এইমাত্র
  • জামালপুরে হিট স্ট্রোকে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
  • এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা
  • কুমিল্লায় হিট স্ট্রোকে শ্রমিকের মৃত্যু
  • তীব্র তাপদাহে পুরান ঢাকায় ৫ টাকায় মিলছে নবাবী গোসল
  • বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে কমতে পারে তাপমাত্রা, হতে পারে বৃষ্টিও
  • পঞ্চগড়ে রাতের আধাঁরে সাইনবোর্ড বসিয়ে সরকারি খাল দখলের অভিযোগ
  • এবার একলাফে সোনার দাম ভ‌রিতে কমলো ৩১৩৮ টাকা
  • কুমিল্লায় তীব্র গরমে পথচারীদের মাঝে ঠান্ডা শরবত ও স্যালাইন বিতরণ
  • পদ্মায় গোসলে নেমে একসঙ্গে নিখোঁজ ৩ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
  • লক্ষ্মীপুরে মৎস্য চাষীদের সম্মাননা প্রদান
  • আজ মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

    রোগের চিকিৎসা করছে বানর!  

    সময়েরকণ্ঠস্বর প্রকাশ: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:৫৩ পিএম
    সময়েরকণ্ঠস্বর প্রকাশ: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:৫৩ পিএম

    রোগের চিকিৎসা করছে বানর!  

    সময়েরকণ্ঠস্বর প্রকাশ: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:৫৩ পিএম

    ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: আধুনিক যুগেও এখনো টিকে আছে চিকিৎসার নামে কুসংস্কার। এখনো গ্রামের সহজ সরল মানুষ কবিরাজি, মাজার বিশ্বাস, কথিত বাবা, পশু পাখিকে রোগ মুক্তির সহায়ক মনে করেন। আর এই সরল বিশ্বাসকে পুঁজি করে এক শ্রেণীর লোক গ্রামে চষে বেড়ায় রোগ মুক্তিসহ জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য। এভাবেই চিকিৎসার নামে কুসংস্কারে ডুবে আছে কিছু মানুষ।
    সম্প্রতি দেখা গেল এমনি এক ঘটনা। এক ভ্রাম্যমাণ বানর চিকিৎসকের দেখা মিলে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর পাশ্ববর্তী উপজেলা মনোহরদীর খিদিরপুর ইউনিয়নের মনতলা গ্রামের হাজী পাড়ায়৷ মানুষের চিকিৎসা করছে বানর। আর এটাকেই বিশ্বাস করে চিকিৎসা নিচ্ছেন কিছু মানুষ। কবিদের ন্যায় ঝুলন্ত ব্যাগ ও হাতে শিকলে বাধা এক বানর। যে কিনা হাত দেখা থেকে শুরু করে বিষ ব্যাথা, রাতে বিছানায় প্রসাব করা, কান পাকা, ভয় পাওয়া, ও অতিরিক্ত কান্না করা বাচ্চাদের চিকিৎসা করে। রোগ নির্ণয় করার এ যেন এক অদ্ভুত পদ্ধতি। বানর জ্যোতিষীর মতই হাত দেখে বিভিন্ন ইশারা ইঙ্গিতে তার মালিককে বুঝিয়ে দেয় ব্যাক্তিটি কোন রোগে আক্রান্ত।

    সেখানে উপস্থিত হওয়া নানা বয়সের মানুষদের মধ্যে কিছু সংখ্যক কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ভ্রাম্যমাণ বানর চিকিৎসক বলে আখ্যায়িত করেন। কিছু সচেতন মানুষ এসবকে সমর্থক না করে কুসংস্কার বলে সেখান থেকে ত্যাগ করেন।

    বানরকে নিয়ে ফেরি করা রফিক মিয়া (৫০) এর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, দীর্ঘ ২৩ বছর ধরেই তিনি এই পেশায় জড়িত। সূদুর খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহ জেলা থেকে দেশের ৬৪ জেলায় তিনি এই বানরটিকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে জীবিকা নির্বাহ কিরেন। পাশাপাশি গাছ গাছরার দ্বারা তৈরী আয়ূর্বেদিক মেডিসিনও তিনি বিক্রি করে থাকেন।

    দৈনিক চারশ, পাচঁশ কিংবা কোনদিন হাজার টাকাও আয় করেন। রাত যাপন করার কথা জিজ্ঞাসা করলে রফিক মিয়া জানান, যেখানেই রাত সেখানেই কাত। পথি মধ্যে কোন না কোন বাজারে খাবারের হোটেলে কিছু টাকার বিনিময়ে রাত পার করেন।
    তারও রয়েছে অদ্ভুত এক কাহিনি কেননা, মূলত বানর চিকিৎসকের ভূমিকা পালন করে থাকেন। রোগীর হাত দেখে বলে দেন তিনি কি রোগে আক্রান্ত। বানর ও তার মালিক রফিক মিয়ার মধ্যে কথোপকথন করতেও দেখা যায়৷ হাত দেখানো ব্যাক্তিটির রোগ ভালো হলে বানর চিকিৎসা করেন এবং বানরের সামনে রাখা গাছ গাছরার মেডিসিন বানর-ই দেখিয়ে দেন। যদি উক্ত চিকিৎসা বানরের সাধ্যে কুলোয় তবে করেন নতুবা মাথা নেড়ে না করে দেন। এবং হাত দেখানো ব্যাক্তিটির কাছ থেকে নির্ধারিত ১০ টাকাও নেননা যদিনা বানর চিকিৎসা করেন। হাত দেখা শেষে রোগীকে সালাম ও প্রদর্শন করেন বানর।

    সেখানে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে জমিলা খাতুন (৬০) বাত ব্যাথায় আক্রান বহুদিন যাবত। অনেক আগের মানুষ বলে এসব বিশ্বাস করে থাকেন। এবং তিনি বানরকে হাত দেখানোর জন্যে সম্মতি প্রকাশ করেন। বানর হাত দেখে জানিয়ে দেন কোমড়ে ব্যথা যার চিকিৎসা বানরের দ্বারা সম্ভব নয়।

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…