কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় বন্ধ রাখা হয় ট্রেন চলাচল। টানা ১৪ দিন বন্ধের পর পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বল্প দূরত্বে চলাচল শুরু করে ট্রেন। তবে পরিস্থিতি আবারও কিছুটা অবনতি হলে আবারও বন্ধ করে দেয়া হয় রেল চলাচল। তখন থেকে এখনও বন্ধ রয়েছে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের থেকে সব ধরনের ট্রেন চলাচল। তবে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলেই রাজধানী ঢাকা থেকে সকল ধরনের ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে জানা গেছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এসব তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, স্বল্প দূরত্বের ট্রেনসহ সব ধরনের ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে। আমরা কতৃপক্ষের নির্দেশনা পেলেই ট্রেন চলাচল শুরু করবো।
এর আগে টানা ১৪ দিন বন্ধের পর গত বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) থেকে স্বল্প দূরত্বের রেল চলাচল শুরু হয়। কিন্তু দেশজুড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা দিয়ে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় আন্দোলনকারীরা। তবে এই অসহযোগ আন্দোলনেও শিডিউল মেনে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলাচল করবে বলে জানানো হলেও পরে এই সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করে রেল কতৃপক্ষ। বন্ধ রাখা হয় ট্রেন চলাচল।
তার আগে গত মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রেল মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে ট্রেন চালু করার বিষয়ে এক সিদ্ধান্তের কথা জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার সাহাদাত। ডিজি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে কারফিউ শিথিলের সময় স্বল্প দূরপাল্লার ট্রেন সীমিত আকারে চলবে। এলাকাগুলো হলো—ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-জয়দেবপুর।
তিনি বলেন, এখনই আন্তঃনগর ট্রেন চলবে না। কারফিউয়ের কারণে আন্তঃনগর সময়মতো চলাচল করতে পারবে না। তবে পরিস্থিতি ঠিক হলে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে।