মেঘনা নদীতে ভৈরব নৌ থানা পুলিশের অভিযানে ৬০ বস্তা ভারতীয় ফোসকা ও ছয় হাজার ৪শত পিস জিলেট ব্লেড উদ্ধার করা হয়েছে। ভৈরবের আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া খলাপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে দিদার, মানিক মিয়ার ছেলে আসিফ, রমজান আলীর ছেলে ইসমাইল এবং আব্দুল হামিদের ছেলে রানা আটক হয়েছেন। এই ব্যাপারে ভৈরব নৌ থানা পুলিশ বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় চোরাচালান আইনে মামলা দিয়ে আলমত সহ আসামীদের আশুগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছে।
আটককৃতরা জানায়, আটককৃত ফোসকা ও ব্লেড সুনামগঞ্জের তাহেরপুর থেকে ভৈরবে আনা হচ্ছিল। এর সাথে একটি প্রভাবশালী মহল জড়িত বলে তারা জানায়। এক বছর ধরেই তারা ভৈরবের একটি চক্রের সহযোগিতায় এই কাজ চালিয়ে আসছেন বলে স্বীকার করে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদে খবর পেয়ে গতকাল রাতে আশুগঞ্জ থানাধীন মেঘনা নদীর মা মনি ইটভাটার নিকট অভিযান চালানো হয়। এই সময় ছাদ ওয়ালা একটি ব্লাকহেড আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি কালে ৬০ বস্তা নিষিদ্ধ ভারতীয় ফোসকা ও জিলেট ব্লেড উদ্ধার করা হয়।
ভৈরব নৌ থানার উপ-পরিদর্শক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, নৌ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনায় ভৈরব মেঘনা নদীতে রাত্রীকালীন নিয়মিত ডিউটি করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মা মনি ইটাখলার সংলগ্ন মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে একটি বাল্কহেড আটক করা হয়। তাতে তল্লাশি করে বাল্কহেডে রক্ষিত ষাট বস্তা ভারতীয় ফোসকা ও জিলেট ব্লেড উদ্ধার করা হয় এবং বাল্কহেডের মাঝিসহ চারজনকে আটক করা হয়। অবৈধ মালামাল ব্যবহারের অভিযোগে বাল্কহেডটিও জব্দ করা হয়েছে। এ ফোসকা ভারতীয় সীমান্তের সোনামহঞ্জ জেলার তাহেরপুর এলাকা থেকে সংগ্রহ করে ভৈরব ও আশুগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে থাকে বলিয়া আটককৃতরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে নৌ পুলিশ বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন আছে।
এসআর