এইমাত্র
  • বিহারে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট
  • হামজার ইনজুরি কতটা গুরুতর, ভারতের বিপক্ষে পাওয়া যাবে?
  • বিচারকের ছেলের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : চিকিৎসক
  • শাহজালাল বিমানবন্দরে ককটেল বিস্ফোরণ
  • মাদারীপুরে যুবকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
  • ‘তদন্ত হলে হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমাণ পাবেন কিছু উপদেষ্টার বিরুদ্ধে’
  • নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ: প্রধান উপদেষ্টা
  • আইরিশদের ইনিংস ব্যবধানে হারাল টাইগাররা
  • ‘গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সংবিধান সংশোধনও হবে না’
  • নারীদের ঘরে বন্দি করার ষড়যন্ত্র চলছে: সেলিমা রহমান
  • আজ শুক্রবার, ৩০ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৪ নভেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    আমতলীতে জালাল ফকিরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা

    মো. ইমরান হোসাইন, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:২৬ পিএম
    মো. ইমরান হোসাইন, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:২৬ পিএম

    আমতলীতে জালাল ফকিরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা

    মো. ইমরান হোসাইন, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:২৬ পিএম

    আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ত্যাগী নেতা জালাল উদ্দিন ফকিরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে তার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার দাবি করেছেন তারা।

    জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৩ জানুয়ারি দলীয় কয়েকজন নেতার ষড়যন্ত্রে তুচ্ছ ঘটনায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে কেন্দ্রীয় কমিটি আমতলী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকিরকে বহিষ্কার করেন। তাকে বহিষ্কার করায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। তিনি বহিষ্কার হয়েও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সকল কার্যক্রমে সক্রিয় অংশ নেন। শেখ হাসিনার পতনের পর তিনি দলের সকল কর্মকাণ্ড চালিয়ে যান।

    তিনি ডাক দিলেই তৃণমূলের হাজার হাজার নেতাকর্মী তার ডাকে দলীয় কার্যক্রমে অংশ নেন, এমন দাবি করেছেন হালিম হাওলাদার, মতি মোল্লা, আবু সালেহ ও হানিফ বয়াতি। তিনি আমতলী উপজেলা বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের প্রাণ। দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তৃণমূল নেতাকর্মীরা তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চায়।

    আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ আবুল কালাম মাস্টার বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে জালাল ফকির একজন আদর্শবান নেতা। তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা দলীয় কর্মকাণ্ডে আরো উজ্জীবিত হবে।

    হলদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক লিমন হাওলাদার বলেন, জালাল উদ্দিন ফকির আওয়ামী লীগ আমলে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছেন। কিন্তু দলের কিছু নেতাকর্মীদের ষড়যন্ত্রের কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

    গুলিশাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক হাওলাদার বলেন, জালাল উদ্দিন ফকির বহিষ্কার হলেও তিনি বসে নেই। সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। দ্রুত তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাই।

    পৌর বিএনপির আহবায়ক কবির উদ্দিন ফকির বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে জালাল উদ্দিন ফকিরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাই।

    আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক অ্যাডভোকেট গাজী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, একজন ত্যাগী নেতাকে বহিষ্কার করে দলীয় কার্যক্রম থেকে নিবৃত্ত রাখলে দলের ক্ষতি হয়।

    আমতলী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ জহিরুল ইসলাম মামুন ভিপি বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রাণ জালাল উদ্দিন ফকির। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দলীয় নেতাদের রোষানলে পড়ে দুই ডজন মামলার আসামী হয়েছেন তিনি। অনেক দিন জেল খেটেছেন।

    বছরের পর বছর পালিয়ে থেকেছেন, তারপরও তিনি দল থেকে বিচ্যুত হননি।

    বরগুনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, জালাল উদ্দিন ফকির একজন বিএনপির পরীক্ষিত নেতা।

    শেখ হাসিনার আমলে জেল, জুলুম ও অত্যাচার-অনাচারে তিনি ছিলেন জর্জরিত। তার মতো একজন ত্যাগী নেতা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় অত্যন্ত প্রয়োজন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে জালাল উদ্দিন ফকিরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…