ভোলা সদর উপজেলায় ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে তাসপিয়া নামের ১১ মাস বয়সী একটি শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় নেমে এসেছে চাঞ্চল্য ও উদ্বেগ।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) গভীর রাতে উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের বড় চরসামাইয়া গ্রামের গফুর আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
শিশু তাসপিয়া ওই গ্রামের মাওলানা জামাল উদ্দিন ও কুলসুম বিবি দম্পতির তৃতীয় কন্যা সন্তান।
পরিবার জানায়, রাতে শিশুটির মা কুলসুম বিবি তাকে পাশে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। ভোররাতে ঘুম ভাঙার পর শিশুটিকে দুগ্ধপান করাতে গিয়ে দেখেন শিশুটি বিছানায় নেই। শিশুর ঘুমানোর জায়গায় একটি কোলবালিশ কাঁথা দিয়ে ডেকে রাখা আছে। এরপর পরিবারের সবাই মিলে আশপাশে খোঁজ করেও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি।
তারা ধারণা করছেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে রাতে যে কেউ ঘরের মধ্যে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থেকে শিশুটিকে চুরি করে নিয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর তাদের সামনের দরজা খোলা দেখতে পান।
শিশুর মা কুলসুম বিবি সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, 'রাতে খাবার খেয়ে মেয়েকে নিয়ে সামনের বারান্দায় চৌকিতে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে ঘুম ভাঙার পর দেখেন শিশু তাসপিয়া নেই। তার স্থানে একটি কোলবালিশ রাখা আছে। পরে তিনি ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের মানুষ ছুটে আসে এবং তাসপিয়াকে খুঁজতে থাকে।'
পরে শিশুটিকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এবং শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য তারা কাজ করছে।
এদিকে, শিশুটিকে হারিয়ে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। তাকে খুঁজে পেতে করা হচ্ছে মাইকিং। এছাড়াও এলাকা জুড়ে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য ও উদ্বেগ। আতঙ্কে রয়েছে শিশুটির পরিবার ও এলাকাবাসী। তাদের দাবি, প্রশাসন যেন দ্রুত বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে এবং যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করে।
মোসলেউদ্দিন নামের এক প্রতিবেশী সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, 'তার ৫৫ বছর বয়সে এমন ঘটনা দেখেননি। ১১ মাসের একটি অবুঝ শিশু চুরির ঘটনায় তিনি খুব উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এবং প্রশাসনের কাছে শিশুটিকে উদ্ধারের জোর আবেদন জানান।'
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদাৎ হাচনাইন পারভেজ জানান, 'পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এছাড়াও পুলিশের পক্ষ থেকে শিশুটিকে উদ্ধারের কাজ চলছে। বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।'
এনআই