যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় প্রায় ৫০ বছর আগে পাওয়া একটি মরদেহের অবশেষে পরিচয় মিলেছে। ১৯৭৭ সালে একটি গুহার ভেতর মরদেহটি পাওয়া যায়। কিন্তু তিনি কে? কোথা থেকে এসেছেন তার কিছুই জানা যায়নি।
অবশেষে দীর্ঘ ৫০ বছর পর সেই ধাঁধার জট খুলেছে। পেনসিলভেনিয়ার করোনার অফিস জানিয়েছে, ওই মরদেহটি নিকোলাস পল গ্রাব নামের এক ব্যক্তি। মৃত্যুর সময় তার বয়স ২৭ বছর ছিল।
এরপর ১৯৭৭ সালে একদল পর্বতারোহী আপালাচিন পাহাড়ের চূড়া পিনাকেলের একটি গুহায় মরদেহটি পান। তখন তার পরিচয় জানতে শুরু হয় তদন্ত।
কিন্তু প্রাথমিক অবস্থায় কাপড়, শরীরের অবয়ব, অন্যান্য তথ্যসহ কিছু দিয়েই তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
তবে ময়নাতদন্তে দেখা যায় এই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত মাদক সেবনে। পরিচয় জানতে তার দাঁতের এবং হাতের আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। তবে দুর্ভাগ্যবশত আঙুলের ছাপ নেওয়া কার্ডটি হারিয়ে যায়। এরপর তার পরিচয় জানার বিষয়টি একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়ে।
কিন্তু ২০১৯ সালে এই মরদেহের পরিচয় শনাক্তে আবারও উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই বছর তার মরদেহটি উত্তোলন করে এটি থেকে ডিএনএ সেম্পল সংগ্রহ করা হয় এবং সেগুলো ‘জাতীয় অশনাক্ত ব্যক্তি’ সিস্টেমে দেওয়া হয়। কিন্তু তার ডিএনএর সঙ্গে অন্য কারও ডিএনএর মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে ২০২৪ সালের আগস্টে পেনসিলভেনিয়া স্টেট পুলিশের গোয়েন্দা ইয়ান কার্ক হারিয়ে যাওয়া আঙুলের ছাপের সেই কার্ডটি খুঁজে পান। এরপর তিনি এটি দ্রুত ‘জাতীয় অশনাক্ত ব্যক্তি’ সিস্টেমে পাঠান। এরপর মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে জানা যায় আঙুলের এই ছাপটি হলো নিকোলাস পল গ্রাবের।
এবি