বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পেটের পীড়ায় আক্রান্ত রায়হান হোসেন (১৫) নামের এক শিশুকে মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘটনাটি জানাজানি হয়। শিশু রায়হান উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের উত্তর ছোপখালী গ্রামের রাসেল হাওলাদারের ছেলে।
রায়হানের মামা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পেটের পীড়া নিয়ে আমার বোনের ছেলে রায়হান গত রবিবার থেকে বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে।
চেকআপের পর চিকিৎসক জানান, রোগীর লিভারে ইনফেকশন হয়েছে। এ জন্য তারা গত সোমবার রোগীকে তিনটি ইনজেকশন দেয়। কিন্তু তারপরও রায়হানের ব্যথা কমছিল না। পরে মঙ্গলবার তাকে আরও দুটি ইনজেকশন দেওয়া হয়।
আমি ওই দিন সন্ধ্যায় হাসপাতালে এলে আমার বোন জানায়, রায়হানের শরীরে জ্বালাপোড়া করছে। তখন আমি ইনজেকশনের বোতল চেক করে দেখি ইনজেকশনের মেয়াদ নেই। পাঁচ মাস আগেই এগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। তখন বিষয়টি নার্সদের জানাই।
কর্তব্যরত নার্স মানসুরা ইয়াসমিন বলেন, হাসপাতালে অনেক রোগী ভর্তি থাকায় তাড়াহুড়ো করে ভুলে ইনজেকশনটি দেওয়া হয়েছে। আমাদের স্টোর ইনচার্জ ইনজেকশনটি স্টোর থেকে এনে মহিলা ওয়ার্ডের পাশে রেখেছিলেন। আমি ওখান থেকে নিয়ে পুশ করেছি।
তবে স্টোর ইনচার্জ মোসা. সালমা বলেন, আমি দুপুরে ডিউটি শেষে বাসায় চলে যাই। ইনজেকশনটি নার্স মানসুরা পুশ করেছেন। তবে ইনজেকশনটি পুরোটা দেওয়া হয়নি। আমার স্টোরে মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো ওষুধ নেই। তিনি ইনজেকশনটি কোথায় পেয়েছেন আমি জানি না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফাহমিদা লস্কর বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ কীভাবে এল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে যার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিলবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এআই