পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় এটি একটি বড় সমস্যা। পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার প্রধান কারণ হলো সাঁতার না শেখা। উপকূলীয় জেলা বরগুনায় পানিতে ডুবে গত ৬ বছরে (২০১৮ জানুয়ারি-২০২৩ মে) ১১৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে জেলায় বর্তমানে সময়ে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইউনিসেফ জানিয়েছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ হাজারের বেশি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। ব্যাপকভাবে স্বীকৃত না হলেও, দেশে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ পানিতে ডুবে যাওয়া, যা এটিকে একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যায় পরিণত করেছে।
এক জরিপে দেখা যায়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার মতো একটি চোখে পড়ে না। সে কারণে আলোচনাতেও আসে না।
জেলা সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যানে তথ্য অনুসারে, বরগুনায় ২০১৮ সালে ২৫, ২০১৯ সালে ৩৪, ২০২০ সালে ২৮, ২০২১ সালে ১৬, ২০২২ সালে ১০ ও ২০২৩ সালের চলতি মে মাস পর্যন্ত ৩ জনসহ মোট ১১৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বরিশাল বিভাগের মধ্যে পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি বরগুনায়।
বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, শহরের চেয়ে গ্রামে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার অনেক বেশি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে অভিভাবকদের সচেতনতার অভাব। এছাড়া বরগুনায় অধিকাংশ পরিবারের বাড়ির উঠানের পাশে বড় বড় পুকুরসহ খাল-বিল থাকায় পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু থামছে না।
জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, পানিতে ডুবে মৃত্যু হওয়ার প্রধান কারণ হলো সাঁতার না শেখা। সব সময় খেয়াল রাখতে হবে শিশু যেন একা একা কোনো জলাধারের কাছে না যায়। বাড়ির পাশের অপ্রয়োজনীয় ডোবা বা গর্তগুলো ভরাট করা ও বাড়ির পুকুরের চারপাশে বেড়া দেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া শিশুকে একা পানিতে নামতে দেওয়া যাবে না।
এআই