ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে হঠাৎ করে ফুঁসে উঠেছে ছাত্র জনতা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনে আওয়ামী দালালদের দৌরাত্ব, মামলা ও বদলি বাণিজ্য এবং নবীনগর পৌরসভার এক কর্মচারীর বদলীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ মিছিল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা আহ্বান করেন তারা।
মঙ্গলবার (১৮ ফ্রেব্রুয়ারি) দুপুরে শতশত ছাত্র জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নবীনগর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন। বিক্ষুদ্ধ ছাত্র জনতা সরকারি বেসরকারি অফিসে আওয়ামী দালালদের দৌরাত্ব, মামলা ও বদলি বাণিজ্যের প্রতিবাদে পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে সখ্যতার প্রেক্ষিতে তাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।
এক পর্যায়ে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজ অফিসে যাওয়ার পথে তাকে ঘিরে ধরেন, এবং উপরোক্ত দাবি আদায়ে ইউএনও প্রতি আহ্বান জানান। তারা নবীনগরে আওয়ামী দালালদের দৌরাত্ব,মামলা ও বদলি বাণিজ্যের সাথে একটি সিন্ডিকেট জড়িত আছে বলে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি তুলেন।
তারা আরও বলেন,ছাত্রদের নাম বিক্রি করে নবীনগর পৌরসভার অফিস প্রধান আবদুল মোমেনকে বদলী করা হয়েছে শুধু মাত্র পৌরসভার স্টোর কিপার জায়েদকে প্রমোশন দেওয়ার জন্য। বিগত দিনে স্থানীয় কলা বাজার লিজের নামে স্বজনপ্রীতি ও কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে কারা কারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চাপ প্রয়োগ করেন। সেই সাথে সকল অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তাদেরকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
এসময় বক্তব্য রাখেন,বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন রাজু,সাবেক ছাত্রনেতা আশরাফ হোসেন রুবেল, গোলাম সামদানী,তৌফিকুল ইসলাম তপু,শাওন,ফাহিম ও ইউসুফ প্রমূখ।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক রাজীব চৌধুরী বলেন, আবদুল মোমেন শারীরিকভাবে অসুস্থ,মানবিক দিক বিবেচনা করে তার বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং কলা বাজারের লিজের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে এবং ছাত্রদের দাবি অনুযায়ী শহীদের নামে স্মৃতিস্তম্ভ করার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।
এমআর