বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ইসরায়েলের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলার কথা আছে ইতালির। আর এ ম্যাচকে ঘিরে চরম নিরাপত্তা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মূলত স্টেডিয়ামের টিকিটধারী দর্শকের চেয়েও ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীর সংখ্যা বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ বাতিলের দাবি উঠেছে, যদিও ইতালি কর্তৃপক্ষ কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি নয়।
আগামী মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) উদিনেসের স্টাডিও ফ্রুলিতে ইতালি ও ইসরায়েলের মধ্যকার এ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
গত সোমবার (৬ অক্টোবর) পর্যন্ত এই ম্যাচের জন্য মাত্র ৪ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহেই ইতালির ফ্লোরেন্সের ট্রেনিং সেন্টারের গেটে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়ে গাজায় যুদ্ধের কারণে ম্যাচটি বাতিলের দাবি জানিয়েছিলেন।
ম্যাচটি নিয়ে নিরাপত্তা শঙ্কার কথা স্বীকার করেছেন ইতালির কোচ জেনারো গাত্তুসো। তিনি বলেছেন, ‘পরিবেশটা শান্ত থাকবে না। স্টেডিয়ামের বাইরে প্রায় ১০ হাজার মানুষ থাকবে, আর ভেতরে থাকবে ৫-৬ হাজার।’
গাজা যুদ্ধের কারণে উয়েফা ইসরায়েলকে সাময়িক নিষিদ্ধ কহরার কথা ভাবছে। তাছাড়া দিনেসের মেয়র আলবার্তো ফেলিস ডি টনি ম্যাচটি স্থগিত করার আহ্বানও জানিয়েছিলেন।
এদিকে আগের দুই ফিফা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ইতালি। ফলে আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলতে মরিয়া চার বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। পরবর্তী বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে ইসরায়েলের বিপক্ষে এ ম্যাচটি ইতালির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়া এড়াতে মরিয়া ইতালি ম্যাচটি না খেলার ঝুঁকি নিতে রাজি নয়।
এনিয়ে কোচ গাত্তুসো বলেছেন, ‘আমাদের এই ম্যাচটি খেলতেই হবে। কারণ আমরা যদি না খেলি, তাহলে ৩-০ গোলে হেরে যাব।’
গাত্তুসো আরও বলেন,‘যেহেতু আমরা বিশ্বকাপে খেলার জন্য নিজেদের সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করছি, তাই আমি ঘরের মাঠে সমর্থকদের সেই উদ্দীপনার মধ্যে খেলতে পারলে বেশি খুশি হতাম, যা আমরা এক মাস আগে এস্তোনিয়ার বিপক্ষে ৫-০ গোলে জয়ের ম্যাচে দেখেছিলাম।’
তবে ম্যাচের বিষয়ে আগ্রহী হলেও ইসরায়েলি বাহিনীর কার্যকলাপ নিয়ে মর্মাহত ইতালির কোচ গাত্তুসো। তিনি বলেন,‘নিরীহ মানুষ ও শিশুদের সঙ্গে যা ঘটছে তা দেখা খুবই মর্মান্তিক। এটা হৃদয়ে আঘাত করে।’
আরডি