এইমাত্র
  • হিজড়ারা নিশ্চিন্তে নামাজ পড়তে পারেন যে মসজিদে
  • ভারতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩০০ ফুট গভীর খাদে ট্যাক্সি, নিহত ১০
  • জমিদারি মসজিদে ২৪০ বছর ধরে চলে নামাজ
  • মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমছে, বাড়ছে মাদরাসায়
  • জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ: প্রতিমন্ত্রী
  • কপালে ব্যান্ডেজ নিয়ে ইফতার পার্টিতে মমতা
  • কুড়িগ্রামের খাবার খেয়ে খুশি ভুটানের রাজা
  • বিশ্ববাজারে সোনার দামে রেকর্ড
  • নিরস্ত্র ২ ফিলিস্তিনিকে হত্যার পর বালিচাপা দিল ইসরায়েলি সেনারা
  • ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার!
  • আজ শুক্রবার, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ | ২৯ মার্চ, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    সাভার থেকে এক জেএমবি গ্রেপ্তার

    সাদ্দাম হোসেন, সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৩, ০১:৪৮ পিএম
    সাদ্দাম হোসেন, সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৩, ০১:৪৮ পিএম

    সাভার থেকে এক জেএমবি গ্রেপ্তার

    সাদ্দাম হোসেন, সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৩, ০১:৪৮ পিএম

    সাভারের আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে সংগঠন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি জামায়াতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) মো. আনারুল ইসলাম (৩০) নামের এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।

    শনিবার (২৭ মে) দুপুর ২টার দিকে বাংলাদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আশুলিয়ার জিরাবো ম্যাগপাই বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    গ্রেপ্তারকৃত, মো. আনারুল ইসলাম নীলফামারী জেলার সদর থানার সুটিপাড়া ফুলতলা গ্রামের মো. মফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি ঢাকার আশুলিয়ার বিভিন্ন কারখানায় ওয়েলডিং মিস্ত্রি হিসেবে চাকরি করতেন। এর আড়ালে গত দেড় বছর নাম পরিচয় গোপন করে জেএমবির সাংগঠনিক কাজ করে আসছেন। তিনি মূলত ২০১৫ সাল থেকে অর্থাৎ দীর্ঘ আট বছর ধরে নিষিদ্ধ জেএমবির সদস্য হয়ে বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য সাংগঠনিকভাবে সক্রিয় আছেন।

    জিজ্ঞাসাবাদে আনারুল জানান, তিনি প্রথমে হানাফি মাযহাবের তরিকায় নামাজ পড়তেন পরবর্তীতে মাযহাব পরিবর্তন করে আহলে হাদিসের তরিকায় নামাজ পড়া শুরু করেন। তখন নীলফামারী ইপিজেড এলাকায় চাকরি করার সময় জেএমবি সদস্য আহিদুলের সাথে তার পরিচয় হয়। আর পরবর্তীতে তার মাধ্যমে তিনি জেএমবিতে দীক্ষিত হয়।

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, গ্রেপ্তারকৃত আনারুল ইসলাম জেএমবির সক্রিয় সদস্য হয়ে সংগঠনকে সমর্থন, চাদাঁ প্রদান, পরিকল্পনা, প্ররোচনায় সহায়তা দিয়ে আসছিলেন। তিনি জেএমবির সদস্যপদ গ্রহণ করে তার সহযোগীদের সাথে পরস্পর যোগসাজোসে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধন ও ধর্মীয় উগ্রবাদ মতাদর্শ প্রচার করে নাশকতামূলক কার্যক্রমে উস্কানি দিয়ে আসছেন। তার বিরুদ্ধে নীলফামারী সদর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩)-এর ৮/৯(৩)/১২/১৩ একটি মামালা হয়। ওই মামলায় তিনি চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি।

    তিনি আরও জানান, ২০২১ এবং ২০২২ সালে নীলফামারী সদর থানার ইপিজেড এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে তার সহযোগী জেএমবি সদস্য আহিদুল, নুর আমীন, ওয়াহিদ, আপেলসহ বেশ কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার হন। তখন জেএমবি সদস্য হিসেবে আনারুলের নাম প্রকাশ পেলে তিনি সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। তারপর থেকে তিনি ঢাকার আশুলিয়া থানার বিভিন্ন এলাকায় পলাতক থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।

    তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩)- এর ৮/৯(৩)/১০/১২/১৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    এআই

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…