যশোরে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় জিফোরএস সিকিউরিটি সল্যুশন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ দুই জনের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনসারুল হক।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, জিফোরএস সিকিউরিটি সল্যুশন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তা খুলনা হরিণটানার পিপড়ামারী জয়বাংলা মোড় এলকারা কাজী শামসুল আলমের ছেলে খুলনা সদরের ব্যাংক স্টাফ কোয়ার্টারের তামজিদ হাসান, টুটপাড়া জাফর সড়কের প্রদীপ কুমারের ছেলে চন্দন সরকার, ডুমুরিয়ার কুলটি গ্রামের মৃত সুশীল বিশ্বাসের ছেলে সুধাময় বিশ্বাস, খালিশপুর পোর্ট রোডের লিয়াকত আলী মন্ডলের ছেলে রাশেদুল ইসলাম, ফুলতলার জামিরাহাট গ্রামের হারুন বিশ্বাসের ছেলে শফিকুল বিশ্বাস, যশোর শহরের বেজপাড়া মসজিদবাড়ি রোডের ওবাইদুর রহমানের ছেলে শাহেদুর রহমান, বেজপাড়া মেইন রোডের মোকসুদার রহমানের ছেলে সোয়েবুর রহমান, সদরের মাহিদিয়া গ্রামের আকবার আলীর ছেলে কবিরুজ্জামান, বাগেরহাট ফকিরহাটের শুভদিয়া গ্রামের জোহর আলী শেখের ছেলে জাকারিয়া শেখ ও পিরোজপুরের ইন্দুরকানির বালিপাড়া গ্রামের আবুল বাশার বাদশার ছেলে জহিরুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ডাচ বাংলা ব্যাংক দেশের সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে থাকে। ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর ও ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল জিফোরএস সিকিউরিটি সল্যুশন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের সাথে তাদের চুক্তি হয় এটিএম বুথে টাকা রাখা এবং নেটওয়ার্কিং সিস্টেম দেখাশুনা করার। চুক্তি অনুযায়ি ডাচ ব্যাংক এর টাকা বিভিন্ন বুথে লোড আনলোড করার দায়িত্ব জিফোরএস সিকিউরিটি লিমিটেডের ওপর দেওয়া হয়। ২০১২ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের ২৭ জুন পর্যন্ত যশোর জোনের রিকনসিলিয়েশন করার পরে ৪৬ লাখ ৫০ হাজার ৮শ’ টাকা কম পাওয়া যায়। এব্যাপারে বাংক ও জিফোরএস’র উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।
পরে অধিকতর অডিটের মাধ্যমে ওই টাকা আত্মসাতের বিষয়টি নিশ্চিত হয় ব্যাংক কতৃপক্ষ। ব্যাংক কতৃপক্ষ আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত চেয়ে জিফোরএস কতৃপক্ষকে তাগাদা দেয়া হয়। আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত না দেয়ায় ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর ডাচ বাংলা ব্যাংক যশোর শাখার ব্যবস্থাপক দিবাকর বিট ১২ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্তকালে সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন ও জিয়াউর রহমনের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে।
পিএম