এইমাত্র
  • প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৯২, সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে মুশফিক
  • জুলাই গণহত্যা: জাতিসংঘ প্রতিবেদনকে ঐতিহাসিক রিপোর্ট ঘোষণা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
  • ফুলবাড়ীতে গরীব-মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাইসাইকেল প্রদান
  • গাজীপুরে কারখানার গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট
  • মুশফিককে ‘হাই কোয়ালিটি প্লেয়ার’ বললেন পন্টিং
  • মুন্সিগঞ্জে দুটি বেকারিকে জরিমানা
  • ফুলবাড়ীতে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী গণসংযোগ ও জনসভা
  • বাংলাদেশের কাছে হারের পর যা বলছে ভারতীয় গণমাধ্যম
  • শততম টেস্টে ফিফটি তুলে নিলেন মুশফিক
  • দেশের সব মোবাইল ফোন বিক্রির দোকান বন্ধের ঘোষণা
  • আজ বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৫
    শিক্ষাঙ্গন

    বাকির টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিনের দোকানদারকে মারধর

    তালহা হাসান, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২২ পিএম
    তালহা হাসান, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২২ পিএম

    বাকির টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিনের দোকানদারকে মারধর

    তালহা হাসান, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২২ পিএম

    বাকির টাকা চাওয়ায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) বিজয়-২৪ হলের ক্যান্টিনের দোকানদারকে মারধর করেছে জাহাঙ্গীর আলম নামের এক শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী হলেও তিনি বর্তমানে রিঅ্যাড নিয়ে ২১ ব্যাচের সঙ্গে স্নাতক সম্পন্ন করছেন বলে জানা যায়।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) আনুমানিক রাত ৮ টায় হলের ক্যান্টিনে গিয়ে খরচ করতে চান। এসময় ক্যান্টিনের দোকানদার জহুরুল ইসলাম তাকে পূর্বের বাকি থাকা প্রায় ৮০০ টাকা পরিশোধ করার জন্য বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে যান। ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি দোকানদারের শার্টের কলার চেপে ধরে গালাগালি করতে থাকেন এবং একপর্যায়ে মারধর করে গেঞ্জি ছিড়ে ফেলেন। এসময় ক্যান্টিনে থাকা একজন শিক্ষার্থী এগিয়ে আসেন এবং দুইজনকে আলাদা করে দেন।

    এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলাম বলেন, 'তার থেকে আমি আগের প্রায় ৮০০ টাকা পাই। এরপরেও কয়েকবার তিনি বাকিতে খরচ করেছেন আমার দোকান থেকে। মঙ্গলবার তিনি ক্যান্টিনে এসে সিগারেট চাইলে আমি তাকে আগের বাকি থাকা টাকার কথা বলি। এসময় তিনি আমাকে গালাগাল করেন এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেন। এরপর দোকানের মধ্যে ঢুকে কলার চেপে ধরেন এবং গেঞ্জি ছিড়ে ফেলেন। এসময় ক্যান্টিনে থাকা এক শিক্ষার্থী এগিয়ে এসে আমাকে রক্ষা করেন। এরপরও সে রড নিয়ে আমাকে মারতে আসে। এরপর আমি চিৎকার করলে সে পালিয়ে যায়।'

    এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কয়েকবার তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

    এ বিষয়ে বিজয়-২৪ হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. মো. আরিফুজ্জামান বলেন, 'মারধরের অভিযোগ পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডি নিয়ে আমি হলে যাই। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী এবং ক্যান্টিনের দোকানদার দুজনকেই আসার জন্য বলা হলেও সেই শিক্ষার্থীকে হলে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাই। আমরা তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেও সে আসেনি। এরপর প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভুক্তভোগীর মতামত শুনে তাকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই বহিষ্কারাদেশ আজ (৭ অক্টোবর) থেকেই কার্যকর হবে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে তার একাডেমিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'

    এফএস

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…