রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে চুরি হলো ব্যবসায়ীর দেড় কোটি টাকারও বেশি। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছিলেন তিনি। মামলা দায়েরের চার দিনের মাথায় পুলিশ জানতে পারে, ওই টাকা চুরির সঙ্গে জড়িত তার একমাত্র মেয়ে।
ওই ব্যবসায়ীর নাম আবদুল হামিদ। তিনি পেশায় ঠিকাদার। এই ঘটনায় ৮ জুলাই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন ব্যবসায়ীর মেয়ে মিনা হামিদ ও মেয়ের জামাই সাকিবুল হাসান।
আবদুল হামিদ ঈদুল আজহার দুই দিন আগে সপরিবার ভোলায় গ্রামের বাড়িতে যান। ঈদ উদ্যাপন শেষে গত ২০ জুন ঢাকার বাসায় ফেরার ১১ দিনের মাথায় তিনি বাসায় টাকা রাখার সিন্দুক খুলে দেখতে পান, তাঁর ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা নেই। বাসায় সবাইকে টাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু টাকা নেওয়ার কথা কেউ-ই স্বীকার করেননি। পরে হামিদ ৪ জুলাই মেয়ে মিনাকে সঙ্গে নিয়ে মোহাম্মদপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে চুরির মামলা করেন।
এ ঘটনায় মেয়েকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি বার-অ্যাট ল’ পড়ছেন। পরিবারের কাউকে না জানিয়ে গত বছর রাজধানীর তিতুমীর কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর পাস সাকিবুলকে বিয়ে করেন। তাদের বিয়ে পরিবার মানবে না। এ কারণে তিনি বাবার সিন্দুক থেকে টাকা নিয়েছেন। উদ্দেশ্য ছিল, বাসা থেকে কাউকে না বলে সাকিবুলের সঙ্গে সংসার শুরু করবেন।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই ব্যবসায়ীর মেয়ের স্বামীকে গ্রেপ্তার করে এবং তার কাছ থেকে চুরির ৯০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বাসার সব সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ব্যবসায়ী আবদুল হামিদের একমাত্র মেয়ে মিনা হামিদকে সন্দেহ হয়। টানা চার দিন বাসায় গিয়ে পুলিশ নানা কৌশলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে মিনা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুল হক ভূঞা বলেন, ব্যবসায়ী আবদুল হামিদের বাসার দরজা কিংবা সিন্দুকের তালা ভাঙা হয়নি, অথচ সিন্দুক থেকে টাকা চুরি হয়েছে। প্রথমেই আমরা ধরে নিই, বাসার কোনো লোক এই টাকা চুরির সঙ্গে জড়িত। জিজ্ঞাসাবাদে তারা টাকা চুরির কথা স্বীকার করেছেন। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
আরইউ