এইমাত্র
  • ২৭ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া শাহীদা ফিরে এলেন বাড়িতে
  • নাজিরপুরে ট্রাক চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যু
  • তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন চলবে, থাকবে বৃষ্টিও
  • বিলুপ্তির পথে গ্রামীণ জনপদের সেই ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি
  • ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২
  • ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৩
  • ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১১
  • পশ্চিমবঙ্গের ৭ জায়গায় তাপমাত্রা ছাড়াল ৪০ ডিগ্রি
  • নিজেদের রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস হায়দ্রাবাদের
  • জানা গেল কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ
  • আজ মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৬ এপ্রিল, ২০২৪
    পশ্চিমবঙ্গের ৭ জায়গায় তাপমাত্রা ছাড়াল ৪০ ডিগ্রি
    ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাত জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কোথাও তাপমাত্রা উঠেছে ৪২ ডিগ্রির বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড়ে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে।অধিদপ্তর জানায়, পানাগড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পানাগড় ছাড়াও আরও ছয় জায়গায় দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছিল। মেদিনীপুরে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বর্ধমানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ব্যারাকপুর ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাঁকুড়ায় ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কলাইকুণ্ডায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনের তাপমাত্রা। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুষ্ক পশ্চিমা এবং উত্তর-পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। ১৫ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে। আগামী চার-পাঁচ দিন পশ্চিমবঙ্গে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে।
    এমভি আবদুল্লাহতে এখন দেওয়া হলো কাঁটাতারের বেস্টনি
    সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে দীর্ঘ ৩৩ দিন বন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। মুক্ত হওয়ার পর ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি বিশেষ নিরাপত্তায় দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের পথে রওনা দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নৌবাহিনীর দু’টি যুদ্ধজাহাজ কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে এমভি আবদুল্লাহকে দুবাইয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নেওয়ার ছবি প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।ছবিতে দেখা যায়, এগিয়ে চলছে এমভি আবদুল্লাহ। তার দুই পাশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। এ সময় তিনটি দ্রুতগতির নৌযানকেও টহল দিতে দেখা যায়।এদিকে জানা গেছে, যাত্রা শুরুর আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে সেই এমভি আবদুল্লাহর। জাহাজের চারপাশে দেওয়া হয়েছে কাঁটাতারের বেস্টনি। অন্য কোন জলদস্যু গ্রুপ যাতে জাহাজটি ফের আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য এমন নিরাপত্তা বেস্টনি তৈরি করা হয়েছে জাহাজটিতে। এছাড়া নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে জাহাজটির ডেকে ফায়ার হোস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আবার কোনো বিপদ হলে নাবিকেরা যাতে জাহাজে সুরক্ষিত স্থানে লুকাতে পারেন, সে জন্য জাহাজের গোপন কুঠুরি ‘সিটাডেল’ ও প্রস্তুত রাখা হয়েছেবিষয়টি স্বীকার করে কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বলেন, ‘সোমালিয়ার যে উপকূল থেকে নাবিকরা আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল সেটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছিল। এজন্য আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। কাঁটাতারের বেস্টনি যুক্ত করেছি’।অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কাঁটাতারের এই মজুদ জাহাজেই ছিলো। আমাদের সব জাহাজে এমন প্রস্তুতি থাকে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা অতিক্রমের সময় আমরা সেটা ব্যবহার করি।’ তাহলে জলদস্যু আক্রান্ত হওয়ার সময় ব্যবহার করেননি কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে কেএসআরএম গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, ‘আমাদের জাহাজ তখন হাইরিস্ক এরিয়ার বাইরে ছিল। সোমালিয়ার উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল রিস্কি এলাকা। তখন আমরা ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিলাম। তাই আর্ম গার্ড নেইনি আমরা।’ গত রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনেও অভিন্ন কথা বলেন তিনি।কেএসআরএমের আগ্রাবাদস্থ প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সেই সংবাদ সম্মেলনে শাহরিয়ার জাহান রাহাত আরও জানান, জাহাজটি দুবাই পৌঁছানোর পর সেটি চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হবে। সাধারণত দস্যুরা মালিকপক্ষকে টার্গেট করে বেশি স্বার্থ হাসিল করতে চায়। তাই আমরা তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে আলোচনা শুরু করি এবং সফল হই।তিনি আরও বলেন, জাহান মণি জাহাজ জলদস্যুর কবলে পড়ার ১৪ বছর পর দুর্ভাগ্যবশত একই ঘটনা ঘটল। 

    জাতীয়

    সব দেখুন
    এমভি আবদুল্লাহতে এখন দেওয়া হলো কাঁটাতারের বেস্টনি
    সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে দীর্ঘ ৩৩ দিন বন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। মুক্ত হওয়ার পর ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি বিশেষ নিরাপত্তায় দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের পথে রওনা দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নৌবাহিনীর দু’টি যুদ্ধজাহাজ কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে এমভি আবদুল্লাহকে দুবাইয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নেওয়ার ছবি প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।ছবিতে দেখা যায়, এগিয়ে চলছে এমভি আবদুল্লাহ। তার দুই পাশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। এ সময় তিনটি দ্রুতগতির নৌযানকেও টহল দিতে দেখা যায়।এদিকে জানা গেছে, যাত্রা শুরুর আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে সেই এমভি আবদুল্লাহর। জাহাজের চারপাশে দেওয়া হয়েছে কাঁটাতারের বেস্টনি। অন্য কোন জলদস্যু গ্রুপ যাতে জাহাজটি ফের আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য এমন নিরাপত্তা বেস্টনি তৈরি করা হয়েছে জাহাজটিতে। এছাড়া নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে জাহাজটির ডেকে ফায়ার হোস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আবার কোনো বিপদ হলে নাবিকেরা যাতে জাহাজে সুরক্ষিত স্থানে লুকাতে পারেন, সে জন্য জাহাজের গোপন কুঠুরি ‘সিটাডেল’ ও প্রস্তুত রাখা হয়েছেবিষয়টি স্বীকার করে কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বলেন, ‘সোমালিয়ার যে উপকূল থেকে নাবিকরা আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল সেটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছিল। এজন্য আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। কাঁটাতারের বেস্টনি যুক্ত করেছি’।অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কাঁটাতারের এই মজুদ জাহাজেই ছিলো। আমাদের সব জাহাজে এমন প্রস্তুতি থাকে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা অতিক্রমের সময় আমরা সেটা ব্যবহার করি।’ তাহলে জলদস্যু আক্রান্ত হওয়ার সময় ব্যবহার করেননি কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে কেএসআরএম গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, ‘আমাদের জাহাজ তখন হাইরিস্ক এরিয়ার বাইরে ছিল। সোমালিয়ার উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল রিস্কি এলাকা। তখন আমরা ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিলাম। তাই আর্ম গার্ড নেইনি আমরা।’ গত রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনেও অভিন্ন কথা বলেন তিনি।কেএসআরএমের আগ্রাবাদস্থ প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সেই সংবাদ সম্মেলনে শাহরিয়ার জাহান রাহাত আরও জানান, জাহাজটি দুবাই পৌঁছানোর পর সেটি চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হবে। সাধারণত দস্যুরা মালিকপক্ষকে টার্গেট করে বেশি স্বার্থ হাসিল করতে চায়। তাই আমরা তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে আলোচনা শুরু করি এবং সফল হই।তিনি আরও বলেন, জাহান মণি জাহাজ জলদস্যুর কবলে পড়ার ১৪ বছর পর দুর্ভাগ্যবশত একই ঘটনা ঘটল। 
    দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে ২ মে
    দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসবে আগামী ২ মে।সোমবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ২ মে বিকেল ৫টায় ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আহ্বান করেছেন।এর আগে, দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ৩০ জানুয়ারি। শেষ হয় ৫ মার্চ। ২২টি কার্যদিবসের এই অধিবেশনে দুটি বিল পাস হয়। এফএস
    পহেলা বৈশাখকে অস্বীকারকারীরা দেশের ইতিহাসকেই অস্বীকার করে: কাদের
     পহেলা বৈশাখকে যারা অস্বীকার করে তারা মূলত বাঙালি সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের জন্মের ইতিহাসকে অস্বীকার করে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিএনপির কোনো ভূমিকা ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাঙালি সংস্কৃতির চেতনা- এসব নিয়ে তারা ইতিবাচক রাজনীতি করবে, এটা আমরা মনে করি না। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম হয়েছে, রক্ষা করার জন্য নয়।মির্জা ফখরুলকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মী বন্দী বলছেন, তাদের তালিকা প্রকাশ করুন। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চান। ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের জনগণ বিএনপির আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়নি। ভবিষ্যতেও তারা আন্দোলন করতে পারবে না। আন্দোলনের শক্তি-সামর্থ্য তারা হারিয়ে ফেলেছে।নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রমজানে সরকারের বেশকিছু কার্যক্রম চলমান ছিল। বর্তমানে তা চালু থাকবে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতদিন জনগণের প্রয়োজন থাকবে, ততদিন জনস্বার্থে এই প্রোগ্রাম থাকবে।ব্রিফিংকালে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এমএইচ
    ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণে ছাড়া পেল এমভি আবদুল্লাহ
     বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এবং জিম্মি ২৩ নাবিককে ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণের বিনিময়ে সোমালিয়ার জলদস্যুরা মুক্তি দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৫৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।দুই সোমালি জলদস্যুর বরাতে রোববার এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এর আগে, মুক্তিপণ দিয়ে সোমালিয়ায় জিম্মি নাবিক ও জাহাজ মুক্ত করা হয়েছে, এমন তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।রোববার সকালে মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক চাপ ও সমঝোতার মাধ্যমেই এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করা হয়েছে।এদিকে, রয়টার্সকে আবদিরাশিদ ইউসুফ নামে এক জলদস্যু বলেছেন, দুই রাত আগে টাকাগুলো আমাদের কাছে আনা হয়। এরপর সেগুলো জাল কি না তা আমরা পরীক্ষা করে দেখি। এরপর আমরা টাকাগুলো দলের মধ্যে ভাগ করে সরকারি বাহিনীকে এড়িয়ে চলে যাই।ওই দস্যু জানান, সব নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অবশ্য এ ঘটনায় মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের আহ্বানে সাড়া দেয়নি সোমালি সরকার।স্থানীয় সংবাদমাধ্যম পান্টল্যান্ড পোস্ট বলেছে, ২০১২ সালের পর এই প্রথম মুক্তিপণ পেলো সোমালি জলদস্যুরা। তবে এ তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।অন্যদিকে, স্থানীয় আরেকটি সংবাদমাধ্যম গারো অনলাইন জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড রাজ্যের পূর্ব উপকূল থেকে অন্তত আট জলদস্যুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ ছেড়ে দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।পান্টল্যান্ড পুলিশ ফোর্সের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা গারো অনলাইনকে জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে আটকে রাখা জলদস্যু দলের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন। গত মার্চে মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে সোমালি জলদস্যুদের শিকারে পরিণত হয় বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। জিম্মি করা হয় এর ২৩ নাবিককেও। সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে প্রায় ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে ঘটে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা। এরপর ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশি জাহাজটির পিছু নিলেও সেটি দস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।এমএইচ
    ঈদের ছুটি শেষে আজ খুলছে অফিস-আদালত
    ঈদের ছুটি শেষ হয়েছে রোববার। আজ সোমবার খুলছে সরকারি অফিস আদালত, ব্যাংক, বীমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে রাজধানী ঢাকায় ফিরেছেন কর্মজীবী মানুষ।এবার ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল থেকে। ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের সরকারি ছুটি ছিল। পরদিন ১৩ এপ্রিল (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। এর পরের দিন ১৪ এপ্রিল (রোববার) নববর্ষের ছুটি। সে হিসেবে এবার ঈদে ৫ দিন ছুটি ভোগ করেছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। ঈদুল ফিতরের দিন সাধারণ ছুটি থাকে। আর ঈদের আগের ও পরের দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ভোগ করে থাকেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।এই ঈদে লোকজন যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন সে বিবেচনায় ছুটি এক দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল আইশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ৯ এপ্রিল ছুটি রাখার সুপারিশ করা হয়েছিল। তবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ প্রস্তার নাকচ করা হয়। এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতরে রেকর্ড ৬ দিনের ছুটি ভোট করেছেন সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) এক বিবৃতিতে জানায়, কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নোয়াব সদস্য সংবাদপত্রে ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার থেকে শনিবার) ঈদ-উল-ফিতর এবং ১৪ এপ্রিল রোববার বাংলা নববর্ষের (পহেলা বৈশাখ) ছুটি পালিত হবে। এ কারণে ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ এপ্রিল কোনো সংবাদপত্র প্রকাশিত হবে না।প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী, প্রতি বছর ২৯ রমজান থেকে ঈদে তিন দিনের ছুটি ভোগ করেন সংবাদকর্মীরা। রোজা ৩০টি পূর্ণ হলে এই ছুটি চার দিনে পরিণত হয়। সে হিসাবে ৯ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছুটি হওয়ার আলোচনা চলছিল। এদিকে এবার ঈদের ছুটির একদিন পর ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় সরকার নির্ধারিত ছুটি রয়েছে। এজন্য ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয় নোয়াব।এফএস
    নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা
    অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা বর্ষবরণ। আর বাংলা বর্ষবরণে বাঙালির নানা আয়োজনের মধ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা অন্যতম। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলা নববর্ষ বরণের সবচেয়ে আকর্ষনীয় অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টায় জাতীয় সংগীত গেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়। শাহবাগ মোড় হয়ে শিশু পার্কের সামনে দিয়ে ঘুরে ফের শাহবাগ হয়ে ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) গিয়ে শেষ হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা।শোভাযাত্রায় মানুষের হাতে হাতে স্থান পেয়েছে নীল গাই, ময়ূর, বাঘ, হাতি, ভেড়া, মা-শিশু, মাছ ও পেঁচার শৈল্পিক কাঠামো ও রাজা-রানির মুখোশ। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’। শোভাযাত্রায় কুসংস্কারের অন্ধকার দূরীভূত করে সবাইকে নিয়ে আলোর দিকে যাত্রার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। শোভাযাত্রাকে সফল করতে আগেই সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন আয়োজকরা। সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরুর জন্য অপেক্ষা করেন বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ। পুরোনো গ্লানি, হতাশা আর মলিনতাকে পেছনে ফেলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায় নতুন বছরকে বরণ করেন তারা।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হওয়ার আগে থেকেই তরুণ-তরুণীদের সরব উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তন চত্বর, দোয়েল চত্বরে তাদের উপস্থিতি দেখা গেছে। এ ছাড়া শোভাযাত্রায় অংশ নিতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জড়ো হন।আজ মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল। এবারের শোভাযাত্রার আয়োজন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন উপাচার্য। এবার কুসংস্কার, হিংসা, হানাহানি ও যুদ্ধ বন্ধ এবং শান্তির প্রত্যাশায় মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়েছে। এবারের শোভাযাত্রায় অংশ নেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ডিএমপি কমিশনার।বাঙালির বর্ষবরণের অন্যতম অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন সম্পূর্ণ নিজ অর্থায়নে করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুদান ও চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের তহবিল সংগ্রহের ওপর নির্ভর করে আয়োজন করা হয় এ শোভাযাত্রা। মঙ্গল শোভাযাত্রার ৩৫ বছর পূর্তি হলো এ বছর।
    পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই : ডিএমপি কমিশনার
     এবছর রাজধানীর রমনায় পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। আজ শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রমনা পার্কে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।‘পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির অসম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ’ মন্তব্য করে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এটার ওপর বারবার আঘাত এসেছে। সহিংস হামলা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। সেজন্য সবকিছু মাথায় রেখেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা পরিকল্পনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট হামলার শঙ্কা আমার কাছে নেই। আমরা সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।’পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রমনা পার্কে আগামীকাল রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, ‘এরপর আর কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে সন্ধ্যার আগে সবাইকে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হবে।’ দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জানিয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘রমনায় আগতদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য টুরিস্ট পুলিশ বুথ রয়েছে। লেক এলাকায় নিরাপত্তা দিতে নৌ পুলিশের টহল রয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সাময়িক মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। রক্তদানের ব্যবস্থা আছে। বিনামূল্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে সুপেয় পানি বিতরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’শনিবার বিকেল থেকে রমনা এলাকায় বেশকিছু সড়কে ডাইভারশন দেওয়া হবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যারা গাড়ি চালাবেন, তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে পুলিশকে সহযোগিতা করবেন, নির্দেশনা মেনে চলবেন। আর দর্শনার্থীদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, প্রত্যেকটি ফটকে নিরাপত্তার জন্য তল্লাশি করা হবে। প্রত্যেকটি পয়েন্টের সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। বোম ডিস্পোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। তারা ইতোমধ্যে মহড়া করেছে।’এমএইচ
    মেহেরপুরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ষোলটাকায় রেলমন্ত্রী
    রেলপথমন্ত্রী মাে. জিল্লুল হাকিম মুক্তিযুদ্ধকালীন রণাঙ্গনের স্মৃতিবিজড়িত স্থান মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ষােলটাকা গ্রামে পরিদর্শনকালে মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের এই গ্রামের কথা বলতে গিয়ে আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন। মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, যুদ্ধের সময় আমি এই ষােলটাকা গ্রামে অবস্থান করেছি। দেশ স্বাধীনতার বড় একটা ভূমিকা ছিল এই গ্রামের মানুষের।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এক সময় রেলটিকেট কালাে বাজারি থাকলেও বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর কালাে বাজারি বন্ধ হয়েছে। আশা করি চিরতরে কালাে বাজারি বন্ধ হয়ে যাবে।চুয়াডাঙ্গার দর্শনা হয়ে মুজিবনগর থেকে মেহেরপুর রেললাইন স্থাপনের অগ্রগতির বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ রেললাইন স্থাপন কাজ দ্রুত শুরু হবে। প্রক্রিয়া চলছে।শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার সময় রেলপথমন্ত্রী সড়ক পথে মেহেরপুরে আসলে তাকে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য ডা: আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক সাগর ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহম্মেদ আলী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন, মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সােহেল আহমেদ, রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গােলাম সাকলায়েন ছেপু প্রমুখ।এসময় জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানাে হয়। পরে দুপুর ৩টার দিকে মন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করেন। সবশেষে সন্ধ্যার আগে তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন রণাঙ্গনের স্মৃতি বিজড়িত ষােলটাকা গ্রাম ও গ্রামসংলগ্ন নােনারবিল এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় করেন।পিএম

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    রাজনীতি

    সব দেখুন
    দেশে বাকশাল কায়েম করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
    ৭৫ এ আওয়ামী সরকার বাকশাল কায়েম করেছিল, তার পুনরাবৃত্তি করে আজ আবারো তারা দেশে বাকশাল কায়েম করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।রুহিয়া থানা বিএনপির আয়োজনে রোববার বিকেলে রুহিয়ায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তৈমুর রহমানের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন ।মির্জা আলমগীর বলেন, দেশে আজ কোন স্বাধীনতা নেই। দেশের মানুষ আজ দেশের ভেতরেই পরাধীনভাবে জীবন যাপন করছে। বিরোধী দল করলেই বা বিরোধী মতের হলেই আজ দেশের সাধারণ মানুষকেও এ দেউলিয়া সরকার আসামী বানিয়ে দেয়। এ ফ্যাসিষ্ট সরকার সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার সব অধিকার গুলি হরণ করেছে।  সরকারের দেউলিয়া হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, এ সরকার আজ দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে যার প্রমান মেলে তাদের রাষ্ট্র পরিচালনা দেখে। তারা রাষ্ট্র যন্ত্র ছাড়া কোন কাজই করতে পারেনা। তারা এমন দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে যে আজ পুলিশ দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে হচ্ছে তাদের। তাদের দেউলিয়াত্ব এতটাই বেড়েছে যে তা ঢাকতে তারা এমন তামাশার নির্বাচন করেছে। ১৪ সালে সাধারণ মানুষ নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও তারা জ¦য়ী হয়, আবার ১৮ এর নির্বাচন তারা আগের রাতেই করে ফেলে , এবার ডামি প্রার্থী দিয়ে ডামি নির্বাচন করেছে। আওয়ামীলীগ আর আওয়ামীলীগ নেই তারা আজ পুরো দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে।  মির্জা ফখরুল আরোও বলেন, আমার নামে ১ শ ১১ টি মামলা রয়েছে আর আমাকে জেলে যেতে হয়েছে প্রায় ১১ বার। এ বৃদ্ধ বয়সেও আমাকে এমন হাস্যকর মামলা গুলো দিয়ে হেনস্থা করছে তারা। মেগা প্রজেক্ট এর নামে মেগা দূর্ণিতী গুলোর বিষয়ে আমরা কথা বলি তাই এমন হাস্যকর মামলা খেতে হচ্ছে আমাদের। দেশের ব্যাংক গুলোকে এ সরকার শেষ করে দিয়েছে। নানা সরকারী বেসরকারী নিয়োগের টাকা খেয়ে আর ব্যাংক এর টাকা চুরি করেই এ সরকার আর সরকারের লোকেরা টিকে থাকছে। আমরা এমন দেশ চাইনি। এমন দেশ গড়ার জন্যও আমরা যুদ্ধ করিনি। বেগম জিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভিষণ অসুস্থ্য। তার অতিসত্তর লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা খুব জরুরি। নাহলে তাকে আর বাঁচানো যাবেনা। অথচ তার চিকিৎসা নিয়েও সরকার নানা টালবাহানা করছে। পরিশেষে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তৈমুর রহমানের কথা স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমরা প্রায় ৩২ বছর এক সাথে পথ চলেছি। আমি রাজনীতি করতে গিয়ে দূরে চলে গেলাম আর ঠাকুরগাঁওকে রেখে গেলাম তৈমুর সাহেবের কাছে। তিনি বেঁচে থাকতে বলতেন ,“এমন দেশ আমরা চাইনি আর এমন দেশ গড়ার জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। আমরা তাজা রক্ত দিয়ে যুদ্ধ করেছি দেশ আর দেশের মানুষকে স্বাধীন দেখতে। তা আর দেখতে পারছি না।”রুহিয়া থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম সহ দলটির অন্যান্য নেতা কর্মীরা।এমআর
    দেশে বাকশাল কায়েম করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
    ৭৫ এ আওয়ামী সরকার বাকশাল কায়েম করেছিল, তার পুনরাবৃত্তি করে আজ আবারো তারা দেশে বাকশাল কায়েম করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।রুহিয়া থানা বিএনপির আয়োজনে রোববার বিকেলে রুহিয়ায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তৈমুর রহমানের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন ।মির্জা আলমগীর বলেন, দেশে আজ কোন স্বাধীনতা নেই। দেশের মানুষ আজ দেশের ভেতরেই পরাধীনভাবে জীবন যাপন করছে। বিরোধী দল করলেই বা বিরোধী মতের হলেই আজ দেশের সাধারণ মানুষকেও এ দেউলিয়া সরকার আসামী বানিয়ে দেয়। এ ফ্যাসিষ্ট সরকার সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার সব অধিকার গুলি হরণ করেছে।  সরকারের দেউলিয়া হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, এ সরকার আজ দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে যার প্রমান মেলে তাদের রাষ্ট্র পরিচালনা দেখে। তারা রাষ্ট্র যন্ত্র ছাড়া কোন কাজই করতে পারেনা। তারা এমন দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে যে আজ পুলিশ দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে হচ্ছে তাদের। তাদের দেউলিয়াত্ব এতটাই বেড়েছে যে তা ঢাকতে তারা এমন তামাশার নির্বাচন করেছে। ১৪ সালে সাধারণ মানুষ নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও তারা জ¦য়ী হয়, আবার ১৮ এর নির্বাচন তারা আগের রাতেই করে ফেলে , এবার ডামি প্রার্থী দিয়ে ডামি নির্বাচন করেছে। আওয়ামীলীগ আর আওয়ামীলীগ নেই তারা আজ পুরো দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে।  মির্জা ফখরুল আরোও বলেন, আমার নামে ১ শ ১১ টি মামলা রয়েছে আর আমাকে জেলে যেতে হয়েছে প্রায় ১১ বার। এ বৃদ্ধ বয়সেও আমাকে এমন হাস্যকর মামলা গুলো দিয়ে হেনস্থা করছে তারা। মেগা প্রজেক্ট এর নামে মেগা দূর্ণিতী গুলোর বিষয়ে আমরা কথা বলি তাই এমন হাস্যকর মামলা খেতে হচ্ছে আমাদের। দেশের ব্যাংক গুলোকে এ সরকার শেষ করে দিয়েছে। নানা সরকারী বেসরকারী নিয়োগের টাকা খেয়ে আর ব্যাংক এর টাকা চুরি করেই এ সরকার আর সরকারের লোকেরা টিকে থাকছে। আমরা এমন দেশ চাইনি। এমন দেশ গড়ার জন্যও আমরা যুদ্ধ করিনি। বেগম জিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভিষণ অসুস্থ্য। তার অতিসত্তর লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা খুব জরুরি। নাহলে তাকে আর বাঁচানো যাবেনা। অথচ তার চিকিৎসা নিয়েও সরকার নানা টালবাহানা করছে। পরিশেষে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তৈমুর রহমানের কথা স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমরা প্রায় ৩২ বছর এক সাথে পথ চলেছি। আমি রাজনীতি করতে গিয়ে দূরে চলে গেলাম আর ঠাকুরগাঁওকে রেখে গেলাম তৈমুর সাহেবের কাছে। তিনি বেঁচে থাকতে বলতেন ,“এমন দেশ আমরা চাইনি আর এমন দেশ গড়ার জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। আমরা তাজা রক্ত দিয়ে যুদ্ধ করেছি দেশ আর দেশের মানুষকে স্বাধীন দেখতে। তা আর দেখতে পারছি না।”রুহিয়া থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম সহ দলটির অন্যান্য নেতা কর্মীরা।এমআর
    দেশে এখন আ.লীগ নাই, সব পুলিশ লীগ: মির্জা ফখরুল
    আওয়ামী লীগ সরকার কোনদিন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারেনি অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারা ভয় দেখিয়ে, প্রতারণা করে, ভুল বুঝিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করে থাকতে চায়। এই রাষ্ট্রকে তারা সত্যিকার অর্থে গভীর পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। দেশে এখন আওয়ামীলীগ নাই সব পুলিশ লীগ।  শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকালে জেলার হরিপুর উপজেলার পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুবরণকারী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আকরাম হোসেন এর কবর জিয়ারত ও পরিবারের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ শেষ এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, শুধু আকরামের ঘটনা নতুন নয়। আমাদের আন্দোলন চলাকালে ৩০ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে প্রায় ৬০ লাখ মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ৭০০ থেকে ৮০০ জন নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে। গত কয়েকদিনের মধ্যে তারা ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তারা সারা দেশকে নির্যাতনের কারখানায় পরিণত করেছ। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এবারে আপনাদের ঈদ আনন্দের হয় নাই। এই দানবীয় সরকারের আপনার সন্তানকে পুলিশ বাহিনী দিয়ে হত্যা করেছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা অধিকার সংগ্রামের জন্য লড়াই করছে। ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার আর বেঁচে থাকার অধিকারের জন্য৷ অথচ এই দানবীয় সরকার জোরদখল করে আছে।তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন চাই। সবাই যেন অবাধে, বিনা ভয়ে ভোট দিতে পারে এমন একটা নির্বাচন চাই। গোটা দেশকে তারা ভয়ের রাজত্বে পরিণত করেছে। তারা কাউকে সম্মান করেনা। দেশের আলেম-ওলামা, অধ্যাপক, বিখ্যাত কাউকে তারা সম্মান করেনা। পৃথিবী যাকে চিনে নোবেল বিজয়ী হিসেবে তাকেও তারা শাস্তি দিয়েছে। এসময় জেলা-উপজেলার বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মৃত্যুবরণকারী উপজেলা যুবদল নেতার কবর জিয়ারত ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।পিএম
    ‘সরকারের ভুলনীতিতে ঈদের দিনও মানুষের প্রাণ ঝরছে’
    সরকারের অব্যবস্থাপনা ও ভুল নীতির কারণে ঈদের দিনেও মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বহুমানুষের প্রাণ গেছে, এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।শুক্রবার (১২ এপ্রিল)  এক ভিডিওবার্তায় এই অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, সড়ক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সরকারের স্বস্তি থাকলেও জনগণের মাঝে স্বস্তি নেই। সরকারের কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় জনগণের সাথে উপহাস করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, রাজধানী ঢাকা আগুনের নরককুণ্ডে পরিণত হয়েছে। ঈদের দিনেও আগুনে পুড়ে মানুষ মারা গেছে। যা পুরোপুরি সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে হচ্ছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় মানুষের দুরাবস্থা নিয়ে কোনো দায়বন্ধতা নেই বলেও জানান তিনি।
    এবার ফেসবুকে ভালোবাসার বার্তা দিলেন ওবায়দুল কাদের
    ঈদের দ্বিতীয় দিন ভালোবাসার বার্তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ভালোবাসা দিয়ে ঘৃণাকে জয় করার কথা বলেন তিনি। বিভিন্ন সময় ফেসবুকে একাধিক ছবি পোস্ট করেন ওবায়দুল কাদের। সেসব ছবি অনেক আলোচনার জন্মও দেয়। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ১১টি ছবি পোস্ট করেন তিনি। ক্যাপশনে ওবায়দুল কাদের লিখেন, ‘ঘৃণা দিয়ে ঘৃণা তাড়ানো যায় না। শুধু ভালোবাসাই তা করতে পারে।’  পোস্টটি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। প্রতিবেদন লেখার সময় এক ঘণ্টার মধ্যেই ১১ হাজারের বেশি রিঅ্যাকশন পড়ে। এই সময়ের মধ্যে মন্তব্যও পড়েছে আড়াই হাজারের বেশি। শেয়ার হয়েছে ৫ শতাধিকবার।   একজন মজা করে মন্তব্য করেছেন, ‘মিনিস্ট্রি অব লাভের মিনিস্টার।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘কাদের ভাই, আজকে ছবি এত কম দিলেন কেন?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী, মাত্র ১১টা ছবি অ্যাটাচ করেছেন পোস্টে? মেনে নিতে পারলাম না।’ এর আগে ঈদের দিন বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) এক ভিডিও বার্তা দেন মন্ত্রী। বার্তায় তিনি বলেন, ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষের বাঁধভাঙা জনস্রোত দেখা গেছে এবারও। অনেকেই ঈদযাত্রা নিয়ে জনদুর্ভোগের আশঙ্কা করেছিলেন। তবে সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় সব সংশয় ও শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে এবারের ঈদযাত্রা তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক হয়েছে।এমএইচ
    বিএনপির শীর্ষ নেতাদের যা বলেছেন খালেদা জিয়া, জানালেন ফখরুল
       বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন জনগণের কল্যাণেই তিনি রাজনীতি করেছেন, রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করছেন। এখন যে তিনি অসুস্থ অবস্থায়, বন্দি অবস্থায় বলা যেতে পারে-সেটাও রাজনৈতিক কারণে আছেন। উনি এই কথাগুলোই বলেছেন।বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।ফিরোজার মূল ফটকের সামনে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ঈদের দিন তিনি (খালেদা জিয়া) আমাদের ডাকেন, আমরা কথা বলি। পুরোপুরি সৌজন্যমূলক কথাবার্তা। কোনো রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। তিনি তো একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি, দলের চেয়ারপারসন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এখনো তিনি রাজনৈতিক কারণেই বন্দি হয়ে আছেন। আমরা সব সময় বলে আসছি অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়া উচিত। মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত। এ কথাটা এখনো জোর দিয়ে আপনাদের মাধ্যমে জাতিকে জানাতে চাই।খালেদা জিয়া দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, একই সঙ্গে স্বাস্থ্য ভালো থাকার জন্য দোয়া চেয়েছেন।ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির ৯ সিনিয়র নেতা। রাত আটটায় গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে যান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির আটজন সদস্য। বিএনপি মহাসচিব ছাড়া অন্যরা হলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। পরে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ এবং তার স্ত্রীও বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বিএনপি নেতৃবৃন্দ দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন।দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে। এরপর থেকে গুলশানের ওই বাসায় থাকছেন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত ৭৯ বয়সি খালেদা জিয়া। যেখানে দলের নেতাকর্মীসহ অন্যরা তার সাক্ষাৎ পান না।এমএইচ
    মন্দা অর্থনীতির কারণে হতাশায় ঈদ পালন করছে মানুষ: জিএম কাদের
    জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের অভিযোগ করেছেন, মন্দা অর্থনীতির কারণে হতাশায় ঈদ পালন করছে দেশের মানুষ।  গ্রাম ও শহরের মানুষ কষ্টে রয়েছে। সকলের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে সরকারসহ স্বচ্ছল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে অংশ নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। জিএম কাদের বলেন, দলীয় প্রতীক নিয়ে উপজেলা নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিতসহ অংশগ্রহণমূলক করার দাবি জানান তিনি। ভোটারদার আস্থা এখনো নির্বাচন কমিশনের উপর আসেনি। এটি হলো বাস্তবতা উপজেলা নির্বাচনেও ভোটার উপস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। তবে সরকারের দায়িত্ব হলো অংশ গ্রহনমুলক নির্বাচন উপহার দেয়া। শুধু নিজেদের দু একটা প্রার্থী দিয়ে হইচই করলেই ভালো নির্বাচন হয় না। জনগণের মতামতের প্রতিফলনেই হলো ভালো নির্বাচন। সব ধরণের দল অংশ নিলেই সেটা অংশগ্রহন মূলক নির্বাচন। দু একটি দল নির্বাচনে অংশ নিলেই তা অংশগ্রহন মূলক হয় না। জাতীয়পার্টি আন্দোলনের অংশ হিসেবেই নির্বাচন অংশগ্রহন করছে বলেও জানান তিনি।  এমআর
    ব্যারিস্টার খোকনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত
     দলের ‘না’ সত্ত্বেও বার সভাপতির দায়িত্ব নেয়ায় ব্যারিস্টার খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শনিবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ সিদ্ধান্ত নেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের শীর্ষ নেতারা। তবে বিষয়টি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য পাঠানোর হয়েছে তারেক রহমানের কাছে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের একাধিক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি প্যানেল থেকে নির্বাচিত হলেও দলের পক্ষ থেকে দায়িত্বভার না নিতে ব্যারিস্টার এ এম মাহবুবউদ্দিন খোকনসহ চার আইনজীবীকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। তবে দলের ‘না’ সত্ত্বেও গত ৪ এপ্রিল বার সভাপতির দায়িত্ব নেন ব্যারিস্টার খোকন। এর আগে গত ২৭ মার্চ ব্যারিস্টার খোকন ছাড়াও মো. শফিকুল ইসলাম, মিসেস ফাতিমা আক্তার ও সৈয়দ ফজলে এলাহী অভিকে দায়িত্বভার না নিতে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। চিঠিতে সই করেন ফোরামের সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী এবং মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। ওই চিঠির অনুলিপি দলটির মহাসচিব ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের (দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত) কাছে পাঠানো হয়। পরে এ নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছিলেন ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সভাপতি পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুবউদ্দিন খোকন।ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘বিগত ৬ ও ৭ মার্চ ২০২৪ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে আপনারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিগত দু’বছরের মতো এবারের নির্বাচনেও ক্ষমতাসীনরা নজিরবিহীনভাবে ভোট জালিয়াতি, কারচুপি ও মনগড়া ফলাফল ঘোষণা করেছে। এমনকি সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ দলীয় দু’জন প্রার্থী, প্রথমে নাহিদ সুলতানা যুথী ও পরে শাহ মন্জুরুল হককে তথাকথিত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ক্ষমতাসীন দলের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে ৮/০৩/২০২৪ প্রত্যূষে সমিতির অডিটোরিয়ামে হামলা চালিয়ে আইনজীবীদেরকে মারধর ও ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যায়।’ওই ঘটনা আওয়ামী লীগের দু’জন সম্পাদক পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘটিত হলেও সরকারের একজন বেতনভুক্ত আইন কর্মকর্তা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ও আরও তিনজন আইনজীবী ফোরাম নেতাকে আসামি করে গত ৯ মার্চ শাহবাগ থানায় একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।এমএইচ

    দেশজুড়ে

    সব দেখুন
    সদরঘাটে লঞ্চের সংঘর্ষে রশি ছিঁড়ে নিহত ৫

    রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চের সংঘর্ষের রশি ছিড়ে ৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিন জন পুরুষ এবং একজন নারী ও একজন শিশু রয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা নদীবন্দর ট্রাফিকের (সদরঘাট) যুগ্ম কমিশনার জয়নাল আবেদীন।

    তিনি বলেন, এ ঘটনায় তিনজন মারা গেছে। পাঁচজন আহত, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে আরো দুইজন কে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

    প্রত্যক্ষদর্শীসহ সদরঘাট লঞ্চঘাটের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ১১নং পন্টুনের সামনে এমভি তাশরিফ ৪ ও এমভি পূবালী ১ নামক দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিলো। এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি  তাসরিফ ৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে গেলে পাঁচ জন যাত্রী লঞ্চে উঠার সময় গুরুতর আহত হন। পাঁচ জনের তিন জনই ঘটনাস্থলে মারা যান ও পাঁচজন আহত হন।

    সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সযোগে আহতদের মিটফোর্ড হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পরে আরো দুইজনার মৃত্যু হয়।

    পিএম

    রাজধানীতে এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী খুন

    রাজধানী ঢাকারর শাহজাদপুরে মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে কর্মরত এক নিরাপত্তাকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

    বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোর সোয়া ৫টার দিকে শাহজাদপুরের মাইশা চৌধুরী টাওয়ারের নিচ তলায় অবস্থিত বুথে এ ঘটনা ঘটেছে।

    নিহত নিরাপত্তাকর্মীর নাম হাসান মাহমুদ (৫৫)।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, আজ ভোর সোয়া ৫টার দিকে শাহজাদপুরের মাইশা চৌধুরী টাওয়ারে অবস্থিত মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ড হাসান মাহমুদকে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমাদের প্রাথমিক ধারণা, এটিএম বুথের টাকা চুরি করতে এসে, বুথ ভাঙার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় দুর্বৃত্তরা। তাদের কাজে বাধা দিলে হাসানকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণের কাজ চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    এফএস

    সদরঘাট নৌ রুটে যাত্রীর চাপ কিছুটা বেড়েছে

    ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাটে ভিড় করছেন ঘরমুখো মানুষ। তবে নেই সদরঘাটে দক্ষিণাঞ্চলগামী মানুষের চিরচেনা চাপ। ঈদের আর দুই-একদিন বাকি থাকলেও এখনও অধিকাংশ কেবিন ফাঁকা রেখেই ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো।


    সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, পন্টুনে বাঁধা রয়েছে সারি সারি লঞ্চ। হাকডাক করে যাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন লঞ্চ শ্রমিকরা। চাঁদপুরের লঞ্চগুলোতে যাত্রীর চাপ থাকলেও বরিশাল-ঝালকাঠি-ভোলা-বরগুনা রুটের লঞ্চগুলো কেবিন ফাঁকা রেখেই ছেড়ে গেছে। তবে ডেকে যাত্রী ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সদরঘাট থেকে বিভিন্ন রুটে ৬১টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।


    বরিশালে সড়ক যোগাযোগ সহজ হওয়ার আগে ঈদের সময় সদরঘাটে সবচেয়ে বেশি চাপ হতো বরিশাল রুটের যাত্রীর। এদিন ঘাটে রাত ৮টার পর অপেক্ষমাণ ছিল এই রুটের ৬টি লঞ্চ। সবগুলো লঞ্চেই ডেকে যাত্রী উপস্থিতি থাকলেও কেবিন অধিকাংশই ছিল ফাঁকা।


    সুরভী শিপিংয়ের পরিচালক রিয়াজুল কবির বলেন, ডেকে যাত্রী ভালো হয়েছে কিন্তু কেবিন অর্ধেকেরও বেশি ফাঁকা। আমাদের মূল লাভটা আসে কেবিন থেকে। কেবিন বিক্রি না হলে লঞ্চ চালিয়ে লাভ নেই।’


    সদরঘাট থেকে যতগুলো রুটে ঢাকা থেকে লঞ্চ যায় তার মধ্যে কেবল চাঁদপুর রুটে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। বরিশাল রুটে যখন যাত্রী খরায় ভুগছেন লঞ্চ মালিকরা তখন চাঁদপুর রুটে চলছে একচেটিয়া ব্যবসা।


    চাঁদপুর রুটের নাফিস নামের একজন লঞ্চশ্রমিক বলেন, গত দুই দিন চাঁদপুরগামী লঞ্চে বেশ ভালো ভিড় ছিল। ভিড় আরও বাড়ছে। এই রুটে চাঁদপুর লক্ষীপুর নোয়াখালীর যাত্রীদের পদচারণা বেশি। চাঁদপুর লক্ষ্মীপুরের বেশিরভাগ মানুষ লঞ্চে চলাচল করেন। কাল-পরশু আরও বেশি ভিড় হবে বলেও জানান তিনি।


    চাঁদপুর রুটে লঞ্চ মালিকদের একচেটিয়া ব্যবসার বিষয়ে সোহাগ নামে একজন যাত্রী বলেন, অন্য সব রুটে যখন যাত্রী খরা চাঁদপুর রুটে তখন একচেটিয়া ব্যবসা চলছে। এই সুবাদে লঞ্চ মালিকরা ভাড়া বাড়িয়েছেন। এখানে দুই বছর আগেও লোকাল ভাড়া ছিল ১০০ টাকা মাত্র। এখন সেই ভাড়া ২০০ টাকা। ঈদ উপলক্ষে আড়াইশো টাকা পর্যন্ত ভাড়া হয়েছে। 


    ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে লঞ্চশ্রমিকরা জানান, ভাড়া ঈদ উপলক্ষে নয় আরও অনেক আগেই বাড়ানো হয়েছে। তেলের দাম বেড়েছে তাই ভাড়াও বেড়েছে।


    এদিকে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। 


    সদরঘাট নৌ থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। সাদা পোশাকেও অনেকে দায়িত্ব পালন করছেন। যাত্রীর চাপ বাড়লে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।

    রাজধানীতে বাসা থেকে বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার

    রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানাধীন তালতলা মোল্লাপাড়ায় একটি বাসা থেকে বাবা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

    রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে স্থানীয় ও স্বজনদের দেওয়া খবরে ওই বাসায় গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক।

    থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত বাবার নাম মো. মশিউর রহমান। তিনি আগে চাকরি করতেন, বর্তমানে কিছু করতেন না। ছেলের নাম সাদাত। সে ইন্টারমিডিয়েটের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় সিনথিয়া নামে সাদাতের ১৩ বছরের বয়সী বোনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে পাঠিয়েছেন এলাকাবাসী। 

    যোগাযোগ করা হলে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আহাদ আলী বলেন, বিকেলে আমাদের কাছে খবর আসে তালতলা মোল্লাপাড়ার একটি বাসায় বাবা-ছেলে মারা গেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় বাসার ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে বাবা মশিউর রহমান। আর ছেলে সাদাত বিছানায়। 

    তিনি বলেন, সুরতহালে দেখা যায় ছেলে সাদাতের গলায় রশির দাগ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হয়ত ছেলে ও মেয়েকে হত্যার চেষ্টা করেছেন বাবা মশিউর রহমান। আমরা ঘটনাস্থলে মেয়েকে পাইনি। পুলিশ যাওয়ার আগেই সিনথিয়া নামে মেয়েটিকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী স্থানীয় হাসপাতালে পাঠিয়েছেন, তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

    ওসি বলেন, সুরতহাল শেষে বাবা ও ছেলের মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। ঘটনার নেপথ্যের কি কারণ, হত্যা নাকি আত্মহত্যা; পুরো বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

    মশিউর রহমান একটি ডেভলপার কোম্পানিতে সাব স্টেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন। শেয়ার বাজারে তিনি টাকা লগ্নি করেছিলেন। হতাশা থেকেই এঘটনা বাবা ঘটিয়েছেন কি-না পুলিশ সে বিষয়টিও তদন্ত করে দেখছে, জানান ওসি আহাদ আলী। 

    এমআর

    তীব্র তাপপ্রবাহের পর স্বস্তির বৃষ্টি

    কয়েকদিন তাপপ্রবাহের পর রাজধানীতে বৃষ্টির দেখা মিলেছে। রোববার সকালে রোদ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ মেঘলা হতে শুরু করে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শুরু হয় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি।

    রাজধানীসহ ঢাকা বিভাগের কোথাও কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া দেশের বেশ কয়েক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি আবার কোথাও তাপপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল। পূর্বাভাস বলছে, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। 

    অন্যদিকে বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গাসহ রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আগামী ৫দিন অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি অনুভূত হবে। 

    এমআর

    বিলুপ্তির পথে গ্রামীণ জনপদের সেই ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি

    আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি আগের মতো এখন আর চোখে পড়ে না। অথচ একসময় ঢেঁকি ছিল গ্রামীণ জনপদে চাল ও চালের গুঁড়া বা আটা তৈরি করার একমাত্র মাধ্যম। ঢেঁকির ধুপধাপ শব্দে মুখরিত ছিল গ্রামীণ জনপদ। কিন্তু এখন ঢেঁকির সেই শব্দ আর শোনা যায় না। কাঠের ঢেঁকি এখন গ্রামীণ জনপদের বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্য।


    জানা যায়, আগে প্রায় সবার বাড়িতে ঢেঁকি ছিল। ঢেঁকিছাঁটা চাল ও চালের গুঁড়ার পিঠার গন্ধে মন জুড়িয়ে যেত। কিন্তু এখন আর তা নেই। ঢেঁকি সাধারণত বরই, বাবলা ও জামগাছের কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়। সাড়ে তিন থেকে চার হাত দৈর্ঘ্য, আর পৌনে এক হাত চওড়া। মাথার দিকে একটু পুরু এবং অগ্রভাগ সরু। মাথায় বসানো থাকে এক হাত পরিমাণের কাঠের দস্তা। এর মাথায় লাগানো থাকে লোহার গুলা। এর মুখ যে নির্দিষ্ট স্থানে পড়ে সে স্থানকে গড় বলে। এই গড়ে ভেজানো চালে পাড় দিয়ে তৈরি করা হয় গুঁড়া।



    সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সত্তরের দশকের পর ইঞ্জিনচালিত ধানভাঙা কল আমদানি শুরু হওয়ার পর গ্রামাঞ্চল থেকে ঢেঁকি বিলীন হওয়া শুরু হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি ক্রমান্বয়ে বিলুপ্তির পথে। গ্রামের মানুষ ভুলে গেছেন ঢেঁকিতে ছাঁটা চালের স্বাদ। যান্ত্রিক সভ্যতা গ্রাস করেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী কাঠের ঢেঁকি শিল্পকে।



    বাঙালি জীবনাচরণের আরেকটি বড় অংশ ছিল নবান্ন উৎসব। গ্রামাঞ্চলের মানুষের ভাষ্য, গ্রামে একসময় নতুন ধান ওঠাকে কেন্দ্র করে নবান্ন উৎসব হতো। সেই উৎসবে পরিবারের শিশু-কিশোররা কত আমোদ-আহ্লাদে নাচত আর গাইত। বাঙালি জীবনের এই উৎসবটার সঙ্গেও ছিল ঢেঁকির সম্পর্ক।



    ঢেঁকিতে ছাঁটা চালের আটা থেকে তৈরি হতো নানা উপাদেয় রকমারি পিঠা। বাড়ি বাড়ি পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যেত। একসময় গ্রামীণ জনপদে ‘ঢেঁকি নাচে আমি নাচি হেলিয়া-দুলিয়া’ এ রকম নানা লোকগানের মাধ্যমে চালের গুঁড়া তৈরি করা হতো। গ্রামবাংলার নববধূ, কিষানি ও তরুণীরা নবান্ন উৎসবের জন্য বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলির আয়োজন করত। ঢেঁকির ঢেঁকুর-ঢুঁকুর মিষ্টি-মধুর শব্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মনের সুখে গান শুনতে শুনতে বৃদ্ধাদেরও চলত পান খাওয়ার আড্ডা, আজকাল যা কেবলই স্মৃতি।



    বেদনা খাতুন নামে এক বৃদ্ধ নারী বলেন, ঘণ্টায় তারা পাঁচ কেজি চালের গুঁড়া তৈরি করতে পারেন। ভোর ৪টা থেকে শুরু করেন কাজ। কোনো কোনো দিন চাল বেশি হলে সারা রাতও সময় দিতে হয়। এ কাজে ছেলে ও মেয়ে স্বামী ঢেঁকিতে পাড় দিয়ে তাকে সহযোগিতা করেন। তিনি জানান, সারা বছরই কম-বেশি তার এখানে চালের গুঁড়া তৈরি করতে মানুষ আসেন। 



    তবে বাংলাদেশের গ্রামগুলোয় ঘুরেও এখন ঢেঁকির দেখা মেলে না। কালের বিবর্তনে ঢেঁকি এখন শুধু ঐতিহ্যের স্মৃতি বহন করে। দিন দিন ঢেঁকি বিলুপ্ত হলেও একে সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেই। আগামী প্রজন্মরা যাতে বাংলার এসব সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেদের মেলবন্ধন স্থাপন করতে পারে, সেজন্য সরকারি বা বেসরকারিভাবে উদ্যোগ এক মাত্র পথ।

    এআই

    যশোরে টিউবওয়েলে নেই পানি, স্তর নেমেছে ৩০ ফুট

    যশোর সদর উপজেলার চাঁন্দুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা বাবুর আলী। গত ১৩ দিন ধরে তার বাড়ির টিউবওয়েলে ঠিকমতো পানি উঠছেনা। একই গ্রামের আবুল কালাম জানান, টিউবওয়েল চেপে এক বালতি পানি তুলতে গিয়ে যেন জীবন যায় যায় অবস্থা। বাড়ির পাশের মাঠের স্যালোমেশিনের পানি দিয়ে পানির প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নিচ্ছেন। টিউবওয়েলে পর্যাপ্ত পানি না ওঠার কারণে মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এদিকে, স্যালোমেশিনেও কম পরিমানে পানি উঠছে। ৬ লিটার তেল ব্যয় হলেও সাড়ে ৩ বিঘা ধানের আবাদী জমি ভেজানো সম্ভব হয়নি। ফলে চাষিরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। 

    বিএডিসির সেচ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ৩০ ফুট নিচে চলে যাওয়ার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি, ছাতিয়ানতলা, খিতিবদিয়া, বাদিয়াটোলা, ঝাউদিয়া, বাগডাঙ্গা, দৌগাছিয়া, সাজিয়ালী, কমলাপুর, গোবিলা, জগহাটি, আব্দুলপুর, পোলতাডাঙ্গা, চান্দুটিয়া, আরিচপুর, দৌলতদিহি, কাশিমপুর, যোগীপাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামের টিউবওয়েলে পর্যাপ্ত পানি না ওঠার কারণে মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন। কোনো কোনো গ্রামে গভীর নলকূপ (ভ্যাটিক্যালযুক্ত টিউবওয়েল) থাকলেও পানি নেয়ার জন্য মানুষের উপচেপড়া ভিড়  থাকছে।

    কাশিমপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম জানান, বাড়ির টিউবওয়েলে পানি উঠছে না বললেই চলে। খাবার জন্য মাঠের ডিপওয়েলের পানি ভরে আনছেন। পানির জন্য কষ্ট ও দুর্ভোগ বেড়েছে।

    চুড়ামনকাটি গ্রামের সালমা খাতুন জানান, বাড়ির টিউবওয়েল দীর্ঘ সময় চেপেও এক বালতি পানি উঠানো সম্ভব হচ্ছে না। আবার কোনো কোনো সময় মোটেও পানি থাকছে না।

    চান্দুটিয়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, স্যালো টিউবওয়েলে তেমন পানি উঠছে না। ৬ লিটার তেল খরচ করেও সাড়ে ৩ বিঘা আবাদী জমি পুরোপুরি পানি দিতে পারেননি। এমন পরিস্থিতিতে তার মতো অনেক চাষি আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

    যশোর বিএডিসির (সেচ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল রশিদ জানান, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে গেছে। ফলে এমন অবস্থা দেখা দিয়েছে।  বৃষ্টিপাত হলেই ঠিক হয়ে যাবে।  তিনি আরও জানান, পরিমাপ করে দেখা গেছে, যশোর সদর উপজেলা, চৌগাছা উপজেলা ও বাঘারপাড়া উপজেলায় ২৯/ ৩০ ও ৩১ ফিট পানির স্তর নিচে চলে গেছে। সাধারণ পানির ২৬ ফুটের মধ্যে থাকলে টিউবওয়েলে স্বাভাবিকভাবে পানি ওঠে। এছাড়া মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলার কিছু  গ্রামের টিউবয়েলে পানি উঠছে। আবার কিছু গ্রামের টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। এক প্রশ্নে তিনি জানান, ডিপওয়েলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি উঠলেও স্যালো টিউবওয়েলে তেমন পানি উঠছে না। এতে কৃষকের সেচ খরচ বেড়েছে। 

    তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল রশিদ আরও জানান, যশোর জেলায় গভীর নলকূপ রয়েছে ১ হাজার ৮৬৭ টি। এসব নলকূপ দিয়ে ২৫ হাজার ২২৩ হেক্টর জমিতে পানি দেয়া হয়। আর স্যালো টিউবওয়েল রয়েছে ৬৩ হাজার ৭৯৩ টি। যা দিয়ে ১ লাখ ২৩ হাজার ৪৮২ হেক্টর জমিতে সেচ কাজ  করা হয়।

    জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদফতর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ পারভেজ জানান, জেলায় ২৪ হাজার ৩২৩ টি অগভীর নলকূপ রয়েছে। পানির স্তর ৩৫ ফুট নিচে চলে যাওয়ার  ফলে অগভীর নলকূপগুলো অচল প্রায়। বর্তমানে সাবমার্সিবল ও তারা টিউবওয়েলে কিছুটা স্বাভাবিকভাবে পানি উঠছে। 

    যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইবুর রহমান মোল্যা জানান, বৃষ্টিপাত না হওয়া ও অপরিকল্পিত সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামিয়ে দিচ্ছে। সাধারণত পানির স্তর ২৬ ফুটের নিচে নামলে হস্তচালিত নলকূপ  থেকে পানি ওঠে না। আর যদি ৩০ ফুটের নিচে যায় তাহলে বাড়িতে মোটর দিয়ে পানি তোলাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। এভাবে ভূগর্ভের পানির স্তর খালি হয়ে পড়লে তা পূরণে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।

    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপ পরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার জানান, যশোর জেলায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৬০ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছে। প্রচন্ড খরতাপে পানির স্তর নিচে যাওয়ায় স্যালোমেশিনে ঠিক মতো পানি উঠছেনা। কম পানি উঠার কারণে বেশি তেল ব্যবহার হচ্ছে। যে কারণে সেচ কাজে চাষিদের ব্যয় বেড়েছে। 

    এমআর


    ৫ দিন পর বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

    ঈদ ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে টানা পাঁচ দিন বন্ধের পর বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

    সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে পণ্য বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে ও ভারতে প্রবেশের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়।

    জানা গেছে, ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল রোববার পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে এসময় ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল।

    টানা ৫ দিন পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় এতে সরকারের প্রায় দেড়শো কোটি টাকা রাজস্ব আয় পিছিয়েছে। বন্দরেও জমেছিল পণ্যজট। এখন পণ্য খালাস শুরু হওয়ায় কমতে শুরু করবে পণ্য জট।

    এদিকে আমদানি-রপ্তানি শুরু হওয়ায় বেনাপোল বন্দরে আবারও কর্মব্যস্ততা ফিরেছে। পণ্য খালাসে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাণিজ্যের সাথে সংশিষ্ট ব্যবসায়ীসহ বন্দর, কাস্টমসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বন্দর শ্রমিকেরা।

    বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশেই সরকারি ছুটি ছিল। তবে এসময় ও আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল।

    এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, বেনাপোল বন্দর টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর আজ সকাল থেকে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য কার্যক্রম চালু হয়েছে। পণ্য লোড-আনলোড দ্রুত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

    জানা যায়, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় ৪০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি, ২শ' ট্রাকের মত রপ্তানি হয়। আর বন্দর থেকে ৫শ' ট্রাক পণ্য খালাস হয়। আমদানি পণ্য থেকে দিনে সরকারের রাজস্ব আসে ৩০ কোটির মত। আমদানি-রপ্তানি গতিশীল করতে বেনাপোল বন্দরে সপ্তাহে ৭ দিনে ২৪ ঘণ্টা বাণিজ্য সেবার কথা থাকলেও নানান প্রতিবন্ধকতায় সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন বন্ধ থাকে আমদানি-রপ্তানি ও পণ্য খালাস কার্যক্রম।

    ঝিনাইদহে সন্যাসীদের পিটুনিতে যুবক নিহত

    ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নীলপুজায় কাদা খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে সন্যাসীদের পিটুনিতে এক যুবক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও একজন।

    রোববার(১৪এপ্রিল)রাতে উপজেলার ভগবান নগর গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

    পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ভগবান নগর গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নীলপুজার অংশ হিসেবে কাদা খেলার আয়োজন করে স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়। রোববার বিকেলে এ নিয়ে ওই গ্রামের মাতব্বর সুনিল বিশ্বাসের সাথে অধির বিশ্বাস নামের এক চৈত্র সন্যাসীর সাথে কথাকাটা কাটি হয়। এক পর্যায়ে এক সন্যাসীকে থাপ্পড় মারে সুনিল বিশ্বাস। পরে রাতে বাড়ির পেছনের গেলে সুনিল বিশ্বাস ও তার ছেলে স্বাধীনকে  লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে সন্যাসীরা। সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাত ২ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বাধীনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্তরা। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

    শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,  নিহত ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে আছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

    এফএস

    ভিক্ষা করে বানানো প্রতিবন্ধীর টিনের ঘরটাও ভেঙে দিল ওরা!

    ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের বড়বাড়ি বগুড়া গ্রামের শারিরীক প্রতিবন্ধী নাসির শেখ। দুই পা অচল হওয়ার কারণে হুইল চেয়ারেই চলাচল করে সে। কথাও বলতে পারে না ঠিক মত। হুইল চেয়ারে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম-বাজার ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করে যা পায় তা দিয়ে চলে তার ৫ সদস্যের সংসার। আধপেটা খেয়ে কিছু টাকা জমিয়ে তৈরী করেছিলেন একটি টিনের ঘর। সেখানেই স্ত্রী আর ৩ সন্তান নিয়ে বসবাস করেন তিনি। শারিরীক প্রতিবন্ধী নাসির শেখ থাকেন না কোন ঝামেলায়। তবুও শক্তির মহড়া দিতে গিয়ে অহসায় নাসির শেখের বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলা চালিয়ে তার বাড়ি কুপিয়ে ও ভাংচুর করা হয়েছে। তার অপরাধ তার অন্য ভাইয়েরা সামাজিক ভাবে একটি দলের সাথে থাকে আর সে গত নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়েছিলো।

    ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার(১৩এপ্রিল) রাত ১১ টার দিকে উপজেলার বড়বাড়ি বগুড়া গ্রামে। ভাঙ্গা ও টিন কাটা ঘরে কিভাবে থাকবেন আর তা মেরামতই কিভাবে করবেন এ ভেবেই দিশেহারা প্রতিবন্ধী নাসির শেখ।

    তিনি জানান, শনিবার রাতে বড়বাড়ি বগুড়া গ্রামে সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মহড়া দিতে গিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা করেছে ওই গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কিছু লোকজন। নাসির উদ্দিনেরসহ মোট ৬ টি বাড়ি ভাংচুর করে তারা।

    জানা যায়, ওই গ্রামে ঝিনাইদহ-১ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল হাই ও পরাজিত সতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলালের সমর্থকদের মধ্যে সামাজিক ভাবে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। সংসদ সদস্য আব্দুল হাই মারা যাওয়ার পর বগুড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের দুলালের সমর্থকরা প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘরে হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। শনিবার রাতে স্থানীয় মাতব্বর আসলাম মিয়া ও আশরাফুলের নেতৃত্বে ওই গ্রামের সবুর শেখ, সদর শেখ, পারভেজ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, ইসমাইল, আলামিন, আলিম, বায়েজিদসহ অন্তত অর্ধশত ক্যাডার বাহিনী প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলা চালিয়ে তারা প্রতবন্ধী নাসির শেখসহ ৬ জনের বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। এতে বাঁধা দেওয়ায় ২ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

    এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাতে ঘটনার সংবাদ শুনে সাথে সাথেই পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এখন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

    এফএস

    ওপারে সংঘাত, এপারে ফের আশ্রয় নিল মিয়ানমারের ৫ বিজিপি সদস্য

    প্রাণ বাঁচাতে এপারে ফের আশ্রয় নিল মিয়ানমার ৫ বিজিপি সদস্য, পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে দূ'পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ এখনো অব্যাহত। গোলাগুলিতে থেকে নিজের প্রাণ বাঁচাতে কক্সবাজারের টেকনাফ খারাংখালী নাফনদীর অতিক্রম করে ফের অনুপ্রবেশ করে এপার সীমান্ত প্রহরী বিজিবির কাছে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষার দায়িত্বে থাকা আরও ৫ বিজিপি সদস্য। এ নিয়ে গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ১৪ জন বিজিপি সদস্য টেকনাফ ২ বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।

    সুত্রে জানা যায়, রোববার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত গভীর রাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে এই ৫ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করে। এদের মধ্যে তিন জন অস্ত্রসহ বাকী দুই জন খালী হাতে প্রবেশ করেছে।

    সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো.মহিউদ্দীন আহমেদ সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, মিয়ানমারে অভ্যন্তরে দূ'পক্ষের চলমান সংঘর্ষের জের ধরে দিশেহারা হয়ে নিজেদের প্রান রক্ষা করার জন্য রবিবার সকাল থেকে এই পর্যন্ত হোয়াইক্যং ঝিমংখালী ও খারাংখালী নাফ নদ সীমান্ত এলাকা দিয়ে উক্ত দেশে সীমান্তরক্ষার দায়িত্বে থাকা ১৪ জন বিজিপি আশ্রয় নিয়েছে। তারা এখন আমাদের হেফাজতে রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

    উল্লেখ্য- চলতি বছরের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে দু'পক্ষের চলমান সহিংসতার রোশানলে পড়ে প্রান বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল সেই দেশের সেনা, বিজিপি,শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জন সদস্য।

    এরপর তাদেরকে কক্সবাজারের ইনানী নৌবাহিনীর জেটি দিয়ে সাগরপথে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

    এদিকে গত ৩০ মার্চ থেকে এই পর্যন্ত বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে পৃথকভাবে  অনুপ্রবেশ করে সেই দেশের তিন সেনা কর্মকর্তাসহ  এপারে আশ্রয় নেয় আরও ১৮০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

    এ নিয়ে টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া ১৪ জনসহ সর্বমোট ১৯৪ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ সীমান্ত প্রহরী বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।

    এফএস

    গভীর রাতে ঘরে ঢুকে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামীর অবস্থা আশঙ্কাজনক

    পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের মেঘনা বাজার এলাকায় প্রতিপক্ষের এলোপাতাড়ি দায়ের কোপে জোছনা আক্তার (৩০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। এসময় কুপিয়ে আহত করা হয় তার স্বামী আলাউদ্দিনকে (৩৬)।

    তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে অবস্থার অবনতিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

    রোববার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত-রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের মেঘনা বাজার এলাকার নুরুল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ও আহত স্বামী-স্ত্রী দুজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রযেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। আহত আলাউদ্দিন একই বাড়ির মৃত শাহে আলমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী।

    অভিযুক্তরা হলেন, একই এলাকার পার্শ্ববর্তী বকুলের বাপের বাড়ির আবদুর রব এর ছেলে সিরাজ, মাহফুজ ও নিজাম। তারা সম্পর্কে আলাউদ্দিনের খালাতো ভাই।

    আহত আলাউদ্দিনের মামা নুরুল হক ও স্বজনরা জানান, রমজান মাসে আলাউদ্দিনের বসতঘরের পাশের একটি পুকুরে ড্রেজিং এর মাধ্যমে মাটি উত্তোলন করে নিয়ে যায় অভিযুক্ত সিরাজ। এরপর গেল সপ্তাহে ওই পুকুরে আবারও পানি নিষ্কাশনের জন্য সেচ পাম্প বসায় সিরাজ। এতে বাড়িঘর পুকুরে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় বাধা দিলে আলাউদ্দিনের সাথে সিরাজের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় সিরাজ।

    এরই মধ্যে ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন সিরাজের ভাই পারভেজ ও নিজাম।

    ওই বিরোধের জের ধরে রাত দুইটার দিকে আলাউদ্দিনের বসতঘরে হামলা চালায় সিরাজ, মাহফুজ ও নিজামসহ ১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। এসময় দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আলাউদ্দিন ও তার স্ত্রী জোছনা বেগমকে গুরুতর আহত করে তারা। পরে স্থানীয়রা আহত স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জোছনা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় আলাউদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. এ কে আজাদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই জোছসা বেগমের মৃত্যু হয়। তবে স্বামী আলাউদ্দিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

    লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    এফএস

    সুইপারকে বাঁচাতে সেপটিক ট্যাংকে নেমে বাড়ির মালিকেরও মৃত্যু

    লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে বাড়ির মালিক ও এক সুইপারের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    ঘটনাটি উপজেলার পশ্চিম রাখালিয়া এলাকায় ঘটে।

    নিহতদের মধ্যে এক জনের নাম জানা গেছে। তিনি হলেন বাড়ির মালিক রিয়াদ হোসেন। অপরজন সুইপার ছিলেন। তার নাম জানা যায়নি।

    স্থানীয়য়া জানান, বিকেলে রাখালিয়া এলাকায় নুরুল হক পাটোয়ারী বাড়ির পাটোয়ারী ভিলার একটি সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নামেন সুইপার।  পরিষ্কার করা অবস্থায় সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে তিনি আটকা পড়েন। পরে বাড়ির মালিক রিয়াদ উদ্ধার করতে গেলে দুইজনেরই মৃত্যু হয়। তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে, ট্যাংকের ভেতরে অক্সিজেনের অভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

    রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে সেপটিক ট্যাংক ভেঙে মৃতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এফএস

    নোয়াখালীর দুই নাবিকের মুক্তিতে বাড়িতে স্বস্তি

    অবশেষে চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠা আর শঙ্কা কাটিয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকা জিম্মি ২৩ নাবিকের মুক্তি মিলল। ভারত মহাসাগরে সোমালিয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের বাংলাদেশি ২৩ নাবিক ৩২ দিন ধরে জিম্মিদশায় ছিল। মুক্তির খবরে নাবিকদের পরিবারে স্বস্তি আসলেও তারা সশরীরে দেশের আসার আগ পর্যন্ত তাদের দেখার উৎকণ্ঠায় পরিবার ও দেশবাসী।

    মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিকের মধ্যে নোয়াখালীর দুই নাবিক আনোয়ারুল হক রাজু ও মোহাম্মদ ছালেহ আহমেদের গ্রামের বাড়িতে পরিবারের মাঝে শংকা কেটে স্বস্তি এসেছে। এখন তারা প্রতীক্ষার প্রহর গুণছেন কখন ফিরে আসবে তাদের সন্তান, ভাই ও স্বামী।

    গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশী বাণিজ্যক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ২৩ জন নাবিকসহ অপহরণ করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ২৩ নাবিকের মধ্যে রয়েছেন, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের নাবিক রাজু (২৭) ও চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের সিংবাহুড়া গ্রামের নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদ (৪৩)।

    কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নাবিক রাজু বাড়িতে এসে ঈদ করার কথা ছিল। বাড়িতে নতুন ঘরের কাজও চলছে ঈদের পরে রাজুর বিয়েকে উপলক্ষ করে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে রাজু সবার ছোট। গত বছর নভেম্বর মাসের শেষ দিকে রাজু সিঙ্গাপুর থেকে জাহাজে ওঠে। এরপর প্রথম রমজান থেকে ছেলের জিম্মিদশায় বদলে গেছে পরিবারের সকল চিত্র। ঈদের দুই  দিন পর রাজু’র মুক্তিতে পরিবারে এখন আনন্দ বিরাজ করছে। দীর্ঘ একমাস পরে অক্ষত ও জীবিত অবস্থায় মুক্তি পাওয়া পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তারা প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন রাজু সহ সকল নাবিক দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে আসবে।   
     
    নাবিক রাজুর বাবা মাস্টার আজিজুল হক বলেন, দীর্ঘ ৩২ দিন পর ছেলের মুক্তির খবরে আমরা পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরলাম। সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে ২৩ নাবিককে উদ্ধারের পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তাদেরকে ধন্যবাদ।

    অপরদিকে, স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে চাটখিল উপজেলার নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদের ছোট পরিবার। তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। ছালেহ আহমদ গত বছর ঈদ করেছেন কর্মস্থলে। স্ত্রী ও তিন কন্যার আশা ছিল এবার তাদের সঙ্গে ঈদ করবেন। কিন্তু স্বামী জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার খবরে এলোমেলো হয়ে যায় স্বাভাবিক জীবন। তিন মেয়েকে নিয়ে অনেকটা বাকরুদ্ধ ছালেহ আহমেদের স্ত্রী তানিয়া আক্তার স্বামীর মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছেন। ঈদের দুই দিন পরে নাবিক ছালেহ'র মুক্তির খবরে স্বস্তি এসেছে। এখন স্বামীর ফিরে আসার প্রহর গুণছেন স্ত্রী তানিয়া ও তার কন্যারা।

    ছালেহ আহমদের স্ত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, সরকারের কার্যকর ভূমিকায় জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে বাংলাদেশি ২৩ নাবিকের মুক্তিতে আমাদের সকলের পরিবারের মাঝে স্বস্তি এসেছে। শংকা কেটে গিয়ে আনন্দ বিরাজ করছে সবার মাঝে। তবে এখনো নাবিক পরিবারগুলো তাদের স্বজনদের ফিরে আসার উৎকন্ঠায় প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন। তাদের আশা দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসবেন আপন নীড়ে।  

    এফএস

    বাংলাদেশে পালিয়ে এলো মিয়ানমার বিজিপির আরও ৯ সদস্য

    কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে দু'পক্ষের চলমান সংঘর্ষের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। ঈদের দিন থেকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং, হ্নীলা, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, পৌরসভা নাফনদী সীমান্তবর্তী এলাকার ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি এবং জান্তা সরকার বাহিনী বিজিপি সদস্যদের মধ্যে দফায় দফায় গোলাগুলি, নিক্ষেপ করা মর্টার শেল, বিস্ফোরিত বোমার বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে এপার সীমান্তবর্তী এলাকা। এতে নাফ নদী সংলগ্ন জেলে পরিবারসহ সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় মধ্যে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।

    তথ্য নিয়ে জানা যায়, রবিবার (১৪ এপ্রিল) গভীর রাতে টেকনাফ উপজেলা হোয়াইক্যং, হ্নীলা নাফনদীর ওপারে মিয়ানমারে দু'পক্ষের চলমান সহিংসতায় জান্তা বাহিনীর ৪০/৫০ জন বিজিপি সদস্য নিহত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায়, রবিবার সকাল ৭টার দিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হাত থেকে নিজের প্রাণ বাঁচাতে টৈকনাফের ঝিমংখালী ও খারাংখালী নাফনদী পার হয়ে এপার সীমান্তরক্ষী বিজিবি সদস্যদের কাছে গুরুতর আহত অবস্থায় স্বশস্ত্র ৯ জন মিয়ানমার বিজিপি সদস্য আত্নসমর্পণেথ মাধ্যমে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে তারা টেকনাফ ২ বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। আহত বিজিপি সদস্যদেরকে চিকিৎসা সেবা দিতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি গোয়েন্দা সূত্র সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, টেকনাফ সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচাতে আরো অনেক মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি সদস্য অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, ওপারের চলমান সংঘর্ষের রোশানলে পড়ে নিজেদের প্রান বাঁচাতে স্বশস্ত্র ৯ জন মিয়ানমার বিজিপি সদস্য এপারে প্রবেশ করে আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তাদেরকে আমরা নিরস্ত্র করার পর হেফাজতে রেখেছি।

    আহত বিজিপি সদস্যদেরকে সু-চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

    সোনারগাঁয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় অটোরিকশাচালক নিহত

    নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাসের চাপায় জাহিদ মিয়া (১৮) নামে এক অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন।

    সোমবার (১৫ এপ্রিল) উপজেলার মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জাহিদ মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের তারা মিয়ার ছেলে। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে মোগড়াপাড়া অটোরিকশা চালানোর সময় কুমিল্লাগামী রূপান্তর মেঘনা সুপার সার্ভিস নামে একটি বাস ( ঢাকা মোট্র-ব ১৩-০৫৬৮)অটোরিকশাকে চাপা দিলে এটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই জাহিদ মারা যান। 

    কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক জানান, বাসটি আটক করা হলেও চালক পলাতক আছে। তাকে ধরতে চেষ্টা চলছে। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

    পিএম


    উপজেলা নির্বাচন: মাদারীপুরে শেষ দিনে মনোনয়ন দাখিল ২৯ জনের

    আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে মাদারীপুরের ৩টি উপজেলায় মোট ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছেন। আজ মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ছিল। এবারই প্রথম প্রার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে মনোনয়ন ফরম পূরণ করে দাখিল করতে হয়েছে। সরাসরি কোন মনোনয়ন ফরম গ্রহণ করা হয় নাই।

    জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

    এদিকে মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছেন মাদারীপুর সদরে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন। রাজৈর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং শিবচর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন।

    এদিকে সদরের প্রার্থীরা হলেন চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেলুর রহমান শফিক ও স্থানীয় এমপি পুত্র মো. আসিবুর রহমান খান। ভাইস চেয়ারম্যান পদে এইচ এম মনিরুজ্জামান আক্তার, মো. মোখলেছুর রহমান, মো. বোরহান উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম ভূইয়া ও মো. জাহিদ হোসেন। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারিয়া হাছান রাখি, ডেইজী আফরোজ, মোসাঃ তাজনাহার, ফারজানা নাজনিন ও হেনা খানম।

    মাদারীপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার আহমেদ আলী জানান, এবারই এই প্রথম সম্পূর্ণ অনলাইনের মাধ্যমে প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছে। কোন হাতে হাতে মনোনয়ন ফরম গ্রহণ করা হয় নাই। আগামী ৮ই মে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করছে।

    উল্লেখ্য, ১৫ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলা গঠিত। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২২ হাজার ৪ শত ২৬। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৬ হাজার ও মহিলা ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪২১, হিজড়া ৫। মোট ভোট কেন্দ্র ১১৭। আগামী ৮ই মে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ৬ষ্ঠ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    পিএম

    নাবিক সাব্বিরের মুক্তির খবরে পরিবারে আনন্দের বন্যা

    অপহৃত জাহাজের নাবিক সাব্বিরের বাবা হারুন অর রশিদের পরিবার ছেলেকে ছাড়া দুশ্চিন্তার মধ্য দিয়ে ঈদ করেছেন। ঈদের দিন তারা আনন্দের বদলে বিষাদে দিন পাড়ি দিয়েছেন। ছেলে কখন জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাবে সে অপেক্ষায় ছিলেন।

    ঈদের পরে নববর্ষের দিন(১৪ এপ্রিল) টিভিতে ছেলেসহ সবাই মুক্তি পেয়েছে এটা শুনে নববর্ষে তাদের পরিবারে ঈদের আন্দের ঢেউ বয়ে যায়। তারপর ছেলে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানায় সে ভালো আছে- আর চিন্তার কিছু নেই। তারপরও অপেক্ষায় আছেন, ছেলে কবে ঘরে ফিরে আসবে! আবেগে আপ্লুত হয়ে কথাগুলো বলছিলেন নাবিক সাব্বিরের বাবা হারুন অর রশীদ। নাবিক সাব্বিরের মুক্তির খবর শুনে তার পরিবারে খুশির বন্যা বইছে। ভর করেছে ঈদের আনন্দ। 

    সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া নাবিক সাব্বির হোসনের টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামে। সেখানেই কথা হয় হারুন অর রশিদ ও তার পরিবারের অন্যদের সঙ্গে।

    পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নাগরপুরের সহবতপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে থেকে এসএসসি পাস করেন মো. সাব্বির হোসেন। টাঙ্গাইল শহরের কাগমারি এমএম আলী কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এইচএসএসসি পাস করে ভর্তি হন চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করে ২০২২ সালের জুন মাসে এমভি আব্দুল্লাহ নামক পণ্যবাহী জাহাজে মার্চেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরি নেন।

    সাব্বিরের মা সালেহা বেগম জানান, সাব্বিবের সাথে মোবাইল ফোনে একটু সময় কথা হয়েছে। সে বলেছে- ‘মা চিন্তা করো না, আমরা মুক্তি পেয়েছি- সবাই ভালো আছি’। এ কথা শোনার পর যেন বুকের জগদ্দল পাথরটা সরে গিয়ে মনটা ভরে উঠল। ছেলের দুশ্চিন্তায় ঈদের দিন আনন্দ করতে পারেন নাই। দীর্ঘ একটা মাস কীভাবে যে কেটেছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেন না। পয়লা বৈশাখের দিন ছেলে যখন মোবাইলে ফোন করে বললো- ‘মুক্তি পেয়েছি ভালো আছি’ কথাটা শোনার পর থেকে তাদের পরিবারে ঈদের লহর বয়ে যাচ্ছে। ছেলেকে কাছে পেলে আনন্দটা আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে বলে জানান তার মা।

    বোন মিতু আক্তার জানান, ভাইয়ের জন্য দুশ্চিন্তায় এক মাস তাদের পরিবার বিষাদে কাটিয়েছে। বৈশাখের সকালে এক-দুই মিনিটের মতো ভাইয়ের সাথে তিনি ও বাবা-মা কথা বলেছেন। ভাই বলেছে ‘তারা সবাই ভালো আছে- সুস্থ আছে’। এ কথা শোনার পর তাদের খুব ভালো লাগছে- খুব খুশি লাগছে। তবে আনন্দটা আরও বেড়ে যাবে তার ভাই পরিবারের কাছে ফিরে এলে। তার ভাই সাব্বির কবে দেশে আসবে তা এখনও বলতে পারছেন না।

    নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান জানান, এখনও সাব্বিরের পরিবারের সাথে তার কথা হয়নি। প্রকাশ, এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি গত ১২মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ওই জাহাজের ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয়। জাহাজটি কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারামিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল।

    এমআর

    গজারিয়ায় অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ উদ্ধার

    মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় টেঙারচর ইউনিয়নের বৈদ্দারগাঁ গ্রামের দক্ষিণ মহল্লায় কাঁচা সড়ক সংলগ্ন ভুট্টা ক্ষেতে আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছরের একটি তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে গজারিয়া থানা পুলিশ। 

    সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে এলাকাবাসী কবর জিয়ারত করতে গেলে কয়েক জন মুসল্লির দেখতে পান রাস্তার পাশে ভুট্টা ক্ষেতে একটি মরদেহ পরে আছে। পরে এলাকাবাসী চেয়ারম্যান, মেম্বারকে জানালে তাঁরা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন।

    এবিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিব খান বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে পেয়ে এসে ২৫ থেকে ৩০ বছরের একটি মরদেহ উদ্ধার করি।  প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আগাতের চিহ্ন পাওয়া যায় এবং ঘটনাস্থলে পিবিআই প্রাথমিক সুরতহাল তৈরি করেন। ময়নাতদন্ত ও অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে হত্যা রহস্য জানা যাবে বলে সংবাদ কর্মীদের জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

    পিএম

    মাদারীপুর বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    মাদারীপুরে সদর উপজেলায় মাদ্রায় বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল  করেছে মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের নেতারা।

    রবিবার (১৪এপ্রিল)দুপুরে ঝাউদি ইউনিয়নের মাদ্রা এলাকার ফারুক হাওলাদারের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনেআয়োজন করা হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদারীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিরাজ  খান। তিনি জানান, মাদারীপুর সদর উপজেলার নির্বাচন অশান্ত করার উদ্দেশ্য ঝাউদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের নের্তৃত্ব মাদক ব্যবসায়ী, বালু সিন্ডিকেটের মুল হোতা রুবেল খান ও সোহেল খান সহযোগিতায় বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করিতেছে। শনিবার মাদ্রা এলাকায় দেশিও অস্ত্র সহ মহরা দিয়ে প্রায় ১৫টি ঘড় বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে বলে দাবি করেন সংবাদ সম্মেলনে।

    সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, একটি পক্ষ নির্বাচনে সাধারণ জনগণের মাঝে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জনমনে আতংক সৃষ্টি করতে চাইছে। তারা সুষ্ঠু নির্বাচন কে বাধাগ্রস্থ করতে চায়। তাই আসন্ন উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠ ও উৎসব মুখর অংশগ্রহণ মুলক করতে সকল সন্ত্রাসী ও অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার দাবি জানান।

    এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ,সাংগঠনিক সম্পাদক এবং চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন হাওলাদার, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান অনিক প্রমুখ।

    মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এই ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    উল্লেখ্য, শনিবার সকালে সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের উত্তর বোতলা গ্রামে নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে হামলা চালিয়ে ১৫টি বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে।

    এফএস

    উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ

    আসন্ন ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শেখের হাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল আমিন খান সুরুজ।

    সোমবার (১৫ এপ্রিল ) দুপুরে ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর তিনি লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    নুরুল আমিন খান সুরুজ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ২০০৩ সাল থেকে একটানা শেখের হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

    এ বিষয়ে শেখের হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন খান সুরুজ বলেন, আমি দীর্ঘদিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করলাম। সকলের দোয়া ও সহযোগিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবো।’

    এমআর

    বরগুনার পাথরঘাটায় নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

    বরগুনার পাথরঘাটায় বাবার বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ইসরাত জাহান ইভা (২৪) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ।

    সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০ টার দিকে পুলিশ উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। কারিমা একই গ্রামের জালাল মাঝির মেয়ে।

    স্বামী সোহেল রানার বাড়ি উপজেলার চরদুয়ানী হোগলাপাশা গ্রামের মোস্তফা সরদারের ছেলে।

    জানা যায়, রোববার রাতের খাবার খেয়ে ঘরের সবাই নিজ‌ নিজ কক্ষে যান। কিছুক্ষণ পর কারিমা স্বামীর বিছানা থেকে তার মা খাদিজা বেগমের কক্ষে যান। পরে ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে স্বামী সোহেল রানা স্ত্রী কারিমাকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে শাশুড়ি খাদিজার কাছে‌ গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে খোঁজাখুঁজি করে ঘরের সামনের বারান্দায় আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।

    স্বামী সোহেল রানা বলেন, আমি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। ঈদের ছুটিতে আসছি। আজ সকালে ঢাকায় যাওয়ার কথা।

    তিনি বলেন, এক সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে বিছানায় যাই। শাশুড়ির ব্যবহৃত স্মার্টফোনের লক খুলতে কিছুক্ষণ পর আমার পাশ থেকে উঠে কারিমা তার মায়ের কক্ষে গিয়ে আর আসেনি। আমার সন্দেহ হয় মা-মেয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শাশুড়ি আমার স্ত্রীকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে। যেভাবে পা চেয়ারের সঙ্গে ছিল তাতে আত্মহত্যা নয় এটি হত্যা।

    এদিকে শাশুড়ি খাদিজা বেগমের অভিযোগ বলেন, জামাই আমার মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে রেখেছে।

    পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মো: আনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে জানান, প্রাথমিক তথ্য পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছেন। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

    এফএস

    বরগুনায় ফুটবল খেলতে আসবেন ব্যারিস্টার সুমন

    বরগুনার  পাথরঘাটায় প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টকে ঘিরে নতুন সাজে সেজেছে পাথরঘাটা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। এ ফুটবল খেলায় বিশেষ আকর্ষণ থাকছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমন।

    এমপি গোলাম সবুর টুলু ফাউন্ডেশন ও স্মৃতি সংসদ এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট। এই ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি ও গোলাম সবুর টুলু স্পোর্টস ক্লাব।

    রবিবার (১৪ এপ্রিল) পাথরঘাটা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায় প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টকে ঘিরে নানা ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মাঠ প্রস্তুত করা, গাড়ি পার্কিং, দর্শকদের চলাচলের রাস্তা ও বসার স্থান নির্ধারণ ।

    সোমবার পাথরঘাটা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে এ প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এই ফুটবল খেলাকে ঘিরে উপজেলা প্রশাসনসহ র‍্যাব, পুলিশ মোতায়ন করা হবে বলে জানা গেছে।

    মাঠের সার্বিক পরিস্থিতি ঠিক রাখার জন্য সব সময় আওয়ামী লীগ সহ সকলকে নির্দেশনা দিচ্ছে বরগুনা-২ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য এমপি গোলাম সবুর টুলু ও বরগুনা-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এমপি সুলতানা নাদিরার বড় মেয়ে ফারজানা সবুর রুমকি। তার সাথে সহযোগিতা করছে এমপি সুলতানা নাদিরার মেজ মেয়ে সাবরিনা নাদিরা সবুর এবং ছোট মেয়ে হাছছানা নাদিরা সবুর।

    এই ফুটবল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, বরগুনা-২ (পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী) আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা এমপি, বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) রফিকুল ইসলাম, বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুস সালাম, পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রোকনুজ্জামান খান। এছাড়াও আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত থাকবেন।

    এমপি গোলাম সবুর টুলু ফাউন্ডেশন ও স্মৃতি সংসদ এর সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ফারজানা সবুর রুমকি সাংবাদিকদের বলেন, পাথরঘাটার মানুষ ক্রীড়া প্রেমি। এমপি গোলাম সবুর টুলু ফাউন্ডেশন ও স্মৃতি সংসদ এর আয়োজনে প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ পরবর্তী পূর্ণমিলনীর জন্য এই প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। এই ফুটবল খেলায় মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমন ও ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি।

    তিনি আরও বলেন, এই ফুটবল খেলাকে ঘিরে যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এজন্য র‍্যাব, পুলিশ সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত থাকবে। আশা করি সুষ্ঠু সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট।

    এফএস

    বরগুনায় ৩ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন

    বরগুনায় নববর্ষের আনন্দকে উপভোগ করতে ৩ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। 

    রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিমুলতলা মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

    এর আগে সকালে বৈশাখী মেলা উদযাপন কমিটি ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শিমুলতলা চত্বরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফারজানা সুমী।

    এ সময় বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আবদুস সালাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা কাদের, জাগো নারীর প্রধান নির্বাহী হোসনে আরা হাসিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    পিএম

    প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি হরিণঘাটা

    ঘুরতে সবাই পছন্দ করে। ঘুরতে পছন্দ করে না এমন খুব কমই আছে। আর ঈদ এলে তো কথাই নেই, নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে অনেকের পরিকল্পনার শেষ নেই। এই পরিকল্পনা যদি কোলাহল মুক্ত সবুজ ঘেরা কোন প্রকৃতি, নদী কিংবা স্নিগ্ধ বালুময় সমুদ্রের তীরে অবকাশ যাপনের জন্য না করা যায় তাহলে যেন তৃপ্তি নেই। এবার তেমনি দুটি স্থান শুভসন্ধ্যা ও সুরঞ্জনা ভ্রমনের পরিকল্পনা করা যাক। 

    হরিণঘাটা ইকোপার্ক:

    বঙ্গোপসাগরের কোলঘেষে একটি সুন্দর বনভূমি হরিণঘাটা ইকোপার্ক। সকল দিকে বিস্তীর্ণ সাগরের হাতছানি আর অন্যদিকে অকৃত্রিম বনের মাঝে ছড়িয়ে থাকা সবুজের সমারোহ যাদের মুগ্ধ করে তাদের জন্য এই দেশের মাঝেই বেড়ানোর চমৎকার একটি স্থান। এখানে এসে যেমন উপভোগ করা যায় সাগরের মাঝে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মোহনীয় দৃশ্য, তেমনি দেখা মেলে নানা প্রজাতির গাছের সমারোহে গড়ে ওঠা সবুজ নিসর্গ আর হরেক রকম বণ্যপ্রাণীরও।

    বনের ভেতর দিয়ে আঁকাবাঁকায় নির্মাণকৃত এ ফুট ট্রেইল প্রায় ২,৯৫০ মিটার দীর্ঘ। এ ফুট ট্রেইল বনের ভেতর দিয়ে সাগর মোহনায় সৃজিত ঝাউবন পর্যন্ত বিস্তৃত। দর্শনার্থীদের একটু বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বনের ভেতর থেমে থেমে চারটি বিশ্রামাগার সদৃশ গোলঘর নির্মাণ করা আছে। দৃষ্টিনন্দন এ বনে প্রাকৃতিক কেওড়া, পশুর, গেওয়াসহ সৃজিত সুন্দরী ও ঝাউবন রয়েছে। এখানে হিংস্র প্রাণী না থাকলেও আছে হরিণ, বন মোরগ, বানর, শুকর, গুইসাপ, নানা প্রজাতির সরীসৃপসহ ২০ প্রজাতির বন্য প্রাণী। বনে আছে অন্তত ৫০ প্রজাতির পাখি আর অগণিত ফরিং ও প্রজাপতিসহ নানা প্রাণীকূল । 

    শুভসন্ধ্যা 

    বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের উপকূলীয় বরগুনা জেলার প্রধান তিনটি নদী- পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বরের জল মোহনার সাগরে মিশে যাওয়ার স্নিগ্ধ বেলাভূমির বালুচর শুভসন্ধ্যা। যার একদিকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন এবং অপরদিকে সীমাহীন বঙ্গোপসাগর। 

    সাগর ঘেঁষা নয়নাভিরাম এ সৈকতটি তালতলী উপজেলার নিশানবারিয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় স্থানীয়দের কাছে এটি নলবুনিয়া চর নামে পরিচিত। এ চরের বনাঞ্চল প্রায় ১০ কিলোমিটার। ২০০৬ সালে ৫৮ হেক্টর জমিতে এখানে নন ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল গড়ে তোলে বন বিভাগ। ঝাউ গাছ, খইয়্যা বাবলা, মাউন্ট, আকাশমনি, অর্জুন, কালি বাবলা, কড়াই, খয়ের ও বাদাম সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে এখানে। বিস্তীর্ণ বেলাভূমির এই বনাঞ্চলের সাগর প্রান্তে দাঁড়িয়ে সূর্যোদ্বয় ও সূর্যাস্ত দুটোই উপভোগ করা যায়।

    যাতায়াত : 

    পর্যটকরা সাধারণত নৌ ও স্থলপথেই আসতে পারবেন। ঢাকা থেকে বিকাল ৫ টায় পাথরঘাটার কাকচিড়ার  উদ্দেশ্যে লঞ্চ ছেড়ে যায়। এ ছাড়া গাবতলী ও সায়েদাবাদ থেকে আসা যাবে বাসে। 

    বরগুনা ও পাথরঘাটা শহরে সল্প খরচে আবাসিক হোটেল, ডাক বাংলো, এনজিও রেস্ট হাউস ও হরিণঘাটা ইকোপার্কে রয়েছে বনবীথি ডাকবাংলো । একটিতে রুম নিয়ে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়ুন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। প্রথমেই পাথরঘাটার পৌরসভার সামনে থেকে আটোরিকশা রিজার্ভ করে কিংবা মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে চলে যাবেন কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য হরিণঘাটা ইকোপার্কে । 

    হরিণঘাটা ঘোরার পরে  পর শুভসন্ধ্যায় যেতে প্রথমে তালতলীর উদ্দেশ্যে ছাড়া যানবাহন ও ট্রলারে তালতলী সদরে যাবেন। সেখান থেকে ভ্যান, রিকশা, মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে সোজা কাঙ্খিত শুভসন্ধ্যায়। ভ্রমণ শেষে তালতলী থেকেও চলে যেতে পারবেন ঢাকা।  বরগুনা ও পাথরঘাটা  কাছে কেউ চলে যেতে পারবেন ঢাকা। 

    এমআর

    নেত্রকোণায় চেয়ারম্যান পদে ১৮ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

    প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী দুই উপজেলা দুর্গাপুর ও কলমাকান্দায় জমে উঠে নির্বাচনী আমেজ। এই নির্বাচনের অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল দিনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে ১৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। 

    এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আরো ৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। 

    এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্ত মো. গোলাম মোস্তফা। 

    জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে, দুর্গাপুরে উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান প্রার্থীরা হলেন ৮ জন— সাবেক উপজেলাপ আ'লীগ সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান, বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উপজেলা মহিলালীগের সভাপতি পারভিন আক্তার, আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান নীরা, পৌরসভা সাবেক চেয়ারম্যান মো. কামাল পাশা, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ হক, কুল্লাগড়া ইউপি সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল হুদা, ব্যবসায়ী ও ঝানঝাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ফারুক আহমেদ ও উপজেলা সাবেক আ'লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. এমদাদুল হক খান। 

    ভাইস চেয়ারম্যান পদে গোলাম ফাহমী ভূঞাঁ, ছায়েদুর রহমান ও আব্দুল কাইয়ুম খান। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শারমিন আক্তার, জাকিয়া সুলতানা জবা ও অন্তরা বেগম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

    কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন ১০ জন— জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, কলমাকান্দা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা বেগম, নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. রফিকুজ্জামান খোকন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক, কলমাকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মাহতাব উদ্দিন, যুবলীগকর্মী শাহিন মিয়া, আওয়ামী লীগকর্মী শাহ জাহাঙ্গীর কবীর ও মো. সোলায়মান। 

    ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. হাবিবুর রহমান ও অলি আহমেদ মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা. রুনা আক্তার ও কুমকুম নকরেক মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

    জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল সোমবার। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৭ এপ্রিল। প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৩ এপ্রিল। আর ৮ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। 

    জেলা নিবার্চন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রথম ধাপে জেলার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। 

    উল্লেখ্য, সীমান্তবর্তী এই উপজেলায় মোট ভোটার ৪ লাখ ১৮ হাজার ৬৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১২ হাজার ৬২৫ জন। নারী ভোটার ২ লাখ ৫ হাজার ৪৩৮ জন। হিজড়া ৪ জন। নতুন ভোটার ৬৪ হাজার ৮৬১ জন। 

    পিএম


    ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২

    ময়মনসিংহের তারাকান্দায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন।


    আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কোদলধর এলাকার হিমালয় পেট্রোল পাম্পের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।


    তারাকান্দা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াজেদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত দুইজনের নামপরিচয় জানা যায়নি।


    ওসি ওয়াজেদ আলী বলেন, সকালে কোদালধর এলাকায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দুই বাসের দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন নারী।


    নিহতদের নামপরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


    দুর্ঘটনার পর বাস দুটি রাস্তার পাশের ধানক্ষেতে উল্টে যায়। সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি।

    ত্রিশালে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

    ময়মনসিংহের ত্রিশালে মিথ্যা মামলারর প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগী ও এলাকার হাজারো মানুষ।

    সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের ঈদগাঁহ বাজারে হাজারো নারী-পুরষের উপস্থিতিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে তারা মিথ্যা মামলার প্রত্যাহারের দাবীতে বিক্ষোভ করেন।

    গত ৬ এপ্রিল শনিবার রাত ৯ টায় উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের ঈদগাঁহ বাজারে চাঞ্চল্যকর দুই খুনের প্রধান আসামী ভূমিদস্যু চক্র ‘জিলানী বাহিনীর’ প্রধান আব্দুল কাদের জিলানী (৪৯) গনপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় ৭ এপ্রিল নিহত জিলানীর স্ত্রী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন ত্রিশাল থানায়। এ মামলার যে ১২ জনকে আসামী করা হয়েছে তারা সবাই পূর্বের বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার, আবুল কালাম ও দপ্তরী রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষী।

    ভুক্তভোগী নিহত মতিন মাস্টারের পুত্র বধূ  রত্না, ভাতিজি নুসরাত জাহান লিজা ও নিহত আবুল কালামের ভাতিজা ওবাইদুল হাসান বলেন, গত ৬ এপ্রিল স্থানীয় মঠবাড়ী ইউনিয়নের ঈদগাঁহ বাজারে ডাকাতির উদ্দেশ্যে অটো রিকসা যুগে ২০-২৫ জন লোক ও দেশীয় অস্ত্রসহ নিহত আব্দুল কাদের জিলানী দোকানে হামলা চালান। ঐ সময় পূর্বের তিন মামলার বাদী ও সাক্ষীদের দোকানে দেখতে পেয়ে তাদের উপর হামলা করেন। এতে হারুন অর রশিদ ও কবির মিয়া গুরুতর আহত হয়ে প্রথমে মমেক হাসপাতালে।

    পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলা চলাকালে স্থানীয় দোকানে থাকা লোকজন জিলানী বাহিনীকে ধাওয়া দেয়। রাতের অন্ধকারে জিলানির হাতে থাকা টর্চলাইট দৌড়ে পালানোর সময় পড়ে গেলে স্থানীয় লোকজন ডাকাত বলে তাকে ধরে গনপিটুনী দেয়। তার সাথে থাকা বাকিরা পালিয়ে যায়। জিলানী বাহিনীর লোকজন নিয়ে আসা অটো রিকসাও আটক করে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এসে আহত জিলানীকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে আমরা শুনি জিলানী মারা গেছে। 

    এ ঘটনায় ত্রিশাল থানায় জিলানীর স্ত্রী বাদী হয়ে ১২ জনের নাম ও অজ্ঞাত আরেক কয়েক জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা পূর্বের বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার, আবুল কালাম ও দপ্তরী রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষী। তাদের আসামী করার উদ্দেশ্য হলো দুই খুনের মালার প্রধান আসামী ছিল জিলানী ও তার পরিবারের সদস্যরা। তারা মামলাটিকে অন্য খাতে প্রবাবিত করতে চাচ্ছে। আমরা পরিবার নিয়ে বাঁচতে চাই মিথ্যা মালার প্রত্যাহার চাই।

    ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, গত ৬ এপ্রিল শনিবার রাতে পূর্বের বিরোধীতার জেরে উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের ঈদগাহ বাজারে দুই গ্রুপের সংর্ঘষ হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গেলে আহত অবস্থায় জিলানীকে উদ্ধার করে মমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে করর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জিলানীর স্ত্রী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

    উল্লেখ্য, আব্দুল কাদের জিলানী ২টি হত্যা মামলা, ২টি ডাকাতির মামলা, চাদাবাজীর মামলা, অস্ত্র মামলা, চুরির মামলা, মারামারির মামলাসহ ১২টি মামলার চার্যশীট ভুক্ত আসামী ও ১০টি জিডির মামলার আসামী। আব্দুল কাদের জিলানী ২টি মামলায় আদালতের রায়ে সাজা প্রাপ্ত আসামী। ২০২২ সালে র‌্যাব প্রেস ব্রিফিং জানাযায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার ও রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলা থেকে বাঁচার জন্য জিলানী ও তাঁর সহযোগীরা আবুল কালামকেও হত্যা করেন।এ নিয়ে মোট তিনটি হত্যার ঘটনা ঘটায় জিলানী বাহিনী। তারা বিভিন্ন সময় জালিয়াতির মাধ্যমে এলাকার কৃষকদের ভূমি দখল করে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে অতিরিক্ত মুনাফায় বিক্রি করত।

    তাদের এ কাজের বিরোধিতা করায় ২০১৮ সালের ৪ জুলাই জিলানী বাহিনী মতিন মাস্টারকে হত্যা করে তাঁর গলাকাটা লাশ পুকুরে ফেলে রাখে। এ হত্যা মামলায় জিলানীর ভাই তোফাজ্জল হোসেনসহ আটজনের নামে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এরপর ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দপ্তরি রফিকুল ইসলামকে হত্যা করে জিলানী বাহিনী। এতে আবদুল কাদের জিলানীসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। আবদুল কাদের জিলানী ভূমি দখলসহ নানা অপকর্মের জন্য ২০ থেকে ২৫ জনের একটি বাহিনী গড়ে তোলেন এলাকায়।

    পিএম

    ঈদে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে জামাইয়ের আত্মহত্যা

    শেরপুরের নকলায় ঈদ উপলক্ষে শশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে আত্মহত্যা করলেন মেয়ের জামাই আব্দুল রহিম (৪০)। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত অনুমান ৩টার দিকে উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের নামাকৈয়াকুড়ী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রহিম নকলা পৌরসভাধীন মৃত হাবিল মিয়ার পুত্র। রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।

    স্থানীয়সূত্র ও পুলিশ জানায়, আব্দুল রহিম পেশায় একজন ট্রাক চালক ছিলেন। ঢাকায় ন্যাশনাল পলিমার কোম্পানির গাড়ী চালাত। ৫ মাস পূর্বে স্ট্রোক করার কারনে সে আর গাড়ী চালায় না। স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা শহরের চেরাগআলীতে বসবাস করেন। তার স্ত্রী নাছিমা বেগম পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করে পুরো সংসার চালায়। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসে সবাই। নাছিমা চলে যায় বাপের বাড়ি পাঠাকাটার নামাকৈয়াকুড়ী গ্রামে এবং আব্দুল রহিম চলে যায় নিজের বাড়ি জালালপুর গ্রামে। ঈদের দিন অনুমান রাত ১২টার দিকে রহিম শ্বশুরবাড়ি নামাকৈয়াকুড়ীতে বেড়াতে যায়। শনিবার দিবাগত রাত অনুমান ২টা থেকে ৩টার দিকে সবার অগোচরে শ্বশুর বাড়ির পাশে কড়ইগাছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।

    এ ব্যাপরে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া জানান, এ ঘটনায় আমরা রবিবার ভোররাতে পাঠাকাটা ইউনিয়নের নামাকৈয়াকুড়ী গ্রাম থেকে আব্দুল রহিম এর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে শরীরের কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সুরুতহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    এফএস

    কেন্দুয়ায় প্রত্যন্ত গ্রামে ২৪ ঘন্টা ব্যাপ্তি খনার মেলা

    নেত্রকোনায় গ্রামীণ ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে প্রত্যন্ত গ্রামে খনার মেলা আয়োজন করেছে মঙ্গল ঘর নামের একটি সংগঠন।  


    আজ শনিবার(১৩ এপ্রিল) বাংলা ১৪৩০ কে বিদায় জানাতে জেলার জেলার কবি সাহিত্যিকের উর্বর ভূমি ও ময়মনসিংহে গীতিকার ঐতিহ্যবাহী উপজেলা কেন্দুয়ার গড়াডোবা ইউনিয়নের আঙ্গারোয়া গ্রামে এই আয়োজন করা হয়েছে। ১৩ এপ্রিল সূর্যোদয় থেকে পরদিন ১৪ এপ্রিল সূর্যোদয় পর্যন্ত ২৪ ঘন্টা ব্যাপ্তি দিন রাত চলবে এই আয়োজন।


    আয়োজনে বয়াতি পালা গান, জারি গান, কেচ্ছা গান, লাঙ্গল, কোপি বাতি, বিন্দা, মাটির পাত্র, বাঁশের তৈরী বিভিন্ন তৈজসপত্র সহ গ্রামের ঐতিহ্যের সকল কিছু এখানে তুলে ধরা হয়।


    তবে মেলা বলতে সাধারণ নানা ধরনের খেলনার পসরা বুঝালেও এই মেলা সেই মধ্যে মেলা নয়। এটিতে কথা, গান দিয়ে ভরিয়ে তোলা হয়েছে। 


    আর সেই কথায় বা গানে গানে গ্রামীণ চিরায়ত চিত্র ফুটে উঠেছে। বয়াতির নিজেদের ভাষায় পালা গানের মাধ্যমে তুলে ধরেন এই গ্রামীণ সংস্কৃতি। খনার মেলার মূল প্রতিপাদ্যই ছিলো "আলো হাওয়া বেঁধো না, রোগে ভোগে মরো না"। অর্থাৎ কৃষি উপজীব্যকে সামনে তুলে আনতেই এমন আয়োজন। 



    আর এই আয়োজনে গ্রামে বেড়াতে আসা বিভিন্ন বয়সের শ্রেণি পেশার মানুষও উপস্থিত থেকে ঈদ এবং বৈশাখের ছুটির আনন্দ উপভোগ করেছে। শুধু গ্রামের মানুষই নয় জেলা ছাড়াও ঢাকা কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন এলাকা  থেকে এসেছেন অনেকেই। 


    বিভিন্ন শিল্পীরাও পরিবেশন করেছেন স্থানীয় বাউল সাধকদের গান। এছাড়াও স্থানীয় বয়াতি পালা গান, জারি গান, কেচ্ছা গান পরিবেশন করে। সবাই মিলে গ্রামীণ খাবার খেয়েছেন মাটির পাত্রে। পুরনো আসবাবপত্র তুলে ধরা হয় নতুন প্রজন্মকে চিনিয়ে দিতে। 


    খনার মেলায় আসা অতিথি পাপিয়া আক্তার বলেন, এই যে গ্রামে এই সময়ে আনন্দ করছে মানুষ এটাই তো হারিয়ে গিয়েছিল। এটি আবারও জাগ্রত হলে আবার গ্রামে ফিরবে মানুষ। 


    গ্রাম ছাড়া শহর হয়নি। তাই গ্রামের প্রতিবেশ পরিবেশ এখন হারিয়ে যাচ্ছে। এগুলোকে এমন আয়োজনের মাধ্যমেই পুনরুদ্ধার করতে হবে। এই খনার মেলায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত শিল্পকলা ও নাট্যকলা শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 



    শিক্ষার্থীরা সময়ের কণ্ঠস্বর বলেন, খনাকে নিয়ে আয়োজন এটাই প্রথমবারের মতো আমরা দেখেছি। আমরা চাই প্রতিবছর আয়োজনটি বড় পরিসরে হোক এবং গ্রামের ঐতিহ্য ধরে রাখুক। আয়োজক গড়াডোবা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লিপন চৌধুরী জানান, মঙ্গল ঘর নামে তাদের একটি মাত্র কক্ষ রয়েছে যেখানে প্রতিদিন আড্ডা হয়। 



    এসকল আড্ডায় ভালো ভালো চিন্তা বেরিয়ে আসে। আর সেখান থেকেই এই খনার মেলার আয়োজন। প্রথমবারে মতো এমন আয়োজনে স্থানীয় গ্রামের মানুষ আনন্দ নিচ্ছে এটাই অনেক বড়। বিশেষ করে খনার বচন এখন আর শোনাই যায় না। এগুলো নতুন প্রজন্ম শুনবে এবং ধারণ করবে। খনার বচনের সাথে প্রকৃতির সকল কিছু মিশে আছে। 



    এমআর

    ঠাকুরগাঁওয়ে নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল নদীতে গোসল করতে নেমে ইয়াসমিন (১০) ও তসলিমা (১১) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

    রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কুলিক নদীতে খন্জনা নামক স্থানে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।

    নিহত ইয়াসমিন উপজেলার খন্জনা গ্রামের ইব্রাহীম আলীর মেয়ে ও তসলিমা আক্তার দিনাজপুর সদরের ইউসুফ আলীর মেয়ে। তসলিমা তার নানীর বাড়ি বাড়িতে মেহমান এসেছিলেন৷

    দূঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাণীশংকৈল ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার নাছিম ইকবাল৷ তিনি বলেন, দুপুরে তারা দুইজন মিলে কুলিক নদীতে গোসল করতে নেমেছিলেন৷ কিছুক্ষণ পরে তারা ডুবে যায়৷ এলাকাবাসী দেখে তাদের উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থলে ইয়াসমিন মারা যায়। আর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তসলিমা মারা যায়৷

    এফএস

    দেশে বাকশাল কায়েম করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল

    ৭৫ এ আওয়ামী সরকার বাকশাল কায়েম করেছিল, তার পুনরাবৃত্তি করে আজ আবারো তারা দেশে বাকশাল কায়েম করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    রুহিয়া থানা বিএনপির আয়োজনে রোববার বিকেলে রুহিয়ায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তৈমুর রহমানের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন ।

    মির্জা আলমগীর বলেন, দেশে আজ কোন স্বাধীনতা নেই। দেশের মানুষ আজ দেশের ভেতরেই পরাধীনভাবে জীবন যাপন করছে। বিরোধী দল করলেই বা বিরোধী মতের হলেই আজ দেশের সাধারণ মানুষকেও এ দেউলিয়া সরকার আসামী বানিয়ে দেয়। এ ফ্যাসিষ্ট সরকার সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার সব অধিকার গুলি হরণ করেছে।  

    সরকারের দেউলিয়া হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, এ সরকার আজ দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে যার প্রমান মেলে তাদের রাষ্ট্র পরিচালনা দেখে। তারা রাষ্ট্র যন্ত্র ছাড়া কোন কাজই করতে পারেনা। তারা এমন দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে যে আজ পুলিশ দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে হচ্ছে তাদের। তাদের দেউলিয়াত্ব এতটাই বেড়েছে যে তা ঢাকতে তারা এমন তামাশার নির্বাচন করেছে। ১৪ সালে সাধারণ মানুষ নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও তারা জ¦য়ী হয়, আবার ১৮ এর নির্বাচন তারা আগের রাতেই করে ফেলে , এবার ডামি প্রার্থী দিয়ে ডামি নির্বাচন করেছে। আওয়ামীলীগ আর আওয়ামীলীগ নেই তারা আজ পুরো দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে।  

    মির্জা ফখরুল আরোও বলেন, আমার নামে ১ শ ১১ টি মামলা রয়েছে আর আমাকে জেলে যেতে হয়েছে প্রায় ১১ বার। এ বৃদ্ধ বয়সেও আমাকে এমন হাস্যকর মামলা গুলো দিয়ে হেনস্থা করছে তারা। মেগা প্রজেক্ট এর নামে মেগা দূর্ণিতী গুলোর বিষয়ে আমরা কথা বলি তাই এমন হাস্যকর মামলা খেতে হচ্ছে আমাদের। দেশের ব্যাংক গুলোকে এ সরকার শেষ করে দিয়েছে। নানা সরকারী বেসরকারী নিয়োগের টাকা খেয়ে আর ব্যাংক এর টাকা চুরি করেই এ সরকার আর সরকারের লোকেরা টিকে থাকছে। আমরা এমন দেশ চাইনি। এমন দেশ গড়ার জন্যও আমরা যুদ্ধ করিনি। 

    বেগম জিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভিষণ অসুস্থ্য। তার অতিসত্তর লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা খুব জরুরি। নাহলে তাকে আর বাঁচানো যাবেনা। অথচ তার চিকিৎসা নিয়েও সরকার নানা টালবাহানা করছে। 

    পরিশেষে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তৈমুর রহমানের কথা স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমরা প্রায় ৩২ বছর এক সাথে পথ চলেছি। আমি রাজনীতি করতে গিয়ে দূরে চলে গেলাম আর ঠাকুরগাঁওকে রেখে গেলাম তৈমুর সাহেবের কাছে। তিনি বেঁচে থাকতে বলতেন ,“এমন দেশ আমরা চাইনি আর এমন দেশ গড়ার জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। আমরা তাজা রক্ত দিয়ে যুদ্ধ করেছি দেশ আর দেশের মানুষকে স্বাধীন দেখতে। তা আর দেখতে পারছি না।”

    রুহিয়া থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম সহ দলটির অন্যান্য নেতা কর্মীরা।

    এমআর

    নববর্ষে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার দিলো বিজিবি

    বাংলা নববর্ষের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে বার্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ভারতীয় সীমান্ত রক্ষিবাহিনীকে (বিএসএফ) মিষ্টি উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। 

    রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১টায় হিলি সীমান্তের ২৮৫ নম্বর মেইন পিলারের ১১ সাব-পিলার সংলগ্ন চেকপোস্ট গেটের শুন্য রেখায় দুই বাহিনীর মাঝে এই শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। 

    বিজিবি হিলি চেকপোস্ট কমান্ডার নায়েক সুবেদার দোলোয়ার হোসেন বিএসএফ ভারত হিলি ক্যাম্পের বানারশি দাসের হাতে ৪ প্যাকেট মিষ্টি উপহার দেন। এসময় উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষি বাহিনীর নারী ও পুরুষ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

    বিজিবি হিলি চেকপোস্ট কমান্ডার নায়েক সুবেদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, উভয় দেশের সীমান্তরক্ষি বাহিনী সদস্যরা যাতে সুসম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে পারে সে লক্ষে প্রতিটি দিবস ও ধর্মীয় উৎসবগুলোতে উভয়ে মিষ্টি উপহার দিয়ে থাকি। আজকেও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে তাদের ৪ প্যাকেট মিষ্টি উপহার দেওয়া হয়েছে। 

    এমআর

    ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

    ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরো তিনজন মোটরসাইকেল আরোহী। মুমূর্ষু অবস্থায়  আহ‌ত‌দের রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    শ‌নিবার (১৩ এপ্রিল) বিকালে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বড় খোঁচাবাড়ীর এলাকার দৌলতপুর নামক স্থানে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে৷ দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ। 

    নিহতরা হলেন- জগন্নাথপুর ইউনিয়‌নের দৌলতপুর এলাকার নুর ইসলামের ছে‌লে নয়ন  ইসলাম (১৪) ও বেগুনবাড়ী এলাকার রিয়াজুল  ইসলা‌মের ছে‌লে মোস্তা‌ফিজুর রহমান(২৬) 

    আহতরা হলেন, দৌলতপুর গ্রামের ফিরোজ ইসলামের ছেলে হৃদয় ইসলাম (১৯),হামিদুর রহমানের ছেলে শাহআলম (১৮) ও বেগুনবাড়ি গ্রামের কালিমুদ্দিনের ছেলে রুবেল ইসলাম৷ 

    স্থানীয় ইউপি সদস্য গণেশ চন্দ্র রায় বলেন, নিহত নয়ন বা‌ড়ি থে‌কে মোটরসাইকেলে করে খোঁচাবা‌ড়ি বাজা‌রে যা‌চ্ছি‌লেন। একই সময় বেগুনবা‌ড়ি  এলাকার বাসিন্দা মোস্তা‌ফিজুর রহমান ও তার তিন বন্ধু বা‌ড়ির দি‌কে যা‌চ্ছি‌লেন। পথে খোঁচাবাড়ী-বেগুনবাড়ী সড়কের দৌলতপুর এলাকায় পৌঁছালে ওই দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নয়ন মারা যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন মোস্তা‌ফিজুর ও তার সঙ্গী‌দের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর মোস্তা‌ফিজুর মারা যায়৷ 

    ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা মোর্শেদ বলেন, সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে চারজন হাসপাতালে আসেন৷ তার মধ্যে একজন মারা গেছেন। বাকী তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে পাঠানো হয়েছে। 

    সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

    এমআর

    ফুলবাড়ী হবে বিমোহিত ফুলের সৌন্দর্যে দর্শনীয়: এমপি হামিদুল

    দেশের উত্তরে ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা প্রতন্ত্য একটি জনপদ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা। এক সময় ফুলবাড়ীর পথে প্রান্তরে নানান বাহারী ফুলের সমারোহ ছিল। শিমুল, তমাল, হিজল, পলাশ, বকুল, কৃষ্ণচূড়া সহ হরেক রকম ফুল সুবাস ছড়াত ফুলবাড়ীর  বাতাসে। সে কারনে এ জনপদের নামকরণ করা হয়েছে ফুলবাড়ী। কিন্তু কালের বিবর্তনে ফুলবাড়ীর সেই ফুল শোভিত অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। হারিয়ে গেছে সেই হিজল, পলাশ, সোনালু আর শিমুল ফুল শোভিত মনোমুগ্ধকর সেই অপরুপ পরিবেশ। ফুলবাড়ী এখন ফুল ছাড়া এক নি:স্ব রিক্ত মালির মত শুধু নামেই ফুলবাড়ী।

    কিন্তু ফুলবাড়ীর সেই হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে অর্থাৎ ফুলবাড়ীকে আবারও ফুলে ফুলে সাজিয়ে তোলার লক্ষ্যে উপজেলার প্রতিটি প্রধান সড়কের দুপাশে এবং গুরত্বপুর্ণ স্থান সমুহে কৃষ্ণচুড়া, জারুল, শিমুল, রাধাচূড়া, অশোক, নাগেশ্বর, রুদ্রপলাশ, হিজল, তমাল, শ্বেত শিমুল, মান্দার, সোনালু, কাঁঠাল চাঁপা সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের লক্ষাধিক চারাগাছ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

    শনিবার দুপুর সাড়ে ১৩ টার দিকে উপজেলার ব্র্যাক মোড়ে ফুলবাড়ী টু লালমনিরহাট ও নাগেশ্বরী  সড়কে কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপন করে এ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রাম -২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা: হামিদুল হক খন্দকার।


    উপজেলার  পেশাজীবী, চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ী, উদ্দ্যোক্তা, জনপ্রতিনিধি, প্রবাসী ও পদস্থ কর্মকর্তাদের অর্থায়নে এ কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, "ফুলবাড়ীর প্রতিটি সড়ক হবে বিমোহিত ফুলের সৌন্দর্যে দর্শনীয়। ফুলের বৈচিত্র্যই জানান দিবে এই এলাকার নাম ফুলবাড়ী। ফুলবাড়ী নামকরণের স্বার্থকথার উদাহরণ হবে নানান শোভিত ফুল  বৃক্ষের সমারোহ। উপজেলার প্রত্যেকটি রাস্তাই হবে ফুলের প্রদর্শনী। শোভাবর্ধনকারী গাছের বর্নিল  রূপে সাজবে ফুলবাড়ীর প্রধান প্রধান  সড়কগুলো। এছাড়াও প্রত্যেক বাড়িতে রোপন করা হবে রসাল ফলের গাছ। তার মধ্যে রংপুরের ঐতিহ্যবাহী হাড়িভাঙ্গা আম, বারি জাতের আম, স্থানীয় সুস্বাদু জাতের আমের চারা উল্লেখযোগ্য। 


    মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর "গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই" এই স্লোগানের বাস্তবায়নের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের জন্য গড়ে উঠবে ফুলের সুবাসে সুবাসিত ছায়া সু-শীতল আমাদের প্রিয় ফুলবাড়ী। আসুন নিজের ও প্রজন্মের জন্য টেকসই সবুজ সৌন্দর্য ও পুষ্টি নিশ্চিত  করতে এগিয়ে যাই। গাছ লাগাই, পরিবেশ বাঁচাই, সবুজ সৌন্দর্যে  ফুলবাড়ী সাজাই। " 

    এ সময় কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, পরিবেশ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফরহাদ হোসেন (উপসচিব) গণপূর্ত বিভাগ পঞ্চগড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান মিঠু, সোনালী ব্যাংক পিএলসি নীলফামারী শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আব্দুল লতিফ সরকার, ইন্জিনিয়ার সলিমুল্লাহ ব্যাপারী, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা: মো খোরশেদ আলম, রংপুর মেঘবাড়ী হাউজিং এর চেয়ারম্যান এমদাদুল হক, উপ - কর কমিশনার মিজানুর রহমান উল্লাস, ফুলবাড়ী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল আলম মন্ডল বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আবুবকর সিদ্দিক মিলনসহ স্থানীয় শিক্ষক, সুধীজন ও সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।   

    এমআর

    নওগাঁয় প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়া, ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখম

    নওগাঁয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়ার মধ্য দিয়ে সাজ্জাদ হোসেন (৩৫) নামে পল্লী বিদ্যুতের এক ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে।

    রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্টান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

    ভিডিওতে দেখা যায়, মোশারফ হোসেন শান্ত নামে এক যুবক ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে ধারালো অস্ত্র হাতে ঠিকাদার সাজ্জাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে সাজ্জাদের মাথায় কোপ দেয় শান্ত। ওই মুহুর্তে গুরুত্বর জখম বাবাকে বাঁচাতে ছুটে যান সাজ্জাদের ছেলে হৃদয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হৃদয়কেও মারপিট করে শান্তর অনুসারীরা। পুরো এ ঘটনাটি ঘটে ওই সড়কে চলাচলকারী শত শত মানুষের উপস্থিতিতেই।

    এদিকে প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়ার এ ঘটনার পর শহরজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছে মোশাররফ হোসেন শান্ত ও তাঁর অনুসারীরা। কীভাবে এই ঘটনার সূত্রপাত তা জানতে ঘটনাস্থলে গেলে সেখানে কথা হয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বালুডাঙ্গা বাসস্টান্ড এলাকার স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, বাসস্টান্ডে সোহরাওয়ার্দী নামে একটি মুদিখানার দোকানীকে রাতে আকস্মিক কল দিয়ে হাত পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেয় শান্ত। এর কিছুক্ষণ পর ওই দোকানে গিয়ে সোহরাওয়ার্দীকে মারপিট শুরু করেন শান্ত ও তাঁর অনুসারীরা। পুরো এ ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন ঠিকাদার সাজ্জাদ। ওই মুহুর্তে বাঁধা দিতে গেলে সাজ্জাদের উপর চড়াও হয় শান্ত ও তাঁর অনুসারীরা। এরপর সেখান থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে তাঁরা শুরু করে অস্ত্রের মহড়া। হামলা করা হয় সাজ্জাদ ও তাঁর ছেলের উপর।

    ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনায় ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নববর্ষের দিন স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘুরাঘুরি শেষে বাড়িতে ফিরছিলাম। ফেরার পথে স্ত্রীকে পাঠিয়ে দিয়ে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাসস্টান্ডে নেমে যাই। পথে সাজ্জাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে সে আমার পথরোধ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। শান্তর সাথে থাকা ১০-১২ জনের প্রত্যেকের হাতেই ধারালো অস্ত্র ছিলো। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁরা আমার শরীরে বিভিন্ন স্থানে কোপাতে থাকে।

    ভুক্তভোগী সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, আমাকে বাঁচাতে এলে আমার ছেলেকেও তাঁরা বেদম মারপিট করেছে। অনেক আকুতি মিনতী করেও লাভ হয়নি। শান্ত বাহিনীর অত্যাচারে আমাদের পুরো বাসস্টান্ড এলাকায় আমরা অতিষ্ট। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় শান্ত কাওকেই তোয়াক্কা করে না। এমপি-মন্ত্রীদের সাথেও শান্তর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। তাই পুলিশও শান্তর বেপরোয়া চলাফেরা দেখেও নীরব ভূমিকায় থাকে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করলে আমাকে হত্যা করবে বলে এখনো হুমকি দিয়ে যাচ্ছে শান্ত বাহিনীর সন্ত্রাসীরা।

    নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক বলেন, সংবাদটি পাওয়ার পর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ওই ঠিকাদার বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষে এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।

    ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাজ্জাদের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখছে পুলিশ। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

    পিএম

    ডিজে গানে নাচানাচি করার সময় গাড়ি থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু

    রাজশাহীতে পিকআপে করে সাউন্ডবক্সে ডিজে গানে বাজিয়ে নাচানাচি করার সময় বাসের ধাক্কায় এক কিশোর নিহত হয়েছে।

    শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহত ওই কিশোরের নাম আজিজুল ইসলাম। তিনি পুঠিয়ার ভরুয়াপাড়া এলাকার আকানি ইসলামের ছেলে।

    পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে আজিজুল তার বন্ধুদের নিয়ে একটি ভাড়া করা পিকআপ গাড়িতে সাউন্ড বক্সে গান বাজিয়ে নাচানাচি করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা চাঁপাইনবাবগঞ্জ টু রাজশাহীগামী একটি বাস পিকআপকে ধাক্কা দিলে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায় ওই কিশোর। এ সময় স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    এ বিষয়ে কাশিয়াডাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমরান হোসেন জানান, এ ঘটনায় ওই কিশোরের মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

    এফএস

    নাটোরে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

    নাটোরের নলডাঙ্গায় ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। 

    শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে নলডাঙ্গার হাট রেলওয়ে ষ্টেশনের উত্তরের বারনই নদীর ব্রীজে এই ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকেলে ৬০ বছর বয়সি অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই ব্যক্তি নলডাঙ্গার হাট রেলস্টেশন থেকে হেঁটে বারনই নদীর রেলওয়ে ব্রিজ পার হচ্ছিলেন। ঐ ব্যাক্তি ব্রীজের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌছার মুহুর্তে ঢাকা হতে দিনাজপুরগামী আন্তঃনগর একতা ট্রেনটি পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ব্রীজের নীচে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

    নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোরুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি জানার পর তারা সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশে খবর দিয়েছেন। রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে।

    পিএম

    বাংলা মদ খেয়ে একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া তিন বন্ধুর মৃত্যু

     


     

    নওগাঁর মান্দা উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামে  বাংলা মদ খেয়ে একাদশ শ্রেণির ছাত্র তিন বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে।


    মৃত তিন বন্ধু হলেন মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্রামের নেকবর আলীর ছেলে নিশাত আলী (১৭), ভারশোঁ ইউনিয়নের পাকুরিয়া গ্রামের আক্কাসের ছেলে শারিকুল ইসলাম পিন্টু (১৮) এবং একই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আশিক হোসেন (১৮)। তাঁরা সবাই মান্দার উত্তরা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র বলে জানা যায়। 


    স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, আজ বিকেলে মান্দা উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামে বন্ধুরা মিলে বাংলা মদ পান করে। এদের মধ্যে ওই তিন জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর নিশাত আলী  ও শারিকুল ইসলাম পিন্টুকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। আর আশিক হোসেন ঘটনাস্থলে মারা যায়।


    ওসি আরও বলেন,  প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিষাক্ত  অতিরিক্ত বাংলা মদ পানে তাদের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার  ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে মান্দা থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে।


    এমএইচ

    বিস্ফোরণে নিহত বাবা-মা, ঈদেও কান্না থামেনি শিশু সাজিদের

    ঈদে বাবা নতুন জামা আনবে। মা আনবে খেলনা। বাবা আর মায়ের আসার অপেক্ষায় শিশু সাজিদ (৩) পথ চেয়ে বসে আসে। ছোট অবুঝ সাজিদের বুক ভরা আশা বাধলেও ভাগ্যেও নির্মমতা এইযে ঢাকায় সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে তার বাবা মহিদুল খা ও মা নার্গিস খাতুন। ছোট শিশুটি এখনো বাড়ির অঙ্গিনায় গাড়ির শব্দ পেলে ছুটে চলে, এই বুঝি এলো তার মা বাবা। কিন্তু সত্যি এই যে তার তার চলে গেছেন না ফেরার দেশে।  

    শিশু সাজিদ সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বেড়াকোল গ্রামের খা পাড়ায় ভাঙা ঘরে জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় দাদী সাহানা খাতুনের সংসারেই থাকে। তার বাবা মা ঢাকায় গার্মেন্টসে পোষাক শ্রমিকের কাজ করতেন। সাজিদের দাদা বৃদ্ধ সাবেদ খা ছেলের উপার্জনের টাকাতেই  নাতীকে নিয়ে সংসার চালাতেন।  বয়সের ভারে নুয়ে পড়া মানুষটি কর্ম ক্ষমতা হারিয়েছে অনেক আগেই। বৃদ্ধি বয়সে নিজের সংসার আর নাতিকে পালার জন্য আবারো নতুন করে কাজ শুরু করেছেন। অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করে এখন সংসার চালাচ্ছেন। গত তিন বছর ধরে সংসারে হাল ধরে ছিলো ছেলে মাহিদুল ও তার ছেলের স্ত্রী নার্গিস।  

    সরেজমিনে, শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়ন গিয়ে দেখা যায় বিস্ফোরণ  দূর্ঘটনায় এ এলাকার ৫ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের সকলের পারিবারিক অর্থনৈতিক ভাবে অসচ্ছল। এই এলাকার খা পাড়ায় দেখা হয় সাজিদের সাথে। দেখাযায় টিনের একটি ঘরে দাদা দাদীর সাথে সাজিদ। ঘরের চাল থাকলেও নেই জানালা।  ঘরে আসবাবপত্র বলতে একটি মাত্র চকি। দাদীর কোলে মন ভার করে আছে সাজিদ। সাজিদের দাদা কাজের খোজে অবদার পারে গিয়েছে। বৃদ্ধ দাদী চোখে অশ্রু সিক্ত হয়ে দরজার কোনায় সাজিদকে কোলে নিয়ে বসে আছেন। 

    কথা হয় দাদী সাহানা খাতুনের সাথে তিনি জানান, নাতী বারবার শুধু বাবা-মার কথা বলে। ও বলে ঈদে বাবা আসবে আমার জন্য মাংস নিয়ে আসবে মা আমার জন্য খেলনা আনবে আরো কত কি। আমি তখন মুখ লুকিয়ে কাঁদি, ছোট ছেলেটি তাই দেখে আমার থেকে দূরে গিয়ে মন ভার করে বসে থাকে। প্রতিবেশী অনেক ছোট ছেলেমেয়েরা সাজিদকে বলে তোর বাবা মা মারা গেছে। এ কথা শুনে দৈড়ে আমার কাছে আসে আর কান্না ভরা কন্ঠে বলে আমার বাবা মা কোথায়? ছোট এই অবুঝ শিশুকে নিয়ে আমি কি করবো। আমার দুই সন্তানের মধ্যে মহিদুর ছোট। বড়জন নিজের সংসার নিয়েই থাকেন আমাদের দেখে না। গত তিন বছর ধরে ছোট ছেলেই আমাদের লালন পালন করছে। এখন সংসার চালাতে বৃদ্ধ মানুষটি আবারো মাঠে ঘাটে ছুটছে। 

    এখানে কথা হয় সাজিদের প্রতিবেদী আর এক দাদা রমজান খা সাথে তিনি বলেন, এই পরিবার খুবই অসচ্ছল, ছেলের মৃত্যুর পর নাতিকে নিয়ে কোনমতে দিন পার করছে। ঈদের আনন্দ আর কি, ঠিক মত ইফতারি করতে পারেন না। গতকাল পানি দিয়ে ইফতারি করেছেন।  

    সাজিদের দাদা সাবেদ খা জানান, ছেলে ও ছেলের বউ মৃত্যুর পর কোন সহযোগিতা পায়নি। গতকাল একটা দলের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা পেয়েছি। সরকারিভাবে কোন সহযোগিতা আসেনি। সরকার যদি আমাদের পাশে দাঁড়াতো তাহলে নাতিকে নিয়ে এই বয়সে অন্তত ঠিকমতো বেঁচে থাকতে পারতাম। 

    শুধু মহিদুল ও নার্গিসের পরিবারের অবস্থাই এমন নয়, একই গ্রামের হলদার হালদারপাড়া গ্যাস বিস্ফোরণ  ঘটনায় নিহত সোলায়মান মোল্লার পারিবারিক অবস্থা একই। সুলাইমানের স্ত্রী শাপলা খাতুনের দুই ছেলে এক মেয়ে নিয়ে সংসার। স্বামীর মৃত্যুর পর একটি ছোট ঘরে তিন সন্তান আর শাশুড়ি সুকজান খাতুনকে নিয়ে বসবাস করছেন তিনি। তার স্বামী সোলাইমান তার ছোট ভাই উজ্জ্বল মোল্লার  স্ত্রী শিল্পী খাতুন ও তার দুই সন্তান নিরব ও নূরনবী কে বাঁচাতে গিয়ে দুর্ঘটনার নিহত হয়।  শিল্পী খাতুন ও নিরব এখনো ঢাকা বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন। পায়ে পোড়ার ক্ষত নিয়ে নূরনবী শাপলা খাতুন এর কাছে রয়েছেন। 

    শাপলা খাতুন জানান, তার স্বামী একজন প্রতিবন্ধী। ঠিকমতো হাঁটতে পারতেন না তিনি। ঢাকায় রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। আমি অন্যের বাসায় কাজ করতাম। ঘটনার দিন ভাইয়ের বউকে বাঁচাতে গিয়ে তার শরীরে আগুন লেগে যায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আমি এখন আমার তিন সন্তানকে নিয়ে অসহায় অবস্থার মধ্যে দিন যাপন করছি। তিনি জানান, ঘটনার পরে ৭৫০০ টাকা সহায়তা পেয়েছিলাম। আর একটি দল থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। ২২ বছর সংসার করেই আমি আমার স্বামীকে হারালাম। পিতৃহারা হলো আমার তিন সন্তান। এখন আমি তাদেরকে নিয়ে কি করব কিভাবে চলবো? 

    এসময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সোলায়মানের মা সুখজান বেগম। কান্না ভরা কন্ঠে বারবার তিনি তার ছেলেকে ফেরত যাচ্ছেন। নানান আকুতি করে শুধু একটি কথাই বলছেন আমার ছেলের মৃত্যুর পর তাকে আর চেনা যায়নি। পুরো শরীর আগুনে পুরে নষ্ট হয়ে গেছে।  

    একই এলাকার বাবা মা হারা কুটি ফকিরের ঘরে এখন তালা চলছে। স্ত্রী  দুলু খাতুন আর তিন মেয়েকে নিয়ে সংসার ছিল তার।  বাবা আয়নাল ফকির ও মা জরিনা খাতুন অনেক আগেই মারা গেছেন। ঢাকায় দিনমজুরের কাজ করতেন তিনি। দুলু খাতুন কাজ করেন স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসে। স্বামীর মৃত্যুর পর এলাকায় এসেছিলেন একবার। পেটের দায়ে তিন সন্তানকে নিয়ে আবারো ঢাকাতে অবস্থান করছেন তিনি। দুলু খাতুনের বড় মেয়ে রুমি খাতুন (১৩) অল্প বয়সেই বিয়ে হয় তার। মেঝে মেয়ে ফাতেমা (৭) আর ছোট মেয়ে জান্নাতি(৪)। 

    কুটি ফকিরে চাচাতো ভাই সেদেক ফকির বলেন, আমার চাচাতো ভাই দিন এনে দিন খেতো। পেটের দায়ে ঢাকায় কাজ করতেন। তিনি মরে গেছেন কিন্তু রেখে গেছেন তিন সন্তানকে। জানিনা তাদের ভাগ্যে কি হবে? আমরাও কোনমতে দিন পার করি। তাই ইচ্ছা থাকলেও তাদের পাশে দাঁড়াতে পারছি না। সরকার যদি তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় তাহলে অন্তত তারা বেঁচে খেয়ে থাকতে পারতো।  

    শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান জানান, নিহতদের তালিকা অনুসারে তাদের সহায়তা করা হবে। এ বিষয়ে কার্যক্রম চালু রয়েছে। গ্যাস বিস্ফোরণ দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ জনের মধ্যে সিরাজগঞ্জেই রয়েছে ৬ জন। অসহায় এ মানুষগুলোর পাশে সরকার এগিয়ে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সকলে।  

    এমআর

    গরুর ঘাস নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৩৫

    হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে গরুর ঘাস খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন৷ সংঘর্ষে আহতরা আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া গুরুতর আহত তিনজনকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ বাজার সংলগ্ন গয়েন হাটিতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল ঈদুল ফিতরের দিন গরুকে ঘাস খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে পশ্চিমভাগ গ্রামের গয়েন হাটির সামছু মিয়ার পক্ষের লোকজনের সঙ্গে একই গ্রামের মিজান মিয়ার লোকজনের কথা-কাটাকাটি হয়।

    শুক্রবার দুপুরে মিজান মিয়ার বাড়ির সামনে মাটিকাটার একটি মাঠে দু’পক্ষের শিশু-কিশোররা ফুটবল খেলতে নামলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা বাধে। এর জেরে পশ্চিমভাগ বাজারে মিজান পক্ষের আইন উদ্দিনের সঙ্গে সামছু মিয়ার পক্ষের জলিল মিয়ার মধ্যে বিষয়টি নিয়ে পুনরায় বাকবিতণ্ডা হয়। 

    একপর্যায়ে হাতাহাতি হলে দু’পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে নারী-বৃদ্ধসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ বলেন, গতকাল গরুকে ঘাস খাওয়ানো নিয়ে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্য বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে আজ শিশুদের ফুটবল খেলার নিয়ে পুনরায় দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।

    এমআর

    মৌলভীবাজারে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের জামাত

    সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উল ফিতরের নামায পড়লেন মৌলভীবাজার জেলার শতাধিক পরিবারের মুসল্লী। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যানে মোনাজাত করা হয়।

    বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৭টায় মৌলভীবাজার শহরের সার্কিট হাউস এলাকার আহমেদ শাবিস্তা নামক বাসায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

    নামাযে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নারী ও পুরুষ মুসল্লিরা অংশ নেন। নামাযে ইমামতি করেন আলহাজ্ব আব্দুল মাওফিক চৌধুরী (পীর সাহেব উজান্ডি)।

    মুসল্লিরা আগামীতে মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে সবাই একত্রে একই দিনে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে এমনকি পাশ্ববর্তী জেলা থেকেও মানুষ এখানে নামাজ পড়তে আসেন।

    আলহাজ্ব আব্দুল মাওফিক চৌধুরী (পীর সাহেব উজান্ডি) জানান, কুরআন ও হাদিস অনুসারে পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় চাঁদ দেখা গেলে রোজা এবং ঈদ করতে হয় সেই অনুসারে আমরা আজ ঈদের নামাজ আদায় করলাম ।

    পিএম

    মৌলভীবাজারে আশ্রয়ন প্রকল্পে জেলা প্রশাসকের ইফতার

    মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পে গিয়ে ইফতার করলেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম। জেলা প্রশাসকের এমন উদারতায় আনন্দিত আশ্রয়ন প্রকল্পের উপকারভোগীরা। জেলা প্রশাসককে তাদের ঘরে পাওয়ায় তাদের ঈদের আনন্দ পূর্ণতা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারীরা।

    মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ঘড়ুয়া এলাকায় নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্প-২ পরিদর্শন করেন এবং আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারীদের মধ্যে ঈদের উপহার বিতরণ করেন। এর আগে জেলা প্রশাসক কনকপুর ইউনিয়নের অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করেন। 

    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল হক, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন চৌধুরী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুবেল মিয়া, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারবৃন্দ।

    পিএম

    বাহুবলে আদিবাসীদের তাঁতশিল্প নানামুখী সংকটে

    আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদকে সামনে রেখে দেশজুড়ে বেড়েছে কাপড়ের কদর। এরই সাথে দ্বিগুণহারে বেড়েছে তাঁতের শাড়ির কদর। যার চাহিদা দেশজুড়ে। কিন্তু চাহিদা থাকলেও নানামুখী সংকটের কারণে পর্যাপ্ত পরিমান সরবরাহ করতে পারছেন না বাহুবলের আদিবাসি তাঁতশিল্পীরা। ভাল মানের তাঁত না থাকার পাশাপাশি বিদ্যুতের লোডশেডিং ও নতুন প্রযুক্তির যন্ত্রচালিত তাঁতের সঙ্গে দেখা দিয়েছে সক্ষমতার ঘাটতি। এমতাবস্থায় প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন তারা।


    জানা যায়, বাহুবল উপজেলার কালিগজিয়া আদিবাসীরা দীর্ঘদিন যাবত উৎপাদন করছেন তাঁতের শাড়ি। যার চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। চাহিদা থাকলেও তাঁতের তৈরী শাড়ি নানা সংকটের কারণে সরবরাহ করতে পারছেন না শিল্পীরা। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা কালিগজিয়া আদিবাসী রমনীদের হাতে নিপুণ শৈলিতে তৈরি হয় তাঁতের বেনারসি। যা বাজারে প্রতিটি শাড়ি বিক্রি হয় ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার  টাকা পর্যন্ত। শুরুতে ২০ জন নারী কারিগর সমবায় সমিতি করে তাঁতের কাজ শুরু করলেও পরে বৃদ্ধি পায় ৫২ জনে। তবে অর্থনৈতিক সঙ্কট ও তাঁতে সমস্যা দেখা দেয়ার ফলে অনিহা দেখা দিয়েছে তাঁত কারিগরদের মাঝে। এমতাবস্থায় সরকারের সহযোগীতা কামনা করেছেন তারা।


    তাঁত শিল্পী রিমু দেব বর্মা জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবত কালিগজিয়া আদিবাসী মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের মাধ্যমে তাতের শাড়ি উৎপাদন করে আসছি। কিন্তু এখন আমরা নানামুখী সংকটে। আমাদের তেমন সুযোগ সুবিধা নেই বললেই চলে। শিল্পী দেব বর্মা জানান, বর্তমানে আমাদের কাজের সময় দেখা দিচ্ছে বিদ্যুত বিভ্রাট। যে কারণে আমাদের কাজের ব্যাঘাত ঘটছে। আমরা পর্যাপ্ত পরিমান বিদ্যুতের সরবরাহ চাই। রাসেল দেব বর্মা জানান, সুযোগ সুবিধার কারণে আমাদের কারিগর এখন কমে যাচ্ছে। আমরা সরকারের সহযোগীতা চাই। 


    সরবরাহে চাহিদা পূরণে খাটের তাঁত পরিবর্তন করে সরকারীভাবে টেক্সটাইল তাঁত দেয়ার দাবী জানান কালিগজিয়া আদিবাসী মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেটের সভাপতি স্বপ্না দেব বর্মা।


    বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁত শিল্পীদের সহযোগিতা করা হয়েছে। বিপননে সহযোগিতার পাশাপাশি তাঁত শিল্পের ঐতিহ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিতে তাদেরকে সর্বপুরী সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

    এআই 

    তাহিরপুরে দুই পক্ষের সংর্ঘষে নিহত ১, আহত ২০

    ভারতের কয়লা গুহায় ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে দুই পক্ষের সংর্ঘষে জজ মিয়া (৪০) নামে এক জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুপক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে।


    রবিবার (০৭ এপ্রিল)সকাল ১১টার দিকে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নে চারাগাও বালুর চরে ঘটনাটি ঘটে। 


    একেই দিন রাত ১১টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় জজ মিয়া মারা যান।


    নিহত জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে। এই ঘটনায় রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন জনকে আটক করেছে।


    আটককৃতরা হলেন, ময়মনসিংহ এর ত্রিশাল এলাকার বাসিন্দা আবু বক্করের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৮), তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের মোঃ আছমত আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ (৫০) ও একেই গ্রামের আলকাছ মিয়ার ছেলে ফখর উদ্দিন (৩০)। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। 


    নিহতের পরিবার, স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রবিবার সকালে অবৈধ ভাবে চোরাই পথে ভারতের কয়লা গুহায় যার স্থানীয় চিহ্নিত চোরা-চালানীদের প্ররোচনায় লালঘাট গ্রামের আলকাছের ছেলে মুছা মিয়া (২২), বাচ্ছু মিয়া (৪৫), শরিফুল ইসলাম (২৮) সহ ১০-১২ জনের একটি দল। সেখানে গিয়ে মুছা মিয়া (২২) ও বাচ্ছু মিয়া (৪৫) ছেলে রাজা মিয়ার মধ্যে কয়লা গুহায় ঝগড়া হয়। 


    পরে মুছা মিয়া বাংলাদেশে আসলে চারাগাও বালুর চরে কিতাব আলীর ছেলে জজ মিয়া (৪০) কেন আর কি নিয়ে ঝগড়া হয়েছে জানতে চাইলে কথাকাটা কাটির এক পর্যায়ে বাচ্চু মিয়াসহ বাবুল মিয়া (৩৫), খুরশেদ মিয়া (৩৪), সুরাত মিয়া (৫০) সহ ১০ জনের একটি দল দেশীও অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালিয়ে গুরুত্বর আহত করে। খবর পেয়ে জজ মিয়া ও বাচ্ছু মিয়ার লোকজন এগিয়ে আসলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়।


    গুরুত্বর আহতদের উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে জজ মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকেলে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 


    সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে রাবেয়া বেগম (২৫) কে। আর বাচ্চু মিয়া (৪৫) শরিফুল ইসলাম (৩৫) কে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। আর অন্যান্য আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 


    গুরুত্বর আহত জজ মিয়া রাতে ১১টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করে। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নিহতের আত্নীয় বাচ্ছু মিয়া।


    তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনায় সাথে জড়িত সন্দেহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলছে। তবে এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি।

    এআই 

    অনলাইন ভোট

    আন্তর্জাতিক

    সব দেখুন
    পশ্চিমবঙ্গের ৭ জায়গায় তাপমাত্রা ছাড়াল ৪০ ডিগ্রি
    ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাত জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কোথাও তাপমাত্রা উঠেছে ৪২ ডিগ্রির বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড়ে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে।অধিদপ্তর জানায়, পানাগড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পানাগড় ছাড়াও আরও ছয় জায়গায় দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছিল। মেদিনীপুরে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বর্ধমানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ব্যারাকপুর ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাঁকুড়ায় ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কলাইকুণ্ডায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনের তাপমাত্রা। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুষ্ক পশ্চিমা এবং উত্তর-পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। ১৫ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে। আগামী চার-পাঁচ দিন পশ্চিমবঙ্গে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে।
    ইরানের হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানালো ইসরায়েল
     গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকেও হামলা চালানো হয়েছে। হামলার পর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, তিনশর বেশি ড্রোন, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।  স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলজুড়ে এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।রবিবার (১৪ এপ্রিল) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ দাবি করেছে, ইরানের বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিহত করা হয়েছে। ইসরায়েলি ভূখণ্ড অতিক্রম করার আগেই এই অঞ্চলের কৌশলগত মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে সেগুলো ঠেকিয়ে দেয়া হয়।তবে আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি সামরিক ঘাঁটিতে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আঘাত হেনেছে জানিয়ে বলেন, এতে সামান্য অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া এ হামলায় একজন আহত হয়েছেন।ড্যানিয়েল হাগারি আরো বলেন, ইরানের বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে আঘাত হানার পর একটি সামরিক ঘাঁটিতে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কোন ঘাঁটিতে কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে তা জানাননি তিনি। এছাড়া হামলায় কে আহত হয়েছেন, তাও নিশ্চিত করে জানাননি।তবে ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আরাদ অঞ্চলে বেদুইন অধ্যুষিত এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে একটি সাত বছরের মেয়ে আহত হয়। তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।এদিকে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ইসরায়েলের ভেতরে চলাচলে কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। নাগরিকদের আর আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে থাকতে হবে না। তবে জমায়েত ও সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির সাতজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই রবিবার রাতে ইসরায়েল জুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান।এমন হামলার পরেই পাল্টা হামলার আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী। একই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রতিও সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছে দেশটি। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া বিবৃতিতে আইআরজিসির এক কমান্ডার জানান, ইসরায়েল যদি প্রতিক্রিয়া দেখায় তবে তার চেয়েও কড়া প্রতিক্রিয়া দেখাবে ইরান।এমএইচ
    ওমরাহ ভিসার মেয়াদে যে পরিবর্তন আনল সৌদি আরব
    ওমরাহ ভিসার মেয়াদ ১৫ জিলকদ উত্তীর্ণ হবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। এর আগে ওমরাহ ভিসার মেয়াদ ২৯ জিলকদ পর্যন্ত থাকত। আজ সোমবার সৌদি গেজেট এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।পবিত্র শহর মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে, তিন মাস মেয়াদি ওমরাহ ভিসা ইস্যু হওয়ার তারিখ থেকেই দিন গণনা শুরু হবে। যেখানে আগে সৌদি আরবে প্রবেশের তারিখ থেকে ভিসার মেয়াদ গণনা করা হতো। মন্ত্রণালয় এক্স প্ল্যাটফর্মে (সাবেক টুইটার) একাধিক অনুসন্ধানের জবাবে এটি স্পষ্ট করেছে।মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে বলেছে, ওমরাহ ভিসা ইস্যু হওয়ার তারিখ থেকে তিন মাস মেয়াদ থাকবে এবং তা ১৫ জিলকদের মধ্যেই শেষ হতে হবে। সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।মন্ত্রণালয় বলেছে, ওমরাহ ভিসার শেষ দিন ১৫ জিলকদ অনুমোদিত হয়েছে, যা আগের ২৯ তারিখ থেকে ২ সপ্তাহ এগিয়ে।এমএইচ
    ইরান-ইসরায়েল মধ্যকার উত্তেজনায় সৌদির অবস্থান কী?
     মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে আরেক উত্তেজনা। গতকাল (রবিবার) তেল আবিবে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য এখন পরিণত হয়েছে কুরুক্ষেত্রে।   এই অবস্থায় বিশ্ববাসীর জানার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ সৌদি আরবের অবস্থান কোন দিকে।ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সৌদি। এই সংঘাতের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলে সামরিক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। খবর আল আরাবিয়্যার। ইরানের হামলার পর সৌদি রাজতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে রবিবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে এই সংঘাত বাড়লে এই অঞ্চলে যে গুরুতর পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে সেটি উঠে এসেছে। আরব দেশটি সব পক্ষতে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। যুদ্ধে ভয়াবহতা এড়িয়ে চলতে এবং এই অঞ্চলের লোকজনের সুরক্ষায় সব পক্ষকে নিবৃত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।ইরান-ইসরায়েল সংঘাত যাতে বিস্তার লাভ না করে সেজন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সৌদি আরব। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার্থে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটির ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে সৌদি।তবে উত্তেজনা আরো ছড়িয়ে পড়লে এই পরিণতি কী হবে সে বিষয়ে সতর্ক করেছে সৌদি আরব।এমএইচ
    ইরানের হামলার পর যে চার মুসলিম দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা
     ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলার পরপর চারটি মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এ সময় মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র আর উত্তেজনা চায় না বলে তাদের অবহিত করেন তিনি। সোমবার (১৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, জর্ডান, সৌদি আরব, তুরস্ক ও মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার বিষয়ে আলাপ করেছেন ব্লিঙ্কেন। এ সময় ওয়াশিংটন এই অঞ্চলে উত্তেজনা চায় না বলে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। একই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় সমর্থন অব্যাহত রাখার বিষয়েও তাদের জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক ত্রাণসহায়তা বাড়ানোর গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেছেন ব্লিঙ্কেন।গত শনিবার রাতে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই পাল্টা হামলা করে তেহরান। ইসরায়েল ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি দুই চিরশত্রু দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ পর্যন্ত বেধে যেতে পারে বলে সতর্ক করছেন তারা।গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও দাবি করা হয়, ইসরায়েলে হামলায় ব্যবহারের জন্য শতাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে ইরান। যে কোনো সময় এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল।এমএইচ
    ইরানে কখন হামলা করবে জানাল ইসরায়েল
     নিজেদের দূতাবাসে হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ও তিন শতাধিত ড্রোন নিক্ষেপ করেছে ইরান। এরপরই পাল্টা হামলা করতে মরিয়া হয়ে উঠে ইসরায়েল, যদিও তাতে মিত্র আমেরিকার সায় নেই। ফলে তাৎক্ষণিক জবাব দিতে না পারলেও তেহরানকে এ হামলার মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে তেল আবিব। কখন কীভাবে এ হামলার জবাব দেওয়া হবে তা-ও জানিয়েছেন ইসরায়েলি নেতারা।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের হামলার জবাব কীভাবে দেওয়া যায় তা এখনো বিবেচনা করে দেখছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা। এমনকি হামলার পরপরই জবাব দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে কথা বলতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন ইসরায়েল সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে তাতে সাফ না করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানান, তেল আবিবের কোনো প্রকার হামলার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করবে না ওয়াশিংটন।যুদ্ধকালীন ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ জানান, সঠিক সময়ে বলে দেওয়া হবে এ হামলার জন্য ইরানকে কতটা মূল্য দিতে হবে। যদিও ইরানের ছোড়া প্রায় সব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এ হামলা ঠেকাতে সহায়তা করেছে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডান।ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি জানান, ইরান প্রায় ৩০০টি বিস্ফোরক ড্রোন, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। কিন্তু এর মধ্যে ৯৯ শতাংশই ইসরায়েল, মার্কিন, ব্রিটিশ, জর্ডান ও অন্যান্য মিত্র বাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছে।বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসরায়েল একই ধরনের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে একটি সিরিজ আক্রমণ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে কেবল ইরানের সেই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে যেখান থেকে ইরান ইসরায়েলের হামলা পরিচালনা করেছে। অথবা লক্ষ্যবস্তুর পরিমাণ আরও বাড়িয়ে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর ঘাঁটি, প্রশিক্ষণ শিবির এবং কমান্ড-এন্ড-কন্ট্রোল সেন্টারগুলোতেও হামলা পরিচালনা করতে পারে তেল আবিব।এদিকে ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণের সম্ভাবনায় ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েল যদি আবারও কোনো হুমকি তৈরি করে ইরানের প্রতিক্রিয়া রোববারের সামরিক পদক্ষেপের চেয়ে অনেক বড় হবে। তবে, ইরানি সামরিক কর্মকর্তারা পরবর্তীতে সংঘাত আরও না বাড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছেন।এমএইচ
    আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় ৩৩ জনের মৃত্যু
    আফগানিস্তানে তিন দিনের ভারী বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল-জাজিরা।রোববার বিভাগের মুখপাত্র জনান সায়েক বলেন, শুক্রবার থেকে বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা হয়েছে। এর ফলে প্রচুর মানবিক ও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, বন্যায় ৩৩ জনের মৃত্যু এবং ২৭ জন আহত হয়েছেন।বন্যায় প্রায় ৬০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এ কারণে বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে ছাদ ধসে। এছাড়া ২০০টি গবাদি পশু মারা গেছে। প্রায় ৬০০ কিলোমিটার (৩৭০ মাইল) রাস্তা ধ্বংস হয়েছে এবং প্রায় ৮০০ হেক্টর (১,৯৭৫ একর) কৃষি জমি বন্যায় ভেসে গেছে। দেশের ৩৪ প্রদেশের মধ্যে ২০টিতে প্রবল বৃষ্টিতে আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে পশ্চিম ফারাহ, হেরাত, দক্ষিণ জাবুল এবং কান্দাহার বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এফএস
    উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলে রকেট হামলা হিজবুল্লাহর
     ইসরায়েলের ওপর শিগগিরই সরাসরি ইরানের হামলার শঙ্কার মধ্যে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ।  সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।এতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তর ইসরায়েলে দখলদারদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর আর্টিলারি অবস্থানে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট চালিয়েছে তারা।  এক্সে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, লেবানন সীমান্তের কাছে গ্যালিলি প্যানহ্যান্ডেলের শহরগুলির আকাশে অসংখ্য রকেট ও ড্রোন । এর আগেই সাইরেন বেজে সতর্ক করা হয়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর ছোড়া গুলিতে সেসব রকেট ও ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়।  ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ৪০টির মতো রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, যার বেশিরভাগই আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। বাকিগুলো খোলা জায়গায় ও লেবানন সীমান্তেই পড়েছিল।আইডিএফ আরও বলেছে, ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী উত্তর ইসরায়েলে হিজবুল্লাহ দ্বারা উৎক্ষেপিত  দুটি বিস্ফোরকবোঝাই ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।  এদিকে নিউইয়র্ক পোস্টের খবর, বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলের উত্তর অথবা দক্ষিণে হামলা করতে পারে ইরান।যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি শুক্রবার বলেন, ‘কোন আকারে, কোন মাত্রায় এবং কোন সুযোগ নিয়ে হামলা হতে পারে, তা আমি বলতে পারছি না। ’ তবে ইরানের হামলার হুমকি ‘কার্যকর’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন ‘খুব, খুব নিবিড়ভাবে বিষয়টি দেখছে। ’মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, হামলায় রাইসি প্রশাসন ১০০টি ড্রোন এ কয়েকডজন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করবে। তা ঠেকানো ইসরায়েলের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে বলেও জানান মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে শেষ মুহূর্তে ইরান হামলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে বলেও ধারণা তাদের।গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে বিমান হামলা চালায়। এতে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্য নিহত হন। এরপর ইসরা’য়েলের বিরুদ্ধে এর প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করে তেহরান।এমএইচ
    ফিলি’স্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে ‘প্রস্তুত’ ইউরোপের যে ৩ দেশ
     ফিলি’স্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ‘প্রস্তত’ রয়েছে ইউরোপের ৩ দেশ। স্পেন, আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে তৃতীয় দেশটি হচ্ছে নরওয়ে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে নিজেরা প্রস্তুত বলে জানায় আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে। সূত্র: আল জাজিরাশুক্রবার (১২ এপ্রিল) ডাবলিনে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড শীঘ্রই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চায়, তবে স্পেন এবং আরও ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে।স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজ বলেন, স্পেন ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চায়। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোয়ারও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, তার দেশও অন্যান্য দেশের মতো ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত রয়েছে।সানচেজ বলেন, ইচ্ছুক দেশগুলো তাদের ঘোষণা দেবে ‘যখন পরিস্থিতি উপযুক্ত হবে’ এবং তারা নতুন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে ‘জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য’ হওয়ার সমর্থন করবে।এর আগে ইউরোপের দেশ মাল্টা ও স্লোভেনিয়া জানিয়েছিল, তারা ফিলি’স্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীর সাথে মাল্টা ও স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর যৌথভাবে এ ঘোষণা দেয় তারা।এমএইচ
    শনিবার ভোর থেকেই ইরানি হামলার শঙ্কায় ইস’রায়েল
     ইরানের হামলার আশঙ্কায় শনিবার ভোর থেকে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে আছে ইস’রায়েল। ইহুদিবাদী দেশটির ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র আগেই তেলআবিবকে শতর্ক করেছিল, ইনার শুক্রবার গভীর রাতে অথবা শনিবার ভোরে হামলা চালাতে পারে।  এ কারণে শুক্রবার রাতটি গভীর উৎকণ্ঠায় কেটেছে ইস’রায়েলের। তবে শুক্রবার নিরাপদে কাটালেও শনিবার ভোর থেকেই হামলার শঙ্কায় তটস্থ গোটা ইস’রায়েল। খবর: টাইমস অব ইসরায়েলের।ইরানের ভয়ে চরম উদ্বেগের মধ্যে আছে ইসরা’য়েলিরা। ইরানের প্রতিশোধের হুমকির মুখে সম্ভাব্য হামলা মোকাবেলার প্রস্তুতি নিতে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন ইসরা’য়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।এরই মধ্যে ইরানের হামলা মোকাবেলায় ইস’রায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সঙ্গে নেতানিয়াহুর বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ইসরা’য়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালানন্ত ও প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা বেনি গান্তজও উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, সিরিয়ার দামেস্কে ১ এপ্রিল ইস’রায়েলের বিমান হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরসিজি) কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ অন্তত ৭ সামরিক উপদেষ্টা নিহত হয়েছিলেন।ইসরা’য়েল এ হামলার দায় স্বীকার না করলেও গত বুধবার এক ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কনস্যুলেটে হামলা করে ইস’রায়েল যেন ইরানের মাটিতেই হামলা চালিয়েছে। তারা একটি ভুল করেছে। এর শাস্তি তাদেরকে পেতেই হবে।এদিকে, ইরানকে ঠেকাতে মিত্রদেশ তুরস্ক, চীন ও সৌদি আরবেরও দ্বারস্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এতে কোনো কাজ হয়নি। তেহরানের সোজাসাপটা জবাব, ইরানের দূতাবাসে হামলা মানে ইরানের ভূখণ্ডে হামলা করা। আর এ জঘন্য অপরাদের শাস্তি ইসরা’য়েলকে পেতেই হবে। এতে যদি ইস’রায়েলকে বাঁচাতে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসে, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সেনাঘাঁটিগুলোও ইরানের বৈধ নিশানা হবে।এমএইচ

    বিনোদন

    সব দেখুন
    মেয়ের সফল ক্যারিয়ার গড়তে ২০০ কোটি খরচ করছেন শাহরুখ!
    সুহানা খান– স্টারকিড লিনিয়েজ নিয়েই জন্মেছেন তিনি। বলিউড বাদশা শাহরুখ খান সম্পর্কে তাঁর বাবা। সব ক্যারিয়ার শুরু করেছেন তিনি।শাহরুখের কাঁধে এখন প্রচুর চাপ। একদিকে যেমন ছেলে আরিয়ানের ক্যারিয়ার সামলাতে পোশাকের কোম্পানি খুলে দিয়েছেন, তার পরিচালিত প্রথম সিরিজে টাকাও ঢালছেন অভিনেতা। এবার পালা মেয়ের। বলিপাড়ায় মেয়ে সুহানার মাটি শক্ত করার জন্য নাকি ২০০ কোটি টাকা খরচ করে সিনেমা প্রযোজনা করতে চলেছেন শাহরুখ।পরিচালক জোয়া আখতারের হাত ধরে ইতোমধ্যেই নেটফ্লিক্সে ‘দ্য আর্চিস’ সিনেমা দিয়ে হাতে খড়ি হয়েছে সুহানার। তবে তার অভিনয় খুব একটা দাগ কাটতে পারেনি। উলটো সুহানাকে ঘিরে নানা ট্রোল নজরে এসেছিল। তবে ওসবকে পাত্তা দেননি সুহানা বা শাহরুখ। শাহরুখকন্যার এখন মন নতুন সিনেমায়।প্রথমে জল্পনা ছিল সিদ্ধার্থ আনন্দের পরিচালনায় বড়পর্দায় জুটি বাঁধছে বাবা-মেয়ে। তার দিন কয়েক যেতেই শোনা গেল, সুজয় ঘোষের পরিচালনাতেই স্ক্রিন শেয়ার করবেন শাহরুখ খান ও তার মেয়ে সুহানা। তবে শাহরুখের সঙ্গে যৌথভাবে ছবিটি প্রযোজনা করবেন সিদ্ধার্থ আনন্দ।প্রথমবার শাহরুখ-সুহানা একসঙ্গে। সেই সিনেমা নিয়ে যে অনুরাগীদের কৌতূহল তুঙ্গে থাকবে তা বলাই বাহুল্য। কোন ভূমিকায় দেখা যাবে শাহরুখকে? জানা যায়, সুজয় ঘোষের এই স্পাই থ্রিলারে সুহানার চরিত্রকে আরও বলিষ্ঠ করার উদ্দেশে শাহরুখের জন্য বিশেষভাবে একটি চরিত্র ডিজাইন করা হয়েছে। গোয়েন্দার ভূমিকায় যেখানে বাদশাকন্যা থাকছেন, সেখানে কিং খানকে ‘হ্যান্ডলার’র চরিত্রে দেখা যেতে পারে। যিনি রহস্য সমাধানে সুহানাকে চালিত করবেন। সিনেমার প্রি-প্রোডাকশনের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।
    কার কথা বেশি মনে পড়ে?, জবাবে যা বললেন বুবলী
     ভক্তদের আগেই ঈদ উপহার দিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা শবনম বুবলী। ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে তার সিনেমা ‌‘দেয়ালের দেশ’। সিনেমাটি বেশ প্রসংশা কুড়াচ্ছে। সারাবছর আলোচনায় থাকলেও ঈদে সিনেমা মুক্তি পাওয়ায় একটু বেশিই চর্চিত হচ্ছেন এ নায়িকা। তার প্রেম-ভালোবাসা, ছেলে-পরিবার কোনোকিছুই এর বাইরে থাকছে না। ভালোবাসা নিয়ে কী ভাবেন বুবলী? অভিনেত্রী বলেন, ‌‘মন খুলে ভালোবাসতে হবে। বাবা-মা, ভাই-বোন কিংবা অন্য কেউ, সবাইকে মন খুলে ভালোবাসতে হবে।’ দেয়ালের দেশ সিনেমাতেই ‘বেঁচে যাওয়া ভালোবাসা’ শিরোনামে একটি গান আছে। গানের প্রথম লাইন এমন- ‘ফুরিয়ে যাওয়ার আগে আমায় কুড়িয়ে নিও, বেঁচে যাওয়া ভালোবাসা আমার জন্যে রেখে দিও।’ বেঁচে যাওয়া মানে তো উদ্বৃত্ত। ভালোবাসা কী কখনো উদ্বৃত্ত থাকে? বুবলী মনে করেন, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে হাজার লোকের ভিড়ে প্রিয় মানুষের জন্য ভালোবাসা উদ্বৃত্ত থাকেই।  প্রাকৃতিক পরিবেশও দারুণ পছন্দ বুবলীর।  নীরব-শান্ত প্রকৃতির সান্নিধ্যে গেলে কী ভাবেন তিনি? এমন প্রশ্নে আবেগী হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। বলেন, ‘প্রকৃতির মাঝে এলে নিজেকে খুঁজে পাওয়া যায়। নিজেকে নিয়ে একান্তে চিন্তা করা যায়, নিজেকে অনুভব করা যায়।’  আর কার কথা বেশি মনে পড়ে? এই প্রশ্নে পুরোপুরি থমকে যান বুবলী। যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। কিছু সময় নীরব থাকার পর আলত গলায় বলেন, ‘এ প্রশ্নের উত্তর না দিলেও আপনারা অনুমান করতে পারবেন।’   উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে শবনব বুবলীকে সবার অগোচরে বিয়ে করেন শাকিব খান। তাদের ঘর আলো করে আসে পুত্রসন্তান শেহজাদ খান বীর। এরপরেও সংসার টেকেনি। দীর্ঘদিন ধরেই তারা আলাদা থাকছেন। তাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে বলে বিভিন্ন সময় গুঞ্জন শোনা গেছে। তবে সম্প্রতি একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বুবলী দাবি করেন, তাদের বিচ্ছেদ হয়নি। শাকিব এবং তিনি সময় নিচ্ছেন।এমএইচ
    ঈদে শোয়েব-সানার রোমান্টিক ছবি, হৃদয় ভাঙল ভক্তদের
     ঈদুল ফিতরে চুটিয়ে আনন্দ করেছেন শোয়েব মালিক ও সানা জাভেদ জুটি। ঈদের দিন তোলা তাদের রোমান্টিক ছবি হৃদয় কেড়েছে ভক্ত-দর্শকদের। আবার কটাক্ষের স্বীকার হচ্ছে এই দম্পতি। এটাই এই জুটির একসঙ্গে প্রথম ঈদ উদযাপন।খবর সামা টিভির।  বুধবার রাতে শোয়েব মালিক সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এটা ঈদ, ১৪ ফেব্রুয়ারি নয়।’পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছার সঙ্গে শোয়েব মালিকের দেওয়া ছবিটি মানানসই নয় বলে মতামত দিয়েছেন অনেকেই। তাদের বক্তব্য, ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানালে শোয়েবের ব্যবহৃত ছবিটি সামঞ্জস্যপূর্ণ হতো, ঈদের সঙ্গে নয়।এক ক্রিকেটপ্রেমী আবার সানিয়া মির্জার একটি পুরনো ঈদের পোস্টের স্ক্রিনশট ব্যবহার করে কটাক্ষ করেছেন পাকিস্তানের তারকা অলরাউন্ডারকে।আবদুল্লাহ নামে এক ক্রিকেটপ্রেমী তার পোস্টে লিখেছেন, ‘লোকটা প্লাস্টিক খুঁজতে গিয়ে হিরা হারিয়েছে।’ শোয়েব মালিকের পাশাপাশি তিনি কটাক্ষ করেছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী সানা জাভেদকেও।ক্ষুব্ধ এক ভক্ত লিখেছেন, ‘এই লোকটার লজ্জা বলে কিছুই নেই।’প্রসঙ্গত, ভারতীয় টেনিস সুন্দরী সানিয়া মির্জাকে ছেড়ে দিয়ে পাকিস্তানের অভিনেত্রী সানা জাভেদকে বিয়ে করেছেন শোয়েব মালিক।এমএইচ
    ‘মান্নতে’ ভক্তদের ঈদ শুভেচ্ছায় ভাসছেন শাহরুখ
    পবিত্র ঈদুল ফিতর। খুশির এ দিনটিতে প্রিয় অভিনেতাকে কাছ থেকে একবার ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের বাড়িতে ভিড় করেছেন অসংখ্য ভক্ত। শাহরুখের মুম্বাইয়ের বাড়ি ‘মান্নতে’ বৃহস্পতিবার ( ১১ এপ্রিল) সকাল থেকেই শুরু হয় ভক্তদের আনাগোনা। বিকেলে যা রূপ নেয় জনসমুদ্রে। এত ভক্ত নিজেদের সব কাজ উপেক্ষা করে প্রিয় অভিনেতার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন জানতে পেরে এক মুহূর্ত দেরি করেননি শাহরুখ। ভক্তদের ডাকে সাড়া দিতে ছুটে যান বাড়ির বারান্দায়। ভক্তদের উদ্দেশে হাত নাড়িয়ে জানান ঈদের শুভেচ্ছা। ভক্তদের এমন ভালোবাসা পেয়ে আবেগ আপ্লুত শাহরুখ বিশেষ এ মুহূর্ত ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটের একটি ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করেন শাহরুখ। মাত্র ১ মিনিট ৬ সেকেন্ডের পোস্ট করা ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সাদা রঙের কাবলি ড্রেস পরে ভক্তদের উদ্দেশে হাত নেড়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন শাহরুখ।   পোস্ট করা শাহরুখের ভিডিওতে আরও দেখা যায়, সব ভক্তকে ঠিকমতো দেখতে না পারায় বারান্দার কার্নিশ ধরে ওপরে ওঠেন শাহরুখ। এরপর ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, ‘ঈদ মোবারক’।   আবেগী এ ভিডিওর ক্যাপশনে শাহরুখ লেখেন, ‘ঈদ মোবারক সবাইকে। এবং ধন্যবাদ আমার দিনকে এমন বিশেষ করে তোলার জন্য। আল্লাহ সবাইকে ভালোবাসা, সুখ ও শান্তি বর্ষিত করুক।’ এমএইচ

    অর্থ-বাণিজ্য

    সব দেখুন
    ব্যাংকে নেই নতুন টাকা, ভিড় ফুটপাতের দোকানে
    ঈদে সালামি দেওয়ার রীতি মোটামুটি পুরনোই। তবে এই রীতিটাকে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের সঙ্গেই পালন করে থাকে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা। নতুন চকচকে টাকায় ঈদের সালামি পাওয়াটাই তাদের কাছে আনন্দের। তাই প্রতিবছরই ঈদকে কেন্দ্র করে জমজমাট হয়ে ওঠে নতুন টাকার দোকানগুলো। এবারও নতুন টাকা সংগ্রহকারীরা ভিড় জমাচ্ছেন নতুন টাকা কেনাবেচার দোকানগুলোতে। চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী কিনছেন নতুন টাকার নোট।নতুন টাকা কিনতে আসা ক্রেতারা বলছেন, ঈদের দিন নতুন টাকা সালামি পেলে ছোটরা আনন্দিত হয়। একইসঙ্গে যারা সালামি দিচ্ছেন তারাও এটা উপভোগ করেন। সে কারণেই নতুন টাকা কিনতে এসেছেন।  এদিকে ব্যাংকে লম্বা লাইনে দাড়িয়েও মিলেনা চাহিদা মতো নতুন টাকাও। তাই অনেকেই ভিড় জমায় রাজধানীর বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় ও গুলিস্তানে নতুন টাকার হাটে। ব্যাংকে পাওয়া না গেলেও নতুন টাকা পাওয়া যাচ্ছে এই বাজারে। ক্রেতারা বলছেন, ব্যাংকে গেলে শুনতে হয় টাকা নাই। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনেই প্রকাশ্য দিবালোকে বিক্রি হচ্ছে নতুন টাকা। নতুন টাকা পেতে গুনতে ক্রেতাদের বাড়তি টাকা, ২০০ টাকার নতুন এক বান্ডিল ৪০০ টাকা বেশি দামে, ১০০ টাকার বান্ডিল ৩৫০ টাকা, ৫০ টাকার বান্ডিল ৩৫০ টাকা, ২০ টাকার বান্ডিল ২৫০- ৩০০ টাকা, ১০ টাকার বান্ডিল ২৮০-৩০০ টাকা, ৫ টাকার বান্ডিল ১৫০ টাকা এবং ২ টাকার এক বান্ডিল নতুন নোট ১৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে ভিন্ন ভিন্ন দোকানে এই দর-দামে ১০ থেকে ৫০ টাকা তারতম্য রয়েছে। ব্যবসায়ীদের যোগসাজশ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  মাধ্যমে আ পাওয়া যায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ বলেন, অবশ্যই ব্যাংক কর্মকর্তারা জড়িত, নাহলে কিভাবে তাদের কাছে আসবে নতুন নোট। বিক্রেতারা বলছেন, ব্যাংকেরই কিছু লোক, পিয়ন আছে যারা এখানে নতুন টাকা বিক্রি করে যান। তবে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে চাননি বেশিরভাগ দোকানী।এমএইচ
    এবার সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বেসিক ব্যাংক
    বেসরকারি ভালো ব্যাংকের তালিকায় থাকা সিটি ব্যাংকের সঙ্গে এবার একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সিটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংক একীভূত হবে স্বেচ্ছায়। এ নিয়ে বেসরকারি খাতের দ্বিতীয় ব্যাংক হিসেবে আরেকটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বেসিক ব্যাংক।জানা গেছে, আজ সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।এর আগে গত ১৯ মার্চ সিটি ব্যাংকের পর্ষদকে বেসিক ব্যাংককে একীভূত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তারপর সিটি ও বেসিক ব্যাংকের পর্ষদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই ব্যাংকের কমকর্তারা এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন। ব্যাংক দুটি একিভূত হলেও আগামী তিন বছর পৃথক আর্থিক প্রতিবেদন করবে৷জানতে চাইলে বেসরকারি সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সিটি ব্যাংক ভালো ব্যাংক, এখানে একীভূত হলে বেসিক ব্যাংকের জন্য ভালো হবে। কিন্তু এখানে সিটি ব্যাংকের লাভ কোথায়? তাদের শেয়ারহোল্ডারদের কী হবে? বেসিকের দায় কীভাবে মোচন করবে? একটি লস প্রতিষ্ঠান কেন নিয়েছে, এ বিষয়গুলো এখনো পরিষ্কার করেনি। ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ নেবে দেখার বিষয়।তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংক ভালো ব্যাংক ছিল। এ ব্যাংকটি যারা ধ্বংস করেছে তাদের মূলে যারা তাদের কী করবে। একীভূত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেন ছাড়া পেয়ে না যায়। সরকারের দায়িত্ব হলো অনিয়মকারীদের ধরা। কেউ যেন অপকর্ম করে পার পেয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করা। যদি অর্থ আত্মসাৎকারীদের শাস্তি না দেয়, তাহলে এ অনিয়ম ঘটতেই থাকবে।এর আগে গত ১৮ মার্চ একীভূত হওয়ার লক্ষ্যে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে বেসরকারি খাতের পদ্মা ব্যাংক। একীভূত হওয়ার পর এটি এক্সিম ব্যাংক নামেই কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে জানানো হয়।এ ছাড়া রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (বিডিবিএল) সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
    'স্বপ্নযাত্রা' শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রমের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ ওয়ালটন গ্রুপের
    'স্বপ্নযাত্রা' শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রমের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সুবিধাবঞ্ছিত ও অবহেলিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপ। রবিবার (০৭ এপ্রিল) স্বপ্নযাত্রার উদ্যোক্তা ও আম্বালা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আরিফ সিকদারের হাতে চেক তুলে দেন ওয়ালটন গ্রুপের বোর্ড অফ ডিরেক্টর জাকিয়া সুলতানা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তানভির আনজুম, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আহমেদ তানভির, সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর আবু হেনা মুস্তাফিজ রায়হান, ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মো. ইউসুফ মল্লিকসহ আরও অনেকে। এছাড়াও স্বপ্নযাত্রা ও আম্বালা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন উপ-নির্বাহী পরিচালক দেওয়ান তৌফিকা হোসেন ও সহকারি পরিচালক কাজী ফয়সাল ইসলাম। এসময় স্বপ্নযাত্রার দাঁড়ানোর জন্য ওয়ালটন গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান স্বপ্নযাত্রার উদ্যোক্তা ও আম্বালা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আরিফ সিকদার। পরে ওয়ালটন গ্রুপের বোর্ড অফ ডিরেক্টর জাকিয়া সুলতানা স্বপ্নযাত্রার এই মহৎ কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও ওয়ালটন গ্রুপের স্বপ্নযাত্রার পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।উল্লেখ্য, স্বপ্নযাত্রা ২০১৯ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের ৩৬টি জেলার ১২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪০ জন (৯৬ জন ছেলে এবং ৪৪ জন মেয়ে) সুবিধাবঞ্ছিত শিক্ষার্থী এই শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় তাদের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করছে। পঞ্চম থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত যেকোনো সুবিধাবঞ্ছিত শিক্ষার্থী স্বপ্নযাত্রা শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রমের সুবিধা পেতে পারে। এই শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় শিক্ষার্থীদের যাবতীয় সকল শিক্ষাব্যয় প্রদান করা হয় এবং তাদের বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষনও প্রদান করা হয়। শিক্ষাজীবন শেষে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতেও সহায়তা প্রদান করে স্বপ্নযাত্রা। 
    ঈদের আগে আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম
    পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে আরেক দফা বাড়ানো হলো স্বর্ণের দাম। একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।সোমবার (৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এ তথ্য জানিয়েছে। এ দাম বিকেল থেকে কার্যকর করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১২ হাজার ২০৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৮০ হাজার ১৯০ টাকায় বিক্রি করা হবে।এদিকে সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রূপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।এর আগে শ‌নিবার (৬ এপ্রিল) সোনার দাম বাড়ানো হয়। সেদিন ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা করা হয়।
    রিজার্ভ বাড়ল ৫১ কোটি ডলার
    রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের পালে ভর করে দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে উদ্বেগজনক সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ গত এক সপ্তাহে বেশ খানিকটা বেড়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে নিট রিজার্ভ বেড়েছে ৫০ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে রিজার্ভের এ হিসাব তুলে ধরা হয়।প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী বর্তমানে নিট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৯৬ কোটি ৫৭ লাখ ১০ হাজার ডলার। এক সপ্তাহে আগে তা ছিল এক হাজার ৯৪৫ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার।গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ঝোড়ো বাতাস বইছিল। যে হারে রিজার্ভ কমছিল, সে হারে বাড়ছিল না। ফলে ক্রমাগত কমছিল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। গত দুই মাস ধরে সে অবস্থার কিছুটা উন্নতি শুরু হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমার সঙ্গে সঙ্গে আবার তা পূরণ হয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এক সপ্তাহে প্রায় ৫১ কোটি ডলার বাড়ল।নিট রিজার্ভের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভও বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সর্বশেষ মোট রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫২৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলারে। এক সপ্তাহ আগে ছিল দুই হাজার ৪৮১ কোটি ১৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। এক সপ্তাহে বাড়ল ৪৮ কোটি ৫৬ লাখ ২০ হাজার ডলার।এফএস
    আবারও কমলো এলপি গ্যাসের দাম
    টানা ৮ মাস বাড়ার পর অবশেষে কমলো তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) দাম কমানোর নতুন ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন জানান, ১২ কেজির এলপিজির দাম ১ হাজার ৪৮২ থেকে ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গত ৩ মার্চ ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া গত ৪ ফেব্রুয়ারি ১২ কেজির সিলিন্ডার গ্যাসের দাম ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি। গত ২ জানুয়ারি ২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।   একইসঙ্গে বুধবার অটোগ্যাসের দামও কমিয়েছে বিইআরসি। এপ্রিল মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৬ টাকা ২১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মার্চ মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৮ টাকা ৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারি মাসে যা মূসকসহ নির্ধারণ করা হয়েছিল যথাক্রমে ৬৭ টাকা ৬৮ পয়সা ও ৬৫ টাকা ৬৭ পয়সা। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিইআরসি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এপ্রিল মাসের জন্য সৌদি আরামকোর প্রোপেন এবং বিউটেনের ঘোষিত সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন যথাক্রমে ৬১৫ মার্কিন ডলার ও ৬২০ মার্কিন ডলার এবং প্রোপেন ও বিউটেনের অনুপাত ৩৫:৬৫ অনুযায়ী প্রোপেন ও বিউটেনের গড় সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন ৬১৮ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার বিবেচনায় মার্চ মাসের জন্য বেসরকারি এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম ভোক্তা পর্যায়ে সমন্বয় করা হলো। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ৫ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে ৭ দফা। গত বছরের জানুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুন ও জুলাই মাসে কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম বেড়েছিল ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে।এমএইচ
    দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ছিল, মানুষ উৎসাহ নিয়ে ঈদ করেছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
      বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ছিল। দেশবাসী স্বস্তি ও উৎসাহ নিয়ে ঈদ ও নববর্ষ পালন করেছে। আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।এর আগে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘সীমিত সামর্থ্য নিয়ে আমরা দেশে বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ফলাফল বা কৃতিত্ব লাভের জন্য কাজ করি না। আমরা দেশের জন্য ও জনগণের স্বার্থে কাজ করে চলছি।’প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী কয়েকটি বছর আমাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে আমাদের বাণিজ্যকে আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিতে চাই।এমএইচ
    ব্যাংকে নেই নতুন টাকা, ভিড় ফুটপাতের দোকানে
    ঈদে সালামি দেওয়ার রীতি মোটামুটি পুরনোই। তবে এই রীতিটাকে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের সঙ্গেই পালন করে থাকে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা। নতুন চকচকে টাকায় ঈদের সালামি পাওয়াটাই তাদের কাছে আনন্দের। তাই প্রতিবছরই ঈদকে কেন্দ্র করে জমজমাট হয়ে ওঠে নতুন টাকার দোকানগুলো। এবারও নতুন টাকা সংগ্রহকারীরা ভিড় জমাচ্ছেন নতুন টাকা কেনাবেচার দোকানগুলোতে। চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী কিনছেন নতুন টাকার নোট।নতুন টাকা কিনতে আসা ক্রেতারা বলছেন, ঈদের দিন নতুন টাকা সালামি পেলে ছোটরা আনন্দিত হয়। একইসঙ্গে যারা সালামি দিচ্ছেন তারাও এটা উপভোগ করেন। সে কারণেই নতুন টাকা কিনতে এসেছেন।  এদিকে ব্যাংকে লম্বা লাইনে দাড়িয়েও মিলেনা চাহিদা মতো নতুন টাকাও। তাই অনেকেই ভিড় জমায় রাজধানীর বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় ও গুলিস্তানে নতুন টাকার হাটে। ব্যাংকে পাওয়া না গেলেও নতুন টাকা পাওয়া যাচ্ছে এই বাজারে। ক্রেতারা বলছেন, ব্যাংকে গেলে শুনতে হয় টাকা নাই। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনেই প্রকাশ্য দিবালোকে বিক্রি হচ্ছে নতুন টাকা। নতুন টাকা পেতে গুনতে ক্রেতাদের বাড়তি টাকা, ২০০ টাকার নতুন এক বান্ডিল ৪০০ টাকা বেশি দামে, ১০০ টাকার বান্ডিল ৩৫০ টাকা, ৫০ টাকার বান্ডিল ৩৫০ টাকা, ২০ টাকার বান্ডিল ২৫০- ৩০০ টাকা, ১০ টাকার বান্ডিল ২৮০-৩০০ টাকা, ৫ টাকার বান্ডিল ১৫০ টাকা এবং ২ টাকার এক বান্ডিল নতুন নোট ১৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে ভিন্ন ভিন্ন দোকানে এই দর-দামে ১০ থেকে ৫০ টাকা তারতম্য রয়েছে। ব্যবসায়ীদের যোগসাজশ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  মাধ্যমে আ পাওয়া যায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ বলেন, অবশ্যই ব্যাংক কর্মকর্তারা জড়িত, নাহলে কিভাবে তাদের কাছে আসবে নতুন নোট। বিক্রেতারা বলছেন, ব্যাংকেরই কিছু লোক, পিয়ন আছে যারা এখানে নতুন টাকা বিক্রি করে যান। তবে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে চাননি বেশিরভাগ দোকানী।এমএইচ
    এবার সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বেসিক ব্যাংক
    বেসরকারি ভালো ব্যাংকের তালিকায় থাকা সিটি ব্যাংকের সঙ্গে এবার একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সিটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংক একীভূত হবে স্বেচ্ছায়। এ নিয়ে বেসরকারি খাতের দ্বিতীয় ব্যাংক হিসেবে আরেকটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বেসিক ব্যাংক।জানা গেছে, আজ সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।এর আগে গত ১৯ মার্চ সিটি ব্যাংকের পর্ষদকে বেসিক ব্যাংককে একীভূত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তারপর সিটি ও বেসিক ব্যাংকের পর্ষদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই ব্যাংকের কমকর্তারা এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন। ব্যাংক দুটি একিভূত হলেও আগামী তিন বছর পৃথক আর্থিক প্রতিবেদন করবে৷জানতে চাইলে বেসরকারি সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সিটি ব্যাংক ভালো ব্যাংক, এখানে একীভূত হলে বেসিক ব্যাংকের জন্য ভালো হবে। কিন্তু এখানে সিটি ব্যাংকের লাভ কোথায়? তাদের শেয়ারহোল্ডারদের কী হবে? বেসিকের দায় কীভাবে মোচন করবে? একটি লস প্রতিষ্ঠান কেন নিয়েছে, এ বিষয়গুলো এখনো পরিষ্কার করেনি। ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ নেবে দেখার বিষয়।তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংক ভালো ব্যাংক ছিল। এ ব্যাংকটি যারা ধ্বংস করেছে তাদের মূলে যারা তাদের কী করবে। একীভূত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেন ছাড়া পেয়ে না যায়। সরকারের দায়িত্ব হলো অনিয়মকারীদের ধরা। কেউ যেন অপকর্ম করে পার পেয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করা। যদি অর্থ আত্মসাৎকারীদের শাস্তি না দেয়, তাহলে এ অনিয়ম ঘটতেই থাকবে।এর আগে গত ১৮ মার্চ একীভূত হওয়ার লক্ষ্যে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে বেসরকারি খাতের পদ্মা ব্যাংক। একীভূত হওয়ার পর এটি এক্সিম ব্যাংক নামেই কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে জানানো হয়।এ ছাড়া রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (বিডিবিএল) সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
    'স্বপ্নযাত্রা' শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রমের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ ওয়ালটন গ্রুপের
    'স্বপ্নযাত্রা' শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রমের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সুবিধাবঞ্ছিত ও অবহেলিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপ। রবিবার (০৭ এপ্রিল) স্বপ্নযাত্রার উদ্যোক্তা ও আম্বালা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আরিফ সিকদারের হাতে চেক তুলে দেন ওয়ালটন গ্রুপের বোর্ড অফ ডিরেক্টর জাকিয়া সুলতানা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তানভির আনজুম, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আহমেদ তানভির, সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর আবু হেনা মুস্তাফিজ রায়হান, ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মো. ইউসুফ মল্লিকসহ আরও অনেকে। এছাড়াও স্বপ্নযাত্রা ও আম্বালা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন উপ-নির্বাহী পরিচালক দেওয়ান তৌফিকা হোসেন ও সহকারি পরিচালক কাজী ফয়সাল ইসলাম। এসময় স্বপ্নযাত্রার দাঁড়ানোর জন্য ওয়ালটন গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান স্বপ্নযাত্রার উদ্যোক্তা ও আম্বালা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আরিফ সিকদার। পরে ওয়ালটন গ্রুপের বোর্ড অফ ডিরেক্টর জাকিয়া সুলতানা স্বপ্নযাত্রার এই মহৎ কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও ওয়ালটন গ্রুপের স্বপ্নযাত্রার পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।উল্লেখ্য, স্বপ্নযাত্রা ২০১৯ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের ৩৬টি জেলার ১২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪০ জন (৯৬ জন ছেলে এবং ৪৪ জন মেয়ে) সুবিধাবঞ্ছিত শিক্ষার্থী এই শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় তাদের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করছে। পঞ্চম থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত যেকোনো সুবিধাবঞ্ছিত শিক্ষার্থী স্বপ্নযাত্রা শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রমের সুবিধা পেতে পারে। এই শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় শিক্ষার্থীদের যাবতীয় সকল শিক্ষাব্যয় প্রদান করা হয় এবং তাদের বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষনও প্রদান করা হয়। শিক্ষাজীবন শেষে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতেও সহায়তা প্রদান করে স্বপ্নযাত্রা। 
    ঈদের আগে আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম
    পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে আরেক দফা বাড়ানো হলো স্বর্ণের দাম। একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।সোমবার (৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এ তথ্য জানিয়েছে। এ দাম বিকেল থেকে কার্যকর করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১২ হাজার ২০৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৮০ হাজার ১৯০ টাকায় বিক্রি করা হবে।এদিকে সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রূপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।এর আগে শ‌নিবার (৬ এপ্রিল) সোনার দাম বাড়ানো হয়। সেদিন ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা করা হয়।
    রিজার্ভ বাড়ল ৫১ কোটি ডলার
    রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের পালে ভর করে দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে উদ্বেগজনক সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ গত এক সপ্তাহে বেশ খানিকটা বেড়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে নিট রিজার্ভ বেড়েছে ৫০ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে রিজার্ভের এ হিসাব তুলে ধরা হয়।প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী বর্তমানে নিট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৯৬ কোটি ৫৭ লাখ ১০ হাজার ডলার। এক সপ্তাহে আগে তা ছিল এক হাজার ৯৪৫ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার।গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ঝোড়ো বাতাস বইছিল। যে হারে রিজার্ভ কমছিল, সে হারে বাড়ছিল না। ফলে ক্রমাগত কমছিল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। গত দুই মাস ধরে সে অবস্থার কিছুটা উন্নতি শুরু হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমার সঙ্গে সঙ্গে আবার তা পূরণ হয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এক সপ্তাহে প্রায় ৫১ কোটি ডলার বাড়ল।নিট রিজার্ভের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভও বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সর্বশেষ মোট রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫২৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলারে। এক সপ্তাহ আগে ছিল দুই হাজার ৪৮১ কোটি ১৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। এক সপ্তাহে বাড়ল ৪৮ কোটি ৫৬ লাখ ২০ হাজার ডলার।এফএস

    শিক্ষাঙ্গন

    সব দেখুন
    এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু আগামীকাল
    চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৩০ জুন। এই পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে আগামীকাল মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল থেকে যা চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। আর বিলম্ব ফি দিয়ে ফরম পূরণ করা যাবে ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত।কোনো বিভাগের জন্য কত ফি লাগবে এই বিষয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলো বলছে, বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের মোট ২ হাজার ৬৮০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার জন্য ২ হাজার ১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো পরীক্ষার্থীর চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে এ ফির সঙ্গে অতিরিক্ত ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বাচনিক বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয়প্রতি আরও ১৪০ টাকা যোগ হবে।এছাড়াও পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি বাবদ পত্রপ্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ২৫ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৫০ টাকা, মূল সনদ বাবদ ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫ টাকা নেয়া হবে।অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা অনিয়মিত ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। জিপিএ উন্নয়ন ও প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের জন্য ১০০ টাকা তালিকাভুক্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ টাকা। বিলম্ব ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা।কেন্দ্র ফি বাবদ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে ৪৫০ টাকা ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি বাবদ পরীক্ষার্থীদের পত্রপ্রতি ২৫ টাকা দিতে হবে। আর ব্যবহারিক উত্তরপত্র মূল্যায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা।পিএম
    ইবি মসজিদে ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
    ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদ জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টায় একটিমাত্র জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। সোমবার (০৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ ঈদুল ফিতরের জামাতের বিষয়ে জানান। অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদের একমাত্র জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রশাসনের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ’সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ ও কর্মকর্তাদের জামাতে উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি নিজেও এ জামাতে উপস্থিত থাকবেন বলে জানান।ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, ঈদ জামাতের সময়সূচি বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মাইকিং ও মসজিদে আবারও সময়সূচি বলা হবে। এদিকে পেশ ইমামের দায়িত্বে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ড. মো: আমিনুল ইসলামের থাকার কথা রয়েছে। নিরাপত্তা বিষয়ে প্রক্টর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে  নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করাই আছে। তিনি আরও বলেন, ঈদের আগের দিন থেকে পরের ৩ দিন পর্যন্ত প্রক্টরিয়াল বডির নেতৃত্বে নিরাপত্তা টিম থাকবে, ইবি থানার পক্ষ থেকেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বুধবার বা বৃহস্পতিবার (১০ বা ১১ এপ্রিল) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহ ও বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিরা দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন।
    দায়িত্বের দায়বদ্ধতায় রংচটা নাড়ির টান!
    একই পোশাকে ৩৬৫ দিন। ‘মেশিনের যেমন ক্লান্তি নেই, তাদেরও কি অনুভূতি নেই’ সারাবছর ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তার চাদরে সযত্নে ঢেকে রাখা আনসার সদস্যরা যতখানি সক্রিয় তাদের পেশাগত দায়িত্ববোধ এর কাছে ঠিক-তেমনি বেশ নিষ্ক্রিয় তাদের প্রিয়জনের নিকট। প্রিয় সন্তান কিংবা গর্ভধারিণী মা এর ‘বাজান ঈদ তো চলে আইলো, বাড়ি কবে আসবা’ এমন প্রশ্নে অশ্রুসজল চোখে করুন কন্ঠে উত্তর ‘দেহি মা’।এদের দায়িত্বের শেকলে বাঁধা কর্মব্যস্ত জীবনে যেন কর্মবিরতির সুযোগ নেই। পেশা ধীরে ধীরে তাদের কাছে কি তবে নেশায় পরিণত হয়েছে? উত্তর অজানা।সকলের স্বপ্ন বাড়ি ফিরলেও, এরা যেন দায়িত্বের কারণে, নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তার খাতিরে এমন স্বপ্ন দেখা ভুলেই গিয়েছেন। এদের প্রিয়জন ঘিরে সযত্নে গড়ে উঠা আবেগ, অনূভুতিগুলো দায়বদ্ধতার ঘূর্ণিপাকে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। সকলেই যেখানে ছুটি উপভোগের নানা উপায় খুঁজে সেখানে তারা খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বিশেষ দিনগুলোতেও ডিউটি করেই কাটিয়ে দিচ্ছে হাসিমুখে।বলছিলাম পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োজিত প্রায় শতাধিক আনসার সদস্যদের কথা। কারো কাছে মামা, কারো কাছে ভাই আবার কারো কাছে আঙ্কেল। সর্বক্ষণ দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে ক্যাম্পাসকে আগলে রাখছেন তারা। দায়িত্ব পালনে নেই বিন্দুমাত্র অবহেলা। ঈদে ক্যাম্পাস শূন্য হয়ে যেনো তাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়ে যায়।দিনের আলো পেরিয়ে রাতের আঁধারে তৎপরতা কিছুটা বাড়াতে হয় তাদের। ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখতে নির্ঘুম প্রয়াস তাদের। নিজ পরিবারের বাহিরে থাকা এসব সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে গড়ে তুলেন আরেকটি পরিবার। যেটা রক্তের নয় আত্মার বাঁধন। তবে তাদের এই অসামান্য নিবেদনের বিপরীতে চাহিদা শুধু একটু সম্মান ও হাসিমাখা মুখের কথোপকথন।ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা সেল সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি কালীন সময়ে মোট ৮৮ জন আনসার সদস্য তাদের দায়িত্ব পালন করে যাবেন। এরমধ্যে ইদের ছুটি পায়নি কেউ-ই। যারা ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন তারা হয়তো পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারবে না ফলে সহকর্মীদের সাথেই কাটবে তাদের ঈদ।টাকা রোজগারের জন্য সকল কষ্ট মাটিচাপা দিয়েছেন আনসার সদস্য রফিক (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, ‘সব দুঃখ-কষ্ট মাটি চাপা দিয়ে পরিবারের জন্য টাকা ইনকাম করতে আর শত কিলোমিটার দূরে। কিন্তু দেখেন, এই পরিবার ছেড়েই ঈদ করতে হচ্ছে আমাদের। আমি গত কয়েক বছর যাবত পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারি না।তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমাগো কি পরিবারের সাথে ঈদ করতে ইচ্ছা করে না? কিন্তু ডিউটি দিবে কে তখন।’নিরাপত্তার সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সিকিউরিটি ইনচার্জ মো. আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের এখন এই ছুটিতে ৮৮ জন আনসার সদস্য কর্মরত আছেন। ক্যাম্পাস যতদিন ছুটিতে থাকবে আমাদের নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি রাখবো না ইনশাআল্লাহ।
    চার কলেজকে রাবি অধিভুক্তির বাতিল চেয়ে বিবৃতি
    গত ৪ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহাকারী সচিব শতরূপা তালুকদার সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে রাজশাহী জেলার চার কলেজকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধিভুক্ত করা হয়। এ সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল এবং সাধারণ সম্পাদক আশিকুর হৃদয় এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন “ বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজসমূহের শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ- আলোচনা না করেই সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক উপায়ে একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত চাপানো হয়েছে। অধিভুক্ত করণের বাস্তব ভিত্তি, ফলাফল এবং প্রাপ্তি অনুসন্ধান করে কোনো গবেষণা প্রতিবেদন আমাদের সামনে আসেনি। প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে হাজারো শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা জড়িত। কোনো প্রকার যৌক্তিক ভিত্তি নিরুপণ এবং প্রকাশ ছাড়াই খেয়ালখুশির নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে গেলে এই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত হুমকি সম্মুখীন হবে।”সিদ্ধান্তের পরিণতি হবে ধ্বংসাত্মক উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ৭ কলেজের বর্তমান সংকটময় পরিণতি, আরোপিত সিদ্ধান্তের বিষময় ফলাফল জানান দিচ্ছে। কলেজগুলোয় ভর্তি প্রক্রিয়ায় ভোগান্তি, ক্লাস লেকচার এবং প্রশ্ন পত্রের অসামঞ্জস্যতা, ফলাফল প্রদানের দীর্ঘসূত্রিতা, ব্যয়বৃদ্ধি, ফলাফল বিপর্যয়, সেশনজট সহ বহুমুখী সংকটের কারণে শিক্ষার্থীরা বিপর্যস্ত এবং আন্দোলনরত। ঢাকার ৭ কলেজের সংকটের কোনো সমাধানযোগ্য রূপরেখা অর্জন না করেই রাজশাহী ও চট্টগ্রামের শীর্ষ কলেজগুলো নিয়ে অনুরূপ সিদ্ধান্ত একই পরিণতিই বয়ে আনবে। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু বিভাগ সেশনজট, শিক্ষকসংকট সহ নানান সমস্যায় জর্জরিত। এমন অবস্থায় ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে কলেজ অধিভুক্তির বাড়তি চাপ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার অবশিষ্ট পরিবেশটুকুকেও বিঘ্নিত করবে। একইসাথে অধিভুক্ত এই ৪ কলেজের একাডেমিক-প্রশাসনিক সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।”নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষার যে সংকট বিদ্যমান, সরকার কখনোই তা নিরসনের বাস্তব প্রচেষ্টা গ্রহণ করেনি। উপরন্তু শীর্ষ কলেজগুলোকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার একটি অন্তঃসারশূন্য উদ্যোগ নিয়েছে। যা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার মানে কোনো উন্নয়ন তো আনছেই না বরং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মানবৃদ্ধির পক্ষের জনমতকে বিভক্ত ও দুর্বল করছে। একইসাথে শীর্ষ কলেজ সমূহের বাইরের অসংখ্য কলেজে অধ্যয়নরত লাখো শিক্ষার্থীর মানসম্মত শিক্ষার দাবিও আড়াল হচ্ছে। মূলত এই রাষ্ট্র এবং সরকার অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা প্রদানের দায়িত্ব অস্বীকার করতে চায়। অধিভুক্তির এই সিদ্ধান্ত তারই ইঙ্গিত বহন করে।”পরিশেষে, নেতৃবৃন্দ রাজশাহী জেলার ৪ গুরুত্বপূর্ণ কলেজকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত করার অন্তঃসারশূন্য, ধ্বংসাত্মক এবং হঠকারী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান। এবং এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সহ রাজশাহী সরকারি কলেজ, রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ, রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ ও নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান করেন।এমআর

    তথ্য-প্রযুক্তি

    সব দেখুন
    মোবাইলের অব্যবহৃত অ্যাপ যেভাবে অটো আর্কাইভ করবেন
    অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে আগের চেয়ে অনেক বেশি স্টোরেজ দেওয়া থাকলেও প্রয়োজনের থেকে বেশি অ্যাপ থাকলে ডিভাইসের স্টোরেজ দখল করে নেয়।সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড একটি অপশন চালু করেছে যেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আর্কাইভ হয়ে যাবে ফোনের অব্যবহৃত অ্যাপ।২০২৩ সালের এপ্রিলে প্লে স্টোরের মাধ্যমে চালু হয় অ্যান্ড্রয়েডের অটো-আর্কাইভ। এ ফিচারটি ব্যবহারকারীরা যেসব অ্যাপ ব্যবহার করছেন না, সেগুলো বাদ দিয়ে ফোনে নতুন অ্যাপ ইনস্টল করার জায়গা তৈরি করে। এটি কার্যকর ফিচার হলেও কেবল তখনই পাওয়া যেত যখন ফোনের স্টোরেজ শেষ। সম্প্রতি গুগল এ ফিচার আপডেট করেছে। এখন ফোনে যতটুকু স্টোরেজই থাকুক না কেন, চালু করা যাবে অটো আর্কাইভ ফিচারটি। গুগলের প্লে স্টোরের একটি টগলের মাধ্যমেই ব্যবহারকারীরা এ ফিচার চালু করতে পারবেন।গুগল বলছে, এ ফিচারটি কেবল তখনই অ্যাপগুলো আর্কাইভ করবে যখন একজন ব্যবহারকারীর ফোনের জায়গা একেবারে কমে আসবে। কেউ ফোনে অনেক ফাঁকা জায়গা নিয়ে ফিচারটি চালু করা হলেও, স্টোরেজের সংকট না দেখা দেওয়া পর্যন্ত অ্যাপগুলো আর্কাইভ করা হবে না।যেভাবে ফিচারটি চালু করবেনঅটো-আর্কাইভ ফিচারটি চালু করতে প্রথমে অ্যান্ড্রয়েডের প্লে স্টোর অ্যাপটি চালু করতে হবে। সেখান থেকে নিজের প্রোফাইল ছবিতে ট্যাপ করতে হবে। এরপরে ‘সেটিংস’ অপশনে যেতে হবে। সেটিংসের ‘জেনারেল’ বিভাগে প্রবেশ করলেই ‘অটোমেটিকালি আর্কাইভ অ্যাপস’ নামের টগলটি চালু করে দিতে হবে।যখন ফোন বিভিন্ন অ্যাপ আর্কাইভ করা শুরু করবে, প্লে স্টোরে ব্যবহারকারীর অ্যাপ লাইব্রেরির ‘আর্কাইভড’ শিরোনামের নিচে অ্যাপগুলোর তালিকা দেখা যাবে।এমএইচ
    নতুন ১০ ফিচার নিয়ে আসছে অ্যান্ড্রয়েড ১৫
    নতুন ১০ ফিচার নিয়ে আসছে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড। দারুণ এ ফিচারগুলো যোগ হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড ১৫ সিস্টেমে। বর্তমানে গুগল পিক্সেল ৮ স্মার্টফোনে পাওয়া গেলেও আগামীদিনে একাধিক স্মার্টফোনে এই ফিচার যোগ হবে। কী ফিচার? চলুন জেনে নিই—নতুন নাম ও লোগো : মহাকাশ এবং রকেট থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন লোগো আনছে অ্যান্ড্রয়েড ১৫। কিছুটা অ্যান্ড্রয়েড ১৪ লোগোর মতোই হবে। পাশাপাশি থাকবে নতুন নাম। অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ভ্যানিলা আইস ক্রিম নামে লঞ্চ করবে গুগল।স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি : বর্তমানে একাধিক স্মার্টফোনে স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি ফিচার রয়েছে। যা আরও সহজ করে দিতে চলেছে গুগল। অ্যান্ড্রয়েড ১৫-এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলো স্মার্টফোনে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে। আইফোন ১৫-তেও রয়েছে এই ফিচার। এবার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে থাকবে স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি।ওয়েব ক্যাম মুড : অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ইউজারদের স্মার্টফোনগুলোকে উইন্ডোস ১১ এর সঙ্গে যুক্ত করার সময় হাই-কোয়ালিটি ওয়েব ক্যাম হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি দেবে। গুগল পিক্সেল স্মার্টফোনগুলোকে ওয়েব ক্যাম হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।অপ্টিমাইজ ফোল্ডেবেল স্মার্টফোন : আজকাল ফোল্ডেবেল স্মার্টফোনের যুগ, স্যামসাং, মটোরোলাসহ একাধিক সংস্থা ফোল্ডেবেল স্মার্টফোন এনেছে বাজারে। এবার তাতে আরও দ্রুত পারফরম্যান্স যোগ করতে চলেছে অ্যান্ড্রয়েড ১৫। বাড়বে ডিসপ্লে কোয়ালিটি। অ্যান্ড্রয়েড ১৫ রোল আউট হলে ফোল্ডেবেল স্মার্টফোনে একটি নতুন টাস্কবারও যোগ হবে।ক্যামেরা কন্ট্রোল : ক্যামেরার ব্রাইটনেস বাড়ানো, ফ্ল্যাশ লাইট কন্ট্রোল, লো লাইট ক্যামেরা ইত্যাদি আরও ভালো কাস্টমাইজ করা যাবে। অ্যান্ড্রয়েড ১৫ অপারেটিং সিস্টেম স্মার্টফোনগুলোর ক্যামেরা আরও দক্ষ ও উন্নত করে তুলবে।স্ক্রিন শেয়ারিং : একবার ট্যাপ করলেই স্ক্রিনের নির্দিষ্ট একটি অংশ শেয়ার করতে পারবেন। পুরো স্ক্রিন শেয়ার করতে হবে না।নোটিফিকেশন কুলডাউন : একটি নির্দিষ্ট অ্যাপ থেকে একগুচ্ছ নোটিফিকেশন আসতে থাকলে বিরক্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে অ্যান্ড্রয়েড ১৫-এর মাধ্যমে সেই অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশনের সংখ্যা কমে যাবে।প্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন হাইড : ব্যাংকের ওটিপি হোক এমন কোনও নোটিফিকেশন বা মেসেজ যেখানে ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে তা অটোমেটিক হাইড করে দেবে অ্যান্ড্রয়েড ১৫ আপডেট।নতুন ভলিউম কন্ট্রোল : অ্যান্ড্রয়েড ১৫ আপডেট এলে স্মার্টফোনে নতুন ভলিউম কন্ট্রোল পাবেন ব্যবহারকারীরা।ব্লুটুথ ডায়ালগ বক্স : একাধিক ব্লুটুথ ডিভাইস যারা ব্যবহার করেন তাদের কাজে আসবে। ব্লুটুথ অপশনে কিছুক্ষণ চাপার পর একটি টগেল খুলে যাবে তাতে সাম্প্রতিক পেয়ারড বা কানেক্টেড ডিভাইস দেখা যাবে। এখান থেকে ডিভাইস সুইচ করতে পারবেন।এমআর
    মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের জন্য বড় সুখবর দিলো মেটা
    মেসেঞ্জারের সব ধরনের চ্যাট ও কলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন ব্যবস্থা চালু করেছে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। মেসেঞ্জারে এর আগেও এনক্রিপশন ছিল, তবে তা নিজে থেকে চালু করতে হত। যার ফলে অনেক ব্যবহারকারী এ সম্পর্কে জানতেন না। অনেকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলেও সঠিক অপশন খুঁজে না পেয়ে ব্যবহার করার সুযোগ পাননি।এই ফিচারটি নিয়ে মেটা গত কয়েকবছর ধরে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করছিল। কিছু সংখ্যক মেটা ব্যবহারকারী ফিচারটি উপভোগও করছিলেন।সম্প্রতি সকল ব্যবহারকারীদের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হলো। অর্থাৎ হোয়াটসঅ্যাপের মতোই ফেসবুক চ্যাট ও মেসেঞ্জারের চ্যাট এন্ড টু এন্ড এনক্রিপটেড হলো।  একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ফেসবুক চ্যাট ও মেসেঞ্জার থেকে এই ফিচারটি চালু করতে কিছুই করতে হবে না। স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেটা ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের ফিচারটি চালু করে দিয়েছে। বর্তমানে অনলাইনে নিরাপদ যোগাযোগের ক্ষেত্রে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এনক্রিপটেড মেসেজের সঙ্গে বিশেষ কোড যুক্ত করা থাকে। যার ফলে যাকে মেসেজ পাঠাচ্ছেন, তিনি ছাড়া আর কেউ সে মেসেজ পড়তে পারেন না। প্রাপকের কাছে মেসেজ পৌঁছানোর পর স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় মেসেজটি 'ডিকোড' করে তাকে দেখানো হয়। কলের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একইরকম। এনক্রিপটেড কলে কোনো তৃতীয় পক্ষের আড়িপাতার সুযোগ নেই। যার ফলে, প্রেরক ও প্রাপক ছাড়া এই মেসেজ বা কলের বিষয়বস্তু অন্য কেউ জানতে পারেন না—এমন কী, ফেসবুক বা মেটা কর্তৃপক্ষও নয়।এমএইচ
    গুগল ক্রোম খুললেই পছন্দের ওয়েবসাইটগুলো দেখবেন যেভাবে
    কম্পিউটার ব্রাউজিংয়ের জন্য অনেক জনপ্রিয় ব্রাউজার হলো গুগল ক্রোম। ব্রাউজারটি ব্যবহার করে অনেকই তাদের কাজের জন্য একই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন প্রবেশ করে থাকে। বার বার সার্চ করে এসব ওয়েবসাইট বের করা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ব্রাউজার খুললেই স্বয়ক্রিয়ভাবে এসব ওয়েবসাইট চালু করার সুবিধা গুগল ক্রমে পাওয়া যায়। এজন্য গুগল ক্রোমে ওয়েবসাইটগুলো আগে থেকেই সেট করতে হয়। তবে একবার সেট করলে প্রতিদিন বার বার ওয়েবসাইটগুলো সার্চ করে বের করতে হবে না। গুগল ক্রোমে ওয়েবসাইটগুলো খুব সহজেই সেট করা যায়। এজন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন— ১. কম্পিউটার থেকে গুগল ক্রোম ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। ২. ডান দিকের ওপরে তিন ডটে ক্লিক করে একটি মেনু চালু করুন। ৩. মেনু থেকে সেটিংস অপশনে প্রবেশ করুন। ৪. বাম পাশের প্যানেল থেকে ‘অন স্টার্ট আপ’ অপশনটিতে ক্লিক করুন। ৫. এরপর বামপাশের ‘ওপেন এ স্পেসিফিক পেজ ওর সেট অব পেজেস’ অপশনটি নির্বাচন করুন। ৬. এর নিচের দিকে ‘ওপেন এ নিউ পেজ’ অপশনে ক্লিক করুন। ৭. এরপর পছন্দের ওয়েবসাইটের ইউআরএল পেস্ট করুন। ৮. এড’ অপশনে ক্লিক করুন। এভাবে ওয়েবসাইট সেট করলে ক্রোম ব্রাউজার খুললেই পছন্দের ওয়েবসাইটগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যাবে।  
    দেশের বহু সরকারি-বেসরকারি ওয়েবসাইট ডাউন
    দেশের সরকারি-বেসরকারি বহু ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা। বিশেষ করে যেসব ওয়েবসাইটের শেষে ডট গভ, ডট বিডি, ডট বাংলা বা ডট কম ডট বিডি রয়েছে সেগুলো বিটিসিএলের সার্ভার থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এসব সাইট খোলা যাচ্ছে না।দেশের সবগুলো মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এসব ডোমেইন দিয়ে বানানো। ফলে সেগুলোতে প্রবেশ করতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা। এ ছাড়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজ, ইভ্যালি ও সংবাদ সংস্থা ইউএনবিসহ বহু বেসরকারি ওয়েবসাইট এসব ডোমেইন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করায় সেগুলোতেও প্রবেশ করা যাচ্ছে না।জানা যায়, মঙ্গলবার রাত থেকে বিটিসিএল নিয়ন্ত্রিত তিনটি ডোমেইন সার্ভারে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এর ফলেই ব্যবহারকারীরা সরকারি-বেসরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারছেন না। ওয়েব ঠিকানায় গেলে তা না খুলে ‘This site can’t be reached’ লেখা ভেসে উঠতে দেখা যায়। এতে সেবা পেতে সমস্যা হচ্ছে।
    হোয়াটসঅ্যাপে ভুলেও যে নম্বরটি রিসিভ করবেন না!
    দিন দিন হোয়াটসঅ্যাপ গুরুত্বপূর্ণ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। এটি আমাদের অনেক কাজ খুব সহজ করে দিয়েছে, তবে ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোনের দ্রুত ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা এবং কেলেঙ্কারির ঘটনাও হুহু করে বাড়ছে।  সাম্প্রতিক সময়ে অ্যাপটিতে একটি বড় সমস্যাও দেখা গেছে। হ্যাকার এবং সাইবার অপরাধীরাও এখন জালিয়াতির জন্য হোয়াটসঅ্যাপের সাহায্য নিচ্ছে, যা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন তুলেছে।অনেক সময় হোয়াটসঅ্যাপে কল এলে ওপাশ থেকে দাবি করা হয় যে টেলিকম দফতর থেকে কলটি করা হয়েছে। যদি আপনার সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে সাবধান! বুঝে নেবেন আপনি স্ক্যামারের ফাঁদে পড়তে চলেছেন, যে আপনার সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপের এমন নয়া প্রতারণা নিয়ে ভারতীয়দের সতর্ক করেছে দেশটির টেলিকম দফতর এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, টেলিকম দপ্তরের নাম নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের কল করছে স্ক্যামাররা। যাতে বলা হচ্ছে: ‘আপনার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ হয়ে যাবে। কিংবা আপনার মোবাইল নম্বরটি বেআইনি কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে’–এমন দাবি করে আলাপচারিতা বাড়ানো হয় এবং একে একে সব তথ্য হাতিয়ে নেয়।  বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বিদেশি নম্বর +92 থেকে ফোন এলে তা এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। +91 হলো ভারতের কোড। এর বাইরে যে কোনো নম্বর বিদেশি। যেমন: +92 পাকিস্তানের কোড। তাই এ কোডের নম্বর থেকে ভয়েস কিংবা ভিডিও কল এলে চট করে রিসিভ করা যাবে না। নম্বরটি আগে চেক করে নিতে হবে। পাশাপাশি এ ধরনের কোনো সমস্যায় পড়লে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে।অন্যদিকে বাংলাদেশের কোড হলো +88। এর বাইরে যে কোনো নম্বরই বিদেশি। তাই এ কোড নম্বর ছাড়া অন্য কোনো নম্বর থেকে ভয়েস কিংবা ভিডিও কল এলে নম্বরটি নিশ্চিত হয়ে কল রিসিভ করুন। নিরাপদ থাকুন।এমএইচ

    আইন-আদালত

    সব দেখুন
    লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে মৃত্যুর ঘটনায় ৩ দিনের রিমান্ডে আসামিরা
     রাজধানীর সদরঘাটে দড়ি ছিঁড়ে ৫ যাত্রী নিহতের ঘটনায় করা মামলায় দুই লঞ্চের চার মাস্টার এবং এক ম্যানেজারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা চৌধুরী হিমেলের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. মিজানুর রহমান (৪৮) ও দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান (২৪) এবং এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. আব্দুর রউফ হাওলাদার (৫৪), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. সেলিম হাওলাদার (৫৪) ও ম্যানেজার মো. ফারুক খান (৭৬)।এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ থানার সাব-ইন্সপেক্টর নকীব অয়জুল হক আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা তা বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধীতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন বিকেল ৩টার দিকে সদরঘাট ১১ নং পন্টুনের সামনে এমভি তাশরিফ-৪ এবং এমভি পূবালী-১ নামের  লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুটির মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের লঞ্চ ঢুকানো হয়। এ সময় এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে গেলে পাঁচ যাত্রী লঞ্চে ওঠার সময় গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।ঘটনার দিন মধ্যরাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) ইসমাইল হোসাইন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়।এমএইচ

    প্রবাস

    সব দেখুন
    ইতালিতে প্রবাসীদের ঈদুল ফিতর উদযাপন
    ইতালিতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর  উদযাপন করছে বাংলাদেশিসহ প্রায় ২৫ লাখ মুসলমান নাগরিক।বুধবার (১০ এপ্রিল) মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ইতালিসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে একইদিনে ঈদ উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ইতালির বিভিন্ন শহরে অস্থায়ী ঈদগাহ মাঠ, খোলা মাঠ ও মসজিদগুলোতে  ঈদের নামাজ আদায় হয়েছে।ইতালিতে সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় দেশটির রাজধানী রোমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভেনিসের ভেসেন্সায় সাড়ে ৭ টা, ভেনিসে ঈদ  নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  এইদিকে ইতালির মিলান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সহ  প্রায় ৩০টির বেশি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে মিলানে। এছাড়াও অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি সহ মুসলিমরা বাসায় ঈদের নামাজ আদায় করেছে। নামাজ শেষে সারা বিশ্বের মানুষের শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।ঈদ উপলক্ষে ইতালিতে বাংলা কমিউনিটিগুলোর উদ্যোগে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। প্রবাসীরা একে অন্যের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন। তারা সারা বিশ্বের সব মুসলিমের শান্তি কামনা করেন।এমআর

    লাইফস্টাইল

    সব দেখুন
    ঈদ সালামি কি জায়েজ?
    বছরে দুবার মুসলিমদের জন্য ঈদ আনন্দ নির্ধারিত। ঈদ এলেই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে। শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ সবার মনে বয়ে যায় আনন্দের ফল্গুধারা। ঈদের দিন শিশু কিশোরদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করে ঈদি বা ঈদ সালামি।বড়দের পক্ষ থেকে পাওয়া ঈদি শিশুদের আনন্দ যেন বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ। ইসলামের দৃষ্টিতে ঈদ সালামি দেওয়ার এই প্রচলনে কোনও আপত্তি বা ধর্মীয় বাধা-নিষেধ নেই। এটি একটি সুস্থ ও সুন্দর সামাজিক রীতি এবং চারিত্রিক সৌন্দর্য। এর মাধ্যমে ছোটদের প্রতি স্নেহ, মমতা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ঈদ সালামির মাধ্যমে ছোটরা আনন্দিত হয়। এতে তাদের ঈদের উৎসব আরও বেড়ে যায়।ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষকে খুশি করা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ কাজ। তাছাড়া ইসলামে উপহার লেনদেন করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা এতে পারস্পারিক ভালোবাসার বন্ধন সুদৃঢ় হয়।রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য (কাউকে কিছু) দেয়, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই দেওয়া থেকে বিরত থাকে; আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই যে ভালোবাসে আর আল্লাহর জন্যই যে ঘৃণা করে, সে তার ঈমান পূর্ণ করল।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৫২১)আরেক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, ‘পরস্পর হাদিয়া দাও, মহব্বত বৃদ্ধি পাবে।’ (আল আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৫৯৪)তবে ঈদ সেলামি দেওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখা দরকার। তাহলো-১। আমাদের দেশে ঈদ সালামি পাওয়ার জন্য ছোটরা বড়দের পা ছুয়ে সালাম করে। এটি সম্পূর্ণ অনৈসলামিক কালচার। এর সম্প্রসারণ রোধ করা জরুরি। কেউ এমনটি করলে তাকে নিষেধ করতে হবে।২। সেলামি দেয়ার ক্ষেত্রে ছোট ভাই, বোন ও সন্তানদের কাউকে দেয়া দেওয়া হবে আর কাউকে বঞ্চিত করা হবে-এমনটি যেন না হয়। কেননা এতে পারস্পারিক হিংসা-বিদ্বেষ ও মনোমালিন্য সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।৩। সবাইকে সমানভাবে উপহার দেয়া জরুরি নয় বরং বয়স ও অবস্থা অনুযায়ী কম-বেশি করা যাবে। যেমন: বড়কে বেশি আর ছোটকে কম, বিবাহিতকে এক রকম অবিবাহিতকে অন্য রকম। এতে কোন আপত্তি নাই।৪। তারা কীভাবে তা খরচ করছে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা জরুরি। কেননা অনেক সময় বাচ্চারা হাতে টাকা পেয়ে নানা আজেবাজে ও অনর্থক কাজে ব্যয় করে। অনেকে বিভিন্ন গুনাহের কাজে লিপ্ত হয়। তাই অভিভাবকদের এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখা জরুরি।এফএস

    Loading…