বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা দেওয়া কিশোরগঞ্জের আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন তাঁর বড় ভাই স্থপতি আবু আহমেদ মোবাস্বারুল করিম। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘আমাদের বৈমাত্রেয় ছোট ভাই অ্যাডভোকেট আবু আহমেদ ফয়জুল করিম মুবিন অতি সম্প্রতি কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগে যোগদান করেছে। তার এই যোগদান একান্তই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, এর সঙ্গে আমাদের পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই এবং আমরা এই দল পরিবর্তনকে সমর্থন করছি না।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আমার বাবার আদর্শ ও দেশপ্রেমকে ধারণ ও লালন করি। আমার পিতা শহীদ জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আদর্শের একজন অগ্রগণ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
‘ডা. ফজলুল করিম একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক, সমাজসেবক ও রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে কিশোরগঞ্জে অত্যন্ত সম্মানিত ছিলেন। আজীবন সততার ধারক ও একজন পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসেবে দলমত-নির্বিশেষে সবার কাছে শ্রদ্ধেয়। তাঁর সারা জীবনের অর্জিত সম্মান ও পারিবারিক সম্ভ্রম তিনি আমৃত্যু রক্ষা করেছেন, আমরাও তাঁর সন্তান হিসেবে সেই আদর্শকেই ধারণ ও লালন করে যাব, ইনশা আল্লাহ।
এদিকে ডাঃ ফজলুল করিমের দুই কন্যা ডেইজি নাজ করিম ও বেবী নাজ করিম তার ভাই আবু আহমেদ মোবাস্বারুল করিমের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘আমরা সকল ভাই বোনরা বাবার আদর্শ ও শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ আজীবন লালন করে যাব।’
এর আগে গত ২২ অক্টোবর এডভোকেট ফয়জুল করিম মুবিন নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে মুবিন নিজেই লাইভে এসে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরপর সেই ফেসবুক লাইভ মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
এদিকে মুবিনের এমন ঘোষণার পর কিশোরগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাধারণ সদস্য পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
প্রসঙ্গত, অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম মুবিন কিশোরগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জিয়াউর রহমান সরকারের তৎকালীন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ফজলুর করিমের ছেলে। ফয়জুল করিম গত ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনের আগের কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির উপ-দপ্তর সম্পাদক, পৌর বিএনপির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কিশোরগঞ্জ শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরডি