দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার দক্ষিণ দাউদপুর সীমান্তের জোলাপাড়া গ্রামে হাঁসের খামার থেকে ফেরা নিয়ে বিজিবি ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। ঘটনার পর বিজিবির সংশ্লিষ্ট ১২ সদস্যকে দাউদপুর বিওপি ক্যাম্প থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিজিবির সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জোলাপাড়া গ্রামের মসজিদের মুয়াজ্জিন আতিয়ার রহমান ও আমিনুল ইসলাম নামের দুই ব্যক্তি তাদের বাড়ির পাশের বিলে হাঁসের খামার থেকে হাঁস আনতে যান। ফেরার পথে সীমান্তের প্রায় ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
তারা হাঁস আনতে গিয়েছেন জানালেও আতিয়ার রহমানকে টহল পোস্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে ভারত থেকে ফিরে আসার সন্দেহে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
চিৎকার শুনে আতিয়ারের মা রাবেয়া বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলেকে মারধরের প্রতিবাদ করলে তাকেও বেধড়ক লাঠিপেটা করা হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এরপর এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ করলে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে তর্ক ও ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে টহল পোস্টে ভাঙচুর করে উত্তেজিত গ্রামবাসী।
স্থানীয় কাটলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ময়নুল ইসলাম বলেন,“বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে বিজিবি দাউদপুর বিওপির ১৫-১৭ জন সদস্য গ্রামে ঢুকে গ্রামবাসীদের লাঠিপেটা করে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।”
ঘটনার পর রাতেই বিজিবি-২০ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (ভাইগড় কোম্পানি কমান্ডার), স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গ্রামবাসীর অংশগ্রহণে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির ১২ সদস্যকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দাউদপুর বিওপি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার তাইফুর রহমান বলেন,“এটি এক ধরনের ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ছিল। পরিস্থিতি যাতে আর না বাড়ে, সেজন্য দাউদপুর বিওপি থেকে ১২ জন সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।”
এনআই