চট্টগ্রামের মুরাদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষ ও তিন জন নিহত হওয়ার ঘটনায় খুলশী এবং পাঁচলাইশ থানায় পুলিশের ৪টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় সাড়ে ৭ হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে এসব মামলা রুজু করা হয়। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চট্টগ্রামে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ ৩ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন।
মামলা চারটির মধ্যে খুলশী থানায় একটি এবং পাঁচলাইশ থানায় বাকি তিন মামলা করা হয়। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে মুরাদপুর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি প্রায় সাত হাজার। এ তিন মামলার মধ্যে পুলিশ করেছে দুটি। অন্যটি আহত একজনের মা করেছেন। পুলিশের দুই মামলার বাদী পাঁচলাইশ থানার এসআই দীপক দেওয়ান।
তিনি আরও বলেন, তিন জন নিহতের ঘটনায় করা মামলায় ছয় হাজার থেকে সাড়ে ছয় হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইমন ধর নামে আহত এক ব্যক্তির মা সুমি ধর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (পিআর) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় খুলশী থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে। আহত এক ব্যক্তির স্বজন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ মামলায় একজনের নাম উল্লেখ করে ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এসএফ