এইমাত্র
  • ভাল মন্দ নিজে বিচার করে পরবর্তীতে কাজ করব: নিহা
  • হত্যা মামলায় জামিনে বেড়িয়ে এসে কিশোরী ধর্ষণ, যুবক আটক
  • দিয়াজের মৃত্যু রহস্যের জট খুলতে তদন্তভার পেল পিবিআই
  • দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই, এ কথা আজ প্রমাণিত: ওবায়দুল কাদের
  • জামিন নামঞ্জুর, প্রথম আলোর সাংবাদিক শামস কারাগারে
  • মাদারীপুরে স্কুলছাত্রীকে লাঞ্ছিত করায় বখাটের ৬ মাসের কারাদণ্ড
  • শহীদের সুরে ফেরদৌস-পূর্ণিমার সিনেমায় গাইলেন নোলক
  • জন্মদিনে আপনারা যে ভালোবাসা দিয়েছেন তার কাছে আমি চিরঋণী: শাকিব খান
  • চরকিতে আসছে 'ট্রাভেল মেটস ২'
  • চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের নতুন কমিটির তালিকা প্রকাশ
  • আজ বৃহস্পতিবার, ১৬ চৈত্র, ১৪২৯ | ৩০ মার্চ, ২০২৩

    সুদ যেসব ক্ষতি ডেকে আনে

    সময়েরকণ্ঠস্বর প্রকাশ: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৫৫ পিএম
    সময়েরকণ্ঠস্বর প্রকাশ: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৫৫ পিএম

    সুদ যেসব ক্ষতি ডেকে আনে

    সময়েরকণ্ঠস্বর প্রকাশ: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৫৫ পিএম

    ইসলাম ডেস্ক- যে ঋণ ঋণদাতার জন্য কোনো ধরনের মুনাফা বয়ে আনে সেটাই রিবা বা সুদ। ইসলামে সব ধরনের সুদই হারাম। ইন্টারেস্ট, মুনাফা, লাভ, ফিন্যানশিয়াল চার্জ অথবা সুদ- যে নামেই তাকে ডাকা হোক- চাই তা মহাজনি সুদ হোক বা বাণিজ্যিক সুদ, চাই তা সরল সুদ (Simple Interest) হোক বা চক্রবৃদ্ধি সুদ (Compound Interest) কিংবা ব্যাংকিং সুদ (Banking Interest) হোক। কম হোক বা বেশি হোক। ইরশাদ হয়েছে, ?আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয় হালাল করেছেন আর সুদকে হারাম করেছেন।? (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৫)

    পবিত্র কোরআনে বহু ধরনের গুনাহর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে। সেসবের জন্য কঠোর শাস্তি ও ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। কিন্তু সুদের ক্ষেত্রে যত কঠোর ভাষা প্রয়োগ করা হয়েছে অন্য কোনো গুনাহর ব্যাপারে এমনটি করা হয়নি।

    সুদ সাতটি ধ্বংসাত্মক কাজের একটি : দুনিয়াতে যে সাতটি ধ্বংসাত্মক মহাপাপ আছে তন্মধ্যে অন্যতম হলো সুদ। রাসুলে আকরাম (সা.) বলেছেন, ?তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে বিরত থাকো। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, সেই সাতটি ধ্বংসাত্মক কাজ কী? তিনি বলেন, আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা; জাদু করা; অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা, যা আল্লাহ নিষেধ করেছেন; সুদ খাওয়া; এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করা; জিহাদের ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়া; সতী মুমিন নারীদের অপবাদ দেওয়া।? (বুখারি, হাদিস : ২৭৬৬)

    সুদ সংশ্লিষ্ট সবাই অভিশপ্ত : সুদের সঙ্গে জড়িত সবাইকে নবীজি (সা.) অভিশাপ দিয়েছেন। বর্ণিত হয়েছে, ?যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, যে সাক্ষী থাকে এবং যে ব্যক্তি সুদের হিসাব-নিকাশ বা সুদের চুক্তিপত্র ইত্যাদি লিখে দেয় সবার প্রতি রাসুলুল্লাহ (সা.) লানত করেছেন।? (তিরমিজি, হাদিস : ১২০৬)

    সুদের অর্থে কোনো বরকত নেই : সুদের মাধ্যমে যত অর্থই উপার্জন করুক, তা নিঃশেষ হয়ে যাবে। তাতে কোনো বরকত নেই। ইরশাদ হয়েছে, ?আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ কোনো অকৃতজ্ঞ পাপীকে ভালোবাসেন না।? (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৬)

    সুরা রুমের ৩৯ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ?যে সুদ তোমরা দিয়ে থাকো?যেন মানুষের সম্পদের সঙ্গে মিশে তা বেড়ে যায়, আল্লাহর কাছে তা বাড়ে না।?

    সুদখোর আল্লাহ ও রাসুলের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত : সুদখোর স্বয়ং আল্লাহ ও রাসুলের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ?হে মুমিনরা, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সুদের যা বকেয়া আছে তা ছেড়ে দাও, যদি তোমরা মুমিন হও। যদি তোমরা না করো (সুদের বকেয়া না ছাড়ো, সুদের কারবার অব্যাহত রাখো) তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা শুনে নাও...।? (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৮-২৭৯)

    সুদখোর ব্যভিচারকারীর সমতুল্য : ব্যভিচার সবার কাছে নিন্দনীয়। বিবাহিত নারী-পুরুষের ব্যভিচার বেশি নিন্দনীয়। প্রতিবেশীর সঙ্গে ব্যভিচার আরো বেশি জঘন্য। আর স্বীয় মায়ের সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া কী পরিমাণ জঘন্য হতে পারে? সুদখোর সম্পর্কে বলা হয়েছে, সে তার মায়ের সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সমান অপরাধে জড়িত। বর্ণিত আছে, ?সুদ সত্তর প্রকার পাপের সমষ্টি। তার মাঝে সবচেয়ে নিম্নতম হলো?আপন মায়ের সঙ্গে ব্যভিচার করার সমতুল্য।? (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ১৫৩৪৫)

    ?সুদ থেকে অর্জিত এক দিরহাম পরিমাণ অর্থ (প্রায় ৩০০ টাকা) ইসলামের দৃষ্টিতে ৩৬ বার ব্যভিচার করা অপেক্ষা গুরুতর অপরাধ।? (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২১৯৫৭)

    চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ খেতে স্বতন্ত্রভাবে নিষেধের কারণ : সুরা আলে ইমরানের ১৩০ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ?হে মুমিনরা, তোমরা চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ খেয়ো না এবং আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।? এ আয়াতে চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ খেতে স্বতন্ত্রভাবে নিষেধ করার কারণ হলো?কোরআন নাজিল হওয়ার সময় আরবে চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ খাওয়ার প্রথা ছিল। তাই তা দূর করার জন্য স্বতন্ত্রভাবে চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ খেতে নিষেধ করা হয়েছে। তার মানে এ নয় যে চক্রবৃদ্ধিহারে না হলে সুদ খাওয়া হালাল হয়ে যাবে। কারণ অন্যান্য আয়াতে তো যেকোনো রকমের সুদ খাওয়াকে হারাম করা হয়েছে।

    ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত : যেকোনো ইবাদত মহান আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার পূর্বশর্ত হলো হালাল পন্থায় উপার্জিত সম্পদ থেকে আহার করা। ইরশাদ হয়েছে, ?হে রাসুলরা, তোমরা পবিত্র বস্তু থেকে আহার করো এবং সৎকর্ম করো...।? (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ৫১)

    হারাম পন্থায় উপার্জিত সম্পদ থেকে আহার করে ইবাদত করলে তা কবুল হয় না। নবীজি (সা.) বলেছেন, ?বৈধ জীবিকার ইবাদত ছাড়া কোনো ধরনের ইবাদত আল্লাহর নিকট গিয়ে পৌঁছে না।? (বুখারি, হাদিস : ৭৪৩০)

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    {{post.title}}

    {{ post.description }}

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…