এইমাত্র
  • আবরার ফাহাদকে নিয়ে ছোট ভাইয়ের হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাস
  • আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপে হেক্সা চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল
  • ভারতে পালানোর সময় সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ আটক
  • মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব তলব
  • ১২৭ রানে অলআউট বাংলাদেশ
  • ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৪, আক্রান্ত ১২২৫
  • বিরামপুরে বেড়েছে ছিনতাই, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ
  • জালিয়াতির অভিযোগ, নায়িকাকে সমন পাঠালো পুলিশ
  • নানান অনিয়মেই চলছে মানিকগঞ্জ শিশু হাসপাতাল!
  • 'পাপমুক্ত' ছবির নায়ক ও হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা
  • আজ সোমবার, ২২ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৭ অক্টোবর, ২০২৪
    ধর্ম ও জীবন

    রবিউল আউয়াল মাসে করণীয় ও বর্জনীয়

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১৩ পিএম
    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১৩ পিএম

    রবিউল আউয়াল মাসে করণীয় ও বর্জনীয়

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১৩ পিএম
    ছবি: সংগৃহীত

    ইসলামি বর্ষপঞ্জির ৩য় মাস হলো রবিউল আউয়াল। এটি অন্যান্য মাস থেকে বেশি গুরুত্ব বহন করে। কারণ, বিশ্বনবি হজরত মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মাসেই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং এই মাসেই ইন্তেকাল করেন।

    তবে কোরআন কারিম ও হাদিসে এই মাসের জন্য আলাদা কোনো করণীয় বা আমলের বর্ণনা পাওয়া যায় না। তাই নিজেদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আমলের বর্ণনা দেওয়া শরিয়তে বাড়াবাড়ি এবং হারাম কাজ। তবে নবিজির সিরাত আলোচনা করা একটি বড় ইবাদত। এমনকি এটি ঈমানের অংশও বটে।

    নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম, শৈশব, নবি হিসেবে প্রেরণ, দাওয়াত, জিহাদ, ইবাদত, আখলাক-চরিত্র, নীতি-নৈতিকতা, তাকওয়া-তাহারত, দয়া-ভালোবাসা, রাগ-ক্রোধ, হাসি, উঠা-বসা, হাঁটা, ঘুম-জাগরণসহ যাবতীয় চালচলন ইত্যাদি মুসলিম উম্মাহর সামনে উপস্থাপন করা। এগুলো সামনে রেখে আলোচনা সভার অয়োজন করা, অবশ্যই ভালো এবং প্রশংসনীয় কাজ। রবিউল আওয়াল মাসে ইসলাম সমর্থন করে না এমন কাজে মেতে না ওঠে এগুলো করা যেতে পারে।

    এছাড়াও প্রতি চন্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে আইয়ামে বিজের ৩টি রোজা রাখার কথা এসেছে হাদিসে। আর তাই এই রবিউল আউয়াল মাসেও এর প্রতি যত্নশীল হওয়া যেতে পারে।

    হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আ’মর ইবনে আ’স (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি মাসে ৩টি করে সিয়াম পালন, সারা বছর ধরে সিয়াম পালনের সমান’। (বুখারি: ১১৫৯, ১৯৭৫)

    এছাড়া প্রতি সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার অভ্যাস করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ২ দিন বিশেষ রোজা রাখতেন। এ বিষয়ে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘বৃহস্পতি ও সোমবার আল্লাহ তাআলার সামনে বান্দার আমল উপস্থাপন করা হয়, তাই আমি চাই- আমার আমল পেশ করার সময় আমি যেন রোজা অবস্থায় থাকি’। (সুনানে নাসায়ী: ২৩৫৮)

    নবিজির জন্মের ঘটনার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হলো তার জীবনাদর্শের অনুসরণ। জন্মের বিষয়টি একান্তই তার ব্যক্তিগত। কিন্তু তার সিরাত বা জীবনাদর্শ সব যুগের, সব মানুষের জন্য। বিশ্ব মানবতার মুক্তির জন্য। আর নবিপ্রেমের প্রথম শর্ত হলো নবীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা। বাস্তব জীবনে এর প্রতিফলন না ঘটলে নবীপ্রেমের দাবি অর্থহীন।

    পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে, لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا

    অর্থ: ‘যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রাসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে’। (সূরা: আল-আহযাব, আয়াত: ২১)

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…