চড়া দামের কারণে বটে, তার চেয়ে বড় যে কারণে মাংস খেতে পারছে না দরিদ্র মানুষ, তা হলো আধা কেজির কমে মাংস বিক্রি হয় না বাজারে। দুই সদস্যের পরিবারে এক বেলার জন্য দেড় থেকে দু’শ গ্রাম মাংস যথেষ্ট হলেও এই পরিমাণ মাংস কেনাবেচার প্রচলন নেই বাংলাদেশে।
তবে এই রোজার মাসে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী মাংস বিক্রির ঘোষনা দিয়েছেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের মাংস ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান আনিছ।
সাধ আছে, কিন্তু সাধ্য না থাকায় গরুর মাংস কিনতে পারছেন না কুড়িগ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষ। সর্বনিম্ন আধা কেজি মাংসের দাম ৩৫০ টাকা। এই পরিমাণ মাংস কিনলে একদিনের রোজগারের প্রায় পুরোটাই চলে যায়। তাই বেশিরভাগ মানুষ মাংসের দোকানের ধারের কাছেও ভিড়ছেন না।
তবে পরিবারের সদস্যদের আবদার যারা ফেলতে পারছেন না, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো গরুর মাথা, কলিজা, ফুসফুস, ভুরি কিনে ফিরছেন। কুড়িগ্রামের বাজারে গরুর মাংসের কেজি সাতশ’ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আনিছুর রহমান ‘সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, রমজান উপলক্ষে আমি এ উদ্যোগ নিয়েছি। সবাই দোয়া করবেন যেনো আমি আমার ওয়াদা রাখতে পারি।
স্থানীয় ভিতরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শফিউল আলম শফি আনিছের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলছেন, ‘এক সময় এক পোয়া-আধ পোয়া মাংস বিক্রি হতো। কিন্তু এখন তা হয়না। সর্বনিন্ম আধাকজি করে বিক্রি হয়। আনিছের এর উদ্যোগের কারণে অন্তত আমার ইউনিয়ন ও পাশের ৪ ইউনিয়নের মানুষ সাধ্যমত গোসতো কিনে খেতে পারবে।
এফএস