এইমাত্র
  • ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস নিয়ে বায়ুদূষণে ঢাকা শীর্ষ ৫ নম্বরে, আইকিউএয়ারের যে পরামর্শ
  • কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে ভারতীয় গৃহবধূ প্রেমিক নিয়ে পালিয়ে এসে বিজিবির হাতে আটক
  • যশোরে ২৪ মামলার আসামি ভাইপো রাকিবকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা
  • দীর্ঘ ৭ বছর পর বাংলাদেশি স্বামী-স্ত্রীকে ফেরত দিল ভারত
  • নিয়ন্ত্রণে মিরপুরের বাটার শো-রুমের আগুন
  • বদলে যাবে ভারতের তিন রাজ্য
  • মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা খুলনার সুশোভন বাছাড়
  • নবীজির ঘর মোবারক দাবির বিষয়ে যা জানা গেল
  • বিয়ের ওপর কর বাতিলের দাবি
  • মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • আজ সোমবার, ৭ মাঘ, ১৪৩১ | ২০ জানুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ধর্ষণের অভিযোগে স্বামী ও পর্নগ্রাফী মামলায় স্ত্রী কারাগারে

    ইমন মাহমুদ লিটন, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ পিএম
    ইমন মাহমুদ লিটন, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ পিএম

    ধর্ষণের অভিযোগে স্বামী ও পর্নগ্রাফী মামলায় স্ত্রী কারাগারে

    ইমন মাহমুদ লিটন, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ পিএম

    কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ধর্ষণের অভিযোগে স্বামীকে ও পর্নগ্রাফী মামলায় স্ত্রীকে আটক করেছে ভৈরব থানা পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় তাদের আদালতের মাধ্যমে কারগারে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতরা হলেন উপজেলার শিমুলকান্দি মোল্লা বাড়ি কলেজ গেইট এলাকার আতর মিয়া ওরফে আফতাব উদ্দিনের ছেলে দুবাই প্রবাসী হুমায়ুন মিয়া (৪১) ও হুমায়ুনের সহধর্মিণী মৌসুমি আক্তার (৩০)।

    এতথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত ওসির দায়িত্বে থাকা তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন।অভিযোগকারী ধর্ষিতার মা নীলা আক্তার। তিনি পৌর শহরের কমলপুর পঞ্চবটি এলাকার শওকত আলীর স্ত্রী। ধর্ষিতা কিশোরী মণি বেগম (১৯) (ছদ্মনাম)।

    থানা পুলিশ ও মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ৬ মাস আগে দুবাই প্রবাসী হুমায়ুনের সঙ্গে কিশোরী (ছদ্মনাম) মণি বেগমের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ৩ মাস আগে হুমায়ুন দেশে আসেন। দেশে আসার পর মণি বেগম বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে সে বিভিন্ন তাল বাহানা শুরু করে৷ ৩ অক্টোবর কৌশলে মণি বেগমকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে পৌরসভার সামনে দেখা করতে বলে। পরে পৌরসভার সামনে সুলাইমান মিয়ার বিল্ডিং-এর (মোস্তফা মেডিকেল হলের উপরে) ২য় -তলায় বাসায় নিয়ে যায়। বাসায় তালা বন্দী করে মণি বেগমকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে হুমায়ুন।

    ধর্ষণের কথা জানাজানি হলে মণিকে প্রাণে হত্যা করার হুমকি দেন হুমায়ুন। ঘটনার পর বিয়ের আলাপ-আলোচনার প্রসঙ্গে মণি বেগম ও তার পরিবার জানতে পারে প্রবাসী হুমায়ুন বিবাহিত। এদিকে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ধারণ করে হুমায়ুন। ৫ অক্টোবর আবারো মণিকে একাধিক ফোন করে দেখা করতে বলে হুমায়ুন। দেখা না করায় সংরক্ষিত স্পর্শকাতর ভিডিও মণির কাছে পাঠায় ও ব্ল‍্যাকমেইল করতে থাকে হুমায়ুন।

    এদিকে ভিডিও পেয়ে সেই ভিডিও হুমায়ুনের স্ত্রী মৌসুমী বেগম তার স্বজন ও কিশোরী মণির স্বজনদের কাছে ছড়িয়ে দেয়। এ বিষয়গুলো মণির পরিবার জানতে পেরে ১১ ডিসেম্বর ভৈরব থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বামী-স্ত্রীকে আটক করে থানা পুলিশ।

    এ বিষয়ে মৌসুমির ভাই মানিক বলেন, পরক্রিয়া সম্পর্ক করেছে হুমায়ুন। আমার বোনকে ৬ মাস যাবত অনেক কষ্ট দিয়ে হুমায়ুন। সে দীর্ঘদিন সংসারের কোন খোঁজ খবর রাখেনি। পঞ্চবটীর এক মেয়ের সাথে পরিক্রিয়া করে সব টাকা পয়সা ওই মেয়েকে দিয়ে দিতো। আমার বোনকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়েছে ওই পরিবার। আমার বোনের তিনটা শিশু সন্তান রয়েছে। পুলিশ আমার বোনকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে। আমরাও চাই অন্যায়কারীর সাজা হোক। আমার বোনের কোন অপরাধ নেই।

    এ বিষয়ে ধর্ষিতা কিশোরীর চাচা সজীব মিয়া বলেন, আমরা বিচার পেতেই আইনের আশ্রয় নিয়েছি। প্রেমের সম্পর্কে ফাঁসিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মণিকে ধর্ষণ করেছে। এমনকি ভিডিও করে রেখে ব্লেকমেইল করতো হুমায়ুন। তার স্ত্রী মৌসুমিও জড়িত ছিল। আমরা স্বামী-স্ত্রী দুইজনেরই বিচার চাই।

    এ বিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত ওসির দায়িত্বে থাকা তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, অভিযোগকারী মা ও ধর্ষণের শিকার মেয়ে ১১ ডিসেম্বর থানা এসে মামলা করেন। কিশোরী মেয়ে বিচার পেতে থানায় এসে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। কিশোরীকে পরিক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

    ভৈরব র‍্যাব ক্যাম্পের সহায়তায় শিমুলকান্দি থেকে প্রবাসী হুমায়ুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার স্ত্রী মৌসুমি থানা আসে স্বামীর সাথে দেখা করতে। পর্ণগ্রাফী মামলা থাকায় তাকেও আটক করা হয়েছে। আজ দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…