কণ্ঠে কাঁপন, চোখে অশ্রু। বুক ভরা হাহাকার নিয়ে বলছেন, 'আমার ছোট ছোট দুই মেয়ে, একজনের বয়স মাত্র তিন, আরেকজনের দুই। এখন আমি কোথায় যাব? কিভাবে বড় করব ওদের? কী খাওয়াব ওদের? আজকে তো আমার চিরো ভরসাটাই নেই, চলে গেছে ওপারে।'
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খানপুর বাজারে এভাবেই হাহাকার করে কেঁদে উঠলেন ‘কাকন বাহিনীর’ হামলায় নিহত নাজমুলের স্ত্রী শারমিন বেগম।
গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের 'নীচ খানপুর' এলাকায় প্রায় দুই বিঘা জমি নিয়ে 'কাকন বাহিনী' ও বাঘার স্থানীয় মনতাজ মন্ডল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সময় একাধিক গুলিবিদ্ধ হয়ে নাজমুল ও আমান নিহত এবং রাকিব হোসেন ও মুনতাজ মন্ডল গুরুতর আহত হয়েছেন।
এই নিহত নাজমুল ও আমান হত্যার আসামিদের ফাঁসির দাবিতে উপজেলার খানপুর বাজারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় নিহতদের পরিবার ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় চাঁন মন্ডল, সাহাবুল হোসেন, নিহত নাজমুলের মা নারগিস আরা বেগম, আহত মুনতাজের মা আনজেরা বেগম, নিহত আমানের বোন মেহেরনিকা বেগম, নিহত নাজমুলের পিতা মিনহাজ মন্ডল, স্ত্রী শারমিন বেগম, স্থানীয় আবদুস সালাম, আমজাদ হোসেন, কৃষক ছেত্তাজ মন্ডলসহ অনেকে।
নিহত আমানের বোন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, 'আমার ছোট ভাই তার দুপুরের খাবারের জন্য বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে যায় কিন্তু আমার ভাই খাবার খাওয়ার আগেই কাকন বাহীনির লোকজন আমার ভাইকে মেরে ফেলে। ওই কাকন বাহিনীর জন্য আমার ভাইয়ের আর ভাত খাওয়া হলো না।'
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, 'ঘটনার পর থেকেই আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।'