এইমাত্র
  • জুলাই গণহত্যা: জাতিসংঘ প্রতিবেদনকে ঐতিহাসিক রিপোর্ট ঘোষণা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
  • ফুলবাড়ীতে গরীব-মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাইসাইকেল প্রদান
  • গাজীপুরে কারখানার গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট
  • মুশফিককে ‘হাই কোয়ালিটি প্লেয়ার’ বললেন পন্টিং
  • মুন্সিগঞ্জে দুটি বেকারিকে জরিমানা
  • ফুলবাড়ীতে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী গণসংযোগ ও জনসভা
  • বাংলাদেশের কাছে হারের পর যা বলছে ভারতীয় গণমাধ্যম
  • শততম টেস্টে ফিফটি তুলে নিলেন মুশফিক
  • দেশের সব মোবাইল ফোন বিক্রির দোকান বন্ধের ঘোষণা
  • নারীদের পেছনে রেখে আমরা পুরুষরা এগিয়ে যেতে পারবে না: ধর্ম উপদেষ্টা
  • আজ বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৫
    শিক্ষাঙ্গন

    বাবার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চাইলেন হাবিপ্রবির শিক্ষার্থী রাফিমনী

    তালহা হাসান, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২২ এএম
    তালহা হাসান, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২২ এএম

    বাবার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চাইলেন হাবিপ্রবির শিক্ষার্থী রাফিমনী

    তালহা হাসান, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২২ এএম

    ঢাকা–রংপুর মহাসড়কের মিঠাপুকুর অংশে গত ৯ অক্টোবর ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীরহাট এলাকার বাসিন্দা রওশন মিয়া। তিনি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) মার্কেটিং বিভাগের ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোছা. উম্মে সালমা রাফিমনীর বাবা।

    জানা গেছে, সেদিন মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন রওশন মিয়া। ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। পরবর্তীতে তাঁকে তাৎক্ষণিক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে চিকিৎসার উন্নত সুবিধার অভাবে তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।

    বর্তমানে তিনি রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতাল (কল্যাণপুর শাখা)–এর আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রওশন মিয়ার মস্তিষ্কে দুটি স্থানে রক্তক্ষরণ হয়েছিল এবং মুখের দুই পাশের চোয়াল ভেঙে গেছে। মস্তিষ্কের সফল অস্ত্রোপচার শেষ হলেও তিনি এখনও অচেতন। পরবর্তী ধাপে মুখ ও চোয়ালের জটিল অস্ত্রোপচার প্রয়োজন।

    রওশন মিয়া পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। ইতোমধ্যে চিকিৎসায় প্রায় ৫ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, পুরো চিকিৎসা সম্পন্ন করতে আরও ৮–১০ লাখ টাকার প্রয়োজন।

    রাফিমনী বলেন,“আমার বাবা এখনও জ্ঞান ফিরে পাননি। চোখ খোলেননি, কথা বলেননি। প্রাইভেট হাসপাতালের খরচ অনেক বেশি। আমাদের পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। আমি সবার কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ করছি, আপনারা যদি একটু পাশে দাঁড়ান, তাহলে হয়তো বাবাকে আবার ফিরে পাব।”

    তিনি আরও জানান, তিনি পরিবারের বড় মেয়ে, ছোট ভাইবোন রয়েছে। বাবার চিকিৎসা ছাড়া তাদের পরিবারের আর কোনো অবলম্বন নেই।

    হাবিপ্রবির মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা রাফিমনীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাহায্যের আবেদন করছেন এবং অর্থ সংগ্রহে উদ্যোগ নিয়েছেন।

    তাঁরা বলেন,“রাফিমনীর পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এখন আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। মানবিকতা থেকে যে যেভাবে পারেন, এই পরিবারকে সহায়তা করুন।”

    সাহায্যের জন্য যোগাযোগ: সালমা: 01865481681 (বিকাশ/নগদ) পিয়াস: 01750488327 (বিকাশ/নগদ)।

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…