এইমাত্র
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেন মঈন-ফখরুদ্দিনের মতো না হয়
  • আমাদের ভদ্রতাকে দুর্বলতা ভাববেন না: জামায়াত আমির
  • তিস্তা ইস্যুতে প্রয়োজনে সমাধানের পথ নিজেরাই খুঁজবো: তারেক রহমান
  • চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি অবাঞ্চিত ঘোষণা
  • ইডেনে সার্টিফিকেট নিতে এসে আটক হলেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেত্রী
  • বান্দরবানে বাস চাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, প্রতিবাদে বাসে আগুন
  • প্রাথমিকের ৬৫৩১ জনের ফল বাতিলের আপিল শুনানি ২ মার্চ
  • নোয়াখালীতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত
  • খুলনায় আগুনে পুড়ল ৬ দোকান
  • প্রয়োজনে র‍্যাব নতুন করে গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • আজ বুধবার, ৬ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    খালি হাতে মৎস্যঘাটে ফিরেন জেলেরা

    মো. সাইফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ভোলা প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩০ পিএম
    মো. সাইফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ভোলা প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩০ পিএম

    খালি হাতে মৎস্যঘাটে ফিরেন জেলেরা

    মো. সাইফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ভোলা প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩০ পিএম

    তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে ইলিশ শিকারে যাচ্ছেন জেলেরা। জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করে দিনে-রাতে দুইবার নদীতে জাল ফেলেন তারা। কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে খালি হাতে মৎস্যঘাটে ফিরে আসেন। শনিবার সকালে এমন তথ্য জানিয়েছেন চরফ্যাসন উপজেলার সামরাজ মৎস্যঘাটের আড়তদার হেলাল উদ্দিন টিপু।

    সাগরে মাছ ধরা এক ট্রলারের জেলে নুরনবী বলেন, '২১ জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে ১০ দিন পর সাগর থেকে আইছি। যে পরিমান মাছ পাইছি, তাতে বাজার খরচও তুলতে পারিনাই। সাগরে আগের মতো মাছ নাই।'

    একই মৎস্যঘাটে নোঙর করা আরেক ট্রলারের মাঝি রফিক বলেন, '২ লাখ ৭০ হাজার টাকার বাজার সদাই নিয়া সাগরে গেছি। ১২ দিন সাগরে কাটানোর পর মহাজনকে এক হাজার টাকাও দিতে পারিনি।'

    চরফ্যাসন উপজেলার সর্ববৃহৎ সামরাজ মৎস্যঘাটের মতো এ অঞ্চলের অন্য ঘাটগুলোতে তেমন একটা কর্মযজ্ঞ নেই। বিশেষ করে বেতুয়া, নতুন স্লুইসগেট, পাঁচ কপাট, খেজুরগাছিয়া, ঢালচর, বকসীরঘাট, ঘোষেরহাট, চরকচ্ছপিয়া ও কুকরি মুকরি।

    সামরাজ মৎস্যঘাট জেলে সমবায় সমিতি লিঃ এর সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, 'নদী ও সাগরে মাছ নাই বললেই চলে। তেলের খরচও উঠাতে পারছে না জেলেরা। আড়তদারদের কি দিবে? এ বছরের মত খারাপ অবস্থা গত ৯-১০ বছরেও ঘটেনি। এই ঘাটে ৯৮ জন মৎস্য আড়তদার রয়েছে। এসব আড়তদাররা প্রায় দেড়শ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। অথচ দশ শতাংশ চালান তুলতে পারেনি। ভবিষ্যতে কি হবে তা আল্লাহ ভালো জানে।'

    চরফ্যাসন উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চরফ্যাসন উপজেলায় প্রায় ৯০ হাজার জেলে রয়েছে। উপজেলার নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৩৭৫ জন। অনিবন্ধিত জেলে রয়েছে প্রায় ৪৬ হাজার। এসব জেলেরা নদী ও সাগরে মাছ শিকার করে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ জেলে সামরাজ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছ বিক্রি করেন।

    চরফ্যাসন উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, 'এখানকার স্থানীয় জেলেরা মূলতঃ মৌসুমি জেলে। কেউ রিকশা চালায়, কেউবা কৃষিকাজ করেন। মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর মোহনাগুলোতে পলিমাটি জমায় স্রোত কমে গেছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণও কমেছে। একারনে জেলেরা মাছ না পেয়ে হতাশ হয়ে ঘাটে ফিরে আসে। এই প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পর্কে অবগত রয়েছে। বিকল্প উপায়ে পানির গভীরতা বৃদ্ধির চেষ্টা করতেছে।'

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…