যশোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিসিসি) পাসপোর্টে জালিয়াতি করে দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে খোকন (২৫) নামে একজন আটক হয়েছেন। এ সময় পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে আরও এক প্রতারক দৌড়ে পালিয়ে যায়৷
আটক খোকনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। টাকার বিনিময় পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়া যেন খোকনের পেশা। তিনি চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তমি থানার বায়েজিদ বালুছড়া এলাকার বাছা মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, টিটিসিতে বিদেশ গমনেচ্ছু ব্যক্তিরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট কাজের উপর দক্ষতা যাচাই সংক্রান্তে পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তাদের পাসপোর্ট সঙ্গে নিয়ে আসা বাধ্যতামূলক।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) যশোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দক্ষতা যাচাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই কেন্দ্রের ২০৬ নম্বর রুমে দায়িত্ব পালন করছিলেন জ্যেষ্ঠ ইন্সট্রাক্টর (ইলেক্ট্রিক্যাল) রতন দেবনাথ।
বেলা সাড়ে ১০টার দিকে পরীক্ষা চালাকালে তিনি একজন পরীক্ষার্থীর পাসপোর্ট যাচাই করার সময় অমিল দেখতে পান। পাসপোর্টের ব্যক্তির নাম খোরশেদ আলম। তিনি মুন্সিগঞ্জের টংগীবাড়ি উপজেলার বিগগান এলাকার হারুন জমাদ্দারের ছেলে।
পাসপোর্টের একটি স্থানে ছোট ছবিতে বয়স্ক এক ব্যক্তি এবং অপর স্থানের বড় ছবিতে এক যুবকের চেহারা দেখা যায়। ছোট ছবির ব্যক্তিই প্রকৃত পাসপোর্টধারী। আর বড় ছবির যুবক নকল। আসল ছবির উপরে কৌশলে অন্য যুবকের ছবি বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় পরীক্ষা দিতে আসা যুবককে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, দুই হাজার টাকার বিনিময়ে প্রক্সি দিতে এসেছেন। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটক খোকন নিজের অপরাধ স্বীকার করে জানান, টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির হয়ে দক্ষতা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়া বাবদ ২/৩ হাজার করে টাকা নেন। বিগত দিনে তিনি পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়েছেন।
যশোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী গাজী ইফ্ফাত মাহমুদ জানান, এ ঘটনায় কেন্দ্রের ইন্সট্রাক্টর তরিকুল ইসলাম কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। কোন অন্যায়কে ছাড় দেওয়া হবে না।
এদিকে, দৌড়ে পালানো ব্যক্তির নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। তিনি নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও থানার কাঁচপুর সোনপুর এলাকার আব্দুল হালিমের ছেলে ওসমান গণির পাসপোর্ট দেখিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। পুলিশ দুইটি পাসপোর্ট জব্দ করেছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, আটক খোকনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইখা