পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে সময়ের কন্ঠস্বর ও জি-টিভির আশুলিয়া প্রতিনিধি শামীম হাসান সীমান্তের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে একদল স্থানীয় সন্ত্রাসী। এ সময় সীমান্ত'র এক অতিথি এগিয়ে গেলে তার ওপরও হামলা করা হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে এ ঘটনা ঘটে। পরে দুইজনকেই উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সংবাদের জন্য তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার সকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতেই সোহেল রানার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী শামীম হাসান সীমান্তের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এসময় গেটের কাছে সীমান্তকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে তার অতিথি আমিনুল ইসলামকেও বেদম মারধর করা হয়।
মারার কারণ জানতে চাইলে তাদের দুজনকে টেনে হিঁচড়ে ধরে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ সময় জাহাঙ্গীরনগর বিদ্যালয়ের সংলগ্ন টর্চারসেলে আটকে রেখে তাদের ওপর নির্যাতন চালায় সোহেল, আল মামুনসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। মারধরের কারণে একপর্যায়ে সীমান্ত ও আমিনুর ইসলাম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের উদ্ধার করে দ্রুত সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক শামীম হাসান সীমান্ত বলেন, আমি নিউজ সংগ্রহের কাজে জাবিতে গেলে সোহেল রানা, সিদ্দিক ও আল মামুন খান তাদের পুরো সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমি এই বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূর আলম সিদ্দিক সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে সাংবাদিক সীমান্তের ওপর হামলার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একইসঙ্গে এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান তারা।