কুষ্টিয়ায় পদ্মার তীব্র ভাঙ্গনে জাতীয় গ্রিডের ৩২ নম্বর টাওয়ারটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এসময় কুষ্টিয়ার -রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার সময় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সাহেবনগর এলাকায় পদ্মায় বিলীন হয়ে যায় জাতীয় গ্রিডের ৩২ নম্বর বিদ্যুৎতের টাওয়ারটি। এছাড়াও পদ্মার ভাঙ্গনে আরো চারটি টাওয়ার সহ হাজারো বসতবাড়ি ঝুঁকিতে রয়েছে। যার পরিপেক্ষিতে দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত (রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) কুষ্টিয়ার রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করছে এলাকাবাসী।
কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মিরপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম আনন্দ কুমার বলেন, জাতীয় গ্রিডের টাওয়ারটি ভেঙে যাওয়াতে মিরপুর তথা অত্র এলাকায় কোনো সমস্যা হবে না।
ভেড়ামারা জাতীয় গ্রিডের ইনচার্জ নুরজামান বলেন, লাইনটি ভেড়ামারা থেকে রাজবাড়ী গিয়েছিল। নদী ভাঙ্গনের কারণে আগে থেকেই লাইনটি বন্ধ করা ছিল। টাওয়ার ভেঙে যাওয়ার ফলে জাতীয় গ্রিডে তেমন প্রভাব পড়বে না। রাজবাড়ী অঞ্চলে ফরিদপুর অঞ্চল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ও মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া, বারুইপাড়া ও তালবাড়িয়া ইউনিয়ন পদ্মার তীব্র ভাঙ্গনের মুখে পড়ে। যার ফলে তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছে ইউনিয়নগুলোর টিকটিকি পাড়া, সাহেবনগর, মির্জানগর ও তালবাড়িয়া গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। ইতোমধ্যেই পদ্মার তীব্র ভাঙ্গনে কয়েক কিলোমিটার ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। সর্বশেষ ভাঙ্গনে পদ্মার নদীর গতিপথ লোকালয়ে এসে থেকেছে। পদ্মার নদীর গতিপথ থেকে রাজশাহী- কুষ্টিয়া মহাসড়ক প্রায় ৫০ মিটার দূরে রয়েছে। এলাকাবাসী মনে করছে এভাবে ভাঙ্গন চলতে থাকলে উপজেলার চারটি গ্রামসহ জাতীয় মহাসড়ক নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান বলেন, প্রতিদিন পদ্মায জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলে নদী ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা চলছে। তবে স্থায়ী বাধ নির্মাণের জন্য সরকারের ১৪৭২ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে দ্রুত ঠিকাদারদের সঙ্গে বসে দ্রুত কাজ করা হবে।
এইচএ