চট্টগ্রামের রাউজানে র্যাব-৭-এর অভিযানে উন্মোচিত হয়েছে এক ভয়াবহ অস্ত্র কারখানার সন্ধান। উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নোয়াপাড়া এলাকার মৃত খায়েজ আহম্মদের ছেলে মো. কামাল (৫০) এবং মৃত শফিক আহম্মদের ছেলে মো. সোহেল আহম্মদ (৪৪)।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে, নোয়াপাড়া এলাকায় একটি বসতবাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ ও তৈরি করা হচ্ছিল। খবরের সত্যতা যাচাইয়ে র্যাবের একটি দল অভিযানে নামে। সকালে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়– ৩টি একনলা বন্দুক, ৬টি ওয়ান শুটার গান, ৫টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি তলোয়ার, ৫টি রামদা, বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির নানা সরঞ্জাম।
অভিযান প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল, কিছু ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে রাউজান এলাকায় অস্ত্রের কারখানা স্থাপন করে বিভিন্ন অপরাধী চক্র, মাদক ব্যবসায়ী ও ডাকাত দলের কাছে এসব অস্ত্র বিক্রি করে আসছে। এই তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছিলাম। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় অপরিচিত কাউকে দেখলেই তারা সতর্ক হয়ে যেত, তাই তাদের অবস্থান শনাক্ত করা কঠিন ছিল।’
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে গ্রেপ্তারকৃত কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে রাউজান থানায় অন্তত তিনটি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে একটি অস্ত্র ও দুটি মাদক সংক্রান্ত মামলা।
র্যাব বলছে, স্থানীয়ভাবে অস্ত্র তৈরি ও সরবরাহের এই সিন্ডিকেটটি রাউজান ছাড়াও পার্বত্য এলাকার অপরাধী গোষ্ঠীর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখত। উদ্ধার করা সরঞ্জাম দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এটি ছিল একটি সক্রিয় অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র।
গ্রেপ্তার দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাউজান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অস্ত্রের উৎস, কারখানার বিস্তৃতি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের শনাক্তে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এসআর