এইমাত্র
  • ঘন কুয়াশার কবলে আবারো পড়েছে তেঁতুলিয়া, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
  • নীলফামারীর এক কলেজ থেকেই মেডিকেলে সুযোগ পেল ৫৩ শিক্ষার্থী
  • যাদের দল করা দরকার তারা করুক: কাদের সিদ্দিকী
  • আ.লীগ নেতা গোলাপের যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদও ক্রোকের নির্দেশ
  • ক্যারিবীয়দের কাছে বড় হারে বিশ্বকাপের পথ কঠিন করে ফেললো টাইগ্রেসরা
  • আজ থেকে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম
  • বাইডেন অধ্যায়ের অবসান, ট্রাম্প যুগের শুরু আজ
  • ফেসবুকে নিখোঁজ সংবাদ তদন্তকালে ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার
  • সালমান-আনিসুল-পলকসহ ৮ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
  • সোমবার সুইজারল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • আজ সোমবার, ৭ মাঘ, ১৪৩১ | ২০ জানুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    শার্শার দাউদখালী খালমুখের বাঁধ কাটার দাবিতে বিক্ষোভ, পরিদর্শন করলেন এসিল্যান্ড

    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ পিএম
    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ পিএম

    শার্শার দাউদখালী খালমুখের বাঁধ কাটার দাবিতে বিক্ষোভ, পরিদর্শন করলেন এসিল্যান্ড

    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ পিএম

    যশোরের শার্শা উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের মাখলা ঠেঙামারি ও গোমর বিলে জলাবদ্ধতায় জমে থাকা পানি এক সপ্তাহের মধ্যে নিষ্কাশনের দাবি জানালেন স্থানীয় কৃষকরা।

    মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে দাউদখালী খালমুখে নির্মিত বাঁধ পরিদর্শন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ইয়াসমিন। এসময় কৃষকরা খালের মুখের বাধ কেটে দেয়ার জোর দাবি জানান। এক পর্যায়ে তারা বিক্ষোভ করেন। প্রশাসন বিষয়টি লিখিতভাবে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

    এ সময় শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা, বাগআঁচড়া ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস, শার্শা থানা বিএনপির সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলামসহ বাগআঁচড়া, বসতপুর, কায়বা, ভবানীপুর, দাউদখালী ও রুদ্রপুর গ্রামের পাঁচ শতাধিক কৃষক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত কৃষকরা দ্রুত পানি নিষ্কাশনের দাবি জানান।

    জানা যায়, এ বছর ভারি বর্ষনে ওই এলাকার ছোট বড় ও মাঝারি সব বিল তলিয়ে রয়েছে আষাঢ় মাসের শুরু থেকে। ১৯৭০ সালের পর থেকে ইছামতী নদী তার নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে। আর সেই ৫৪ বছর আগে থেকেই কপাল পুড়েছে এ অঞ্চলের চাষীদের। বিলের পানি আগের মত আর নিষ্কাশিত হতে পারেনা। উপরন্ত ইছামতি নদীর উজানের পানি উপজেলার রুদ্রপুর-দাউদখালী খালদিয়ে মাখলা ও সোনামুখি বিলে প্রবেশ করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। ৬ মাস ধরে বিল তলিয়ে থাকে।

    এর সমাধানের জন্য ৮০ র দশকে রুদ্রপুর-দাউদখালী খালের ওপর তিন ব্যান্ডের সøুইসগেট নির্মান করা হয়। কিন্তু উজানের পানি রোধ করা যায়নি। এরপর ৯০ দশকে ২০ গজ দুরত্বে আরো একটি পাঁচটি ব্যান্ডের সøুইসগেট নির্মান করা হয়। এতে নির্মান কাজে ক্রুটি থাকায় আগের মতই উজানের পানি প্রবেশ করে মাঠ ঘাট তলিয়ে যায়। সর্বশেষ ২০২৩ সালে দাউদখালী খালের প্রবেশ মুখে বাধ দিয়ে মেশিনের সাহায্যে পানি সেচে ঠেঙামারী বিলে ধান রোপনের ব্যাবস্থা করা হয়। এবছর পানির চাপ অনেক বেশি থাকায় ও অনেক ব্যয়বহুল হওয়ায় সেটিও সম্ভব হবে না। ঠেঙামারী বিলে এখনো ৬ থেকে ৮ ফুট পানি রয়েছে। যে কারনে মৌসুমে ধান চাষ করা যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

    মাখলা বিলে ৪০০ একর, ঠেঙামারী বিলে ৫০০ একর ও গোমর বিলে ২০০ একর জমিতে ইরিধানের চাষ করা হয়। বিলে জলাবদ্ধতার কারনে চলতি মৌসুমে মাখলা বিলে ২০০ একর, ঠেঙামারী বিলে ২৫০ একর ও গোমর বিলে ১০০ একর জমি পতিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে বীজতলা তৈরির জন্য চাষিরা দ্রুত পানি নিস্কাসনের দাবি জানিয়েছেন। অনেকে মটরের সাহায্যে পানি সেচের দাবি করছেন আবার অনেকে বাঁধ কেটে পানি নিস্কাসনের দাবি তুলেছেন।

    উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ইয়াসমিন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিলে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার লোকজনকে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানানো কথা বলা হয়েছে। লিখিত পেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…