বন্যাদুর্গত এলাকায় বসতঘর হারানো ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। পুনর্বাসন পেতে বন্যাদুর্গতদের আবেদন করতে বলেছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
আজ সোমবার তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এ তথ্য জানান। আহমাদুল্লাহ জানিয়েছেন, বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসনের জন্য আবেদনের সময় ১১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
এই সময়ের পর আর কোনো আবেদন গৃহীত হবে না।
যাদের জন্য আবেদন করবেন
১. বাড়িঘর ভেঙে গেছে, এ রকম দরিদ্র ব্যক্তি আবেদন করতে পারবেন।
২. যে দরিদ্র কৃষকের ফসল নষ্ট হয়েছে।
৩. যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন।
এক ব্যক্তি যেকোনো এক ক্যাটাগরিতে সহযোগিতার জন্য বিবেচিত হবেন।
আবেদনের ক্ষেত্রে যা বর্জনীয়
১. আত্মীয়-স্বজনকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
২. ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ করা।
আবেদন করতে এই লিংকে ক্লিক করুন
সম্প্রতি ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুরসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলা বন্যার অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
এই বন্যায় শুরু থেকেই ত্রাণ কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করে আসছে আস-সুন্নাহ-ফাউন্ডেশন।
এর জন্য অনুদান পেয়েছে ১০০ কোটি টাকারও বেশি। বন্যাদুর্গত অঞ্চলে আরো কয়েক মাস আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন থাকবে বলে জানিয়েছেন, সংগঠনটির চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
গত ৩ সেপ্টেম্বর ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১১টি জেলায় বন্যায় এখন পর্যন্ত ৭১ জনের মৃত্যু এবং ৫০ লাখ ২৪ হাজার ২০২ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৪৫, নারী সাত এবং শিশু ১৯ জন।
কুমিল্লায় ১৯, ফেনীতে ২৮, চট্টগ্রামে ছয়, খাগড়াছড়িতে এক, নোয়াখালীতে ১১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক, লক্ষ্মীপুরে এক, কক্সবাজারে তিন এবং মৌলভীবাজারে একজন মারা গেছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের ৬৮টি উপজেলা বন্যাকবলিত, ৫০৪টি ইউনিয়ন-পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে পাঁচ লাখ ৮২ হাজার ১৫৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।
বন্যায় আক্রান্ত জেলাগুলো হলো- ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার।
এমএইচ