এইমাত্র
  • লোহাগড়ায় অবৈধ ৩৭ টি ইটভাটায় পরিবেশের বিপর্যয়
  • ৩ দলের সমন্বয়ে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ
  • ঝিনাইদহে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন
  • কিশোরগঞ্জে শিশু হত্যা মামলা তুলে নিতে স্বামীর নির্যাতনের অভিযোগ
  • ব্রিসবেনেও ইংলিশদের ভরাডুবি
  • নিজ গ্রামে জনতার রোষানলে ব্যারিস্টার ফুয়াদ
  • বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
  • সাংবাদিক শওকত মাহমুদ গ্রেপ্তার
  • যশোরে স্বর্ণসহ পাচারকারী আটক
  • নামিবিয়ার দায়িত্ব নিলেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক কোচ
  • আজ রবিবার, ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
    আপনার স্বাস্থ্য

    সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ক্লান্তি আর ঘুম ঘুম লাগে?

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৪ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৪ পিএম

    সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ক্লান্তি আর ঘুম ঘুম লাগে?

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৪ পিএম

    ঘুম থেকে উঠেই অনেকে ক্লান্তি অনুভব করেন। দিনের শুরুতেই তাদের বলতে শোনা যায়, ‘ঘুমিয়েও ফ্রেশ লাগে না।’

    এমন অবস্থা শুধু শারীরিক নয়, মানসিকও। সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি শরীর ভারী মনে হয়, আরও শুয়ে থাকতে ইচ্ছা করে, মন ফোকাস করতে পারে না বা কাজ করার আগ্রহ কমে যায়, তা একধরনের ‘মর্নিং ফ্যাটিগ’ বা সকালবেলার ক্লান্তি। এটি কিছুদিনের জন্য স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘদিন ধরে থাকলে স্বাস্থ্যগত সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।

    কেন এমন হয়

    এ সমস্যার প্রধান কারণ পরিমিত ঘুমের অভাব বা খারাপ মানের ঘুম। রাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম না হলে শরীর দিনের জন্য শক্তি সঞ্চয় করতে পারে না। মানসিক চাপ ও উদ্বেগও ঘুমের ধরন ব্যাহত করে। অনেকের আবার কিছুক্ষণ ঘুম হওয়ার পর ঘুম ভেঙে যায়। এর পাশাপাশি প্রোটিন, আয়রন, সোডিয়াম, ভিটামিনের মতো পুষ্টি ও খনিজের অভাব এ রকম সমস্যার গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

    যেমন ভিটামিন ডির অভাবে এমন হতে পারে। হরমোনের কিছু রোগ, যেমন থাইরয়েডের অস্বাভাবিকতা, ডায়াবেটিসের কারণে এমনটি হতে পারে। এমনকি হৃদ্‌রোগও সকালে ক্লান্তি বাড়াতে পারে। রক্তশূন্যতার কারণে সহজে ক্লান্তিবোধ আসে। এ ছাড়া জীবনধারা, যেমন রাতে দেরিতে ঘুমানো, অতিরিক্ত চা-কফি খাওয়া বা প্রাতরাশ এড়িয়ে যাওয়াও সকালের ক্লান্তির কারণ হতে পারে।

    করণীয়

    প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম (৬ থেকে ৮ ঘণ্টা) নিশ্চিত করতে হবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুঠোফোন, টিভি বা অন্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার কমাতে হবে। সকালের নাশতায় ডিম, দুধ, ওটস, ফল বা শস্যের মতো পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

    দিনে ১৫-২০ মিনিট ব্যায়াম বা হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে, যাতে দেহে পানিশূন্যতা না হয়। তবে এরপরও দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

    সকালের ক্লান্তি কখনো কখনো জীবনের অতিরিক্ত চাপের প্রমাণ হতে পারে। তাই সচেতন হওয়া জরুরি। নিয়মিত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়াম এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। সচেতনতা ও অভ্যাসের পরিবর্তনেই দিনটি শুরু হবে প্রাণবন্ত, মনোবল শক্তিশালী এবং শরীর সতেজ।

    ইখা

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…