রংপুরের কাউনিয়ায় ভাতিজার ছুরিকাঘাতে ময়নাল হক নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকেলে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ময়নাল হক উপজেলার হারাগাছ পৌরসভার সারাই বাবুখা গ্ৰামের মৃত আব্দুর রহমান টাংরু শেখের ছেলে।
এর আগে ৯ মার্চ বকেয়া টাকা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভাই ও ভাতিজার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন ময়নাল হক। এ ঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) কমল মোহন্ত জানান, হারাগাছ পৌরসভার বাবুখা গ্ৰামে একই এলাকায় বসবাস করেন ময়নাল হক ও তার ছোট ভাই ইউনুছ আলী। দুই ভাইয়ের সারাই বাজারে মাংস বেচা বিক্রির দোকান রয়েছে। ছোট ভাই ইউনুছ আলী গরু জবাই করে পাইকারি মাংস বিক্রি করেন। আর তার কাছ থেকে পাইকারি মাংস নিয়ে ময়নাল দোকানে বিক্রি করে আসছিলেন। ব্যবসা চলাকালে ইউনুছ তার বড় ভাই ময়নালের কাছে কিছু টাকা পাওনা থাকেন।
বৃহস্পতিবার সকালে বকেয়া টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে ময়নাল বাড়িতে চলে যান। এর জের ধরে ওইদিন দুপুরে ছোট ভাই ইউনুছ আলী ও তার দুই ছেলে ইয়াসিন মিয়া। পারভেজ মিয়া একত্রিত হয়ে বাড়িতে ময়নালের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে ইউনুছের ছেলে ইয়াসিন ধারালো ছুরি দিয়ে ময়নালের মাথায় আঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় ময়নালকে প্রথমে হারাগাছ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (আইসিইউতে) নেওয়ার প্রয়োজন হয়। তবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে বেড ফাঁকা না থাকায় ওইদিন রাতে প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
কমল মোহন্ত আরও জানান, এ ঘটনায় গত ১১ মার্চ ইউনুছের ছেলে পারভেজকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পিএম