বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘জামায়াত এখন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। তাদের এক নেতা বলেছেন—নির্বাচন হতেও পারে, নাও হতে পারে। তাদের এই বক্তব্য শেখ হাসিনার বক্তব্যের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। যদি নির্বাচনে বাধাই হোন তাহলে পালিয়ে যাওয়া দলের সাথে আপনাদের পার্থক্য কোথায়?’
বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে নরসিংদীর হেরিটেজ রিসোর্টে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
যারা সমাজে চাঁদাবাজি করে, মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে, নদীর বালি বা অন্যের জমি দখল করে—তারা বিএনপির সদস্য হতে পারবে না বলে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘সমাজের সজ্জন মানুষ, ভালো মানুষ, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, কৃষক—প্রত্যেকেই বিএনপির সদস্য হতে পারবেন। কিন্তু হাসিনার আমলে যারা মানুষ হত্যা করেছেন, যারা জনপদে রক্ত ঝরিয়েছেন—তারা বিএনপির সদস্য হতে পারবেন না।’
বিগত সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন এবং গণতন্ত্রকে গোরস্থানে পাঠিয়েছেন। যে নির্বাচন নিশ্চিত করতে বেগম জিয়া জেল খেটেছেন, চিকিৎসা বঞ্চিত হয়েছেন। পরিবারের ঐহিহ্যের সাথে তাল মিলিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। যার ফলশ্রুতিতেই ২৪শে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়েছে। কিন্তু তিনি ভিন্ন দেশে গিয়েও বসে নেই, নানা মূখী ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছেন। নির্বাচন যাতে না হয়, সেজন্য নির্দেশ দিচ্ছেন
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন এর সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনজুর এলাহীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইদুল ইসলাম বাবুল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শিরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, বিজ্ঞাণ ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ হোসেন বকুল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, কেন্দ্রীয় সদস্য আকরামুল হাসান মিন্টু, ইকবাল হোসেন শ্যামল সহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা।
এসএম