রাজশাহীর বাঘায় একদিনে দুইজনের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রেখে গেছেন এক গভীর শূন্যতা ও শোকের আবহ।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুম্মা আড়ানী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাজার নামাজ শেষে আড়ানী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় তাঁদের। পৃথকভাবে নিজ নিজ বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই দুই গুণী ব্যক্তি।
একজন ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের নেতা, অন্যজন শতবর্ষী এক মায়ের বিদায়—দুজনের চলে যাওয়া বাঘার মানুষকে শোকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির বাঘা উপজেলা শাখার সভাপতি, রাজশাহী জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, পরিবেশ আন্দোলনের এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, বড়াল নদী রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক কমরেড ফরজ আলী (৬০) আর নেই। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে আড়ানী পৌরসভার খয়েরমিল নুরনগর গ্রামে নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
কমরেড ফরজ আলী ছিলেন নিপীড়িত মানুষের শক্তি, নদী রক্ষা আন্দোলনের এক অক্লান্ত যোদ্ধা। তার মৃত্যুতে বাঘার রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
জানাজার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ওয়ার্কার্স পার্টি, পরিবেশ আন্দোলন ও বড়াল নদী রক্ষা আন্দোলনের নেতাকর্মীরা তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। যেন শেষ বিদায়ের আগে আরেকবার জানিয়ে দিলেন—তিনি ছিলেন আপোষহীন সংগ্রামী এক নেতা।
বয়সের ভারে নুয়ে পড়া এক জীবন অবশেষে অবসান হলো। বেড়েরবাড়ি মসজিদের ইমাম নিজাম উদ্দিনের মা শখেজান বেওয়া (১০০) বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে আড়ানী পৌরসভার উত্তর পাঁচপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শতবর্ষের সাক্ষী এই মায়ের বিদায়ে পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
একই দিনে দুইজনের বিদায় যেন বাঘার আকাশকে বিষণ্ণ করে তুলেছে। একদিকে একজন সংগ্রামী নেতার প্রয়াণ, অন্যদিকে শতবর্ষী মায়ের শেষযাত্রা—এ দুটি মৃত্যু এলাকার মানুষের মনে গভীর শোকের দাগ কেটে গেল। বিদেহী আত্মাদের শান্তি কামনা করছে বাঘার আপামর জনসাধারণ।
এমআর-২