এইমাত্র
  • ৬ দিনে এলো ৬৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
  • নতুন বাবরি মসজিদের জন্য একজন একাই দিচ্ছেন ৮০ কোটি টাকা
  • ৪ নারী পাচ্ছেন বেগম রোকেয়া পদক
  • নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনে কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত, প্রধান উপদেষ্টাকে জানালেন সিইসি
  • ইরানে ম্যারাথনে হিজাব লঙ্ঘনের অভিযোগে আয়োজক গ্রেফতার
  • সৌদিতে এক সপ্তাহে ১৯ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
  • ইসরায়েলের রাজনীতি থেকে কী সরে দাঁড়াচ্ছেন নেতানিয়াহু
  • পেঁয়াজ আমদানি শুরু, এক লাফে প্রতিকেজিতে দাম কমল ৩০ টাকা
  • দেশে চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
  • খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান সম্পন্ন, রিপোর্ট নরমাল: মেডিকেল বোর্ড
  • আজ সোমবার, ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    'জনবান্ধব ওসি' রফিকুল ইসলাম নাগরপুর থেকে ভূঞাপুরে বদলি

    মো. আজিজুল হক, নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম
    মো. আজিজুল হক, নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম

    'জনবান্ধব ওসি' রফিকুল ইসলাম নাগরপুর থেকে ভূঞাপুরে বদলি

    মো. আজিজুল হক, নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম

    টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানা ছেড়ে গেলেন জনবান্ধব অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম। এক বছর দুই মাস দায়িত্ব পালন শেষে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে তিনি একই জেলার ভূঞাপুর থানায় নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

    জানা গেছে, ওসি রফিকুল ইসলাম র‍্যাব, এসবি, মিশন এবং পিবিআইতে একটানা এগারো বছর কাজ করার পর গত বছরের ৫ আগস্টের পরে নাগরপুরে প্রথমবার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তাঁর স্বতন্ত্র নেতৃত্ব এবং জনবান্ধব আচরণের কারণে অল্প দিনের মধ্যেই তিনি 'জনবান্ধব ওসি' হিসেবে পরিচিত হন। তবে কেউ কেউ তাকে ‘ভাইরাল ওসি’ হিসেবেও চিনতেন। তার ফেসবুকে পৌনে এক লাখের বেশি ফলোয়ার রয়েছে, যেখানে নিয়মিত স্ট্যাটাস, ভিডিও এবং শিক্ষণীয় বার্তা প্রকাশ করতেন।

    জানা গেছে, ওসি রফিকুল ইসলাম নিষ্ঠা, মানবিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে নাগরপুর থানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং পুলিশি সেবার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। একাধিকবার জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত হওয়াও তার কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি।

    বিশেষ করে নাগরপুরে দায়িত্বকালীন সময়ে তিনি মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, কিশোর অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়া তরুণ প্রজন্মকে মাদক ও অপরাধ থেকে দূরে রাখতে নিয়মিত খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের আয়োজন করেন, যা স্থানীয় যুব সমাজের মাঝে অনুপ্রেরণার উৎস হয়েছে।

    বিদায়ের আগে জেলা পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় তিনি থানার ভেতরে সাধারণ মানুষের বসার জন্য একটি 'গোল ঘর' নির্মাণ করেন। এটি এখন জনগণের জন্য বিশ্রাম ও আলাপ-আলোচনার স্থান হিসেবে প্রশংসিত।

    সম্প্রতি এক ফুটবল টুর্নামেন্টে ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, 'মানুষ কর্মের মধ্যেই বেঁচে থাকে। আমি এখানে খুশি। এক বছর দুই মাসে কেউ বলতে পারবে না, আমাকে পাঁচ টাকার একটা চা খাওয়াইছি। নাগরপুরে আমার প্রথম ওসি হিসেবে চাকরি হলেও, এই এলাকার মানুষদের আন্তরিকতা আমি কখনও ভুলতে পারব না। তাদের সহযোগিতায় আমি প্রতিটি কাজে সফল হয়েছি। আজ আমি কিছুটা হলেও নাগরপুরকে মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ও চাঁদাবাজমুক্ত করতে পেরেছি। আমি যেখানেই থাকব, মাদক চলবে না, এটাই আমার নিয়ম। নাগরপুরবাসীর কথা আমি চিরকাল মনে রাখব।'

    এদিকে তার বিদায়ের খবর প্রকাশ হতেই ফেসবুক সরগরম হয়ে ওঠে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ নাগরিকরা তাকে সৎ, নিষ্ঠাবান ও জনবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে অভিহিত করেছেন।

    জানতে চাইলে ওসি মো. রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, নাগরপুর ছিল আমার হৃদয়ের কাছের একটি কর্মক্ষেত্র। এখানকার মানুষ অত্যন্ত আন্তরিক ও সহযোগিতাপূর্ণ। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি জনগণের পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করতে। আমার অফিস সবসময় উন্মুক্ত ছিল। কোনো নেতা বা প্রভাবশালীর মাধ্যমে আমার কাছে পৌঁছাতে হয় না; যার সমস্যা আছে, সে সরাসরি আসতে পারে।

    ভূঞাপুরে দায়িত্ব গ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'নাগরপুরে যেমন সুনাম অর্জন করেছি, এখানেও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাজ করে সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেবা প্রার্থীদের আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমার বুকে সৎ সাহস আছে, এজন্যই বলতে পারি আমাকে কেউ চা খাওয়াতে পারেনি, পারবেও না।'

    ভূঞাপুরে যিনিই যান, বালু ইস্যু নিয়ে বিভিন্ন সময় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'নাগরপুর থাকাকালীনও আমি এসব বিষয়ে খোঁজ খবর নেইনি। এগুলো আমার ফাংশন নয়। ইউএনও, ইসিল্যান্ডের দায়িত্ব। এখন যদি কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হয়, আমি নেব।'

    এসকে/আরআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…