এইমাত্র
  • বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস, থাকতে পারে টানা ৩ দিন
  • ধানমন্ডি-গুলশানে কৃষক লীগের দরকার কী, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের
  • পিতাকে সব দান করে নির্বাচনে অংশ নিচেছন যুবলীগ নেত্রী!
  • ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি
  • সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
  • টেকনাফে কোস্টগার্ডের কাছে মিয়ানমার ১৩ বিজিপির আত্মসমর্পণ
  • টানা ৪ দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
  • দেশের কৃষক বাঁচার জন্য যা প্রয়োজন সেটাই করবে সরকার: কৃষি মন্ত্রী
  • রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন
  • প্রথম পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাশ মারা গেছেন
  • আজ শনিবার, ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২০ এপ্রিল, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    মিরপুরে তুরাগতীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ 

    রাজু আহমেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:৪৭ পিএম
    রাজু আহমেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:৪৭ পিএম

    মিরপুরে তুরাগতীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ 

    রাজু আহমেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:৪৭ পিএম

    রাজধানীর মিরপুরে তুরাগতীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণকাজ ও পাইলিংয়ে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট এস.এস. রহমান নামক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী রক্ষায় সীমানা পিলার ও ওয়াকয়ে নির্মাণ প্রকল্পে সরকার ১১৮১ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও দুর্নীতির থাবায় সেই অর্থের বেশিরভাগই ঢুকছে চিহ্নিত প্রভাবশালী মহল ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত পকেটে।

    বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে মিরপুরের দিয়াবাড়ী খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, পাথরের পরিবর্তে পূর্বে ব্যবহৃত ভাঙা ঢালাই ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে চলছে ওয়াকয়ে নির্মাণ ও পাইলিং এর কাজ। শুধু তাই নয়, নির্মাণকাজে বরাদ্দকৃত রড এর ব্যবহারেও বেশ বড় মাপের গরমিল করছে সংশ্লিষ্ট এসএস রহমান নামের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি।

    এদিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হবে কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী।

    সূত্র বলছে, ঢাকার চারপাশের চার নদী রক্ষায় সীমানা পিলার ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়ে ২০১৮ সালে ১১৮১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। এরই মধ্যে পিলার স্থাপনের কাজ শেষ হওয়ার পাশাপাশি দৃশ্যমাণ হয়ে উঠেছে নদীতীর রক্ষার প্রকল্প। মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার স্থায়ী পিলার, সাড়ে ৩ কিলোমিটার আধুনিক ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ নদীতীর রক্ষার অসংখ্য স্থাপনা। চলমান রয়েছে বাদবাকি ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ।

    অপরদিকে, গাবতলীর বড়বাজার থেকে দিয়াবাড়ী খেয়াঘাট হয়ে দুই কিলোমিটার চলমান ওয়াকওয়ে নির্মাণকাজে পাথরের পরিবর্তে পূর্বে ব্যবহৃত ভাঙা ঢালাই ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করছে এস.এস.রহমান নামে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি।

    এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাইটে কর্মরত একজন নির্মাণ শ্রমিক বলেন, এ বিষয়ে আমরা কোনোকিছুই বলতে পারবো না৷ আমরা হুকুমের গোলাম। উপরের স্যাররা আমাদেরকে যে মাল সামানা এনে দিয়ে যেভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন; আমরা সেভাবেই কাজ করি। এ কাজে পাথরের পরিবর্তে ভাঙা ঢালাই কিংবা কাজের প্রয়োজনে নির্ধারিত পরিমাণ রডের অর্ধেক ব্যবহার করলেও আমাদের কিছুই করার নেই। কাজে কি পরিমাণে কি কি নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হবে সে দায়িত্ব আমাদের নয়। আমরা যে পরিমাণে যে মাল পাচ্ছি তা দিয়েই কাজ চালাচ্ছি।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক নির্মাণ শ্রমিক বলেন, এখানে পাইলিংয়ের কাজে পাথর ব্যবহার করার কথা থাকলেও এক্ষেত্রে পূর্বে ব্যবহৃত ভাঙা ঢালাই ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া কাজের প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক রড ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কাজে বড় ধরণের দুর্নীতি ও অপরাধ করা হচ্ছে জেনেও আমাদের কিছুই করার থাকছে না। এর বাইরে আর কিছু বললে কর্তৃপক্ষ হয়তো আমাকে কাজ থেকেই বের করে দেবে। পরে বউ বাচ্চা নিয়ে আমাকে হয়তো না খেয়ে থাকতে হবে।

    এ বিষয়ে মুঠোফোনে এস এস রহমান নামক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি প্রকল্পের কাজে পাথরের পরিবর্তে ভাঙা ঢালাই ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এখানে যে ভাঙা ঢালাই ব্যবহার করা হচ্ছে তা এই প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অন্য প্লাস্টার ভেঙে বের করা হয়েছে। সেগুলো আগে থেকেই সাইটে ছিল। তাই সেগুলো ফেলে না দিয়ে দিয়াবাড়ি ওয়াকয়ে নির্মাণ ও পাইলিংয়ের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

    এই কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা প্রকল্পটির পরিচালক ও বিআইডব্লিউটিএ'র ড্রেজিং বিভাগের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু জাফর মোহাম্মাদ শাহনেওয়াজ বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সর্বশেষ তিনি বলেন, এই কাজে পাইলিংয়ের পুরোপুরি কাজেই পাথর দিয়েই ঢালাই করার কথা রয়েছে। তবে সেখানে পাথরের পরিবর্তে ভাঙা ঢালাই, নিম্নমাণের নির্মাণ সামগ্রী কিংবা প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক রড ব্যবহারের বিষয়টি আমার জানা নেই।

    এআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…