১৩ লাখ ৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিন জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে।সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির ছাতিয়ানতলার ননীফল ইউনানী ঔষধালয় ও নার্সারী মালিক কবীর হোসেন খন্দকার বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
আসামিরা হলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মালাধরপুর গ্রামের মোতালেব খানের ছেলে সাব্বির খান, শহিদুল ইসলামের ছেলে নেওয়াজ মোহাম্মদ অভি ও সদর উপজেলার খিতিবদিয়া গ্রামের মিজানুর চাকলাদের ছেলে আকাশ চাকলাদার। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে ডিবি পুলিশকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী আমির হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কবীর হোসেন খন্দকার মামলায় উল্লেখ করেছেন, তিনি ননীফল ইউনানী ঔষধালয় ও নার্সারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। অনলাইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের পণ্য সামগ্রী অর্ডার গ্রহণ এবং পাঠাও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে অর্ডার ডেলিভারী দেওয়া হয়। ক্রেতারা অর্ডারকৃত মালামাল বুঝে পেয়ে বিকাশ ০১৭১১ ৩৬১২৬৯ নম্বরে টাকা পরিশোধ করেন। উক্ত বিকাশের টাকা বাদীকে না দিয়ে ১নম্বর আসামি সাব্বির খান নিজের ব্যবহৃত তিনটি নম্বরে (০১৩০৮ ২৮৭৭৬১, ০১৭৮৮ ৫৮৭৪০১, ০১৮৫০ ৯২০০০৫) ৬৩ হাজার টাকা আত্মসাত করে। এছাড়া ২ নম্বর আসামি নেওয়াজ মোহাম্মদ অভি ০১৭৪৮ ৩৩৩৮২০ নম্বরে ৫০,০০০ হাজার টাকা সেন্ড মানি করে গত ১৬আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১,১৩,০০০ হাজার টাকা ও ৩নং আসামি আকাশ চাকলাদার তার প্রতিষ্ঠানের ভিডিও অনলাইনে বুশ করার নামে নেয়া ৪৫,০০০ হাজার টাকা আত্মসাত করেছে।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ১ নম্বর আসামি সাব্বির খান কর্মচারীদের বেতনের ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও সোনালী ব্যাংক চুড়ামনকাটি শাখার হিসাব নম্বরে জমা করার জন্য দেয়া ৮ লাখ টাকা নিয়ে সেপ্টেম্বর লাপাত্তা হন। আসামিরা একে অপরের যোগসাজসে মোট ১৩ লাখ ৮ হাজার টাকা আত্মসাত করেছে বলে বাদীর অভিযোগ।
এবি