এইমাত্র
  • শাহজালাল বিমানবন্দরে ককটেল বিস্ফোরণ
  • মাদারীপুরে যুবকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
  • ‘তদন্ত হলে হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমাণ পাবেন কিছু উপদেষ্টার বিরুদ্ধে’
  • নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ: প্রধান উপদেষ্টা
  • আইরিশদের ইনিংস ব্যবধানে হারাল টাইগাররা
  • ‘গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সংবিধান সংশোধনও হবে না’
  • নারীদের ঘরে বন্দি করার ষড়যন্ত্র চলছে: সেলিমা রহমান
  • জেমস ও আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত
  • অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আর নিরপেক্ষ নেই: ডা. তাহের
  • এবার আশুলিয়ায় পিকআপে আগুন
  • আজ শুক্রবার, ৩০ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৪ নভেম্বর, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার সিদ্ধান্ত পাকিস্তান-আফগানিস্তানের

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৩ এএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৩ এএম

    যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার সিদ্ধান্ত পাকিস্তান-আফগানিস্তানের

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৩ এএম

    তুরস্কে পাঁচ দিনের আলোচনার পর পাকিস্তান ও আফগানিস্তান যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার বিষয়ে একমত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

    বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশই যুদ্ধবিরতির ধারাবাহিকতা রক্ষায় সম্মতি জানিয়েছে। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন শর্ত ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আসছে ৬ নভেম্বর ইস্তাম্বুলে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আরেক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেই বৈঠকের আগে যেন কোনো সংঘর্ষ না ঘটে, সে ব্যাপারে দুই পক্ষের সরকার সতর্ক অবস্থান নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

    ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইসলামাবাদ ও কাবুলের সম্পর্ক ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। মূলত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) কেন্দ্র করেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। টিটিপির প্রধান ঘাঁটি পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে, যা আফগান সীমান্তের সঙ্গে যুক্ত। ইসলামাবাদ অভিযোগ করে আসছে যে আফগান তালেবান সরকার টিটিপিকে আশ্রয় দিচ্ছে, যদিও কাবুল সব সময়ই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    এদিকে গত ৯ অক্টোবর পাকিস্তান আফগানিস্তানের রাজধানরী কাবুলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলাই টিটিপির শীর্ষ নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সদস্য নিহত হন। পাল্টা জবাব হিসেবে ১১ অক্টোবর আফগান সেনারা সীমান্তবর্তী পাকিস্তানি চৌকিতে হামলা চালায়, যার পর দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলা এই সংঘাতে প্রাণ হারান ২০০-এর বেশি আফগান সেনা এবং ২৩ পাকিস্তানি সেনা।

    পরবর্তীতে ১৫ অক্টোবর দুই দেশ ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। এরপর ১৮ অক্টোবর দোহায় দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়, যা পরে ইস্তাম্বুলে স্থানান্তরিত হয়। কাতার ও তুরস্ক এই আলোচনায় মধ্যস্থতার দায়িত্ব পালন করে। ২৮ অক্টোবর আলোচনায় কিছুটা অচলাবস্থা দেখা দিলেও মধ্যস্থতাকারীদের তৎপরতায় তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়। শেষ পর্যন্ত ৩০ অক্টোবর দুই দেশ যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছায়।

    আরডি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…