্রেতারা কম দামে ভালো মাংস পায়ে বলেন, এই সময় নয়নের মতো ব্যবসায়ী পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। সব ব্যবসায়ীরা যদি নয়নের মত হত তবে দেশটা অনেক আগেই পরিবর্তন হয়ে যেত। তিনি মাংসে কোনো সমস্যা দেখছি না মানসম্মত এবং হালাল মাংস বিক্রি করছেন। রোজার মাসে এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ক্রেতারা সাধুবাদ জানিয়েছে নয়নকে।


    রাজধানীর মাংসের বাজারে ইতোমধ্যেই আলোচিত হয়ে উঠেছেন খলিলুর রহমান। এবার তার সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন নয়ন আহমেদ। গত বছরের শেষ দিকে বাজারে যখন ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছিল, তখন খলিলুর রহমান কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসেন।

    এবারের রোজায় এই ব্যবসায়ী ৫৯৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংসের পাশাপাশি ৯০০ টাকা কেজিতে খাসির মাংসও বিক্রি করছেন৷

    এআই 

    মিরপুরে দুই যুবককে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত, নিহত ১

    রাজধানীর মিরপুরে ছুরিকাঘাতে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। ওই যুবকের নাম মো. রাসেল (২৫)। এতে আহত হয়েছেন রাশেদ (২২) নামের আরেক যুবক।


    শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় মিরপুর সাড়ে ১১ এর আধুনিকের মোড় নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


    জানা যায়, গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা রাসেলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক রাত পৌনে ৮টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


    ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আহত রাশেদ গণমাধ্যমকে বলেন, মিরপুর সাড়ে ১১ আধুনিকের মোড়ের কিছুটা সামনে আসলে আমাদের দুজনকে ১০-১২ জন মিলে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। ওই এলাকার তানজিলা ও তার স্বামী কালু, ভাই শাহিনের সঙ্গে রাসেলের পূর্বশত্রুতা ছিল। তারাই আজকে এ হামলা করেছে।


    এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, আহত রাশেদের অবস্থাও গুরুতর। রাশেদকেও জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর রাসেলের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।


    এ দিকে পল্লবী থানার ওসি (তদন্ত) মোকলেসুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


    তিনি বলেন, মিরপুর ই-ব্লকে বিহারিদের নিজেদের মধ্যে একটি মারামারির ঘটনায় এক যুবক মারা গেছেন। প্রাথমিকভাবে আমরা এতটুকু জানতে পেরেছি। বিস্তারিত জেনে পরে জানানো হবে।

    এআই 

    পাটুয়াটুলিতে আগুন,নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ৬ ইউনিট

    পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলি ঘি পট্টি এলাকার একটি প্রেসে আগুন আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট।

    শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত পৌনে ১০ টার দিকে এই সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নিয়েছে সদরঘাট, সূত্রাপুর এবং সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের ৬টি ইউনিট।

    এখন পর্যন্ত হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

    অভিষেক মল্লিক/পিএম


    ভেঙে ফেলা হচ্ছে বাংলাবাজার-সদরঘাট ফুটওভার ব্রিজটি

    রাজধানীর বাংলাবাজার-সদরঘাট চৌরাস্তার মোড় পদচারী সেতুটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। পথচারীদের ব্যবহারে কোনো আগ্রহ না থাকায় জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। 

    জনসন রোড, বাংলাবাজার, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ও ইসলামপুর রোডের সংযোগস্থলে পথচারীদের পারাপারে ১৯৯৭ সালে পদচারী-সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা আর সেতুতে মাদকসেবী ভবঘুরেদের বসবাসের ফলে চতুর্মুখী সেতুতে ওঠার প্রতিটি পথেই প্রতিবন্ধকতা চলে আসে। এতে পথচারীদের সেতু ব্যবহার প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউই উঠেনা এই পদচারী সেতুতে। 

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর পর মাদক,নেশাখোরদের অবাধে আড্ডা, অব্যবস্হাপনায় ভরে উঠে। ফলে অতিরিক্ত যানজট থাকলেও যাতায়াতে সেতুটি ব্যবহার করেননা মানুষজন। পদচারী-সেতুর আশপাশে রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বাজার বইয়ের মার্কেট, সদরঘাট নৌ- টার্মিনাল, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, হিড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সুমনা হাসপাতালসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত এই পথে। কিন্তু রাস্তা পারাপারে কেউ পদচারী-সেতু ব্যবহারে আগ্রহী নয়। 

    দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়ে থাকা পদচারী-সেতুর চারটি প্রবেশপথেই ছিল নানা প্রতিবন্ধকতা। এর মধ্যে সেতুর দক্ষিণ-পূর্ব প্রবেশপথে গড়ে উঠেছিল পুরোনো বইয়ের বাজার। উত্তর-পূর্ব প্রবেশপথে ফলের দোকান। দক্ষিণ- পশ্চিম প্রবেশপথে চা-নাশতার টং দোকান। পাশেই ঘোড়ার গাড়ি ও লেগুনার কারণে সড়কে লেগে থাকতো তীব্র যানজট। আর উত্তর-পশ্চিমের প্রবেশপথে জুতা, স্যান্ডেল, রকমারি জিনিসপত্রের হকারদের পসরা। ব্রিজের নিচের সড়কে রাখা ময়লার কনটেইনারের আবর্জনা চারপাশে ছড়িয়ে থাকতো।  সেতুর নিচেই পুলিশ বক্সে সার্বক্ষণিক সদরঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ও ট্রাফিক পুলিশ অবস্থান করলেও কখনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি কাউকে। 

    দায়িত্বরত (পুলিশ বক্সে) নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য বলেন, মানুষ ব্রিজটা ব্যবহার করেনা। গত কয়েকদিন ধরে দেখতেছি সিটি কর্পোরেশনের লোকজন এসে ভাঙার কাজ শুরু করেছে। 

    ব্যস্ততম একটা জায়গায় ফুটওভার ব্রিজটি ভাঙন সম্পর্কে অবহিত করে, ৩৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুর রহমান মিয়াজী বলেন, এটা নিয়ে আমি নিজেই বেশ কয়েকবার অভিযোগ দেওয়ার পর ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র মহোদয় মৌখিক ভাবে এটাকে (ফুটওভার) কে ভেঙে ফেলার অনুমতি দেন। পরবর্তীতে মেয়র আবার এসে দেখে যান এবং ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে গত শুক্রবার (০৮ মার্চ) থেকে ভাঙার কাজ শুরু হয়। 

    পথচারীদের ভোগান্তি লাঘবের কথায় মাথায় রেখে মিয়াজী বলেন, এ রাস্তা প্রতিদিন লাখ লাখ লোকজন আসা-যাওয়া করে। বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় জনগনের ভোগান্তি যেন না হয় সে বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে রাতের বেলায় এই ভাঙার কাজ চলে। চলাচলের কোন অসুবিধা যেন না হয় সে বিষয়ে দৃষ্টি দিয়ে ভাঙা অংশ গুলো সিটি করপোরেশন দিনের শুরুতে নিয়ে যায়। আশা করছি জনগনের যাতায়াতে এর প্রভাব পড়বেনা।

    পিএম

    যশোরে চার কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ আটক ২

    যশোর উপশহর এলাকায় একটি প্রাইভেটকার থেকে ৩ কেজি ৩শ গ্রাম ওজনের ৩২ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ কোটি টাকা।

    সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে ডিবি পুলিশের অভিযানে স্বর্ণের বারসহ আটক পাচারকারী দু’ব্যক্তির নাম শহিদুল্লাহ ও সুমন। তাদের দু’জনের বাড়ি শার্শা উপজেলায়।

    যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে ঢাকা থেকে বেনাপোল সীমান্তের উদ্দেশ্যে একটি প্রাইভেটকারে স্বর্ণের চালান নিয়ে আসছে। এমন সংবাদে উপশহর এলাকায় ডিবি পুলিশসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ওঁত পেতে ছিলেন। সন্দেহজনক প্রাইভেটকার নিউ মার্কেট এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ গতিরোধ করে। গাড়িতে থাকা দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে গাড়িতে লুকিয়ে রাখা বিভিন্ন জায়গা থেকে তিন আকৃতির ৩২ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।

    তিনি আরও জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে পূর্বের কোন মামলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

    এমআর

    বেনাপোলে ২৯৯ ফেনসিডিলসহ মাদক কারবারী আটক

    যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালি সীমান্ত থেকে ২৯৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ সুমন রহমান (৩৫) নামে এক মাদক কারবারীকে আটক করেছে র‌্যাব সদস্যরা। আটক সুমন রহমান বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালি পশ্চিমপাড়া গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে।  

    যশোর র‌্যাব-৬ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সকালে বেনাপোলের পুটখালি গ্রামের জনৈক শহিদুল্লাহ এর বাড়িতে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ভারতীয় ফেনসিডিল বিক্রির জন্য মজুদ করেছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে সুমন রহমানকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তিতে ওই বাড়ির সিড়ির মাঝে রাখা খড়ের গাদার মধ্যে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় দুইটি বস্তায় বিশেষভাবে রাখা ২৯৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

    আটককৃত আসামী আরো জানায়, তার নিজ বাড়িতে মাদকদ্রব্য না রেখে তার চাচাতো ভাই শহিদুল্লাহর বাড়িতে প্রতিনিয়ত মাদকদ্রব্য মজুদ করে আসছিল। যেহেতু শহিদুল্লাহ ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরী করে, তাই তার বাড়িতে মাদকদ্রব্য রাখলে কেউ সন্দেহ করবে না এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদকের তথ্য পাবে না বলে আটক আসামীর বিশ্বাস ছিল।

    র‌্যাব-৬ যশোরের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটক আসামী সুমন রহমানের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুইাট ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। 

    এমআর

    যশোরে নির্ধারিত সময়েও মেলেনি টিসিবির পণ্য

    ‘টিসিবির জিনিসের দাম একটু কম। যে কয়টা জিনিস দেয় তাতে ভালোই লাভ হয়। ভেবেছিলাম রোজা শুরুর আগেই এগুলো নিতে পারবো। তাহলে কিছু টাকা বাঁচবে। কিন্তু তা আর হলো কই! টিসিবির জিনিস না পেয়ে বাইরে থেকে বেশি দামে কিনতে হয়েছে। রোজাতো, এ কারণে না কিনে পারা যায়নি।’

    এসব কথা বলছিলেন রিকশাচালক আলতাফ হোসেন। তার মতো বক্তব্য শ’ শ’ কার্ডধারীর। যারা নিয়মিত টিসিবির পণ্য কেনেন, কেনার অপেক্ষায় থাকেন, তাদের অপেক্ষা শেষ হবে কবে? পুরো রোজার মাস ধরে কি বেশি দামে পণ্য কিনতে হবে? এসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে।

    রোজার আগে টিসিবির ভর্তুকি পণ্য পাওয়ার আশায় ছিলেন যশোরের ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৩৯ জন কার্ডধারী। এসব কার্ডধারীর মধ্যে কেশবপুরে ১৪ হাজার ৪৪৫, শার্শায় ১৮ হাজার ৪৩৮, অভয়নগরে ১২ হাজার ১৭২, বাঘারপাড়ায় ১১ হাজার ৮২০, চৌগাছায় ১১ হাজার ৫৮১, মণিরামপুরে ২১ হাজার ৬২৬, ঝিকরগাছায় ১৩ হাজার ২৫৫ ও সদর উপজেলায় ৩৪ হাজার ১০২ জন রয়েছেন। তারা আশা করেছিলেন রোজার মধ্যে কমপক্ষে দু’বার সরকারি এই সুবিধা নিতে পারবেন। কিন্তু সে গুড়ে বালি। দু’বারতো দূরের কথা, এখনো পর্যন্ত ফেব্রুয়ারি মাসের পণ্য-ই পাননি কার্ডধারীরা। তাহলে মার্চ মাসের পণ্য পাবেন কী করে?

    টিসিবির একাধিক ডিলার জানিয়েছেন, আশপাশের বিভিন্ন জেলায় ফেব্রুয়ারি শেষ করে মার্চ মাসের পণ্য বিতরণ চলছে। সেখানে যশোরে ফেব্রুয়ারি মাসের পণ্যই এখনো আসেনি। না আসার কারণ সম্পর্কে তাদের অভিমত, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাই ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছেন না। টিসিবির পণ্য আসুক আর না আসুক তাতে তাদের কিছুই ‘এসে যায় না’। এ কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অপেক্ষাকৃত কমমূল্যের এসব পণ্য কবে আসবে সেই খবরও কেউ দিতে পারছেন না।

    ডিলাররা জানিয়েছেন, রোজার মধ্যে তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগীরা পাঁচ ধরনের পণ্য পাবেন বলে তাদের জানানো হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, ছোলা এক কেজি, চিনি এক কেজি, তেল দু’লিটার, ডাল দু’কেজি ও চাল পাঁচ কেজি। টিসিবির প্রতি কেজি ছোলার দাম ৫৫, চিনি ৭০, ডাল ৬৫, চাল ৩০ ও তেল ১০০ টাকা লিটার। সেই হিসেবে এই প্যাকেজের দাম পড়বে ৬০৫ টাকা।

    এই পণ্যগুলো বাজার থেকে কিনতে একজন মানুষকে গুণতে হবে এক হাজার ৮০ টাকা। তার মানে তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগীদের বাড়তি ব্যয় করতে হবে ৪৭৫ টাকা। এই দুর্মূল্যের বাজারে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ৪৭৫ টাকা ‘অনেক বেশি’ বলে মনে করছেন টিসিবির পণ্য ক্রেতারা। তারা যেকোনোভাবেই বাড়তি ৪৭৫ টাকা সেইফ করতে চান। কিন্তু সময়মতো সেটি পারছেন না।

    সালেহা বেগম নামে সুবিধাভোগী পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। দু’পয়সা বাঁচানোর চেষ্টা করি। এ কারণে টিসিবির জিনিসপত্র কেনার অপেক্ষায় থাকি। বাড়িতে ওইসব জিনিস ফুরায়ে গেলেও দোকান থেকে না কেনার চেষ্টা করি। যখন আর পারি না তখন কিনি। মনে করেছিলাম রোজার আগে টিসিবি থেকে জিনিস কিনতে পারবো। কিন্তু সেটি হয়নি। ছয় রোজা চলে গেছে। আজ ৭ রোজা চলছে এখনো পেলাম না। এ কারণে দোকান থেকে বেশি দামের জিনিস অল্প করে কিনেছি। এখনো তাকিয়ে আছি টিসিবির দিকে।’

    এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রিজিবুল আলম বলেন, ‘ঝিনাইদহ থেকে চারটি জেলার পণ্য সরবরাহ করা হয়। সেখান থেকে পণ্য আসতে দেরি হয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসের পণ্য বিতরণ শুরু হবে শার্শা থেকে। এরপর পর্যায়ক্রমে সব জায়গায় বিতরণ করা হবে।’

    তবে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বক্তব্যের সাথে ভিন্নমত পোষণ করেছেন ডিলাররা। তারা জানিয়েছেন, যশোরে যে পরিমাণ পণ্য এসেছে তা কেবল শার্শাতে বিতরণ করা যাবে। বাকি সাতটি উপজেলার জন্য এখনো পর্যন্ত কোনো মালামাল আসেনি। কবে নাগাদ আসবে সেটি কেউ বলতে পারছেন না। সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে এমন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিলাররা।

    যশোরের আট উপজেলায় সর্বমোট ১৭৯ জন ডিলার টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৫৫, মণিরামপুরে ২২, শার্শায় ১২, কেশবপুরে ৩৮, অভয়নগরে ২৩, বাঘারপাড়ায় ১০, চৌগাছায় ১২ ও ঝিকরগাছায় ৭ জন রয়েছেন। 

    এমআর

    চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের দু'গ্রুপে সংঘর্ষ

    চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাইটঘাটে 'কমলার দোহা' নামক বিলের মরা মাছের দুর্গন্ধ ছড়ানো নিয়ে সদ্য নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও পরাজিত প্রার্থী লোকজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। 

    এতে মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ উভয়পক্ষের তিনজন ধারাল অস্ত্র ও লাঠিসোটার আঘাতে আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (১৭ মার্চ) রাতে গাইটঘাট গ্রামের কমলার দোহাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয় অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিশ্বজিৎ সাহা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরেই তার লোকজন হাট-ঘাট আর বিল বাউড় দখল নেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে গেছে। এখন তার লোকজন বিভিন্ন ইসু নিয়ে প্রতিপ‌ক্ষের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আরশাদ উদ্দীন চন্দনের লোকজনের সাথে মারামারি আর গ্যাঞ্জাম করছে।

    পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আরশাদ উদ্দীন চন্দনের পক্ষর আহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের গাইটঘাট গ্রামের ইলাহি বক্সের দুই ছেলে ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (৫৪) ও মিকাইল ইসলাম (৪৫)। অপর নির্বা‌চিত চেয়ারম্যান বিশ্ব‌জিৎ এর পক্ষের আহত একই গ্রামের মোস্তাফার ছেলে জালাল উদ্দিন (৩৫)।

    আহত রফিকুল ইসলাম বলেন, কমলার দোহা বিলে আমার ভাই মতিয়ারের ২০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে। সম্প্রতি ইউনিয়ন আওয়ামীগীগের সভাপতি ও বিজয়ী চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সাহা তার কর্মী পৌর এলাকার সুমিরদিয়া গ্রামের জাফরকে দিয়ে আমার ভাই সহ বিলের অন্যান্য পার্টনারের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। এরই জের ধরে ঘটনা দিন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে জাফর, গাইটঘাট গ্রামের জালাল, নুরুল ও রাসেল ধারাল অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। আমাকে আমার হাতে ও বুকে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়। আমার ভাইকেও মারধর করে তারা। এ বিষয়ে আমি আজ সোমবান মামলা দায়ের করে‌ছি।

    পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আরশাদ উদ্দীন চন্দন অভিযোগ করে বলেন, কমলার দোহা বিলে মাছ নিয়ে বিজয়ী চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সাহার উস্কানিতে আমার কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। একজনের মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।

    বিজয়ী চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ঘটনার পরই আহতদের খোজখবর নিতে সদর হাসপাতালে ছুটে গিয়েছি। মূলত দুদিন আগে কমলা দোহা বিলে মারা যাওয়া মাছ পচে এলাকায় দূর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। এ নিয়ে আমার কর্মী জাফর উচ্চস্বরে তাদেরকে মাছগুলো সরাতে বললে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। 

    এরপরই জাফরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মোবাইলে অভিযোগ করেন তারা। সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মাছগুলো বিল থেকে সরানোর জন্য বলে। এরই জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমার কর্মী জালালকে মারধর ও ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন। এটা কোনো নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় না। আর আমার লোকজন কোনো হাট-ঘাট দখলের পায়তারাও করছে না। আমি জনতার ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছি। বিরোধী পক্ষ এটা ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

    চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলি বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি কমলার দোহার বিলে মরা মাছ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। দুই পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ কাজ করছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানাবো যাবে।  

    এমআর

    মেহেরপুরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বােধন

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বােধন করা হয়েছে। 

    সােমবার (১৮ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে আশা সংস্থার জেলার গাংনী উপজেলার কাজীপুর শাখা কার্যালয়ে এ ক্যাম্পের উদ্বােধন করা হয়। আশা সংস্থার কাজীপুর শাখা ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করে।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আশা সংস্থার কাজীপুর শাখার ব্যবস্থাপক ইমরান হােসেন। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন বালিয়াঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক নেতা মাে. সাহাবুদ্দীন।

    বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক গোলাম আজম,কাজীপুর দারুল উলুম মাদ্রাসার সুপার আব্দুর রশিদ আক্তার। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেএসএইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আশরাফুল আলম, সমাজ সেবক মাওলানা মুফতি আল-আমীন। আশার কাজীপুর শাখার সহকারি -ব্যবস্থাপক সেলিম উদ্দীন, আশার সেলথ সেন্টার ইনচার্চ সামাদুর রহমান, কাজীপুর ইউপি সদস্য ফারুক হােসেন ও সমাজ সেবক গােলাম মােস্তফা।

    অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন পীরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুল হাদি। আশার কাজীপুর শাখা ব্যবস্থাপক ইমরান হােসেন জানান, এ ক্যাম্পের মাধ্যমে এ এলাকার মানুষের বিনামূল্যে বিভিন্ন রােগের চিকিৎসাসহ ডায়াবেটিস পরীক্ষা, প্রেসার মাপা, ওজন মাপার সুযােগ রয়েছে।

    পিএম

    যানজট মুক্ত সোনাপুর এখন স্বস্তির নগরী

    নোয়াখালীর দক্ষিণাঞ্চলের শহর সোনাপুর এলাকায় নেই আগের সেই চিরচেনা যানজট। নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে নগরবাসী।

    সোনাপুর রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন রুটের সিএনজি ও বাস স্টেশন হওয়ার কারণে এলাকাটি অত্যন্ত জনবহুল এলাকা হিসেবে পরিচিত। যে কারণে সোনাপুর জিরো পয়েন্টের প্রধান সড়কে বিগত কয়েক বছর থেকেই যানজটে মহাদুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে নগরবাসীকে।

    দীর্ঘদিনের সেই দুর্দশা থেকে এবার পরিত্রাণ মিলেছে পুলিশ সুপারের বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তায় সময়োপযোগী উদ্যোগে এবং জেলা ট্রাফিক বিভাগের নিরলস পরিশ্রমের কারণে সফলতা মিলছে যানজট নিরসনে।

    সম্প্রতি সিএনজি ও বাসসহ গণপরিবহন গুলোর যাত্রী উঠানামায় স্থান নির্ধারণ করে দিয়ে ট্রাফিক বিভাগ তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করায় যানজট সমস্যা অনেকটাই নিরসন হয়েছে বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ।

    হোন্ডা আরোহী আব্দুল মুকিত জানান, আগে সোনাপুরের যানজটের কবলে পড়লে দীর্ঘ সময় এখানে আটকে থাকা লাগতো কিন্তু এখন মোটামুটি স্বস্তিতে বেরিয়ে যেতে পারছি।

    সিএনজি চালক শামসু মিয়া বলেন, আগে সোনাপুরের যানজটে আমাদের দীর্ঘ কর্মঘন্টা নষ্ট হতো। আল্লাহর রহমতে এখন মোটামুটি খুব সহজেই আমরা সোনাপুর জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করে যাচ্ছি।

    জেলা ট্রাফিক পরিদর্শক সিরাজ উদ দৌলা সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক যানজট নিরসনে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সোনাপুর এলাকার জন্য বিশেষভাবে আমাদের জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। যে কারণে আশানুরূপ সুফলও পাচ্ছি।

    নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি যানজটে জনদুর্ভোগ কমাতে। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতায় সমন্বিত ভাবে আমরা নিত্য নতুন কৌশলী পদক্ষেপ নিয়ে যানজট নিরশনে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের  সাথে চালক, যাত্রী ও পথচারী সকলকে সচেতন ভাবে সহযোগী হয়ে থাকতে হবে। সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।


    এমআর

    রাঙ্গামাটিতে হারানো মোবাইল মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দিল পুলিশ

    রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেলের সফল প্রচেষ্টায় ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মাসে ৩২টি সহ সর্বমোট ২৭৪টি হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার পূর্বক প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।


    সোমবার (১৮ মার্চ) রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপারের কার্যালয় সম্মেলনে কক্ষে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বিভিন্ন স্থানে হারিয়ে যাওয়া ৩২টি মোবাইল ফোন জিডি মূলে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল কর্তৃক উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব মারুফ আহমেদ (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মহোদয়।



    এ সময় তিনি বলেন, সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের লক্ষ্যে পুলিশ সুপার মহোদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় গঠিত জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ, ক্লুলেস মামলা ডিটেকশনের পাশাপাশি অদ্যবধি ২৭৪টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫৫ লক্ষ টাকা।


    মোবাইল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মালিকগণ তাদের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ফেরত পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং পুলিশ সুপার মহোদয়সহ রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


    এসময় সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেলের ইনচার্জ এসআই (নিরস্ত্র) জনাব মাসুদ রানাসহ সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেলের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    এআই 
    ফটিকছড়িতে খাল পুনঃ খনন কাজের উদ্বোধন

    চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন অন্তর্ভুক্ত হরিণা খাল (৪ কিমি) পুনঃ খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।


    সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে উপজেলার ভূজপুরে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বউপরিস্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে সেচ প্রকল্প চটগ্রামের বিএডিসির বাস্তবায়নে এই খাল খননের উদ্বোধন করেন সাংসদ খাদিজাতুল আনোয়ার। 


    এর পূর্বে এক সংক্ষপ্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএডিসি চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী ফাতেমা আক্তার, ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী, ভূজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম এইচ শাহাজাহান চৌধুরী শিপন, উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রকৌশলী নুরুল আলম, এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ভূজপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি  রেজাউল ইসলাম বাপ্পুসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ।

    এআই 
    আল্লাহর ৯৯ নাম দিয়ে তৈরি হলো নান্দনিক ভাস্কর্য

    ফেনী পৌর শহরের মিজান রোড়ে সোনালী ব্যাংকের সামনে স্থাপিত হয়েছে আল্লাহর ৯৯টি নাম সম্বলিত একটি নান্দনিক ভাস্কর্য। রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানটির নাম শান্তি চত্বর রাখা হয়।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফেনী আলিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান, প্যানেল মেয়র জয়নাল আবেদিন লিটন হাজারী, পৌর কাউন্সিলর সাইফুর রহমান, কাউন্সিলর হারুন মজুমদার, কাউন্সিলর বাহার উদ্দিন বাহার, কাউন্সিলর কহিনুর আলম, কাউন্সিলর লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, কাউন্সিলর খালেদ খান, ফেনী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি সাইফুল্লাহ, কোর্ট মসজিদেন খতিব মাওলানা মীর হোসেন, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

    উদ্বোধন পরবর্তী সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, মিজান ময়দানে জেলার সব বড় বড় প্রোগ্রাম হয়। এখানে ঈদের জামাতসহ আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলন হয়। সে ময়দানের সম্মুখে আল্লাহর নাম সম্বলিত এমন দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা নিসন্দেহে প্রশংসনীয়। তিনি আরও বলেন, আমরা ধর্মপ্রাণ মুসলমান আমাদের জন্য এসব আবেগের। ফেনীর মানুষ শান্তিতে বিশ্বাসী আমরা শান্তিতে থাকতে চাই।

    পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, ফেনী পৌরসভার অর্থায়নে ইসলামিক এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে। মুসলিম দেশ হিসেবে ইসলামের বিভিন্ন নিদর্শন, আল্লাহ ও রাসূলের নাম মানুষের সামনে উপস্থাপন করা মুসলমান হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকে এ ভাস্কার্যটি স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এগুলো দেখে মানুষ যাতে আল্লাহ ও রাসূলের এবং ধর্মের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে।

    মেয়র আরো বলেন, ফেনী পৌরসভার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ইসলামিক ভাস্কর্যের মাধ্যমে শহরকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আশা করছি শহরের আরও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ইসলামিক নিদর্শন স্থাপনের মাধ্যমে মুসলিম রাষ্ট্রের পরিচিতি এখান থেকে আরও বেশি উন্মোচিত হবে। এছাড়াও ভাস্কর্যটি উপরে চারটি এলইডি জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হয়েছে। যার মাধ্যমে কোরআন তেলাওয়াত, ওয়াজ মাহফিল, বিভিন্ন ইসলামিক প্রোগ্রাম ও সাংস্কৃতিক প্রোগ্রাম প্রচার করা হবে বলে জানান তিনি।

    পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, দুই মাসে এর কাজ সমাপ্তি করেন নিউ স্মার্ট জেনারেল সার্ভিস নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, এই ভাস্কার্যটিতে ৭ হাজার এলইডি লাইট রয়েছে।

    এফএস

    টেকনাফে তিন মাদক পাচারকারী আটক

    কক্সবাজার-টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ থেকে,ইয়াবার চালানসহ তিন মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।

    রবিবার (১৭ মার্চ) বিকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি উক্ত অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

    তিনি সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, গোপন সংবাদে কোস্টগার্ড অভিযানিক দল জানতে পারে মায়ানমার হতে একটি মাদকের চালান টেকনাফ সাবরাং ইউপির শাহপরীরদ্বীপ হয়ে বাংলাদেশ উপকুলে প্রবেশ করবে। উক্ত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী,

    রবিবার বেলা ২টার দিকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোন অধীনস্থ শাহপরীরদ্বীপে কর্মরত কোস্টগার্ড সদস্যদের একটি দল দ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদীর মোহনায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

    এরপর অভিযান চলাকালীন শাহপরীর দ্বীপের গোলাপাড়া ঝাউবন এলাকা থেকে সন্দেহজনক ছোট আকারের একটি ফিশিং ট্রলারকে আটক করার পর তল্লাশি করে ৩৩ হাজার,৪ শত পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় মাদক পাচারে জড়িত ট্রলারে থাকা তিন ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়।

    ধৃত ব্যাক্তিরা হচ্ছে-টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন (১৭),মাজেদ হোসেন (২৩), মোস্তফা কামাল (১৬)।

    ইয়াবার চালানসহ আটক তিন মাদক পাচারকারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করার জন্য, টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

    এফএস

    শিবচরে ১শত ২০ কেজি জাটকা ও জেলিযুক্ত ১০ কেজি চিংড়ি জব্দ

    মাদারীপুরের শিবচরে অভিযান চালিয়ে বাজার থেকে ১শ' ২০ কেজি জাটকা এবং ১০ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করেছে উপজেলা মৎস অফিস। 

    সোমবার(১৮ মার্চ) সকালে উপজেলার মাদবরেরচর হাটে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা মৎস্য অফিস। জানা গেছে, জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষে শিবচরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে মৎস অফিস। 

    সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার মাদবরেরচর হাটে অভিযান কালে ১শ' ২০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। 

    এছাড়াও ১০ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। হাটে ইলিশের সাথে অসাধু ব্যবসায়ীরা জাটকা বিক্রি করছিল এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন মৎস কর্মকর্তা। পরে জব্দকৃত জাটকা স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। অপরদিকে জেলিযুক্ত চিংড়ি পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

    শিবচর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস ইবনে রহিম বলেন,'সোমবার উপজেলার মাদবরেরচর হাটে অভিযান চালিয়ে ১২০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। একই সাথে বিষাক্ত জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। এ সময় কাউকে আটক করা যায়নি। পরে অন্য ব্যবসায়িদের সতর্কও করা হয়েছে।

    এমআর

    কটিয়াদীতে তালুকদার বাড়িটি আজও কালের সাক্ষী

    কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের শিবনাথ সাহা তালুকদার বাড়িটি একাধিকবার পাক বাহিনীর আক্রমনের শিকার হয়। টিকতে না পেরে বাড়ি ছেড়ে চলে যায় বাড়ির লোকজন। বাড়িটি এখনো কালের সাক্ষী হয়ে টিকে আছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কটিয়াদীর মানিকখালী রেল স্টেশন দিয়ে সহজেই পাক বাহিনী এই গ্রামে প্রবেস করতো৷ নির্বিচারে আতর্কিত গুলি করে অনেক মানুষকে হত্যা করে৷ লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করে অনেক গ্রাম পুড়িয়ে দেয়৷ 

    সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শিবনাথ সাহার বাড়িতে প্রবেশ করতেই ঘাট বাঁধা বিশাল এক পুকুর। বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতেই দুটো ভবন। তার একটি মন্দির অন্যটি শিবনাথ সাহার বাড়ি। মন্দিরের পিছনে সীমানা প্রাচীর ঘেরা আরো একটি পাকা ভবন।  শিবনাথ সাহার তালুকদার বা জমিদার বাড়ি। বাড়িটি বিভিন্ন ধরনের নকশা করা কারুকাজে ভরা ।

    বর্তমানে বাড়িতে বসবাস করা এক জেলে পরিবার। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এখানে স্বাধীনতার আগ থেকেই বসবাস করছে । স্বাধীনতা পর্যন্ত শিবনাথ সাহের পরিবার এখানে ছিলো কিন্তু যুদ্ধের সময় এই বাড়িতে কয়েকবার আক্রমণ করে পাক বাহিনী তখন এই ভীতিকর পরিবেশ থেকে বাঁচার জন্য শিবনাথ সাহার পরিবার ভারতে পাড়ি জমায়।

    জানা যায়, শিবনাথ সাহা এই বাড়িতে বসেই তার জমিদারি কাজ চালাতেন। তবে বাংলার অন্য জমিদারদের মতো তিনি অত্যাচারী ছিলেন না। প্রজাদেরকে তিনি ভালোবাসতেন, সুনজরে দেখতেন। তিনি ছিলেন উদার মনের মানুষ। বাংলা ১২৫৫ সালের ১৭ আষাঢ় ও ইংরাজি ১ জুলাই ১৮১৮ সালে উপজেলার কুড়িখাই গ্রামের একটি সনাতন পরিবারে শিবনাথ সাহার জন্ম। তার বাবার নাম কার্তিক চন্দ্র সাহা। দাদার নাম যাত্রাবর সাহা। শিবনাথ সাহার ছোট একটি ভাইও ছিলেন। নাম ছিল তার শম্ভুনাথ সাহা। শিবনাথ সাহার বাবার ও ঠাকুরদার আমলে তাদের জমিদারির অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। তবে শিবনাথ সাহা জমিদারির দায়িত্ব পাওয়ার পর অর্থনৈতিক অবস্থার প্রসার ঘটে। তিনি বাজিতপুরের আলিয়াবাদে এক বনেদি সাহা পরিবারের মেয়ে কালী সুন্দরীকে বিয়ে করেন। কালী সুন্দরীও ছিলেন বেশ প্রজাবৎসল। তাদের ঘরে তিন কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কোনো ছেলে সন্তান না থাকায় তিনি তার ভাই শম্ভুনাথ সাহার চতুর্থ ছেলে সুরেন্দ্রনাথ সাহাকে দত্তক নিয়েছিলেন।

    স্ত্রীর নাম কালীসন্দুরী সাহা। তাঁর পারিবারিক উত্তরসূরীগণ (বর্তমানে কটিয়াদী বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাবু দিলীপ কুমার সাহা, রতন কুমার সাহা, উত্তম সাহা, বিশ্বনাথ সাহা, কৃষ্ণ পদ সাহা প্রমূখ) মনে করেন এক মাহেন্দ্রক্ষণে মনুষ্য রুপী দুই দেব-দেবী কালি ও শিবের মিলন ঘটে। কিন্তু তাদের কোন পুত্র সন্তান হয়নি। বাবু শিবনাথ সাহা ও কালি সুন্দরীর ঘরে তিন কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করেন। তাদের নাম বিদ্যাসুন্দরী সাহা, জগৎতারা সাহা ও জয়াদূর্গা সাহা। পুত্র সন্তানের জন্য হয়তো এই দম্পতির অন্তরে একটু দীর্ঘশ্বাস লুকানো ছিল।

    বাবু শিবনাথ সাহা অনেক জনহিতকর কাজ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্ত্রীর নামে বাজিতপুরে কালিতারা পাঠশালা, বনগ্রামে পিতার নামে কার্তিক চন্দ্র সাহা লাইব্রেরী, ধুলদিয়ায় শিবনগর, কামালপুরে পূজামন্ডপ এবং ইংরেজী ১৯১৮ সনে গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করেন যা পরবরতীকালে সরারচর শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয় নাম ধারণ করে। তিনি ১৯২০ সনের ২০শে সেপ্টম্বর একটি ট্রাষ্ট গঠন করেন। এই শিক্ষানুরাগী শিবনাথ সাহা বাংলা ১৩৩১ সনের ১৭ই আষাঢ় নিজ বাসভবনে মৃত্যু বরণ করেন। তার বাড়ীর পাশেই নদীর পাড়ে শিবসাহা শ্মশানঘাট। সেখানেই দীর্ঘ উঁচু শিবসাহা মঠ আজো দেখা যায়। 

    পিএম

    গজারিয়ায় সীমানা সংক্রান্ত বিরোধে আহত ৬

    গজারিয়া উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ ৬জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

    রবিবার (১৭ই মার্চ) বিকেল ৪ ঘটিকায় উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন এর নয়ানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

    জানা যায়, বিরোধপূর্ণ জায়গায় জোড়পূর্বক ঘর নির্মাণ করতে যায় নয়ানগর গ্রামের মৃত আক্কেল আলীর ছেলে জমির হোসেন ভূঁইয়া (৬৫)গং। এ সময় প্রতিবেশী শামীম ভূঁইয়াগং বাধা দিতে গেলে তাঁরা হামলার শিকার হন।

    হামলায় আহত কামরুল হাসান রাসেলের (৩৪) পিতা নাসির উদ্দিন বলেন, বিরোধপূর্ণ এই জমিতে ১৪৪ধারা জারি ছিল, মামলার রায় আমাদের পক্ষে ছিল তাই তাদের জোরপূর্বক ঘর নির্মাণে আমরা বাধা প্রদান করায় বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়।

    অন্যান্য আহত'রা হলেন তাসলিমা বেগম(৪০), তাহমিনা আক্তার (৩২), আমেনা খাতুন (৩৩),শাম্মী আক্তার(১৭), মহসিন ভূঁইয়া (৫০)।

    এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো:রাজিব খাঁন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    পিএম

    রাজনৈতিকভাবে হত্যা করা হচ্ছে 'বুড়িগঙ্গা'!

    রাজধানী ঢাকা যে বুড়িগঙ্গাকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল, সে ঢাকাই গিলে খাচ্ছে নদীটাকে। দখল-দূষণে এ নদীর প্রাণ যায় যায় অবস্থা। পাড়ে নেই সবুজের ছিটেফোঁটাও। বিপরীতে গত ৩০ বছরে ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে নিম্নভূমি ও জনবসতি। ৪১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ১৬ কিলোমিটারই ভরাট আর দখলে প্রবাহ শূন্য হয়ে পড়েছে বুড়িগঙ্গা। শুধু বর্ষা ও শরতে বুড়িগঙ্গায় প্রয়োজনীয় মাত্রায় দ্রবীভূত অক্সিজেন থাকে। বাকি চার ঋতুতে বেড়ে যায় নদীর তাপমাত্রা। হাজারীবাগের চামড়া কারখানা যখন ছিল, তখন দোষ পড়তো সেটার ঘাড়ে। কিন্তু চামড়া শিল্প তুলে নেওয়ার পরও বুড়িগঙ্গার একই হাল। 


    নদী রক্ষা কমিশনের পরিদর্শন বলছে, ঢাকার মধ্যে ধামরাই, কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, সাভার ও দোহারে মোট ১১০ কিলোমিটার নদী রয়েছে। এর মধ্যে বুড়িগঙ্গা ৮ কিলোমিটার, তুরাগ ৪২ কিলোমিটার, বালু ২৭, ইছামতি ১১, ধলেশ্বরী ১২, বংশী ১০ কিলোমিটার। ঢাকার আশপাশের নদীগুলোর মধ্যে তারা যে পরিদর্শন করেছে, তাতে ২৩৫টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত হয়েছে। এর বাইরেও অনেক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে যেটার তালিকা তাদের কাছে নেই। অবৈধ স্থাপনার মধ্যে ইছামতিতে ৭৫, ধলেশ্বরীতে ১০০ আর বংশীতে ৬০টি স্থাপনার তালিকা তাদের কাছে রয়েছে। তালিকার পরও কেন উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না সে প্রশ্ন এখনও রয়ে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দখল-দূষণবাজের তালিকায় এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা বেশ প্রভাবশালী। কিন্তু রাষ্ট্রের চেয়ে বড় প্রভাব নিশ্চয়ই তাদের নেই। তবু কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না সেটা চিন্তার বিষয়। 


    জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান হাওলাদার বলেন, কমিশনের শুরুতেই দখলদারদের তালিকা করেছিলাম। কিছু উচ্ছেদও হয়েছিল। মূল সমস্যা হচ্ছে বড় ব্যবসায়ী এবং তাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ। এ কাজে পানিসম্পদ এবং নৌ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে নদী রক্ষা আইন সংশোধন করে সংসদে পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীও চান নদীগুলো রক্ষা পাক। কিন্তু সুবিধাভোগী কিছু মানুষের কারণে দখলমুক্ত হচ্ছে না। আইন না হলে, মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা না পেলে এ কাজ একা কমিশনের পক্ষে করা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান। 

    কেরানীগঞ্জের আগানগর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর শাহ বলছেন, ইদানীং এত পরিমাণ ময়লা হয়েছে যে নদীতে পারাপার হতেও কষ্ট হয়। নদী প্রচণ্ড গন্ধ। দুর্গন্ধ সহ্য করার মতো না।


    একসময়ের স্রোতস্বিনী নদীটিকে একরকম গিলে খাচ্ছে কেবল দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা। সেই সঙ্গে সব জায়গায় আশপাশের কারখানার লাখো-কোটি টন বিষাক্ত বর্জ্য ফেলার চিত্র। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী দখল ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে সাজা নিশ্চিত করলেই বাঁচানো যাবে বুড়িগঙ্গা। এমনটাই দাবি পরিবেশকর্মীদের। 


    দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলার মোহাম্মদ হোসেন বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে অন্য নদ-নদীর পানিও বুড়িগঙ্গার মতোই ভয়াবহ দূষণের কবলে পড়বে। বুড়িগঙ্গা বর্জ্য ফেলার ভাগাড় হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে অন্তত তিন দশক ধরে। দুই তীরে গড়ে ওঠা সব কলকারখানার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীতে। বুড়িগঙ্গার দূষণ এখন আর এ নদীতে সীমাবদ্ধ নেই। তা ছড়িয়ে পড়ছে চাঁদপুর অঞ্চলের পদ্মা-মেঘনার মোহনায়ও। আড়িয়াল খাঁ, গোমতী, ধলেশ্বরী আর শীতলক্ষ্যার বিভিন্ন প্রান্তে অনুভূত হচ্ছে দূষণের থাবা।


    এদিকে তিন দশকে বুড়িগঙ্গার দৈর্ঘ্য, দূষণ, দখল নিয়ে সম্প্রতি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে সাতটি প্রতিষ্ঠান। ওই গবেষণা প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। পাঁচ'শ বছরের ঢাকা গড়ে ওঠে বুড়িগঙ্গা তীর ধরে। কিন্তু সময়ের স্রোতে বুড়িগঙ্গা হারিয়েছে গতিপথ, প্রবাহ। দখল দূষণে তিলে তিলে মেরে ফেলা হচ্ছে এই নদী। ধলেশ্বরীর কেরানীগঞ্জে হযরতপুর থেকে উৎপত্তি হয়ে কোন্ডা ইউনিয়নের জাজিরায় মিশেছে ৪১ কিলোমিটারের বুড়িগঙ্গা। অথচ গেল ত্রিশ বছরে এই উৎস মুখ থেকে ১৬ কিলোমিটারই দখল হয়। এখানে গড়ে উঠেছে শতাধিক শিল্প কারখানা ও ১৭টি ইটভাটা।


    এ নদীতে শুধু বর্ষা ও শরতে দ্রবীভূত অক্সিজেন থাকে ছয় মাত্রায়। বাকি চার ঋতুতে নদীর তাপমাত্রা থাকে ২০ ডিগ্রির ওপর। পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ এক মাত্রায় নেমে আসে। অন্তত একশটি ড্রেন দিয়ে শিল্প ও নাগরিক বর্জ্য পড়ে নদীতে। এই গবেষণা কার্যক্রমের প্রধান গবেষক হিসেবে ছিলেন দেশের নদ-নদী বিষয়ক সংগঠন ‘রিভারাইন পিপল’ এর মহাসচিব শেখ রোকন। 


    তিনি বলেন, প্রথমত আমাদের চেষ্টা ছিল এই নদীর অতীত ও বর্তমান পরিস্থিতি এবং কীভাবে পুনরুদ্ধার সম্ভব। মূলত এ থেকে ১৪টি প্রধান দিক উঠে এসেছে যার মধ্যে কয়েকটি দিক বুড়িগঙ্গা বিষয়ক গবেষণাগুলোতে কখনো উঠে আসেনি। গবেষক শেখ রোকন আরও  বলেন, সরকারি-বেসরকারি নথিপত্র থেকে উইকিপিডিয়াসহ সব জায়গায় বুড়িগঙ্গার উৎপত্তি হিসেবে ‘তুরাগ’ নদীকে বলা হয়ে আসছে, যা মূলত ‘ধলেশ্বরী’ নদী হবে। আবার বুড়িগঙ্গার প্রকৃত দৈর্ঘ্য নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন বলছে ২৯ কিলোমিটার, বিআইডব্লিউটিএ’র হিসেবে ৪৫ কিলোমিটার, এবং পর্যটন করপোরেশনের হিসেবে ২৭ কিলোমিটার। এসবই ভুল! এই গবেষণায় জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রকৃত দৈর্ঘ্য নিরূপণ করা দেখা গেছে কেরানীগঞ্জের হযরতপুরের ধলেশ্বরীর উৎপত্তিস্থল থেকে কোন্ডা ইউনিয়নের জাজিরা পর্যন্ত বুড়িগঙ্গার দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার। গবেষণার ফল থেকে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো এই যে, ১৯৯০ সালে এর প্রায় ১৩ শতাংশ এলাকা জলাশয় বা জলাভূমি ছিল, যা ২০২০ সালে এসে ৭ দশমিক ১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ হারিয়ে যাওয়া জলাভূমিতে এখন দেখা যাচ্ছে শিল্প কারখানা, বৈদুতিক কেন্দ্রসহ সরকারি-বেসরকারি নানা স্থাপনা ও বসতি। বুড়িগঙ্গার দুই তীরঘেঁষে রয়েছে ২৫০টি স্থাপনা, এরমধ্যে ১০৮টি কারখানা, ৪৩টি শিপইয়ার্ড, ২৩টি মিল, ২২টি শিল্প স্থাপনা, ১৯টি গুদাম এবং ১৭টি ইটভাটা। এছাড়া বুড়িগঙ্গা বিষয়ে সরকার সংশ্লিষ্ট ৮টি প্রকল্পে গত দুই দশকে অন্তত ৩ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে, তবে নদীটি পুনরুদ্ধারে এর প্রভাব দৃশ্যমান নয়।


    পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক গবেষক ও লেখক পাভেল পার্থ জানান, আমরা নদীকে নানা দৈর্ঘ্য-প্রস্থে মাপি, কিউসেক দৃষ্টিভঙ্গিতে মাপি, তিস্তার পানিবন্টন নিয়ে ভাবি, ভারত কিংবা বাংলাদেশ আমরা একটি জীবন্ত নদীকে কেটে ফেলতে চাই, কত কিউসেক পানি আমরা পেতে পারি। বনের গাছকে ঘনফুটে মাপি। অথচ এই নদী, প্রাণ- প্রকৃতি হলো এক একটি জীবন। সবার আগে সরকার ও রাষ্ট্রের এসব দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। নদীতে, বনে-জঙ্গলে কত শতাংশ জায়গা আছে এসব হিসেব-নিকেশের দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়ানোটা জরুরী এবং আমি মনে করি এই গবেষণা আমাদের এভাবে ভাবতে সাহায্য করবে।


    রাজনৈতিকভাবে হত্যা করা হচ্ছে বুড়িগঙ্গাকে। রাজধানীর শ্বাসনালী পুনরুদ্ধারে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে বলে আহ্বান জানিয়ে পরিবেশবিদ ও বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, উন্নয়নের নামে দেশের নদ-নদী ও পরিবেশ ধ্বংস করা চলবে না। ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গাকে পুনরুদ্ধারের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।


    বুড়িগঙ্গা নিরুদ্ধ নদী পুনরুদ্ধার সুপারিশ তুলে ধরে ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলম জানান, বুড়িগঙ্গার ভরাট, দখল, শুকনো ও হারিয়ে যাওয়া অংশ দখল উচ্ছেদ ও খননের মাধ্যমে নদীর প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে; প্রবহমান অংশের তীরবর্তী দখল উচ্ছেদের পর তা স্থায়ী করতে নজরদারি ও তদারকি প্রয়োজন; নাগরিক ও শিল্পবর্জ্যের উৎসগুলো চিহ্নিত করার মাধ্যমে হয় বন্ধ, না হয় ইটিপি স্থাপন করতে হবে এবং জ্ঞান ও তথ্যভিত্তিক নদী আন্দোলন, সাংবাদিকতা ও প্রচারণা প্রয়োজন। এ ছাড়া বুড়িগঙ্গাসংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অনিয়ম ও সমন্বয়হীনতা দূর করতে হবে; দক্ষতা, আন্তরিকতা, ও জবাবদিহিতা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে বন্ধ খাল জীবিত করে সিএস ম্যাপে ভূমি উদ্ধার করতে হবে। পাড় থেকে সরাতে হবে কলকারখানা।


    স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, স্বাধীনতার আগে দূষণের কেন্দ্র ছিল নারায়ণগঞ্জ। এরপর হাজারীবাগের ট্যানারি। এখন ট্যানারি সাভারে গেছে। দূষণের কেন্দ্রও বদলেছে। তবে মাথায় রাখতে হবে দূষণের মূল কারণ কারখানা। কারখানা বন্ধ করতে বলছি না। পরিশোধন প্ল্যান্ট করার বিষয়টিতে জোর দিচ্ছি। আমাদের গবেষণায় বুড়িগঙ্গার পানিতে ক্যাডমিয়াম, সালফাইড ও অ্যামোনিয়ার উপস্থিতি অনেক বেশি পেয়েছি। তিনি আরও জানান, আগে বর্ষায় দূষণের মাত্রা কম হতো। এ বছর এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত জরিপে দেখা গেছে মাত্রা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে মাত্রা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছি।

    পিএম

    কালিয়াকৈরের সন্তান সাবেক সচিব ইন্তেকাল করেছেন

    কালিয়াকৈর উপজেলার বহুল পরিচিত কৃতি সন্তান সাবেক সচিব শফিউদ্দিন বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন।


    সোমবার (১৮ মার্চ) ভোর রাত আনুমানিক ৪টার সময় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। 


    তিনি ২ ছেলে ৩ মেয়ে ও ৮ জন নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সোমবার বাদ জোহর ঢাকাস্থ বাসভবনে জানাজা হয়ে মরহুমের নিজ গ্রামের বাড়ি কালিয়াকৈর উপজেলার ঢোল সমুদ্র স্কুল মাঠে বাদ আসর দ্বিতীয় জানাযা শেষে মরহুমকে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। তার মৃত্যুতে এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ও উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন গুলো গভীর শোক প্রকাশ করেছে।


    তিনি বাংলাদেশ সরকারের ভূমি ও ধর্ম  বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ছিলেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বেশ সুনাম করিয়েছে।

    এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময়ে এলাকায় নানামুখী সামাজিক  উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করেন। 

    এআই
    পিরোজপুরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২

    পিরোজপুরের পাড়েরহাটে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২জন। 


    সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 



    নিহতরা হলেন- মাসুম বিল্লাহ (৫০) ও মো. হাসিব (৩০)। এই ঘটনায় আহতরা হলেন- নুরু (৬০) ও আরিফ (৩০)। 


    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের মল্লিকবাড়ির স্ট্যান্ডের সড়কে পিরোজপুর থেকে একটি মোটরসাইকেল পাড়েরহাটের দিকে যাচ্ছিল। অন্যটি ইন্দুরকানী থেকে পিরোজপুরে আসছিল। মল্লিকবাড়ি এলাকায় আসলে একজন পথচারীকে সাইড দিতে গিয়ে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে স্থানীয়রা দুই মোটরসাইকেলের ৪ জন আরোহীকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার দুই জনকে মৃত ঘোষণা করেন।


    পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. আসিকুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    এআই

    পিরোজপুরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৩ গরু লুট

    পিরোজপুরে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৩টি গরু লুট করেছে ডাকাতদল।  


    রবিবার (১৭ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা গ্রামের রিয়াজ হাওলাদারের খামারের ১৩টি গরু লুট হয়।


    ভুক্তভোগী রিয়াজ জানান, ১৪-১৫ জনের একটি ডাকাত দল ভোরে তার বাড়ির গোয়াল ঘরে গরু লুট করতে আসে। এসময় শব্দ পেয়ে তিনি ঘর থেকে বের হলে ডাকাত দল তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গোয়াল ঘরে থাকা বিদেশি জাতের ১৩টি গরু লুট করে ট্রাকে করে নিয়ে যায়।গরুগুলোর মধ্যে সাতটি গরু প্রায় দুই মণ করে দুধ দিত। আর বাকি ছয়টি ষাঁড় গরু ও বকনা বাছুর। গরুগুলোর আনুমানিক দাম প্রায় ২২ লাখ টাকা।


    ওই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. সরদার কামরুজ্জামান চান বলেন, খবর পেয়ে রিয়াজের খামারে গিয়েছিলাম। গরুগুলো বিদেশি জাতের। ওই গরুই ছিল ওই খামারির একমাত্র আয়ের উৎস। 


    পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান বলেন, এব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে খবর শুনে বাগেরহাটের কচুয়া ও সদর থানার উদ্যোগে লুট হওয়া গরু উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

    এআই

    পিরোজপুরে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় শিশু দিবসে পিরোজপুরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, পৌরসভাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। 


    রবিবার (১৭ মার্চ) সকাল ১০টায় শহরের সি অফিস চত্তরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান এর নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি কানাই লাল বিশ্বাস নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান এর নেতৃত্বে পৌরসভাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।


    পরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জীবনীর উপর বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতার পুরুস্কার বিতরন করা হয়। 

    এআই 

    কাউখালীতে জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

    পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে চিত্রাঙ্গন ও রচনা প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়েছে।

    শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ প্রতিযোগিতার  উদ্বোধন করেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা। 

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মহসিন কবির ,সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এডভোকেট কমল কৃষ্ণ মুখার্জি, উপ প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান ফকির, কাউখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াদ মাহমুদ সিকদার প্রমুখ। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।

    পিএম

    নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে বরগুনায় ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

    বরগুনার আমতলীতে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সবজি, মাংস ও গ্যাস বিক্রি করায় চার ব্যবসায়ীকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

    শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে পরে আমতলী উপজেলার চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা আদায় করেন বরগুনার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিপ্তরের সহকারী পরিচালক বিপুল বিশ্বাস। এ সময় উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর সহ থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের সময় ভোক্তাদেরকে সচেতন করা হয়।

    বরগুনা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিপুল বিশ্বাস বলেন, আমতলীতে ২০ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাজার তদারকির অভিযানকালে  নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে সবজি, মাংস ও গ্যাস বিক্রি করায় চার প্রতিষ্ঠানকে নয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে আমাদের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেউ বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রি করলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

    এমআর

    নেত্রকোনায় অবৈধ ৩৪০ বস্তা চিনি জব্দ, আটক ১

    নেত্রকোনার দুর্গাপুরে একটি কাভার্ডভ্যানসহ ভারতীয় অবৈধ ৩৪০ বস্তা চিনিসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। 


    রবিবার (১৭ মার্চ) রাতে উপজেলার মধ্য বাজারে এসব মালামাল জব্দ করা হয়। মালামাল জব্দসহ ও জুবায়েদ (১৬) নামের একজনকে আটকের বিষয়টি সোমবার সকালে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর থানার তদন্ত ওসি মো. মাহফুজ। 


    আটককৃত ব্যক্তি জুবায়েদ হোসেন কাভার্ডভ্যানের হেল্পার। কাভার্ডভ্যান হেল্পার জুবায়েদ নোয়াখালী জেলার কামাল উদ্দিনের ছেলে। 


    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত ১১টার দিকে একটি কাভার্ডভ্যান দুর্গাপুর থেকে ভারতীয় অবৈধ চিনি নিয়ে যাচ্ছিল। দুর্গাপুর থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে ৩৪০ বস্তা চিনি পায়। পরে পুলিশ সব মালামাল গাড়িসহ জব্দ করে। এ সময় কাভার্ডভ্যানের সাথে থাকা হেল্পার জুবায়েদ কে আটক করতে পারলেও চালক পালিয়ে যায়।


    দুর্গাপুর থানার তদন্ত ওসি মো. মাহফুজ সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ গোপন কাভার্ডভ্যানসহ ৩৪০ বস্তা অবৈধ চিনি জব্দ করে। এসময় ভ্যানের একজন হেল্পারকে আটক করা হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    এআই 
    জামালপুরে এক বউয়ের দুই স্বামী!

    জামালপুরের বকশীগঞ্জে এক বউ নিয়ে দুই স্বামী টানাটানি শুরু করেছে। দুই জনই দাবি করছে তারা বৈধ স্বামী। 


    রবিবার (১৭ মার্চ) এ নিয়ে ধ্বস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটেছে। 


    গ্রাম্য মাতাব্বরদের সামনে সেই আলোচিত মহিলা কথিত ২য় স্বামী দাবিদার শামীম তার নিজ হেফাজতে নিয়ে যায়। তবে গ্রাম্য মাতাব্বরদের সামনে নিজ হেফাজতে নেওয়ার পরই শামীম ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। তার বাড়ী জনশূন্য।


    জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার নান্দাইল সদর ইউনিয়নের ভাটিচারিয়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে হৃদয় মিয়া দেড় বছর আগে ঈশ্বরগঞ্জ থানার সরিষা ইউনিয়নের সরিষা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে ছালমা আক্তার মীম (২৫) কে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক অভিভাকদের উপস্থিতিতে বিয়ে করেন। দেড় বছরের সংসার জীবন তাদের শান্তিতেই চলছিলো। ৫ মার্চ ছালমা আক্তার মীম স্বামীর বাড়ী থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর থেকেই স্বামী হৃদয় মিয়া স্ত্রী ছালমা আক্তার মীমকে খোঁজাখোজিঁ করতে থাকে। 


    ১৫ মার্চ ছালমা আক্তার মীম তার স্বামী হৃদয় মিয়ার মোবাইলে কল দিয়ে জানায় সে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের আওয়ালপাড়া গ্রামে সাহা মিয়ার ছেলে শামীম মিয়ার কাছে অবরুদ্ধ আছে। ঘটনার খবর পেয়ে ছালমা আক্তার মীম এর স্বামী হৃদয় মিয়া তার স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য  ১৭ মার্চ বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের আওয়ালপাড়া গ্রামে ছুটে যায়। সেই গ্রামের সাহা মিয়ার ছেলে শামীম মিয়ার বাড়ী থেকে ছালমা আক্তার মীমকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ শহরে নিয়ে আসেন। 


    পরে এই নিয়ে  বিপুল সংখ্যক লোকের উপস্থিতিতে একটি সালিশ বসে। সালিশে ছালমা আক্তার মীম সে তার স্বামী হৃদয় মিয়ার সাথে চলে যাওয়ার ইচ্ছা পোষন করেন। ওই সময় শামীম মিয়া উপস্থিত লোকজনকে একটি কাবিননামা দেখিয়ে জানায় ছালমা আক্তার মীম তার পূর্বের স্বামী হৃদয় মিয়াকে তালাক দিয়েছেন। তালাকের ৩ দিন পর ছালমা আক্তার মীমকে শামীম মিয়া বিয়ে করেছেন। তাই শামীম মিয়া দাবি করেন  ছালমা আক্তার মীম তার বিবাহিত স্ত্রী। তবে ছালমা আক্তার মীম কর্তৃক দেয় তালাক নামার কোন কাগজ দেখাতে পারেনি ছালমা আক্তার মীমের ২য় স্বামী দাবিদার শামীম মিয়া। 


    বিচার শালিসর এক পর্যায়ে শামীম মিয়া উপস্থিত বিপুল সংখ্যক লোকজনের সামনেই প্রকাশ্যে ছালমা আক্তার মীম ও তার স্বামী হৃদয় মিয়াকে মারপিটের হুমকি দেয়। পরে উপস্থিত মাতাব্বরগনের সামনেই সালিশ থেকে ছালমা আক্তার মীমকে নিজ বাড়ী আওয়ালপাড়া গ্রামে নিয়ে যায় শামীম মিয়া। 


    ঘটনার খবর পেয়ে গণমাধ্যমের লোকজন শামীম মিয়ার বাড়ীতে গেলে গ্রামের উপস্থিত লোকজন জানায় শামীম মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। বাড়ী ঘর জনশূন্য। ছালমা আক্তার মীম কোথায় কী অবস্থায় আছে কেউ জানেনা। 


    এব্যাপারে ছালাম আক্তার মীমের স্বামী হৃদয় মিয়া জানান, নান্দাইল থেকে বকশীগঞ্জ উপজেলার আওয়ালপাড়া গ্রামে যাওয়ার পর আমি স্ত্রীর সন্ধ্যান পাই এবং উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে আসার পর কিছু লোকজন আমাদের গতিরোধ করে। পরে সালিশ বসিয়ে সালিশে উপস্থিত লোকজন আমার স্ত্রী ছালমা আক্তার মীমকে শামীম মিয়ার হাতে তুলে দেন। পরে প্রকাশ্যে শামীম মিয়া উপস্থিত বিপুল সংখ্যক লোকের সামনেই আমার স্ত্রী ছালমা আক্তার মীমকে নিয়ে নিজ বাড়ীতে চলে যায়। এখন আমার স্ত্রী ছালমা আক্তার মীম কোথায় কী অবস্থায় আছে তা আমি জানিনা। তারা যে কোন সময় আমার স্ত্রী মীমকে মেরে ফেলতে পারে। আমি আমার স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য আইনের আশ্রয় নিবো। 


    এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান জানান, বিষয়টি আমি ভালো কিছু জানিনা। কেউ আমার কাছে বিচার নিয়ে আসলে আমি ন্যায় বিচার করতে বাধ্য। যদি আইনে আমাকে কভার না করে তাহলে থানা পুলিশের মাধ্যমে আইনগত সহায়তা নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করবো।

    এআই 

    নেত্রকোনায় দুর্গাপুরে ভারতীয় ১০৬ ক্যারেট আনারসহ আটক ১

    নেত্রকোনার দুর্গাপুর সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আনা ভারতীয় ১০৬ ক্যারেট আনার ফলসহ চোরাকারবারির এক সদ্যসকে আটক করেছে পুলিশ। 


    রবিবার (১৭ মার্চ) রাত দশটার দিকে দুর্গাপুর পৌর শহরের মধ্য বাজারের পান মহল এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে চোরাই পণ্য আনারসহ একজনকে আটক করা হয়। তবে আটকৃত চোরাকারবারির নাম পরিচয় জানায়নি দুর্গাপুর থানার ওসি।

     

    গোয়েন্দা এক সূত্রে জানা গেছে, চোরাই এই পণ্যের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম রকিবুল হাসান এই অভিযান পরিচালনা করেছেন। 


    তবে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে পান মহল সংলগ্ন একটি গলির ফল আড়তের সামনে সারি সারি ক্যারেট পড়ে থাকায় সন্দেহ হলে এর উপরের প্লাস্টিক কাগজ সরালে ক্যাডেট ভর্তি আনার ফল পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। 


    এক পর্যায়ে আটককৃত প্রশাসনের কাছে ভারত থেকে চোরাই পথে এই ফল আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

    এআই 

    ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

    ময়মনসিংহের ত্রিশালে বালুবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী ভ্যানগাড়ীর উপর উল্টে পরে ভ্যানগাড়ীর চালক আলাল উদ্দিন(৫০) নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

    নিহত আলাল উদ্দিন ত্রিশাল উপজেলার কাঁঠাল ইউনিয়নের হদ্দেরভিটা গ্রামের ফকির বাড়ির শমশের আলীর ছেলে।

    আহতরা হলেন, একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রেজাউল করিম, একই ইউনিয়নের বালিয়ারপাড় গ্রামের ফজিলা খাতুন ও ত্রিশাল উপজেলার দরিল্লা গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে আকবর আলী।

    এ তথ্য গুলো নিশ্চিত করে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমাইয়া আক্তার লিজা বলেন, আহত দু'জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

    স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও ত্রিশাল ফায়ারসার্ভিস সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ইভা ফিলিং স্টেশনের সামনে দূর্ঘটনাটি ঘটে। এতে বালুবাহী ট্রাক উল্টে মহাসড়কের উপর পড়ায় মহাসড়কের একপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ত্রিশাল থানা পুলিশের চেষ্টায় প্রায় দুই ঘন্টা পর মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

    ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কামাল হোসেন বলেন, নিহত আলাল উদ্দিনের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঘাতক ট্রাক জব্দ করা গেলেও চালক পলাতক রয়েছে।

    এফএস

    জামালপুরে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৪তম জন্মদিন উপলক্ষে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জামালপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু। নিম্ন আয়ের মানুষদের ন্যায্যমূল্যে পণ্যদ্রব্য বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। 


    রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে শহরের ফৌজদারি মোড়ে ন্যায্যমূল্যে পণ্যদ্রব্য বিক্রির শুভ উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য মো: আবুল কালাম আজাদ। 


    এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মো: শফিউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি  ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু।


    চাল, ডাল, আলু, পেয়াজ, ডালসহ শাকসবজি, মাছ ও মাংসও পাওয়া যাবে ন্যায্যমূল্যে। সরকার নির্ধারিত দামেই ক্রয় করতে পারবেন এসব জিনিস ক্রেতারা। ন্যায্যমূল্যে এই পণ্যবিক্রয় চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত। 


    ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় করতে পেরে নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে এক ধরণের স্বস্তি বিরাজ করছে। পাশাপাশি প্রশংসায় ভাসছেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু।

    এআই 

    ফুলবাড়ীতে জেলেদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

    কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সাধারণ জেলেদের অজান্তে মৎস্যজীবী সমিতি নিবন্ধন, সরকারী জলাশয় ইজারা এবং ওই সমিতির সভাপতি সম্পাদক কর্তৃক ইজারার টাকা পরিশোধ না করায় সভাপতি সম্পাদকসহ ২৬ জেলের নামে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সভাপতি ও সম্পাদক বাঁধ দিয়ে ২৪ টি  জেলে পরিবারের সদস্য সহ প্রায় দুই শতাধিক  জেলে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। 

    রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুর ১২ টায় ফুলবাড়ী টু নাগেশ্বরী সড়কের উপজেলা পরিষদ মুল ফটকের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

    ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ক্ষীরোদ চন্দ্র বিশ্বাস, লক্ষী রানী বিশ্বাস, নয়ন বালা দেবী বিশ্বাস ও কামাক্ষা চন্দ্র বিশ্বাস প্রমূখ । পরে মানববন্ধনকারীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে। লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ কুটিচন্দ্র খানা গ্রামের ২৪ জন জেলের অজান্তে ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে ওই গ্রামের ধরনী চন্দ্র বিশ্বাস ন্যাঙ্গা (সভাপতি) এবং কবিরমামুদ গ্রামের মজিদুল হক মফি (সাধারণ সম্পাদক) ফুলবাড়ী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের নিবন্ধন করেন। এরপর ফুলবাড়ী উপজেলার সরকারী জলাশয় 'ফুলসাগর লেক'  (বাংলা ১৪২৭ থেকে ২৪২৯) তিন বছরের জন্য ৪৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায় ইজারা নেন। কিন্তু ইজারা মেয়াদ শেষ হলেও ইজারা পাওনা বাবদ প্রাপ্য টাকা সরকারী কোষাগারে জমা না দিয়ে কালক্ষেপণ করেন। 

    এদিকে দীর্ঘ সময়েও সরকারী বকেয়া পাওনা পরিশোধ না হওয়ায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জেনারেল সার্টিফিকেট শাখা সকল সদস্যের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করে ২ মার্চ নোটিশ প্রদান করে৷ নোটিশে জনপ্রতি ১ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধের সময়সীমা বেধে দেয়া হয়। নোটিশ পেয়ে সাধারণ জেলেরা জানতে পারেন যে মৎস্যজীবী সমিতিতে তারাও যুক্ত আছেন এবং বকেয়া টাকার দায় তাদেরকেই বহন করতে হবে। 

    এ ঘটনায় সাধারণ জেলেরা সভাপতি ও সম্পাদকের সাথে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে বিচারের দাবীতে মানববন্ধন সমাবেশ ও বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেন। 

    মৎস্যজীবী ক্ষীরোদ চন্দ্র বিশ্বাস, লক্ষী রানী বিশ্বাস, নয়ন বালা দেবী বিশ্বাস ও কামাক্ষা বিশ্বাস জানান, সাহায্য দেয়ার কথা বলে আমাদের ছবি ও ভোটার কার্ড নিয়ে প্রতারক ন্যাঙ্গা ও মফি সমিতি গঠন করে জলাশয় লিজ নিয়েছে।  আমরা কিছুই জানিনা। তারা তিন বছর জলাশয়ের মাছ বিক্রি করে সমস্ত টাকা আত্নসাত করেছে। আর ইজারার টাকা পরিশোধ না করায় আমাদের নামে মামলা হয়েছে। আমরা এ প্রতারণার উপযুক্ত বিচার চাই।

    ফুলবাড়ী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সাধারণ সস্পাদক মজিদুল হক মফি জানান, সঠিক সময়ে ইজারারের টাকা পরিশোধ না করায় আমিসহ ২৬ জন জেলের নামে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলার বিষয়ে আগামী ৫ এপ্রিল সার্টিফিকেট শাখায় গিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

    ফুলবাড়ী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি ধরণী কান্ত বিশ্বাস জানান, মোটা ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। একটি প্রভাবশালী মহলের চাপে সময় মতো টাকা পরিশোধ করতে পারিনি। আমি নামমাত্র সভাপতি ছিলাম। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে হবে। জানিনা আমাদের কি হবে।  

    এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)  সিব্বির আহমেদ জানান, ইজারা মুল্য পরিশোধ না করায় নিরীহ জেলেদের নামে সার্টিফিকেট মামলা দায়েরের ব্যাপারে একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। এ ব্যাপারে আমার তেমন করনীয় কিছুই নাই। কারন এটি আদালতের বিষয়। তারপরও জেলা প্রশাসক স্যার জানতে চাইলে তাকে প্রকৃত ঘটনা গুলো জানানো হবে।

    এমআর

    পীরগঞ্জে ‘জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: স্পীকার

    তথ্য প্রযুক্তিতে তরুন-তরুনীদের দক্ষতা বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় নির্মিত হচ্ছে ‘জয় SET Center’ বা জয় স্মার্ট সার্ভিস এন্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার।

    রোববার (১৭ মার্চ ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মদিনে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি জয় স্মার্ট সার্ভিস এন্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টারের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।

    এসময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি উপস্থিত ছিলেন।

    স্পীকার বলেন, পীরগঞ্জে ‘জয় সেট সেন্টার’ স্থাপিত হচ্ছে। এ সেন্টার থেকে তরুণ-তরুনীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে বাড়বে কর্মসংস্থান।

    এসময় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সারাদেশে মোট ৫৫৫টি “জয় SET Center” স্থাপিত হচ্ছে। এতে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থী-তরুন-যুবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে এবং তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী হবে। 

    জয় SET Center”-এ ডিজিটাল ল্যাব, প্রশিক্ষণ রুম, স্টার্ট-আপ জোন, প্লাগ এন্ড প্লে জোনসহ জেলা ও উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তাদের অফিস অবকাঠামো সুবিধা থাকবে। স্টার্ট-আপ জোনে ডিজিটাল ডিভাইস ও কানেক্টিভিটি সম্বলিত ওয়ার্কিং ফ্যাসিলিটি থাকবে। 

    উপজেলা পর্যায়ে একত্রে ১০ জন উদ্যোক্তা বা ফ্রিল্যান্সার ওয়ার্কিং ফ্যাসিলিটি পাবেন এবং জেলা পর্যায়ে একত্রে ১৫ জন ওয়ার্কিং সুবিধা পাবেন। এছাড়া প্রতিটি প্লাগ এন্ড প্লে জোন থেকে বছরে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ডিজিটাল সেবা পাবে। উপজেলা পর্যায়ে তরুণ-তরুণীরা প্রশিক্ষন এবং ওয়ার্কিং স্পেস পেলে নতুন উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সার তৈরি হবে এবং আত্মকর্মসংস্থানের বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই তরুনরা “জয় SET Center” এ ফ্রিল্যান্সিং করে ডলারে ইনকাম করতে পারবেন। একইসাথে, মাঠ পর্যায়ে ডিজিটাল ও উদ্ভাবনী সেবাসমূহ প্রদান আরও সহজ হবে এবং গুনগত মান বৃদ্ধি পাবে।

    অনুষ্ঠানে রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানের সভাপতিত্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো: মোস্তফা কামাল, ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক তানজিনা ইসলামসহ প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    এমআর

    পঞ্চগড়ে ২৭ কেজি গাঁজাসহ দম্পতি আটক

    পঞ্চগড়ে  ২৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ।


    রবিবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রঞ্জু আহমেদের নেতৃত্বে পৌর সদরের করতোয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশের একটি দল। এসময় ২৭ কেজি গাঁজাসহ দুইজনকে আটক করা হয়।


    আটককৃতরা হলেন- ঠাকুরগাঁও জেলার ভুল্লি থানার লাউথুতি গ্রামের মোঃ মোজ্জামেল হক (৪৫) এবং তার স্ত্রী মোছাঃ রওশনআরা বেগম (৪০)।


    মাদক ব্যবসায়ী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রঞ্জু আহমেদ বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় সদর থানায় ২০১৮ সালের মাদক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

    এআই 

    মসজিদের সীমানা প্রাচীর নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১০

    রংপুরের হারাগাছে মসজিদের সীমানা প্রাচীর নিয়ে দু'গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় মসজিদের টিনের বেড়া, আসবাবপত্র ও বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলে হামলাকারীরা। এঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।


    শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে মসজিদের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসহ একই এলাকার রফিকুল ও শরিফুল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় হেলমেট পরে রফিকুল গ্রুপের কয়েকজন যুবককেও হামলায় অংশগ্রহণ করতে দেখা য়ায়। 


    স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই এই মসজিদ এবং মসজিদ সংলগ্ন রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলছিল ওই দু'গ্রুপের মধ্যে।


    হারাগাছ মেনহাজের পুল এলাকার বাসিন্দা মাইদুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে চলাচলের রাস্তার পাশে একটি দোকান নির্মাণ করে রফিকুলের ছোট ভাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদের জমিদাতা ও সভাপতি শরিফুল সীমানা নির্ধারণের জন্য খুঁটি গাড়তে গেলে রফিকুল গ্রুপ হামলা চালায় শরিফুল ও তার ছেলেদের ওপর। এসময় মসজিদ ভাঙাসহ কেটে ফেলা হয় বেশ কয়েকটি গাছ। মসজিদ ভাঙচুরের বিচার চান এলাকাবাসী।


    ওই মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল হাই বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই মসজিদ সংলগ্ন ওই রাস্তাটি নিয়ে বিরোধিতা করে আসছিল রফিকুল ও তার ভাইয়েরা। এরইমধ্যে মসজিদে নামাজ পড়াতে তাকে নিষেধও করা হয়েছে। রমজান মাসে রফিকুল ও তার ভাইদের এমন অমানবিক নৃশংস ঘটনায় মর্মাহত বলেও জানান তিনি।


    এঘটনায় রফিকুল গ্রুপের বক্তব্য জানতে কাউকে পাওয়া না গেলেও তার বাবা আব্দুস সামদ জানান, মসজিদের কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে তাদের নিজের জমির ওপর চলাচলের রাস্তা সংকীর্ণ করে বিরোধে জড়ায় শরিফুল। প্রতিবাদ করলে আজ তার ছেলেদের ওপর হামলা চালায় তারা। ন্যায় বিচার চান তিনি।


    এ ঘটনায় দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আর মসজিদ কমিটির গ্রুপের শাহ আলম বাদী হয়ে রফিকুল ইসলামসহ ১৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলায় এখন পর্যন্ত  রফিকুলসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান হারাগাছ থানার তদন্ত ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী। এ ঘটনায় বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

    এআই

    নীলফামারীতে দুই প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা

    নীলফামারীর সৈয়দপুরে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে দুই প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। 

    শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে এই জরিমানা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আহজারুল ইসলাম। এসময় সহযোগিতা করেন র‌্যাব-১৩। 

    ভোক্তা অধিকার সূত্রে জানা যায়, শহরের বিসমিল্লাহ ফল ভান্ডার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মূল্য তালিকা না থাকায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে খাবারে রং মেশানোর দায়ে একটি হোটেলকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক আহজারুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযান পরিচালনা করে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। আগামীতেও অভিযান অব্যাহত থাকবে’

    এমআর

    প্রবাসী নারীর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবি, প্রতারক আটক

    এক প্রবাসী নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তার অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র‍্যাব। রোববার (১৭ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে নাটোরের বড়াইগ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।


    আটক নবীন তালুকদার (৩৭) নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মাধাইমুড়ি গ্রামের আবুল বাশার তালুকদারের ছেলে।


    সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১২, সিপিসি-২, পাবনার কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান।


    প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাবনার বাসিন্দা এক প্রবাসী নারীর সাথে প্রতারক নবীন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সু কৌশলে ও ভালবাসার প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে অডিও/ভিডিও কলে কথা বলেন। এক পর্যায়ে তার কাছ থেকে বিভিন্ন ছবি সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন সময়ে মোবাইলে কথা বলার ভিডিও স্ক্রিনশট দিয়ে রাখেন। 


    কিছুদিন পর এ সকল ছবি ও ভিডিও পুঁজি করে ওই প্রবাসী নারীর কাছে টাকা দাবী করেন নবীন তালুকদার। ভিকটিম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে উক্ত প্রতারক ভিকটিমের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে তার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করবে বলে ভয় এবং হুমকি দেন। 


    কোনো কুল কিনারা না পেয়ে প্রবাসী নারী  বাধ্য হয়ে নবীন তালুকদারকে বিভিন্ন সময়ে ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা প্রদান করেন। পরে ওই ভুক্তভোগী নারী পাবনা র‍্যাবের কাছে অভিযোগ দেন। তার দেয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতারক নবীনকে তার বাড়ি এলাকা থেকে আটক করা হয়।


    এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আটক নবীনকে বড়াইগ্রাম থানায় হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র‍্যাব কমান্ডার।

    বগুড়ায় ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

    বগুড়ার শিবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আবির (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে শিবগঞ্জ পৌরসভার বানাইল গ্রামে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।


    নিহত আবির রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা  শাহেন শাহ্’র ছেলে ও স্বপ্নসোপান কে.জি স্কুলের ২য় শ্রেণির ছাত্র বলে জানা যায়।


    সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শিবগঞ্জ থানা সংলগ্ন রাঙ্গামাটিয়া সড়কে একটি ট্রাক যাহার নং বগুড়া ড-১১-১১০০ পেছনের দিকে আসার সময় এবং ওই শিশুটি বাইসাইকেল নিয়ে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় চালকের অসতর্কতার কারণে ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।  


    এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় শিশুর মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

    নাটোরে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ, আসামি রুবেল গ্রেফতার

    নাটোরের গুরুদাসপুরে ধর্ষণ করে ও মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করা মামলার আসামি রুবেল মাল’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৫।  


    সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যেমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সিপিসি-২, নাটোর- র‌্যাব-৫।


    গ্রেফতারকৃত রুবেল মাল উপজেলার দেবোত্তার গরিলা এলাকার ফরিদুল ইসলাম মালের ছেলে।


    র‌্যাব জানায়, রুবেল মাল ভুক্তভোগী সম্পর্কে দেবর ও প্রতিবেশী হয়। এর সুবাদে রুবেল মাল প্রেমের প্রস্তারসহ কু-প্রস্তাব দিলে ফিরিয়ে দেয় ভুক্তভোগী। কিন্তু চলতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগীর বাড়ীতে পোষা গরু-ছাগল দেখতে গেলে সুকৌশলে রুবেল ঘরের ভিতরে ঢুকে লুকিয়ে থাকে। পরে রাত সোয়া ১০টার দিকে রুবেল শয়ন ঘরের চৌকির উপর উঠে ভুক্তভোগীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং সুকৌশলে আসামি তার মোবাইল ফোনে ধর্ষনের ও নগ্ন ছবিসহ যৌন উত্তেজনাকর ভিডিও ধারন করে। পরবর্তীতে আসামি মোবাইল ফোনে ধারনকৃত ভিডিও চিত্র ভুক্তভোগীকে দেখিয়ে কু-প্রস্তাব দেয় এবং উক্ত ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়ার হুমকী দেয়। 


    এঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানায় ১৫ মার্চ একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিকে গ্রেফতারের জন্য নাটোর, র‌্যাব-৫ বরাবর অধিযাচনপত্র প্রদান করেন। তৎপ্রেক্ষিতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধিসহ ছায়াতদন্ত শুরু করে।

    পরে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িত আসামি রুবেল মাল এর অবস্থান সনাক্ত করে গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে একই উপজেলার বিন্দা বনপুর গ্রাম থেকে আসামি রুবেলকে গ্রেফতার করে। আজ সকালে গুরুদাসপুর থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব।

    এআই 
    নওগাঁ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু

    নওগাঁ জেলা কারাগারে সামিরুল সরদার (২২) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।  


    সোমবার (১৮ মার্চ) ভোরে তার মৃত্যু হয়। সামিরুল সরদার নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার তেমুখ সাপুরাপাড়া গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে। 


    নওগাঁর জেল সুপার মো: নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারিতে সান্তাহার রেলওয়ে থানার করা মাদক মামলায় কারাগারে আসে সামিরুল সরদার। এরপর আজ ভোরে হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করলে নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরেই তার মৃত্যু হয়। 

     

    জেল সুপার আরও জানান, হাজতির মৃতদেহ বর্তমানে হাসপাতালেই রয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

    এআই 

    পাবনায় চরমপন্থী দলের সাবেক সদস্যকে গুলি করে হত্যা

    পাবনা সদর উপজেলাযর গয়েশপুরে চরমপন্থী দলের সাবেক এক সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। 


    রবিবার (১৭ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের মানিকনগর বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। 


    নিহত আব্দুর রাজ্জাক শেখ (৩৮) গয়েশপুর ইউনিয়নের হরিনারায়ণপুর গ্রামের মৃত আজিজুল শেখের ছেলে।


    তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির সদস্য ছিলেন। ২০১৯ সালে পাবনা জেলা স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অন্যান্য চরমপন্থীর সাথে আত্মসমর্পণ করেছিলেন তিনি। 


    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় ইফতার করে তারাবিহ নামাজ পর চা খাওয়ার জন্য মানিকনগর বাজারে যান আব্দুর রাজ্জাক। এরপর ওখানকার একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন তিনি। এমন সময় দুটি মোটরসাইকেল যোগে ৫/৬ জন মুখোশধারী যুবক এসে তাকে পরপর তিনটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এসময় গুরুতর আহতাবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।


    স্থানীয়রা আরও জানান, আব্দুর রাজ্জাক চরমপন্থী দলের সদস্য ছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করছিলেন। হয়ত পুর্ব বিরোধের জেরে তাকে এমনভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।


    বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, নিহত আব্দুর রাজ্জাক নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির সদস্য ছিলেন। ২০১৯ সালে পাবনা জেলা স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। ঘটনার পরপরই সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 


    মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে সেটি এখনো জানা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। 

    এআই 

    সিলেটে পিকআপ-লেগুনার সংঘর্ষে দুই শিশুসহ নিহত ৬

    সিলেট-তামাবিল সড়কে পিকআপ ও লেগুনা গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই শিশুসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলায় সিলেট পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর সামনে তামাবিল সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর দুইজন মারা যান।


    নিহতরা হলেন- জৈন্তাপুরের চিকনাগুল এলাকার যাত্রগোল (ঠাকুরের মাটি) গ্রামের সন্তোষ পাত্রের স্ত্রী মঙ্গলি পাত্র (৫৫), একই গ্রামের নন্ত পাত্রের স্ত্রী সাবিত্রি পাত্র (৩৫), কুষ পাত্রের স্ত্রী সুচিতা পাত্র (৩৫) ও তার ৬ মাস বয়েসি মেয়েসন্তান বিজলী, সুভেন্দ্র পাত্রের মেয়ে ঋতু পাত্র (৮) ও মৃত নিপেন্ত্র পাত্রের স্ত্রী শ্যামলা পাত্র (৫৫)। 


    আহতরা হলেন- সুভেন্দ্র পাত্রের স্ত্রী প্রণতি পাত্র (৩৫), কুষ পাত্র (৪০) ও তার ২ ছেলে এবং লেগুনা চালক। তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


    প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, দুপুর ১২টার দিকে জৈন্তাপুরে তামাবিল সড়কে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর সামনে সিলেটগামী গরুবোঝাই পিকআপের (সিলেট-মেট্রো-ন ১১-২২৬৪) সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা লেগুনার (সিলেট-ছ ১১-১২৫২) মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই মঙ্গলি পাত্র, সুচিতা পাত্র, শিশু ঋতু পাত্র ও বিজলী মারা যান।


    খবর পেয়ে হাইওয়ে ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে। ওসমানীতে নেওয়ার পর সাবিত্রি পাত্র ও শ্যামলা পাত্র মারা গেছেন।


    জানা গেছে, মঙ্গলি পাত্ররা লেগুনা করে একটি বৌ-ভাতের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সিলেট-তামাবিল সড়ক দিয়ে চিকনাগুল থেকে উপজেলার মোকামপুঞ্জি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এই দুর্ঘটনার শিকার হন।


    এদিকে, দুর্ঘটনায় আহত ৫ জন ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।


    ৬ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম (পিপিএম)। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। এসময় সড়কটিতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় অবরোধ তুলে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

    মাধবপুরে ২ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি আটক

    হবিগঞ্জের মাধবপুরে অভিনব কায়দায় গাঁজা পাচারের সময় ২ কেজি গাঁজাসহ রাজু আহমেদ (৩৫) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ।

    আটক রাজু আহমেদ শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার কবিরাজকান্দি এলাকার মৃত আ. মোতালিবের ছেলে।


    রবিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলা সদর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গাঁজা মাদক পাচারকারীকে আটক করে পুলিশ।


    মাধবপুর থানার পুলিশ সদস্য শানস্-ই তাব্রীজ জানান, দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাধবপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয় ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাঞ্জাবি পরিধান করা এক যুবক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে আটক করে। আটকের পর ওই যুবকে তল্লাশি করলে পুলিশসহ আশপাশের উপস্থিত জনগণ যুবকের শরীরে দেখতে পান বুক থেকে কোমর পর্যন্ত টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা গাঁজা।


    মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. রকিবুল ইসলাম খান জানান, আটককৃত মাদক কারবারির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শেষে হবিগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।

    এআই 

    মৌলভীবাজারে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোর নিহত

    মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন।



    রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।


    নিহত কিশোর সাদ্দাম (১৩) উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মুড়ইছড়া বস্তির আছকির মিয়ার ছেলে। আহত হয়েছেন ওই গ্রামের মৃত সাদই মিয়ার ছেলে ছিদ্দেকুর রহমান (৩৬)।


    জানা যায়, রবিবার বিকলে নিহত সাদ্দাম তার পরিবারের গৃহপালিত দুটি গরু আনতে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া সীমান্তে যান। এ সময় সাদ্দাম তাদের গরু আনতে গেলে সীমান্ত এলাকার ৪৩ নম্বর মূল পিলারের কাছে প্রবেশ করার চেষ্টাকালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যর উনকোটি জেলার মাগুরউলি এলাকায় বিএসএফের একটি টহল দল তাকে করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই সাদ্দাম মারা যান। এ সময় সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের হাতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন ছিদ্দেকুর রহমান নামের আরও এক ব্যক্তি।


    আলীনগর বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার হরি জীবন বলেন, এ বিষয়ে পরে কথা বলবো এখন বিএসএফের সঙ্গে আছি।


    কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ বলেন, নিহত সাদ্দাম ও আহত ছিদ্দেকুর রহমান এলাকায় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধে ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে স্থানীয় সবশ্রেণির মানুষকে নিয়ে একাধিকবার মতবিনিময় করা হয়েছে। কিন্তু একটি চক্র চোরাচালান কাজ বন্ধ করেনি।


    কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ক্যশৈনু বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। যতটুকু জেনেছি সাদ্দামকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে। এ দিকে আহত ছিদ্দিককে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    এআই 
    চট্রগ্রামে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হবিগঞ্জের ৪ চারজনের মৃত্যু

    চট্রগ্রামের চাঁদগাঁওয়ের বাহির সিগন্যাল এলাকায় গত ৭ মার্চ মধ্যরাতে গ্যাস লিকেজ হয়ে ভবনে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের পৌর এলাকার নজির হোসেন (৩৫) সহ জেলার বিভিন্ন স্হানের ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।


    শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন নজির হোসেন। এছাড়া একই হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন নজির হোসেনের স্ত্রী দিপালী আক্তার৷ মৃত নজির হোসেন আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার শরীফ নগরের মৃত লালমণ মিয়ার পুত্র।


    এর আগে গত ১১ মার্চ একই ঘঠণায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার রামপুর বাসিন্দা ফজলুর রহমানের পুত্র লিমন (১৮) হবিগঞ্জের উমেদনগর এলাকার সামছুউদ্দিনের পুত্র হোসাইন (৬) মৃত্যু বরণ করেন। এছাড়া নবীগঞ্জের রামপুরের বাসিন্দা আব্দুল জব্বারের পুত্র রাসেল (১০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ই মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।


    নজির হোসেনের পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে, জীবিকার তাগিদে নজির হোসেন পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ের বাহির সিগনাল এলাকার টেকবাজারের উসমান গণি ভবনের তৃতীয় তলায় বাস করতেন। 


    গত ৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাত দেড়টার দিকে গ্যাস লিকেজ থেকে ভবনটি বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কালুর ঘাট ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটের সহায়তায় রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় দগ্ধ হন নজির হোসেন (৩৫) তার স্ত্রী দিপালী আক্তার সহ ১১ জন। 


    ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতায় রাতেই তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান স্বজনরা । পরদিন তাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা অবনতির দিকে গেলে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করা হয়।


    চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে নজির হোসেন মৃত্যু বরণ করেন। নজিরের বড়ভাই নওশের মিয়া জানান, ৮ মার্চ দুপুরে খবর পেয়ে ঢাকা যাই। গতকাল শুক্রবার সকালে নজির হোসেন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।


    শুক্রবার রাত এগারোটায় নজির হোসেনের মরদেহ আজমিরীগঞ্জে নিয়ে আসা হয়। একইদিন রাত সাড়ে এগারোটায় পৌরসভার শরীফ নগর শাহী ঈদগাহ ময়দানে জানাযার নামাজ শেষে শরীফনগর জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।

    এআই 
    হবিগঞ্জে ট্রাক্টরের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

    হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় ট্রাক্টরের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের এক আরোহী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও দুই আরোহী আহত হয়েছেন।


    শনিবার (১৬ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার মোহনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।


    নিহতের নাম সাইফুল ইসলাম (৩৫)। তিনি বাহুবল সদর ইউনিয়নের হরিতলা গ্রামের আজাদ মিয়ার ছেলে। 


    আহতরা হলেন- পারভেজ আলম ও সাব্বির আহমেদ।


    স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সাইফুল ইসলাম তার দুই বন্ধু পারভেজ আলম ও সাব্বির আহমেদকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ইসলামাবাদ থেকে মিরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় মহাসড়কে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক্টর মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি রাস্তায় পাশে গিয়ে ছিটকে পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।


    আরিফ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বিপরীত দিক থেকে একটি ট্রাক্টর মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা তিনজনসহ মোটরসাইকেলটি রাস্তা পাশে ছিটকে পড়ে। কয়েকজন মিলে তাদের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।


    বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তানজিনা ফারহীন বলেন, সাইফুল নামে একজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার আগেই মারা যান। অপর গুরুতর আহত দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    এআই 

    অনলাইন ভোট

    আন্তর্জাতিক

    সব দেখুন
    রেকর্ড ভোট পেয়ে আবারও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন
    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে  ‍রেকর্ড ভোটে জয় পেয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এবারের নির্বাচনে প্রায় ৮৭ শতাংশ ভোট পড়েছে তার পক্ষে। এর আগে টানা তিন দিন ধরে দেশটিতে ভোটগ্রহণ চলে। এরই মাধ্যমে পুতিনের আরও ৬ বছরের জন্য ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত হলো। সোমবার (১৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে বিশাল জয়ের মাধ্যমে নিজের ক্ষমতাকে আরও পোক্ত করেছেন। যদিও এই নির্বাচন গণতান্ত্রিক বৈধতার সংকটের কারণে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। নির্বাচন-পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন পশ্চিমা বিশ্বকে উপেক্ষা করার এবং ইউক্রেন আক্রমণ করার সিদ্ধান্তের প্রতিফলন হিসাবে এই ফলাফলটি তুলে ধরেন।সোমবার ভোরে নিজের প্রচারণা সদর দপ্তর থেকে পুতিন এক ভাষণে বলেন, ‘কে বা কতটা তারা আমাদের ভয় দেখাতে চায়, কে বা কতটা তারা আমাদের দমন করতে চায়, আমাদের সংকল্প, আমাদের চেতনা - ইতিহাসে কেউই এমন কিছুতে সফল হতে পারেনি।’ তার ভাষায়, ‘এটি (পশ্চিমাদের এই কৌশল) এখনও কাজ করছে না এবং ভবিষ্যতেও কাজ করবে না। কখনোই না।’আল জাজিরা বলছে, রোববার ভোট শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই প্রাথমিক ফলাফলে ইঙ্গিত পাওয়া যায়। পুতিন তার চলমান শাসন আরও ছয় বছরের জন্য বাড়িয়ে নেবেন।রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের মতে, প্রায় ৬০ শতাংশ নির্বাচনী এলাকার ভোট গণনা শেষে পুতিন প্রায় ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। আর এই ফলাফলের অর্থ হলো ৭১ বছর বয়সী পুতিন ক্ষমতায় থাকার মেয়াদের দিক থেকে জোসেফ স্টালিনকে ছাড়িয়ে যাবেন এবং গত ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী নেতা হয়ে উঠবেন।অন্যদিকে প্রাথমিক ফলাফলে যে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে তাতে কমিউনিস্ট প্রার্থী নিকোলাই খারিটোনভ মাত্র ৪ শতাংশের নিচে ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে, নবাগত ভ্লাদিস্লাভ দাভানকভ তৃতীয় এবং অতি-জাতীয়তাবাদী লিওনিড স্লুটস্কি চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন।টানা তিনদিনের ভোটগ্রহণ শেষে রোববার ভোট বন্ধ হওয়ার সময় রাশিয়াজুড়ে ভোটদানের হার ৭৪ দশমিক ২২ শতাংশ ছিল বলে নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে ২০১৮ সালের চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোটদানের হার ছিল ৬৭.৫ শতাংশ।আল জাজিরা বলছে, নির্বাচনে পুতিনের জয় নিয়ে কখনোই কোনও সন্দেহ ছিল না। কারণ তার সমালোচকরা বেশিরভাগই হয় জেলে, না হয় নির্বাসনে বা মৃত। এছাড়া পুতিনের প্রতি জনসাধারণের সমালোচনাও দমিয়ে রাখা হয়েছে।রুশ এই প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আলেক্সি নাভালনি গত মাসে দেশটির আর্কটিক কারাগারে মারা যান।অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ভোট অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি। হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র বলেছেন, ‘যেভাবে পুতিন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বন্দি করেছেন এবং অন্যদের তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাধা দিয়েছেন, তাতে নির্বাচন স্পষ্টতই অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি।’যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ভোটটি ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মতো হয়নি’। আর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এই নির্বাচনী জালিয়াতির কোনও বৈধতা নেই এবং হতেও পারে না’।উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় এখন তিনি পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হবেন এবং সেক্ষেত্রে তার ক্ষমতার মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়বে। বর্তমানে ৭১ বছর বয়সী পুতিন যদি ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন, তাহলে তার ক্ষমতার মোট মেয়াদকাল পৌঁছাবে ৩০ বছরে।
    সৌদিতে কোরআনের ৪২ টি বিরল কপি প্রদর্শিত
    সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে প্রদর্শিত হচ্ছে ৪২টি বিরলকোরআন শরীফ।বাদশাহ আব্দুল আজিজ পাবলিক লাইব্রেরির মাধ্যমে প্রদর্শনীটির আয়োজন  করা হয়েছে। রিয়াদের আল মুরাবাকোয়ার্টারে কোরআন শরীফগুলো রাখা হয়েছে।রোববার (১৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনের বরাত জানা যায়, গত ৪০ বছর ধরে বাদশাহ আব্দুল আজিজ পাবলিকলাইব্রেরি ইসলামিক এবং আরব সংস্কৃতিগুলো সাধারণ মানুষের সামনে তুলে আনছে। যার মধ্যে রয়েছে বিরলছবি, ক্ষুদ্র চিত্র এবং পুরোনো পাণ্ডুলিপি। তাদের কাছে কোরআনের বিরল কপি রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে রয়েছেসোনা দিয়ে লেখা অক্ষরের কোরআন।কোরআন ছাড়াও এই প্রদর্শনীতে এসে সাধারণ মানুষ আরবি কবিতা এবং অন্যান্য ক্যালিগ্রাফি দেখতে পারবেন।পবিত্র রমজান মাস আসলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ সৌদি আরবে ভিড় করেন। এই সময়অনেক পবিত্র মক্কা নগরীর কাবাতে ওমরাহও পালন করে থাকেন। এছাড়া অনেক মানুষ মসজিদে নববীতে নামাজআদায়ের জন্য যান।উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে হজের ওপর একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করেছিল লাইব্রেরিটি। যা সারা বিশ্বে দেখানো হয়েছিল।এফএস
    রমজানে একবারের বেশি ওমরাহ পালনে সৌদিতে নিষেধাজ্ঞা জারি
    পবিত্র রমজান মাসে একবারের বেশি ওমরাহ পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি আরব। মূলত মক্কা শরীফে ভিড় কমাতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় রোববার (১৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনের বরাত জানায়  যে, রোজা শুরু হলে ছোট হজবা ওমরাহ পালন করতে অনেক মানুষ মক্কায় ভিড় করেন।রমজানে কাউকে একবারের বেশি ওমরাহ পালনে অনুমতি দেওয়া হবে না। মুসল্লিদের এই মাসে শুধুমাত্র একবারই পবিত্র  ওমরাহ পালন  করার আহ্বান জানানো হয়। অধিক ভিড় কমাতে এবং অন্যরাও  সকলে যেন  সঠিক ও সুন্দর করে ওমরাহ   পালন করতে পারেন সেজন্য এমনসিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এদিকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ওমরাহ অনুমতি দেওয়া সৌদির সরকারি নুসুক অ্যাপে যখন রমজানে কোনো ব্যক্তিদ্বিতীয়বারের মতো ওমরাহ পালনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন তখন একটি বার্তা ভেসে ওঠে। এতে লেখা থাকে, “অনুমতি প্রদান ব্যর্থ হয়েছে। সবাইকে সুযোগ দিতে রমজানে দ্বিতীয়বার কেউ ওমরাহ করতে পারবেন না।উল্লেখ্য,বিদেশি মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে এবং সহজে ওমরাহ পালন করতে পারেন সেজন্যও বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেদেশটি। এর অংশ হিসেবে ভিজিট ও পর্যটন ভিসাধারীদেরও ওমরাহ পালনের সুযোগ রাখা হয়েছে। এছাড়া এইভিসাধারীরা মদিনার রওজা শরীফেও যেতে পারবেন। এজন্য তাদের অনলাইনের মাধ্যমে অনুমতি নিতে  হবে।এমআর
    হাইতি বন্দর থেকে ইউনিসেফের ত্রাণবোঝাই কন্টেইনার লুট
     হাইতির প্রধান বন্দর থেকে ইউনিসেফের একটি ত্রাণবোঝাই কন্টেইনার লুট হয়ে গেছে। লুট হওয়া কন্টেইনারে ‘মাতৃত্ব, নবজাতক এবং শিশুদের প্রাণ রক্ষার জন্য জরুরি’ পণ্য ছিল। শনিবার এ ঘটনা ঘটেছে বলে ইউনিসেফ জানিয়েছে। ইউনিসেফ জানায়, পোর্ট-ঔ-প্রিন্স বন্দরে তাদের ত্রাণের ১৭টি কন্টেইনার এসেছে। সেগুলো থেকে একটি লুট হয়েছে। ইউনিসেফের হাইতি প্রতিনিধি ব্রুনো মায়েস এক বিবৃতিতে বলেছেন, “শিশুদের জীবন রক্ষার জন্য জরুরি ত্রাণ সরবরাহ লুটপাট অবশ্যই দ্রুত বন্ধ করতে হবে। এমন একটি সংকটময় মুহূর্তে লুটের ঘটনা ঘটছে যখন শিশুদের ওইসব জিনিসের সবচেয়ে বেশি দরকার।”ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ হাইতিতে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা দীর্ঘদিনের। যার সমাধান না হওয়ায় এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশটির অর্থনীতিতে। খাদ্যাভাব চরমে পৌঁছেছে, দেখা দিয়েছে মানবিক সংকট। ইউনিসেফ থেকে সতর্ক করে বলা হয়, দেশটিতে রেকর্ড পরিমাণ মানুষ অনাহারে ভুগছে এবং রাজধানী পোর্ট- ঔ-প্রিন্স এর বিভিন্ন অংশে প্রাণঘাতী অপুষ্টি দেখা দিয়েছে।দেশটির অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি এ সপ্তাহে বলেছেন, একটি অন্তর্বর্তীকালীন কাউন্সিল চালু হলে তিনি পদত্যাগ করবেন। সশস্ত্র বিভিন্ন গ্যাং বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন অংশের নিয়ন্ত্রণ করছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা থেকে বলা হয়, এইসব গ্যাং গণহারে হত্যা, অপহরণ ও ধর্ষণ করছে।
    আগুনে পুড়ে গেল বিশ্বের প্রাচীনতম স্টুডিও
    মিশরের কায়রোতে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন স্টুডিও আল-আহরামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। রোববার (১৭ মার্চ) এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া যায়।ফায়ার সার্ভিসের কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কায়রোর গিজা এলাকার বেশ কিছু ভবন থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে এখনও জানা যায়নি ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা। স্টুডিওটি ১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্টুডিওতে তিনটি প্রোডাকশন স্টেজ, একটি স্ক্রিনিং রুম এবং একটি এডিটিং স্যুট রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রমজানের বিশেষ টিভি সিরিজের শুটিং শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। আগুনে আশেপাশে অবস্থিত সাতটি ভবনের সম্মুখভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবৌলি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত সব পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন।
    নির্বাচিত না হলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে: ট্রাম্প
     যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি নির্বাচিত না হতে পারলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে।শনিবার ওহাইও অঙ্গরাজ্যে একটি নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়ে তিনি এমন হুশিয়ারি দেন। খবর এএফপির। তবে রক্তের বন্যা দিয়ে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কথা বলার মধ্যে তিনি ওই হুশিয়ারি বার্তা উচ্চারণ করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘নভেম্বরের ৫ তারিখটা মনে রাখবেন। আমার মনে হয়, এটা আমাদের দেশের ইতিহাসের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ ৭৭ বছর বয়সি ট্রাম্প এ সময় বাইডেনকে মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তার সমালোচনা করে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন মেক্সিকোতে গাড়ি বানিয়ে তা আমেরিকাতে বিক্রি করছে। আমি নির্বাচিত হলে তারা এটি করতে পারবে না। আমি যদি নির্বাচিত না হই তা হলে দেশজুড়ে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে।    চলতি বছরের নভেম্বরে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ নির্বাচনে নিজ নিজ দল ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান পার্টি থেকে নিজেদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা নিশ্চিত করেছেন জো বাইডেন ও ট্রাম্প। নির্বাচনি প্রচারে ট্রাম্প বাইডেনের অভিবাসন নীতির সংস্কারের বিষয়টিতে জোর দিচ্ছেন।তিনি বলেন, ‘লাখ লাখ মানুষকে কাজের সুযোগ দিয়ে বাইডেন বারবার আফ্রিকান-আমেরিকান ভোটারদের পিঠে ছুরিকাঘাত করছেন। এর ফলে আফ্রিকান-আমেরিকান ও হিস্পানিক আমেরিকানদের সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’কয়েক দশক ধরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ওহাইও অঙ্গরাজ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। তবে ২০১৬ এই অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প জেতার পর থেকে সেখানে রিপাবলিকানদের অবস্থান আরও পোক্ত হয়েছে।
    রমজানে মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়ায় ইসরাইলি খেজুর বয়কট
    গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনী হামলা শুরু করলে এর প্রতিবাদে বিশ্বের অনেক মুসলিম অধ্যুষিত দেশর জনগণ ইসরাইলি পণ্য বর্জন করতে শুরু করেন। পবিত্র রজমান মাস শুরু হওয়ায় মুসলিম দেশগুলোতে ইসরাইলি পণ্য, বিশেষ করে খেজুর বর্জন করার প্রবণতা বেড়েছে।  সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, রমজান মাসে অনেক দেশের মুসলিম সম্প্রদায় ইসরাইলি পণ্য বর্জন করছেন। এই তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। দেশ দুটির বেশির ভাগ মানুষই ইসরাইল থেকে আমদানি হওয়া খেজুর কেনা বর্জন করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় এক ব্যক্তিকে ভুল লেবেলে ইসরাইলের খেজুর বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে দেশটির কাস্টমস বিভাগ। অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়ার মুসলিম নেতারা দেশটির জনগণকে ইসরাইলি পণ্য আমদানি বর্জন করার নির্দেশ দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের ফলে মালয়েশিয়ায় ইসরাইলি পণ্য বর্জন ব্যাপক মাত্রা পেয়েছে। ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন অনেক কোম্পানির বিক্রিতে ধ্বস নেমেছে।   ইন্দোনেশিয়াতেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ইসরাইলি খেজুর বর্জনে প্রচারণা চলছে। দেশটির সামাজিক চ্যাট গ্রুপগুলোতে অভিযোগ করা হচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ায় ইসরাইলের খেজুর বেনামে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব খেজুর বর্জন করুন। গত বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গরের ক্লাং পোর্টে একটি খাদ্য গুদামে অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করা হয়। সে সময় দেশটির অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও জীবনযাত্রার ব্যয়বিষয়ক মন্ত্রী আরমিজান মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘যারা ইসরাইলি পণ্য বিক্রি করে ভোক্তাদের বিভ্রান্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ আরও পড়ুন: সেহরির সময় একই পরিবারের ৩৬ জনকে হত্যা করল ইসরাইল অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ার সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা ইন্দোনেশিয়ান কাউন্সিল অব ওলেমা (এমইউআই) এবং বৃহত্তম মুসলিম গণ সংগঠন নাদহাতুল উলেমা ইসরাইল থেকে আমদানি করা খেজুরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নাদহাতুল উলেমার চেয়ারম্যান আহমেদ ফাহরুর রোজি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি দেখানোর এটাই (ইসরাইলি পণ্য বর্জন) সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ পথ।’
    গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক, কাতারে যুদ্ধবিরতির আলোচনা
     গাজা শহর ও জাবালিয়ায় সাহায্যপণ্যবাহী ১৩টি ট্রাক নিরাপদে পৌঁছেছে। গত চার  মাসের মধ্যে এই প্রথম কোনোরকম ঘটনা ছাড়াই পণ্যবাহী ট্রাকবহর গাজা উপত্যকার দক্ষিণ থেকে উত্তরে প্রবেশ করে।  আজ রোববার (১৭ মার্চ) থেকে কাতারে আবারও যুদ্ধবিরতির প্রশ্নে শুরু হওয়া আলোচনায় যোগ দিতে যাচ্ছে ইসরায়েলে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ প্রধানের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল। খবর আলজাজিরার।গাজা উপত্যকার উত্তরে খাদ্যপণ্যবাহী ট্রাকবহর যখন প্রবেশ করে তখন তরুণ ফিলিস্তিনিরা আনন্দ প্রকাশ করে। ফিলিস্তিনি ফটো সাংবাদিক মোহাম্মেদ আল-হিন্দি এ ধরনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন। এতে দেখা যায় যুবক ও তরুণ ফিলিস্তিনিরা উল্লাস প্রকাশ করছে, কেউ কেউ আটার বস্তার সামনে গিয়ে জোরে শিস বাজাচ্ছিল।আল-হিন্দি জানান শনিবার রাতে আসা এইসব সাহায্য সামগ্রী তরুণ স্বেচ্ছাসেবীর সহযোগিতায় বিতরণ করা হয়।এদিকে আজ রোববার সকাল থেকেই কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনায় হামাস নতুন করে একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তুলে ধরেছে। প্রস্তাবের আলোকে ইসরায়েলি পণবন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে থাকা ১০০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তির কথা বলা হয়েছে।প্রস্তাবে তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে যার বিস্তৃতি হবে ৪২ দিনব্যাপী। প্রথম ধাপে, গাজা সিটির উত্তর থেকে দক্ষিণে সংযোগ রক্ষাকারী আল-রশিদ এবং সালাহ-আল-দিন সড়কে থেকে সরে যাবে ইসরায়েলি বাহিনী। এর ফলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা ফিরে আসতে পারবে এবং মানবিক সহায়তা সামগ্রী সেখানে প্রবেশ করতে পারবে।প্রাথমিকভাবে হামাস তাদের হাতে থাকা পণবন্দিদের মধ্যে নারী, শিশু ও বয়স্ক লোকজনকে মুক্তি দেবে। এর বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ৭০০ থেকে ১০০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।দ্বিতীয় ধাপের পরিকল্পনায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি সৈন্যদের মুক্তির বিনিময়ে। আর তৃতীয় ধাপে রয়েছে গাজার প্রাথমিক পুনর্গঠন বিষয়ে ও উপত্যকা জুড়ে ইসরায়েলের অবরোধ ‍তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে।
    জলদস্যুদের থেকে জাহাজ উদ্ধার করলো ভারতীয় নৌ-বাহিনী
    সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে থেকে ১৭ নাবিকসহ একটি বাণিজ্যিক জাহাজ উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। জাহাজে ৩৫ জন জলদস্যু ছিল তারা সবাই আত্মসমর্পণ করেছে। খবর আল জাজিরা। উদ্ধার হওয়া জাহাজটি মাল্টার পতাকাবাহী। নাম এমভি রুয়েন। এটি একটি বাল্ক ক্যারিয়ার, যেটি গত ডিসেম্বরে ছিনতাই হয়।ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিশেষ কমান্ডোসহ ভারতীয় নৌবাহিনী সোমালি জলদস্যুদের হাইজ্যাক করা একটি পণ্যবাহী জাহাজ জব্দ করেছে এবং ১৭ জন ক্রু সদস্যকে উদ্ধার করেছে। অভিযানে ভারতীয় নৌবাহিনীর বিশেষ কমান্ডোরাও অংশ নেন বলেও জানান তিনি।শনিবার (১৬ মার্চ) এক এক্স বার্তায় ভারতীয় নৌবাহিনী ভারতীয় উপকূল থেকে জাহাজটি উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এমভি রুয়েন থেকেই জলদস্যুরা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে নিজেদের দখলে নেয়।ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার জাহাজটিকে আটক করা হয়। এক বিবৃতিতে নৌবাহিনী জানায়, জাহাজ উদ্ধারের সময় সেটিতে থাকা জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। জাহাজ ও এতে থাকা যেসব বেসামরিক নাগরিককে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটকে রাখা হয়েছিল, তাদেরকেও ছেড়ে দিতে বলা হয়। একপর্যায়ে জাহাজটিতে থাকা ৩৫ জলদস্যুর সবাই তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। জাহাজটিতে কোনো ধরনের অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ বা মাদক রয়েছে কিনা তা তল্লাশি করে দেখা হয়েছে।ভারতীয় নৌবাহিনী এই অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং নাবিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ২৩ নাবিকসহ ভারতীয় মহাসাগর থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে নিজেদের দখলে নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ভারতীয় ও ইউরোপিয়ান নৌবাহিনীর তৎপরতায় স্থির হতে পারছে না এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাইকারী জলদস্যুরা। নিজেদের এলাকায় অবস্থান করলেও নিরাপত্তা শঙ্কায় বারবার স্থান পরিবর্তন করছে তারা। সাবেক মেরিনাররা বলছেন, পুরোপুরি স্বস্তি না ফেরা পর্যন্ত মুক্তিপণের জন্য যোগাযোগ করবে না দস্যুরা। ভারত মহাসাগরে ছিনতাইয়ের পর এমভি আব্দুল্লাহকে নিয়ে শুক্রবার (১৫ মার্চ) পর্যন্ত দুই বার স্থান পরিবর্তন করেছে জলদস্যুরা। সর্বশেষ সেটি রাখা হয়েছে সোমালিয় উপকূলে তীর থেকে ৫ নটিক্যাল মাইল দূরে।এমআর
    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের জিন্‌স ও টি-শার্ট পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা
    শিক্ষক ও শিক্ষিকারা এখন আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জিন্‌স ও টি-শার্ট পরতেন পারবেন না। সম্প্রতি নতুন এই পোশাকবিধি চালু করেছে ভারতের মহারাষ্ট্র সরকার। এ বিষয়ে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। সব স্কুলে নির্দেশিকা পাঠিয়ে বলা হয়েছে, নতুন পোশাকবিধি নিয়ে যেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা সচেতন থাকেন। স্কুলপড়ুয়াদের উপর যাতে কোনো রকম কুপ্রভাব না পড়ে, তাই সে রকমই পোশাক পরতে হবে তাদের। শুধু সরকারি বা সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলোতেই নয়, বেসরকারি স্কুলগুলোকেও এই নির্দশ মানতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, শিক্ষিকারা স্কুলে জিন্‌স এবং টি-শার্ট পরে আসতে পারবেন না। এমনকি গাঢ় রং, নকশা করা বা ছাপা পোশাকও পরে আসা যাবে না স্কুলে। শাড়ি পরতে পারবেন শিক্ষিকারা। সালোয়ার-কুর্তা পরলে তার সঙ্গে ওড়না থাকতে হবে।শিক্ষকরাও জিন্‌সের প্যান্ট বা টি-শার্ট পরে আসতে পারবেন না। শোভনীয় জামা এবং প্যান্ট পরে আসতে হবে। জামা ছেড়ে রাখলে হবে না। গুঁজে পরতে হবে। শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের জন্য নতুন পোশাকবিধি প্রকাশ্যে আসার পরই রাজ্য জুড়ে সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে। মুম্বাইয়ের এক শিক্ষিকা বলেছেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাদের পোশাক নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। স্কুল কর্তৃপক্ষগুলোও এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। ফলে পোশাক নিয়ে সরকারের এ ভাবে নাক গলানো, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পছন্দ-অপছন্দের অধিকারে হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’ রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকারা সরকারের এই নয়া নির্দেশকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন।এ বিষয়ে শিক্ষা দপ্তরের এক কর্মকতা বলেন, ‘সবেমাত্র নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা বাধ্যতামূলক বলে মনে করা ঠিক নয়। এই পোশাকবিধি না মানলে কোনো পদক্ষেপ করা হবে কি না, সে বিষয়েও এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।এফএস

    বিনোদন

    সব দেখুন
    জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী খালিদ আর নেই
    জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী চাইম ব্যান্ডের ভোকাল খালিদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।খালিদের মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন গীতিকবি ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, আজ সন্ধ্যা সাতটার কিছুক্ষণ পর চিরবিদায় নিয়ে চলে যান খালিদ ভাই। তার মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত।   আশি ও নব্বইয়ের দশকে জনপ্রিয় সব গান গেয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন খালিদ। তিনি  ছিলেন ‘চাইম’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট।‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’–এর মতো বহু জনপ্রিয় গান গয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেন খালিদ।খালিদের জন্ম গোপালগঞ্জে। তিনি ১৯৮১ সালে গানের জগতে যাত্রা করেন। ১৯৮৩ সালে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন।
    মাহমুদ কলিকে সভাপতি প্রার্থী করে এবার নির্বাচনে লড়বেন নিপুণ
    সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিজ প্যানেলে সভাপতি পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। সোনালি দিনের নায়ক মাহমুদ কলিকে নিয়ে মিশা-ডিপজলের বিপক্ষে নির্বাচনে লড়বেন তিনি।রবিবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় এফডিসিতে ইফতারের পর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন নিপুণ। এ সময় তার পাশে বসে থাকতে দেখা গেছে অভিনেতা মাহমুদ কলিকে। সভাপতি পদের জন্য সবার কাছে সমর্থন ও দোয়া চেয়েছেন তিনি।মাহমুদ কলি বলেন, ‘১৯৮৪ সালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি গঠনের সময় থেকে আমি এই সংগঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলাম। অতীতে অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র, শিল্পীসহ শিল্পী সমাজের পাশে আমি ছিলাম। এছাড়া অতীতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনে আমি জয়ী হয়েছিলাম। সেই সময়ও আমার সাধ্যমত দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। বর্তমানে আমি অভিনয় থেকে দূরে আছি- তার মানে এই নয় যে শিল্পী সমিতি বা শিল্পী সমাজ থেকে আমি দূরে আছি। আজ আমি এখনে এসেছি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে থেকে এই সমিতিকে ভালো পর্যায়ে নিয়ে যেতে।’তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে আমি দুইবার এই সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলাম। আবার এসেছি। চলচ্চিত্রের অন্য সংগঠন ও সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক করে দেশের সিনেমাকে এগিয়ে নেওয়াই হবে আমার মূল লক্ষ। এছাড়া সমিতির পদ নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তার সমাধান চাই। জানি আমাদের অনেক কিছু সীমিত, সেটা নিয়ে ভয়ের কিছু নাই। যা আছে তাই নিয়ে সিনেমার উন্নয়নে কাজ করবো।’এর আগে সন্ধ্যায় শিল্পী সমিতিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন মাহমুদ কলি, নিপুণ আক্তার, অঞ্জনা, কাজী হায়াৎ, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, মুশফিকুর রহমান গুলজারসহ অনেকে।
    এক ছবিতে অভিনয় করবেন তিন সুপারস্টার 'খান'!
     বৃহস্পতিবার ছিল আমির খানের ৫৯তম জন্মদিন। বিশেষ দিনটি তিনি এক দিকে যেমন প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাওয়ের সঙ্গে কেক কেটে উদ্‌যাপন করেছেন, তেমনই আবার অনুরাগীদের জন্য সমাজমাধ্যমের পাতায় লাইভে এসে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়েছেন। তখনই পুরনো বন্ধু শাহরুখ ও সালমানকে নিয়ে একটি ঘোষণায় চমকে দিয়েছেন আমির।সম্প্রতি অনন্ত অম্বানীর বিয়েতে আমিরের সঙ্গে শাহরুখ ও সালমানকে মঞ্চে নাচতে দেখা গিয়েছিল। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) আমিরের কাছে এক অনুরাগী জানতে চান, এই তিন সুপারস্টারকে একসঙ্গে কোনও ছবিতে দেখার সম্ভাবনা কী রকম? উত্তরে ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ জানান যে, তিনি শাহরুখ ও সালমানের সঙ্গে ছবি করতে ইচ্ছুক। খবর আনন্দবাজারের।আমির বলেন, ‘‘আমরা তিন জন একসঙ্গে দেখা করলেই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হয়। শুধু আমাদের জন্য নয়, দর্শকদের কথা ভেবেই আমাদের একসঙ্গে একটা ছবি করা উচিত।’’ তিন জনেই যে সঠিক চিত্রনাট্যের অপেক্ষায় রয়েছেন, সে কথাও স্পষ্ট করেন আমির।উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায় আমির ও সালমান অভিনীত ছবি ‘আন্দাজ আপনা আপনা’। আমির জানান, এই ছবির সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। ছবির চিত্রনাট্য লিখছেন রাজকুমার সন্তোষী। আমিরের কথায়, ‘‘সবে কাজটা শুরু হয়েছে। তাই এখনই খুব বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে ছবিটা যে দর্শক উপভোগ করবেন সেটা বলাই যায়।’’তিন দশকের বেশ সময় ধরে বলিউডে রাজত্ব করছেন শাহরুখ, সালমান ও আমির। তিন সুপারস্টারই বিভিন্ন সময়ে একে অপরের ছবিতে ক্যামিয়ো চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ‘আন্দাজ আপনা আপনা’ ছবিতে আমির ও সালমান মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করে ছিলেন। অন্য দিকে ‘কারান অর্জুন’, ‘হাম তুমহারে হ্যায় সনম’ বা ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর মতো ছবিতে দর্শক শাহরুখ ও সালমানকে একসঙ্গে দেখেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ছবিতে শাহরুখ-আমির জুটিকে দেখা যায়নি। তিনজনকে একসঙ্গে কবে বড় পর্দায় দেখা যাবে সেটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন।
    অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে যা বললেন অভিনেতা অপূর্ব
    ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বর বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গ করে অর্থ আত্মসাৎ ও শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ এনেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস লিমিটেড (আলফা আই)।প্রতিষ্ঠানটি থেকে ২৪টি নাটকের জন্য ৫০ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। তবে মাত্র ৯টি নাটকে কাজ করে ৩৩ লাখ টাকা নিয়ে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ করে আলফা আই।প্রতিষ্ঠানটির মালিক শাহরিয়ার শাকিলের চুক্তিমতে অপূর্বকে প্রতি মাসে তিন দিন সময় দিয়ে নাটকগুলোর শুটিং শেষ করে দেওয়ার কথা। গত বছর অক্টোবরে নাটকগুলোর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাকি নাটকগুলো শেষ না করেই তিনি ভঙ্গ করেন আলফা আইয়ের চুক্তি।প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল জানান, অপূর্বর সঙ্গে তাদের পথচলা দেড় যুগের বেশি সময় ধরে। সেই সম্পর্কের জেরে ২০২২ সালে তারা একসঙ্গে ২৪টি নাটকের শুটিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। ২৪টি নাটকে শুটিংয়ের বিপরীতে ৯টির শুটিং করে অগ্রিম ২৫ লাখ ও পরে ৯ লাখসহ অপূর্ব ৩৩ লাখ টাকা নেন। পরে আরো ১০ মাস সময় অতিবাহিত হলেও তিনি আর শিডিউল দেননি প্রযোজককে।বিষয়টি নিয়ে এ মুহূর্তে অভিনেতা অপূর্ব বিস্তারিত কিছু বলতে চান না। কারণ, এটা আইনি প্রক্রিয়ায় চলে গেছে। সেভাবেই সমাধান করতে চান। অপূর্ব বলেন, ‘আমার সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ বিষয়টি দেখছে এবং টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রোডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকেও বিষয়টি অবগত করেছি। উনারা যা বলার বলবেন। একই সঙ্গে আমার আইনজীবী কথা বলবেন। যেহেতু আইনি প্রক্রিয়ায় আমি এগোচ্ছি, তাই এটা নিয়ে বিস্তারিত এ মুহূর্তে বলতে চাই না। এসব নিয়ে আমি কথা বললে আইনি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আমার আইনজীবী জানিয়েছেন। তাই যা বলার তাঁরাই বলবেন।’গতকাল থেকে ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রশ্ন উঠছে। পরে লিখিত বিবৃতিতে অপূর্ব জানান, ‘সময়ই সবকিছু পরিষ্কার করে দেবে। ইন্ডাস্ট্রির সবাই আমাকে দীর্ঘদিন ধরে চেনে–জানে। আমি কখনো কোনো অন্যায়ের সঙ্গে নেই। যেটা সঠিক ওটাই করব আমি, এতটুকু বিশ্বাস রাখুন। অন্যায় করে কেউ পার পাবে না। আমাকে নিয়ে যে অভিযোগ এসেছে তা সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যমূলক ও আমার জন্য সম্মানহানির। আমি দীর্ঘদিনের সুপরিচিত একজন অভিনয়শিল্পী। অর্থ আত্মসাতের মতো নোংরা মিথ্যা অভিযোগে আমার মতো একজন শিল্পীকে জড়ানো হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক।’

    অর্থ-বাণিজ্য

    সব দেখুন
    যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে নিত্যপণ্যের দাম: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
     বাজারে নিত্যপণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, এজন্য সমন্বিতভাবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবাই মিলে সমন্বয় করবে বলে জানান তিনি।রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় রাজধানীর টিসিবি ভবনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর পণ্যের একটা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নিজস্ব জেলা, উপজেলা এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কমিটি আছে। আমরা সমন্বয় করে মনিটরিং শুরু করবো। প্রাইস ডিসকভারিটা হুট করে হয় না। আমাদের দায়িত্ব হবে উৎপাদক পর্যায়ে থেকে পাইকারি এবং পরে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত বাজার মনিটরিং করা এবং এটাকে এস্টাব্লিশ করা।বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস আপনি যখন যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করবেন, সঙ্গে সঙ্গে এটি বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। আগে এটা নির্ধারণ করা জরুরি ছিল। অনেকদিন ধরে আইনটা ছিল কিন্তু করা হয় নাই। এখন সমন্বিতভাবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিদপ্তর, ইউএনও, ডিসি সবাই মিলে সমন্বয় করবে। আশা করি এটা একটা যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে।তিনি আরও বলেন, আমরা যেখানে যাচ্ছি বাজার কমিটিকে নিয়ে বসছি, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসছি, তাদের উৎসাহিত করছি। তাদের সমস্যার সমাধান করে এটা (সঠিক দামে পণ্য বিক্রি) আমরা বাস্তবায়ন করছি। আমরা কোনো জায়গায় কোনো দোকান বন্ধ করে দিচ্ছি না বা তালাবদ্ধ করে দিচ্ছি না। যারা একেবারেই আইন মানছেন না যেমন পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে যখন বিক্রি করতে হবে তখন আপনাকে রিসিটটা রাখতে হবে। আপনি যখন পাইকারি চালান করবেন তখন আপনাকেও রিসিট দিতে হবে। এই জিনিসগুলোকে বলে একেবারে মিনিমাম কমপ্লায়েন্স। এই জিনিসগুলো না করলে আমরা শাস্তির আওতায় আনবো।এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্ত বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
    ২৯ নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার
    রমজান মাস উপলক্ষে মাছ-মাংসসহ ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এই দাম অনুযায়ী পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে কাজ করবে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কৃষি বিপণন আইনের ক্ষমতা বলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃষি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিম্নোক্ত দামে কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হলো।নতুন এ দাম তিনটি স্তরে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। একটি পণ্য উৎপাদক পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম, পাইকারি বাজারে এবং ভোক্তাপর্যায়ে খুচরা দাম কতো হবে সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে।নতুন বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী, পাইকারি বাজারে ছোলার দাম সর্বোচ্চ সাড়ে ৯৩ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৯৮ টাকা দরে বিক্রি করা যাবে। মসুর ডালের খুচরা পর্যায়ে দাম হবে ১৩০ টাকা ৫০ পয়সা এবং মোটা দানার মসুর বিক্রি হবে ১০৫ টাকা ৫০ পয়সায়। খেসারি ডালের খুচরায় সর্বোচ্চ দাম হবে ৯৩ টাকা। এছাড়া মাসকালাই ১৬৬ টাকা ৫০ পয়সা এবং মুগডাল খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ১৬৫ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।প্রতি কেজি গরুর মাংসের সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬৪ টাকা। এছাড়া ছাগলের মাংসের দাম ১ হাজার ৩ টাকা। আর মাছের মধ্যে চাষের পাঙাশের খুচরা দাম ১৮১ টাকা ও কাতলা মাছের দাম সর্বোচ্চ ৩৫৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা দরে কিনতে পারবেন ক্রেতারা। এ ছাড়া প্রতি পিস ডিমের দাম হবে সর্বোচ্চ সাড়ে ১০ টাকা।প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ টাকা এবং রসুন ১২০ টাকা ও আদা ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হবে। এ ছাড়া শুকনো মরিচের সর্বোচ্চ দাম হবে ৩২৭ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ৬০ টাকায় খুচরা বাজারে কিনতে পারবেন ক্রেতারা।অন্যদিকে, সবজির মধ্যে বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৩০ টাকা, প্রতিকেজি বেগুণ ও সিম ৫০ টাকা ও আলু সাড়ে ২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি টমেটো ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৪ টাকা খুচরা মূল্য বেঁধে দিয়েছে সংস্থাটি।অন্যদিকে, বাজারে প্রতি কেজি জাহেদী খেজুর ১৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সাগর কলার হালি খুচরায় ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া চিড়ার খুচরা দাম ৬০ টাকা, বেসন ১২১ টাকা বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।এফএস
    একীভূত হচ্ছে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক
     শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি বাণিজ্যিক এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ব্যাংকটির এক পরিচালক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আপাতত বেসরকারি পদ্মা ব্যাংককে আমাদের সঙ্গে মার্জার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই এটি অনুমতির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পর তা কার্যকর হবে।গত কয়েক বছর ধরে ধুঁকছে পদ্মা ব্যাংক। অবশেষে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে এটি। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকিং খাতে যা হবে  প্রথম একীভূতকরণ।আগামী সপ্তাহের প্রথমদিকে এক বৈঠকে ব্যাংক দুটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হবে। সেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার উপস্থিত থাকবেন। এরপরই একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, আসছে ডিসেম্বর পর্যন্ত দুর্বল ব্যাংকগুলো স্বেচ্ছায় একীভূত হতে পারবে। এক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে মার্চে সেগুলোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।সম্প্রতি ব্যাংকস হেলথ ইনডেক্স (বিএইচআই) অ্যান্ড হিট ম্যাপ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেড জোনে আছে পদ্মা ব্যাংক। আর ইয়েলো জোনে রয়েছে এক্সিম ব্যাংক।
    এবার চিনির দাম নির্ধারণ করে দিলো সরকার
    দেশে চিনির যথেষ্ট মজুত আছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বাজারে খোলা চিনির সর্বোচ্চ মূল্য ১৪০ টাকার বেশি হবে না। প্যাকেটজাত চিনির দামও ১৪৫ থেকে ১৪৬ টাকার বেশি হবে না। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) সম্পাদনের জন্য আলোচনা শুরুর বিষয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, রমজানে চিনির দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশে যথেষ্ট মজুত রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাজারে খোলা চিনির সর্বোচ্চ মূল্য ১৪০ টাকার বেশি হবে না। প্যাকেটজাত চিনির দামও ১৪৫ থেকে ১৪৬ টাকার বেশি হবে না।   এর আগে গত বছরের ১৩ আগস্ট সবশেষ চিনির দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। সেসময় বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছিল, প্রতি কেজি পরিশোধিত খোলা চিনি ১৩০ টাকা এবং প্রতি কেজি পরিশোধিত প্যাকেট চিনি ১৩৫ টাকায় বিক্রি হবে। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম ঊর্ধ্বমুখী। চিনি আমদানিতে ভারতের সঙ্গে কথা চলছে। দাম সব জায়গায়ই বেশি। তবে চিনির দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার চেষ্টা চলছে। রমজানে দেশের বাজারে নির্ধারিত দামেই চিনি বিক্রি হবে।’ বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ভারত- এ কথা জানিয়ে আহসানুল ইসলাম বলেন, দাম নিয়ে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশকে প্রতি টন পেঁয়াজ ৮০০ ডলারে দেয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বাধাগুলো চাইলেই সবকিছু নিরসন করা সম্ভব হয় না। তবে আমাদের উদ্যোগ, চেষ্টা ও চেষ্টার সফলতা আছে। পেঁয়াজ রফতানিতে মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে ভারত, তারপরেও তারা রাজি হয়েছে। সামনে তাদের দেশে নির্বাচন, সেটাও দেখতে হবে। তাদের ভোক্তা বাজার আছে, সেটা মাথায় রাখতে হবে।’   প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছু বিবেচনা করে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের অনুমোদন আমরা পেয়েছি। হয় আমরা সরকারিভাবে জি টু জি আনবো, অথবা আমাদের আমদানিকারকদের অনুমোদন দেব। যত দ্রুত সম্ভব বাজারে যাতে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা যায়, সেই চেষ্টা করবো।’ এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়ন সচিব তপন কান্তি ঘোষ প্রমুখ। এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোছা. ফুয়ারা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতি কেজি অতি সাধারণ বা নিম্নমানের খেজুরের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর বহুল ব্যবহৃত জিহাদি খেজুরের প্রতি কেজির দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
    অবশেষে খেজুরের দাম নির্ধারণ করে দিলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
    দেশে আমদানিকৃত খেজুরের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অতি সাধারণ বা নিম্নমানের খেজুরের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা। অন্যদিকে বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুরের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা।  সোমবার (১১ মার্চ) দেওয়া সার্কুলারে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এছাড়া মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়েও এ মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি জানানো হয়।চিঠিতে বলা হয়, দেশে আমদানিকৃত বিভিন্ন খেজুরের আমদানি মূল্য, আরোপিত শুল্ক ও করাদি এবং আমদানিকারকদের অন্যান্য খরচ বিশ্লেষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খেজুরের মানভিত্তিক যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। অতি সাধারণ বা নিম্নমানের খেজুর ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা, বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।নির্ধারিত মূল্যে খেজুর বিক্রির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এ চিঠির মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে।এর আগে গত ১০ মার্চ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান জানিয়েছিলেন, রোজদারদের স্বস্তি দিতে দুই- এক দিনের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জিহাদি খেজুরের দাম বেঁধে দেবে। পাশাপাশি আমদানিকারকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে নজরদারির মধ্যে রাখা হবে অন্যান্য খেজুরও।
    ‘আগামী রমজানে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া হবে’
     আগামী রমজানে মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা করে দাম বেঁধে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। রোববার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে কৃষিপণ্য সরবরাহে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এবং রাশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘প্রোডিনটর্গ’ এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।  বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতে দেখলাম, ১৮টি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের রাষ্ট্রীয় সার্কুলার দিয়ে দিয়েছে, এই পণ্যগুলোর দাম কেউ রমজান মাসে বাড়াতে পারবে না। এবার করা যায় নি, পরবর্তীতে রমজানের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকা ধরে মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হবে। যাতে করে রমজানের আগে এ পণ্যগুলোর দাম বাড়ানো না যায়।’রমজানের আগে কিছু পণ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়াকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘হুট করে চাহিদা বেড়ে গেলে বাজারে একটু চাপ তো পড়বেই।’ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত দেড় মাসে চালের বাজারে একটা অস্থিরতা ছিল। সেটা আল্লাহর অশেষ রহমতে স্থিতিশীল পর্যায়ে আছে। চালের দাম নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। তেলের দাম আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি।‌ রমজান উপলক্ষে আজ থেকে বাজার তদারকি আরও বাড়াবো। যাতে কেউ সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৩ টাকা, খোলা তেল প্রতি লিটার ১৪৯ টাকার ওপরে কেউ বিক্রি না করে। সেই ব্যাপারে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেবো।’টিসিবিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে সাবসিডাইজ প্রাইজে পণ্য দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পরবর্তীতে ফেয়ারপ্রাইজে মাল্টিপল প্রোডাক্ট সরবরাহ করবো, যদি আমাদের এই রকম সোর্স থাকে।’অনুষ্ঠানে ছোলা, ডাল, তেলের মত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে রাশিয়ার বৈদেশিক অর্থনৈতিক সংস্থা প্রোডিনটোর্গ এর সঙ্গে চুক্তি করেছে টিসিবি।এমএইচ
    অবশেষে একীভূত হলো পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক
     শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি বাণিজ্যিক এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হলো কয়েক বছর ধরে ধুঁকতে থাকা চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক। সোমবার (১৮ মার্চ) মাতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করেছে ব্যাংক দুটি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ফার্মার্স থেকে পদ্মা; নাম বদলেও শেষ রক্ষা হলো না ২০১৩ সালে অনুমোদন পাওয়া চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকটির। ৬০ শতাংশ খেলাপি ঋণের দায় টানতে গিয়ে দুর্বল ব্যাংকের তালিকায় পড়া পদ্মা এবার একীভূত হলো শরিয়াভিত্তিক এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে।   সমঝোতা স্মারক সই শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ব্যাংক দুটি আজকে একীভূত হয়েছে। পদ্মা ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তাদের ভয়ের কিছু নেই। কারো চাকরি হারাবে না। পদ্মা ব্যাংকের কোনো গ্রাহকের কোনো ক্ষতি হবে না জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকিং কার্যক্রম আগের মতোই চলবে। দুটি ব্যাংক একত্রিত হওয়ার মধ্য দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হবে। তিনি আরও বলেন, এখন থেকে পদ্মা ব্যাংকের সকল গ্রাহকের দায়-দায়িত্ব এক্সিম ব্যাংকের। এক মাসের মধ্যে নাম পরিবর্তন করা হবে। পদ্মা নামে কিছুই থাকবে না।   এর আগে গত ১৪ মার্চ এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ব্যাংক দুটি একীভূতকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দুর্বল ব্যাংক একীভূত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক উদ্যোগের পর দুটি ব্যাংকের একীভূত হওয়ার এটিই প্রথম সিদ্ধান্ত। আর গত ১২ মার্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সাংবাদিকদের জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকগুলো নিজেরা একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। দরকার হলে মার্চের পর বাংলাদেশ ব্যাংক হস্তক্ষেপ করবে।
    যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে নিত্যপণ্যের দাম: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
     বাজারে নিত্যপণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, এজন্য সমন্বিতভাবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবাই মিলে সমন্বয় করবে বলে জানান তিনি।রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় রাজধানীর টিসিবি ভবনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর পণ্যের একটা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নিজস্ব জেলা, উপজেলা এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কমিটি আছে। আমরা সমন্বয় করে মনিটরিং শুরু করবো। প্রাইস ডিসকভারিটা হুট করে হয় না। আমাদের দায়িত্ব হবে উৎপাদক পর্যায়ে থেকে পাইকারি এবং পরে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত বাজার মনিটরিং করা এবং এটাকে এস্টাব্লিশ করা।বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস আপনি যখন যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করবেন, সঙ্গে সঙ্গে এটি বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। আগে এটা নির্ধারণ করা জরুরি ছিল। অনেকদিন ধরে আইনটা ছিল কিন্তু করা হয় নাই। এখন সমন্বিতভাবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিদপ্তর, ইউএনও, ডিসি সবাই মিলে সমন্বয় করবে। আশা করি এটা একটা যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে।তিনি আরও বলেন, আমরা যেখানে যাচ্ছি বাজার কমিটিকে নিয়ে বসছি, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসছি, তাদের উৎসাহিত করছি। তাদের সমস্যার সমাধান করে এটা (সঠিক দামে পণ্য বিক্রি) আমরা বাস্তবায়ন করছি। আমরা কোনো জায়গায় কোনো দোকান বন্ধ করে দিচ্ছি না বা তালাবদ্ধ করে দিচ্ছি না। যারা একেবারেই আইন মানছেন না যেমন পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে যখন বিক্রি করতে হবে তখন আপনাকে রিসিটটা রাখতে হবে। আপনি যখন পাইকারি চালান করবেন তখন আপনাকেও রিসিট দিতে হবে। এই জিনিসগুলোকে বলে একেবারে মিনিমাম কমপ্লায়েন্স। এই জিনিসগুলো না করলে আমরা শাস্তির আওতায় আনবো।এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্ত বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
    ২৯ নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার
    রমজান মাস উপলক্ষে মাছ-মাংসসহ ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এই দাম অনুযায়ী পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে কাজ করবে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কৃষি বিপণন আইনের ক্ষমতা বলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃষি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিম্নোক্ত দামে কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হলো।নতুন এ দাম তিনটি স্তরে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। একটি পণ্য উৎপাদক পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম, পাইকারি বাজারে এবং ভোক্তাপর্যায়ে খুচরা দাম কতো হবে সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে।নতুন বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী, পাইকারি বাজারে ছোলার দাম সর্বোচ্চ সাড়ে ৯৩ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৯৮ টাকা দরে বিক্রি করা যাবে। মসুর ডালের খুচরা পর্যায়ে দাম হবে ১৩০ টাকা ৫০ পয়সা এবং মোটা দানার মসুর বিক্রি হবে ১০৫ টাকা ৫০ পয়সায়। খেসারি ডালের খুচরায় সর্বোচ্চ দাম হবে ৯৩ টাকা। এছাড়া মাসকালাই ১৬৬ টাকা ৫০ পয়সা এবং মুগডাল খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ১৬৫ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।প্রতি কেজি গরুর মাংসের সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬৪ টাকা। এছাড়া ছাগলের মাংসের দাম ১ হাজার ৩ টাকা। আর মাছের মধ্যে চাষের পাঙাশের খুচরা দাম ১৮১ টাকা ও কাতলা মাছের দাম সর্বোচ্চ ৩৫৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা দরে কিনতে পারবেন ক্রেতারা। এ ছাড়া প্রতি পিস ডিমের দাম হবে সর্বোচ্চ সাড়ে ১০ টাকা।প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ টাকা এবং রসুন ১২০ টাকা ও আদা ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হবে। এ ছাড়া শুকনো মরিচের সর্বোচ্চ দাম হবে ৩২৭ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ৬০ টাকায় খুচরা বাজারে কিনতে পারবেন ক্রেতারা।অন্যদিকে, সবজির মধ্যে বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৩০ টাকা, প্রতিকেজি বেগুণ ও সিম ৫০ টাকা ও আলু সাড়ে ২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি টমেটো ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৪ টাকা খুচরা মূল্য বেঁধে দিয়েছে সংস্থাটি।অন্যদিকে, বাজারে প্রতি কেজি জাহেদী খেজুর ১৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সাগর কলার হালি খুচরায় ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া চিড়ার খুচরা দাম ৬০ টাকা, বেসন ১২১ টাকা বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।এফএস
    একীভূত হচ্ছে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক
     শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি বাণিজ্যিক এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ব্যাংকটির এক পরিচালক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আপাতত বেসরকারি পদ্মা ব্যাংককে আমাদের সঙ্গে মার্জার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই এটি অনুমতির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পর তা কার্যকর হবে।গত কয়েক বছর ধরে ধুঁকছে পদ্মা ব্যাংক। অবশেষে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে এটি। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকিং খাতে যা হবে  প্রথম একীভূতকরণ।আগামী সপ্তাহের প্রথমদিকে এক বৈঠকে ব্যাংক দুটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হবে। সেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার উপস্থিত থাকবেন। এরপরই একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, আসছে ডিসেম্বর পর্যন্ত দুর্বল ব্যাংকগুলো স্বেচ্ছায় একীভূত হতে পারবে। এক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে মার্চে সেগুলোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।সম্প্রতি ব্যাংকস হেলথ ইনডেক্স (বিএইচআই) অ্যান্ড হিট ম্যাপ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেড জোনে আছে পদ্মা ব্যাংক। আর ইয়েলো জোনে রয়েছে এক্সিম ব্যাংক।
    এবার চিনির দাম নির্ধারণ করে দিলো সরকার
    দেশে চিনির যথেষ্ট মজুত আছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বাজারে খোলা চিনির সর্বোচ্চ মূল্য ১৪০ টাকার বেশি হবে না। প্যাকেটজাত চিনির দামও ১৪৫ থেকে ১৪৬ টাকার বেশি হবে না। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) সম্পাদনের জন্য আলোচনা শুরুর বিষয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, রমজানে চিনির দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশে যথেষ্ট মজুত রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাজারে খোলা চিনির সর্বোচ্চ মূল্য ১৪০ টাকার বেশি হবে না। প্যাকেটজাত চিনির দামও ১৪৫ থেকে ১৪৬ টাকার বেশি হবে না।   এর আগে গত বছরের ১৩ আগস্ট সবশেষ চিনির দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। সেসময় বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছিল, প্রতি কেজি পরিশোধিত খোলা চিনি ১৩০ টাকা এবং প্রতি কেজি পরিশোধিত প্যাকেট চিনি ১৩৫ টাকায় বিক্রি হবে। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম ঊর্ধ্বমুখী। চিনি আমদানিতে ভারতের সঙ্গে কথা চলছে। দাম সব জায়গায়ই বেশি। তবে চিনির দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার চেষ্টা চলছে। রমজানে দেশের বাজারে নির্ধারিত দামেই চিনি বিক্রি হবে।’ বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ভারত- এ কথা জানিয়ে আহসানুল ইসলাম বলেন, দাম নিয়ে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশকে প্রতি টন পেঁয়াজ ৮০০ ডলারে দেয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বাধাগুলো চাইলেই সবকিছু নিরসন করা সম্ভব হয় না। তবে আমাদের উদ্যোগ, চেষ্টা ও চেষ্টার সফলতা আছে। পেঁয়াজ রফতানিতে মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে ভারত, তারপরেও তারা রাজি হয়েছে। সামনে তাদের দেশে নির্বাচন, সেটাও দেখতে হবে। তাদের ভোক্তা বাজার আছে, সেটা মাথায় রাখতে হবে।’   প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছু বিবেচনা করে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের অনুমোদন আমরা পেয়েছি। হয় আমরা সরকারিভাবে জি টু জি আনবো, অথবা আমাদের আমদানিকারকদের অনুমোদন দেব। যত দ্রুত সম্ভব বাজারে যাতে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা যায়, সেই চেষ্টা করবো।’ এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়ন সচিব তপন কান্তি ঘোষ প্রমুখ। এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোছা. ফুয়ারা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতি কেজি অতি সাধারণ বা নিম্নমানের খেজুরের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর বহুল ব্যবহৃত জিহাদি খেজুরের প্রতি কেজির দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
    অবশেষে খেজুরের দাম নির্ধারণ করে দিলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
    দেশে আমদানিকৃত খেজুরের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অতি সাধারণ বা নিম্নমানের খেজুরের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা। অন্যদিকে বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুরের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা।  সোমবার (১১ মার্চ) দেওয়া সার্কুলারে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এছাড়া মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়েও এ মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি জানানো হয়।চিঠিতে বলা হয়, দেশে আমদানিকৃত বিভিন্ন খেজুরের আমদানি মূল্য, আরোপিত শুল্ক ও করাদি এবং আমদানিকারকদের অন্যান্য খরচ বিশ্লেষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খেজুরের মানভিত্তিক যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। অতি সাধারণ বা নিম্নমানের খেজুর ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা, বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।নির্ধারিত মূল্যে খেজুর বিক্রির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এ চিঠির মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে।এর আগে গত ১০ মার্চ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান জানিয়েছিলেন, রোজদারদের স্বস্তি দিতে দুই- এক দিনের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জিহাদি খেজুরের দাম বেঁধে দেবে। পাশাপাশি আমদানিকারকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে নজরদারির মধ্যে রাখা হবে অন্যান্য খেজুরও।

    শিক্ষাঙ্গন

    সব দেখুন
    রাবির ভর্তি পরীক্ষায় 'কম নম্বর দেওয়ার' অভিযোগ ভিত্তিহীন
    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ সেশনে স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় 'এ' ইউনিটের প্রকাশিত ফলাফলে কোন ত্রুটি নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান সমন্বয়ক একরাম উল্যাহ। সোমবার সন্ধার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীনস কমপ্লেক্সে ভর্তিচ্ছুদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এই সমন্বয়ক বলেন, 'এ' ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে কোন প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি নেই। একটি শক্তিশালী বিশেষজ্ঞ টিমের প্রস্তুতকৃত ফলাফল যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলাফল নিয়ে প্রচারিত বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ভিত্তিহীন।তিনি আরো বলেন, ভর্তিচ্ছুদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে চার শিফটের চারটি খাতা পুনঃযাচাই করা হয়েছে। এতে প্রকাশিত ফলাফলের সঙ্গে কোন ত্রুটি পাওয়া যায়নি। ফলে প্রতি প্রশ্নের মান ১ ধরে ফলাফল প্রকাশ কিংবা প্রত্যাশার চেয়ে 'কম নম্বর' দেয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১.২৫ ধরে এবং প্রতি ভুলে ০.২৫ নম্বর কাটা হয়েছে। জানা গেছে, গত ১৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। কিন্তু ফল প্রকাশের পর 'কম নম্বর' দেয়ার অভিযোগ তোলেন ভর্তিচ্ছু শতাধিক শিক্ষার্থী। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা সমালোচনাও দেখা যায়। ফলে ফলাফল পুনঃমূল্যায়ণের দাবি জানিয়ে ইউনিট প্রধানের নিকট লিখিত অভিযোগপত্র দেন ভর্তিচ্ছুরা। তাছাড়া এই ইউনিটের দ্বিতীয় শিফটের একটি সেটে চারটি প্রশ্নে গড়মিল ছিল। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৬ মার্চ চার শিফট থেকে চারটি অভিযোগ নিয়ে পুনঃযাচাই করেন কর্তৃপক্ষ। যাচাই-বাছাই শেষে প্রকাশিত ফলাফলে কোন ভুল পাননি ইউনিটের ফল প্রস্তুতকারী বিশেষজ্ঞরা। অতি আত্মবিশ্বাসী ৪ ভর্তিচ্ছু ছাড়াও আরেকটি আবেদনকারীর উত্তরপত্র পুনঃযাচাই করা হয়। সেটাতেও কোন ত্রুটি পাওয়া যায়নি।  এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্চিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোর্শেদুল আরেফিন বলেন, ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র বাহিরের বিশেষজ্ঞ টিম আগে মূল্যায়ণ করে। সেই উত্তরপত্র প্রত্যেকটি আলাদাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা পুঃযাচাই করে। উভয়ের যাচাই-বাছাই শতভাগ মিল হলেই কেবল ফলাফল প্রস্তুত করা হয়। চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের আগে পুনরায় এলোমেলো নম্বর থেকে উত্তরপত্র বের করে বহুবার যাচাই-বাছাই চলে। সেক্ষেত্রে ন্যূনতম গরমিলও এড়িয়ে যাওয়া হয় না। তাছাড়া ১ ধরে নম্বর মূল্যায়ণ হলে শিফট ভিত্তিক প্রথম হওয়া পরীক্ষার্থীর সর্বোচ্চ নম্বর ৮০-এর বেশি হতো না। তিনি আরো বলেন, দ্বিতীয় শিফটের একটি সেটের চারটি প্রশ্ন গরমিল ছিল। সেই সেটে পরীক্ষা দেয়া শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র ৭৬ প্রশ্নত্তোরে মূল্যায়ণ করা হয়েছে এবং সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে প্রত্যেককে অতিরিক্ত ৫ নম্বর প্রদানও করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, ভর্তিচ্ছুদের প্রত্যাশা থাকা স্বাভাবিক কিন্তু সেই প্রত্যাশা অনুসারেই যে তারা নম্বর পাবে এমনটা সকল ক্ষেত্রে সঠিক না। কারণ প্রশ্নত্তোরে কনফিউশান সৃষ্টিই প্রতিযোগিতার পরীক্ষার মূল বৈশিষ্ট্য। তবে যাচাই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে কিন্তু সেখানে ত্রুটি না থাকলে সেই সমালোচনা যথাযথ নয়। তবে ভর্তিচ্ছুদের এমন বিতর্কের পেছনে কোন কুচক্রী মহলের হাত থাকতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।এফএস
    মীমের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তার প্রতিটি বিষয় দেখবো: জবি উপাচার্য
    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষক আবু সাহেদ ইমনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন একই বিভাগের ছাত্রী কাজী ফারজানা মীম। তাকে বিভিন্নভাবে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।  সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে এসে শিক্ষার্থী এ অভিযোগ করেন।অভিযোগের বিষয়ে এদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘মীমের অভিযোগের বিরুদ্ধে আমরা তখন অভিযোগ জমা দিয়েছিলাম কিন্তু পরবর্তীতে তা আগায়নি। অভিযুক্ত শিক্ষকের করা রিট সুপ্রিম কোর্টে থেকে খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি ছুটি না নিয়েও বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে দুইটি তদন্ত কমিটির তদন্তের কাজ চলমান। আমার নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও সকল ডিন ওই বিভাগে চেয়ারম্যানের সঙ্গে মিটিং করেছে। মীম যাতে পরীক্ষা দিতে পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ফারজানা মীমের প্রতিটি বিষয় আমরা দেখবো।’এর আগে অভিযোগ দেওয়া শেষে বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাজী ফারজানা মীম বলেন, আমার বিভাগের শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন আমাকে যৌন হেনস্তা করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন আমাকে সেটি তুলে নিতে নানাভাবে চাপ দিতে থাকেন। এতে আমি রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে হাত-পা কেটে হত্যা করাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। আমাকে এক ঘরে করে দেওয়া হয়। আমাকে বিভিন্ন পরীক্ষায় শূন্য শূন্য নম্বর দিয়ে ফেল করানো হয়। আমার অনার্সের ফাইলান ভাইবায় আমাকে ফেল করানো হয়।তিনি বলেন, ২০২১ সালে আবু সাহেদ ইমন তাকে যৌন হেনস্তা করেন। এ বিষয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলে তার জীবনে নেমে আসে নানা নির্যাতনের খড়গ। সম্প্রতি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় যৌন হয়রানি ও নানা নিপীড়নের বিরুদ্ধে এই শিক্ষার্থী সোচ্চার হন। সেখানেই অবন্তিকার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে নিজের প্রসঙ্গও আসে। গণমাধ্যমে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন।অভিযোগের বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা মীমের অভিযোগ পেয়েছি। তার নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা নিশ্চিতের চেষ্টা করব। তাকে হুমকি-ধামকি দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে আমাদের সাইবার টিম।এফএস
    হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন
    অবশেষে হাইকোর্টের রায়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার।  হাইকোর্টের রায়ের পর সোমবার (১৮ মার্চ) যবিপ্রবি রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ড. শিরিন নিগারকে এই দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ড. শিরিন নিগার জানিয়েছেন, এই রায় ও রায়ের বাস্তবায়ন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিজয়ের মাইলফলক হয়ে থাকবে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ডিন হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়েছে।অফিস আদেশে বলা হয়েছে, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন নিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন এর রিট পিটিশন নং-৯৯৮২ এর ২০২৩ এর পরিপ্রেক্ষিতে বাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার-এট-ল মোস্তফা গোলাম কিবরিয়া কর্তৃক প্রদত্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে হাইকোর্টের রায় সংক্রান্ত প্রত্যয়নের প্রেক্ষিতে পুষ্টি ও খাদ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. শিরিন নিগারকে২০২৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পূর্বাহ্ন হতে পরবর্তী দুই বছরের জন্য ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিনের দায়িত্ব প্রদান করা হলো। হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে রিট পিটিশন দাখিলকারী ড. শিরিন নিগারের আইনজীবী অ্যাড. মোস্তফা গোলাম কিবরিয়া জানান, গতবছর ২৩ জুলাই যবিপ্রবির ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন হিসেবে পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের ড. মাহফুজুর রহমানকে নিয়োগ করে রেজিস্ট্রার দফতর চিঠি ইস্যু করে। কিন্তু বিধান অনুযায়ী, ডিন নিয়োগ পাওয়ার কথা পুষ্টি ও খাদ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. শিরিন নিগারের। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ডিন নিয়োগ দেয়ায় ড. শিরিন নিগার যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু কোনো জবাব না পেয়ে গত ৭ আগস্ট তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন।গত ১০ আগস্ট হাইকোর্টে তার রিটের শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত রুল জারি করেন। রিটের আদেশে আদালত ‘ড. মাহফুজুর রহমানের ডিন নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তা বাতিলপূর্বক ড. শিরিন নিগারকে কেন ডিন নিয়োগের নির্দেশ দেয়া হবে না’ এর জবাব দেয়ার নির্দেশ দেন।যবিপ্রবির জবাবের পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মো. বজলুর রহমান যবিপ্রবি ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন হিসেবে ড. মাহফুজুর রহমানের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করেন এবং ডিন হিসেবে ড. শিরিন নিগারকে নিয়োগের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এই রায়ের প্রত্যয়ন হওয়ার পর ১৮ মার্চ যবিপ্রবি রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ড. শিরিন নিগারকে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।ডিন হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার বলেন, আমি আদালতে ন্যায়বিচার পেয়েছি। মহামান্য হাইকোর্টের দেয়া রায়ে আমি খুবই খুশি। এই রায় ও রায়ের বাস্তবায়ন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিজয়ের মাইলফলক হয়ে থাকবে। আশা করি ভবিষ্যতে  বিশ্ববিদ্যালয় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে এবং কখনো কোন শিক্ষককে অধিকার আদায়ের জন্য  আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে না। আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ডিনের দায়িত্ব প্রদান করায় যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।এমআর
    জাবির নতুন প্রক্টর হলেন ড. আলমগীর কবির
    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নতুন প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির।সোমবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে তাঁকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের লিখিত অনুরোধের প্রেক্ষিতে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবিরকে সাময়িক ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হলো। তিনি প্রচলিত নিয়মে সুবিধাদি ভোগ করবেন।এমআর

    তথ্য-প্রযুক্তি

    সব দেখুন
    ফাইভজির লাইসেন্স পেল গ্রামীণফোন, রবি ও টেলিটক
     ফাইভ জি চালুর দিকে এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশের ৩ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি ও টেলিটক। তবে অনুমোদন পায়নি বাংলালিংক। সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ৩ অপারেটরকে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা দেয়ার পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তি ফাইভ জির একীভূত (ইউনিফাইড) লাইসেন্স দেয়া হয়। বিদেশে দুই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলালিংকের মূল কোম্পানি ভিওনের মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের (পিএসআই) কারণে বাংলালিংকের পর্ষদ সভায় লাইসেন্সের আবেদন করার বিষয়টি অনুমোদন করা হয়নি। যে কারণে অন্যতম এ অপারেটর এ যাত্রায় লাইসেন্স পায়নি। দ্রুতই এ বিষয়ে আবেদন করার কথা এদিন রাতে এক বার্তায় জানিয়েছে অপারেটরটি।বিটিআরসির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, একীভূত বা ইউনিফাইড লাইসেন্স পাওয়ার পর অপারেটরগুলোর ফাইভ জি বা এর চেয়ে উন্নততর প্রযুক্তির তারবিহীন সেবা দিতে আর কোনো লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না। একই সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদী এই লাইসেন্সের আওতায় অপারেটরগুলোকে পৃথকভাবে টুজি, থ্রিজি, ফোর জি বা ফাইভ জির লাইসেন্স নিতে হবে না। বর্তমানে দেশে ফোর জি প্রজন্মের তারবিহীন সেবা দিচ্ছে অপারেটরগুলো। এর আগে ফাইভ জির প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও অপারেটরগুলোর দিক থেকে।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, একীভূত লাইসেন্সে ফাইভজির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত তরঙ্গের প্রাপ্যতা ও ‘ব্যাকহল ফাইবারের’ পাশাপাশি ‘পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ ব্যবহারের অনুমতি, অফশোর ক্লাউড সুবিধা, ‘রোল আউট’ বাধ্যবাধকতা ও নেটওয়ার্ক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া হয়। ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনের প্রধান সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ লাইসেন্স হস্তান্তর করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ‘রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং’ নীতিমালার আলোকে অপারেটরগুলোকে ‘সেলুলার মোবাইল সার্ভিসেস অপারেটর লাইসেন্স’ এবং ‘রেডিও কমিউনিকেশন্স অ্যাপারেটাস লাইসেন্স ফর সেলুলার মোবাইল সার্ভিসেস’ এর আওতায় এই একীভূত লাইসেন্স দেয়া হয়।  
    স্মার্টফোন কাছে না থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ-তরুণীর ভালো সময় কাটে
     যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি চারজন তরুণ-তরুণীদের মধ্যে তিনজনই (৭৫ শতাংশ) বলছেন, স্মার্টফোন কাছে না থাকলেই তারা শান্তিতে সময় কাটাতে পারেন। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ওপর ডিজিটাল মিডিয়ার প্রভাব কতটা গুরুতর তা নির্ণয়ে এ ধরনের জরিপ পরিচালনা করা হয়। খবর আল জাজিরা। তবে সোমবার (১১ মার্চ) পিউ গবেষণা কেন্দ্রের প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, স্মার্টফোনের বিকল্প থাকা সত্ত্বেও মাত্র ৩৬ শতাংশ তরুণ-তরুণী স্মার্টফোন ছেড়েছেন। সর্বমোট ৩৮ শতাংশ কিশোর-কিশোরী স্মার্টফোন ব্যবহারে অধিক সময় ব্যয় করার কথা জানিয়েছে। তবে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে ৩৯ শতাংশ কিশোর-কিশোরী বলছে তারা এর ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছে। তবে ২৭ শতাংশ এর ব্যবহার অতিমাত্রায় করছে বলে জরিপে উঠে এসেছে। জরিপে বলা হয়েছে, যখন কিশোর-কিশোরীরা ডিভাইস ছাড়া থাকে তখন তারা খারাপ চিন্তা বেশি করেন। ১০ জন কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ৪ জন বলছেন তাদের কাছে যখন ফোন না থাকে তখন তারা ভয় অনুভব করে। এ ছাড়া হতাশাও থাকে। গেল বছর যুক্তরাষ্ট্রের ৪০টি দেশে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মালিক মেটার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় বলা হয়, এই প্লাটফর্মগুলাতে আসক্তি তৈরির করার ফিচার যুক্ত করে কিশোর-কিশোরীদের আকৃষ্ট করা হয়। এর ফলে তাদের স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। 
    লোহিত সাগরের নীচে তার কাটা, ইন্টারনেট বন্ধের শঙ্কা
     লোহিত সাগরের নীচে ৪টি প্রধান টেলিকম নেটওয়ার্কের তার কেটে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে, উল্লেখযোগ্য ব্যাঘাত ঘটছে এশিয়া, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের টেলিকমিউনিকেশন এবং ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে। ইন্টারনেট বন্ধের শঙ্কায় রয়েছেন অনেকেই।সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এর তথ্য অনুযায়ী, লোহিত সাগরের নীচে ৪টি প্রধান টেলিকম নেটওয়ার্কের তার কেটে দেওয়ার ফলে উল্লেখযোগ্য ব্যাঘাত ঘটছে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের। প্রায় এক চতুর্থাংশ ইন্টারনেট ট্রাফিক অন্য পথে সরবরাহকারী সংস্থাগুলোতে নিয়ে যেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে হংকংয়ের টেলিকম সংস্থা এইচজিসি গ্লোবাল কমিউনিকেশনস। এশিয়া এবং ইউরোপের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের ২৫ শতাংশ ট্রাফিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তাদের অনুমান। দক্ষিণ আফ্রিকার সংস্থা ‘সিকম’ এর তারও কাটা পড়েছে। তারা জানিয়েছে, মেরামতের কাজ শুরু করতে কমপক্ষে আরও ১ মাস লাগবে। কারণ মধ্যপ্রাচ্যে এই ধরনের কাজ করতে গেলে অনেক অনুমতি নিতে হয়। সেজন্যই সময় বেশি লাগবে। ইয়েমেনের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই বিষয়ে অনুমতি পেতে ৮ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। ততদিন পর্যন্ত বিকল্প পথেই চালু থাকবে ইন্টারনেট।কে বা কারা এই তার কেটেছে তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। লোহিত সাগরের নীচে তারের ক্ষতির জন্য ইসরায়েল হুথিদের দায়ী করছে। তাদের দাবি, ইসরায়েলের মিত্রপক্ষের জাহাজগুলোর ওপর লাগাতার হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এই জলপথে, হামলার মুখে পড়ছে একের পর এক বাণিজ্যিক জাহাজ। যার জেরে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সরবরাহের শৃঙ্খলা ব্যাহত হয়েছে। তবে ওই এলাকায় মোতায়েন করা ব্রিটিশ ও মার্কিন সামরিক বাহিনীর ওপর এই ক্ষতির দায় চাপিয়েছে হুথিরা। হুথি নেতা আবদেল মালেক আল-হুথি জানিয়েছেন, ইন্টারনেট সরবরাহকারী এই তারগুলোকে নিশানা করার কোন ইচ্ছা তাদের নেই।এমএইচ
    এক ঘণ্টায় ফেসবুক বন্ধে কত ক্ষতি হলো জাকারবার্গের
    মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে হঠাৎ করে মেটা দ্বারা পরিচালিত প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, থ্রেড এবং মেসেঞ্জার সাময়িক সার্ভার ত্রুটির কারণে এক ঘণ্টার বেশি সময় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। তবে রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে পুনরায় অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারেন ব্যবহারকারীরা। এই এক ঘণ্টায় প্রতিষ্ঠানটির কতটা ক্ষতি হয়েছে তা জানা গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, থ্রেড এবং মেসেঞ্জার এক ঘণ্টা বন্ধ থাকায় মেটার শেয়ারের দামও ১.৫ শতাংশ কমে গেছে। একই সঙ্গে এর কারণে মার্ক জাকারবার্গ প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার রাজস্ব হারিয়েছেন।এর আগে ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ডাউন ডিটেকটরের গ্রাফে দেখানো হয়েছিল, রাত ৯টা থেকে ৯টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত ৩ লাখ ৫২ হাজার ২৯ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন তারা ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।ব্যবহারকারীরা জানান, রাত ৯টার পর হঠাৎ করেই তাদের ফেসবুক আইডি লগআউট হয়ে গেছে। শুধু মুঠোফোন ব্যবহারকারীরা নয়, কম্পিউটারে ফেসবুক ব্যবহারকারীরাও একই সমস্যায় পড়েছেন। অনেকে পুনরায় লগিন হওয়ার চেষ্টা করলে পাসওয়ার্ড ভুল দেখায়। কেউ কেউ পাসওয়ার্ড রিসেট করার পরও লগিন হতে পারেননি। ফেসবুকে প্রবেশ করতে না পেরে ব্যবহারকারীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। রাত ১০টার দিকে থ্রেডসে এক বার্তায় মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সবাইকে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে বলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেসবুকের সমস্যা দূর হয়।এদিকে সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক জেনিফার আলম বলেন, সারা পৃথিবীতে এই সমস্যা হচ্ছিল। অ্যাকাউন্ট লগ–আউট হয়ে যাওয়া, দ্বিস্তরের যাচাই পদ্ধতি (টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন) কাজ করছে না ইত্যাদি সমস্যা দেখা যাচ্ছে।এই অবস্থায় ব্যবহারকারীদের কিছু বিষয়ে সচেতন থাকতে পরামর্শ দেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তারা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কিছু কাজ করতে নিষেধ করেন।তারা বলছেন, এখন ফেসবুক পেইজে ফরগেট পাসওয়ার্ডে ক্লিক না করা। ফেসবুক অ্যাপ আনইন্সটল করা যাবে না। এছাড়া বারবার টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের কোড না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি অ্যাপের ডেটা ক্লিয়ার না করার পরামর্শ দিয়েছেন।
    কারও ফেসবুক হ্যাক হয়নি, আতঙ্কিত হবেন না : পুলিশ
    ফেসবুক হঠাৎ করে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা কেউ ফেসবুকে লগইন করতে পারছেন না। হঠাৎ ফেসবুকে ঢুকতে না পেরে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাদের আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ করেছেন ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এসপি মো. নাজমুল ইসলাম।ফেসবুকের বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এ কথা জানান। মঙ্গলবার রাতে এ বিষয়ে একটি ভিডিও বার্তা দেন এসপি নাজমুল।ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ফেসবুকের কার্যক্রম বর্তমানে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এবং সিঙ্গাপুরের ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে— সমস্যার সমাধানে তারা কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।তিনি আরও বলেন, এটা সম্পূর্ণ ফেসবুকের কারিগরি সমস্যা, কেউ আতঙ্কিত হবেন না। এতে ফেসবুক অ্যাকাউন্টধারী বা ফেসবুক অ্যাপের কোনো ত্রুটি নেই। পাসওয়ার্ড বা আর্থিক কোনো বিষয়েও সংশ্লিষ্টতা নেই। আপনার ফেসবুক হ্যাক হয়নি, তাই কেউ আতঙ্কিত  হবেন না। শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।এফএস
    সচল হয়েছে ফেসবুক
    সাময়িক সার্ভার ত্রুটির পর আবারও সচল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। প্রায় ১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রাম সচল হয়।মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে একযোগে ফেসবুক লাগ-আউট এবং সেশন আউট হয়ে যায় বলে অনেকে জানিয়েছেন। এরপর রাত ১০টা ২৩ মিনিটে আবারও সচল হয় ফেসবুক। তবে কী কারণে এমন সমস্যা তৈরি হয়েছে তা জানা যায়নি। ফেসবুকের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। এদিকে সচল হওয়ার পর থেকে ফেসবুক বন্ধ হওয়া নিয়ে একের পর এক পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ আবার হাসি ঠাট্টাও করছেন।এফএস

    আইন-আদালত

    সব দেখুন
    পিটার হাসকে সতর্ক করে যা বললেন হাইকোর্ট
      ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বা অন্য কোনো বিদেশি ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলতে পারেন না বলে শতর্ক করেছে হাইকোর্ট।আদালত বলেছে, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে কূটনীতিকদের আরো বেশি সতর্ক থাকা উচিত।সোমবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।সম্প্রতি পিটার হাস বলেছেন, ‘ড. ইউনূস এবং তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এ মামলাগুলো বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে বলে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’পিটার হাসের এ বক্তব্য আদালত অবমাননা উল্লেখ করে বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।তখন হাইকোর্ট তার কাছে জানতে চান, কোনো রাষ্ট্রদূত যদি বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আদালত অবমাননামূলক বক্তব্য দেন সেক্ষেত্রে আদালত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে কি না?তখন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আদালত কোনো রাষ্ট্রদূত বা কূটনীতিকের বিরুদ্ধে কনটেম্পট প্রসিডিং ড্র করতে পারেন না এবং তলব করতে পারেন না। তবে পর্যবেক্ষণ দিতে পারেন।এরপর আদালত বলেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে কূটনীতিকদের সতর্ক থাকা উচিত।সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের অফিসিয়াল পেজে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস ড. ইউনূসকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেয়। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ও অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের আতিথেয়তা করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।আরও লেখা হয়, ড. ইউনূস এবং তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এ মামলাগুলো বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে বলে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

    প্রবাস

    সব দেখুন
    মালয়েশিয়ায় বিয়ামের সভাপতি চাঁদপুরের ফাইয়াজ
    মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি তরুণদের সংগঠন 'বাংলাদেশি অ্যালায়েন্স মালয়েশিয়া (বিয়াম)' এর অফিসিয়াল যাত্রা শুরু হয়েছে।চাঁদপুরের এসএম ফাইয়াজ আলমকে সভাপতি ও তওফিকুর রহমান মাহফুজকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়য়।গত ১৬ ইং মার্চ (শনিবার) মাহসা ইউনিভার্সিটির এম্পাথি অডিটোরিয়ামে এই কমিটি ঘোষণা করেন বিয়ামের সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট বশির ইবনে জাফর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশের হাইকমিশনার মু শামীম আহসান।প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকমিশনার বলেন, তরুণদের প্রতি আমাদের দেশের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। আশাকরি বিয়ামের এই অগ্রযাত্রা আমাদের প্রত্যাশা পূরণে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ডিন ডক্টর তানশ্রি ইমান ফারসি, ইনিভার্সিটির পূত্রা মালয়েশিয়ার সিনিয়র প্রভাষক ডক্টর আরজিলায়াতি মুহাম্মদ ইউনুস ও মাহসা স্টুডেন্ট সেন্ট্রালের হেড, মিস জেনিফার ফার্নান্ডেজ প্রমুখ।এমআর

    লাইফস্টাইল

    সব দেখুন
    ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
    ত্বকে নানা কারণেই দাগ পড়তে পারে। বলা বাহুল্য, এই দাগ কারোই কাঙ্ক্ষিত নয়। ত্বকের দাগ যে কারও আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে, সেইসঙ্গে সৌন্দর্যের তো ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়ত্বকে নানা কারণেই দাগ পড়তে পারে। বলা বাহুল্য, এই দাগ কারোই কাঙ্ক্ষিত নয়। ত্বকের দাগ যে কারও আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে, সেইসঙ্গে সৌন্দর্যের তো হানি ঘটেই। অনেকে ত্বকের দাগ দূর করার জন্য বাজার থেকে কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী কিনে আনেন। কিন্তু সেসব ব্যবহারে সাময়িক মুক্তি মিললেও পরবর্তীতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এর বদলে ঘরোয়া উপায় বেছে নেওয়াই উত্তম। চলুন জেনে নেওয়া যাক ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া প্যাক তৈরি ও তা ব্যবহারের উপায়-অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ দুটি উপাদান হলো হলুদ এবং মধু। এই দুই উপাদান ত্বকের দাগ কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। স্ক্রাব তৈরি করার জন্য এক চা চামচ মধুতে ২ চিমটি হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর সেই পেস্ট নিয়ে হালকা হাতে মুখে ম্যাসাজ করতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে পরিষ্কার পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলে মুখের দাগ দূর হবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে দ্রুতই।ত্বকের দাগ দূর করার ক্ষেত্রে আরেকটি কার্যকরী উপাদান হলো লেবুর রস। তবে লেবুর রস কখনো সরাসরি মুখে ব্যবহার করবেন না। এর সঙ্গে কোনো না কোনো উপাদান মিশিয়ে তারপর ব্যবহার করবেন। এক চামচ চিনির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর মিশ্রণটি এক-দেড় মিনিট মুখে স্ক্রাব করতে হবে। এতে ত্বক এক্সফোলিয়েট হয় এবং দাগ কমে আসে।আরও কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে যা ত্বকের দাগ কমাতে কাজ করে। দাগের উপর আলুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এতে উপকার পাবেন। কারণ আলুর রসের ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য ত্বকের দাগ হালকা করে। আবার অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে হলুদ মিশিয়েও ব্যবহার করলেও দাগ হালকা হতে থাকে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অ্যালোভেরা ও হলুদ মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ভালো করে মুছে নিন। এতে দাগমুক্ত উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া সহজ হবে।দাগ কমাতে প্রতিদিন মুখে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে  পারেন। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ব্রাউন সুগার মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিতে পারেন। আপনি চাইলে বাড়িতে থাকা কফির গুঁড়া ও মধু দিয়েও পেস্ট তৈরি করে মুখে ঘষে নিতে পারেন। এটি মুখের উপরের মৃত ত্বকের কোষ দূর করে। যে কারণে ত্বক উজ্জ্বল হয়।এমআর ঘটেই। অনেকে ত্বকের দাগ দূর করার জন্য বাজার থেকে কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী কিনে আনেন। কিন্তু সেসব ব্যবহারে সাময়িক মুক্তি মিললেও পরবর্তীতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এর বদলে ঘরোয়া উপায় বেছে নেওয়াই উত্তম। চলুন জেনে নেওয়া যাক ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া প্যাক তৈরি ও তা ব্যবহারের উপায়-অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ দুটি উপাদান হলো হলুদ এবং মধু। এই দুই উপাদান ত্বকের দাগ কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। স্ক্রাব তৈরি করার জন্য এক চা চামচ মধুতে ২ চিমটি হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর সেই পেস্ট নিয়ে হালকা হাতে মুখে ম্যাসাজ করতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে পরিষ্কার পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলে মুখের দাগ দূর হবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে দ্রুতই।ত্বকের দাগ দূর করার ক্ষেত্রে আরেকটি কার্যকরী উপাদান হলো লেবুর রস। তবে লেবুর রস কখনো সরাসরি মুখে ব্যবহার করবেন না। এর সঙ্গে কোনো না কোনো উপাদান মিশিয়ে তারপর ব্যবহার করবেন। এক চামচ চিনির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর মিশ্রণটি এক-দেড় মিনিট মুখে স্ক্রাব করতে হবে। এতে ত্বক এক্সফোলিয়েট হয় এবং দাগ কমে আসে।আরও কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে যা ত্বকের দাগ কমাতে কাজ করে। দাগের উপর আলুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এতে উপকার পাবেন। কারণ আলুর রসের ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য ত্বকের দাগ হালকা করে। আবার অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে হলুদ মিশিয়েও ব্যবহার করলেও দাগ হালকা হতে থাকে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অ্যালোভেরা ও হলুদ মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ভালো করে মুছে নিন। এতে দাগমুক্ত উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া সহজ হবে।দাগ কমাতে প্রতিদিন মুখে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে  পারেন। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ব্রাউন সুগার মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিতে পারেন। আপনি চাইলে বাড়িতে থাকা কফির গুঁড়া ও মধু দিয়েও পেস্ট তৈরি করে মুখে ঘষে নিতে পারেন। এটি মুখের উপরের মৃত ত্বকের কোষ দূর করে। যে কারণে ত্বক উজ্জ্বল হয়।এমআর

    Loading…