এইমাত্র
  • দিনাজপুর জাল টাকাসহ আটক ২
  • যশোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইউপি সদস্যের মৃত্যু
  • বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস, থাকতে পারে টানা ৩ দিন
  • ধানমন্ডি-গুলশানে কৃষক লীগের দরকার কী, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের
  • পিতাকে সব দান করে নির্বাচনে অংশ নিচেছন যুবলীগ নেত্রী!
  • ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি
  • সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
  • টেকনাফে কোস্টগার্ডের কাছে মিয়ানমার ১৩ বিজিপির আত্মসমর্পণ
  • টানা ৪ দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
  • দেশের কৃষক বাঁচার জন্য যা প্রয়োজন সেটাই করবে সরকার: কৃষি মন্ত্রী
  • আজ শনিবার, ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২০ এপ্রিল, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    বিতর্কে জড়িয়ে অবশেষে ক্ষমা চাইলেন কুলিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান

    সময়ের কণ্ঠস্বর প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:২৪ এএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:২৪ এএম

    বিতর্কে জড়িয়ে অবশেষে ক্ষমা চাইলেন কুলিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান

    সময়ের কণ্ঠস্বর প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:২৪ এএম

    ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: সম্প্রতি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের হল রুমে শিক্ষকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ইয়াছির মিয়ার মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে এক বিতর্কিত বক্তব্যেকে ঘিরে উপজেলার ইমাম-উলামা পরিষদ ও স্থানীয় আলেম সমাজ উত্তোপ্ত হয়ে উঠে। তীব্র প্রতিবাদ আর ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে কুলিয়ারচরবাসী। চেয়ারম্যানের এ বক্তব্যের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচির ডাক দেয় উপজেলার ইমাম উলামাগণ সহ সাধারণ জনতা । এ অবস্থায় ২৮ জানুয়ারি কুলিয়ারচর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জোহরের নামাজের পর আলহাজ্ব ইয়াছির মিয়ার ক্ষমা প্রার্থনামূলক এক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শান্ত হয় উত্তপ্ত পরিস্থিতি।

    এর আগে গত ২১ জানুয়ারি কুলিয়ারচর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে উপজেলা হল রুমে এক মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয় আলহাজ্ব ইয়াছির মিয়া। এ সময় তিনি মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে কিছু কথা বললে তার এই বক্তব্য ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় উপজেলার আলেম ওলামাগন। পরে আস্তে আস্তে পরিস্থিতি উত্তোপ্ত হতে থাকে। এক পর্যায়ে এর বিচার দাবী করে নানা কর্মসূচির ডাক দেয় উপজেলা ইমাম-ওলামা পরিষদ।
    এ অবস্থায় আজ ২৮ জানুয়ারি উপজেলার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জোহরের নামাজের পর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইয়াছির মিয়া তার ভুল বক্তব্যের জন্য মহান আল্লাহ পাকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

    এ সময় তিনি বলেন, বক্তব্য দিতে গিয়ে যা আমার অন্তরে ছিলনা তাও কিভাবে বের হয়ে এসেছে আমি জানিনা। আমার ওই বক্তব্যে কারোর মনে কষ্ট পেয়ে থাকলে সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। পরে ইমাম-ওলামা পরিষদ তাদের ডাকা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

    এর আগে ২১-২-২১ ই সালে আলেম ওলামাদের চরম আপত্তির মুখেও বাজারা তারাকান্দি এলাকায় নাচ গানের অনুষ্ঠান চালু রাখা এবং আলেমদের নিয়ে বিষেধাগার করে বিতর্কে জড়ান। তিনি নৌকা প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন। তাকে নিয়ে বিব্রত দলীয় লোকজনও।

    দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি তার বক্তব্য নতুন করে বিতর্ক হচ্ছে। এতে দলের ইমেজ ক্ষুন্ন হতে পারে বলেও অধিকাংশরা মনে করেন। অথচ আ'লীগ সরকার সবসময়ই মসজিদ মাদ্রাসার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তার এহেন বক্তব্য বিরূপ প্রভাব পড়বে।'

    মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে নিজের মতামত ব্যাক্ত করে উপজেলা চেয়ারম্যানের দেওয়া একটি বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেইসবুকে। এর পরই আলোচনা সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গত ২১ জানুয়ারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা মানোন্নয়ন নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের এক মতবিনিময় সভার অনুষ্ঠানে তিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় উপজেলা চেয়ারম্যান ইয়াসির মিয়া তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে বক্তব্য দেন। তাতে তিনি বলেন, ' মাদ্রাসা এখন শিক্ষার বদলে ব্যাবসা। এগুলো এখন বিজনেস হচ্ছে শিক্ষার নামে । মাদ্রাসা থেকে হাফেজি, তফসির পরার পর কি করবে তারা। তাদের ভবিষ্যৎ কি? কিছু করতে না পেরে একসময় জঙ্গী হবে। মাদ্রাসায় কি পরানো হচ্ছে? কুরআন তফসির হাদিস ইত্যাদী। কুরআন হাদিস পড়া ভালো বিষয় তবে, কি পরছি আমরা তা বুঝে পরতে হবে। অর্থ বুঝে পড়তে হবে। না হলে এই শিক্ষা দিয়ে কি হবে আমাদের?। তিনি আরো বলেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যাবস্থা ইসলামের সঠিক পথে নেই। বৃটিশরা নিজেদের শাসন টিকিয়ে রাখতে মন মতো শিক্ষা ব্যাবস্থা চালু করেছে। এসব পড়ে একসময় জঙ্গী তৈরি হবে। এবং তা অচিরেই হবে বলে দৃঢ়তার সাথে বলেন। তিনি আরো বলেন, সকল সুযোগ থাকার পরেও প্রাথমিক স্কুল থেকে ছাত্রদের নিয়ে মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেওয়া হচ্ছে। মাদ্রাসা ছাত্রের সংখ্যা বাড়ছেই। আমরা সচেতন থাকলে এগুলো রোধ করতে পারব। এছাড়াও মাদ্রাসা নিয়ে আরো বক্তব্য দেন তিনি।

    এই বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরই শুরু হয় সমালোচনা।

    সার্বিক বিষয় ইয়াসির মিয়া বলেছিলেন, ছোট বিষয়কে বড় করে দেখা হচ্ছিল। পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সক্রিয় ছিলো৷ তার বক্তব্য মাদ্রাসাকে হেয় করে এমন কিছু ইচ্ছে ছিলো না।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…