ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, হাসিনা যুক্তরাজ্যে যাবেন এবং সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় নেবেন।
তবে ঘটনার দুইদিন পার হলেও ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা 'কোথাও আশ্রয়' চাননি বলে জানিয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে জয় জানান, তার মা যেভাবেই হোক অবসর নেওয়ার কথা ভাবছিলেন। এখন তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এবং পরিবারকে সময় দেবেন।
'আশ্রয়ের আনুরোধে' যুক্তরাজ্যের 'নীরবতা' এবং যুক্তরাষ্ট্রে শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল সংক্রান্ত একাধিক প্রতিবেদন বিষয়ে জানতে চাইলে জয় বলেন, 'তার আশ্রয় চাওয়ার এসব প্রতিবেদন ভুয়া। তিনি এখনো কোথাও আশ্রয়ের অনুরোধ করেননি। তাই যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সাড়া না দেওয়ার তথ্য সঠিক নয়।'
এদিকে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি আশ্রয় বা সাময়িক আশ্রয়ের জন্য দেশটিতে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন।
এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র মঙ্গলবার এনডিটিভিকে বলেন, ‘যেসব ব্যক্তির প্রয়োজন তাদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের গর্বিত রেকর্ড রয়েছে। তবে আশ্রয় বা সাময়িক আশ্রয়ের জন্য কাউকে যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়ার কোনো বিধান নেই। যাদের আন্তর্জাতিক সুরক্ষা প্রয়োজন, তাদের প্রথমে নিরাপদ যে দেশে পৌঁছান, সেখানে আশ্রয় প্রার্থনা করা উচিত। এটি সুরক্ষার দ্রুততম পথ।’
পরে এ বিষয়ে শেখ হাসিনার ছেলে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে কথা বলেছে এনডিটিভি। সজীব ওয়াজেদ এনডিটিভিকে বলেছেন, ‘তাঁর (শেখ হাসিনা) আশ্রয় চাওয়ার খবর সঠিক নয়। তিনি কোথাও আশ্রয়ের জন্য অনুরোধ করেননি। তাই যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র এখনো জবাব দিচ্ছে না বলে যে কথাটি বলা হচ্ছে, তা সত্য নয়।’
শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিল হয়েছে কি না, সে বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ ধরনের কোনো আলোচনা হয়নি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবির মুখে গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা। গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতে যায়। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন।
এবি