এইমাত্র
  • সাজেকে ডাম্প ট্রাক উল্টে ৬ শ্রমিক নিহত
  • এমপিরা কোনো প্রার্থীর প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না: ইসি আলমগীর
  • মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি
  • পিরোজপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় কলেজছাত্রের মৃত্যু
  • তীব্র তাপদাহে ট্রাফিক পুলিশের মাঝে শরবত বিতরণ
  • বৃষ্টির জন্য নামাজ, দুই হাত তুলে চোখের পানি ঝরালেন মুসল্লিরা
  • ফের কমলো স্বর্ণের দাম
  • রাজবাড়ীতে হিট স্ট্রোকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের মৃত্যু
  • নেত্রকোনায় নাশকতার মামলায় বিএনপির দুই নেতা গ্রেপ্তার
  • নেত্রকোনায় গাছ থেকে ঝুলন্ত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
  • আজ বুধবার, ১১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
    বিনোদন

    ধর্ষণকারী হিসেবে অস্ট্রেলিয়া পুলিশের নথিতে শাকিব খানের নাম

    বিনোদন প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৩, ০২:১৫ পিএম
    বিনোদন প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৩, ০২:১৫ পিএম

    ধর্ষণকারী হিসেবে অস্ট্রেলিয়া পুলিশের নথিতে শাকিব খানের নাম

    বিনোদন প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৩, ০২:১৫ পিএম

    অস্ট্রেলিয়ায় বর্বর ধর্ষণকারী হিসেবে পুলিশের নথিতে উঠে এসেছে ঢাকাই সিনেমার সমালোচিত নায়ক শাকিব খানের নাম।

    অস্ট্রেলিয়ার পুলিশের একটি রিপোর্টের কপি ইতোমধ্যেই হাতে এসেছে।

    যে রিপোর্টে দেখা গেছে, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত শাকিব খান ওরফে রানা। ক্যারিয়ারের প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া গিয়েই এমন ধর্ষণকানণ্ড ঘটিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার এই নায়ক। শাকিব খানের বিষয়ে পুলিশ রিপোর্টে এমন তথ্যই মিলেছে।


    অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের সেন্ট জর্জ পুলিশ স্টেশনে ধর্ষণের অভিযোগে শাকিব খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী অ্যানি সাবরিন নিজেই। মামলার স্বাক্ষী হয়েছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার নাম ম্যাথিউ জন ক্রুকসন।

    পুলিশ রিপোর্টে জানা যায়, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাতে নভোটেল দ্য গ্র্যান্ড প্যারেড অ্যাপার্টমেন্ট ৭২১ ব্রাইটন লা স্যান্ডস হোটেল কক্ষে রাত ২টা থেকে ৪পর্যন্ত সময়ে অ্যানিকে ধর্ষণ করেন শাকিব খান।


    অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ ইনভেস্টিগেশন করে মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ধর্ষণকারি শাকিব খান মধ্যপ অবস্থায় মাতাল হয়ে অ্যানি সাবরিনকে যোনি ও পায়ুপথে নির্মমভাবে যৌনচার চালিয়েছেন।

    পুলিশ অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, শাকিব খান রানা একজন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেতা। ভুক্তভোগী অ্যানি সাবরিন তার আঙ্কেল রহমত উল্লাহ’র ফিল্ম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে প্রডিউসার হিসেবে কাজ করেন। সাবরিন ও উল্লাহ বাংলাদেশি সিনেমার কাজ শুরু করেছে। যার শুটিং অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশে হবে।

    অস্ট্রেলিয়ায় শাকিব খানের সঙ্গে অ্যানি সাবরিনের প্রথম দেখা হয় ৩১আগস্ট ২০১৬। এরপর থেকে নিয়মিত ট্রান্সপোর্ট, হোটেল, খাওয়া-দাওয়া ও যাবতীয় বিষয়াদি দেখাশোনা করেন।


    এদিকে 'অপারেশন অগ্নিপথ' সিনেমার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহ বাংলাদেশে এসে নায়ক শাকিব খানের নামে মিথ্যা আশ্বাস ও ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন। বুধবার (১৫ মার্চ) বিকালে সশরীরে এফডিসিতে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী, প্রযোজক ও পরিচালক সমিতি বরাবর এমন লিখিত অভিযোগ করেন রহমত উল্লাহ নিজেই।

    সেই অভিযোগে তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়ায় শুটিংয়ে গিয়ে সহ-প্রযোজক অ্যানি সাবরিনকে ধর্ষণ করেন শাকিব খান। শুধু তাই নয়, এই অভিযোগে অস্ট্রেলিয়াতে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন এ নায়ক। এ সংবাদটি প্রথম প্রকাশ করে একটি গণমাধ্যম। এরপর থেকেই নড়েচড়ে বসে স্বয়ং শাকিবসহ ঢাকাই সিনেমাসংশ্লিষ্টরা।

    অভিযোগের পর বিষয়টি মীমাংসার জন্য গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় প্রযোজকের সঙ্গে বৈঠক করেন শাকিব খান। সেসময় উপস্থিত ছিলেন শাকিব খানের সাবেক স্ত্রী চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরুসহ আরও অনেকে। এক ঘন্টা চলা এই বৈঠকে কোনো সমাঝোতা করতে না পেরে অবশেষে মুখ খোলেন শাকিব খান।

    যেখানে শাকিব খান সব অভিযোগ অস্বীকার করে রহমত উল্লাহকে 'অপারেশন অগ্নিপথ' সিনেমার প্রযোজক নয় বলে দাবি করেন গণমাধ্যমে। এই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করতে যান তিনি। পুলিশ মামলা না নিয়ে শাকিব খানকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।

    একই অভিযোগে রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে যান শাকিব। সেখানে ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন বলে জানা যায়।


    অপারেশন অগ্নিপথ সিনেমার প্রকাশিত টিজারে দেখা যায় আশিকুর রহমান পরিচালিত এই সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ভারটেক্স প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। সিনেমাটির কো-প্রডিউসার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিনেফেক্টস। যার কর্ণধার শাকিব খানের বিরুদ্ধে সদ্য অভিযোগ তোলা রহমত উল্লাহ নিজেই। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হওয়া এই সিনেমার ৪০ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এরপর সিনেমাটির শুটিং করতে পারেনি নানা জটিলতায়।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…