এইমাত্র
  • সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের দ্বারপ্রান্তে কুরাসাও
  • জামায়াতসহ ১২ দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ সোমবার
  • আ.লীগের পক্ষে পোস্ট, ইবি শিক্ষার্থীকে থানায় সোপর্দ
  • অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে মেঘনায় ৪ জন গুলিবিদ্ধ
  • সোহানের রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরিতে জয় দিয়ে শুরু বাংলাদেশের
  • সুনামগঞ্জে শর্টগানের কার্তুজসহ দুইজন গ্রেপ্তার
  • ঝিনাইদহে দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রবাসী যুবক নিহত
  • রংপুরে আশরাফুলের জানাজায় হাজারও মানুষের ঢল
  • সালাতুল ইসতিসকা আদায়ের পরই মক্কায় মুষলধারে বৃষ্টি
  • শাহজাদপুরে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
  • আজ শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    কাঠের সাঁকোতে তিন উপজেলার মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

    মো. আশরাফুল আলম, কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৫ এএম
    মো. আশরাফুল আলম, কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৫ এএম

    কাঠের সাঁকোতে তিন উপজেলার মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

    মো. আশরাফুল আলম, কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৫ এএম

    সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় একটি অস্থায়ী কাঠের সাঁকো দিয়ে তিন উপজেলার অন্তত তিন হাজার মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার হচ্ছেন। বাঁশের খুঁটি ও পাতলা কাঠের পাটাতন দিয়ে তৈরি সাঁকোটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ মিটার। সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর ও সদরের একাংশ) সংসদীয় আসনের রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালায় ইছামতি নদীর ওপর সাঁকোটির অবস্থান। স্বাধীনতার পর থেকে ওই নদীর ওপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবী উঠেছে অসংখ্যবার। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এখন পর্যন্ত নির্মিত হয়নি সেতুটি।

    সম্প্রতি একডালা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ইছামতি নদীর ওপর অস্থায়ীভাবে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে একটি সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার খাটিয়ামারী, মথুরাপুর, কাশিয়াহাটা, বিষার দিয়ার, শালুয়াবাড়ীসহ আট থেকে দশটি গ্রামের মানুষজন এই সাঁকো ব্যবহার করে চলাচল করেন। অপরদিকে সিরাজগঞ্জ সদর ও কাজীপুরের মানুষও ওই সেতু ব্যবহার করে ধুনটে যাতায়াত করেন। সাঁকোটির ওপর দিয়ে খালি ভ্যান-রিক্সা, সাইকেল, মোটরসাইকেল পারাপার হতে পারলেও মালামাল নিয়ে ওই সব পরিবহন যেতে পারে না। সাঁকোটি অনেকটাই নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। মাঝে মাঝে কাঠের পাটাতন ফাঁক হয়ে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত পারাপার হচ্ছেন লোকজন।

    সাঁকোটির নির্মাতা একডালা গ্রামের রফিক মিয়া বলেন, 'জন্মের পর থেকে দেখছি হাজার হাজার মানুষ এই ঘাট দিয়ে চলাচল করে। বর্ষাকালে খেয়া নৌকায় পার হতে হতো তাদের। কয়েক বছর আগে অস্থায়ী একটি সাঁকো বানিয়ে দিয়েছি আমি। তবে পারাপারে ৫ থেকে ১০ টাকা করে নিয়েছি কিছুদিন।'

    একডালা গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, 'ইছামতির ঘাটের কাছেই আমার বাড়ি ছিল। কয়েক বছর আগে নদীর ভাঙনে পশ্চিম পাড়ে গিয়ে বাড়ি করি। তখন থেকেই দেখে আসছি মানুষজন খুব কষ্টে পারকপার হয়। এবার কচুরিপানার চাপে সাঁকোটি দুইবার উপড়ে গেছিল। এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ খুব জরুরি।'

    বয়োবৃদ্ধ দবিবর রহমান আক্ষেপ করে বলেন, 'অনেক ঝুঁকি নিয়া চার (সাঁকো) পার হইতে হয়। দ্যাশে এতো উন্নতি হইলো কিন্তু আমাগোরে এই ঘাটে একটো সেতুই হইলো না।'

    পার্শবর্তী উপজেলা ধুনটের খাটিয়ামারী গ্রামের আব্দুর রহিম বলেন, 'রতনকান্দি ও একডালা হাট, সিরাজগঞ্জ সদর ও কাজীপুর উপজেলার সাথে যোগাযোগের জন্য কয়েক গ্রামের মানুষ এ ঘাটের সাঁকো ব্যবহার করেন।'

    একডালা গ্রামের চাঁন মিয়া জানান, 'গ্রামের প্রায় দুইশ পরিবার ইছামতি নদীর পশ্চিম চরে স্থায়ীভাবে বসবাস করে। সেখানে স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে সাঁকো দিয়ে।'

    সিরাজগঞ্জের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউর রহমান মুঠোফোনে সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, 'ওই স্থানে প্রায় ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি শীঘ্রই হেড অফিসে যাবে এরপর জেলা প্রশাসকের দপ্তরের সভায় আলোচনা হবে। পরে একনেক অনুমোদন পেলে কাজ শুরু করা যাবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি।'

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…